
ফুটবলে স্টেডিয়াম বরাবরই দর্শকদের আগ্রহের বিষয়। কোন মাঠে খেলা হচ্ছে, সেখানে দর্শক উপস্থিতি কেমন হতে পারে, সুযোগ-সুবিধা কেমন, সেসব জানতে সাধারণ দর্শক সব সময় উৎসুক হয়ে থাকে। এমনকি স্টেডিয়ামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়েও দর্শকের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। তবে স্টেডিয়াম নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বড় আয়োজনগুলোকে কেন্দ্র করে। যেমন ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের সময় যতই কাছে আসতে থাকে, তারকা ও খেলার পাশাপাশি স্টেডিয়ামগুলো ঘিরেও চলে নানা আলাপ-আলোচনা।
কাতার বিশ্বকাপেও সবার চোখ থাকবে স্টেডিয়ামগুলোর দিকে। সেগুলোর রঙিন আলোর নিচেই ভাগ্য নির্ধারিত হবে দলগুলোর। সেখানে কেউ উচ্ছ্বাসে ভাসবে, অন্য কেউ পুড়বে হতাশায়। বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে আটটি স্টেডিয়ামে খেলা হবে। এসব স্টেডিয়ামের বেশির ভাগই বিশ্বকাপ সামনে রেখে নতুনভাবে নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। যেসব স্টেডিয়ামে শিরোপার জন্য দলগুলোর লড়বে, সেসব মাঠ সম্পর্কে একনজরে জেনে নেওয়া যাক।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম
কাতারের সবচেয়ে আইকনিক স্টেডিয়ামগুলোর একটি হচ্ছে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। দোহায় এই স্টেডিয়াম প্রথম চালু করা হয় ১৯৭৬ সালে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ২০১৭ সাল থেকে এই স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ শুরু করা হয়। কাতারের ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার ৪১৬। এর মধ্যে এশিয়ান গেমস দ্য গলফ কাপ এবং এএফসি এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে এই মাঠ। এখন অপেক্ষা কেবল বিশ্বকাপের বাঁশি বাজার।
আল-জানোব স্টেডিয়াম
বিশ্বকাপ সামনে রেখেই কাতারের আল-ওাকারাহ অঞ্চলে বানানো হয়েছে আল জানোব স্টেডিয়াম। ২০১৯ সালে আমির কাপ ফাইনাল দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এই স্টেডিয়াম। সেই ম্যাচে আল-সাদকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে আল-দুহাইল ক্লাব। এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। স্টেডিয়ামটি ডিজাইন করেছেন ব্রিটিশ-ইরাকি স্থপতি জাহা হাদিদ। স্থানীয় বিশেষ একটি বোটের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে এই স্টেডিয়াম।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম
কাতার ফাউন্ডেশনের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের অবস্থান আল-রাইয়ানে। ৪০ হাজার আসনবিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয় ডিজিটাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এই স্টেডিয়ামে ২০ শতাংশ সবুজ কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়ামগুলোর একটি। ২০০৩ সালে এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হলেও বিশ্বকাপ সামনে রেখে ফের সংস্কার করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি।
আল-থুমামা স্টেডিয়াম
গত বছর আমির কাপ ফাইনাল দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে আল থুমামা স্টেডিয়াম। কাতারি স্থপতি ইব্রাহিম এম জাইদাহ এই স্টেডিয়ামের নকশা করেছেন। আরব দেশে টুপি পরা লোকের মাথার মতো করে বানানো হয়েছে স্টেডিয়ামটি। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো হবে এই স্টেডিয়ামে।
স্টেডিয়াম ৯৭৪
২০২১ সালের ২০ নভেম্বর বিশেষ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর। শিপিং কনটেইনার দিয়ে স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ফিফা আরব কাপের শুরুর দিনে এই মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলা হয়। স্টেডিয়ামে প্রাকৃতিকভাবে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেখানে কোনো কুলিং টেকেরও প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপের পর এটি ভেঙে ফেলা হবে। বিশ্বকাপে নকআউট পর্বের ম্যাচসহ এখানে সব মিলিয়ে খেলা হবে সাতটি।
লুসাইল স্টেডিয়াম
কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের দিকে। কাতারের লুসাইল এলাকায় অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। এটি কাতারের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামও বটে। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা প্রায় ৮০ হাজার। দোহা থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে এই স্টেডিয়ামের অবস্থান। ফাইনাল ও সেমিফাইনালসহ এই মাঠে ম্যাচ হবে ১০টি। গ্রুপ পর্বে আলাদা ম্যাচে এই মাঠে খেলতে নামবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালের মতো ফেবারিটরা। ২২ নভেম্বর ২০২১ সালে মাঠটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।
আল-বায়াত স্টেডিয়াম
লুসাইল স্টেডিয়ামের পর সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে আল-বায়াত স্টেডিয়ামের দিকে। আরব কাপে বাহরাইন-কাতার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে এই স্টেডিয়াম। এই মাঠের ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার। এটি কাতারের বড় মাঠগুলোর একটি। বিশ্বকাপের ৯টি ম্যাচ হবে মাঠটিতে। একটি সেমিফাইনাল, একটি কোয়ার্টার ফাইনাল, একটি দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচসহ মোট ৯টি খেলা হবে এই মাঠে।
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম, যেটি ‘আল-রাইয়ান স্টেডিয়াম’ নামেও অনেক বেশি পরিচিত। আল-রাইয়ান ও আল-খারিথিয়াত ক্লাব এই স্টেডিয়ামকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এই মাঠ প্রথম তৈরি করা হয় ২০০৩ সালে। তখন স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ছিল ২১ হাজারের মতো। তবে নতুন করে সংস্কার করার পর এই মাঠের ধারণক্ষমতা দাঁড়ায় ৫০ হাজার। বিশ্বকাপে এই মাঠে হবে সাতটি ম্যাচ।
পরিশেষে
স্টেডিয়ামের পরিচিতি পর্ব শেষ। এখন অপেক্ষা বাঁশি বাজার। বিশ্বকাপে প্রায় এক মাস ধরে এই স্টেডিয়ামগুলোর ওপরই চোখ রাখবেন ফুটবলপ্রেমীরা। এখানেই রচিত হবে আনন্দ ও বেদনায় ভাসার উপাখ্যানও।
কাতার বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ফুটবলে স্টেডিয়াম বরাবরই দর্শকদের আগ্রহের বিষয়। কোন মাঠে খেলা হচ্ছে, সেখানে দর্শক উপস্থিতি কেমন হতে পারে, সুযোগ-সুবিধা কেমন, সেসব জানতে সাধারণ দর্শক সব সময় উৎসুক হয়ে থাকে। এমনকি স্টেডিয়ামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়েও দর্শকের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। তবে স্টেডিয়াম নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বড় আয়োজনগুলোকে কেন্দ্র করে। যেমন ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের সময় যতই কাছে আসতে থাকে, তারকা ও খেলার পাশাপাশি স্টেডিয়ামগুলো ঘিরেও চলে নানা আলাপ-আলোচনা।
কাতার বিশ্বকাপেও সবার চোখ থাকবে স্টেডিয়ামগুলোর দিকে। সেগুলোর রঙিন আলোর নিচেই ভাগ্য নির্ধারিত হবে দলগুলোর। সেখানে কেউ উচ্ছ্বাসে ভাসবে, অন্য কেউ পুড়বে হতাশায়। বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে আটটি স্টেডিয়ামে খেলা হবে। এসব স্টেডিয়ামের বেশির ভাগই বিশ্বকাপ সামনে রেখে নতুনভাবে নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। যেসব স্টেডিয়ামে শিরোপার জন্য দলগুলোর লড়বে, সেসব মাঠ সম্পর্কে একনজরে জেনে নেওয়া যাক।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম
কাতারের সবচেয়ে আইকনিক স্টেডিয়ামগুলোর একটি হচ্ছে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। দোহায় এই স্টেডিয়াম প্রথম চালু করা হয় ১৯৭৬ সালে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ২০১৭ সাল থেকে এই স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ শুরু করা হয়। কাতারের ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার ৪১৬। এর মধ্যে এশিয়ান গেমস দ্য গলফ কাপ এবং এএফসি এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে এই মাঠ। এখন অপেক্ষা কেবল বিশ্বকাপের বাঁশি বাজার।
আল-জানোব স্টেডিয়াম
বিশ্বকাপ সামনে রেখেই কাতারের আল-ওাকারাহ অঞ্চলে বানানো হয়েছে আল জানোব স্টেডিয়াম। ২০১৯ সালে আমির কাপ ফাইনাল দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এই স্টেডিয়াম। সেই ম্যাচে আল-সাদকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে আল-দুহাইল ক্লাব। এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। স্টেডিয়ামটি ডিজাইন করেছেন ব্রিটিশ-ইরাকি স্থপতি জাহা হাদিদ। স্থানীয় বিশেষ একটি বোটের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে এই স্টেডিয়াম।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম
কাতার ফাউন্ডেশনের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের অবস্থান আল-রাইয়ানে। ৪০ হাজার আসনবিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয় ডিজিটাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এই স্টেডিয়ামে ২০ শতাংশ সবুজ কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়ামগুলোর একটি। ২০০৩ সালে এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হলেও বিশ্বকাপ সামনে রেখে ফের সংস্কার করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি।
আল-থুমামা স্টেডিয়াম
গত বছর আমির কাপ ফাইনাল দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে আল থুমামা স্টেডিয়াম। কাতারি স্থপতি ইব্রাহিম এম জাইদাহ এই স্টেডিয়ামের নকশা করেছেন। আরব দেশে টুপি পরা লোকের মাথার মতো করে বানানো হয়েছে স্টেডিয়ামটি। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো হবে এই স্টেডিয়ামে।
স্টেডিয়াম ৯৭৪
২০২১ সালের ২০ নভেম্বর বিশেষ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর। শিপিং কনটেইনার দিয়ে স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ফিফা আরব কাপের শুরুর দিনে এই মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলা হয়। স্টেডিয়ামে প্রাকৃতিকভাবে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেখানে কোনো কুলিং টেকেরও প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপের পর এটি ভেঙে ফেলা হবে। বিশ্বকাপে নকআউট পর্বের ম্যাচসহ এখানে সব মিলিয়ে খেলা হবে সাতটি।
লুসাইল স্টেডিয়াম
কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের দিকে। কাতারের লুসাইল এলাকায় অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। এটি কাতারের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামও বটে। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা প্রায় ৮০ হাজার। দোহা থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে এই স্টেডিয়ামের অবস্থান। ফাইনাল ও সেমিফাইনালসহ এই মাঠে ম্যাচ হবে ১০টি। গ্রুপ পর্বে আলাদা ম্যাচে এই মাঠে খেলতে নামবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালের মতো ফেবারিটরা। ২২ নভেম্বর ২০২১ সালে মাঠটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।
আল-বায়াত স্টেডিয়াম
লুসাইল স্টেডিয়ামের পর সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে আল-বায়াত স্টেডিয়ামের দিকে। আরব কাপে বাহরাইন-কাতার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে এই স্টেডিয়াম। এই মাঠের ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার। এটি কাতারের বড় মাঠগুলোর একটি। বিশ্বকাপের ৯টি ম্যাচ হবে মাঠটিতে। একটি সেমিফাইনাল, একটি কোয়ার্টার ফাইনাল, একটি দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচসহ মোট ৯টি খেলা হবে এই মাঠে।
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম, যেটি ‘আল-রাইয়ান স্টেডিয়াম’ নামেও অনেক বেশি পরিচিত। আল-রাইয়ান ও আল-খারিথিয়াত ক্লাব এই স্টেডিয়ামকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এই মাঠ প্রথম তৈরি করা হয় ২০০৩ সালে। তখন স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ছিল ২১ হাজারের মতো। তবে নতুন করে সংস্কার করার পর এই মাঠের ধারণক্ষমতা দাঁড়ায় ৫০ হাজার। বিশ্বকাপে এই মাঠে হবে সাতটি ম্যাচ।
পরিশেষে
স্টেডিয়ামের পরিচিতি পর্ব শেষ। এখন অপেক্ষা বাঁশি বাজার। বিশ্বকাপে প্রায় এক মাস ধরে এই স্টেডিয়ামগুলোর ওপরই চোখ রাখবেন ফুটবলপ্রেমীরা। এখানেই রচিত হবে আনন্দ ও বেদনায় ভাসার উপাখ্যানও।
কাতার বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ফুটবলে স্টেডিয়াম বরাবরই দর্শকদের আগ্রহের বিষয়। কোন মাঠে খেলা হচ্ছে, সেখানে দর্শক উপস্থিতি কেমন হতে পারে, সুযোগ-সুবিধা কেমন, সেসব জানতে সাধারণ দর্শক সব সময় উৎসুক হয়ে থাকে। এমনকি স্টেডিয়ামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়েও দর্শকের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। তবে স্টেডিয়াম নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বড় আয়োজনগুলোকে কেন্দ্র করে। যেমন ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের সময় যতই কাছে আসতে থাকে, তারকা ও খেলার পাশাপাশি স্টেডিয়ামগুলো ঘিরেও চলে নানা আলাপ-আলোচনা।
কাতার বিশ্বকাপেও সবার চোখ থাকবে স্টেডিয়ামগুলোর দিকে। সেগুলোর রঙিন আলোর নিচেই ভাগ্য নির্ধারিত হবে দলগুলোর। সেখানে কেউ উচ্ছ্বাসে ভাসবে, অন্য কেউ পুড়বে হতাশায়। বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে আটটি স্টেডিয়ামে খেলা হবে। এসব স্টেডিয়ামের বেশির ভাগই বিশ্বকাপ সামনে রেখে নতুনভাবে নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। যেসব স্টেডিয়ামে শিরোপার জন্য দলগুলোর লড়বে, সেসব মাঠ সম্পর্কে একনজরে জেনে নেওয়া যাক।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম
কাতারের সবচেয়ে আইকনিক স্টেডিয়ামগুলোর একটি হচ্ছে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। দোহায় এই স্টেডিয়াম প্রথম চালু করা হয় ১৯৭৬ সালে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ২০১৭ সাল থেকে এই স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ শুরু করা হয়। কাতারের ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার ৪১৬। এর মধ্যে এশিয়ান গেমস দ্য গলফ কাপ এবং এএফসি এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে এই মাঠ। এখন অপেক্ষা কেবল বিশ্বকাপের বাঁশি বাজার।
আল-জানোব স্টেডিয়াম
বিশ্বকাপ সামনে রেখেই কাতারের আল-ওাকারাহ অঞ্চলে বানানো হয়েছে আল জানোব স্টেডিয়াম। ২০১৯ সালে আমির কাপ ফাইনাল দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এই স্টেডিয়াম। সেই ম্যাচে আল-সাদকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে আল-দুহাইল ক্লাব। এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। স্টেডিয়ামটি ডিজাইন করেছেন ব্রিটিশ-ইরাকি স্থপতি জাহা হাদিদ। স্থানীয় বিশেষ একটি বোটের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে এই স্টেডিয়াম।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম
কাতার ফাউন্ডেশনের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের অবস্থান আল-রাইয়ানে। ৪০ হাজার আসনবিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয় ডিজিটাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এই স্টেডিয়ামে ২০ শতাংশ সবুজ কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়ামগুলোর একটি। ২০০৩ সালে এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হলেও বিশ্বকাপ সামনে রেখে ফের সংস্কার করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি।
আল-থুমামা স্টেডিয়াম
গত বছর আমির কাপ ফাইনাল দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে আল থুমামা স্টেডিয়াম। কাতারি স্থপতি ইব্রাহিম এম জাইদাহ এই স্টেডিয়ামের নকশা করেছেন। আরব দেশে টুপি পরা লোকের মাথার মতো করে বানানো হয়েছে স্টেডিয়ামটি। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো হবে এই স্টেডিয়ামে।
স্টেডিয়াম ৯৭৪
২০২১ সালের ২০ নভেম্বর বিশেষ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর। শিপিং কনটেইনার দিয়ে স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ফিফা আরব কাপের শুরুর দিনে এই মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলা হয়। স্টেডিয়ামে প্রাকৃতিকভাবে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেখানে কোনো কুলিং টেকেরও প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপের পর এটি ভেঙে ফেলা হবে। বিশ্বকাপে নকআউট পর্বের ম্যাচসহ এখানে সব মিলিয়ে খেলা হবে সাতটি।
লুসাইল স্টেডিয়াম
কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের দিকে। কাতারের লুসাইল এলাকায় অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। এটি কাতারের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামও বটে। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা প্রায় ৮০ হাজার। দোহা থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে এই স্টেডিয়ামের অবস্থান। ফাইনাল ও সেমিফাইনালসহ এই মাঠে ম্যাচ হবে ১০টি। গ্রুপ পর্বে আলাদা ম্যাচে এই মাঠে খেলতে নামবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালের মতো ফেবারিটরা। ২২ নভেম্বর ২০২১ সালে মাঠটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।
আল-বায়াত স্টেডিয়াম
লুসাইল স্টেডিয়ামের পর সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে আল-বায়াত স্টেডিয়ামের দিকে। আরব কাপে বাহরাইন-কাতার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে এই স্টেডিয়াম। এই মাঠের ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার। এটি কাতারের বড় মাঠগুলোর একটি। বিশ্বকাপের ৯টি ম্যাচ হবে মাঠটিতে। একটি সেমিফাইনাল, একটি কোয়ার্টার ফাইনাল, একটি দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচসহ মোট ৯টি খেলা হবে এই মাঠে।
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম, যেটি ‘আল-রাইয়ান স্টেডিয়াম’ নামেও অনেক বেশি পরিচিত। আল-রাইয়ান ও আল-খারিথিয়াত ক্লাব এই স্টেডিয়ামকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এই মাঠ প্রথম তৈরি করা হয় ২০০৩ সালে। তখন স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ছিল ২১ হাজারের মতো। তবে নতুন করে সংস্কার করার পর এই মাঠের ধারণক্ষমতা দাঁড়ায় ৫০ হাজার। বিশ্বকাপে এই মাঠে হবে সাতটি ম্যাচ।
পরিশেষে
স্টেডিয়ামের পরিচিতি পর্ব শেষ। এখন অপেক্ষা বাঁশি বাজার। বিশ্বকাপে প্রায় এক মাস ধরে এই স্টেডিয়ামগুলোর ওপরই চোখ রাখবেন ফুটবলপ্রেমীরা। এখানেই রচিত হবে আনন্দ ও বেদনায় ভাসার উপাখ্যানও।
কাতার বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ফুটবলে স্টেডিয়াম বরাবরই দর্শকদের আগ্রহের বিষয়। কোন মাঠে খেলা হচ্ছে, সেখানে দর্শক উপস্থিতি কেমন হতে পারে, সুযোগ-সুবিধা কেমন, সেসব জানতে সাধারণ দর্শক সব সময় উৎসুক হয়ে থাকে। এমনকি স্টেডিয়ামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়েও দর্শকের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। তবে স্টেডিয়াম নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বড় আয়োজনগুলোকে কেন্দ্র করে। যেমন ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের সময় যতই কাছে আসতে থাকে, তারকা ও খেলার পাশাপাশি স্টেডিয়ামগুলো ঘিরেও চলে নানা আলাপ-আলোচনা।
কাতার বিশ্বকাপেও সবার চোখ থাকবে স্টেডিয়ামগুলোর দিকে। সেগুলোর রঙিন আলোর নিচেই ভাগ্য নির্ধারিত হবে দলগুলোর। সেখানে কেউ উচ্ছ্বাসে ভাসবে, অন্য কেউ পুড়বে হতাশায়। বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে আটটি স্টেডিয়ামে খেলা হবে। এসব স্টেডিয়ামের বেশির ভাগই বিশ্বকাপ সামনে রেখে নতুনভাবে নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। যেসব স্টেডিয়ামে শিরোপার জন্য দলগুলোর লড়বে, সেসব মাঠ সম্পর্কে একনজরে জেনে নেওয়া যাক।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম
কাতারের সবচেয়ে আইকনিক স্টেডিয়ামগুলোর একটি হচ্ছে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। দোহায় এই স্টেডিয়াম প্রথম চালু করা হয় ১৯৭৬ সালে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ২০১৭ সাল থেকে এই স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ শুরু করা হয়। কাতারের ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার ৪১৬। এর মধ্যে এশিয়ান গেমস দ্য গলফ কাপ এবং এএফসি এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে এই মাঠ। এখন অপেক্ষা কেবল বিশ্বকাপের বাঁশি বাজার।
আল-জানোব স্টেডিয়াম
বিশ্বকাপ সামনে রেখেই কাতারের আল-ওাকারাহ অঞ্চলে বানানো হয়েছে আল জানোব স্টেডিয়াম। ২০১৯ সালে আমির কাপ ফাইনাল দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এই স্টেডিয়াম। সেই ম্যাচে আল-সাদকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে আল-দুহাইল ক্লাব। এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। স্টেডিয়ামটি ডিজাইন করেছেন ব্রিটিশ-ইরাকি স্থপতি জাহা হাদিদ। স্থানীয় বিশেষ একটি বোটের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে এই স্টেডিয়াম।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম
কাতার ফাউন্ডেশনের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের অবস্থান আল-রাইয়ানে। ৪০ হাজার আসনবিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয় ডিজিটাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এই স্টেডিয়ামে ২০ শতাংশ সবুজ কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়ামগুলোর একটি। ২০০৩ সালে এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হলেও বিশ্বকাপ সামনে রেখে ফের সংস্কার করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি।
আল-থুমামা স্টেডিয়াম
গত বছর আমির কাপ ফাইনাল দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে আল থুমামা স্টেডিয়াম। কাতারি স্থপতি ইব্রাহিম এম জাইদাহ এই স্টেডিয়ামের নকশা করেছেন। আরব দেশে টুপি পরা লোকের মাথার মতো করে বানানো হয়েছে স্টেডিয়ামটি। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো হবে এই স্টেডিয়ামে।
স্টেডিয়াম ৯৭৪
২০২১ সালের ২০ নভেম্বর বিশেষ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় স্টেডিয়াম ৯৭৪-এর। শিপিং কনটেইনার দিয়ে স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ফিফা আরব কাপের শুরুর দিনে এই মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলা হয়। স্টেডিয়ামে প্রাকৃতিকভাবে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেখানে কোনো কুলিং টেকেরও প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপের পর এটি ভেঙে ফেলা হবে। বিশ্বকাপে নকআউট পর্বের ম্যাচসহ এখানে সব মিলিয়ে খেলা হবে সাতটি।
লুসাইল স্টেডিয়াম
কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের দিকে। কাতারের লুসাইল এলাকায় অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। এটি কাতারের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামও বটে। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা প্রায় ৮০ হাজার। দোহা থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে এই স্টেডিয়ামের অবস্থান। ফাইনাল ও সেমিফাইনালসহ এই মাঠে ম্যাচ হবে ১০টি। গ্রুপ পর্বে আলাদা ম্যাচে এই মাঠে খেলতে নামবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালের মতো ফেবারিটরা। ২২ নভেম্বর ২০২১ সালে মাঠটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।
আল-বায়াত স্টেডিয়াম
লুসাইল স্টেডিয়ামের পর সবচেয়ে বেশি চোখ থাকবে আল-বায়াত স্টেডিয়ামের দিকে। আরব কাপে বাহরাইন-কাতার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে এই স্টেডিয়াম। এই মাঠের ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার। এটি কাতারের বড় মাঠগুলোর একটি। বিশ্বকাপের ৯টি ম্যাচ হবে মাঠটিতে। একটি সেমিফাইনাল, একটি কোয়ার্টার ফাইনাল, একটি দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচসহ মোট ৯টি খেলা হবে এই মাঠে।
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম, যেটি ‘আল-রাইয়ান স্টেডিয়াম’ নামেও অনেক বেশি পরিচিত। আল-রাইয়ান ও আল-খারিথিয়াত ক্লাব এই স্টেডিয়ামকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এই মাঠ প্রথম তৈরি করা হয় ২০০৩ সালে। তখন স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ছিল ২১ হাজারের মতো। তবে নতুন করে সংস্কার করার পর এই মাঠের ধারণক্ষমতা দাঁড়ায় ৫০ হাজার। বিশ্বকাপে এই মাঠে হবে সাতটি ম্যাচ।
পরিশেষে
স্টেডিয়ামের পরিচিতি পর্ব শেষ। এখন অপেক্ষা বাঁশি বাজার। বিশ্বকাপে প্রায় এক মাস ধরে এই স্টেডিয়ামগুলোর ওপরই চোখ রাখবেন ফুটবলপ্রেমীরা। এখানেই রচিত হবে আনন্দ ও বেদনায় ভাসার উপাখ্যানও।
কাতার বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
১৮ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিজয়ের আরেক নাম। যখন বিজয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ, তখন ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। ১৪ ডিসেম্বর দেশের চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছিল তারা।
১ ঘণ্টা আগে
সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ বেশ মজাই করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মজার ছলে এমন উত্তর দিয়েছেন, অলিম্পিক ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে গেছে। সোহান এবার সাংবাদিকদের ভুল ধরার অপেক্ষায় আছেন।
২ ঘণ্টা আগে
নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হলো প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। ঘরোয়া ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে যা যা ঘটল, সেটা মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
বাংলাদেশ সময় আজ নির্ধারিত সকাল ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির বাগড়ায় ভারত-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচ এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১ ওভার কমানো হয়েছে। দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ৪৯ ওভারের ম্যাচে ভারত ৯০ রানের উড়ন্ত জয় পেয়েছে। টানা দুই জয়ে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি।
৪৯ ওভারে ২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০ রানে পরিণত হয় পাকিস্তান। পঞ্চম উইকেটে ৬৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ফারহান ইউসাফ ও হুজাইফা হাসান। পাকিস্তানের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ২৪তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক ফারহানকে (২৩) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বৈভব সূর্যবংশী।
একপ্রান্ত আগলে রাখা হুজাইফা সতীর্থদের কাছ থেকে কোনো সমর্থন পাননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ১৫০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন হুজাইফা। ৮৩ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। ১২ রানে পাকিস্তান হারিয়েছে শেষ ৩ উইকেট। ৪২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আলী রাজাকে (৬) ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টানেন কিশান সিং। কিশান পেয়েছেন ২ উইকেট। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দীপেশ দেবেন্দ্রন ও কনিষ্ক চৌহান।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও ভারত ৪৯ ওভার খেলতে পারেনি। ৪৬.১ ওভারে ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন অ্যারন জর্জ। ৮৮ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১২ চার ও ১ ছক্কা। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন চৌহান। ৪৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেছেন ৪৬ রান। বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৩৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
বাংলাদেশ সময় আজ নির্ধারিত সকাল ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির বাগড়ায় ভারত-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচ এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১ ওভার কমানো হয়েছে। দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ৪৯ ওভারের ম্যাচে ভারত ৯০ রানের উড়ন্ত জয় পেয়েছে। টানা দুই জয়ে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি।
৪৯ ওভারে ২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০ রানে পরিণত হয় পাকিস্তান। পঞ্চম উইকেটে ৬৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ফারহান ইউসাফ ও হুজাইফা হাসান। পাকিস্তানের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ২৪তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক ফারহানকে (২৩) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বৈভব সূর্যবংশী।
একপ্রান্ত আগলে রাখা হুজাইফা সতীর্থদের কাছ থেকে কোনো সমর্থন পাননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ১৫০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন হুজাইফা। ৮৩ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। ১২ রানে পাকিস্তান হারিয়েছে শেষ ৩ উইকেট। ৪২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আলী রাজাকে (৬) ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টানেন কিশান সিং। কিশান পেয়েছেন ২ উইকেট। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দীপেশ দেবেন্দ্রন ও কনিষ্ক চৌহান।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও ভারত ৪৯ ওভার খেলতে পারেনি। ৪৬.১ ওভারে ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন অ্যারন জর্জ। ৮৮ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১২ চার ও ১ ছক্কা। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন চৌহান। ৪৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেছেন ৪৬ রান। বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৩৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

ফুটবলে স্টেডিয়াম বরাবরই দর্শকদের আগ্রহের বিষয়। কোন মাঠে খেলা হচ্ছে, সেখানে দর্শক উপস্থিতি কেমন হতে পারে, সুযোগ-সুবিধা কেমন সেসব জানতে সাধারণ দর্শক সব সময় উৎসুক হয়ে থাকেন। এমনকি স্টেডিয়ামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়েও দর্শকদের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। তবে স্টেডিয়াম নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি দেখা যা
২২ জুন ২০২২
ডিসেম্বর মানেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিজয়ের আরেক নাম। যখন বিজয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ, তখন ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। ১৪ ডিসেম্বর দেশের চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছিল তারা।
১ ঘণ্টা আগে
সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ বেশ মজাই করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মজার ছলে এমন উত্তর দিয়েছেন, অলিম্পিক ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে গেছে। সোহান এবার সাংবাদিকদের ভুল ধরার অপেক্ষায় আছেন।
২ ঘণ্টা আগে
নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হলো প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। ঘরোয়া ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে যা যা ঘটল, সেটা মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ডিসেম্বর মানেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিজয়ের আরেক নাম। যখন বিজয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ, তখন ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। ১৪ ডিসেম্বর দেশের চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছিল তারা।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার প্রাক্কালে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর এই দিনটাকে (১৪ ডিসেম্বর) প্রতি বছর বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় বাংলাদেশে। ৫৪ বছর আগের ১৪ ডিসেম্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সামাজিক মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন সাকিব আল হাসান-লিটন দাসরা। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আজ সাকিব লিখেছেন, ‘১৪ই ডিসেম্বর মহান বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা। যাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’ লিটন নিজের ফেসবুকে রায়েরবাজার বধ্যভূমির ছবি ফটোকার্ড হিসেবে পোস্ট করেছেন। ছবির ওপর লেখা, ‘যাঁদের কণ্ঠ থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মৃত্যু কি আর তাদের চিন্তা থামিয়ে দিতে পারে? সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা।’ ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’
মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করে পরশু সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। তানজিম সাকিব লিখেছিলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গর্ববোধ করি। যাদের ছিলো না ট্রেনিং, যারা প্রশিক্ষিত ছিলেন না, কিভাবে যুদ্ধ করতে হবে জানতেন না, তারপরও দেশের টানে মাটির টানে পাক হানাদার প্রশিক্ষিত আর্মিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন। যারা আমদের ভীতু জাতি থেকে সাহসী জাতি করেছিলেন যাদের কারণে আমি আজ বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বের বুকে ক্রিকেটের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারছি, তাদের নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি। বাংলাদেশের প্রকৃত হিরো প্রকৃত সেলিব্রিটি আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ সাকিব আল হাসান খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে না খেললেও বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছেন তিনি। আর লিটন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হয়েছেন এ বছরের মে মাসে। তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ১২তম বিপিএল। এবারের বিপিএলেও নেই সাকিব। আর বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শেষ না হতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লিটন-সোহানদের। ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ৮ মার্চ সেটা হবে শ্রীলঙ্কায়। অন্যথায় ৮ মার্চ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল।

ডিসেম্বর মানেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিজয়ের আরেক নাম। যখন বিজয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ, তখন ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। ১৪ ডিসেম্বর দেশের চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছিল তারা।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার প্রাক্কালে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর এই দিনটাকে (১৪ ডিসেম্বর) প্রতি বছর বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় বাংলাদেশে। ৫৪ বছর আগের ১৪ ডিসেম্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সামাজিক মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন সাকিব আল হাসান-লিটন দাসরা। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আজ সাকিব লিখেছেন, ‘১৪ই ডিসেম্বর মহান বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা। যাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’ লিটন নিজের ফেসবুকে রায়েরবাজার বধ্যভূমির ছবি ফটোকার্ড হিসেবে পোস্ট করেছেন। ছবির ওপর লেখা, ‘যাঁদের কণ্ঠ থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মৃত্যু কি আর তাদের চিন্তা থামিয়ে দিতে পারে? সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা।’ ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’
মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করে পরশু সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। তানজিম সাকিব লিখেছিলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গর্ববোধ করি। যাদের ছিলো না ট্রেনিং, যারা প্রশিক্ষিত ছিলেন না, কিভাবে যুদ্ধ করতে হবে জানতেন না, তারপরও দেশের টানে মাটির টানে পাক হানাদার প্রশিক্ষিত আর্মিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন। যারা আমদের ভীতু জাতি থেকে সাহসী জাতি করেছিলেন যাদের কারণে আমি আজ বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বের বুকে ক্রিকেটের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারছি, তাদের নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি। বাংলাদেশের প্রকৃত হিরো প্রকৃত সেলিব্রিটি আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ সাকিব আল হাসান খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে না খেললেও বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছেন তিনি। আর লিটন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হয়েছেন এ বছরের মে মাসে। তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ১২তম বিপিএল। এবারের বিপিএলেও নেই সাকিব। আর বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শেষ না হতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লিটন-সোহানদের। ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ৮ মার্চ সেটা হবে শ্রীলঙ্কায়। অন্যথায় ৮ মার্চ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল।

ফুটবলে স্টেডিয়াম বরাবরই দর্শকদের আগ্রহের বিষয়। কোন মাঠে খেলা হচ্ছে, সেখানে দর্শক উপস্থিতি কেমন হতে পারে, সুযোগ-সুবিধা কেমন সেসব জানতে সাধারণ দর্শক সব সময় উৎসুক হয়ে থাকেন। এমনকি স্টেডিয়ামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়েও দর্শকদের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। তবে স্টেডিয়াম নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি দেখা যা
২২ জুন ২০২২
এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
১৮ মিনিট আগে
সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ বেশ মজাই করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মজার ছলে এমন উত্তর দিয়েছেন, অলিম্পিক ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে গেছে। সোহান এবার সাংবাদিকদের ভুল ধরার অপেক্ষায় আছেন।
২ ঘণ্টা আগে
নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হলো প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। ঘরোয়া ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে যা যা ঘটল, সেটা মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ বেশ মজাই করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মজার ছলে এমন উত্তর দিয়েছেন, অলিম্পিক ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে গেছে। সোহান এবার সাংবাদিকদের ভুল ধরার অপেক্ষায় আছেন।
কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩২ দলের বিএসজেএ মিডিয়া কাপ টুর্নামেন্ট। সাংবাদিকদের নিয়ে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের লটারির অনুষ্ঠান হয়েছে আজ অলিম্পিক ভবনে বিএসজেএ’র সংবাদ সম্মেলনে। মিডিয়া কাপ টুর্নামেন্টের প্রসঙ্গ উঠতেই সোহান যে উত্তর দিয়েছেন, তাতে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বেশ মজা পেয়েছেন। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘চেষ্টা করব যাতে মাঠে এসে আপনাদের খেলা দেখতে পারি। কারণ, আপনারা আমাদের সবসময় ভুল ধরেন। একটু আপনাদেরও ভুল ধরার চেষ্টা করব। তো এটা হলে অবশ্যই ভালো লাগবে মাঠে এসে খেলা দেখতে পারলে। একই সঙ্গে আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো একটা উদ্যোগ। যত খেলা হবে এবং আমার কাছে মনে হয় যে খেলার ভেতরে থাকলে আমাদের সবার আসলে মানে মন থেকেও খুশি লাগে। তো আমার কাছে মনে হয় যে এমন উদ্যোগ আরও বেশি দেখতে পাব ইনশা আল্লাহ।’
২ ডিসেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে বাংলাদেশের এ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা শেষ হয়েছে। এ বছর তিন সংস্করণ মিলে বাংলাদেশ খেলেছে ৪৭ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), জাতীয় ক্রিকেট লিগেও (এনসিএল) ব্যস্ত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান-লিটন দাসরা। ২৬ ডিসেম্বর বিপিএল শুরুর আগে যে ক্যাম্পটা এখন চলছে, সেখানে ক্রিকেটারদের স্কিল নিয়ে অনেক কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সোহান। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক ব্যস্ত সূচি ছিল। এ ধরনের ক্যাম্প করার সুযোগ ছিল না। গত ৭-৮ দিন ধরে যে কাজটা আমরা করছি, সেটা অনেক উপকার করবে। বিপিএলের আগে এটুকু সময়ই আছে। বিপিএল শেষ হতে না হতেই বিশ্বকাপ। সবাই ব্যস্ত হয়ে যাবে। যেসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে, স্কিল ক্যাম্পে সেগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে।’
মিরপুরের ‘ধানখেতের উইকেট’ নিয়ে সমালোচনা তো নতুন কিছু নয়। অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময় মিরপুরের উইকেটকে খোঁচা মেরেছিলেন আকিল হোসেন। এবারের বিপিএলে মাত্র ১০ ম্যাচ রাখা হয়েছে মিরপুরে। বাকি ২৪ ম্যাচ হবে চট্টগ্রাম ও সিলেটে। এবারের বিপিএলেও ভালো উইকেট হবে বলে আশা সোহানের, ‘গত বছর ভালো ছিল উইকেট। বিসিবিও ভালো উইকেট তৈরি করতে চায়। অনেক বেশি খেলা থাকলে বা আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে ভালো উইকেট বানানো কঠিন হয়ে যায়। তবে আমার কাছে মনে হয় ভালোই থাকবে উইকেট।’
সরাসরি চুক্তিতে সোহান ও মোস্তাফিজুর রহমানের মতো দুই স্থানীয় ক্রিকেটারকে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। নিলাম থেকে তাওহীদ হৃদয়কে নেওয়া হয়েছে ৯২ লাখ টাকায়। নাহিদ রানা ও লিটন দাসকে ৪২ লাখ ও ৭০ লাখ টাকায় নেওয়া হয়েছে। একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার থাকলেই মাঠের পারফরম্যান্সে একটা দল চমকে দেবে, সেটা মনে করেন না সোহান। বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, ‘বড় নাম দিয়ে কিছু হবে না। মাঠে পারফর্ম করতে হবে। সব সময় ভালো দল করে রংপুর। ফাইনাল খেলতে চেষ্টা করে। সবগুলো দলই ভালো হয়েছে। টুর্নামেন্টও ভালো হবে।’
২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ১২তম বিপিএল। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শেষ না হতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লিটন-সোহানদের। ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ৮ মার্চ সেটা হবে শ্রীলঙ্কায়। অন্যথায় ৮ মার্চ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল

সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ বেশ মজাই করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মজার ছলে এমন উত্তর দিয়েছেন, অলিম্পিক ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে গেছে। সোহান এবার সাংবাদিকদের ভুল ধরার অপেক্ষায় আছেন।
কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩২ দলের বিএসজেএ মিডিয়া কাপ টুর্নামেন্ট। সাংবাদিকদের নিয়ে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের লটারির অনুষ্ঠান হয়েছে আজ অলিম্পিক ভবনে বিএসজেএ’র সংবাদ সম্মেলনে। মিডিয়া কাপ টুর্নামেন্টের প্রসঙ্গ উঠতেই সোহান যে উত্তর দিয়েছেন, তাতে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বেশ মজা পেয়েছেন। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘চেষ্টা করব যাতে মাঠে এসে আপনাদের খেলা দেখতে পারি। কারণ, আপনারা আমাদের সবসময় ভুল ধরেন। একটু আপনাদেরও ভুল ধরার চেষ্টা করব। তো এটা হলে অবশ্যই ভালো লাগবে মাঠে এসে খেলা দেখতে পারলে। একই সঙ্গে আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো একটা উদ্যোগ। যত খেলা হবে এবং আমার কাছে মনে হয় যে খেলার ভেতরে থাকলে আমাদের সবার আসলে মানে মন থেকেও খুশি লাগে। তো আমার কাছে মনে হয় যে এমন উদ্যোগ আরও বেশি দেখতে পাব ইনশা আল্লাহ।’
২ ডিসেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে বাংলাদেশের এ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা শেষ হয়েছে। এ বছর তিন সংস্করণ মিলে বাংলাদেশ খেলেছে ৪৭ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), জাতীয় ক্রিকেট লিগেও (এনসিএল) ব্যস্ত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান-লিটন দাসরা। ২৬ ডিসেম্বর বিপিএল শুরুর আগে যে ক্যাম্পটা এখন চলছে, সেখানে ক্রিকেটারদের স্কিল নিয়ে অনেক কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সোহান। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক ব্যস্ত সূচি ছিল। এ ধরনের ক্যাম্প করার সুযোগ ছিল না। গত ৭-৮ দিন ধরে যে কাজটা আমরা করছি, সেটা অনেক উপকার করবে। বিপিএলের আগে এটুকু সময়ই আছে। বিপিএল শেষ হতে না হতেই বিশ্বকাপ। সবাই ব্যস্ত হয়ে যাবে। যেসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে, স্কিল ক্যাম্পে সেগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে।’
মিরপুরের ‘ধানখেতের উইকেট’ নিয়ে সমালোচনা তো নতুন কিছু নয়। অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময় মিরপুরের উইকেটকে খোঁচা মেরেছিলেন আকিল হোসেন। এবারের বিপিএলে মাত্র ১০ ম্যাচ রাখা হয়েছে মিরপুরে। বাকি ২৪ ম্যাচ হবে চট্টগ্রাম ও সিলেটে। এবারের বিপিএলেও ভালো উইকেট হবে বলে আশা সোহানের, ‘গত বছর ভালো ছিল উইকেট। বিসিবিও ভালো উইকেট তৈরি করতে চায়। অনেক বেশি খেলা থাকলে বা আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে ভালো উইকেট বানানো কঠিন হয়ে যায়। তবে আমার কাছে মনে হয় ভালোই থাকবে উইকেট।’
সরাসরি চুক্তিতে সোহান ও মোস্তাফিজুর রহমানের মতো দুই স্থানীয় ক্রিকেটারকে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। নিলাম থেকে তাওহীদ হৃদয়কে নেওয়া হয়েছে ৯২ লাখ টাকায়। নাহিদ রানা ও লিটন দাসকে ৪২ লাখ ও ৭০ লাখ টাকায় নেওয়া হয়েছে। একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার থাকলেই মাঠের পারফরম্যান্সে একটা দল চমকে দেবে, সেটা মনে করেন না সোহান। বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, ‘বড় নাম দিয়ে কিছু হবে না। মাঠে পারফর্ম করতে হবে। সব সময় ভালো দল করে রংপুর। ফাইনাল খেলতে চেষ্টা করে। সবগুলো দলই ভালো হয়েছে। টুর্নামেন্টও ভালো হবে।’
২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ১২তম বিপিএল। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শেষ না হতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লিটন-সোহানদের। ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ৮ মার্চ সেটা হবে শ্রীলঙ্কায়। অন্যথায় ৮ মার্চ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল

ফুটবলে স্টেডিয়াম বরাবরই দর্শকদের আগ্রহের বিষয়। কোন মাঠে খেলা হচ্ছে, সেখানে দর্শক উপস্থিতি কেমন হতে পারে, সুযোগ-সুবিধা কেমন সেসব জানতে সাধারণ দর্শক সব সময় উৎসুক হয়ে থাকেন। এমনকি স্টেডিয়ামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়েও দর্শকদের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। তবে স্টেডিয়াম নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি দেখা যা
২২ জুন ২০২২
এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
১৮ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিজয়ের আরেক নাম। যখন বিজয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ, তখন ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। ১৪ ডিসেম্বর দেশের চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছিল তারা।
১ ঘণ্টা আগে
নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হলো প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। ঘরোয়া ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে যা যা ঘটল, সেটা মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হলো প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। ঘরোয়া ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে যা যা ঘটল, সেটা মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরুর আগে গতকাল একই দিনে দুই রকম দৃশ্য দেখা গেল। প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে অংশ নেওয়া ক্লাবের প্রতিনিধিরা বিসিবি একাডেমি ভবনের সামনে অংশ নিলেন ট্রফি উন্মোচনে। অন্য দিকে লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর ক্রিকেটাররা ছিলেন আন্দোলনে ব্যস্ত। ২০ দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ১২ দল। গতকালের এই ঘটনা নিয়ে আজ নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার ক্রিকেটাররা। অথচ গতকাল অনেক ক্রিকেটারকে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন ডিভিশনের অনেক ক্রিকেটার বিসিবিতে তাদের দাবি জানাতে গিয়েছিলেন, যেটি তাদের অধিকার, এবং যার যৌক্তিক কারণও আছে। অথচ সেই ক্রিকেটারদের গেটের বাইরে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে যদিও একটি প্রতিনিধি দলকে ভেতরে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরও অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা দুঃখজনক। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম।’
১২ দল নিয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ হচ্ছে দেখে সন্তুষ্ট বিসিবির ঢাকা মহানগর ক্লাব কমিটির (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান দীপন। তবে লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই দীপনের কাছে। গতকাল সিসিডিএম চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘আগামীকাল (আজ) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছি। (৮টি ক্লাব) হয়তো আসতে পারে। হয়তো না। অফিশিয়ালি সিসিডিএমকে তারা চিঠি দেয়নি। একটা উকিল নোটিশ দিয়েছে বোর্ডকে। সিসিডিএমের আইন কী বলে? এখানে ৪৪টি ক্লাবের কথা বলা হচ্ছে, সিসিডিএমকে চিঠি দেয়নি। আমরা ধরে নিতে পারব না ওরা খেলবে কি খেলবে না।’
সূচি অনুযায়ী পাঁচ মাঠে ১০ দলের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ রাখা হয়েছে। কোনো দল না খেলতে এলে তাদের প্রতিপক্ষকে ‘ওয়াকওভার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিসিবির। তামিম ওল্ড ডিওএইচএস দলের কাউন্সিলর।

নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হলো প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। ঘরোয়া ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে যা যা ঘটল, সেটা মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরুর আগে গতকাল একই দিনে দুই রকম দৃশ্য দেখা গেল। প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে অংশ নেওয়া ক্লাবের প্রতিনিধিরা বিসিবি একাডেমি ভবনের সামনে অংশ নিলেন ট্রফি উন্মোচনে। অন্য দিকে লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর ক্রিকেটাররা ছিলেন আন্দোলনে ব্যস্ত। ২০ দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ১২ দল। গতকালের এই ঘটনা নিয়ে আজ নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার ক্রিকেটাররা। অথচ গতকাল অনেক ক্রিকেটারকে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন ডিভিশনের অনেক ক্রিকেটার বিসিবিতে তাদের দাবি জানাতে গিয়েছিলেন, যেটি তাদের অধিকার, এবং যার যৌক্তিক কারণও আছে। অথচ সেই ক্রিকেটারদের গেটের বাইরে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে যদিও একটি প্রতিনিধি দলকে ভেতরে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরও অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা দুঃখজনক। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম।’
১২ দল নিয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ হচ্ছে দেখে সন্তুষ্ট বিসিবির ঢাকা মহানগর ক্লাব কমিটির (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান দীপন। তবে লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই দীপনের কাছে। গতকাল সিসিডিএম চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘আগামীকাল (আজ) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছি। (৮টি ক্লাব) হয়তো আসতে পারে। হয়তো না। অফিশিয়ালি সিসিডিএমকে তারা চিঠি দেয়নি। একটা উকিল নোটিশ দিয়েছে বোর্ডকে। সিসিডিএমের আইন কী বলে? এখানে ৪৪টি ক্লাবের কথা বলা হচ্ছে, সিসিডিএমকে চিঠি দেয়নি। আমরা ধরে নিতে পারব না ওরা খেলবে কি খেলবে না।’
সূচি অনুযায়ী পাঁচ মাঠে ১০ দলের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ রাখা হয়েছে। কোনো দল না খেলতে এলে তাদের প্রতিপক্ষকে ‘ওয়াকওভার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিসিবির। তামিম ওল্ড ডিওএইচএস দলের কাউন্সিলর।

ফুটবলে স্টেডিয়াম বরাবরই দর্শকদের আগ্রহের বিষয়। কোন মাঠে খেলা হচ্ছে, সেখানে দর্শক উপস্থিতি কেমন হতে পারে, সুযোগ-সুবিধা কেমন সেসব জানতে সাধারণ দর্শক সব সময় উৎসুক হয়ে থাকেন। এমনকি স্টেডিয়ামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়েও দর্শকদের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। তবে স্টেডিয়াম নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি দেখা যা
২২ জুন ২০২২
এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
১৮ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিজয়ের আরেক নাম। যখন বিজয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ, তখন ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। ১৪ ডিসেম্বর দেশের চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছিল তারা।
১ ঘণ্টা আগে
সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ বেশ মজাই করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মজার ছলে এমন উত্তর দিয়েছেন, অলিম্পিক ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে গেছে। সোহান এবার সাংবাদিকদের ভুল ধরার অপেক্ষায় আছেন।
২ ঘণ্টা আগে