ভারতে ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপিকে হারাতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে রাজনীতি বিষয়ক একটি বিশেষ কমিটি। এই দুই কমিটিরই প্রধান হিসেবে আছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
মঙ্গলবার এই দুই কমিটির বিষয় ঘোষণা করে দলটি। রাজস্থানে দলের চিন্তন শিবিরের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গঠিত হয়েছে এই দুই কমিটি। রাজনীতি বিষয়ক বিশেষ দলে রাখা হয়েছে ভারতের আরেক ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার সুনীল কানুগোলুকে রাখা হয়েছে। প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকের সাবেক সহযোগী সুনীল নির্বাচনী কৌশল রচনায় বিশেষ পারদর্শী। কংগ্রেসের দুই নেতা গোলাম নবী আজাদ ও আনন্দ শর্মাকে রাখা হয়েছে রাজনীতি বিষয়ক বিশেষ কমিটিতে।
ভোট ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা না হলেও তাঁর সাবেক সহযোগী সুনীলকে নিয়েই ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাজিমাত করতে চাইছে কংগ্রেস। দলকে চাঙা করতে দলের বিরোধী মতের নেতাদেরও কাছে টানছেন সোনিয়া গান্ধী। বার্তা দিলেন, এখন থেকেই কংগ্রেস ২০২৪ এর নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুত।
রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটিতে গোলাম নবী আজাদ ও আনন্দ শর্মা ছাড়াও থাকছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, অম্বিকা সোনি, দিগ্বিজয় সিংসহ প্রমুখ। টাস্কফোর্সে রাখা হয়েছে পি চিদাম্বরম, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মুকুল ওয়াসনিক, অজয় ম্যাকেনের মতো নেতাদের। তাঁদের ওপর ভার দেওয়া হয়েছে অর্থ সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্রচারাভিযান সবকিছু সামলানোর।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সামনেই গুজরাট, কর্ণাটকসহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন। তার আগেই এই কমিটি গঠন করে দলের বিক্ষুব্ধদের বার্তা দিতে চাইলেন সোনিয়া। কারণ বিক্ষুব্ধরাই চিঠি দিয়ে কমিটি গঠনের দাবি তুলেছিলেন তিন বছর আগে।
আসন্ন বিধানসভা ভোট প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানান, দলের হয়ে ভোট প্রচারে পুরোদমে কাজ করবেন তিনি।
এদিকে, সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস্টি কলেজে এক দেওয়া এক বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ভারতের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ক্রমাগত আঘাত চলছে। এ সময়, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে দুর্বল করে তোলারও অভিযোগ করেন তিনি।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে