অর্ণব সান্যাল

শিরোনামের এই প্রশ্ন শুনলে পর্দার কাইজার চৌধুরী হয়তো দ্বিধাগ্রস্ত কণ্ঠে বলে বসতেন, ‘ওহ্, তাই নাকি?’
হ্যাঁ, বাংলাদেশের এই নতুন সংস্করণের (পড়ুন ওটিটি) গোয়েন্দাটির মনে দ্বিধা আছে। নিজের কাজ নিয়ে সংশয়ও আছে। আছে প্রয়োজনে ‘মুখ খারাপ’ করার অভ্যাস। এই গোয়েন্দা যেমন নিজে কাঁদতে পারে, তেমনি সুযোগ বুঝে অন্যের মুখে আনতে পারে মুচকি হাসি। আর এই সবকিছু নিয়েই ‘কাইজার’।
স্ট্রিমিং সাইট হইচই–এ গত ৮ জুলাই থেকে চলছে কাইজার চৌধুরীর প্রথম সিজনের অভিযান। ওয়েব সিরিজটির মোট পর্ব নয়টি। ঘটনার ব্যাপ্তি অনুযায়ী একেকটি পর্বের দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হয়েছে। যেমন প্রথম পর্বটিই প্রায় ৪০ মিনিটের। আবার কোনো কোনো পর্ব ২০ মিনিটেও শেষ হচ্ছে। পুরো বিষয়টিই নির্ধারিত হয়েছে গল্পের খাতিরে। ফলে অহেতুক কখনো স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে হয়নি।
শুরু থেকেই শুরু করা যাক। এডিসি কাইজার চৌধুরী এই ওয়েব সিরিজের মূল চরিত্র। তিনি একজন হোমিসাইড ডিটেকটিভ। কাইজার ব্যক্তিগত জীবনে বিপর্যস্ত। সেই সঙ্গে কাইজার ভিডিও গেম খেলায় চূড়ান্ত আসক্ত। এই গোয়েন্দার মেজাজের মতি-গতি বোঝাও একটু মুশকিল, তদন্তের প্রয়োজনে কখন যে কার গলা চেপে ধরবেন, সেটি বোঝা দায়। অথচ এই কাইজারই আবার ক্রাইম সিনে গিয়ে গলা কাটা লাশ দেখে চোখ উল্টে ফেলেন!
কাইজারের কীর্তি–কাহিনি বলার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েব সিরিজটির নির্মাণ সম্পর্কেও দু-একটি কথা বলা উচিত হবে। ক্যামেরার কাজ ভালো। সংলাপ কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু অস্পষ্ট ছিল, তবে ঘটনার সঙ্গে মিলে গেছে বলে অতটা খারাপ লাগেনি। সিরিজের প্রতিটি পর্বে কলাকুশলীদের নাম দেখানোর সময় সুপরিচিত পপ কালচার আর নব্বইয়ের দশকের ঢাকার ভিডিও ফুটেজের মিশ্রণ চোখের জন্য ছিল আরামদায়ক। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খারাপ লাগেনি, গোয়েন্দা গল্পের জন্য মানানসই। সুরে শিহরণ যেমন ছিল, তেমনি পাওয়া গেছে বিষাদও।
আবার কাইজারের গল্পে ফেরা যাক। সিরিজের প্রথমেই পরিচয় হয় একজন পুরোপুরি বিক্ষিপ্ত ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। ব্যক্তিটি গোয়েন্দা হলেও ভিডিও কনসোল হাতে তাকে শুধুই একজন ‘পাগল’ গেমার বলে বিশ্বাস হয়। অপরাধের বিচার-বিশ্লেষণে যদিও সেই ব্যক্তিটিই ক্ষুরধার বেশ। সবচেয়ে বড় বিষয় গোয়েন্দা কাইজারের হিউমার টনটনে।
কাইজারে ফেলুদা এসেছে। ছিল কাকাবাবু–সন্তু বা ব্যোমকেশ বকশি থেকে আগাথা ত্রিস্টি বা আর্থার কোনান ডয়েলও। তবে কারও অন্তর্ভুক্তিই আরোপিত ছিল না, এটাই সবচেয়ে স্বস্তির। গল্প বা সংলাপের স্রোতেই সবাই এসেছে, আবার চলেও গেছে। আর এটাই কাইজারের চিত্রনাট্যের সবচেয়ে বড় গুণ। ওয়েব সিরিজে, বিশেষ করে সেটি যদি রহস্য–রোমাঞ্চভিত্তিক হয়, তবে টানটান গল্প ও চিত্রনাট্য প্রধান অস্ত্র বলে বিবেচিত ওটিটির দুনিয়ায়। এই জায়গাতে পুরোপুরি সফল কাইজার, কখনোই গল্পকে ঝুলে পড়তে দেওয়া হয়নি। ফলে নিতান্ত ঘটনাবিহীন পর্ব শেষেও কখনো মনে হবে না যে, ‘সময়টা নষ্ট হলো!’
সিরিজটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আফরান নিশো। কাইজার চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলায় তিনি এককথায় অনবদ্য ছিলেন। বিচ্ছেদ হওয়া স্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন বা দূরে থাকা মেয়ের সঙ্গে ক্ষণিকের আলাপে অথবা ইন্টারোগেশন রুমের রূক্ষতা—সবেতেই সমান তালে তাল মিলিয়েছেন নিশো। নিজের জীবনের বিক্ষিপ্ততায় বিষণ্ণ কাইজারকে পর্দায় যেমন বিশ্বাসযোগ্য করেছেন, তেমনি গোয়েন্দার ভূমিকাটিকেও কখনো অতিরঞ্জিত বা অতিনাটকীয় বোধ করাননি। নিশোরূপী কাইজার অনেক বেশি বাস্তব, কোনো সুপারম্যান নয়। আর তাতেই সার্থকতা নিশ্চিত।
‘কাইজার’ সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, আহমেদ রেজা রুবেল, নাদের চৌধুরী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহেদ আলী, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমন আনোয়ার, ইমতিয়াজ বর্ষণ, শঙ্খ জামান, জিনাত সানু স্বাগতা প্রমুখ। প্রত্যেকেই যার যার চরিত্রে নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে আলাদা করে বলতে হয় শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমন আনোয়ার ও ইমতিয়াজ বর্ষণের কথা। এই তিন অভিনেতা সিরিজটিকে আরও উপভোগ্য করে তুলেছেন।
তানিম নূর সিরিজটি নির্মাণ করেছেন। নির্মাণে যে মুনশিয়ানা ও পরিমিতিবোধ আছে, তা স্বীকার করতেই হবে। প্রতিটি পর্বে ওয়েব সিরিজের ক্ল্যাসিক ফরমুলা অনুসরণ করা হয়েছে জ্ঞাতসারেই। ফলে এক পর্ব থেকে আরেক পর্বে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ডের বিরতি কখনোই আপনাকে চোখ সরিয়ে নিতে উৎসাহিত করবে না। ‘কাইজার’–এর আগমনী সংবাদ দেওয়ার সময় তানিম বলেছিলেন যে, ‘বাংলাদেশের বা ঢাকার মৌলিক একটি গোয়েন্দা চরিত্র নিয়ে খুব বেশি কাজ হয়নি। আমার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা চরিত্রের ফ্র্যাঞ্চাইজি তৈরি করা।’ সেই কাজটি যে তানিম ভালোমতোই সম্পন্ন করেছেন, তা বলাই যায়।
এখন প্রশ্ন হলো, কাইজারই কি এ দেশের প্রথম সার্থক গোয়েন্দা চরিত্র? নির্দ্বিধায় ‘হ্যাঁ’ বলতে হলে কাইজারকে আরও কয়েকটা সিজন পাড়ি দিতে হবে। পরবর্তী সিজনের সম্ভাবনা প্রথম মৌসুমেই পাওয়া গেছে কিছুটা। তবে একটি কথা বলাই যায় যে, সম্ভাবনা প্রবল। আশা করা যায়, নিকট ভবিষ্যতেই আমরা হয়তো কাইজারের জীবনের পরবর্তী অধ্যায় পর্দায় রূপায়ণের খবর পাব। সেই পর্যন্ত না হয় ‘শুভকামনা’ জানিয়ে অপেক্ষায় থাকা যাক।

শিরোনামের এই প্রশ্ন শুনলে পর্দার কাইজার চৌধুরী হয়তো দ্বিধাগ্রস্ত কণ্ঠে বলে বসতেন, ‘ওহ্, তাই নাকি?’
হ্যাঁ, বাংলাদেশের এই নতুন সংস্করণের (পড়ুন ওটিটি) গোয়েন্দাটির মনে দ্বিধা আছে। নিজের কাজ নিয়ে সংশয়ও আছে। আছে প্রয়োজনে ‘মুখ খারাপ’ করার অভ্যাস। এই গোয়েন্দা যেমন নিজে কাঁদতে পারে, তেমনি সুযোগ বুঝে অন্যের মুখে আনতে পারে মুচকি হাসি। আর এই সবকিছু নিয়েই ‘কাইজার’।
স্ট্রিমিং সাইট হইচই–এ গত ৮ জুলাই থেকে চলছে কাইজার চৌধুরীর প্রথম সিজনের অভিযান। ওয়েব সিরিজটির মোট পর্ব নয়টি। ঘটনার ব্যাপ্তি অনুযায়ী একেকটি পর্বের দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হয়েছে। যেমন প্রথম পর্বটিই প্রায় ৪০ মিনিটের। আবার কোনো কোনো পর্ব ২০ মিনিটেও শেষ হচ্ছে। পুরো বিষয়টিই নির্ধারিত হয়েছে গল্পের খাতিরে। ফলে অহেতুক কখনো স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে হয়নি।
শুরু থেকেই শুরু করা যাক। এডিসি কাইজার চৌধুরী এই ওয়েব সিরিজের মূল চরিত্র। তিনি একজন হোমিসাইড ডিটেকটিভ। কাইজার ব্যক্তিগত জীবনে বিপর্যস্ত। সেই সঙ্গে কাইজার ভিডিও গেম খেলায় চূড়ান্ত আসক্ত। এই গোয়েন্দার মেজাজের মতি-গতি বোঝাও একটু মুশকিল, তদন্তের প্রয়োজনে কখন যে কার গলা চেপে ধরবেন, সেটি বোঝা দায়। অথচ এই কাইজারই আবার ক্রাইম সিনে গিয়ে গলা কাটা লাশ দেখে চোখ উল্টে ফেলেন!
কাইজারের কীর্তি–কাহিনি বলার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েব সিরিজটির নির্মাণ সম্পর্কেও দু-একটি কথা বলা উচিত হবে। ক্যামেরার কাজ ভালো। সংলাপ কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু অস্পষ্ট ছিল, তবে ঘটনার সঙ্গে মিলে গেছে বলে অতটা খারাপ লাগেনি। সিরিজের প্রতিটি পর্বে কলাকুশলীদের নাম দেখানোর সময় সুপরিচিত পপ কালচার আর নব্বইয়ের দশকের ঢাকার ভিডিও ফুটেজের মিশ্রণ চোখের জন্য ছিল আরামদায়ক। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খারাপ লাগেনি, গোয়েন্দা গল্পের জন্য মানানসই। সুরে শিহরণ যেমন ছিল, তেমনি পাওয়া গেছে বিষাদও।
আবার কাইজারের গল্পে ফেরা যাক। সিরিজের প্রথমেই পরিচয় হয় একজন পুরোপুরি বিক্ষিপ্ত ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। ব্যক্তিটি গোয়েন্দা হলেও ভিডিও কনসোল হাতে তাকে শুধুই একজন ‘পাগল’ গেমার বলে বিশ্বাস হয়। অপরাধের বিচার-বিশ্লেষণে যদিও সেই ব্যক্তিটিই ক্ষুরধার বেশ। সবচেয়ে বড় বিষয় গোয়েন্দা কাইজারের হিউমার টনটনে।
কাইজারে ফেলুদা এসেছে। ছিল কাকাবাবু–সন্তু বা ব্যোমকেশ বকশি থেকে আগাথা ত্রিস্টি বা আর্থার কোনান ডয়েলও। তবে কারও অন্তর্ভুক্তিই আরোপিত ছিল না, এটাই সবচেয়ে স্বস্তির। গল্প বা সংলাপের স্রোতেই সবাই এসেছে, আবার চলেও গেছে। আর এটাই কাইজারের চিত্রনাট্যের সবচেয়ে বড় গুণ। ওয়েব সিরিজে, বিশেষ করে সেটি যদি রহস্য–রোমাঞ্চভিত্তিক হয়, তবে টানটান গল্প ও চিত্রনাট্য প্রধান অস্ত্র বলে বিবেচিত ওটিটির দুনিয়ায়। এই জায়গাতে পুরোপুরি সফল কাইজার, কখনোই গল্পকে ঝুলে পড়তে দেওয়া হয়নি। ফলে নিতান্ত ঘটনাবিহীন পর্ব শেষেও কখনো মনে হবে না যে, ‘সময়টা নষ্ট হলো!’
সিরিজটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আফরান নিশো। কাইজার চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলায় তিনি এককথায় অনবদ্য ছিলেন। বিচ্ছেদ হওয়া স্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন বা দূরে থাকা মেয়ের সঙ্গে ক্ষণিকের আলাপে অথবা ইন্টারোগেশন রুমের রূক্ষতা—সবেতেই সমান তালে তাল মিলিয়েছেন নিশো। নিজের জীবনের বিক্ষিপ্ততায় বিষণ্ণ কাইজারকে পর্দায় যেমন বিশ্বাসযোগ্য করেছেন, তেমনি গোয়েন্দার ভূমিকাটিকেও কখনো অতিরঞ্জিত বা অতিনাটকীয় বোধ করাননি। নিশোরূপী কাইজার অনেক বেশি বাস্তব, কোনো সুপারম্যান নয়। আর তাতেই সার্থকতা নিশ্চিত।
‘কাইজার’ সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, আহমেদ রেজা রুবেল, নাদের চৌধুরী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহেদ আলী, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমন আনোয়ার, ইমতিয়াজ বর্ষণ, শঙ্খ জামান, জিনাত সানু স্বাগতা প্রমুখ। প্রত্যেকেই যার যার চরিত্রে নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে আলাদা করে বলতে হয় শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমন আনোয়ার ও ইমতিয়াজ বর্ষণের কথা। এই তিন অভিনেতা সিরিজটিকে আরও উপভোগ্য করে তুলেছেন।
তানিম নূর সিরিজটি নির্মাণ করেছেন। নির্মাণে যে মুনশিয়ানা ও পরিমিতিবোধ আছে, তা স্বীকার করতেই হবে। প্রতিটি পর্বে ওয়েব সিরিজের ক্ল্যাসিক ফরমুলা অনুসরণ করা হয়েছে জ্ঞাতসারেই। ফলে এক পর্ব থেকে আরেক পর্বে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ডের বিরতি কখনোই আপনাকে চোখ সরিয়ে নিতে উৎসাহিত করবে না। ‘কাইজার’–এর আগমনী সংবাদ দেওয়ার সময় তানিম বলেছিলেন যে, ‘বাংলাদেশের বা ঢাকার মৌলিক একটি গোয়েন্দা চরিত্র নিয়ে খুব বেশি কাজ হয়নি। আমার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা চরিত্রের ফ্র্যাঞ্চাইজি তৈরি করা।’ সেই কাজটি যে তানিম ভালোমতোই সম্পন্ন করেছেন, তা বলাই যায়।
এখন প্রশ্ন হলো, কাইজারই কি এ দেশের প্রথম সার্থক গোয়েন্দা চরিত্র? নির্দ্বিধায় ‘হ্যাঁ’ বলতে হলে কাইজারকে আরও কয়েকটা সিজন পাড়ি দিতে হবে। পরবর্তী সিজনের সম্ভাবনা প্রথম মৌসুমেই পাওয়া গেছে কিছুটা। তবে একটি কথা বলাই যায় যে, সম্ভাবনা প্রবল। আশা করা যায়, নিকট ভবিষ্যতেই আমরা হয়তো কাইজারের জীবনের পরবর্তী অধ্যায় পর্দায় রূপায়ণের খবর পাব। সেই পর্যন্ত না হয় ‘শুভকামনা’ জানিয়ে অপেক্ষায় থাকা যাক।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান। গানের শিরোনাম ‘এই ব্যথা’।
‘এই ব্যথা কি তোমার অনুগত/ চাইলেই রোদে এসে পেতে দেয় গা/ এই ব্যথা কি দিনান্তে কোনো হাওয়া/ স্বপ্নের মতো সারা রাত্রি জেগে থাকা’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন মাহি ফ্লোরা। সুর করেছেন এহসান রাহি, সংগীতায়োজনে আমজাদ হোসেন। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার। ১৮ ডিসেম্বর ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে এই ব্যথা শিরোনামের গানের ভিডিও। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে দেশি ও আন্তর্জাতিক মিউজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয়।
এই ব্যথা গানটি প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘অনেক দিন পর আয়োজন করে একটা গান করা হলো। আমি আনন্দিত। এই টিমে যারা কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ট্যালেন্টেড। সবাই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন এই গানে। আরও আনন্দের ব্যাপার হলো, আমার বড় কন্যার জন্মদিনে গানটির প্রকাশ আমাকে মুগ্ধতার অন্য জগতে নিয়ে গেছে। গানটির ভিডিও নিয়ে একটু বলতে চাই, এই ধরনের মিউজিক ভিডিও আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। দেশের মিউজিক ভিডিওর অঙ্গনে এই ভিডিও ভিন্নমাত্রা এনে দেবে বলে বিশ্বাস করি।’
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্ণধার ধ্রুব গুহ বলেন, ‘বাপ্পাদার এই ব্যথা গানটি প্রকাশ করতে পেরে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন আনন্দিত। আমি আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের অনেক ভালো লাগবে।’
সম্প্রতি ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কার্যালয়ে গানটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। নতুন গান প্রকাশ উপলক্ষে বাপ্পা মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার তরুণ মুন্সী, কণ্ঠশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ, লুৎফর হাসান, কিশোর দাসসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকে।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান। গানের শিরোনাম ‘এই ব্যথা’।
‘এই ব্যথা কি তোমার অনুগত/ চাইলেই রোদে এসে পেতে দেয় গা/ এই ব্যথা কি দিনান্তে কোনো হাওয়া/ স্বপ্নের মতো সারা রাত্রি জেগে থাকা’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন মাহি ফ্লোরা। সুর করেছেন এহসান রাহি, সংগীতায়োজনে আমজাদ হোসেন। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার। ১৮ ডিসেম্বর ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে এই ব্যথা শিরোনামের গানের ভিডিও। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে দেশি ও আন্তর্জাতিক মিউজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয়।
এই ব্যথা গানটি প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘অনেক দিন পর আয়োজন করে একটা গান করা হলো। আমি আনন্দিত। এই টিমে যারা কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ট্যালেন্টেড। সবাই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন এই গানে। আরও আনন্দের ব্যাপার হলো, আমার বড় কন্যার জন্মদিনে গানটির প্রকাশ আমাকে মুগ্ধতার অন্য জগতে নিয়ে গেছে। গানটির ভিডিও নিয়ে একটু বলতে চাই, এই ধরনের মিউজিক ভিডিও আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। দেশের মিউজিক ভিডিওর অঙ্গনে এই ভিডিও ভিন্নমাত্রা এনে দেবে বলে বিশ্বাস করি।’
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্ণধার ধ্রুব গুহ বলেন, ‘বাপ্পাদার এই ব্যথা গানটি প্রকাশ করতে পেরে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন আনন্দিত। আমি আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের অনেক ভালো লাগবে।’
সম্প্রতি ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কার্যালয়ে গানটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। নতুন গান প্রকাশ উপলক্ষে বাপ্পা মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার তরুণ মুন্সী, কণ্ঠশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ, লুৎফর হাসান, কিশোর দাসসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকে।

বাংলাদেশের এই নতুন সংস্করণের (পড়ুন ওটিটি) গোয়েন্দাটির মনে দ্বিধা আছে। নিজের কাজ নিয়ে সংশয়ও আছে। আছে প্রয়োজনে ‘মুখ খারাপ’ করার অভ্যাস। এই গোয়েন্দা যেমন নিজে কাঁদতে পারে, তেমনি সুযোগ বুঝে অন্যের মুখে আনতে পারে মুচকি হাসি। আর এই সবকিছু নিয়েই ‘কাইজার’।
১০ জুলাই ২০২২
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
হাদি ও তাঁর শিশুপুত্রের একটি ছবি শেয়ার করে ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক লিখেছেন একাধিক পোস্ট। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নামটা মনে রেখো, শহীদ-বীর শরিফ ওসমান হাদি।’ অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সে কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিল না, কারও হক আত্মসাৎ করেনি, সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করেনি। তবুও-সামান্য কথার দায়ে, একটা জীবন এভাবে শেষ হতে পারে?’ ভিন্ন একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনায় আসবে অগ্নিসংযোগ, কিন্তু আসার কথা ছিল হাদির কথা, তাঁর বীরত্বের কথা, খুনের বিচারের কথা। এ দেশে মানুষ মরলে, শোকও নিরাপদ থাকে না। সবকিছুই ঢেকে ফেলা হয় আগুনে, ভাঙচুরে, রাজনীতিতে। এখানে রক্তের রংও রাজনৈতিক। বরাবরই এখানে বিপ্লব বেদখল হয়। বরাবরই আমরা এখানে অসহায়।’
নির্মাতা অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘মৃত্যুও পবিত্র সুন্দর হতে পারে, শহীদ হাদিকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।’
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ওসমান হাদির একটি ছবি প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান বিন হাদি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন।’
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল হাদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই খুব কষ্টের আর একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো না। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, আর তাঁর শোকাহত পরিবারকে, বিশেষ করে তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে ধৈর্য, শক্তি আর সান্ত্বনা দেন।’ গণমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শোক জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটি আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে। আগুন ভবন ধ্বংস করতে পারে, সাহস নয়।’
সংগীতশিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রাজনৈতিক সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে অর্ণব লিখেছেন, ‘আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং ভোট দিতে হবে... নয়তো সংগীতশিল্পীরা বিপদে পড়ব। দেখুন ছায়ানটের সাথে কী করেছে! আমাদের পাল্টা লড়াইয়ের একমাত্র উপায় ভোট দেওয়া এবং অন্যদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।’
অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান লিখেছেন, ‘ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাঁর পরিবার, তাঁর ছোট্ট বাবুটা এই শোক কাটিয়ে উঠুক। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক হে দয়াময়।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘ওসমান হাদি, শান্তিতে ঘুমান। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন এবং আপনার পরিবার ও সন্তানকে শক্তি দিন। তারা হয়তো আপনাকে হত্যা করেছে কিন্তু আপনার শুরু করা লড়াই তারা থামাতে পারবে না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুর প্রতিবাদের ভাষা ভাঙচুর, নৈরাজ্য হতে পারে না। এই মুহূর্তে সবার এক থাকা প্রয়োজন। দেশে বিশৃঙ্খলা যারা করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের সম্পদের আর ভবিষ্যতের বারোটা বাজায়েন না!’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
হাদি ও তাঁর শিশুপুত্রের একটি ছবি শেয়ার করে ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক লিখেছেন একাধিক পোস্ট। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নামটা মনে রেখো, শহীদ-বীর শরিফ ওসমান হাদি।’ অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সে কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিল না, কারও হক আত্মসাৎ করেনি, সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করেনি। তবুও-সামান্য কথার দায়ে, একটা জীবন এভাবে শেষ হতে পারে?’ ভিন্ন একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনায় আসবে অগ্নিসংযোগ, কিন্তু আসার কথা ছিল হাদির কথা, তাঁর বীরত্বের কথা, খুনের বিচারের কথা। এ দেশে মানুষ মরলে, শোকও নিরাপদ থাকে না। সবকিছুই ঢেকে ফেলা হয় আগুনে, ভাঙচুরে, রাজনীতিতে। এখানে রক্তের রংও রাজনৈতিক। বরাবরই এখানে বিপ্লব বেদখল হয়। বরাবরই আমরা এখানে অসহায়।’
নির্মাতা অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘মৃত্যুও পবিত্র সুন্দর হতে পারে, শহীদ হাদিকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।’
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ওসমান হাদির একটি ছবি প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান বিন হাদি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন।’
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল হাদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই খুব কষ্টের আর একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো না। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, আর তাঁর শোকাহত পরিবারকে, বিশেষ করে তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে ধৈর্য, শক্তি আর সান্ত্বনা দেন।’ গণমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শোক জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটি আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে। আগুন ভবন ধ্বংস করতে পারে, সাহস নয়।’
সংগীতশিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রাজনৈতিক সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে অর্ণব লিখেছেন, ‘আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং ভোট দিতে হবে... নয়তো সংগীতশিল্পীরা বিপদে পড়ব। দেখুন ছায়ানটের সাথে কী করেছে! আমাদের পাল্টা লড়াইয়ের একমাত্র উপায় ভোট দেওয়া এবং অন্যদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।’
অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান লিখেছেন, ‘ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাঁর পরিবার, তাঁর ছোট্ট বাবুটা এই শোক কাটিয়ে উঠুক। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক হে দয়াময়।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘ওসমান হাদি, শান্তিতে ঘুমান। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন এবং আপনার পরিবার ও সন্তানকে শক্তি দিন। তারা হয়তো আপনাকে হত্যা করেছে কিন্তু আপনার শুরু করা লড়াই তারা থামাতে পারবে না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুর প্রতিবাদের ভাষা ভাঙচুর, নৈরাজ্য হতে পারে না। এই মুহূর্তে সবার এক থাকা প্রয়োজন। দেশে বিশৃঙ্খলা যারা করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের সম্পদের আর ভবিষ্যতের বারোটা বাজায়েন না!’

বাংলাদেশের এই নতুন সংস্করণের (পড়ুন ওটিটি) গোয়েন্দাটির মনে দ্বিধা আছে। নিজের কাজ নিয়ে সংশয়ও আছে। আছে প্রয়োজনে ‘মুখ খারাপ’ করার অভ্যাস। এই গোয়েন্দা যেমন নিজে কাঁদতে পারে, তেমনি সুযোগ বুঝে অন্যের মুখে আনতে পারে মুচকি হাসি। আর এই সবকিছু নিয়েই ‘কাইজার’।
১০ জুলাই ২০২২
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে। প্রিন্সেস এজেন্টস এবার আসছে বাংলা ভাষায়। দীপ্ত টিভিতে ‘রহস্যময়ী’ নামে আজ ২০ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট ও রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।
তিনটি অভিজাত বংশ ওয়েই, ইউয়েন আর ঝাওদের নিয়ে এগিয়ে গেছে ধারাবাহিকের গল্প। সঙ্গে যুক্ত হয় ইয়ান পরিবার এবং কয়েকটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাদেশিক শাসনকর্তারা যেন বিদ্রোহ করতে না পারে, সে জন্য ওয়েই সম্রাট প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের একজন করে ছেলেকে নিজের কাছে এনে রাখে। মার্কুইস ডিংবেই নামে পরিচিত উত্তর ইয়ানের শাসনকর্তা ইয়ান শিচেংয়ের ছেলে প্রিন্স ইয়ান শুন সম্রাটের কাছে বড় হতে থাকে।
ইউয়েন পরিবারের দুজন উত্তরসূরি—ইউয়েন ইউয়ে ও ইউয়েন হুয়ায়। ইউয়েন ইউয়ে অত্যন্ত ধীরস্থির, সৎ এবং কোমল মানসিকতাসম্পন্ন হলেও ইউয়েন হুয়ায় বেশ নিষ্ঠুর আর চঞ্চল। সে যেভাবেই হোক ইউয়েন ইউয়েকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। ঘটনাক্রমে ইউয়েন পরিবারে আগমন ঘটে বিখ্যাত গুপ্তচর লুহির মেয়ে চু-চিয়াওর। অতীতের কিছুই মনে করতে পারে না সে। নিজের যোগ্যতা দিয়ে সে ইউয়েন ইউয়ের ব্যক্তিগত দাসী নির্বাচিত হয়। প্রথম দেখাতেই চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় লর্ড ইউয়েন ইউয়ে। কিন্তু নিজের সামাজিক অবস্থানের জন্য বিষয়টাকে সে কোনোভাবেই প্রকাশ হতে দিতে চায় না।
অন্যদিকে মার্শাল আর্টে দক্ষতা দেখে চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। ইউয়েন, ঝাও আর ওয়েইদের মিলিত ষড়যন্ত্রে প্রিন্স ইয়ান শুনের বাবা মার্কুইস ডিংবেই এবং তার পুরো পরিবার প্রাণ হারায়। পরিবারের সঙ্গে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। কিন্তু তরুণ লর্ডরা যেভাবেই হোক ইয়ান শুনকে সরিয়ে দিতে চায়। অন্যদিকে সম্রাট চান ইয়ান শুনকে গৃহবন্দী করে উত্তর ইয়ানের ওপর নিয়ন্ত্রণ।
রহস্যময়ী ধারাবাহিকটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু, প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল।

প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে। প্রিন্সেস এজেন্টস এবার আসছে বাংলা ভাষায়। দীপ্ত টিভিতে ‘রহস্যময়ী’ নামে আজ ২০ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট ও রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।
তিনটি অভিজাত বংশ ওয়েই, ইউয়েন আর ঝাওদের নিয়ে এগিয়ে গেছে ধারাবাহিকের গল্প। সঙ্গে যুক্ত হয় ইয়ান পরিবার এবং কয়েকটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাদেশিক শাসনকর্তারা যেন বিদ্রোহ করতে না পারে, সে জন্য ওয়েই সম্রাট প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের একজন করে ছেলেকে নিজের কাছে এনে রাখে। মার্কুইস ডিংবেই নামে পরিচিত উত্তর ইয়ানের শাসনকর্তা ইয়ান শিচেংয়ের ছেলে প্রিন্স ইয়ান শুন সম্রাটের কাছে বড় হতে থাকে।
ইউয়েন পরিবারের দুজন উত্তরসূরি—ইউয়েন ইউয়ে ও ইউয়েন হুয়ায়। ইউয়েন ইউয়ে অত্যন্ত ধীরস্থির, সৎ এবং কোমল মানসিকতাসম্পন্ন হলেও ইউয়েন হুয়ায় বেশ নিষ্ঠুর আর চঞ্চল। সে যেভাবেই হোক ইউয়েন ইউয়েকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। ঘটনাক্রমে ইউয়েন পরিবারে আগমন ঘটে বিখ্যাত গুপ্তচর লুহির মেয়ে চু-চিয়াওর। অতীতের কিছুই মনে করতে পারে না সে। নিজের যোগ্যতা দিয়ে সে ইউয়েন ইউয়ের ব্যক্তিগত দাসী নির্বাচিত হয়। প্রথম দেখাতেই চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় লর্ড ইউয়েন ইউয়ে। কিন্তু নিজের সামাজিক অবস্থানের জন্য বিষয়টাকে সে কোনোভাবেই প্রকাশ হতে দিতে চায় না।
অন্যদিকে মার্শাল আর্টে দক্ষতা দেখে চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। ইউয়েন, ঝাও আর ওয়েইদের মিলিত ষড়যন্ত্রে প্রিন্স ইয়ান শুনের বাবা মার্কুইস ডিংবেই এবং তার পুরো পরিবার প্রাণ হারায়। পরিবারের সঙ্গে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। কিন্তু তরুণ লর্ডরা যেভাবেই হোক ইয়ান শুনকে সরিয়ে দিতে চায়। অন্যদিকে সম্রাট চান ইয়ান শুনকে গৃহবন্দী করে উত্তর ইয়ানের ওপর নিয়ন্ত্রণ।
রহস্যময়ী ধারাবাহিকটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু, প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল।

বাংলাদেশের এই নতুন সংস্করণের (পড়ুন ওটিটি) গোয়েন্দাটির মনে দ্বিধা আছে। নিজের কাজ নিয়ে সংশয়ও আছে। আছে প্রয়োজনে ‘মুখ খারাপ’ করার অভ্যাস। এই গোয়েন্দা যেমন নিজে কাঁদতে পারে, তেমনি সুযোগ বুঝে অন্যের মুখে আনতে পারে মুচকি হাসি। আর এই সবকিছু নিয়েই ‘কাইজার’।
১০ জুলাই ২০২২
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
৮ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার। এই সাফল্য কাঁধে নিয়েই নতুন জার্নি শুরু করেছেন টম। যুক্ত হয়েছেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুর ‘ডিগার’ সিনেমায়।
ইনারিতুর পরিচালনায় কাজ করতে চলেছেন টম ক্রুজ, এ খবর আগেই জানানো হয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার শিরোনাম, পোস্টার এবং ৫০ সেকেন্ডের একটি অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ওয়ার্নার ব্রস ও লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ডিগার মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর। এবার আর অ্যাকশন নয়, কমেডি চরিত্রে দেখা দেবেন টম ক্রুজ। টিজারে দেখা গেল, একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় বেলচা হাতে নাচতে নাচতে ঢুকলেন টম। তারপর চরিত্রটিকে দেখা গেল জাহাজে। একইভাবে বেলচা হাতে নাচতে নাচতে রেলিং ধরে হাঁটছে।
জানা গেছে, ডিগার সিনেমায় রকওয়েল নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। টিজারে আলো-আঁধারিতে যতখানি দেখা গেল, তাতে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক লুকে এ সিনেমায় হাজির হবেন তিনি। সিনেমার গল্প কী, তা জানা না গেলেও ধারণা মিলেছে, এতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র হিসেবে দেখা যাবে টমকে। মানবতার ত্রাণকর্তারূপে এক ভয়ংকর মিশনে নেমেছে রকওয়েল চরিত্রটি। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর পর ডিগার দিয়ে আবার ইংরেজি ভাষার সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন ইনারিতু। যুক্তরাজ্যে ছয় মাস ধরে হয়েছে শুটিং। এতে শুধু অভিনয় নয়, ইনারিতুর সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন টম ক্রুজ। তিনি ছাড়া অভিনয়ে আরও আছেন সান্ড্রা হুলার, জন গুডম্যান, মাইকেল স্টুলবার্গ, জেসি প্লেমন্স, সোফি ওয়াইল্ড, রিজ আহমেদ, এমা ডি’আর্সি প্রমুখ।
আগামী ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে ডিগার সিনেমার। সেখানেই ইনারিতুর তিনটি সিনেমা ‘বারদো: ফলস ক্রনিকল অব আ হ্যান্ডফুল অব ট্রুথস’, ‘বার্ডম্যান’ এবং ‘টোয়েন্টি ওয়ান গ্রামস’ প্রদর্শিত হয়েছিল। ডিগার সিনেমাকে নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতু বর্ণনা করেছেন ‘বিপর্যয়কর মাত্রার একটি নিষ্ঠুর এবং বন্য কমেডি’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এটি একই সঙ্গে ভয়ংকর, মজার ও সুন্দর। আমি জানি, দর্শক আমার কিংবা টমের কাছ থেকে কমেডি সিনেমা আশা করে না। তবে এর কাহিনিতে কমেডির সঙ্গে অনেকটা ভয়ের মিশেলও থাকবে।’

দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার। এই সাফল্য কাঁধে নিয়েই নতুন জার্নি শুরু করেছেন টম। যুক্ত হয়েছেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুর ‘ডিগার’ সিনেমায়।
ইনারিতুর পরিচালনায় কাজ করতে চলেছেন টম ক্রুজ, এ খবর আগেই জানানো হয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার শিরোনাম, পোস্টার এবং ৫০ সেকেন্ডের একটি অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ওয়ার্নার ব্রস ও লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ডিগার মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর। এবার আর অ্যাকশন নয়, কমেডি চরিত্রে দেখা দেবেন টম ক্রুজ। টিজারে দেখা গেল, একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় বেলচা হাতে নাচতে নাচতে ঢুকলেন টম। তারপর চরিত্রটিকে দেখা গেল জাহাজে। একইভাবে বেলচা হাতে নাচতে নাচতে রেলিং ধরে হাঁটছে।
জানা গেছে, ডিগার সিনেমায় রকওয়েল নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। টিজারে আলো-আঁধারিতে যতখানি দেখা গেল, তাতে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক লুকে এ সিনেমায় হাজির হবেন তিনি। সিনেমার গল্প কী, তা জানা না গেলেও ধারণা মিলেছে, এতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র হিসেবে দেখা যাবে টমকে। মানবতার ত্রাণকর্তারূপে এক ভয়ংকর মিশনে নেমেছে রকওয়েল চরিত্রটি। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর পর ডিগার দিয়ে আবার ইংরেজি ভাষার সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন ইনারিতু। যুক্তরাজ্যে ছয় মাস ধরে হয়েছে শুটিং। এতে শুধু অভিনয় নয়, ইনারিতুর সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন টম ক্রুজ। তিনি ছাড়া অভিনয়ে আরও আছেন সান্ড্রা হুলার, জন গুডম্যান, মাইকেল স্টুলবার্গ, জেসি প্লেমন্স, সোফি ওয়াইল্ড, রিজ আহমেদ, এমা ডি’আর্সি প্রমুখ।
আগামী ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে ডিগার সিনেমার। সেখানেই ইনারিতুর তিনটি সিনেমা ‘বারদো: ফলস ক্রনিকল অব আ হ্যান্ডফুল অব ট্রুথস’, ‘বার্ডম্যান’ এবং ‘টোয়েন্টি ওয়ান গ্রামস’ প্রদর্শিত হয়েছিল। ডিগার সিনেমাকে নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতু বর্ণনা করেছেন ‘বিপর্যয়কর মাত্রার একটি নিষ্ঠুর এবং বন্য কমেডি’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এটি একই সঙ্গে ভয়ংকর, মজার ও সুন্দর। আমি জানি, দর্শক আমার কিংবা টমের কাছ থেকে কমেডি সিনেমা আশা করে না। তবে এর কাহিনিতে কমেডির সঙ্গে অনেকটা ভয়ের মিশেলও থাকবে।’

বাংলাদেশের এই নতুন সংস্করণের (পড়ুন ওটিটি) গোয়েন্দাটির মনে দ্বিধা আছে। নিজের কাজ নিয়ে সংশয়ও আছে। আছে প্রয়োজনে ‘মুখ খারাপ’ করার অভ্যাস। এই গোয়েন্দা যেমন নিজে কাঁদতে পারে, তেমনি সুযোগ বুঝে অন্যের মুখে আনতে পারে মুচকি হাসি। আর এই সবকিছু নিয়েই ‘কাইজার’।
১০ জুলাই ২০২২
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে