গৌতম রায়

আরএসএসের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারার অবলুপ্তি ঘটিয়ে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার সমাপ্তি ঘটায়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জিতে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় সংবিধানকে ধ্বংস করাটাই যে এখন আরএসএস-বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য, আর সেই লক্ষ্যপূরণের ভেতর দিয়েই ভারতকে ‘রাজনৈতিক হিন্দু রাষ্ট্র’-তে পরিণত করে সংখ্যাগুরুর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার দিকে যাচ্ছে, যা তাদের কাজ দেখে ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
ভারতীয় সংসদের নির্মীয়মাণ ভবনের ছাদে একটি বৃহদাকার অশোক স্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে। সে উপলক্ষে প্রচলিত হিন্দু আচার অনুযায়ী পুরোহিতদের দ্বারা পূজাপাঠের সঙ্গে ধর্মীয় রীতিতে অশোক স্তম্ভের অর্চনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ড এটাই পরিষ্কার করে দিল, পরবর্তী লোকসভার ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গঠন করলে ভারতের বুকে ঠিক কী কী ঘটতে চলেছে।
ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার ঘটিয়ে হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির বিবর্তিত সংস্করণ সংখ্যাগুরু আধিপত্যবাদীরা কয়েক বছর ধরে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবেই ভারতের মতো সার্বিক বৈচিত্র্যময় দেশে ধর্মনিষ্ঠার সংজ্ঞাকে বদলে দিয়েছে। ভারতের জাতীয় আন্দোলনের কালে সাম্প্রদায়িকতাকে ভিত্তি করে ব্রিটিশের দক্ষিণ এশিয়ার বাজার অক্ষুণ্ন রাখতে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সাম্প্রদায়িক শক্তিই নিজেদের উদীয়মান বুর্জোয়া আর অভিজাত উচ্চমধ্যবিত্তদের স্বার্থে যখন দেশভাগ করেছিল, তখনো কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মনিষ্ঠা এক বন্ধনীভুক্ত কোনো বিষয় ছিল না। আরএসএস ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতা করায়ত্ত করতে স্বাধীনতার পর থেকেই সাম্প্রদায়িকতাকে মূল ভিত্তি করে এগিয়ে চলছে। অর্থনীতিকে নিজেদের তাঁবে আনতে দেশের সামন্ততান্ত্রিক ভূমিব্যবস্থা এবং নবোত্থিত বুর্জোয়া ও উচ্চমধ্যবিত্তকে কবজা করার চেষ্টা করে চলেছে। বামপন্থীরা এই হিন্দু সাম্প্রদায়িক শিবিরকে মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া সমাজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। এ ক্ষেত্রে বলতে হয়, ঔপনিবেশিক যুগের সাম্প্রদায়িকতাকে স্বাধীনতার পর ধর্মের আড়ম্বরের সঙ্গে মিশিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের যে রাস্তা আরএসএস-হিন্দু মহাসভা, জনসংঘ নিয়েছিল, যার ফসল এখন তুলছে বিজেপি, সেসব সম্পর্কে বামপন্থীদের বাস্তব ধারণা অনেক কম ছিল।
১৯৪৭ সালের আগে সাম্প্রদায়িকতা অপর ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষদের ক্ষতিসাধনে সম্প্রদায়ভিত্তিক বিদ্বেষকেই সব থেকে বেশি কাজে লাগাত। স্বাধীনতার আগে সাভারকর, হেডগেওয়ার, গোলওয়ালকর, শ্যামাপ্রসাদ, দীনদয়াল, এন সি চ্যাটার্জি, বলরাজ মাধোক প্রমুখকে অপর সম্প্রদায় সম্পর্কে ঘৃণা, বৈরিতা, বিদ্বেষ ছড়াতে যত সক্রিয় দেখা যেত, তার ভগ্নাংশ সময়ও তাদের ধর্মাচরণের জন্য ব্যয় করতে দেখা যেত না। দেশভাগের পর হিন্দু বুর্জোয়া, উচ্চমধ্যবিত্ত, গজিয়ে ওঠা কলকারখানার মালিক—এসবের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতেই সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করা শুরু হলো মুসলমানের অর্থনৈতিক সীমাকে আরও অনেক বেশি সংকুচিত করতে। আর সেই লক্ষ্যেই সাম্প্রদায়িকতার চরিত্র বদল করে তার সঙ্গে ধর্মনিষ্ঠা নয়, সংযুক্ত করা হলো ধর্মাচরণকে।
হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির সাম্প্রদায়িকতার এই নয়া অভিমুখের সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে নিলেন সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, বসন্ত শ্রীহরি আনে, পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন, রাজেন্দ্র প্রসাদের মতো কংগ্রেস শিবিরের সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন নেতারা। সাম্প্রদায়িকতার এই চরিত্র বদলে ব্যক্তিবিশেষ খুব একটা বড় বিষয় হয়ে দেখা দিল না। প্রধান বিষয় হয়ে উঠল সম্প্রদায়। সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতা সাম্প্রতিককালের ভারতে সংখ্যাগুরুর আধিপত্যবাদে পরিণত হয়। এই আধিপত্যবাদীদের এক-দুজনকে এমনভাবে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের পরাকাষ্ঠাতে পরিণত করল যে, নরেন্দ্র মোদির নির্মীয়মাণ সংসদ ভবনের ছাদে অশোক স্তম্ভের পূজা ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে তাদের সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ নেমে আসার অশনিসংকেত পৌঁছে দিয়েছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতীয় আন্দোলনকালের সাম্প্রদায়িকতাকে অর্থনীতির সঙ্গে মিলিয়ে-মিশিয়ে আরএসএস-হিন্দু মহাসভা একটা নতুন সংজ্ঞাতে উপস্থাপিত করেছিল। পাল্টা হিসেবে কখনো কখনো মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা নখদন্ত বিস্তারের চেষ্টা করলেও সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িক সংখ্যাধিক্যে তারা শেষ পর্যন্ত কুলিয়ে উঠতে পারেনি। জওহারলাল নেহরুর পর ভারতের বিভিন্ন পর্যায়ের শাসকেরা নিজেদের ক্ষমতার মসনদ বাঁচাতে এই সাম্প্রদায়িকতাকে কখনো প্রকাশ্যে প্রশ্রয় দিয়েছে, কখনো বা আড়াল থেকে মদদ জুগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসে নেহরু যেভাবে প্যাটেল, রাজেন্দ্রপ্রসাদ, ট্যান্ডন প্রমুখের সাম্প্রদায়িক ঝোঁকের মোকাবিলা করেছিলেন দৃঢ়তার সঙ্গে, তেমনটা আজ পর্যন্ত স্বাধীন ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী করেননি। নেহরুর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী হয়ে লালবাহাদুর শাস্ত্রী প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ভার দিয়েছিলেন আরএসএসের ওপর। গান্ধী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সংঘ সেই প্রথম কিন্তু স্বাধীন ভারতে সামাজিক স্বীকৃতি পেয়েছিল।
ইন্দিরা গান্ধী নিজের দলের সিন্ডিকেটপন্থীদের শায়েস্তা করতে বাইরের থেকে সংঘের সাহায্য নিতে দ্বিধা করেননি, যেমন করেননি কমিউনিস্টদের সাহায্য নিতেও। আরএসএস যখন স্বাধীন ভারতে সাম্প্রদায়িকতার নতুন পর্যায় হিসেবে নিত্যনতুন পদ্ধতি গ্রামীণ ভারতের ওপর প্রয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইল, সেটি ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা জারির অন্যতম ছুঁতো হয়ে উঠতেও দেরি হয়নি।
আজ যেভাবে গোটা দেশকে সংখ্যাগুরুর আধিপত্যবাদের অধীন করে ক্রমেই রাজনৈতিক হিন্দুরাষ্ট্রের দিকে ভারতকে ঠেলে দিচ্ছেন মোহন ভাগবত আর নরেন্দ্র মোদির জুটি, তখন কিন্তু সাম্প্রদায়িকতাকে অতীতের সব সংজ্ঞা থেকে বের করে এনে ধর্মনিষ্ঠা নয়, ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারে সমর্থ হয়েছেন। দেশের সামাজিক ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সামাজিক গণমাধ্যম—সর্বত্রই আচারসর্বস্ব ধর্মের এমন একটা আড়ম্বরপূর্ণ চেহারাকে ‘ধর্ম’ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে যে অচিরেই সেই আচারসর্বস্বতার আড়ালে থাকা কুসংস্কার, ধর্মের নামে অধর্ম, অর্থাৎ ধর্মনিষ্ঠার বিকৃত ব্যাখ্যা একটা অর্থনৈতিক লোভের মোড়কে মানুষকে অপর ধর্মীয় সম্প্রদায় সম্পর্কে বিদ্বেষী করে তুলছে। জাতীয় আন্দোলনের সময় যে সাম্প্রদায়িকতা আমজনতার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না, এমনকি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক লোকদের ইন্ধনে দাঙ্গার পরও, ‘সমস্ত ক্ষতের মুখে পলি’ পড়ত, তা আর এখন কিছুতেই হচ্ছে না। গুজরাট থেকে বসিরহাট, দিল্লি, তেলিনীপাড়া, হাজিনগর, কাঁকিনাড়া—কোথাও দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভেতরে সেই আগের মতো ‘বিশ্বাস’ ফিরে আসছে না। বিশ্বাস যাতে না আসে, সে জন্যই ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বরবাদ করতে জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভকে প্রাতিষ্ঠানিক হিন্দুত্বের মোড়কে ঢাকতে চাইবে সংখ্যাগুরু আধিপত্যবাদীরা।

আরএসএসের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারার অবলুপ্তি ঘটিয়ে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার সমাপ্তি ঘটায়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জিতে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় সংবিধানকে ধ্বংস করাটাই যে এখন আরএসএস-বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য, আর সেই লক্ষ্যপূরণের ভেতর দিয়েই ভারতকে ‘রাজনৈতিক হিন্দু রাষ্ট্র’-তে পরিণত করে সংখ্যাগুরুর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার দিকে যাচ্ছে, যা তাদের কাজ দেখে ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
ভারতীয় সংসদের নির্মীয়মাণ ভবনের ছাদে একটি বৃহদাকার অশোক স্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে। সে উপলক্ষে প্রচলিত হিন্দু আচার অনুযায়ী পুরোহিতদের দ্বারা পূজাপাঠের সঙ্গে ধর্মীয় রীতিতে অশোক স্তম্ভের অর্চনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ড এটাই পরিষ্কার করে দিল, পরবর্তী লোকসভার ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গঠন করলে ভারতের বুকে ঠিক কী কী ঘটতে চলেছে।
ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার ঘটিয়ে হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির বিবর্তিত সংস্করণ সংখ্যাগুরু আধিপত্যবাদীরা কয়েক বছর ধরে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবেই ভারতের মতো সার্বিক বৈচিত্র্যময় দেশে ধর্মনিষ্ঠার সংজ্ঞাকে বদলে দিয়েছে। ভারতের জাতীয় আন্দোলনের কালে সাম্প্রদায়িকতাকে ভিত্তি করে ব্রিটিশের দক্ষিণ এশিয়ার বাজার অক্ষুণ্ন রাখতে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সাম্প্রদায়িক শক্তিই নিজেদের উদীয়মান বুর্জোয়া আর অভিজাত উচ্চমধ্যবিত্তদের স্বার্থে যখন দেশভাগ করেছিল, তখনো কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মনিষ্ঠা এক বন্ধনীভুক্ত কোনো বিষয় ছিল না। আরএসএস ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতা করায়ত্ত করতে স্বাধীনতার পর থেকেই সাম্প্রদায়িকতাকে মূল ভিত্তি করে এগিয়ে চলছে। অর্থনীতিকে নিজেদের তাঁবে আনতে দেশের সামন্ততান্ত্রিক ভূমিব্যবস্থা এবং নবোত্থিত বুর্জোয়া ও উচ্চমধ্যবিত্তকে কবজা করার চেষ্টা করে চলেছে। বামপন্থীরা এই হিন্দু সাম্প্রদায়িক শিবিরকে মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া সমাজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। এ ক্ষেত্রে বলতে হয়, ঔপনিবেশিক যুগের সাম্প্রদায়িকতাকে স্বাধীনতার পর ধর্মের আড়ম্বরের সঙ্গে মিশিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের যে রাস্তা আরএসএস-হিন্দু মহাসভা, জনসংঘ নিয়েছিল, যার ফসল এখন তুলছে বিজেপি, সেসব সম্পর্কে বামপন্থীদের বাস্তব ধারণা অনেক কম ছিল।
১৯৪৭ সালের আগে সাম্প্রদায়িকতা অপর ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষদের ক্ষতিসাধনে সম্প্রদায়ভিত্তিক বিদ্বেষকেই সব থেকে বেশি কাজে লাগাত। স্বাধীনতার আগে সাভারকর, হেডগেওয়ার, গোলওয়ালকর, শ্যামাপ্রসাদ, দীনদয়াল, এন সি চ্যাটার্জি, বলরাজ মাধোক প্রমুখকে অপর সম্প্রদায় সম্পর্কে ঘৃণা, বৈরিতা, বিদ্বেষ ছড়াতে যত সক্রিয় দেখা যেত, তার ভগ্নাংশ সময়ও তাদের ধর্মাচরণের জন্য ব্যয় করতে দেখা যেত না। দেশভাগের পর হিন্দু বুর্জোয়া, উচ্চমধ্যবিত্ত, গজিয়ে ওঠা কলকারখানার মালিক—এসবের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতেই সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করা শুরু হলো মুসলমানের অর্থনৈতিক সীমাকে আরও অনেক বেশি সংকুচিত করতে। আর সেই লক্ষ্যেই সাম্প্রদায়িকতার চরিত্র বদল করে তার সঙ্গে ধর্মনিষ্ঠা নয়, সংযুক্ত করা হলো ধর্মাচরণকে।
হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির সাম্প্রদায়িকতার এই নয়া অভিমুখের সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে নিলেন সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, বসন্ত শ্রীহরি আনে, পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন, রাজেন্দ্র প্রসাদের মতো কংগ্রেস শিবিরের সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন নেতারা। সাম্প্রদায়িকতার এই চরিত্র বদলে ব্যক্তিবিশেষ খুব একটা বড় বিষয় হয়ে দেখা দিল না। প্রধান বিষয় হয়ে উঠল সম্প্রদায়। সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতা সাম্প্রতিককালের ভারতে সংখ্যাগুরুর আধিপত্যবাদে পরিণত হয়। এই আধিপত্যবাদীদের এক-দুজনকে এমনভাবে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের পরাকাষ্ঠাতে পরিণত করল যে, নরেন্দ্র মোদির নির্মীয়মাণ সংসদ ভবনের ছাদে অশোক স্তম্ভের পূজা ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে তাদের সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ নেমে আসার অশনিসংকেত পৌঁছে দিয়েছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতীয় আন্দোলনকালের সাম্প্রদায়িকতাকে অর্থনীতির সঙ্গে মিলিয়ে-মিশিয়ে আরএসএস-হিন্দু মহাসভা একটা নতুন সংজ্ঞাতে উপস্থাপিত করেছিল। পাল্টা হিসেবে কখনো কখনো মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা নখদন্ত বিস্তারের চেষ্টা করলেও সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িক সংখ্যাধিক্যে তারা শেষ পর্যন্ত কুলিয়ে উঠতে পারেনি। জওহারলাল নেহরুর পর ভারতের বিভিন্ন পর্যায়ের শাসকেরা নিজেদের ক্ষমতার মসনদ বাঁচাতে এই সাম্প্রদায়িকতাকে কখনো প্রকাশ্যে প্রশ্রয় দিয়েছে, কখনো বা আড়াল থেকে মদদ জুগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসে নেহরু যেভাবে প্যাটেল, রাজেন্দ্রপ্রসাদ, ট্যান্ডন প্রমুখের সাম্প্রদায়িক ঝোঁকের মোকাবিলা করেছিলেন দৃঢ়তার সঙ্গে, তেমনটা আজ পর্যন্ত স্বাধীন ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী করেননি। নেহরুর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী হয়ে লালবাহাদুর শাস্ত্রী প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ভার দিয়েছিলেন আরএসএসের ওপর। গান্ধী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সংঘ সেই প্রথম কিন্তু স্বাধীন ভারতে সামাজিক স্বীকৃতি পেয়েছিল।
ইন্দিরা গান্ধী নিজের দলের সিন্ডিকেটপন্থীদের শায়েস্তা করতে বাইরের থেকে সংঘের সাহায্য নিতে দ্বিধা করেননি, যেমন করেননি কমিউনিস্টদের সাহায্য নিতেও। আরএসএস যখন স্বাধীন ভারতে সাম্প্রদায়িকতার নতুন পর্যায় হিসেবে নিত্যনতুন পদ্ধতি গ্রামীণ ভারতের ওপর প্রয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইল, সেটি ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা জারির অন্যতম ছুঁতো হয়ে উঠতেও দেরি হয়নি।
আজ যেভাবে গোটা দেশকে সংখ্যাগুরুর আধিপত্যবাদের অধীন করে ক্রমেই রাজনৈতিক হিন্দুরাষ্ট্রের দিকে ভারতকে ঠেলে দিচ্ছেন মোহন ভাগবত আর নরেন্দ্র মোদির জুটি, তখন কিন্তু সাম্প্রদায়িকতাকে অতীতের সব সংজ্ঞা থেকে বের করে এনে ধর্মনিষ্ঠা নয়, ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারে সমর্থ হয়েছেন। দেশের সামাজিক ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সামাজিক গণমাধ্যম—সর্বত্রই আচারসর্বস্ব ধর্মের এমন একটা আড়ম্বরপূর্ণ চেহারাকে ‘ধর্ম’ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে যে অচিরেই সেই আচারসর্বস্বতার আড়ালে থাকা কুসংস্কার, ধর্মের নামে অধর্ম, অর্থাৎ ধর্মনিষ্ঠার বিকৃত ব্যাখ্যা একটা অর্থনৈতিক লোভের মোড়কে মানুষকে অপর ধর্মীয় সম্প্রদায় সম্পর্কে বিদ্বেষী করে তুলছে। জাতীয় আন্দোলনের সময় যে সাম্প্রদায়িকতা আমজনতার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না, এমনকি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক লোকদের ইন্ধনে দাঙ্গার পরও, ‘সমস্ত ক্ষতের মুখে পলি’ পড়ত, তা আর এখন কিছুতেই হচ্ছে না। গুজরাট থেকে বসিরহাট, দিল্লি, তেলিনীপাড়া, হাজিনগর, কাঁকিনাড়া—কোথাও দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভেতরে সেই আগের মতো ‘বিশ্বাস’ ফিরে আসছে না। বিশ্বাস যাতে না আসে, সে জন্যই ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বরবাদ করতে জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভকে প্রাতিষ্ঠানিক হিন্দুত্বের মোড়কে ঢাকতে চাইবে সংখ্যাগুরু আধিপত্যবাদীরা।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

আরএসএসের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারার অবলুপ্তি ঘটিয়ে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার সমাপ্তি ঘটায়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জিতে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় সংবিধানকে ধ্বংস করাটাই যে এখন আরএসএস-বিজেপির এক
২৯ জুলাই ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

আরএসএসের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারার অবলুপ্তি ঘটিয়ে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার সমাপ্তি ঘটায়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জিতে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় সংবিধানকে ধ্বংস করাটাই যে এখন আরএসএস-বিজেপির এক
২৯ জুলাই ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

আরএসএসের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারার অবলুপ্তি ঘটিয়ে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার সমাপ্তি ঘটায়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জিতে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় সংবিধানকে ধ্বংস করাটাই যে এখন আরএসএস-বিজেপির এক
২৯ জুলাই ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আরএসএসের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারার অবলুপ্তি ঘটিয়ে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার সমাপ্তি ঘটায়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জিতে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় সংবিধানকে ধ্বংস করাটাই যে এখন আরএসএস-বিজেপির এক
২৯ জুলাই ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫