
কয়েক বছর ধরেই তীব্র দাবদাহ, আকস্মিক বন্যা, খরা, দাবানলের মতো চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একই সঙ্গে নেমে এসেছে বন্যা, খরা, দাবদাহ ও দাবানলের মতো নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আর গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৫ লাখ মানুষ। দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে। ভারতেও কয়েকটি রাজ্য বন্যায় বিপর্যস্ত। অন্যদিকে কয়েক মাস দিনের বেশির ভাগ সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলেছে দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে।
চীন গত ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়েছে সম্প্রতি। গ্রীষ্মের অস্বাভাবিক তীব্র তাপপ্রবাহে আগস্টে দেশটির অনেক নদী শুকিয়ে গেছে এবং শস্যখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মাসে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে যে তীব্র দাবদাহ বয়ে গেছে, তাতে বিশেষজ্ঞরা একে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবদাহ বলে মন্তব্য করেছেন। সিচুয়ান প্রদেশ ও চংকিং শহরে কয়েক দিন ধরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা ছিল।
ইউরোপেও দেখা দিয়েছে তীব্র দাবদাহ। এবারের দাবদাহে সব ধরনের রেকর্ড ভেঙেছে। স্মরণকালের ইতিহাসে ইউরোপে এবারের গ্রীষ্মকাল ছিল উষ্ণতম। এ ছাড়া ইউরোপে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ খরা দেখা গেছে এবার। ইউরোপীয় কমিশনের কৃত্রিম উপগ্রহ পর্যবেক্ষক কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (সিথ্রিএস) তথ্য অনুসারে, ইউরোপের তাপমাত্রা গত আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড পার হয়ে যায়। এ ছাড়া জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত পুরো গ্রীষ্মকালেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চলতি বছরের প্রথম দিকে, অস্ট্রেলিয়ায় নজিরবিহীন বৃষ্টি হয়েছে এবং গরমেও হাঁসফাঁস অবস্থা হয় সেখানকার মানুষের। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্তে বন্যা, তো আরেক প্রান্তে চলছে খরা। গত মে মাসে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। গ্রীষ্মের মধ্যে পূর্ব আফ্রিকা চতুর্থ বছরের মতো খরার কবলে পড়ে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কোনো একক আবহাওয়াজনিত ঘটনাকে দায়ী করা মুশকিল। লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের জলবায়ু বিজ্ঞানী ক্যারোলিন ওয়েনরাইট বলছেন, ‘একাধিক ঘটনার প্রতিটিই জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তনশীলতার সংমিশ্রণ’।
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে শক্তিশালী উৎসগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘এল নিনো-সাউদার্ন অসিলেশন (এনসো)’। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলে ঘটে যাওয়া ‘এনসো’ প্রক্রিয়ার দুটি বিপরীত অবস্থা হলো এল নিনো ও লা নিনা। লা নিনা দিয়ে ‘এনসো’ অন্তর্ভুক্ত শীতল অবস্থা এবং এল নিনো দিয়ে উষ্ণ অবস্থা বোঝানো হয়। এল নিনো উত্তর থেকে দক্ষিণে, আর লা নিনা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হওয়া উষ্ণ ও শীতল স্রোত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনো প্রক্রিয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত বাতাস একই দিকে উষ্ণ জলের কাছাকাছি ঠেলে দেয়। যখন বাতাস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দুর্বলভাবে প্রবাহিত হয়, তখন উষ্ণ জল মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে থেকে যায়, ফলে বিশ্বের সেই অংশে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এল নিনো বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
আর যখন বাতাস প্রবলভাবে প্রবাহিত হয়, তখন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ জল জমে থাকে, যার ফলে সেখানে বেশি বৃষ্টিপাত হয় এবং দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলের গভীরতা থেকে আরও ঠান্ডা জল উঠে আসে। এটি লা নিনা নামে পরিচিত। এমন একটি অবস্থা দুই বছর ধরে বিশ্বজুড়ে বিরাজ করছে। লা নিনার প্রভাব পড়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে চিলি, মধ্যপ্রাচ্য এবং পূর্ব আফ্রিকার খরা, পশ্চিম আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাত।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিষয়টি আরও পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ বছরের শুরুতে হিমালয়ে উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে হিমবাহ গলে যাওয়ার ফলে নদীগুলোতে পানির প্রবাহ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া বায়ুদূষণ, যা বায়ু সঞ্চালনের ধরনকে জটিল করে তোলে—তারও ভূমিকা থাকতে পারে।
এই বছরের লা নিনার কারণে উচ্চ তাপমাত্রা, বন্যা এবং তীব্র খরা আরও বাড়তে পারে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের জলবায়ু কেন্দ্রের পরিচালক মার্টেন ভ্যান অ্যালস্ট বলেছেন, ‘আমরা এটির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছি না এবং আরও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।’
ঐতিহাসিকভাবে দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ধনী দেশগুলো। যদিও দায়িত্বের প্রশ্নে সবাই সমান। এ বছরের চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলো মিসরে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ ২৭’-এর জন্য একটি বিশেষ পটভূমি তৈরি করেছে। এসব দুর্যোগের দায়ভার কে বহন করবে, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ব্যয় কে বহন করবে, তা নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আলোচনা দরকার।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শিল্পবিপ্লব শুরুর আগে বিশ্বের যে তাপমাত্রা ছিল, তার থেকে বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা গেলে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো যাবে। আবার অনেক বিজ্ঞানীর আশঙ্কা, ভয়ংকর এই পরিণতি ঠেকানোর আর কোনো উপায়ই অবশিষ্ট নেই।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ইকোনমিস্ট, ডয়চে ভেলে, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট

কয়েক বছর ধরেই তীব্র দাবদাহ, আকস্মিক বন্যা, খরা, দাবানলের মতো চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একই সঙ্গে নেমে এসেছে বন্যা, খরা, দাবদাহ ও দাবানলের মতো নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আর গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৫ লাখ মানুষ। দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে। ভারতেও কয়েকটি রাজ্য বন্যায় বিপর্যস্ত। অন্যদিকে কয়েক মাস দিনের বেশির ভাগ সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলেছে দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে।
চীন গত ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়েছে সম্প্রতি। গ্রীষ্মের অস্বাভাবিক তীব্র তাপপ্রবাহে আগস্টে দেশটির অনেক নদী শুকিয়ে গেছে এবং শস্যখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মাসে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে যে তীব্র দাবদাহ বয়ে গেছে, তাতে বিশেষজ্ঞরা একে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবদাহ বলে মন্তব্য করেছেন। সিচুয়ান প্রদেশ ও চংকিং শহরে কয়েক দিন ধরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা ছিল।
ইউরোপেও দেখা দিয়েছে তীব্র দাবদাহ। এবারের দাবদাহে সব ধরনের রেকর্ড ভেঙেছে। স্মরণকালের ইতিহাসে ইউরোপে এবারের গ্রীষ্মকাল ছিল উষ্ণতম। এ ছাড়া ইউরোপে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ খরা দেখা গেছে এবার। ইউরোপীয় কমিশনের কৃত্রিম উপগ্রহ পর্যবেক্ষক কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (সিথ্রিএস) তথ্য অনুসারে, ইউরোপের তাপমাত্রা গত আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড পার হয়ে যায়। এ ছাড়া জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত পুরো গ্রীষ্মকালেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চলতি বছরের প্রথম দিকে, অস্ট্রেলিয়ায় নজিরবিহীন বৃষ্টি হয়েছে এবং গরমেও হাঁসফাঁস অবস্থা হয় সেখানকার মানুষের। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্তে বন্যা, তো আরেক প্রান্তে চলছে খরা। গত মে মাসে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। গ্রীষ্মের মধ্যে পূর্ব আফ্রিকা চতুর্থ বছরের মতো খরার কবলে পড়ে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কোনো একক আবহাওয়াজনিত ঘটনাকে দায়ী করা মুশকিল। লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের জলবায়ু বিজ্ঞানী ক্যারোলিন ওয়েনরাইট বলছেন, ‘একাধিক ঘটনার প্রতিটিই জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তনশীলতার সংমিশ্রণ’।
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে শক্তিশালী উৎসগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘এল নিনো-সাউদার্ন অসিলেশন (এনসো)’। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলে ঘটে যাওয়া ‘এনসো’ প্রক্রিয়ার দুটি বিপরীত অবস্থা হলো এল নিনো ও লা নিনা। লা নিনা দিয়ে ‘এনসো’ অন্তর্ভুক্ত শীতল অবস্থা এবং এল নিনো দিয়ে উষ্ণ অবস্থা বোঝানো হয়। এল নিনো উত্তর থেকে দক্ষিণে, আর লা নিনা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হওয়া উষ্ণ ও শীতল স্রোত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনো প্রক্রিয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত বাতাস একই দিকে উষ্ণ জলের কাছাকাছি ঠেলে দেয়। যখন বাতাস স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দুর্বলভাবে প্রবাহিত হয়, তখন উষ্ণ জল মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে থেকে যায়, ফলে বিশ্বের সেই অংশে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এল নিনো বন্যা, খরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
আর যখন বাতাস প্রবলভাবে প্রবাহিত হয়, তখন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ জল জমে থাকে, যার ফলে সেখানে বেশি বৃষ্টিপাত হয় এবং দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলের গভীরতা থেকে আরও ঠান্ডা জল উঠে আসে। এটি লা নিনা নামে পরিচিত। এমন একটি অবস্থা দুই বছর ধরে বিশ্বজুড়ে বিরাজ করছে। লা নিনার প্রভাব পড়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে চিলি, মধ্যপ্রাচ্য এবং পূর্ব আফ্রিকার খরা, পশ্চিম আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাত।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিষয়টি আরও পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ বছরের শুরুতে হিমালয়ে উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে হিমবাহ গলে যাওয়ার ফলে নদীগুলোতে পানির প্রবাহ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া বায়ুদূষণ, যা বায়ু সঞ্চালনের ধরনকে জটিল করে তোলে—তারও ভূমিকা থাকতে পারে।
এই বছরের লা নিনার কারণে উচ্চ তাপমাত্রা, বন্যা এবং তীব্র খরা আরও বাড়তে পারে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের জলবায়ু কেন্দ্রের পরিচালক মার্টেন ভ্যান অ্যালস্ট বলেছেন, ‘আমরা এটির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছি না এবং আরও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।’
ঐতিহাসিকভাবে দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ধনী দেশগুলো। যদিও দায়িত্বের প্রশ্নে সবাই সমান। এ বছরের চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলো মিসরে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ ২৭’-এর জন্য একটি বিশেষ পটভূমি তৈরি করেছে। এসব দুর্যোগের দায়ভার কে বহন করবে, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ব্যয় কে বহন করবে, তা নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আলোচনা দরকার।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শিল্পবিপ্লব শুরুর আগে বিশ্বের যে তাপমাত্রা ছিল, তার থেকে বৃদ্ধির মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা গেলে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো যাবে। আবার অনেক বিজ্ঞানীর আশঙ্কা, ভয়ংকর এই পরিণতি ঠেকানোর আর কোনো উপায়ই অবশিষ্ট নেই।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ইকোনমিস্ট, ডয়চে ভেলে, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২ দিন আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাপমাত্রা খুব বেশি কমলেও আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। পাশাপাশি বইছিল হালকা হিমেল বাতাস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৭ মিনিটে।

তাপমাত্রা খুব বেশি কমলেও আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। পাশাপাশি বইছিল হালকা হিমেল বাতাস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৭ মিনিটে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আর গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৫ লাখ মানুষ। দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে। ভারতেও কয়েকটি রাজ্য বন্যায় বিপর্যস্ত। অপরদিকে...
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২ দিন আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২০২, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা কাবুলের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪৯৫, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো ভারতের দিল্লি (৩৯৩), বাহরাইনের মানামা (২৬৪), ভারতের কলকাতা (২২৬) ও পাকিস্তানের করাচি (২০৩)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— দক্ষিণ পল্লবী, কল্যাণপুর, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গোড়ান, শান্তা ফোরাম, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২০২, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা কাবুলের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪৯৫, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো ভারতের দিল্লি (৩৯৩), বাহরাইনের মানামা (২৬৪), ভারতের কলকাতা (২২৬) ও পাকিস্তানের করাচি (২০৩)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— দক্ষিণ পল্লবী, কল্যাণপুর, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গোড়ান, শান্তা ফোরাম, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আর গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৫ লাখ মানুষ। দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে। ভারতেও কয়েকটি রাজ্য বন্যায় বিপর্যস্ত। অপরদিকে...
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশে কিছুটা মেঘের আনাগোনা দেখা যেতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এ ছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশে কিছুটা মেঘের আনাগোনা দেখা যেতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এ ছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আর গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৫ লাখ মানুষ। দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে। ভারতেও কয়েকটি রাজ্য বন্যায় বিপর্যস্ত। অপরদিকে...
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আর গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৫ লাখ মানুষ। দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে। ভারতেও কয়েকটি রাজ্য বন্যায় বিপর্যস্ত। অপরদিকে...
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২ দিন আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগে