Ajker Patrika

নির্বাচনে ঋণ ও বিল খেলাপিদের ছাড় দেওয়ার প্রস্তাবে ব্যাংক ও সেবাপ্রতিষ্ঠানের আপত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ জুন ২০২২, ১৭: ৫৬
নির্বাচনে ঋণ ও বিল খেলাপিদের ছাড় দেওয়ার প্রস্তাবে ব্যাংক ও সেবাপ্রতিষ্ঠানের আপত্তি

নির্বাচনে প্রার্থী হতে ঋণ ও বিল খেলাপিদের ছাড় দিতে নির্বাচন কমশিনের আইনি সংস্কারের প্রস্তাবে সায় দেয়নি ব্যাংক ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো। তাঁরা চান বর্তমান আইন অনুযায়ী অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) তালিকাভুক্ত হলেই একজন প্রার্থী খেলাপি হিসেবে ভোটে অযোগ্য বিবেচিত হবেন— এই বিধানই থাকুক।

নির্বাচন কমিশন বলছে, নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ক্ষেত্রে প্রার্থীর শুধু মামলার আসামি হওয়াই যথেষ্ট। ঋণ ও বিল খেলাপি হওয়ার বিষয়টি ব্যাংক ও সেবা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যাপার। তাই অযোগ্য ঘোষণার শর্ত হিসেবে বিদ্যমান এ দুটি বিষয় বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন।

আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে ঋণ ও বিল খেলাপিদের ছাড় দেওয়া নিয়ে আইনি সংস্কার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য কমিশনারেরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ব্যাংক, সেবা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষকসহ ১৪ ব্যক্তি অংশ নেন। 

বৈঠক শেষে সিইসি জানান, ইসির দেওয়া প্রস্তাবে ব্যাংক ও সেবাপ্রতিষ্ঠানের কর্তারা ‘কমফোর্ট ফিল’ করেন না। 

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক ও সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) তালিকাভুক্ত হলেই খেলাপি হিসেবে ভোটে অযোগ্য থাকবেন। সে ক্ষেত্রে বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধানই বহাল রাখতে হবে। 

সভা শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘অধিকাংশই বলেছেন, ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে এখন যে বিধান রয়েছে তা থাকলেই ভালো হয়। আমরা যেটা প্রস্তাব করেছিলাম—এটাতে তাঁরা খুব কমফোর্টেবল ফিল করেন না।’ আরপিও সংশোধন করা হবে কি না আরও একটু চিন্তা করে পরবর্তীতে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি। 

বর্তমান আরপিও অনুযায়ী, ঋণ ও বিল খেলাপিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য। তবে এ ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় সিআইবি প্রতিবেদনে যারা খেলাপি হন তাঁরা আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। 

কমিশন প্রস্তাব দিয়েছিল—সিআইবি প্রতিবেদন নয়, শুধু মামলা হলেই তাঁকে ভোটে অযোগ্য করার বিধান করা যেতে পারে। সিইসির মতে, ব্যাংকের ঋণ কীভাবে আদায় করতে হবে তা ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাঁদেরই সেটি নির্ধারণ করতে হবে। বিল কীভাবে আদায় হবে তা নির্ধারণ করবেন তাঁরাই। বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থায় তাঁরা (খেলাপিরা) শক্তিশালী, ঋণ খেলাপি ও বিল খেলাপি হয়ে তাঁরা পরিশোধ নাও করতে পারেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য এটি জটিল হয়। 
 
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বর্তমান বিধানে সত্যিকারের যারা খেলাপি নন তাঁরা অযোগ্য হয়ে পড়তে পারেন। ভোটে দাঁড়ানো মৌলিক অধিকার। তাতে যেনতেনভাবে কারও অধিকার খর্ব না করার জন্য ভিন্ন চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন।’

বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা একটা প্রস্তাব করেছিলাম, স্পিরিটটাকে স্পষ্ট করার জন্য। ঋণ ও বিল আদায়ের জন্য যাদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা হবে শুধু তাঁদেরই আমরা ঋণখেলাপি হিসেবে গণ্য করব।’ 
 
বৈঠকে আলোচনার ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘সভায় ব্যাংকাররা আগের বিধানটা কমফোর্টেবল বলছেন। সিআইবি থেকে যে তালিকা সরবরাহ করা হয়, তার ভিত্তিতে খেলাপি নির্ধারিত হয়ে থাকে। মামলা করার বিষয়টি যুক্ত করতে চাইলে তাঁদের আপত্তি নেই।’
 
বৈঠকে যা বললেন ব্যাংক ও সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিরা
পূবালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার দেওয়ান রুহুল আহসান বলেন, ‘ব্যাংকের পক্ষ থেকে সিআইবি রিপোর্টকে প্রাধান্য দিতে বলেছি আমরা। সেই সঙ্গে প্রচলিত আইন যদি সংশোধন করতে চায় তাহলে ওই অংশটি (মামলা) যুক্ত করতে পারে।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মামলা করতে অসুবিধা নেই। মামলা তো করা হয়। সিআইবিতে যাদের নাম থাকবে তাঁদের ঋণখেলাপি বলতে হবে। মামলা করতে অনেকগুলো ধাপ থাকে। সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’ 

ইসির প্রস্তাবে ব্যাংক রাজি কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা অবজারভেশন দিয়েছি। সিআইবিতে যা আছে তা থাকবে। মামলার কথা রাখতে চাইলে পাশাপাশি বিদ্যমান বিধানও রাখতে হবে।’ 

ডেসকোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার রশিদুর রহমান বলেন, বিল খেলাপিদের বিরুদ্ধে মামলা করার বিধানে তাঁদের সম্মতি নেই। সে ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধানই বহাল রাখার পক্ষে তাঁরা মতামত দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ে বিল পরিশোধ না করলেই বিল খেলাপি হয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি গ্রাহককে জানানো হয়। কিন্তু মামলা করতে গেলে সেবা প্রতিষ্ঠানের নানা ঝুঁকিও রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। 

রশিদুর রহমান বলেন, ‘ইসির প্রস্তাবের পর আমাদের মতামতটা জানিয়েছি। রাখবেন কি রাখবেন না তা তাঁদের বিষয়। বিদ্যমান আইনই থাকুক। মামলাতে আমাদের সম্মতি ছিল না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোশ্যাল মিডিয়ায় সহিংসতার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট, রিপোর্ট করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ-ইমেইলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সোশ্যাল মিডিয়ায় সহিংসতার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট, রিপোর্ট করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ-ইমেইলে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্ত্রাস-সহিংসতার উসকানিমূলক আহ্বান সম্বলিত পোস্টের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি। এজন্য হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইল আইডি চালু করা হয়েছে।

আজ শনিবার থেকে সেখানে রিপোর্ট (অভিযোগ ও তথ্য) করা যাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হোয়াটসঅ্যাপে এবং ইমেইলে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের পর বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে রিপোর্ট করবে।

যে নাম্বার এবং ইমেইলে রিপোর্ট করা যাবে—

হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার: 01308332592,

ই-মেইল: [email protected]

উল্লেখ্য, সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো পোস্ট ‘ডাউন’ করতে অর্থাৎ সরিয়ে দিতে পারে না। সরকার শুধুমাত্র যৌক্তিক কারণ তুলে ধরে সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত পোস্টগুলো সংশ্লিষ্ট প্লাটফর্মের কাছে রিপোর্ট করতে পারে।

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য যা সরাসরি সহিংসতা ঘটায় কিংবা সহিংসতার ডাক দেয়, সেগুলো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা জাতীয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি সামাজিক মাধ্যমকে সহিংসতা কিংবা অস্থিতিশীলতা তৈরির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি দেশ এবং নাগরিকের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন হতে জনসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে একাধিক সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে এসব সহিংসতার উসকানি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে সহিংসতায় উসকানিমূলক পোস্টের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদিকে হত্যা ও পরবর্তী সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান অ্যামনেস্টির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৯
হাদিকে হত্যা ও পরবর্তী সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান  অ্যামনেস্টির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী সময়ে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এসব ঘটনায় দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা ২৬ মিনিটে এক্স হ্যান্ডলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাউথ এশিয়া রিজিওনাল অফিসের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।

পোস্টটিতে মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, হাদি হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়টিতে সহিংসতায় প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানট-এর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির হয়রানির শিকার হয়েছেন।

এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায়ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব কর্মকাণ্ডে মানুষ আহত হয়েছেন, সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এমন সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ন্যায্য বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের আশ্রয় না নিয়ে আইনসম্মত ও ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান স্থগিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক (প্রশাসন) পূর্ণলাক্ষ চাকমা স্বাক্ষরিত একটি স্মারকপত্রে বিষয়টি নির্দেশক্রমে জানানো হয়।

ঘোষণায় বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আজ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা দেন তিনি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দীর মর্গে হাদির মরদেহ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ময়নাতদন্তের জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার কিছু আগে তাঁর মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে তাঁর কফিন দেশে পৌঁছানোর পর মরদেহ রাখা হয় জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে।

জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়েছে। এখন ময়নাতদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মরদেহ আবারও হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে আনা হবে। এরপর দুপুরে জানাযার জন্য নেওয়া হবে।’

আজ দুপুর ২টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত