খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

বায়োপিক বানানোর জন্য অনেকেই তো ছিলেন, যাঁরা তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয় এবং যাঁদের জীবনের গল্প আরও ড্রামাটিক। জীবনানন্দ দাশকে বেছে নেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে?
সায়ন্তন: আমরা যাঁরা বাংলা সাহিত্যের ছাত্র, তাঁদের কাছে জীবনানন্দ তো একজন বাঙালি হিসেবে খুবই এমিনেন্ট ফ্যাক্টর। তাঁকে নিয়ে চিন্তাভাবনাটা ছোটবেলা থেকেই ছিল। কিন্তু ছবি করব, সেটা যখন আমি ম্যাচিউরড হই, তারপর সেই ভাবনাচিন্তাটা গ্রো করে। সিনেমার জগতে যখন ঢুকি, তখন থেকেই এটা আমাকে হন্ট করত। যদি সত্যিই কবির একটা বায়োপিক বানানো যায়! এবং সেটা শুধুমাত্র কবি কখন জন্মেছিলেন, জন্মে এই করেছিলেন, সেই করেছিলেন, লিখেছিলেন, তাঁর এই এই সমস্যা ঘটেছিল… হ্যানাত্যানা না।
আপনি আরও ব্যাপকভাবে কবিকে ধরতে চেয়েছিলেন চিত্রনাট্যে, সেটা ‘ঝরা পালক’-এর ট্রেলার দেখে বোঝা গেছে। জীবনানন্দকে পর্দায় আনতে গিয়ে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হয়েছে?
সায়ন্তন: একজন কবির বায়োপিক বানাতে যাওয়ার সবচেয়ে বড় যেটা অবস্ট্রাকল বা সবচেয়ে বড় যে জটিলতা, সেটা হচ্ছে—কবির বায়োপিক তো তাঁর কবিতাও। মানে তাঁর শিল্পজীবন এবং তাঁর যে রিয়েল টাইমলাইন—এই দুটোই তো ইমপর্ট্যান্ট।
একটা গ্যাংস্টারের জীবনী বানাতে গেলে… তিনি কখন জন্মেছিলেন, কার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল, কাকে কাকে মেরেছিলেন—এসব বললেই হয়ে যায়। কিন্তু একজন কবির জীবনে সেই অর্থে কোনো ড্রামা থাকে না। হ্যাঁ, জীবনানন্দের জীবনে এনাফ ড্রামা ছিল, তাঁর বৈবাহিক জীবন ঘিরে এবং তাঁর প্রেমজীবন ঘিরে। তো যেটা গল্প সেটা হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যে, কবির জীবনী এবং কবির এন্টায়ার শিল্পকর্ম—এই দুটোকে কী করে মার্জ করা যায়! কবিতাও তো তাঁর জীবন। সৃষ্টি তাঁর জীবনের চেয়েও বড়; বিশেষ করে জীবনানন্দের মতো একজন শিল্পীর কাছে।
তো এই দুটোকে মার্জ করাটা, আমাদের সিনেমার ল্যাঙ্গুয়েজে, চিত্রনাট্যে এবং এক্সিকিউশনে কীভাবে সেই ভাষাটা খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
জীবনানন্দের ‘মাল্যবান’ আপনার সিনেমার মূল সূত্র। এ ছাড়া আর কোনো রিসোর্সের সাহায্য নিয়েছেন চিত্রনাট্য করতে গিয়ে?
সায়ন্তন: জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে অনেক বই রয়েছে। দুটো ইমপর্ট্যান্ট বই, যেটা তাঁর লিটারারি বায়োপিক। (একটি) ক্লিনটন বি সিলি বলে একজন লেখক লিখেছেন। তিনিও কবি ছিলেন; দীর্ঘদিন বরিশালে ছিলেন। বাংলা ভাষাটা প্রায় বাঙালির মতোই রপ্ত করছিলেন ক্লিনটন। তাঁর একটা বই ‘আ পোয়েট অ্যাপার্ট’। এবং আপনাদের বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত একটা বই ‘একজন কমলালেবু’, যেটা জয়া আহসান আমাকে এনে দিয়েছিল; ইন্ডিয়াতে পাওয়া যায় না। এই দুটো বই আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল চিত্রনাট্য করতে গিয়ে। তা ছাড়া এখানকার এমিনেন্ট জীবনীকার ভূমেন্দ্র গুহর একটা বই আছে জীবনানন্দকে নিয়ে লেখা, ‘আলেখ্য: জীবনানন্দ’ নামে। এবং আরও বেশ কয়েকটি বই আমাকে প্রচণ্ড সাহায্য করেছে ‘ঝরা পালক’ সিনেমার চিত্রনাট্য করতে গিয়ে।
‘ঝরা পালক’-এ জীবনানন্দকে কতখানি ধরেছেন? আমি দেখলাম রাহুল করেছেন তাঁর যুবকবেলার চরিত্রটা। পরিণত বয়সে ব্রাত্য বসু। তার মানে যৌবন থেকে শুরু করে কবির পুরো জীবনটাই থাকছে সিনেমায়?
সায়ন্তন: জীবনানন্দের জীবন এবং তাঁর শিল্পজীবন; এই দুটোই ক্রমাগত মার্জ করতে করতে গেছে পুরো ছবিতে। এবং এই ছবিটা এ কারণে প্লেইন ন্যারেটিভ নয়। একটা রিল টাইম, একটা রিয়েল টাইম এবং তার সঙ্গে রিসেন্ট টাইম; তিনটে সময়ের সংযোগ ঘটেছে চিত্রনাট্যে। ছবিটা দেখলে সেটা বোঝা যাবে। আসলে একজন ফিল্মমেকারের কাছে এ ধরনের একটা ছবি বানিয়ে সেটা নিয়ে বলা খুবই ডিফিকাল্ট।
‘ঝরা পালক’-এর শুটিং কোথায়, কীভাবে হয়েছে? সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলেন…
সায়ন্তন: শুটিং আমরা অলমোস্ট (পুরোটাই) কলকাতায় করেছি। কিছুটা শুটিং করেছি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে, তেহট্ট থেকে অনেক দূরে গিয়ে। সেখানে জীবনানন্দের রূপসী বাংলার যে চিত্রকল্প, সেগুলো পেয়েছি। বরিশাল যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেই সময় যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বরিশালের যে অভাব, সেটা খানিকটা বর্ডারের কাছাকাছি গিয়ে ধানসিঁড়ি নদীর বদলে জলঙ্গী নদীকে আমরা ব্যবহার করেছি। জলঙ্গী নদীও জীবনানন্দের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে। সেটা আমরা ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করেছি। সো দ্যাট ওয়াজ ভেরি উইয়ার্ড এক্সপেরিয়েন্স।
জলঙ্গী নদীতে শুট করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আমার, সিনেমাটোগ্রাফার অভিজিৎ নন্দী ও এডিটর প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের কনফিউশন হচ্ছিল, বোধ হয় আমরা ধানসিঁড়িতে আছি। আমরা তিনজনে মিলে গেছিলাম শুটিংয়ে। আমার মনে হয় কোনো এডিটর (এর আগে) শুটিংয়ে গেছে কিনা! এটা যদি কাইন্ডলি লিখেন খুব ভালো হয়। কারণ, প্রদীপ্ত নিজেও একজন ফিল্মমেকার। সে এতটাই ইনভলভ ছিল পুরো ছবিতে! ধানসিঁড়ির খোঁজে আমরা গেছিলাম, সত্যিই আমরা জলঙ্গী নদীটিকে ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করতে পারি কি না! আমাদের ভেতরে সেই প্যাশনটা আছে কি না! সেটা ছবিটা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন আমরা তার সঙ্গে জাস্টিস করতে পেরেছি কি না।
কলকাতা ফেস্টে তো দেখানো হলো ছবিটা এ বছর…
সায়ন্তন: কলকাতা ফেস্টে দেখানো হয়েছে। দেখে অনেকেই খুব প্রশংসা করেছেন। কবি জয় গোস্বামী ছবিটাকে বাংলা চলচ্চিত্রে এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটা ‘এমিনেন্ট পিস অব ওয়ার্ক’ বলে বর্ণনা করেছেন। ছবিটা উনি দুবার দেখেছেন। এ ছাড়া আরও অনেক গুণীজন—সুমন মুখোপাধ্যায়, পরিচালক, যিনি জয়া আহসানকে নিয়ে ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ বলে আরেকটা ছবি করেছেন। তিনি ছবিটা দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত। পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে ছবিটা দেখানো হয়েছিল। তিনিও ছবিটা দেখে খুবই প্রশংসা করেছিলেন। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পরে আমরা ছবিটা নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী। ‘ঝরা পালক’ বাংলাদেশেও রিলিজ করার প্ল্যান করছি আমরা।
কবির স্ত্রী লাবণ্য চরিত্রে জয়া আহসানকে কাস্ট করার কারণ কী?
সায়ন্তন: প্রথম যখন লাবণ্য চরিত্রের ভিজুয়ালাইজেশন শুরু করি, তখন জয়া ছাড়া ইনফ্যাক্ট আর কারও মুখই আমার সামনে আসেনি। এই রকম পানপাতা একটা অদ্ভুত বাঙালি মুখ, যেটা একই সঙ্গে বনলতা সেন, সুরঞ্জনা এবং লাবণ্য। লাবণ্যর সঙ্গে জীবনানন্দ দাশের যে কেমিস্ট্রি ছিল। লাবণ্য অসামান্য বিদুষী এবং সুন্দরী নারী ছিলেন। জীবনানন্দ সারা জীবন বলে গেছেন, তাঁর তুলনায় জীবনানন্দ নিজে তাঁর কাছে খুব অযোগ্য। জীবনানন্দকে ক্রিয়েটিভ সাপোর্ট এবং ফ্যামিলিগতভাবে… এসব নিয়ে অনেক ধরনের গুজব আছে যে, উনাকে অত্যাচার করা হয়েছিল। লাবণ্য উনাকে নিজের ঘরে অবধি ঢুকতে দিতেন না। ‘মাল্যবান’ উপন্যাসে এসব এসেছে। যে জন্য লাবণ্য তাঁর জীবদ্দশায় এই বইটি প্রকাশ করতে খুব দ্বিধাবোধ করেছিলেন।
তো সে ক্ষেত্রে লাবণ্য চরিত্রের যে ব্যক্তিত্ব, যে সৌন্দর্য এবং তাঁর যে বিদূষীয়ানা—এই তিনটির সংমিশ্রণ জয়া আহসান ছাড়া আর কারও কথা আমার মাথায় আসেনি পরিচালক হিসেবে। আরও একটা প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের মাটি। বাংলাদেশের মাটির যে গন্ধ, সেটা জয়া আহসানের পারফরমেন্সের মধ্য দিয়েই ছবিতে ফুটে উঠেছে। সেটা একটা অমূল্য প্রাপ্তি একজন পরিচালক হিসেবে আমার কাছে। এবং দর্শকের কাছেও সেটা অবশ্যই একটা প্রাপ্তি হবে বলে আশা করছি।
সে কারণে লাবণ্য এবং জয়া আহসান এখানে একাকার হয়ে গেছেন।
জয়া আহসান নিজে এ চরিত্রটা করতে করতে মাঝেমধ্যেই ক্যামেরা এবং ক্যামেরার বাইরে লাবণ্য হয়ে উঠতেন। সেটা আমরা দেখেছি। এবং তাঁর যে ইনভলভমেন্ট, যেটা আমি আগেও বললাম, শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, আমাকে বেশ কিছু বই দিয়ে উনি সাহায্য করেছেন। চিত্রনাট্যে উনি অনেক ইনপুট দিয়েছেন একজন নারী হিসেবে নারীর পারস্পেকটিভ।
আমরা প্র্যাকটিক্যালি চেয়েছিলাম, মাল্যবানের একটা অ্যান্টিথিসিস বানাতে। মাল্যবানই তো এই ছবির মূল টেক্সট। কারণ, এটি কবির লেখা আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস, যেখানে জীবন এবং শিল্প মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সেখানে মাল্যবানের অ্যান্টিথিসিস তৈরি করার জন্য লাবণ্যরূপী জয়া আহসান বা জয়া আহসানরূপী লাবণ্য এই ছবিতে একটা মূল্যবান সম্পদ হয়ে আছে।
দেখুন ‘ঝরা পালক’ সিনেমার ট্রেলার:

বায়োপিক বানানোর জন্য অনেকেই তো ছিলেন, যাঁরা তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয় এবং যাঁদের জীবনের গল্প আরও ড্রামাটিক। জীবনানন্দ দাশকে বেছে নেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে?
সায়ন্তন: আমরা যাঁরা বাংলা সাহিত্যের ছাত্র, তাঁদের কাছে জীবনানন্দ তো একজন বাঙালি হিসেবে খুবই এমিনেন্ট ফ্যাক্টর। তাঁকে নিয়ে চিন্তাভাবনাটা ছোটবেলা থেকেই ছিল। কিন্তু ছবি করব, সেটা যখন আমি ম্যাচিউরড হই, তারপর সেই ভাবনাচিন্তাটা গ্রো করে। সিনেমার জগতে যখন ঢুকি, তখন থেকেই এটা আমাকে হন্ট করত। যদি সত্যিই কবির একটা বায়োপিক বানানো যায়! এবং সেটা শুধুমাত্র কবি কখন জন্মেছিলেন, জন্মে এই করেছিলেন, সেই করেছিলেন, লিখেছিলেন, তাঁর এই এই সমস্যা ঘটেছিল… হ্যানাত্যানা না।
আপনি আরও ব্যাপকভাবে কবিকে ধরতে চেয়েছিলেন চিত্রনাট্যে, সেটা ‘ঝরা পালক’-এর ট্রেলার দেখে বোঝা গেছে। জীবনানন্দকে পর্দায় আনতে গিয়ে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হয়েছে?
সায়ন্তন: একজন কবির বায়োপিক বানাতে যাওয়ার সবচেয়ে বড় যেটা অবস্ট্রাকল বা সবচেয়ে বড় যে জটিলতা, সেটা হচ্ছে—কবির বায়োপিক তো তাঁর কবিতাও। মানে তাঁর শিল্পজীবন এবং তাঁর যে রিয়েল টাইমলাইন—এই দুটোই তো ইমপর্ট্যান্ট।
একটা গ্যাংস্টারের জীবনী বানাতে গেলে… তিনি কখন জন্মেছিলেন, কার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল, কাকে কাকে মেরেছিলেন—এসব বললেই হয়ে যায়। কিন্তু একজন কবির জীবনে সেই অর্থে কোনো ড্রামা থাকে না। হ্যাঁ, জীবনানন্দের জীবনে এনাফ ড্রামা ছিল, তাঁর বৈবাহিক জীবন ঘিরে এবং তাঁর প্রেমজীবন ঘিরে। তো যেটা গল্প সেটা হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যে, কবির জীবনী এবং কবির এন্টায়ার শিল্পকর্ম—এই দুটোকে কী করে মার্জ করা যায়! কবিতাও তো তাঁর জীবন। সৃষ্টি তাঁর জীবনের চেয়েও বড়; বিশেষ করে জীবনানন্দের মতো একজন শিল্পীর কাছে।
তো এই দুটোকে মার্জ করাটা, আমাদের সিনেমার ল্যাঙ্গুয়েজে, চিত্রনাট্যে এবং এক্সিকিউশনে কীভাবে সেই ভাষাটা খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
জীবনানন্দের ‘মাল্যবান’ আপনার সিনেমার মূল সূত্র। এ ছাড়া আর কোনো রিসোর্সের সাহায্য নিয়েছেন চিত্রনাট্য করতে গিয়ে?
সায়ন্তন: জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে অনেক বই রয়েছে। দুটো ইমপর্ট্যান্ট বই, যেটা তাঁর লিটারারি বায়োপিক। (একটি) ক্লিনটন বি সিলি বলে একজন লেখক লিখেছেন। তিনিও কবি ছিলেন; দীর্ঘদিন বরিশালে ছিলেন। বাংলা ভাষাটা প্রায় বাঙালির মতোই রপ্ত করছিলেন ক্লিনটন। তাঁর একটা বই ‘আ পোয়েট অ্যাপার্ট’। এবং আপনাদের বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত একটা বই ‘একজন কমলালেবু’, যেটা জয়া আহসান আমাকে এনে দিয়েছিল; ইন্ডিয়াতে পাওয়া যায় না। এই দুটো বই আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল চিত্রনাট্য করতে গিয়ে। তা ছাড়া এখানকার এমিনেন্ট জীবনীকার ভূমেন্দ্র গুহর একটা বই আছে জীবনানন্দকে নিয়ে লেখা, ‘আলেখ্য: জীবনানন্দ’ নামে। এবং আরও বেশ কয়েকটি বই আমাকে প্রচণ্ড সাহায্য করেছে ‘ঝরা পালক’ সিনেমার চিত্রনাট্য করতে গিয়ে।
‘ঝরা পালক’-এ জীবনানন্দকে কতখানি ধরেছেন? আমি দেখলাম রাহুল করেছেন তাঁর যুবকবেলার চরিত্রটা। পরিণত বয়সে ব্রাত্য বসু। তার মানে যৌবন থেকে শুরু করে কবির পুরো জীবনটাই থাকছে সিনেমায়?
সায়ন্তন: জীবনানন্দের জীবন এবং তাঁর শিল্পজীবন; এই দুটোই ক্রমাগত মার্জ করতে করতে গেছে পুরো ছবিতে। এবং এই ছবিটা এ কারণে প্লেইন ন্যারেটিভ নয়। একটা রিল টাইম, একটা রিয়েল টাইম এবং তার সঙ্গে রিসেন্ট টাইম; তিনটে সময়ের সংযোগ ঘটেছে চিত্রনাট্যে। ছবিটা দেখলে সেটা বোঝা যাবে। আসলে একজন ফিল্মমেকারের কাছে এ ধরনের একটা ছবি বানিয়ে সেটা নিয়ে বলা খুবই ডিফিকাল্ট।
‘ঝরা পালক’-এর শুটিং কোথায়, কীভাবে হয়েছে? সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলেন…
সায়ন্তন: শুটিং আমরা অলমোস্ট (পুরোটাই) কলকাতায় করেছি। কিছুটা শুটিং করেছি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে, তেহট্ট থেকে অনেক দূরে গিয়ে। সেখানে জীবনানন্দের রূপসী বাংলার যে চিত্রকল্প, সেগুলো পেয়েছি। বরিশাল যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেই সময় যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বরিশালের যে অভাব, সেটা খানিকটা বর্ডারের কাছাকাছি গিয়ে ধানসিঁড়ি নদীর বদলে জলঙ্গী নদীকে আমরা ব্যবহার করেছি। জলঙ্গী নদীও জীবনানন্দের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে। সেটা আমরা ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করেছি। সো দ্যাট ওয়াজ ভেরি উইয়ার্ড এক্সপেরিয়েন্স।
জলঙ্গী নদীতে শুট করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আমার, সিনেমাটোগ্রাফার অভিজিৎ নন্দী ও এডিটর প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের কনফিউশন হচ্ছিল, বোধ হয় আমরা ধানসিঁড়িতে আছি। আমরা তিনজনে মিলে গেছিলাম শুটিংয়ে। আমার মনে হয় কোনো এডিটর (এর আগে) শুটিংয়ে গেছে কিনা! এটা যদি কাইন্ডলি লিখেন খুব ভালো হয়। কারণ, প্রদীপ্ত নিজেও একজন ফিল্মমেকার। সে এতটাই ইনভলভ ছিল পুরো ছবিতে! ধানসিঁড়ির খোঁজে আমরা গেছিলাম, সত্যিই আমরা জলঙ্গী নদীটিকে ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করতে পারি কি না! আমাদের ভেতরে সেই প্যাশনটা আছে কি না! সেটা ছবিটা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন আমরা তার সঙ্গে জাস্টিস করতে পেরেছি কি না।
কলকাতা ফেস্টে তো দেখানো হলো ছবিটা এ বছর…
সায়ন্তন: কলকাতা ফেস্টে দেখানো হয়েছে। দেখে অনেকেই খুব প্রশংসা করেছেন। কবি জয় গোস্বামী ছবিটাকে বাংলা চলচ্চিত্রে এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটা ‘এমিনেন্ট পিস অব ওয়ার্ক’ বলে বর্ণনা করেছেন। ছবিটা উনি দুবার দেখেছেন। এ ছাড়া আরও অনেক গুণীজন—সুমন মুখোপাধ্যায়, পরিচালক, যিনি জয়া আহসানকে নিয়ে ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ বলে আরেকটা ছবি করেছেন। তিনি ছবিটা দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত। পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে ছবিটা দেখানো হয়েছিল। তিনিও ছবিটা দেখে খুবই প্রশংসা করেছিলেন। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পরে আমরা ছবিটা নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী। ‘ঝরা পালক’ বাংলাদেশেও রিলিজ করার প্ল্যান করছি আমরা।
কবির স্ত্রী লাবণ্য চরিত্রে জয়া আহসানকে কাস্ট করার কারণ কী?
সায়ন্তন: প্রথম যখন লাবণ্য চরিত্রের ভিজুয়ালাইজেশন শুরু করি, তখন জয়া ছাড়া ইনফ্যাক্ট আর কারও মুখই আমার সামনে আসেনি। এই রকম পানপাতা একটা অদ্ভুত বাঙালি মুখ, যেটা একই সঙ্গে বনলতা সেন, সুরঞ্জনা এবং লাবণ্য। লাবণ্যর সঙ্গে জীবনানন্দ দাশের যে কেমিস্ট্রি ছিল। লাবণ্য অসামান্য বিদুষী এবং সুন্দরী নারী ছিলেন। জীবনানন্দ সারা জীবন বলে গেছেন, তাঁর তুলনায় জীবনানন্দ নিজে তাঁর কাছে খুব অযোগ্য। জীবনানন্দকে ক্রিয়েটিভ সাপোর্ট এবং ফ্যামিলিগতভাবে… এসব নিয়ে অনেক ধরনের গুজব আছে যে, উনাকে অত্যাচার করা হয়েছিল। লাবণ্য উনাকে নিজের ঘরে অবধি ঢুকতে দিতেন না। ‘মাল্যবান’ উপন্যাসে এসব এসেছে। যে জন্য লাবণ্য তাঁর জীবদ্দশায় এই বইটি প্রকাশ করতে খুব দ্বিধাবোধ করেছিলেন।
তো সে ক্ষেত্রে লাবণ্য চরিত্রের যে ব্যক্তিত্ব, যে সৌন্দর্য এবং তাঁর যে বিদূষীয়ানা—এই তিনটির সংমিশ্রণ জয়া আহসান ছাড়া আর কারও কথা আমার মাথায় আসেনি পরিচালক হিসেবে। আরও একটা প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের মাটি। বাংলাদেশের মাটির যে গন্ধ, সেটা জয়া আহসানের পারফরমেন্সের মধ্য দিয়েই ছবিতে ফুটে উঠেছে। সেটা একটা অমূল্য প্রাপ্তি একজন পরিচালক হিসেবে আমার কাছে। এবং দর্শকের কাছেও সেটা অবশ্যই একটা প্রাপ্তি হবে বলে আশা করছি।
সে কারণে লাবণ্য এবং জয়া আহসান এখানে একাকার হয়ে গেছেন।
জয়া আহসান নিজে এ চরিত্রটা করতে করতে মাঝেমধ্যেই ক্যামেরা এবং ক্যামেরার বাইরে লাবণ্য হয়ে উঠতেন। সেটা আমরা দেখেছি। এবং তাঁর যে ইনভলভমেন্ট, যেটা আমি আগেও বললাম, শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, আমাকে বেশ কিছু বই দিয়ে উনি সাহায্য করেছেন। চিত্রনাট্যে উনি অনেক ইনপুট দিয়েছেন একজন নারী হিসেবে নারীর পারস্পেকটিভ।
আমরা প্র্যাকটিক্যালি চেয়েছিলাম, মাল্যবানের একটা অ্যান্টিথিসিস বানাতে। মাল্যবানই তো এই ছবির মূল টেক্সট। কারণ, এটি কবির লেখা আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস, যেখানে জীবন এবং শিল্প মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সেখানে মাল্যবানের অ্যান্টিথিসিস তৈরি করার জন্য লাবণ্যরূপী জয়া আহসান বা জয়া আহসানরূপী লাবণ্য এই ছবিতে একটা মূল্যবান সম্পদ হয়ে আছে।
দেখুন ‘ঝরা পালক’ সিনেমার ট্রেলার:

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১২ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
১৮ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ ‘ধুরন্ধর’-এর পাকিস্তান-বিরোধী বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হওয়া সত্ত্বেও, ছবিটি সেখানে মুক্তির অনুমতি পায়নি।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল, কারণ ছবিটি ‘পাকিস্তান-বিরোধী চলচ্চিত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সূত্রটি আরও জানায়, এর আগে এই অঞ্চলে এমন চলচ্চিত্র মুক্তির অনুমতি পায়নি। তবুও ‘ধুরন্ধর’-এর দল চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সব দেশই ছবিটির থিম অনুমোদন করেনি। এই কারণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পায়নি।
নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, ‘ধুরন্ধর’ একটি স্পাই থ্রিলার, যার পটভূমি পাকিস্তানে। ছবিটির গল্প হামজা আলি মাজারি নামে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যিনি লিয়ারি অঞ্চলের রহমান ডাকাতের গ্যাংয়ে অনুপ্রবেশ করেন। ছবিতে রণবীর সিং ছাড়াও অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন এবং সারা অর্জুন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
বক্স অফিসে ছবিটি বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার Sacnilk-এর রিপোর্ট অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সম্প্রতি ভারতে ২০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মোট ২৭৪ দশমিক ২৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে।
ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পেলেও, চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে এটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এর মধ্যে ছবিটির রিভিউ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড ছবিটির সমালোচনা করার জন্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের ওপর ‘হামলা, হয়রানি এবং ঘৃণা’ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মতভেদের শুরু দ্রুত ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সমালোচকদের পেশাদার সততাকে হেয় করার সংগঠিত প্রচেষ্টায় পরিণত হয়েছে।

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ ‘ধুরন্ধর’-এর পাকিস্তান-বিরোধী বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হওয়া সত্ত্বেও, ছবিটি সেখানে মুক্তির অনুমতি পায়নি।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল, কারণ ছবিটি ‘পাকিস্তান-বিরোধী চলচ্চিত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সূত্রটি আরও জানায়, এর আগে এই অঞ্চলে এমন চলচ্চিত্র মুক্তির অনুমতি পায়নি। তবুও ‘ধুরন্ধর’-এর দল চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সব দেশই ছবিটির থিম অনুমোদন করেনি। এই কারণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পায়নি।
নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, ‘ধুরন্ধর’ একটি স্পাই থ্রিলার, যার পটভূমি পাকিস্তানে। ছবিটির গল্প হামজা আলি মাজারি নামে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যিনি লিয়ারি অঞ্চলের রহমান ডাকাতের গ্যাংয়ে অনুপ্রবেশ করেন। ছবিতে রণবীর সিং ছাড়াও অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন এবং সারা অর্জুন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
বক্স অফিসে ছবিটি বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার Sacnilk-এর রিপোর্ট অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সম্প্রতি ভারতে ২০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মোট ২৭৪ দশমিক ২৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে।
ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পেলেও, চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে এটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এর মধ্যে ছবিটির রিভিউ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড ছবিটির সমালোচনা করার জন্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের ওপর ‘হামলা, হয়রানি এবং ঘৃণা’ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মতভেদের শুরু দ্রুত ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সমালোচকদের পেশাদার সততাকে হেয় করার সংগঠিত প্রচেষ্টায় পরিণত হয়েছে।

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১২ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
১৮ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
‘দ্য কোড’ নামে একটি ড্রাম-অ্যান্ড-বেস, অপেরা, র্যাপ এবং রক গান গেয়ে ২০২৪ সালের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন নন-বাইনারি গায়ক নেমো। তিনি বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ এই প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের জন্য মর্যাদার আদর্শের পরিপন্থী।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নেমো বলেন, ‘ইউরোভিশন দাবি করে যে তারা ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ায়। আর এই মূল্যবোধগুলোই এই প্রতিযোগিতাটিকে আমার কাছে এত অর্থবহ করে তোলে।’
নেমো আরও বলেন, ‘কিন্তু জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন অব ইনকোয়ারি (অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডসহ পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েল সম্পর্কিত) গণহত্যা বলে উপসংহারে পৌঁছেছে। সেই সময় ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে এই আদর্শ এবং ইবিইউ-এর সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সংঘাত রয়েছে।’
ইসরায়েল অবশ্য গণহত্যার সমস্ত অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা দাবি করে, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নেতৃত্বাধীন আন্তসীমান্ত হামলার পর নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে।
নেমোর এই মন্তব্য ইউরোভিশনের আয়োজক ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)-এর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের সর্বশেষ সংযোজন। ইসরায়েলকে আগামী বছর অস্ট্রিয়াতে অনুষ্ঠেয় ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ায় ইতিমধ্যেই পাঁচটি দেশ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিবাদে নেমোর আগে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়া ইউরোভিশন ২০২৩ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত বুধবার আইসল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা আরইউভি জানিয়েছে, তারা ২০২৬ সালের ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে অংশ নেবে না।
নেমো বলেন, দেশগুলো যখন প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসে, তখন স্পষ্টতই বোঝা যায় যে কোথাও বড় কোনো সমস্যা রয়েছে। তিনি ইউরোভিশন ট্রফিটি জেনেভায় ইবিইউ-এর সদর দপ্তরে ফেরত পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রায় ১৬ কোটি দর্শক দেখে থাকেন ইউরোভিশন সং সং কনটেন্ট। এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজক ইবিইউ-এর উদ্দেশে নেমোর স্পষ্ট বার্তা হলো: ‘আপনারা যা দাবি করেন, তা বাস্তবে মেনে চলুন। মঞ্চে আমরা যে মূল্যবোধগুলো উদ্যাপন করি, যদি মঞ্চের বাইরে তা না থাকে, তবে সবচেয়ে সুন্দর গানগুলোও অর্থহীন হয়ে যায়। আমি সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আছি যখন কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। তত দিন পর্যন্ত এই ট্রফিটি আপনাদের।’

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
‘দ্য কোড’ নামে একটি ড্রাম-অ্যান্ড-বেস, অপেরা, র্যাপ এবং রক গান গেয়ে ২০২৪ সালের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন নন-বাইনারি গায়ক নেমো। তিনি বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ এই প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের জন্য মর্যাদার আদর্শের পরিপন্থী।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নেমো বলেন, ‘ইউরোভিশন দাবি করে যে তারা ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ায়। আর এই মূল্যবোধগুলোই এই প্রতিযোগিতাটিকে আমার কাছে এত অর্থবহ করে তোলে।’
নেমো আরও বলেন, ‘কিন্তু জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন অব ইনকোয়ারি (অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডসহ পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েল সম্পর্কিত) গণহত্যা বলে উপসংহারে পৌঁছেছে। সেই সময় ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে এই আদর্শ এবং ইবিইউ-এর সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সংঘাত রয়েছে।’
ইসরায়েল অবশ্য গণহত্যার সমস্ত অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা দাবি করে, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নেতৃত্বাধীন আন্তসীমান্ত হামলার পর নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে।
নেমোর এই মন্তব্য ইউরোভিশনের আয়োজক ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)-এর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের সর্বশেষ সংযোজন। ইসরায়েলকে আগামী বছর অস্ট্রিয়াতে অনুষ্ঠেয় ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ায় ইতিমধ্যেই পাঁচটি দেশ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিবাদে নেমোর আগে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়া ইউরোভিশন ২০২৩ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত বুধবার আইসল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা আরইউভি জানিয়েছে, তারা ২০২৬ সালের ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে অংশ নেবে না।
নেমো বলেন, দেশগুলো যখন প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসে, তখন স্পষ্টতই বোঝা যায় যে কোথাও বড় কোনো সমস্যা রয়েছে। তিনি ইউরোভিশন ট্রফিটি জেনেভায় ইবিইউ-এর সদর দপ্তরে ফেরত পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রায় ১৬ কোটি দর্শক দেখে থাকেন ইউরোভিশন সং সং কনটেন্ট। এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজক ইবিইউ-এর উদ্দেশে নেমোর স্পষ্ট বার্তা হলো: ‘আপনারা যা দাবি করেন, তা বাস্তবে মেনে চলুন। মঞ্চে আমরা যে মূল্যবোধগুলো উদ্যাপন করি, যদি মঞ্চের বাইরে তা না থাকে, তবে সবচেয়ে সুন্দর গানগুলোও অর্থহীন হয়ে যায়। আমি সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আছি যখন কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। তত দিন পর্যন্ত এই ট্রফিটি আপনাদের।’

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
১৮ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।
কয়েক দিন আগে মনজু আহমেদের একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন চুমকি। সেখানে জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে ফারজানা চুমকি বলেন, জয়া আহসান ও রুনা খানের কিছু ফটোশুট দেখলে মনে হয় এগুলো তাঁরা না করলেও পারতেন। এরপর চুমকির সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অনেকে করছেন সমালোচনা। সহকর্মীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
যেভাবে ঘটনা শুরু
১৯৯৯ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারজানা চুমকি। এরপর নিয়মিত ফটোশুট করতেন তিনি। প্রায় এক যুগের বেশি হয়েছে, ফটোশুটে সময় দেননি তিনি। অনুষ্ঠানে চুমকি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ায় ফটোশুট করা হয়নি তাঁর। তবে নতুন করে আবার ফটোশুটে সময় দিতে চান তিনি। সেই সময় উপস্থাপক জানতে চান, রুনা খান ওজন কমিয়ে ফটোশুট করছেন, তাহলে তিনি কেন পারেননি? জবাবে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘রুনা খান অনেক ডেডিকেটেড ছিল। অনেক চেষ্টার পর ও পেরেছে। আমার হয়তো ওই চেষ্টাটা ছিল না। রুনা খানের টার্গেট ছিল সে শুকাবে, ফটোশুট করবে, হট হট ফটোশুট করছে। আমার মাথায় এই চিন্তাটাই নেই। এ ছাড়া আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে।’
তিনিও রুনা খানের মতো হট ফটোশুট করবেন কি না, জানতে চাইলে চুমকি জানান, এমনটা করলে তিনি অনেক আগেই সিনেমায় অভিনয় করতেন। চুমকি বলেন, ‘ফটোসুন্দরী হওয়ার পর অনেক সিনেমার অফার এসেছে। কিন্তু ওই সময় সিনেমার অবস্থা একটু দুস্থ ছিল বা ভালগার টাইপের। প্রথমত, আমাকে বাসা থেকে দেয়নি, আমারও মনে হয়েছে ওই ধরনের কাজ আমি করতে পারব না।’
রুনা খানকে নিয়ে জেলাস কি না, জানতে চাইলে চুমকি বলেন, ‘রুনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ও ওর জায়গা থেকে কাজ করছে। জেলাস হব কেন? তবে মাঝে মাঝে কিছু ফটোশুট দেখে মনে হয় দরকার কী? না করলেও পারত। রুনা অনেক ভালো অভিনেত্রী। ওর এভাবে ফটোশুট না করলেও হতো।’
এর পরেই জয়া আহসানের ফটোশুট নিয়ে মন্তব্য করেন চুমকি। তিনি বলেন, ‘জয়া আপার কিছু হট ছবি মনে হয় অসম্ভব ভালো। আবার কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ভালো লাগছে না। কারণ, জয়া আপাকে আমি শুরুতে যখন দেখেছি, একটি সেফটিপিন যাতে সরে গিয়ে পেট না দেখা যায়—এতটা সচেতন থাকতেন। ওভাবে দেখে অভ্যস্ত।
এ জন্য হঠাৎ করে আমাদের ধাক্কা লাগে। আর কিছু না।’
চুমকির বক্তব্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বিষয়টি নজর এড়ায়নি চুমকির। তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেসবুকে চুমকি লেখেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলি নাই। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো। ওর অভিনয়ের ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নাই। আপনারা কেন এই ভাবে লিখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।
কয়েক দিন আগে মনজু আহমেদের একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন চুমকি। সেখানে জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে ফারজানা চুমকি বলেন, জয়া আহসান ও রুনা খানের কিছু ফটোশুট দেখলে মনে হয় এগুলো তাঁরা না করলেও পারতেন। এরপর চুমকির সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অনেকে করছেন সমালোচনা। সহকর্মীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
যেভাবে ঘটনা শুরু
১৯৯৯ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারজানা চুমকি। এরপর নিয়মিত ফটোশুট করতেন তিনি। প্রায় এক যুগের বেশি হয়েছে, ফটোশুটে সময় দেননি তিনি। অনুষ্ঠানে চুমকি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ায় ফটোশুট করা হয়নি তাঁর। তবে নতুন করে আবার ফটোশুটে সময় দিতে চান তিনি। সেই সময় উপস্থাপক জানতে চান, রুনা খান ওজন কমিয়ে ফটোশুট করছেন, তাহলে তিনি কেন পারেননি? জবাবে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘রুনা খান অনেক ডেডিকেটেড ছিল। অনেক চেষ্টার পর ও পেরেছে। আমার হয়তো ওই চেষ্টাটা ছিল না। রুনা খানের টার্গেট ছিল সে শুকাবে, ফটোশুট করবে, হট হট ফটোশুট করছে। আমার মাথায় এই চিন্তাটাই নেই। এ ছাড়া আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে।’
তিনিও রুনা খানের মতো হট ফটোশুট করবেন কি না, জানতে চাইলে চুমকি জানান, এমনটা করলে তিনি অনেক আগেই সিনেমায় অভিনয় করতেন। চুমকি বলেন, ‘ফটোসুন্দরী হওয়ার পর অনেক সিনেমার অফার এসেছে। কিন্তু ওই সময় সিনেমার অবস্থা একটু দুস্থ ছিল বা ভালগার টাইপের। প্রথমত, আমাকে বাসা থেকে দেয়নি, আমারও মনে হয়েছে ওই ধরনের কাজ আমি করতে পারব না।’
রুনা খানকে নিয়ে জেলাস কি না, জানতে চাইলে চুমকি বলেন, ‘রুনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ও ওর জায়গা থেকে কাজ করছে। জেলাস হব কেন? তবে মাঝে মাঝে কিছু ফটোশুট দেখে মনে হয় দরকার কী? না করলেও পারত। রুনা অনেক ভালো অভিনেত্রী। ওর এভাবে ফটোশুট না করলেও হতো।’
এর পরেই জয়া আহসানের ফটোশুট নিয়ে মন্তব্য করেন চুমকি। তিনি বলেন, ‘জয়া আপার কিছু হট ছবি মনে হয় অসম্ভব ভালো। আবার কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ভালো লাগছে না। কারণ, জয়া আপাকে আমি শুরুতে যখন দেখেছি, একটি সেফটিপিন যাতে সরে গিয়ে পেট না দেখা যায়—এতটা সচেতন থাকতেন। ওভাবে দেখে অভ্যস্ত।
এ জন্য হঠাৎ করে আমাদের ধাক্কা লাগে। আর কিছু না।’
চুমকির বক্তব্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বিষয়টি নজর এড়ায়নি চুমকির। তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেসবুকে চুমকি লেখেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলি নাই। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো। ওর অভিনয়ের ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নাই। আপনারা কেন এই ভাবে লিখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১২ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের উৎসবে বিজয়ীদের নাম। এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতে নিয়েছে রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’। ক্রেস্টের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে এই সিনেমাটি পেয়েছে ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি।
‘ইউনান’ সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন সিরিয়ার নির্মাতা আমির ফখের এলদিন। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জর্জ খাব্বাজ। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সিও সু-বিন, তিনি সেরা হয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’ সিনেমার জন্য।
লস্ট ল্যান্ড সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে মিয়ানমারে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই শিশুকে ঘিরে। ৯ বছর বয়সী সামিরা চার বছর বয়সী ভাই শফিকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা চাচাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দশে যাত্রা শুরু করে। তাদের এই দুঃসহ যাত্রাপথের গল্প নিয়ে সিনেমা। এ বছর ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল লস্ট ল্যান্ড।
পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যান্থনি হপকিন্স, ইদ্রিস এলবা, ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি এবং সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনি ডেপ, সালমান খান, শাইলিন উডলির মতো তারকারা।
এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী হলিউড নির্মাতা শন বেকার। তাঁর সঙ্গে জুরি বোর্ডে ছিলেন রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, ওলগা কুরিলেঙ্কো ও নাদিন লাবাকি। পুরস্কার দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।
নির্বাচিত সেরাদের তালিকা
সিনেমা
লস্ট ল্যান্ড (আকিও ফুজিমোতো)
জুরি পুরস্কার
হিজরা (শাহাদ আমিন)
পরিচালক
আমির ফখের এলদিন (ইউনান)
চিত্রনাট্য
সিরিল অ্যারিস ও বেন ফাকিহ (আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড)
অভিনেতা
জর্জ খাব্বাজ (ইউনান)
অভিনেত্রী
সিও সু-বিন (দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ)
সেরা তথ্যচিত্র
ইন-আই ইন মোশন (জুলিয়েট বিনোচে)
সৌদি চলচ্চিত্র
হিজরা (শাহাদ আমিন)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
কোয়োটস (সাইদ জাঘা)

বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের উৎসবে বিজয়ীদের নাম। এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতে নিয়েছে রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’। ক্রেস্টের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে এই সিনেমাটি পেয়েছে ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি।
‘ইউনান’ সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন সিরিয়ার নির্মাতা আমির ফখের এলদিন। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জর্জ খাব্বাজ। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সিও সু-বিন, তিনি সেরা হয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’ সিনেমার জন্য।
লস্ট ল্যান্ড সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে মিয়ানমারে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই শিশুকে ঘিরে। ৯ বছর বয়সী সামিরা চার বছর বয়সী ভাই শফিকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা চাচাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দশে যাত্রা শুরু করে। তাদের এই দুঃসহ যাত্রাপথের গল্প নিয়ে সিনেমা। এ বছর ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল লস্ট ল্যান্ড।
পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যান্থনি হপকিন্স, ইদ্রিস এলবা, ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি এবং সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনি ডেপ, সালমান খান, শাইলিন উডলির মতো তারকারা।
এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী হলিউড নির্মাতা শন বেকার। তাঁর সঙ্গে জুরি বোর্ডে ছিলেন রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, ওলগা কুরিলেঙ্কো ও নাদিন লাবাকি। পুরস্কার দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।
নির্বাচিত সেরাদের তালিকা
সিনেমা
লস্ট ল্যান্ড (আকিও ফুজিমোতো)
জুরি পুরস্কার
হিজরা (শাহাদ আমিন)
পরিচালক
আমির ফখের এলদিন (ইউনান)
চিত্রনাট্য
সিরিল অ্যারিস ও বেন ফাকিহ (আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড)
অভিনেতা
জর্জ খাব্বাজ (ইউনান)
অভিনেত্রী
সিও সু-বিন (দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ)
সেরা তথ্যচিত্র
ইন-আই ইন মোশন (জুলিয়েট বিনোচে)
সৌদি চলচ্চিত্র
হিজরা (শাহাদ আমিন)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
কোয়োটস (সাইদ জাঘা)

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১২ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
১৮ ঘণ্টা আগে