নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর মাসিক পেনশন পাওয়া যাবে। সরকার বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক নয়। আপাতত সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এই ব্যবস্থার বাইরে থাকবে।
চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে জমা হওয়া অর্থ মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। পেনশনাররা আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে কেউ মারা গেলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তাঁর নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। এমনসব বিধান রেখে আজ মঙ্গলবার রাতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এই খসড়ার ওপর মতামত দেওয়া যাবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে নাগরিকদের সরকারি সাহায্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ার কারণে বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা প্রয়োজন।
জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সবাই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় আসবে উল্লেখ করে খসড়ায় বলা হয়েছে, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীও এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। গেজেটে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার বাইরে থাকবে। সরকারি গেজেট দিয়ে বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তি স্বেচ্ছাধীন থাকবে; অর্থাৎ কেউ না চাইলে এই ব্যবস্থায় যুক্ত হতে হবে না।
‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্তির পর একজন চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়া সাপেক্ষে মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। প্রতিটি চাঁদাদাতার জন্য একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র পেনশন হিসাব থাকবে। চাকরিরত চাঁদাদাতারা চাকরি পরিবর্তন করলেও আগের হিসাব নতুন কর্মস্থলের বিপরীতে স্থানান্তরিত হবে।’
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদার হার নির্ধারণ করবে জানিয়ে আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, মাসিক, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ছাড়াও আগাম ও কিস্তিতে চাঁদা দেওয়া যাবে। মাসিক চাঁদা দিতে দেরি হলে বিলম্ব ফিসহ বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করা যাবে। পেনশনারেরা আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে পেনশনারের নমিনি অবশিষ্ট সময়কালের (মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন পাবেন।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে কেউ মারা গেলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তাঁর নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। পেনশন তহবিলে জমাকৃত এককালীন তোলার সুযোগ থাকবে না। তবে চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসাবে তোলা যাবে, পরে তা ধার্যকৃত ফিসহ পরিশোধ করতে হবে। মাসিক পেনশন বাবদ পাওয়া অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতিতে সরকারি অথবা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের চাঁদার অংশ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। সরকার কর্তৃক সময়, প্রজ্ঞাপন জারি হওয়া সাপেক্ষে, নিম্ন আয়সীমার নিচের নাগরিক অথবা দুস্থ চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে পেনশন তহবিলে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে দিতে পারবে।
এই আইন কার্যকরের পর সরকার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করবে। সংবিধিবদ্ধ এই কর্তৃপক্ষ একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্যকে নিয়ে গঠিত হবে। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে একটি পেনশন গভর্নিং বোর্ড করা হবে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ তহবিল নামে কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকবে। সেই তহবিলে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান, এই আইনের অধীন আদায়যোগ্য ফি ও চার্জ, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সেবা বাবদ পাওয়া অর্থ, সরকারের পূর্ব-অনুমোদনক্রমে গৃহীত ঋণ এবং অন্য কোনো উৎস থেকে পাওয়া অর্থ জমা করা হবে বলে খসড়ায় বলা হয়েছে।

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর মাসিক পেনশন পাওয়া যাবে। সরকার বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক নয়। আপাতত সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এই ব্যবস্থার বাইরে থাকবে।
চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে জমা হওয়া অর্থ মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। পেনশনাররা আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে কেউ মারা গেলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তাঁর নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। এমনসব বিধান রেখে আজ মঙ্গলবার রাতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এই খসড়ার ওপর মতামত দেওয়া যাবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে নাগরিকদের সরকারি সাহায্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ার কারণে বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা প্রয়োজন।
জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সবাই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় আসবে উল্লেখ করে খসড়ায় বলা হয়েছে, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীও এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। গেজেটে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার বাইরে থাকবে। সরকারি গেজেট দিয়ে বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তি স্বেচ্ছাধীন থাকবে; অর্থাৎ কেউ না চাইলে এই ব্যবস্থায় যুক্ত হতে হবে না।
‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্তির পর একজন চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়া সাপেক্ষে মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। প্রতিটি চাঁদাদাতার জন্য একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র পেনশন হিসাব থাকবে। চাকরিরত চাঁদাদাতারা চাকরি পরিবর্তন করলেও আগের হিসাব নতুন কর্মস্থলের বিপরীতে স্থানান্তরিত হবে।’
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদার হার নির্ধারণ করবে জানিয়ে আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, মাসিক, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ছাড়াও আগাম ও কিস্তিতে চাঁদা দেওয়া যাবে। মাসিক চাঁদা দিতে দেরি হলে বিলম্ব ফিসহ বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করা যাবে। পেনশনারেরা আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে পেনশনারের নমিনি অবশিষ্ট সময়কালের (মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন পাবেন।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে কেউ মারা গেলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তাঁর নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। পেনশন তহবিলে জমাকৃত এককালীন তোলার সুযোগ থাকবে না। তবে চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসাবে তোলা যাবে, পরে তা ধার্যকৃত ফিসহ পরিশোধ করতে হবে। মাসিক পেনশন বাবদ পাওয়া অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতিতে সরকারি অথবা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের চাঁদার অংশ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। সরকার কর্তৃক সময়, প্রজ্ঞাপন জারি হওয়া সাপেক্ষে, নিম্ন আয়সীমার নিচের নাগরিক অথবা দুস্থ চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে পেনশন তহবিলে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে দিতে পারবে।
এই আইন কার্যকরের পর সরকার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করবে। সংবিধিবদ্ধ এই কর্তৃপক্ষ একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্যকে নিয়ে গঠিত হবে। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে একটি পেনশন গভর্নিং বোর্ড করা হবে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ তহবিল নামে কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকবে। সেই তহবিলে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান, এই আইনের অধীন আদায়যোগ্য ফি ও চার্জ, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সেবা বাবদ পাওয়া অর্থ, সরকারের পূর্ব-অনুমোদনক্রমে গৃহীত ঋণ এবং অন্য কোনো উৎস থেকে পাওয়া অর্থ জমা করা হবে বলে খসড়ায় বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ মিনিট আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর মাসিক পেনশন পাওয়া যাবে। সরকার বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়...
২৯ মার্চ ২০২২
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর মাসিক পেনশন পাওয়া যাবে। সরকার বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়...
২৯ মার্চ ২০২২
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ মিনিট আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর মাসিক পেনশন পাওয়া যাবে। সরকার বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়...
২৯ মার্চ ২০২২
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ মিনিট আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর মাসিক পেনশন পাওয়া যাবে। সরকার বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়...
২৯ মার্চ ২০২২
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ মিনিট আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে