নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটা মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। এত চাপ, মিথ্যা মামলা, যে সমস্ত খেলা, হয়রানি, এই অপমানের জবাব। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশ যে নিজেরা পারে, এই ধারণাটা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।'
জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীসহ মোট ৩৮ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য দেন। বুধবার বিকেল ৫টার কিছু সময় পর আলোচনা শুরু হয়। শেষ হয় রাত সাড়ে ১১টায়। আলোচনা শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের শর্ত হিসেবে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদ দিতে বিশ্বব্যাংক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক চাপ ছিল। একটি মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। স্টেট ডিপার্টমেন্ট দুই দুইবার আমার ছেলেকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ডেকে নিয়ে থ্রেট করেছে যে, তোমার মাকে বলো এমডির পদ থেকে ইউনূসকে সরানো যাবে না। না হলে তোমার অডিট হবে। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে।
ড. ইউনূসের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, 'গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ড. ইউনূস বেআইনিভাবে ৭১ বছর পর্যন্ত এমডি পদে ছিল। তাঁকে কোনো অপমান করা হয়নি। বরং তাঁকে ব্যাংকের উপদেষ্টা এমেরিটাস হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে এমডি থাকতে হবে।' তিনি বলেন, '১৯৯৮ সালের বন্যার সময় গ্রামীণ ব্যাংককে আমরা ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। গ্রামীণ ফোনের লাভের টাকা ব্যাংকে যাওয়ার শর্ত ছিল। কিন্তু তিনি তার একটি টাকাও ব্যাংককে দেননি। বরং গ্রামীণ ব্যাংকের যত টাকা, সব কিন্তু তিনি নিজে খেয়ে গেছেন। না হলে একজন ব্যাংকের এমডি এত টাকার মালিক হয় কীভাবে? দেশে-বিদেশে এত বিনিয়োগ করে কীভাবে? ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে লক্ষ লক্ষ ডলার কীভাবে অনুদান দেয়? কার টাকা দিল? কীভাবে দিল, সেটা তো কেউ খোঁজ নিল না।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বলা হলো। আমি, আমার বোন (শেখ) রেহানা, আমার ছেলে কেউ বাদ যায়নি। ড. মসিউর রহমান, আমাদের সচিব মোশাররফ, মন্ত্রী আবুল হোসেন-এদের ওপর যে জুলুম তারা করেছে এবং যখন অসত্য অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিল, তখন আমরা বললাম, আমরা নিজের টাকায় করব। অনেকে বোধহয় ভেবেছিলেন, এটা অস্বাভাবিক। কিন্তু আমি বলেছিলাম আমরা করতে পারব। এই আত্মবিশ্বাস আমার ছিল।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের বিরুদ্ধে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের করা মামলার প্রসঙ্গ তুৃলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রত্যেকটি মামলায় হেরে গেল। কারণ, আইন তো তাঁকে কাভার দিতে পারে না। আইন তো কারও বয়স কমাতে পারে না। হেরে গিয়ে আরও ক্ষেপে গেল। হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে আমাকে ফোন করিয়েছে, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ারকে দিয়ে ফোন করিয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি আসলেন-সবার কথা ইউনূসকে ব্যাংকের এমডি রাখতে হবে। জাতির কাছে প্রশ্ন করছি ব্যাংকের এমডির পদে কী মধু ছিল যে, ওইটুকু ওনার না হলে চলত না। নোবেল প্লাইজ যে পায়, সে একটি এমডি পদের জন্য এত লালায়িত কেন? সেটা সবার চিন্তা করে দেখা উচিত।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'বিশ্বব্যাংক যেন টাকাটা বন্ধ করে, তার জন্য বারবার ই-মেইল পাঠানো, হিলারির সঙ্গে দেখা করা, তাঁকে দিয়ে ই-মেইল পাঠানো; এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের একজন সম্পাদকও ভালোভাবে জড়িত ছিলেন। আমার প্রশ্ন এদের মধ্যে কী কোনো দেশপ্রেম আছে?'
পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে নানামুখী চাপের বর্ণনা দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'কার ডায়রিতে লিখে রাখছে ডিডটা হলে পরে অমুক এত পারসেন্ট, অমুক এত পারসেন্ট। এখানে মসিউর রহমান সাহেবের নাম, রেহানার নাম, নিক্সনের নাম, তারপর আমাদের আবুল হোসেনের নাম, সচিবের নাম; সবার নাম দিয়ে পারসেন্টেজ লিখে রেখেছে। আমি যখন ডিমান্ড করলাম আমাকে কাগজ দাও। আমি দুর্নীতির এভিডেন্স চাই। (পাওয়া গেল) একটা ডায়রির কাগজ; (সেখানে) পেনসিল দিয়ে লেখা। সেখানে তারিখ নেই, কিছু নেই। কোথায় বসে লিখেছে। এটা নাকি ওয়েস্টিন হোটেলে বসে লেখা। আমি বিশ্বব্যাংক ও আমেরিকানদের জবাব দিয়ে বলেছিলাম, হ্যাঁ, আমার সাথে তো হেলারি ক্লিনটন দেখা করতে এসেছিল। সে এই এই কোম্পানিকে কাজ দিন, এবং ওই ওই কোম্পানিকে কাজ দিলে এত পারসেন্ট পাবে; আমার ডায়রিতে লেখা আছে; দেব বের করে? তখন চুপ হয়ে গেছে।'
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে নানা জটিলতা, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া নানা চাপের কথা সবিস্তারে তুলে ধরেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা ওয়াল্ড ব্যাংককে দোষ দিচ্ছি। কিন্তু এই বিশ্বব্যাংককে দিয়ে তো এটা করানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট তাঁর শেষ কর্মদিবসে এটার টাকা বন্ধ করে দিয়ে যায়। তারপর তাদের চাপ হলো, অমুককে গ্রেপ্তার করতে হবে, অমুককে বাদ দিতে হবে, তাহলে আমরা টাকা দেব। কিন্তু আমি বললাম এটা করতে দেব না। কারণ কোনো টাকা ছাড় হয়নি। দুর্নীতিটা হলো কোত্থেকে? আমি তো তাদের কাছে এভিডেন্স চেয়েছি। কিন্তু তারা তো দিতে পারেনি। একটা কাগজও দিতে পারেনি। তাহলে তাদের এই অপবাদ আমরা নেব কেন?'
হাজার চাপেও নতি স্বীকার করেননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি কিন্তু দমে যাইনি। সততা আমার শক্তি। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগণকে অপমান করে কোনো কিছু করব? এটা নয়। এই একটা সিদ্ধান্ত। যখন আমরা সেতু করতে শুরু করলাম। সবার টনক নড়ল। সবাই সমীহ করতে শুরু করল যে, না বাংলাদেশ পারে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে।'
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে সংসদ নেতা বলেন, 'রেললাইন কেন করলাম, সেটা নিয়েও আমাদের অর্থনীতিবিদরা প্রশ্ন তুলেছেন। এই সেতুর দরকারটা কী ছিলো, এই কথাটাও কেউ কেউ বলেন। যখণ নির্মাণকাজ শুরু করি, অনেক জ্ঞানীগুনি বলেছিলেন, হ্যাঁ আওয়ামী লীগ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবে, কিন্তু সেতু সম্পন্ন করতে পারবে না। তাদের কেউ কেউ আমাদের সরকারের সাথেও ছিল। কত রকমের কথা এখানে শুনতে হয়েছে। আর এর একটাই কারণ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ছাড়া কিছু করা যাবে না, তাদের খবরদারি ছাড়া কোনো কিছু হবে না, বাংলাদেশের কোনো উন্নতি হবে না, আমাকে এটাই বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। আমি বলেছি, না, আমি মানি না। আমরা পারব। না পারলে করব না। কিন্তু আমার দেশকে অপমান করে টাকা নিয়ে করতে হবে? আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে, যদি এটা না হয় আপনার ইলেকশনের কী হবে? আমার কথা-জনগণ ভোট দেবে না। ক্ষমতায় আসব না। ২০০১ সালে তো আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটা মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। এত চাপ, মিথ্যা মামলা, যে সমস্ত খেলা, হয়রানি, এই অপমানের জবাব। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশ যে নিজেরা পারে, এই ধারণাটা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।'
জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীসহ মোট ৩৮ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য দেন। বুধবার বিকেল ৫টার কিছু সময় পর আলোচনা শুরু হয়। শেষ হয় রাত সাড়ে ১১টায়। আলোচনা শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের শর্ত হিসেবে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদ দিতে বিশ্বব্যাংক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক চাপ ছিল। একটি মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। স্টেট ডিপার্টমেন্ট দুই দুইবার আমার ছেলেকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ডেকে নিয়ে থ্রেট করেছে যে, তোমার মাকে বলো এমডির পদ থেকে ইউনূসকে সরানো যাবে না। না হলে তোমার অডিট হবে। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে।
ড. ইউনূসের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, 'গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ড. ইউনূস বেআইনিভাবে ৭১ বছর পর্যন্ত এমডি পদে ছিল। তাঁকে কোনো অপমান করা হয়নি। বরং তাঁকে ব্যাংকের উপদেষ্টা এমেরিটাস হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে এমডি থাকতে হবে।' তিনি বলেন, '১৯৯৮ সালের বন্যার সময় গ্রামীণ ব্যাংককে আমরা ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। গ্রামীণ ফোনের লাভের টাকা ব্যাংকে যাওয়ার শর্ত ছিল। কিন্তু তিনি তার একটি টাকাও ব্যাংককে দেননি। বরং গ্রামীণ ব্যাংকের যত টাকা, সব কিন্তু তিনি নিজে খেয়ে গেছেন। না হলে একজন ব্যাংকের এমডি এত টাকার মালিক হয় কীভাবে? দেশে-বিদেশে এত বিনিয়োগ করে কীভাবে? ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে লক্ষ লক্ষ ডলার কীভাবে অনুদান দেয়? কার টাকা দিল? কীভাবে দিল, সেটা তো কেউ খোঁজ নিল না।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বলা হলো। আমি, আমার বোন (শেখ) রেহানা, আমার ছেলে কেউ বাদ যায়নি। ড. মসিউর রহমান, আমাদের সচিব মোশাররফ, মন্ত্রী আবুল হোসেন-এদের ওপর যে জুলুম তারা করেছে এবং যখন অসত্য অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিল, তখন আমরা বললাম, আমরা নিজের টাকায় করব। অনেকে বোধহয় ভেবেছিলেন, এটা অস্বাভাবিক। কিন্তু আমি বলেছিলাম আমরা করতে পারব। এই আত্মবিশ্বাস আমার ছিল।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের বিরুদ্ধে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের করা মামলার প্রসঙ্গ তুৃলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রত্যেকটি মামলায় হেরে গেল। কারণ, আইন তো তাঁকে কাভার দিতে পারে না। আইন তো কারও বয়স কমাতে পারে না। হেরে গিয়ে আরও ক্ষেপে গেল। হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে আমাকে ফোন করিয়েছে, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ারকে দিয়ে ফোন করিয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি আসলেন-সবার কথা ইউনূসকে ব্যাংকের এমডি রাখতে হবে। জাতির কাছে প্রশ্ন করছি ব্যাংকের এমডির পদে কী মধু ছিল যে, ওইটুকু ওনার না হলে চলত না। নোবেল প্লাইজ যে পায়, সে একটি এমডি পদের জন্য এত লালায়িত কেন? সেটা সবার চিন্তা করে দেখা উচিত।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'বিশ্বব্যাংক যেন টাকাটা বন্ধ করে, তার জন্য বারবার ই-মেইল পাঠানো, হিলারির সঙ্গে দেখা করা, তাঁকে দিয়ে ই-মেইল পাঠানো; এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের একজন সম্পাদকও ভালোভাবে জড়িত ছিলেন। আমার প্রশ্ন এদের মধ্যে কী কোনো দেশপ্রেম আছে?'
পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে নানামুখী চাপের বর্ণনা দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'কার ডায়রিতে লিখে রাখছে ডিডটা হলে পরে অমুক এত পারসেন্ট, অমুক এত পারসেন্ট। এখানে মসিউর রহমান সাহেবের নাম, রেহানার নাম, নিক্সনের নাম, তারপর আমাদের আবুল হোসেনের নাম, সচিবের নাম; সবার নাম দিয়ে পারসেন্টেজ লিখে রেখেছে। আমি যখন ডিমান্ড করলাম আমাকে কাগজ দাও। আমি দুর্নীতির এভিডেন্স চাই। (পাওয়া গেল) একটা ডায়রির কাগজ; (সেখানে) পেনসিল দিয়ে লেখা। সেখানে তারিখ নেই, কিছু নেই। কোথায় বসে লিখেছে। এটা নাকি ওয়েস্টিন হোটেলে বসে লেখা। আমি বিশ্বব্যাংক ও আমেরিকানদের জবাব দিয়ে বলেছিলাম, হ্যাঁ, আমার সাথে তো হেলারি ক্লিনটন দেখা করতে এসেছিল। সে এই এই কোম্পানিকে কাজ দিন, এবং ওই ওই কোম্পানিকে কাজ দিলে এত পারসেন্ট পাবে; আমার ডায়রিতে লেখা আছে; দেব বের করে? তখন চুপ হয়ে গেছে।'
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে নানা জটিলতা, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া নানা চাপের কথা সবিস্তারে তুলে ধরেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা ওয়াল্ড ব্যাংককে দোষ দিচ্ছি। কিন্তু এই বিশ্বব্যাংককে দিয়ে তো এটা করানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট তাঁর শেষ কর্মদিবসে এটার টাকা বন্ধ করে দিয়ে যায়। তারপর তাদের চাপ হলো, অমুককে গ্রেপ্তার করতে হবে, অমুককে বাদ দিতে হবে, তাহলে আমরা টাকা দেব। কিন্তু আমি বললাম এটা করতে দেব না। কারণ কোনো টাকা ছাড় হয়নি। দুর্নীতিটা হলো কোত্থেকে? আমি তো তাদের কাছে এভিডেন্স চেয়েছি। কিন্তু তারা তো দিতে পারেনি। একটা কাগজও দিতে পারেনি। তাহলে তাদের এই অপবাদ আমরা নেব কেন?'
হাজার চাপেও নতি স্বীকার করেননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি কিন্তু দমে যাইনি। সততা আমার শক্তি। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগণকে অপমান করে কোনো কিছু করব? এটা নয়। এই একটা সিদ্ধান্ত। যখন আমরা সেতু করতে শুরু করলাম। সবার টনক নড়ল। সবাই সমীহ করতে শুরু করল যে, না বাংলাদেশ পারে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে।'
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে সংসদ নেতা বলেন, 'রেললাইন কেন করলাম, সেটা নিয়েও আমাদের অর্থনীতিবিদরা প্রশ্ন তুলেছেন। এই সেতুর দরকারটা কী ছিলো, এই কথাটাও কেউ কেউ বলেন। যখণ নির্মাণকাজ শুরু করি, অনেক জ্ঞানীগুনি বলেছিলেন, হ্যাঁ আওয়ামী লীগ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবে, কিন্তু সেতু সম্পন্ন করতে পারবে না। তাদের কেউ কেউ আমাদের সরকারের সাথেও ছিল। কত রকমের কথা এখানে শুনতে হয়েছে। আর এর একটাই কারণ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ছাড়া কিছু করা যাবে না, তাদের খবরদারি ছাড়া কোনো কিছু হবে না, বাংলাদেশের কোনো উন্নতি হবে না, আমাকে এটাই বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। আমি বলেছি, না, আমি মানি না। আমরা পারব। না পারলে করব না। কিন্তু আমার দেশকে অপমান করে টাকা নিয়ে করতে হবে? আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে, যদি এটা না হয় আপনার ইলেকশনের কী হবে? আমার কথা-জনগণ ভোট দেবে না। ক্ষমতায় আসব না। ২০০১ সালে তো আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি।'
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটা মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। এত চাপ, মিথ্যা মামলা, যে সমস্ত খেলা, হয়রানি, এই অপমানের জবাব। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশ যে নিজেরা পারে, এই ধারণাটা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।'
জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীসহ মোট ৩৮ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য দেন। বুধবার বিকেল ৫টার কিছু সময় পর আলোচনা শুরু হয়। শেষ হয় রাত সাড়ে ১১টায়। আলোচনা শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের শর্ত হিসেবে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদ দিতে বিশ্বব্যাংক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক চাপ ছিল। একটি মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। স্টেট ডিপার্টমেন্ট দুই দুইবার আমার ছেলেকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ডেকে নিয়ে থ্রেট করেছে যে, তোমার মাকে বলো এমডির পদ থেকে ইউনূসকে সরানো যাবে না। না হলে তোমার অডিট হবে। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে।
ড. ইউনূসের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, 'গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ড. ইউনূস বেআইনিভাবে ৭১ বছর পর্যন্ত এমডি পদে ছিল। তাঁকে কোনো অপমান করা হয়নি। বরং তাঁকে ব্যাংকের উপদেষ্টা এমেরিটাস হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে এমডি থাকতে হবে।' তিনি বলেন, '১৯৯৮ সালের বন্যার সময় গ্রামীণ ব্যাংককে আমরা ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। গ্রামীণ ফোনের লাভের টাকা ব্যাংকে যাওয়ার শর্ত ছিল। কিন্তু তিনি তার একটি টাকাও ব্যাংককে দেননি। বরং গ্রামীণ ব্যাংকের যত টাকা, সব কিন্তু তিনি নিজে খেয়ে গেছেন। না হলে একজন ব্যাংকের এমডি এত টাকার মালিক হয় কীভাবে? দেশে-বিদেশে এত বিনিয়োগ করে কীভাবে? ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে লক্ষ লক্ষ ডলার কীভাবে অনুদান দেয়? কার টাকা দিল? কীভাবে দিল, সেটা তো কেউ খোঁজ নিল না।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বলা হলো। আমি, আমার বোন (শেখ) রেহানা, আমার ছেলে কেউ বাদ যায়নি। ড. মসিউর রহমান, আমাদের সচিব মোশাররফ, মন্ত্রী আবুল হোসেন-এদের ওপর যে জুলুম তারা করেছে এবং যখন অসত্য অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিল, তখন আমরা বললাম, আমরা নিজের টাকায় করব। অনেকে বোধহয় ভেবেছিলেন, এটা অস্বাভাবিক। কিন্তু আমি বলেছিলাম আমরা করতে পারব। এই আত্মবিশ্বাস আমার ছিল।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের বিরুদ্ধে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের করা মামলার প্রসঙ্গ তুৃলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রত্যেকটি মামলায় হেরে গেল। কারণ, আইন তো তাঁকে কাভার দিতে পারে না। আইন তো কারও বয়স কমাতে পারে না। হেরে গিয়ে আরও ক্ষেপে গেল। হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে আমাকে ফোন করিয়েছে, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ারকে দিয়ে ফোন করিয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি আসলেন-সবার কথা ইউনূসকে ব্যাংকের এমডি রাখতে হবে। জাতির কাছে প্রশ্ন করছি ব্যাংকের এমডির পদে কী মধু ছিল যে, ওইটুকু ওনার না হলে চলত না। নোবেল প্লাইজ যে পায়, সে একটি এমডি পদের জন্য এত লালায়িত কেন? সেটা সবার চিন্তা করে দেখা উচিত।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'বিশ্বব্যাংক যেন টাকাটা বন্ধ করে, তার জন্য বারবার ই-মেইল পাঠানো, হিলারির সঙ্গে দেখা করা, তাঁকে দিয়ে ই-মেইল পাঠানো; এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের একজন সম্পাদকও ভালোভাবে জড়িত ছিলেন। আমার প্রশ্ন এদের মধ্যে কী কোনো দেশপ্রেম আছে?'
পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে নানামুখী চাপের বর্ণনা দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'কার ডায়রিতে লিখে রাখছে ডিডটা হলে পরে অমুক এত পারসেন্ট, অমুক এত পারসেন্ট। এখানে মসিউর রহমান সাহেবের নাম, রেহানার নাম, নিক্সনের নাম, তারপর আমাদের আবুল হোসেনের নাম, সচিবের নাম; সবার নাম দিয়ে পারসেন্টেজ লিখে রেখেছে। আমি যখন ডিমান্ড করলাম আমাকে কাগজ দাও। আমি দুর্নীতির এভিডেন্স চাই। (পাওয়া গেল) একটা ডায়রির কাগজ; (সেখানে) পেনসিল দিয়ে লেখা। সেখানে তারিখ নেই, কিছু নেই। কোথায় বসে লিখেছে। এটা নাকি ওয়েস্টিন হোটেলে বসে লেখা। আমি বিশ্বব্যাংক ও আমেরিকানদের জবাব দিয়ে বলেছিলাম, হ্যাঁ, আমার সাথে তো হেলারি ক্লিনটন দেখা করতে এসেছিল। সে এই এই কোম্পানিকে কাজ দিন, এবং ওই ওই কোম্পানিকে কাজ দিলে এত পারসেন্ট পাবে; আমার ডায়রিতে লেখা আছে; দেব বের করে? তখন চুপ হয়ে গেছে।'
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে নানা জটিলতা, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া নানা চাপের কথা সবিস্তারে তুলে ধরেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা ওয়াল্ড ব্যাংককে দোষ দিচ্ছি। কিন্তু এই বিশ্বব্যাংককে দিয়ে তো এটা করানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট তাঁর শেষ কর্মদিবসে এটার টাকা বন্ধ করে দিয়ে যায়। তারপর তাদের চাপ হলো, অমুককে গ্রেপ্তার করতে হবে, অমুককে বাদ দিতে হবে, তাহলে আমরা টাকা দেব। কিন্তু আমি বললাম এটা করতে দেব না। কারণ কোনো টাকা ছাড় হয়নি। দুর্নীতিটা হলো কোত্থেকে? আমি তো তাদের কাছে এভিডেন্স চেয়েছি। কিন্তু তারা তো দিতে পারেনি। একটা কাগজও দিতে পারেনি। তাহলে তাদের এই অপবাদ আমরা নেব কেন?'
হাজার চাপেও নতি স্বীকার করেননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি কিন্তু দমে যাইনি। সততা আমার শক্তি। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগণকে অপমান করে কোনো কিছু করব? এটা নয়। এই একটা সিদ্ধান্ত। যখন আমরা সেতু করতে শুরু করলাম। সবার টনক নড়ল। সবাই সমীহ করতে শুরু করল যে, না বাংলাদেশ পারে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে।'
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে সংসদ নেতা বলেন, 'রেললাইন কেন করলাম, সেটা নিয়েও আমাদের অর্থনীতিবিদরা প্রশ্ন তুলেছেন। এই সেতুর দরকারটা কী ছিলো, এই কথাটাও কেউ কেউ বলেন। যখণ নির্মাণকাজ শুরু করি, অনেক জ্ঞানীগুনি বলেছিলেন, হ্যাঁ আওয়ামী লীগ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবে, কিন্তু সেতু সম্পন্ন করতে পারবে না। তাদের কেউ কেউ আমাদের সরকারের সাথেও ছিল। কত রকমের কথা এখানে শুনতে হয়েছে। আর এর একটাই কারণ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ছাড়া কিছু করা যাবে না, তাদের খবরদারি ছাড়া কোনো কিছু হবে না, বাংলাদেশের কোনো উন্নতি হবে না, আমাকে এটাই বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। আমি বলেছি, না, আমি মানি না। আমরা পারব। না পারলে করব না। কিন্তু আমার দেশকে অপমান করে টাকা নিয়ে করতে হবে? আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে, যদি এটা না হয় আপনার ইলেকশনের কী হবে? আমার কথা-জনগণ ভোট দেবে না। ক্ষমতায় আসব না। ২০০১ সালে তো আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটা মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। এত চাপ, মিথ্যা মামলা, যে সমস্ত খেলা, হয়রানি, এই অপমানের জবাব। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশ যে নিজেরা পারে, এই ধারণাটা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।'
জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীসহ মোট ৩৮ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য দেন। বুধবার বিকেল ৫টার কিছু সময় পর আলোচনা শুরু হয়। শেষ হয় রাত সাড়ে ১১টায়। আলোচনা শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের শর্ত হিসেবে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদ দিতে বিশ্বব্যাংক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক চাপ ছিল। একটি মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। স্টেট ডিপার্টমেন্ট দুই দুইবার আমার ছেলেকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ডেকে নিয়ে থ্রেট করেছে যে, তোমার মাকে বলো এমডির পদ থেকে ইউনূসকে সরানো যাবে না। না হলে তোমার অডিট হবে। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে।
ড. ইউনূসের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, 'গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ড. ইউনূস বেআইনিভাবে ৭১ বছর পর্যন্ত এমডি পদে ছিল। তাঁকে কোনো অপমান করা হয়নি। বরং তাঁকে ব্যাংকের উপদেষ্টা এমেরিটাস হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে এমডি থাকতে হবে।' তিনি বলেন, '১৯৯৮ সালের বন্যার সময় গ্রামীণ ব্যাংককে আমরা ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। গ্রামীণ ফোনের লাভের টাকা ব্যাংকে যাওয়ার শর্ত ছিল। কিন্তু তিনি তার একটি টাকাও ব্যাংককে দেননি। বরং গ্রামীণ ব্যাংকের যত টাকা, সব কিন্তু তিনি নিজে খেয়ে গেছেন। না হলে একজন ব্যাংকের এমডি এত টাকার মালিক হয় কীভাবে? দেশে-বিদেশে এত বিনিয়োগ করে কীভাবে? ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে লক্ষ লক্ষ ডলার কীভাবে অনুদান দেয়? কার টাকা দিল? কীভাবে দিল, সেটা তো কেউ খোঁজ নিল না।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বলা হলো। আমি, আমার বোন (শেখ) রেহানা, আমার ছেলে কেউ বাদ যায়নি। ড. মসিউর রহমান, আমাদের সচিব মোশাররফ, মন্ত্রী আবুল হোসেন-এদের ওপর যে জুলুম তারা করেছে এবং যখন অসত্য অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিল, তখন আমরা বললাম, আমরা নিজের টাকায় করব। অনেকে বোধহয় ভেবেছিলেন, এটা অস্বাভাবিক। কিন্তু আমি বলেছিলাম আমরা করতে পারব। এই আত্মবিশ্বাস আমার ছিল।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের বিরুদ্ধে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের করা মামলার প্রসঙ্গ তুৃলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রত্যেকটি মামলায় হেরে গেল। কারণ, আইন তো তাঁকে কাভার দিতে পারে না। আইন তো কারও বয়স কমাতে পারে না। হেরে গিয়ে আরও ক্ষেপে গেল। হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে আমাকে ফোন করিয়েছে, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ারকে দিয়ে ফোন করিয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি আসলেন-সবার কথা ইউনূসকে ব্যাংকের এমডি রাখতে হবে। জাতির কাছে প্রশ্ন করছি ব্যাংকের এমডির পদে কী মধু ছিল যে, ওইটুকু ওনার না হলে চলত না। নোবেল প্লাইজ যে পায়, সে একটি এমডি পদের জন্য এত লালায়িত কেন? সেটা সবার চিন্তা করে দেখা উচিত।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'বিশ্বব্যাংক যেন টাকাটা বন্ধ করে, তার জন্য বারবার ই-মেইল পাঠানো, হিলারির সঙ্গে দেখা করা, তাঁকে দিয়ে ই-মেইল পাঠানো; এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের একজন সম্পাদকও ভালোভাবে জড়িত ছিলেন। আমার প্রশ্ন এদের মধ্যে কী কোনো দেশপ্রেম আছে?'
পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে নানামুখী চাপের বর্ণনা দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'কার ডায়রিতে লিখে রাখছে ডিডটা হলে পরে অমুক এত পারসেন্ট, অমুক এত পারসেন্ট। এখানে মসিউর রহমান সাহেবের নাম, রেহানার নাম, নিক্সনের নাম, তারপর আমাদের আবুল হোসেনের নাম, সচিবের নাম; সবার নাম দিয়ে পারসেন্টেজ লিখে রেখেছে। আমি যখন ডিমান্ড করলাম আমাকে কাগজ দাও। আমি দুর্নীতির এভিডেন্স চাই। (পাওয়া গেল) একটা ডায়রির কাগজ; (সেখানে) পেনসিল দিয়ে লেখা। সেখানে তারিখ নেই, কিছু নেই। কোথায় বসে লিখেছে। এটা নাকি ওয়েস্টিন হোটেলে বসে লেখা। আমি বিশ্বব্যাংক ও আমেরিকানদের জবাব দিয়ে বলেছিলাম, হ্যাঁ, আমার সাথে তো হেলারি ক্লিনটন দেখা করতে এসেছিল। সে এই এই কোম্পানিকে কাজ দিন, এবং ওই ওই কোম্পানিকে কাজ দিলে এত পারসেন্ট পাবে; আমার ডায়রিতে লেখা আছে; দেব বের করে? তখন চুপ হয়ে গেছে।'
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে নানা জটিলতা, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া নানা চাপের কথা সবিস্তারে তুলে ধরেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা ওয়াল্ড ব্যাংককে দোষ দিচ্ছি। কিন্তু এই বিশ্বব্যাংককে দিয়ে তো এটা করানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট তাঁর শেষ কর্মদিবসে এটার টাকা বন্ধ করে দিয়ে যায়। তারপর তাদের চাপ হলো, অমুককে গ্রেপ্তার করতে হবে, অমুককে বাদ দিতে হবে, তাহলে আমরা টাকা দেব। কিন্তু আমি বললাম এটা করতে দেব না। কারণ কোনো টাকা ছাড় হয়নি। দুর্নীতিটা হলো কোত্থেকে? আমি তো তাদের কাছে এভিডেন্স চেয়েছি। কিন্তু তারা তো দিতে পারেনি। একটা কাগজও দিতে পারেনি। তাহলে তাদের এই অপবাদ আমরা নেব কেন?'
হাজার চাপেও নতি স্বীকার করেননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি কিন্তু দমে যাইনি। সততা আমার শক্তি। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগণকে অপমান করে কোনো কিছু করব? এটা নয়। এই একটা সিদ্ধান্ত। যখন আমরা সেতু করতে শুরু করলাম। সবার টনক নড়ল। সবাই সমীহ করতে শুরু করল যে, না বাংলাদেশ পারে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে।'
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে সংসদ নেতা বলেন, 'রেললাইন কেন করলাম, সেটা নিয়েও আমাদের অর্থনীতিবিদরা প্রশ্ন তুলেছেন। এই সেতুর দরকারটা কী ছিলো, এই কথাটাও কেউ কেউ বলেন। যখণ নির্মাণকাজ শুরু করি, অনেক জ্ঞানীগুনি বলেছিলেন, হ্যাঁ আওয়ামী লীগ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবে, কিন্তু সেতু সম্পন্ন করতে পারবে না। তাদের কেউ কেউ আমাদের সরকারের সাথেও ছিল। কত রকমের কথা এখানে শুনতে হয়েছে। আর এর একটাই কারণ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ছাড়া কিছু করা যাবে না, তাদের খবরদারি ছাড়া কোনো কিছু হবে না, বাংলাদেশের কোনো উন্নতি হবে না, আমাকে এটাই বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। আমি বলেছি, না, আমি মানি না। আমরা পারব। না পারলে করব না। কিন্তু আমার দেশকে অপমান করে টাকা নিয়ে করতে হবে? আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে, যদি এটা না হয় আপনার ইলেকশনের কী হবে? আমার কথা-জনগণ ভোট দেবে না। ক্ষমতায় আসব না। ২০০১ সালে তো আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি।'

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৪ ঘণ্টা আগে
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়। তবে নির্ধারিত সময়ের পরও এয়ার শো শুরু না হওয়ায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন হাজারো দর্শক।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল পৌনে ১০টার দিকে আগারগাঁও-সংলগ্ন পুরোনো বিমানবন্দরের ফটকে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে সবাইকে একে একে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ততক্ষণে শত শত পরিবার, শিশু ও উৎসুক জনতা বিমানবন্দরে প্রবেশ করে ভিড় জমিয়েছে।
আগত দর্শনার্থীদের হাতে শোভা পাচ্ছে জাতীয় পতাকা। অনেকের কপালে বাঁধা জাতীয় পতাকার আদলের ফিতা কিংবা ‘বিজয় দিবস’ লেখা কাপড়। অনেকেই পরিবারের সঙ্গে লাল-সবুজের পোশাক পরে এসেছে বিজয় উৎসবের এই বিশেষ প্রদর্শনী উপভোগ করতে।
গতকাল সোমবার এক তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়েছিল মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে এই জমকালো এয়ার শো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এয়ার শো শুরু হয়নি। জনসমাগম হলেও অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তথ্যবিবরণীতে সরকার জানিয়েছে, এই এয়ার শো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। একই সঙ্গে তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর ও এর আশপাশ এলাকায় আজ কোনো প্রকার ড্রোন না ওড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজয়ের ৫৪তম বছর উপলক্ষে এয়ার শোতে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের শেষ ৬ জন পোশাকে নিজেদের নেমপ্লেটের পরিবর্তে সুদানের ইউএন ঘাঁটিতে নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের নেমপ্লেট পরে প্যারাট্র্যুপিং করবেন।
এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান। আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়। তবে নির্ধারিত সময়ের পরও এয়ার শো শুরু না হওয়ায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন হাজারো দর্শক।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল পৌনে ১০টার দিকে আগারগাঁও-সংলগ্ন পুরোনো বিমানবন্দরের ফটকে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে সবাইকে একে একে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ততক্ষণে শত শত পরিবার, শিশু ও উৎসুক জনতা বিমানবন্দরে প্রবেশ করে ভিড় জমিয়েছে।
আগত দর্শনার্থীদের হাতে শোভা পাচ্ছে জাতীয় পতাকা। অনেকের কপালে বাঁধা জাতীয় পতাকার আদলের ফিতা কিংবা ‘বিজয় দিবস’ লেখা কাপড়। অনেকেই পরিবারের সঙ্গে লাল-সবুজের পোশাক পরে এসেছে বিজয় উৎসবের এই বিশেষ প্রদর্শনী উপভোগ করতে।
গতকাল সোমবার এক তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়েছিল মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে এই জমকালো এয়ার শো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এয়ার শো শুরু হয়নি। জনসমাগম হলেও অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তথ্যবিবরণীতে সরকার জানিয়েছে, এই এয়ার শো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। একই সঙ্গে তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর ও এর আশপাশ এলাকায় আজ কোনো প্রকার ড্রোন না ওড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজয়ের ৫৪তম বছর উপলক্ষে এয়ার শোতে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের শেষ ৬ জন পোশাকে নিজেদের নেমপ্লেটের পরিবর্তে সুদানের ইউএন ঘাঁটিতে নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের নেমপ্লেট পরে প্যারাট্র্যুপিং করবেন।
এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান। আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটা মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। এত চাপ, মিথ্যা মামলা, যে সমস্ত খেলা, হয়রানি, এই অপমানের জবাব। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশ যে নিজেরা প
০৯ জুন ২০২২
বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৪ ঘণ্টা আগে
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এরপর রাষ্ট্রপতি সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি বের হয়ে যাওয়ার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ৬টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সরকারপ্রধান স্মৃতিসৌধে উপস্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আজ ১৬ ডিসেম্বর। ৫৫তম মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পর এই দিনেই আমরা চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছি।

মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এরপর রাষ্ট্রপতি সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি বের হয়ে যাওয়ার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ৬টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সরকারপ্রধান স্মৃতিসৌধে উপস্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আজ ১৬ ডিসেম্বর। ৫৫তম মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পর এই দিনেই আমরা চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটা মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। এত চাপ, মিথ্যা মামলা, যে সমস্ত খেলা, হয়রানি, এই অপমানের জবাব। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশ যে নিজেরা প
০৯ জুন ২০২২
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১২ ঘণ্টা আগেসৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের নথিসহ মোট ১ হাজার ১০০টির মতো সম্পদের নথি রয়েছে তাদের কাছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি এবং তাঁর নামে থাকা কোম্পানি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স। আর এসব সম্পদ রয়েছে প্রায় ১০টি দেশে। সম্পদগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি টাকা।
বিএফআইইউ ও দুদকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে যে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তার বেশির ভাগই যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে ৩৮১টি সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর আগে একই দেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে ৩৪৩টি সম্পদের তথ্য পায় দুদক। সব মিলিয়ে শুধু যুক্তরাজ্যেই তাঁর ৭২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেল।
এ ছাড়া, কম্বোডিয়ায় ১১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৮ মার্কিন ডলার। মালয়েশিয়ায় ৪৭টি সম্পদ পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৪২ ডলার। ফিলিপাইনে ২টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯০ পেসো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকা। ভারতের হরিয়ানা, উত্তর চব্বিশপরগনাসহ দেশটিতে মোট ১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৪ ডলার।
সাইফুজ্জামান জাবেদের নামে থাইল্যান্ডে ২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩৬ কোটি ৩১ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯ থাই বাত। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪টি সম্পদ ও ২টি কোম্পানির লাইসেন্স রয়েছে। ভিয়েতনামে ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুরে সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ। সুইজারল্যান্ডেও তাঁর সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য মিলেছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নেতৃত্বে থাকা দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা তাঁর যে অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করছি, তার মধ্যে এখন পর্যন্ত সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে এক হাজারের বেশি সম্পদ থাকার নথি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি নথিতেই ভিয়েতনামে তাঁর ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা বলেন, সাইফুজ্জামান জাবেদ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচারের মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করেন। অবৈধ অভিবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের টাকা তিনি তাঁর সেসব দেশের এজেন্ট দিয়ে সংগ্রহ করেছেন, পরে দেশে প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে টাকা পরিশোধ করেছেন। তিনি জানান, জাবেদ তাঁর পাচারের অর্থ দিয়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্যসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোম্পানি ও ব্যবসা গড়ে তোলেন। পরে সেগুলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন।
পাচারের অর্থ দেশে আনার বিষয়ে কথা বলেছেন দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পাচার করা অর্থ ফেরত আনার জন্য যথাযথ আইনিপ্রক্রিয়া শেষ করে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স পাঠাতে হবে। যদিও যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়, তাদের সঙ্গে চুক্তি থাকলে এটি সহজ হয়। আমাদের এমন চুক্তি নেই বললেই চলে। এ কারণে পাচারের অর্থ ফেরত আনা বেশ কঠিন।’
মঈদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি বলব, প্রক্রিয়া যত কঠিনই হোক, দুদককে সঠিক প্রক্রিয়ায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থগুলো পাচার হয়ে যেসব দেশে যায়, সেসব দেশ দুর্নীতির সূচকে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে। কিন্তু পাচারের অর্থ যখন তাদের দেশে যায়, তখন তারা তা ফেরতে সহযোগিতা না করে উল্টো সুরক্ষার ব্যবস্থা করে রেখেছে। এটা তাদের দ্বৈত নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।’
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাজ্যে জাবেদ ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে দুদক। এ লক্ষ্যে সে দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে দুদক।

পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের নথিসহ মোট ১ হাজার ১০০টির মতো সম্পদের নথি রয়েছে তাদের কাছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি এবং তাঁর নামে থাকা কোম্পানি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স। আর এসব সম্পদ রয়েছে প্রায় ১০টি দেশে। সম্পদগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি টাকা।
বিএফআইইউ ও দুদকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে যে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তার বেশির ভাগই যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে ৩৮১টি সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর আগে একই দেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে ৩৪৩টি সম্পদের তথ্য পায় দুদক। সব মিলিয়ে শুধু যুক্তরাজ্যেই তাঁর ৭২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেল।
এ ছাড়া, কম্বোডিয়ায় ১১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৮ মার্কিন ডলার। মালয়েশিয়ায় ৪৭টি সম্পদ পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৪২ ডলার। ফিলিপাইনে ২টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯০ পেসো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকা। ভারতের হরিয়ানা, উত্তর চব্বিশপরগনাসহ দেশটিতে মোট ১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৪ ডলার।
সাইফুজ্জামান জাবেদের নামে থাইল্যান্ডে ২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩৬ কোটি ৩১ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯ থাই বাত। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪টি সম্পদ ও ২টি কোম্পানির লাইসেন্স রয়েছে। ভিয়েতনামে ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুরে সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ। সুইজারল্যান্ডেও তাঁর সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য মিলেছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নেতৃত্বে থাকা দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা তাঁর যে অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করছি, তার মধ্যে এখন পর্যন্ত সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে এক হাজারের বেশি সম্পদ থাকার নথি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি নথিতেই ভিয়েতনামে তাঁর ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা বলেন, সাইফুজ্জামান জাবেদ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচারের মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করেন। অবৈধ অভিবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের টাকা তিনি তাঁর সেসব দেশের এজেন্ট দিয়ে সংগ্রহ করেছেন, পরে দেশে প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে টাকা পরিশোধ করেছেন। তিনি জানান, জাবেদ তাঁর পাচারের অর্থ দিয়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্যসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোম্পানি ও ব্যবসা গড়ে তোলেন। পরে সেগুলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন।
পাচারের অর্থ দেশে আনার বিষয়ে কথা বলেছেন দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পাচার করা অর্থ ফেরত আনার জন্য যথাযথ আইনিপ্রক্রিয়া শেষ করে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স পাঠাতে হবে। যদিও যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়, তাদের সঙ্গে চুক্তি থাকলে এটি সহজ হয়। আমাদের এমন চুক্তি নেই বললেই চলে। এ কারণে পাচারের অর্থ ফেরত আনা বেশ কঠিন।’
মঈদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি বলব, প্রক্রিয়া যত কঠিনই হোক, দুদককে সঠিক প্রক্রিয়ায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থগুলো পাচার হয়ে যেসব দেশে যায়, সেসব দেশ দুর্নীতির সূচকে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে। কিন্তু পাচারের অর্থ যখন তাদের দেশে যায়, তখন তারা তা ফেরতে সহযোগিতা না করে উল্টো সুরক্ষার ব্যবস্থা করে রেখেছে। এটা তাদের দ্বৈত নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।’
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাজ্যে জাবেদ ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে দুদক। এ লক্ষ্যে সে দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে দুদক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটা মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। এত চাপ, মিথ্যা মামলা, যে সমস্ত খেলা, হয়রানি, এই অপমানের জবাব। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশ যে নিজেরা প
০৯ জুন ২০২২
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৪ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১৫ ডিসেম্বর ছিল বাংলাদেশে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সদর্প বিচরণের শেষ দিন। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর চূড়ান্ত অভিযানে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কার্যত ঢাকায় পাকিস্তানি দুর্গের পতনের ক্ষণগণনা চলছিল। উপায় না দেখে পাকিস্তানি ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান আবদুল্লাহ খান নিয়াজি শীর্ষ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ১৫ তারিখ আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দলিল এবং সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার জন্য ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল জ্যাকব ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকা এসে পৌঁছান। বিকেল ৪টার আগেই বাংলাদেশ নিয়মিত বাহিনীর দুটি ইউনিটসহ মোট চার ব্যাটালিয়ন সেনা ঢাকায় প্রবেশ করে। সঙ্গে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকার এত দিনের জনবিরল সড়কগুলো ক্রমেই জনাকীর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করে। সবার মুখে একাত্তরের পরিচিতি রণধ্বনি’ জয় বাংলা’।
কারফিউ জারি থাকলেও মানুষ তার পরোয়া না করে রাস্তায় বেরিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। পাকিস্তানি বাহিনীর নয় মাসের গণহত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞের পর মুক্তির আনন্দে তাঁরা তখন আত্মহারা। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে তাঁরা পেয়েছেন নতুন দেশ—বাংলাদেশ। বিজয়ের আনন্দ, স্বজন হারানোর শোক আর অজানা আগামীর প্রত্যাশায় সবার মনে এক বিচিত্র অনুভূতি। এর মধ্যেও ঘটে কিছু দুঃখজনক ঘটনা। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পলায়নপর কিছু পাকিস্তানি সেনা ও বিহারি এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে অনেক বাঙালিকে হতাহত করে।
বিকেল ৪টায় বাংলাদেশের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খোন্দকার, ভারত-বাংলাদেশ যুগ্ম কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ও অন্য সামরিক কর্মকর্তারা বিমানে ঢাকা অবতরণ করেন। এর কিছু সময় পরই ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (এখনকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল উৎফুল্ল জনতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত মিলিত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি সমরাধিনায়ক লে. জেনারেল নিয়াজি। পাকিস্তানি বাহিনীর দখল থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হলো বাংলাদেশ। সগর্বে জায়গা করে নিল বিশ্বের মানচিত্রে।
ঢাকায় ১৬ ডিসেম্বরই ধীরে ধীরে সবাই জানতে পারেন আগের কয়েক দিনে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, লেখকসহ বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর। নিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি সেনাদের এদেশীয় সহযোগীরা তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল; কিন্তু কেউই আর ফিরে আসেননি। দেশের এই মেধাবী, কৃতী সন্তানদের পরিণতির কথা ভেবে জনমনে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। পরদিনই মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমির বীভৎস দৃশ্যের খবর। রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরের বিভিন্ন জায়গার অনেক বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় নির্যাতিত মানুষের ক্ষতবিক্ষত দেহ। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের অনেকের হাত বা চোখ বাঁধা, বেয়নেট বা গুলিতে বিদ্ধ লাশের খোঁজ মেলে রায়েরবাজারে। বিজয়ের আনন্দের মধ্যে এই শোকের খবর, বধ্যভূমির ভয়াবহ দৃশ্য স্তম্ভিত করে মানুষকে।
এদিকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কাজে লেগে যায় বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার। ১৬ ডিসেম্বরই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত প্রবাসী সরকার সদর দপ্তর থেকে গোটা দেশে বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে। নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকদের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলি পাঠানো শুরু হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ায় শুরু হয় পুরো সরকারের দেশে ফেরার প্রক্রিয়াও। ৭ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত হওয়ার পর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই উনিশটি জেলার জন্য জেলা প্রশাসকদের মনোনয়ন ও নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছিল। শুরু হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের নতুন কঠিন যুদ্ধ।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১৫ ডিসেম্বর ছিল বাংলাদেশে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সদর্প বিচরণের শেষ দিন। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর চূড়ান্ত অভিযানে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কার্যত ঢাকায় পাকিস্তানি দুর্গের পতনের ক্ষণগণনা চলছিল। উপায় না দেখে পাকিস্তানি ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান আবদুল্লাহ খান নিয়াজি শীর্ষ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ১৫ তারিখ আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দলিল এবং সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার জন্য ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল জ্যাকব ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকা এসে পৌঁছান। বিকেল ৪টার আগেই বাংলাদেশ নিয়মিত বাহিনীর দুটি ইউনিটসহ মোট চার ব্যাটালিয়ন সেনা ঢাকায় প্রবেশ করে। সঙ্গে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকার এত দিনের জনবিরল সড়কগুলো ক্রমেই জনাকীর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করে। সবার মুখে একাত্তরের পরিচিতি রণধ্বনি’ জয় বাংলা’।
কারফিউ জারি থাকলেও মানুষ তার পরোয়া না করে রাস্তায় বেরিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। পাকিস্তানি বাহিনীর নয় মাসের গণহত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞের পর মুক্তির আনন্দে তাঁরা তখন আত্মহারা। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে তাঁরা পেয়েছেন নতুন দেশ—বাংলাদেশ। বিজয়ের আনন্দ, স্বজন হারানোর শোক আর অজানা আগামীর প্রত্যাশায় সবার মনে এক বিচিত্র অনুভূতি। এর মধ্যেও ঘটে কিছু দুঃখজনক ঘটনা। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পলায়নপর কিছু পাকিস্তানি সেনা ও বিহারি এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে অনেক বাঙালিকে হতাহত করে।
বিকেল ৪টায় বাংলাদেশের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খোন্দকার, ভারত-বাংলাদেশ যুগ্ম কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ও অন্য সামরিক কর্মকর্তারা বিমানে ঢাকা অবতরণ করেন। এর কিছু সময় পরই ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (এখনকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল উৎফুল্ল জনতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত মিলিত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি সমরাধিনায়ক লে. জেনারেল নিয়াজি। পাকিস্তানি বাহিনীর দখল থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হলো বাংলাদেশ। সগর্বে জায়গা করে নিল বিশ্বের মানচিত্রে।
ঢাকায় ১৬ ডিসেম্বরই ধীরে ধীরে সবাই জানতে পারেন আগের কয়েক দিনে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, লেখকসহ বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর। নিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি সেনাদের এদেশীয় সহযোগীরা তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল; কিন্তু কেউই আর ফিরে আসেননি। দেশের এই মেধাবী, কৃতী সন্তানদের পরিণতির কথা ভেবে জনমনে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। পরদিনই মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমির বীভৎস দৃশ্যের খবর। রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরের বিভিন্ন জায়গার অনেক বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় নির্যাতিত মানুষের ক্ষতবিক্ষত দেহ। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের অনেকের হাত বা চোখ বাঁধা, বেয়নেট বা গুলিতে বিদ্ধ লাশের খোঁজ মেলে রায়েরবাজারে। বিজয়ের আনন্দের মধ্যে এই শোকের খবর, বধ্যভূমির ভয়াবহ দৃশ্য স্তম্ভিত করে মানুষকে।
এদিকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কাজে লেগে যায় বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার। ১৬ ডিসেম্বরই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত প্রবাসী সরকার সদর দপ্তর থেকে গোটা দেশে বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে। নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকদের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলি পাঠানো শুরু হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ায় শুরু হয় পুরো সরকারের দেশে ফেরার প্রক্রিয়াও। ৭ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত হওয়ার পর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই উনিশটি জেলার জন্য জেলা প্রশাসকদের মনোনয়ন ও নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছিল। শুরু হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের নতুন কঠিন যুদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটা মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের ওপর ছিল। এত চাপ, মিথ্যা মামলা, যে সমস্ত খেলা, হয়রানি, এই অপমানের জবাব। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশ যে নিজেরা প
০৯ জুন ২০২২
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৪ ঘণ্টা আগে
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
১০ ঘণ্টা আগে