খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

সারাটা সন্ধ্যা প্রবীণ আঙুলগুলো খেলা করে গেল। সেই সন্ধ্যায়, ওই আঙুলের নিচে ভি বালসারার পিয়ানোটা নয়, ছিল কিবোর্ড। সারাটা সন্ধ্যা সেই কিবোর্ডে আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে কবীর সুমন কী মমতায়, কী গভীর প্রার্থনায় ও ধ্যানে, বুনে গেলেন সুর! ছড়িয়ে গেলেন মায়া ও মোহ! প্রেম ও প্রশ্রয়!
শহরে সেদিন ছিল ঘোষিত ছুটির দিন। সুমনের এবারের ঢাকা সফরেরও শেষ দিন। ২১ অক্টোবরের সন্ধ্যেটা তাই নামছিল শিরশিরে হেমন্তের পাতলা চাদর ছুঁয়ে, ধীরে। সেই সন্ধ্যায় যাঁরা জড়ো হয়েছিলেন সুমনের মাহফিলে, তাঁরা জানেন। তাঁরা দেখেছেন আশ্চর্য সেই সুরের সফর।
তাঁরা শুনেছেন, কীভাবে সুমন কথায় ও গানে, হাসি ও উচ্চারণে দোলাতে দোলাতে হঠাৎ বসে জিরোন কিছুক্ষণ, কাঠজুড়ি নদীটির তীরে। যেহেতু নদীর কথা এলে আসে শৈশব, তাই সুমন শোনান গাঙর নদীর গল্প, যার জলে একদা ভেসেছিল বেহুলার ভেলা। যেখানে লেগে আছে সুমনের জন্মদাগ। অথবা ‘কারমেন’ সিনেমার সেই উত্তাল প্রেম, মেয়েটিকে দেখে ছেলেটির চোখের হঠাৎ বিস্ফারণ, যেখান থেকে সুমন পেড়ে এনেছেন আস্ত এক গান ‘এক মুহূর্তে ফিরিয়ে দিলে, সহজ চোখে তাকিয়ে থাকা’।
যেন উপকথার প্রাচীন মলাট উল্টিয়ে চলেছেন কবীর সুমন। আর তা থেকে একের পর এক বেরিয়ে আসছে গল্প। ঢুকে পড়ছে গানের ভাঁজে ভাঁজে। সে গল্প রূপকথার চেয়ে ঝলমলে, সে গল্প বাস্তবের চেয়ে ভয়াবহ।
সেদিন শুক্রবার যেন উৎসব নেমেছিল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেউ একা, কেউ দলে-বলে-যুগলে এসে মিশেছিলেন অডিটোরিয়াম ভর্তি ভিড়ের মিছিলে। তাঁরা কেউ হাতে হাত রেখে, কেউ সঙ্গীর কাঁধে রেখে মাথা, শুনছিলেন সুমনকে। গাইছিলেন সমস্বরে। ‘আজ জানলার কাছে ডেকে গেছে এক পাখির মতোন সকাল’ পেরিয়ে সুমন যখন ধরলেন ‘খোদার কসম জান’; সেই ভিড়ের মিছিল, সেই সমস্বর যেন হাহাকার করে উঠলো। যেন এতদিন, এভাবে কেউ বলেনি তাঁদের কথা! কেউ বলেনি অত সাহস করে অত দ্বিধাহীন স্বরে- ‘তোমায় খুঁজেছি আমি উজবুক বাঁচার নেশায়’।
এরপর ‘জাতিস্মর’ পেরিয়ে, ‘বিচলিত এই সন্ধ্যাটা’ সরিয়ে সুমন খুঁজলেন নূরকে। আসাদুজ্জামান নূর। দীর্ঘদিনের বন্ধু তাঁরা। গানের বন্ধু। জীবনকে খোঁজার সংগ্রামের বন্ধু। এবারের কবীর সুমনের ঢাকা সফরের তিন দিনের অনুষ্ঠানের প্রতিটিতেই ছিলেন নূর। ২০১১-তে সুমন যখন পুরান ঢাকার অলিগলি পেরিয়ে গিয়েছিলেন আজম খানের সাক্ষাৎকার নিতে, সেদিনও ছিলেন সঙ্গে। এদিন তাই গানের সঙ্গে এল আসাদুজ্জামান নূরের অনবদ্য আবৃত্তির প্রসঙ্গও। ফোয়াদ নাসের বাবুর নামও এল। কণ্ঠে যতটা সম্ভব বিনয় ঢেলে সুমন বললেন, ‘আমি খুব কুণ্ঠার সঙ্গে বাজাচ্ছি। কারণ দর্শকদের মধ্যে রয়েছেন আমার চেয়ে ঢের বড় কিবোর্ড শিল্পী, আমাদের উপমহাদেশের একজন প্রধান কিবোর্ড শিল্পী ফোয়াদ নাসের।’ তখন ঈষৎ অন্ধকারে, দর্শকসারিতে বসে থাকা ফোয়াদ নাসেরের মনে-মাথায় কী চলছিল, সেটা অনুমান করা খুব শক্ত নিশ্চয়ই।
এই যে সপ্তাহখানিক ধরে কবীর সুমন ঢাকায় আছেন, এটা তো শুধু বাংলাদেশের সুমনভক্তদের জন্য নয়, সুমনের নিজের জন্য, তাঁর পরিবারের জন্যও বিশেষ উপলক্ষ। সুমনের এই তিন দিনের অনুষ্ঠান দেখে, যাঁরা, যত মাধ্যমে, যতভাবে লিখেছেন তাঁর গান নিয়ে, তাঁকে নিয়ে; সে সব পড়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত সুমন ও পশ্চিমবঙ্গে থাকা তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বললেন কবীর সুমন, ‘আমার বাড়ির লোকেরা আজ কদিন ধরে যে কী আনন্দে আছেন! আপনারা সংবাদমাধ্যমের লোকেরা ভাবতেও পারবেন না। যারা আমার দেখাশোনা করেন, অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যান, অথচ তাদের সঙ্গে আমার সামাজিক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কও না। এরা সকলেই বলতে পারেন উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। আমার যত্ন নিচ্ছেন। আপনাদের এখানে যা যা লেখা হচ্ছে, প্রত্যেকেই গোগ্রাসে পড়ছেন এবং কান্নাকাটি করছেন। এভাবেও তাহলে মানুষটার সম্বন্ধে বলা যায়! আপনারা নিজেরাও হয়তো জানেন না, আমার ভেতরে কী হচ্ছে! আমি কতটা মুসলমান তাই নিয়ে পশ্চিম বাংলায় আলোচনা হয়। আমি কতটা নকশাল তাই নিয়ে হয়। আমি গান-বাজনা করি কিনা, তা নিয়ে আলোচনা আর হয় না।’
এতক্ষণ একাই বাজাচ্ছিলেন সুমন। একই মঞ্চের সবটুকু আলো জড়ো করে চারপাশে, গাইছিলেন নিত্য যাপনের গান। ‘চেনা দুঃখ চেনা সুখ’ শুরু করে, একটা লাইন গেয়ে, হঠাৎ থেমে, অল্পক্ষণের জন্য ডেকে নিলেন সফরসঙ্গীদের। মঞ্চে এলেন ধ্রুব বসু রায়, ইন্দ্রজিত প্রধান। ‘চেনা সিগারেট খাওয়া, চেনা পথে হেঁটে যাওয়া, চেনা ছবি স্বপ্নের লাশ’ পেরিয়ে সুমন যখন ধরলেন ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’, হাজার করতালির কোলাজ আর তবলা-গিটারের সঙ্গত পেয়ে, সে আহ্বান আরও উদাত্ত ভঙ্গি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ল অডিটোরিয়ামের কোনে কোনে।
দর্শকসারির প্রতি কোন থেকে সুমনের দিকে উড়ে উড়ে যাচ্ছিল গানের অনুরোধ। সে সবের অনেকগুলোই মুঠোয় বন্দি করে, তাঁর আশ্চর্য জাদুকরী স্বর ও সুরের ভেতর দিয়ে ফেরত পাঠালেন। গানের তালিকা তাই লম্বা হতে থাকল। ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’, ‘আমি চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে রাষ্ট্রপুঞ্জে’, ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’, ‘জানি না কে দিয়েছিল পলাশকে তার ডাকনাম’, ‘কে তৈরি করেছিল তাজমহল সে কি শাজাহান’, ‘আমি যাকে ভালোবাসি তার গল্প শোনাব’, ‘পেটকাঠি চাঁদিয়াল’, ‘তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান’, ‘বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি’, ‘খাতা দেখে গান গেও না’, ‘গড়িয়াহাটার মোড়’ এবং সবশেষে ‘তোমাকে চাই’ গেয়ে উঠে দাঁড়ালেন কবীর সুমন, যেভাবে ধ্বংসস্তুপ পায়ে ঠেলে উঠে দাঁড়ায় নতুন সবুজ।
তাঁর প্রবীণ আঙুল তখন ছড়িয়ে দিচ্ছে উড়ন্ত চুমুর আশীর্বাদ। গোটা অডিটোরিয়াম দাঁড়িয়ে, একটানা দীর্ঘক্ষণ করতালি দিয়ে, করছে কৃতজ্ঞতার উচ্চারণ। আবার বাংলাদেশে আসার, গাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়ে মৃদু পায়ে ব্যাকস্টেজের পথে মিলিয়ে গেলেন কবীর সুমন। বাইরে, রমনার শান্ত বাতাসে তখনও মিশে আছে সুমনের গান, সুমনের সুর।

সারাটা সন্ধ্যা প্রবীণ আঙুলগুলো খেলা করে গেল। সেই সন্ধ্যায়, ওই আঙুলের নিচে ভি বালসারার পিয়ানোটা নয়, ছিল কিবোর্ড। সারাটা সন্ধ্যা সেই কিবোর্ডে আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে কবীর সুমন কী মমতায়, কী গভীর প্রার্থনায় ও ধ্যানে, বুনে গেলেন সুর! ছড়িয়ে গেলেন মায়া ও মোহ! প্রেম ও প্রশ্রয়!
শহরে সেদিন ছিল ঘোষিত ছুটির দিন। সুমনের এবারের ঢাকা সফরেরও শেষ দিন। ২১ অক্টোবরের সন্ধ্যেটা তাই নামছিল শিরশিরে হেমন্তের পাতলা চাদর ছুঁয়ে, ধীরে। সেই সন্ধ্যায় যাঁরা জড়ো হয়েছিলেন সুমনের মাহফিলে, তাঁরা জানেন। তাঁরা দেখেছেন আশ্চর্য সেই সুরের সফর।
তাঁরা শুনেছেন, কীভাবে সুমন কথায় ও গানে, হাসি ও উচ্চারণে দোলাতে দোলাতে হঠাৎ বসে জিরোন কিছুক্ষণ, কাঠজুড়ি নদীটির তীরে। যেহেতু নদীর কথা এলে আসে শৈশব, তাই সুমন শোনান গাঙর নদীর গল্প, যার জলে একদা ভেসেছিল বেহুলার ভেলা। যেখানে লেগে আছে সুমনের জন্মদাগ। অথবা ‘কারমেন’ সিনেমার সেই উত্তাল প্রেম, মেয়েটিকে দেখে ছেলেটির চোখের হঠাৎ বিস্ফারণ, যেখান থেকে সুমন পেড়ে এনেছেন আস্ত এক গান ‘এক মুহূর্তে ফিরিয়ে দিলে, সহজ চোখে তাকিয়ে থাকা’।
যেন উপকথার প্রাচীন মলাট উল্টিয়ে চলেছেন কবীর সুমন। আর তা থেকে একের পর এক বেরিয়ে আসছে গল্প। ঢুকে পড়ছে গানের ভাঁজে ভাঁজে। সে গল্প রূপকথার চেয়ে ঝলমলে, সে গল্প বাস্তবের চেয়ে ভয়াবহ।
সেদিন শুক্রবার যেন উৎসব নেমেছিল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেউ একা, কেউ দলে-বলে-যুগলে এসে মিশেছিলেন অডিটোরিয়াম ভর্তি ভিড়ের মিছিলে। তাঁরা কেউ হাতে হাত রেখে, কেউ সঙ্গীর কাঁধে রেখে মাথা, শুনছিলেন সুমনকে। গাইছিলেন সমস্বরে। ‘আজ জানলার কাছে ডেকে গেছে এক পাখির মতোন সকাল’ পেরিয়ে সুমন যখন ধরলেন ‘খোদার কসম জান’; সেই ভিড়ের মিছিল, সেই সমস্বর যেন হাহাকার করে উঠলো। যেন এতদিন, এভাবে কেউ বলেনি তাঁদের কথা! কেউ বলেনি অত সাহস করে অত দ্বিধাহীন স্বরে- ‘তোমায় খুঁজেছি আমি উজবুক বাঁচার নেশায়’।
এরপর ‘জাতিস্মর’ পেরিয়ে, ‘বিচলিত এই সন্ধ্যাটা’ সরিয়ে সুমন খুঁজলেন নূরকে। আসাদুজ্জামান নূর। দীর্ঘদিনের বন্ধু তাঁরা। গানের বন্ধু। জীবনকে খোঁজার সংগ্রামের বন্ধু। এবারের কবীর সুমনের ঢাকা সফরের তিন দিনের অনুষ্ঠানের প্রতিটিতেই ছিলেন নূর। ২০১১-তে সুমন যখন পুরান ঢাকার অলিগলি পেরিয়ে গিয়েছিলেন আজম খানের সাক্ষাৎকার নিতে, সেদিনও ছিলেন সঙ্গে। এদিন তাই গানের সঙ্গে এল আসাদুজ্জামান নূরের অনবদ্য আবৃত্তির প্রসঙ্গও। ফোয়াদ নাসের বাবুর নামও এল। কণ্ঠে যতটা সম্ভব বিনয় ঢেলে সুমন বললেন, ‘আমি খুব কুণ্ঠার সঙ্গে বাজাচ্ছি। কারণ দর্শকদের মধ্যে রয়েছেন আমার চেয়ে ঢের বড় কিবোর্ড শিল্পী, আমাদের উপমহাদেশের একজন প্রধান কিবোর্ড শিল্পী ফোয়াদ নাসের।’ তখন ঈষৎ অন্ধকারে, দর্শকসারিতে বসে থাকা ফোয়াদ নাসেরের মনে-মাথায় কী চলছিল, সেটা অনুমান করা খুব শক্ত নিশ্চয়ই।
এই যে সপ্তাহখানিক ধরে কবীর সুমন ঢাকায় আছেন, এটা তো শুধু বাংলাদেশের সুমনভক্তদের জন্য নয়, সুমনের নিজের জন্য, তাঁর পরিবারের জন্যও বিশেষ উপলক্ষ। সুমনের এই তিন দিনের অনুষ্ঠান দেখে, যাঁরা, যত মাধ্যমে, যতভাবে লিখেছেন তাঁর গান নিয়ে, তাঁকে নিয়ে; সে সব পড়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত সুমন ও পশ্চিমবঙ্গে থাকা তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বললেন কবীর সুমন, ‘আমার বাড়ির লোকেরা আজ কদিন ধরে যে কী আনন্দে আছেন! আপনারা সংবাদমাধ্যমের লোকেরা ভাবতেও পারবেন না। যারা আমার দেখাশোনা করেন, অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যান, অথচ তাদের সঙ্গে আমার সামাজিক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কও না। এরা সকলেই বলতে পারেন উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। আমার যত্ন নিচ্ছেন। আপনাদের এখানে যা যা লেখা হচ্ছে, প্রত্যেকেই গোগ্রাসে পড়ছেন এবং কান্নাকাটি করছেন। এভাবেও তাহলে মানুষটার সম্বন্ধে বলা যায়! আপনারা নিজেরাও হয়তো জানেন না, আমার ভেতরে কী হচ্ছে! আমি কতটা মুসলমান তাই নিয়ে পশ্চিম বাংলায় আলোচনা হয়। আমি কতটা নকশাল তাই নিয়ে হয়। আমি গান-বাজনা করি কিনা, তা নিয়ে আলোচনা আর হয় না।’
এতক্ষণ একাই বাজাচ্ছিলেন সুমন। একই মঞ্চের সবটুকু আলো জড়ো করে চারপাশে, গাইছিলেন নিত্য যাপনের গান। ‘চেনা দুঃখ চেনা সুখ’ শুরু করে, একটা লাইন গেয়ে, হঠাৎ থেমে, অল্পক্ষণের জন্য ডেকে নিলেন সফরসঙ্গীদের। মঞ্চে এলেন ধ্রুব বসু রায়, ইন্দ্রজিত প্রধান। ‘চেনা সিগারেট খাওয়া, চেনা পথে হেঁটে যাওয়া, চেনা ছবি স্বপ্নের লাশ’ পেরিয়ে সুমন যখন ধরলেন ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’, হাজার করতালির কোলাজ আর তবলা-গিটারের সঙ্গত পেয়ে, সে আহ্বান আরও উদাত্ত ভঙ্গি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ল অডিটোরিয়ামের কোনে কোনে।
দর্শকসারির প্রতি কোন থেকে সুমনের দিকে উড়ে উড়ে যাচ্ছিল গানের অনুরোধ। সে সবের অনেকগুলোই মুঠোয় বন্দি করে, তাঁর আশ্চর্য জাদুকরী স্বর ও সুরের ভেতর দিয়ে ফেরত পাঠালেন। গানের তালিকা তাই লম্বা হতে থাকল। ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’, ‘আমি চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে রাষ্ট্রপুঞ্জে’, ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’, ‘জানি না কে দিয়েছিল পলাশকে তার ডাকনাম’, ‘কে তৈরি করেছিল তাজমহল সে কি শাজাহান’, ‘আমি যাকে ভালোবাসি তার গল্প শোনাব’, ‘পেটকাঠি চাঁদিয়াল’, ‘তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান’, ‘বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি’, ‘খাতা দেখে গান গেও না’, ‘গড়িয়াহাটার মোড়’ এবং সবশেষে ‘তোমাকে চাই’ গেয়ে উঠে দাঁড়ালেন কবীর সুমন, যেভাবে ধ্বংসস্তুপ পায়ে ঠেলে উঠে দাঁড়ায় নতুন সবুজ।
তাঁর প্রবীণ আঙুল তখন ছড়িয়ে দিচ্ছে উড়ন্ত চুমুর আশীর্বাদ। গোটা অডিটোরিয়াম দাঁড়িয়ে, একটানা দীর্ঘক্ষণ করতালি দিয়ে, করছে কৃতজ্ঞতার উচ্চারণ। আবার বাংলাদেশে আসার, গাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়ে মৃদু পায়ে ব্যাকস্টেজের পথে মিলিয়ে গেলেন কবীর সুমন। বাইরে, রমনার শান্ত বাতাসে তখনও মিশে আছে সুমনের গান, সুমনের সুর।

৩ ও ৪ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় মেহেদিরাঙা হাতের দুটি ছবি শেয়ার করেন সংগীতশিল্পী কনা। এরপর গুঞ্জন ওঠে আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন এই শিল্পী। গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছেন কনা নিজেই। ছবি পোস্ট করলেও এ নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়ম করে লেখালেখি ও নির্দেশনার কাজ করেন অভিনেতা আবুল হায়াত। একটা সময় পর্যন্ত অভিনয়েই সময় দিয়েছেন নিয়মিত। এখন আর আগের মতো টানা অভিনয়ে সময় দিচ্ছেন না তিনি। কাজ করছেন বেছে বেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। ৯ দিনব্যাপী উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৯১টি দেশের পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলিয়ে প্রায় ২৬৭টি চলচ্চিত্র। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে হবে উৎসবটি।
২১ ঘণ্টা আগে
হলিউডে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় নেটফ্লিক্স এবং ওয়ার্নার ব্রস। সবচেয়ে বিতর্কের বিষয়ও। হলিউডের সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় স্টুডিও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিক হতে চলেছে নেটফ্লিক্স। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

৩ ও ৪ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় মেহেদিরাঙা হাতের দুটি ছবি শেয়ার করেন সংগীতশিল্পী কনা। এরপর গুঞ্জন ওঠে আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন এই শিল্পী। গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছেন কনা নিজেই। ছবি পোস্ট করলেও এ নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি তিনি। ফলে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে কনার বিয়ের গুজব। গত শুক্রবার জানা যায়, এটি আসলে একটি গানের প্রমোশন। কারণ, ওই দিন সন্ধ্যায় প্রকাশ পায় কনার নতুন গান ‘মেহেন্দি’।
মেহেদিরাঙা হাতের ছবিটি যে বিয়ের গুঞ্জন ছড়িয়েছে তা নজরে এসেছে কনার। তবে এতটা ছড়িয়ে যাবে ভাবেননি তিনি।
আজকের পত্রিকাকে কনা বলেন, ‘মেহেন্দি শিরোনামের গানের শুটিংয়ের ছবি শেয়ার করেছিলাম ফেসবুকে। আমার হাতের মেহেদির ছবিটি দিয়ে লিখেছিলাম আমার হাতে মেহেদি। এরপর যে এমন হয়ে যাবে, সেটা বুঝতে পারিনি। অনেকেই ফোন করে জানতে চাইছিল, আসল ব্যাপারটা কী? কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। তা ছাড়া, পরদিনই গানটা রিলিজ হওয়ার কথা। তখন এমনিতেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাই চুপ করে ছিলাম। এই ছবির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো বিষয় জড়িয়ে নেই, আমার বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা শুধু একটা গান।’
মেহেন্দি গানটি যৌথভাবে লিখেছেন বাঁধন ও জামশেদ চৌধুরী। কনার সঙ্গে এতে কণ্ঠ দিয়েছেন নিশ। গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন সনজয়। ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন চন্দন রায় চৌধুরী ও রিয়াজ আলী। মডেল হয়েছেন সুনেরাহ, মাইশা নাজিয়া, মানজিতা রায়সহ আরও কয়েকজন। ভিডিওতে দেখা গেছে কনাকেও। মেহেন্দি গানের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে কাইনেটিক মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে। প্রকাশের ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২০ লাখ ভিউ হয়েছে গানটির।
কনা জানান, গান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। গত সপ্তাহে প্রকাশ পেয়েছে কনার গাওয়া বিকেএসপির প্রথম থিম সং। এর আগে নভেম্বরে প্রকাশ পেয়েছে ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের সুরে কনার ‘ভিতর ও বাহিরে’ শিরোনামের গান। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সংগীতশিল্পী মুজার সঙ্গে একাধিক গান নিয়ে কাজ করছেন তিনি। গানগুলো ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ পাবে বলে জানান এই সংগীতশিল্পী।

৩ ও ৪ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় মেহেদিরাঙা হাতের দুটি ছবি শেয়ার করেন সংগীতশিল্পী কনা। এরপর গুঞ্জন ওঠে আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন এই শিল্পী। গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছেন কনা নিজেই। ছবি পোস্ট করলেও এ নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি তিনি। ফলে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে কনার বিয়ের গুজব। গত শুক্রবার জানা যায়, এটি আসলে একটি গানের প্রমোশন। কারণ, ওই দিন সন্ধ্যায় প্রকাশ পায় কনার নতুন গান ‘মেহেন্দি’।
মেহেদিরাঙা হাতের ছবিটি যে বিয়ের গুঞ্জন ছড়িয়েছে তা নজরে এসেছে কনার। তবে এতটা ছড়িয়ে যাবে ভাবেননি তিনি।
আজকের পত্রিকাকে কনা বলেন, ‘মেহেন্দি শিরোনামের গানের শুটিংয়ের ছবি শেয়ার করেছিলাম ফেসবুকে। আমার হাতের মেহেদির ছবিটি দিয়ে লিখেছিলাম আমার হাতে মেহেদি। এরপর যে এমন হয়ে যাবে, সেটা বুঝতে পারিনি। অনেকেই ফোন করে জানতে চাইছিল, আসল ব্যাপারটা কী? কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। তা ছাড়া, পরদিনই গানটা রিলিজ হওয়ার কথা। তখন এমনিতেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাই চুপ করে ছিলাম। এই ছবির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো বিষয় জড়িয়ে নেই, আমার বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা শুধু একটা গান।’
মেহেন্দি গানটি যৌথভাবে লিখেছেন বাঁধন ও জামশেদ চৌধুরী। কনার সঙ্গে এতে কণ্ঠ দিয়েছেন নিশ। গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন সনজয়। ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন চন্দন রায় চৌধুরী ও রিয়াজ আলী। মডেল হয়েছেন সুনেরাহ, মাইশা নাজিয়া, মানজিতা রায়সহ আরও কয়েকজন। ভিডিওতে দেখা গেছে কনাকেও। মেহেন্দি গানের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে কাইনেটিক মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে। প্রকাশের ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২০ লাখ ভিউ হয়েছে গানটির।
কনা জানান, গান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। গত সপ্তাহে প্রকাশ পেয়েছে কনার গাওয়া বিকেএসপির প্রথম থিম সং। এর আগে নভেম্বরে প্রকাশ পেয়েছে ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের সুরে কনার ‘ভিতর ও বাহিরে’ শিরোনামের গান। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সংগীতশিল্পী মুজার সঙ্গে একাধিক গান নিয়ে কাজ করছেন তিনি। গানগুলো ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ পাবে বলে জানান এই সংগীতশিল্পী।

সারাটা সন্ধ্যা প্রবীণ আঙুলগুলো খেলা করে গেল। সেই সন্ধ্যায়, ওই আঙুলের নিচে ভি বালসারার পিয়ানোটা নয়, ছিল কিবোর্ড। সারাটা সন্ধ্যা সেই কিবোর্ডে আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে কবীর সুমন কী মমতায়, কী গভীর প্রার্থনায় ও ধ্যানে, বুনে গেলেন সুর! ছড়িয়ে গেলেন মায়া ও মোহ! প্রেম ও প্রশ্রয়!
২২ অক্টোবর ২০২২
অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়ম করে লেখালেখি ও নির্দেশনার কাজ করেন অভিনেতা আবুল হায়াত। একটা সময় পর্যন্ত অভিনয়েই সময় দিয়েছেন নিয়মিত। এখন আর আগের মতো টানা অভিনয়ে সময় দিচ্ছেন না তিনি। কাজ করছেন বেছে বেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। ৯ দিনব্যাপী উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৯১টি দেশের পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলিয়ে প্রায় ২৬৭টি চলচ্চিত্র। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে হবে উৎসবটি।
২১ ঘণ্টা আগে
হলিউডে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় নেটফ্লিক্স এবং ওয়ার্নার ব্রস। সবচেয়ে বিতর্কের বিষয়ও। হলিউডের সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় স্টুডিও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিক হতে চলেছে নেটফ্লিক্স। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়ম করে লেখালেখি ও নির্দেশনার কাজ করেন অভিনেতা আবুল হায়াত। একটা সময় পর্যন্ত অভিনয়েই সময় দিয়েছেন নিয়মিত। এখন আর আগের মতো টানা অভিনয়ে সময় দিচ্ছেন না তিনি। কাজ করছেন বেছে বেছে। গল্প এবং চরিত্র ভালো লাগলে, পরিচালকের সঙ্গে আনুষঙ্গিক বিষয়ে বনিবনা হলেই অভিনয় করেন। সম্প্রতি নির্মাতা সেলিম রেজার নির্দেশনায় একটি নাটকের কাজ শেষ করেছেন। এতে তিনি অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের দাদুর চরিত্রে। আগামী দুই দিন তিনি শুটিং করবেন চয়নিকা চৌধুরীর একটি নাটকের। ১০ ডিসেম্বর শুটিং করবেন আরাফাত মোহসীন নিধির ওয়েব সিরিজ ‘আৎকা’র প্রমোশনাল ভিডিওর। অভিনয়ের পাশাপাশি আগামী ঈদের জন্য নাটক নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আবুল হায়াত। নাটকের নাম ‘সখিনা’। রাবেয়া খাতুনের গল্প অবলম্বনে সখিনার চিত্রনাট্যও রচনা করছেন তিনি।
আবুল হায়াত জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নাটকের চিত্রনাট্যের কাজ গুছিয়ে এনেছেন। এখন খুঁজছেন নাটকের নামভূমিকার অভিনেত্রীকে। গল্পটি ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন, এমন অভিনেত্রীর সন্ধান করছেন আবুল হায়াত। একই সঙ্গে সন্ধান করছেন সখিনার সহশিল্পীকেও। চলতি মাসেই সখিনা ও তার বিপরীতে অভিনয়ের জন্য শিল্পী নির্বাচন শেষ করতে চান বলে জানালেন তিনি। এরপরেই নামবেন শুটিংয়ে।
আবুল হায়াত বলেন, ‘এখন সখিনা নিয়েই আমার ভাবনা। সখিনা চরিত্রের জন্য শিল্পী খুঁজছি। যত দ্রুত সম্ভব শিল্পী নির্বাচন শেষ করে শুটিং শুরু করতে চাই। এই মাসের শেষ প্রান্তে কিংবা আগামী মাসেই নাটকটির শুটিং শেষ করতে চাই। আগামী রোজার ঈদে সখিনা নাটকটি প্রচার করার পরিকল্পনা ঈদের টিভি আয়োজনে।’
নিজের ব্যস্ততার কথা জানিয়ে আবুল হায়াত বলেন, ‘এরই মধ্যে কয়েকটি নাটক এবং ওয়েব সিরিজে কাজ করেছি। আগের মতো টানা কাজ করছি না। বেছে বেছে যে গল্প ও চরিত্রগুলো ভালো লাগছে, সেগুলোই করার চেষ্টা করি। বাকি যে সময়টুকু থাকে, বেশির ভাগই বাসায় থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পরিবারও চায় আমি যেন বাসায় থাকি, বিশ্রামে থাকি। তারপরও মন মানে না। অভিনয় না করলে কেমন অসহায় লাগে। দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন আমাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন।’

অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়ম করে লেখালেখি ও নির্দেশনার কাজ করেন অভিনেতা আবুল হায়াত। একটা সময় পর্যন্ত অভিনয়েই সময় দিয়েছেন নিয়মিত। এখন আর আগের মতো টানা অভিনয়ে সময় দিচ্ছেন না তিনি। কাজ করছেন বেছে বেছে। গল্প এবং চরিত্র ভালো লাগলে, পরিচালকের সঙ্গে আনুষঙ্গিক বিষয়ে বনিবনা হলেই অভিনয় করেন। সম্প্রতি নির্মাতা সেলিম রেজার নির্দেশনায় একটি নাটকের কাজ শেষ করেছেন। এতে তিনি অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের দাদুর চরিত্রে। আগামী দুই দিন তিনি শুটিং করবেন চয়নিকা চৌধুরীর একটি নাটকের। ১০ ডিসেম্বর শুটিং করবেন আরাফাত মোহসীন নিধির ওয়েব সিরিজ ‘আৎকা’র প্রমোশনাল ভিডিওর। অভিনয়ের পাশাপাশি আগামী ঈদের জন্য নাটক নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আবুল হায়াত। নাটকের নাম ‘সখিনা’। রাবেয়া খাতুনের গল্প অবলম্বনে সখিনার চিত্রনাট্যও রচনা করছেন তিনি।
আবুল হায়াত জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নাটকের চিত্রনাট্যের কাজ গুছিয়ে এনেছেন। এখন খুঁজছেন নাটকের নামভূমিকার অভিনেত্রীকে। গল্পটি ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন, এমন অভিনেত্রীর সন্ধান করছেন আবুল হায়াত। একই সঙ্গে সন্ধান করছেন সখিনার সহশিল্পীকেও। চলতি মাসেই সখিনা ও তার বিপরীতে অভিনয়ের জন্য শিল্পী নির্বাচন শেষ করতে চান বলে জানালেন তিনি। এরপরেই নামবেন শুটিংয়ে।
আবুল হায়াত বলেন, ‘এখন সখিনা নিয়েই আমার ভাবনা। সখিনা চরিত্রের জন্য শিল্পী খুঁজছি। যত দ্রুত সম্ভব শিল্পী নির্বাচন শেষ করে শুটিং শুরু করতে চাই। এই মাসের শেষ প্রান্তে কিংবা আগামী মাসেই নাটকটির শুটিং শেষ করতে চাই। আগামী রোজার ঈদে সখিনা নাটকটি প্রচার করার পরিকল্পনা ঈদের টিভি আয়োজনে।’
নিজের ব্যস্ততার কথা জানিয়ে আবুল হায়াত বলেন, ‘এরই মধ্যে কয়েকটি নাটক এবং ওয়েব সিরিজে কাজ করেছি। আগের মতো টানা কাজ করছি না। বেছে বেছে যে গল্প ও চরিত্রগুলো ভালো লাগছে, সেগুলোই করার চেষ্টা করি। বাকি যে সময়টুকু থাকে, বেশির ভাগই বাসায় থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পরিবারও চায় আমি যেন বাসায় থাকি, বিশ্রামে থাকি। তারপরও মন মানে না। অভিনয় না করলে কেমন অসহায় লাগে। দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন আমাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন।’

সারাটা সন্ধ্যা প্রবীণ আঙুলগুলো খেলা করে গেল। সেই সন্ধ্যায়, ওই আঙুলের নিচে ভি বালসারার পিয়ানোটা নয়, ছিল কিবোর্ড। সারাটা সন্ধ্যা সেই কিবোর্ডে আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে কবীর সুমন কী মমতায়, কী গভীর প্রার্থনায় ও ধ্যানে, বুনে গেলেন সুর! ছড়িয়ে গেলেন মায়া ও মোহ! প্রেম ও প্রশ্রয়!
২২ অক্টোবর ২০২২
৩ ও ৪ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় মেহেদিরাঙা হাতের দুটি ছবি শেয়ার করেন সংগীতশিল্পী কনা। এরপর গুঞ্জন ওঠে আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন এই শিল্পী। গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছেন কনা নিজেই। ছবি পোস্ট করলেও এ নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে
আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। ৯ দিনব্যাপী উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৯১টি দেশের পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলিয়ে প্রায় ২৬৭টি চলচ্চিত্র। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে হবে উৎসবটি।
২১ ঘণ্টা আগে
হলিউডে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় নেটফ্লিক্স এবং ওয়ার্নার ব্রস। সবচেয়ে বিতর্কের বিষয়ও। হলিউডের সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় স্টুডিও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিক হতে চলেছে নেটফ্লিক্স। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। ৯ দিনব্যাপী উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৯১টি দেশের পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলিয়ে প্রায় ২৬৭টি চলচ্চিত্র। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে হবে উৎসবটি। এখন প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকেরা। গতকাল ঘোষণা করা হলো দুটি বিভাগের জুরিবোর্ডের সদস্যদের নাম। বিচারকের তালিকায় আছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি।
আফসানা মিমি দায়িত্ব পালন করবেন ওমেন ফিল্মমেকার বিভাগে। যেখানে শুধু নারী নির্মাতাদের নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এই বিভাগে সেরা পরিচালক, সেরা ডকুমেন্টারি ও সেরা ফিকশন নির্বাচিত হয় নারী নির্মাতা, শিল্পী ও সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত স্বাধীন জুরিবোর্ডের মাধ্যমে। মিমি ছাড়া এই বিভাগের জুরিবোর্ডে আছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্রোয়েশীয় ডকুমেন্টারি নির্মাতা ও শিক্ষাবিদ আলেকজান্দ্রা মার্কোভিচ, ইরানি-অস্ট্রেলীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট রোনাক তাহের, ফিলিপাইনের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেত্রী জেরাল্ডিন ভিলামিল এবং প্যারিসভিত্তিক মার্কিন শিক্ষক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ম্যারিয়ন স্ট্যান্ডেফার।
উৎসবে আরও থাকছে চলচ্চিত্রে নারীর ভূমিকাবিষয়ক ‘টুয়েলভথ আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস কনফারেন্স’। ১১ ও ১২ জানুয়ারি ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারী নির্মাতা ও গবেষকেরা অংশ নেবেন।
ওমেন ফিল্মমেকার ছাড়া ঘোষণা করা হয়েছে স্পিরিচুয়াল ফিল্মস বিভাগের জুরিদের নাম। এই বিভাগের দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশের লেখক ও প্রযোজক তানভীর হোসেন, সুইজারল্যান্ডের প্রজেক্ট ম্যানেজার তেরেসা ভিনা, ব্রাজিলের অডিওভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট ও ফটোগ্রাফার মিলিনা কোয়ারজ, জার্মানির নির্মাতা দারিয়া সিলফস্টিন এবং ইরানের প্রযোজক এহসান কাভেহ।
ওমেন ফিল্মমেকার ও স্পিরিচুয়াল ফিল্মসসহ এবারও মোট ১০টি বিভাগ থাকছে ঢাকা উৎসবে। অন্য বিভাগগুলো হলো বাংলাদেশ প্যানোরামা, এশিয়ান সিনেমা সেকশন, রেট্রোস্পেক্টিভ, ট্রিবিউট, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন ফিল্মস ও শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মস। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে দেখানো হবে সিনেমাগুলো।

আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। ৯ দিনব্যাপী উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৯১টি দেশের পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলিয়ে প্রায় ২৬৭টি চলচ্চিত্র। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে হবে উৎসবটি। এখন প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকেরা। গতকাল ঘোষণা করা হলো দুটি বিভাগের জুরিবোর্ডের সদস্যদের নাম। বিচারকের তালিকায় আছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি।
আফসানা মিমি দায়িত্ব পালন করবেন ওমেন ফিল্মমেকার বিভাগে। যেখানে শুধু নারী নির্মাতাদের নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এই বিভাগে সেরা পরিচালক, সেরা ডকুমেন্টারি ও সেরা ফিকশন নির্বাচিত হয় নারী নির্মাতা, শিল্পী ও সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত স্বাধীন জুরিবোর্ডের মাধ্যমে। মিমি ছাড়া এই বিভাগের জুরিবোর্ডে আছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্রোয়েশীয় ডকুমেন্টারি নির্মাতা ও শিক্ষাবিদ আলেকজান্দ্রা মার্কোভিচ, ইরানি-অস্ট্রেলীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট রোনাক তাহের, ফিলিপাইনের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেত্রী জেরাল্ডিন ভিলামিল এবং প্যারিসভিত্তিক মার্কিন শিক্ষক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ম্যারিয়ন স্ট্যান্ডেফার।
উৎসবে আরও থাকছে চলচ্চিত্রে নারীর ভূমিকাবিষয়ক ‘টুয়েলভথ আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস কনফারেন্স’। ১১ ও ১২ জানুয়ারি ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারী নির্মাতা ও গবেষকেরা অংশ নেবেন।
ওমেন ফিল্মমেকার ছাড়া ঘোষণা করা হয়েছে স্পিরিচুয়াল ফিল্মস বিভাগের জুরিদের নাম। এই বিভাগের দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশের লেখক ও প্রযোজক তানভীর হোসেন, সুইজারল্যান্ডের প্রজেক্ট ম্যানেজার তেরেসা ভিনা, ব্রাজিলের অডিওভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট ও ফটোগ্রাফার মিলিনা কোয়ারজ, জার্মানির নির্মাতা দারিয়া সিলফস্টিন এবং ইরানের প্রযোজক এহসান কাভেহ।
ওমেন ফিল্মমেকার ও স্পিরিচুয়াল ফিল্মসসহ এবারও মোট ১০টি বিভাগ থাকছে ঢাকা উৎসবে। অন্য বিভাগগুলো হলো বাংলাদেশ প্যানোরামা, এশিয়ান সিনেমা সেকশন, রেট্রোস্পেক্টিভ, ট্রিবিউট, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন ফিল্মস ও শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মস। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে দেখানো হবে সিনেমাগুলো।

সারাটা সন্ধ্যা প্রবীণ আঙুলগুলো খেলা করে গেল। সেই সন্ধ্যায়, ওই আঙুলের নিচে ভি বালসারার পিয়ানোটা নয়, ছিল কিবোর্ড। সারাটা সন্ধ্যা সেই কিবোর্ডে আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে কবীর সুমন কী মমতায়, কী গভীর প্রার্থনায় ও ধ্যানে, বুনে গেলেন সুর! ছড়িয়ে গেলেন মায়া ও মোহ! প্রেম ও প্রশ্রয়!
২২ অক্টোবর ২০২২
৩ ও ৪ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় মেহেদিরাঙা হাতের দুটি ছবি শেয়ার করেন সংগীতশিল্পী কনা। এরপর গুঞ্জন ওঠে আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন এই শিল্পী। গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছেন কনা নিজেই। ছবি পোস্ট করলেও এ নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়ম করে লেখালেখি ও নির্দেশনার কাজ করেন অভিনেতা আবুল হায়াত। একটা সময় পর্যন্ত অভিনয়েই সময় দিয়েছেন নিয়মিত। এখন আর আগের মতো টানা অভিনয়ে সময় দিচ্ছেন না তিনি। কাজ করছেন বেছে বেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
হলিউডে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় নেটফ্লিক্স এবং ওয়ার্নার ব্রস। সবচেয়ে বিতর্কের বিষয়ও। হলিউডের সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় স্টুডিও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিক হতে চলেছে নেটফ্লিক্স। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

হলিউডে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় নেটফ্লিক্স এবং ওয়ার্নার ব্রস। সবচেয়ে বিতর্কের বিষয়ও। হলিউডের সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় স্টুডিও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিক হতে চলেছে নেটফ্লিক্স। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে নেটফ্লিক্স। এর মাধ্যমে এইচবিও এবং এইচবিও ম্যাক্সের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মও নেটফ্লিক্সের কবজায় চলে যাবে। স্ট্রিমিংয়ের দুনিয়ায় এখনই নেটফ্লিক্স সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে হলিউডে ক্ষমতার ভারসাম্য আরও বেশি ঝুঁকে পড়বে এ প্ল্যাটফর্মের দিকে।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী বছর থেকে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যাবে এই সংস্থা। ওয়ার্নারের একটি ভাগ অধিগ্রহণ করবে নেটফ্লিক্স। অন্য ভাগটি অর্থাৎ ডিসকভারি গ্লোবালের অধীনে থাকবে সিএনএনসহ অন্যান্য চ্যানেল।
বিনোদন দুনিয়ায় এটি নিঃসন্দেহে বড় হাতবদলের ঘটনা। এতে সিনেমা ও টেলিভিশনের জগতে যে বিরাট পরিবর্তন আসবে, তা বলাই বাহুল্য। তবে বিষয়টিকে উদ্বেগের চোখেই দেখছেন হলিউডের নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী, প্রযোজক ও হলমালিকেরা। রাজনীতির অঙ্গনেও জোর চর্চা চলছে।
হলমালিক, নির্মাতা, প্রযোজক ও শিল্পীদের উদ্বেগ
এই চুক্তির খবর প্রকাশ্যে আসার আগেই গত সপ্তাহে নির্মাতা জেমস ক্যামেরন বলেছিলেন, ‘এটি বিপর্যয় সৃষ্টি করবে’। সেই উদ্বেগ ধ্বনিত হলো হলমালিক, নির্মাতা, প্রযোজক ও শিল্পীদের প্রতিক্রিয়ায়। এমনিতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বাড়বাড়ন্তে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা হলের ব্যবসা। তার ওপর ওয়ার্নার ব্রসের মতো বড় স্টুডিও নেটফ্লিক্সের কবজায় চলে গেলে তা মোটেই ভালো হবে না সিনেমা হলের জন্য।
হলের মালিকেরা এই চুক্তিকে তাঁদের ব্যবসার ওপর বড় আঘাত হিসেবেই দেখছেন। ফেডারেল সরকারের প্রতি তাঁরা আহ্বান জানাচ্ছেন, যেন এই চুক্তি বাতিল করা হয়। ওয়ার্নার ব্রস থেকে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৪টি সিনেমা মুক্তি পায় প্রেক্ষাগৃহে। নেটফ্লিক্স এই প্রতিষ্ঠান কিনে নিলে তখন ওয়ার্নার ব্রসের সিনেমাগুলো সরাসরি মুক্তি পাবে নেটফ্লিক্সে, এতে প্রেক্ষাগৃহে ভালো সিনেমার সংকট দেখা দেবে।
হলিউডের প্রযোজকদের সংগঠন প্রোডিউসারস গিল্ড অব আমেরিকা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রযোজকেরা এই চুক্তি সম্পর্কে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। আমাদের ঐতিহ্যবাহী স্টুডিওগুলো শুধু কনটেন্টের লাইব্রেরি নয়। বরং প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ধরন ও সংস্কৃতি রয়েছে।’ অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন এসএজি-আফট্রার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিনোদনশিল্পের ভবিষ্যৎ যেদিকে যাচ্ছে, তাতে অনেক গুরুতর প্রশ্ন উঠবে। বিশেষ করে যাদের ক্যারিয়ার এর ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য হুমকি। ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকাও বিবৃতি প্রকাশ করে উদ্বেগ জানিয়েছে। শিগগিরই নেটফ্লিক্সের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন নির্মাতারা।
চুক্তি বাতিল চান লেখকেরা
নেটফ্লিক্স দাবি করেছে, এই চুক্তি শ্রমিকবান্ধব হবে। তবে ভিন্নমত হলিউডের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের। নেটফ্লিক্স-ওয়ার্নার ব্রসের একীভূতকরণের এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা। ২০ হাজারের বেশি লেখক-চিত্রনাট্যকার রয়েছেন এই সংগঠনে। তাঁদের দাবি, যেকোনো মূল্যে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম স্ট্রিমিং কোম্পানি এখন একে একে তার প্রতিযোগীদের গিলে ফেলছে। এর ফলে কাজের সুযোগ কমে যাবে, মজুরি কমবে, বিনোদনকর্মীদের অবস্থা আরও খারাপ হবে, প্রতিযোগিতা কমবে, কনটেন্টের মান ও বৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গ্রাহকেরাও উচ্চ মূল্যে সাবস্ক্রিপশন কিনতে বাধ্য হবে।
উত্তাপ রাজনীতির অঙ্গনে
বিষয়টি নিয়ে শুধু বিনোদন অঙ্গনে নয়, যথেষ্ট উত্তাপ ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনেও। ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন এই চুক্তিকে ‘দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনিসহ অনেক রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতার উদ্বেগ, ওয়ার্নার ব্রস কবজায় চলে গেলে আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে নেটফ্লিক্স। বাজারে তাদের একচেটিয়া প্রভাব তৈরি হবে।
সব মিলিয়ে নেটফ্লিক্সের এই চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন মিলবে কি না। ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনপ্রণেতারা ইতিমধ্যেই এই চুক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকেরা এখনো কোনো মন্তব্য না করলেও সিএনবিসিকে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটিকে ‘গভীর সন্দেহের চোখে’ দেখছেন। ফলে এই চুক্তি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়নের মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন থাকছে। নেটফ্লিক্সের সহপ্রধান নির্বাহী সারান্ডোস অবশ্য বিশ্বাস করেন, তাঁরা অনুমোদন পাবেন।

হলিউডে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় নেটফ্লিক্স এবং ওয়ার্নার ব্রস। সবচেয়ে বিতর্কের বিষয়ও। হলিউডের সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় স্টুডিও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিক হতে চলেছে নেটফ্লিক্স। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে নেটফ্লিক্স। এর মাধ্যমে এইচবিও এবং এইচবিও ম্যাক্সের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মও নেটফ্লিক্সের কবজায় চলে যাবে। স্ট্রিমিংয়ের দুনিয়ায় এখনই নেটফ্লিক্স সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে হলিউডে ক্ষমতার ভারসাম্য আরও বেশি ঝুঁকে পড়বে এ প্ল্যাটফর্মের দিকে।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী বছর থেকে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যাবে এই সংস্থা। ওয়ার্নারের একটি ভাগ অধিগ্রহণ করবে নেটফ্লিক্স। অন্য ভাগটি অর্থাৎ ডিসকভারি গ্লোবালের অধীনে থাকবে সিএনএনসহ অন্যান্য চ্যানেল।
বিনোদন দুনিয়ায় এটি নিঃসন্দেহে বড় হাতবদলের ঘটনা। এতে সিনেমা ও টেলিভিশনের জগতে যে বিরাট পরিবর্তন আসবে, তা বলাই বাহুল্য। তবে বিষয়টিকে উদ্বেগের চোখেই দেখছেন হলিউডের নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী, প্রযোজক ও হলমালিকেরা। রাজনীতির অঙ্গনেও জোর চর্চা চলছে।
হলমালিক, নির্মাতা, প্রযোজক ও শিল্পীদের উদ্বেগ
এই চুক্তির খবর প্রকাশ্যে আসার আগেই গত সপ্তাহে নির্মাতা জেমস ক্যামেরন বলেছিলেন, ‘এটি বিপর্যয় সৃষ্টি করবে’। সেই উদ্বেগ ধ্বনিত হলো হলমালিক, নির্মাতা, প্রযোজক ও শিল্পীদের প্রতিক্রিয়ায়। এমনিতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বাড়বাড়ন্তে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা হলের ব্যবসা। তার ওপর ওয়ার্নার ব্রসের মতো বড় স্টুডিও নেটফ্লিক্সের কবজায় চলে গেলে তা মোটেই ভালো হবে না সিনেমা হলের জন্য।
হলের মালিকেরা এই চুক্তিকে তাঁদের ব্যবসার ওপর বড় আঘাত হিসেবেই দেখছেন। ফেডারেল সরকারের প্রতি তাঁরা আহ্বান জানাচ্ছেন, যেন এই চুক্তি বাতিল করা হয়। ওয়ার্নার ব্রস থেকে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৪টি সিনেমা মুক্তি পায় প্রেক্ষাগৃহে। নেটফ্লিক্স এই প্রতিষ্ঠান কিনে নিলে তখন ওয়ার্নার ব্রসের সিনেমাগুলো সরাসরি মুক্তি পাবে নেটফ্লিক্সে, এতে প্রেক্ষাগৃহে ভালো সিনেমার সংকট দেখা দেবে।
হলিউডের প্রযোজকদের সংগঠন প্রোডিউসারস গিল্ড অব আমেরিকা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রযোজকেরা এই চুক্তি সম্পর্কে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। আমাদের ঐতিহ্যবাহী স্টুডিওগুলো শুধু কনটেন্টের লাইব্রেরি নয়। বরং প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ধরন ও সংস্কৃতি রয়েছে।’ অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন এসএজি-আফট্রার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিনোদনশিল্পের ভবিষ্যৎ যেদিকে যাচ্ছে, তাতে অনেক গুরুতর প্রশ্ন উঠবে। বিশেষ করে যাদের ক্যারিয়ার এর ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য হুমকি। ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকাও বিবৃতি প্রকাশ করে উদ্বেগ জানিয়েছে। শিগগিরই নেটফ্লিক্সের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন নির্মাতারা।
চুক্তি বাতিল চান লেখকেরা
নেটফ্লিক্স দাবি করেছে, এই চুক্তি শ্রমিকবান্ধব হবে। তবে ভিন্নমত হলিউডের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের। নেটফ্লিক্স-ওয়ার্নার ব্রসের একীভূতকরণের এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা। ২০ হাজারের বেশি লেখক-চিত্রনাট্যকার রয়েছেন এই সংগঠনে। তাঁদের দাবি, যেকোনো মূল্যে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম স্ট্রিমিং কোম্পানি এখন একে একে তার প্রতিযোগীদের গিলে ফেলছে। এর ফলে কাজের সুযোগ কমে যাবে, মজুরি কমবে, বিনোদনকর্মীদের অবস্থা আরও খারাপ হবে, প্রতিযোগিতা কমবে, কনটেন্টের মান ও বৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গ্রাহকেরাও উচ্চ মূল্যে সাবস্ক্রিপশন কিনতে বাধ্য হবে।
উত্তাপ রাজনীতির অঙ্গনে
বিষয়টি নিয়ে শুধু বিনোদন অঙ্গনে নয়, যথেষ্ট উত্তাপ ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনেও। ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন এই চুক্তিকে ‘দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনিসহ অনেক রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতার উদ্বেগ, ওয়ার্নার ব্রস কবজায় চলে গেলে আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে নেটফ্লিক্স। বাজারে তাদের একচেটিয়া প্রভাব তৈরি হবে।
সব মিলিয়ে নেটফ্লিক্সের এই চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন মিলবে কি না। ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনপ্রণেতারা ইতিমধ্যেই এই চুক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকেরা এখনো কোনো মন্তব্য না করলেও সিএনবিসিকে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটিকে ‘গভীর সন্দেহের চোখে’ দেখছেন। ফলে এই চুক্তি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়নের মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন থাকছে। নেটফ্লিক্সের সহপ্রধান নির্বাহী সারান্ডোস অবশ্য বিশ্বাস করেন, তাঁরা অনুমোদন পাবেন।

সারাটা সন্ধ্যা প্রবীণ আঙুলগুলো খেলা করে গেল। সেই সন্ধ্যায়, ওই আঙুলের নিচে ভি বালসারার পিয়ানোটা নয়, ছিল কিবোর্ড। সারাটা সন্ধ্যা সেই কিবোর্ডে আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে কবীর সুমন কী মমতায়, কী গভীর প্রার্থনায় ও ধ্যানে, বুনে গেলেন সুর! ছড়িয়ে গেলেন মায়া ও মোহ! প্রেম ও প্রশ্রয়!
২২ অক্টোবর ২০২২
৩ ও ৪ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় মেহেদিরাঙা হাতের দুটি ছবি শেয়ার করেন সংগীতশিল্পী কনা। এরপর গুঞ্জন ওঠে আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন এই শিল্পী। গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছেন কনা নিজেই। ছবি পোস্ট করলেও এ নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়ম করে লেখালেখি ও নির্দেশনার কাজ করেন অভিনেতা আবুল হায়াত। একটা সময় পর্যন্ত অভিনয়েই সময় দিয়েছেন নিয়মিত। এখন আর আগের মতো টানা অভিনয়ে সময় দিচ্ছেন না তিনি। কাজ করছেন বেছে বেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। ৯ দিনব্যাপী উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৯১টি দেশের পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলিয়ে প্রায় ২৬৭টি চলচ্চিত্র। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে হবে উৎসবটি।
২১ ঘণ্টা আগে