মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। তবে স্বপ্নের জায়গাটা আবার একেকজনের একেকরকম। কেউ আট ঘণ্টার চাকরি করতে পছন্দ করেন। আবার কেউ হয়তো ১০ টা-৫টা অফিস করতে করতেই বিরক্ত হয়ে পড়েন। তেমনি একজন ম্যাগডিলিনা মৃ। স্বাধীনচেতা এই নারী শুরু থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার লড়াই করে গেছেন। শেষ পর্যন্ত থিতু হয়েছেন জিবে জল আনা আচার নিয়ে তাঁর উদ্যোগ ‘মৃ আচার’-এ এসে।
ম্যাগডিলিনা মৃ বেড়ে উঠেছেন মধুপুরের ইদিলপুর গ্রামে। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের পড়াশোনা করেছেন মধুপুরেই। এর পর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। ২০০৭ সাল থেকে বাস করছেন মহানগরী ঢাকায়।
ছোটবেলা থেকেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাইলেও চাকরিজীবী পরিচয় নিয়েই প্রবেশ করেন পেশাজীবনে। প্রতিদিন ১০ টা-৫টা অফিস করে কাটিয়ে দেন ২০১৯ সাল পর্যন্ত। কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। হাঁপিয়ে ওঠেন রীতিমতো। এই বন্দীজীবন থেকে মুক্তি পেতে চিন্তা করেন, এমন কোনো কাজ করা যায় কি-না, যেখানে আনন্দ থাকবে, সৃজনশীলতা থাকবে, যা দিয়ে ভাঙা যাবে চাকরিজীবনের অনিঃশেষ বৃত্ত।

এই চিন্তা থেকেই অফিসের পাশাপাশি স্বামীর সহযোগিতায় শুরু করেন নিরাপদ (কীটনাশক মুক্ত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ করা) কৃষিপণ্য নিয়ে টুকটাক কাজ। শুরুতে তাঁর কৃষি উদ্যোগটি ‘কৃষ্টি’ নামে আত্মপ্রকাশ করলেও পরে নাম দেন ‘নাঙ্গল’। নাঙ্গল থেকে দেশি বিভিন্ন জাতের লাল চাল থেকে শুরু করে ঘি, মসলা, সরিষা তেলের পাশাপাশি কিছু কাঁচা সবজি বিপণন শুরু করেন। এর মধ্যে আবার অনেক ক্রেতার ঘরোয়া আচারের চাহিদার কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেন ঘরে তৈরি আচার বিক্রি করবেন। পরে আচারে ক্রেতাদের চাহিদা বাড়তে থাকায় স্বতন্ত্রভাবে শুরু করেন আচারের ব্যবসা। অনলাইনে শুরু করা এই উদ্যোগের নাম দেন ‘মৃ-আচার’।
আচারের সঙ্গে ‘মৃ’ নামটি যুক্ত করার কারণ জানতে চাইলে ম্যাগডিলিনা মৃ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মূলত একজন আদিবাসী গারো নারী। আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকগুলো মাহারি (গোত্র) রয়েছে, যাদের নামের শেষের অংশ সেই গোত্রগুলোর পরিচয় বহন করে। তো মৃ হলো আমার সেই গোত্রের পদবি। আচারের সঙ্গে মৃ নামটি যুক্ত করার মূল কারণ হলো আমার জাতিগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করা।’

শুধু আচার নিয়েই কাজ শুরুর কারণ হিসেবে ম্যাগডিলিনা মৃ বলেন, ‘আচার নিয়ে কাজ করার একটা অন্যতম কারণ হলো, বিভিন্ন কোম্পানির প্রস্তুত করা আচারের নিম্নমান। এগুলোর কারণে আমাদের ছোটবেলায় নানি-দাদিদের হাতে তৈরি আচারের যে ঐতিহ্য ও স্বাদ, সেটি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। আচারের পুরোনো সেই স্বাদ এবং ঐতিহ্যকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আচার নিয়ে কাজ করার একটা বড় কারণ।’
গারো সম্প্রদায়ের সমাজব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক। ম্যাগডিলিনার মৃ পদবিও এসেছে মাতৃকুল থেকেই। এ নিয়ে ম্যাগডিলিনা বলেন, ‘মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে আমাদের বেড়ে ওঠা মায়ের বাড়িতেই। আমার দিদিমা ছিলেন ইদিলপুর গ্রামের একজন বিদুষী নারী। তাঁর দুই সন্তানের মধ্যে আমার মা সবার বড়। আমার একজন মাসি ও তাঁর একটা ছেলে সন্তান রয়েছেন। আমরা তিন বোন ও দুই-ভাই। ভাইবোনদের সবাই শিক্ষাজীবন শেষ করে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত।’

ম্যাগডিলিনা মৃর সঙ্গে আলাপে উঠে এল দেশের উচ্চফলনশীল ধানের বিভিন্ন জাতের কথা। এসব জাতের কারণে উৎপাদন বেশি হচ্ছে, বহু মানুষের খাবারের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে সত্য; কিন্তু এর প্রভাবে হারিয়ে যাচ্ছে বহু দেশীয় জাত। শুধু ধান নয়, হারিয়ে যাচ্ছে অন্যান্য ফসলের জাতও। উচ্চফলনশীল হাইব্রিড বীজের ভিড়ে নিরাপদ খাদ্যের দেখা মিলছে খুব কম। তাই নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করা অনেক বেশি জরুরি বলে মনে করেন ম্যাগডিলিনা মৃ। এ লক্ষ্যে নিজের উদ্যোগ ‘মৃ আচার’ থেকে তিনি দেশীয় ফলের আচার বিক্রি শুরু করেন। তবে কাজটা সহজ ছিল না।
ম্যাগডিলিনা বলেন, ‘শুরুতেই কীটনাশক, ফরমালিনমুক্ত দেশি ফল সংগ্রহের একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। ধীরে ধীরে গ্রামের কৃষক, গৃহস্থ নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি।’ শুরুতেই সাফল্য আসেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে প্রথম কয়েকবার আচার তৈরি করে গ্রাহকদের খুব একটা সন্তুষ্ট করতে না পারলেও ক্রমাগত চেষ্টায় আচারের স্বাদ এবং গুণগত মান বাড়ে। গ্রাহকদের সাড়া পেতেও শুরু করেছিলাম, যা এখনো চলমান।’

নিরাপদ (বিষমুক্ত) দেশি ফলের আচার ‘মৃ আচার’ উল্লেখ করে ম্যাগডিলিনা জানান, প্রাকৃতিক কৃষি আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘মৃ আচার’-এর প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হলো নিরাপদ (বিষমুক্ত) বিভিন্ন দেশি ফল দিয়ে ঘরোয়াভাবে বিশুদ্ধ উপকরণ (মসলা এবং ঘানি ভাঙা সরিষার তেল) সহযোগে আচার প্রস্তুত করা এবং ন্যায্য মূল্যে ভোক্তাদের কাছে তা পৌঁছানো। আচারের উপকরণগুলো কেনা থেকে শুরু করে আচার প্রস্তুত করা পর্যন্ত অনেক পরিশ্রম করতে হয়। এ পুরো প্রক্রিয়া নিজেই তত্ত্বাবধান করেন। বললেন, ‘আচারের মসলা তৈরি থেকে শুরু করে আচারটা বরাবর আমি নিজ হাতেই তৈরি করি। দু-একজন সহযোগী রয়েছেন, যারা অনেক সময় বিভিন্ন দেশি ফল ধুয়ে, বাছাই করে খোসা ছাড়িয়ে, কেটে সহযোগিতা করেন। তা ছাড়া আমি মধুপুরকেন্দ্রিক কিছু আদিবাসী গৃহস্থ নারীর সহযোগিতা পাই। তাঁরা বিভিন্ন মৌসুমে আমাকে নানান রকম দেশি ফল সরবরাহ করে সহযোগিতা করেন। বর্তমানে আমার সঙ্গে ৪-৫ জনের একটি দল কাজ করছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরের কয়েকজন গৃহিণী এবং কৃষক রয়েছেন, যারা নিয়মিত আমাকে দেশি ফল পাঠিয়ে সহযোগিতা করেন।’
নিজের তৈরি আচার সম্পর্কে ম্যাগডিলিনা মৃ বলেন, ‘বারো মাসই “মৃ আচারে” নানা পদের আচার থাকে। যেহেতু মৌসুমি ফলের আচার তৈরি করি, সেহেতু নির্দিষ্ট মৌসুমের পর সংশ্লিষ্ট আচার স্টকে থাকে না বললেই চলে। শীত, বর্ষা, গরম—প্রতিটি মৌসুমে পাওয়া যায়—এমন আচারই বেশি তৈরি করা হয়।’

মৃ আচার-এ সারা বছর পাওয়া যায় যেসব আচার—দেশি রসুন, এককোষী রসুন, তেঁতুল, পেঁয়াজ, আদা-মরিচ কুচি আচার, নাগা মরিচের আচার, পাহাড়ি ধানি মরিচের আচার ইত্যাদি। এ ছাড়া আরও থাকে চালতার আচার, আমড়ার আচার, মিক্সড আচার (তেঁতুল, চালতা, বরই), জলপাইয়ের আচার, জলপাইয়ের গোল্লা, তেঁতুল-বরই নাড়ু, কদবেলের আচার, জলপাই, রসুন, মরিচের কুচি আচার, কাঁচা হলুদের আচার, আমের আচার, আমসত্ত্ব, তেঁতুল সত্ত্ব, আনারসের আচার এবং দেশি পেয়ারা ও আপেলের জেলি।
ম্যাগডিলিনা মৃ চাকরিজীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন। এতটাই যে, মাত্র ১ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা। এখন ‘মৃ আচার’ থেকে প্রতি মাসে আয় সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ব্যবসার কাজে নিজের জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন পুরোদমে। বললেন, ‘সবদিক থেকে বেশি সহযোগিতা পেয়েছি আমার স্বামীর কাছ থেকে। এ জীবনে ওর সহযোগিতা না পেলে হয়তো সার্বিক দিক দিয়ে এত দূর পর্যন্ত আসা সম্ভব হতো না।’
ম্যাগডিলিনা মৃ উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে যেমন অনেকের সহযোগিতা পেয়েছেন। আবার অনেকের কাছে থেকে তিরস্কারও শুনেছেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে তিক্ত অভিজ্ঞতা বিষয়ে মৃ বলেন, ‘আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের কাজের প্রতিবন্ধকতা প্রতি পদেই রয়েছে। এই সমাজে একজন নারী নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে শুরু থেকে অনেকের নাক সিটকানো ভাব থাকে। থাকে একটা বাঁকা দৃষ্টিভঙ্গি। অনেকেই সহযোগিতা করার ভান করে। কিন্তু কাজের সময় খুব অল্প কয়েকজন ছাড়া, আর কেউ তেমন সহযোগিতা করেন না। আবার একটু সফল হয়ে গেলে, যারা বাঁকা দৃষ্টিতে দেখেছিল, তাঁরাও প্রশংসা করতে শুরু করেন।’

সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই ম্যাগডিলিনা মৃ চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। চাকরির একঘেয়ে কিন্তু নিয়মিত আয়ের নিশ্চয়তা ছেড়ে শুরু করেছেন নিজের উদ্যোগ। এটা সহজ ছিল না মোটেই। বললেন, ‘ঢাকার মতো একটি ব্যয়বহুল প্রতিযোগিতামূলক শহরে চাকরি না করে ব্যবসা করাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমি সাহসের সঙ্গে এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। তবে আমার মতো ভাবনা এই সমাজের অনেক নারীর মধ্যে নেই। এ দেশের চাকরিজীবী নারীদের অনেকে চাকরি চলে গেলে পুরোপুরি হতাশাগ্রস্ত এবং অনিশ্চিত হয়ে পড়েন। আমি চাকরিজীবী নারী কিংবা চাকরিতে যুক্ত হবেন—এমন নারীদের ক্ষেত্রে বলতে চাই, নিজের কর্মদক্ষতা, মেধা, সৃজনশীলতা দিয়ে এমন একটি ক্ষেত্র তৈরি করুন, যেটা একান্তই আপনার আয়ের মাধ্যম না হয়ে আরও দশজনকে যুক্ত করতে পারবে। এতে আপনার কাজের স্বাধীনতা, প্যাশন—দুটোই বজায় থাকবে।’
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন ম্যাগডিলিনা মৃ। নিজের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মৃ আচার-এর গ্রাহকের সংখ্যা নিয়মিতই বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। ঢাকায় শুধু আচারের একটি আউটলেটের স্বপ্ন তো আছেই। পাশাপাশি সারা দেশে দেশি ফল ও বীজ সংরক্ষণের একটি মাধ্যমও হয়ে উঠবে “মৃ আচার”। আমার বিশ্বাস, আচার মুনাফালোভীদের আগ্রাসন থেকে বের হয়ে নিজস্ব ঐতিহ্য এবং স্বাদ ধরে রাখতে সক্ষম হবে “মৃ আচার”।’

মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। তবে স্বপ্নের জায়গাটা আবার একেকজনের একেকরকম। কেউ আট ঘণ্টার চাকরি করতে পছন্দ করেন। আবার কেউ হয়তো ১০ টা-৫টা অফিস করতে করতেই বিরক্ত হয়ে পড়েন। তেমনি একজন ম্যাগডিলিনা মৃ। স্বাধীনচেতা এই নারী শুরু থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার লড়াই করে গেছেন। শেষ পর্যন্ত থিতু হয়েছেন জিবে জল আনা আচার নিয়ে তাঁর উদ্যোগ ‘মৃ আচার’-এ এসে।
ম্যাগডিলিনা মৃ বেড়ে উঠেছেন মধুপুরের ইদিলপুর গ্রামে। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের পড়াশোনা করেছেন মধুপুরেই। এর পর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। ২০০৭ সাল থেকে বাস করছেন মহানগরী ঢাকায়।
ছোটবেলা থেকেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাইলেও চাকরিজীবী পরিচয় নিয়েই প্রবেশ করেন পেশাজীবনে। প্রতিদিন ১০ টা-৫টা অফিস করে কাটিয়ে দেন ২০১৯ সাল পর্যন্ত। কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। হাঁপিয়ে ওঠেন রীতিমতো। এই বন্দীজীবন থেকে মুক্তি পেতে চিন্তা করেন, এমন কোনো কাজ করা যায় কি-না, যেখানে আনন্দ থাকবে, সৃজনশীলতা থাকবে, যা দিয়ে ভাঙা যাবে চাকরিজীবনের অনিঃশেষ বৃত্ত।

এই চিন্তা থেকেই অফিসের পাশাপাশি স্বামীর সহযোগিতায় শুরু করেন নিরাপদ (কীটনাশক মুক্ত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ করা) কৃষিপণ্য নিয়ে টুকটাক কাজ। শুরুতে তাঁর কৃষি উদ্যোগটি ‘কৃষ্টি’ নামে আত্মপ্রকাশ করলেও পরে নাম দেন ‘নাঙ্গল’। নাঙ্গল থেকে দেশি বিভিন্ন জাতের লাল চাল থেকে শুরু করে ঘি, মসলা, সরিষা তেলের পাশাপাশি কিছু কাঁচা সবজি বিপণন শুরু করেন। এর মধ্যে আবার অনেক ক্রেতার ঘরোয়া আচারের চাহিদার কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেন ঘরে তৈরি আচার বিক্রি করবেন। পরে আচারে ক্রেতাদের চাহিদা বাড়তে থাকায় স্বতন্ত্রভাবে শুরু করেন আচারের ব্যবসা। অনলাইনে শুরু করা এই উদ্যোগের নাম দেন ‘মৃ-আচার’।
আচারের সঙ্গে ‘মৃ’ নামটি যুক্ত করার কারণ জানতে চাইলে ম্যাগডিলিনা মৃ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মূলত একজন আদিবাসী গারো নারী। আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকগুলো মাহারি (গোত্র) রয়েছে, যাদের নামের শেষের অংশ সেই গোত্রগুলোর পরিচয় বহন করে। তো মৃ হলো আমার সেই গোত্রের পদবি। আচারের সঙ্গে মৃ নামটি যুক্ত করার মূল কারণ হলো আমার জাতিগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করা।’

শুধু আচার নিয়েই কাজ শুরুর কারণ হিসেবে ম্যাগডিলিনা মৃ বলেন, ‘আচার নিয়ে কাজ করার একটা অন্যতম কারণ হলো, বিভিন্ন কোম্পানির প্রস্তুত করা আচারের নিম্নমান। এগুলোর কারণে আমাদের ছোটবেলায় নানি-দাদিদের হাতে তৈরি আচারের যে ঐতিহ্য ও স্বাদ, সেটি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। আচারের পুরোনো সেই স্বাদ এবং ঐতিহ্যকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আচার নিয়ে কাজ করার একটা বড় কারণ।’
গারো সম্প্রদায়ের সমাজব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক। ম্যাগডিলিনার মৃ পদবিও এসেছে মাতৃকুল থেকেই। এ নিয়ে ম্যাগডিলিনা বলেন, ‘মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে আমাদের বেড়ে ওঠা মায়ের বাড়িতেই। আমার দিদিমা ছিলেন ইদিলপুর গ্রামের একজন বিদুষী নারী। তাঁর দুই সন্তানের মধ্যে আমার মা সবার বড়। আমার একজন মাসি ও তাঁর একটা ছেলে সন্তান রয়েছেন। আমরা তিন বোন ও দুই-ভাই। ভাইবোনদের সবাই শিক্ষাজীবন শেষ করে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত।’

ম্যাগডিলিনা মৃর সঙ্গে আলাপে উঠে এল দেশের উচ্চফলনশীল ধানের বিভিন্ন জাতের কথা। এসব জাতের কারণে উৎপাদন বেশি হচ্ছে, বহু মানুষের খাবারের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে সত্য; কিন্তু এর প্রভাবে হারিয়ে যাচ্ছে বহু দেশীয় জাত। শুধু ধান নয়, হারিয়ে যাচ্ছে অন্যান্য ফসলের জাতও। উচ্চফলনশীল হাইব্রিড বীজের ভিড়ে নিরাপদ খাদ্যের দেখা মিলছে খুব কম। তাই নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করা অনেক বেশি জরুরি বলে মনে করেন ম্যাগডিলিনা মৃ। এ লক্ষ্যে নিজের উদ্যোগ ‘মৃ আচার’ থেকে তিনি দেশীয় ফলের আচার বিক্রি শুরু করেন। তবে কাজটা সহজ ছিল না।
ম্যাগডিলিনা বলেন, ‘শুরুতেই কীটনাশক, ফরমালিনমুক্ত দেশি ফল সংগ্রহের একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। ধীরে ধীরে গ্রামের কৃষক, গৃহস্থ নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি।’ শুরুতেই সাফল্য আসেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে প্রথম কয়েকবার আচার তৈরি করে গ্রাহকদের খুব একটা সন্তুষ্ট করতে না পারলেও ক্রমাগত চেষ্টায় আচারের স্বাদ এবং গুণগত মান বাড়ে। গ্রাহকদের সাড়া পেতেও শুরু করেছিলাম, যা এখনো চলমান।’

নিরাপদ (বিষমুক্ত) দেশি ফলের আচার ‘মৃ আচার’ উল্লেখ করে ম্যাগডিলিনা জানান, প্রাকৃতিক কৃষি আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘মৃ আচার’-এর প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হলো নিরাপদ (বিষমুক্ত) বিভিন্ন দেশি ফল দিয়ে ঘরোয়াভাবে বিশুদ্ধ উপকরণ (মসলা এবং ঘানি ভাঙা সরিষার তেল) সহযোগে আচার প্রস্তুত করা এবং ন্যায্য মূল্যে ভোক্তাদের কাছে তা পৌঁছানো। আচারের উপকরণগুলো কেনা থেকে শুরু করে আচার প্রস্তুত করা পর্যন্ত অনেক পরিশ্রম করতে হয়। এ পুরো প্রক্রিয়া নিজেই তত্ত্বাবধান করেন। বললেন, ‘আচারের মসলা তৈরি থেকে শুরু করে আচারটা বরাবর আমি নিজ হাতেই তৈরি করি। দু-একজন সহযোগী রয়েছেন, যারা অনেক সময় বিভিন্ন দেশি ফল ধুয়ে, বাছাই করে খোসা ছাড়িয়ে, কেটে সহযোগিতা করেন। তা ছাড়া আমি মধুপুরকেন্দ্রিক কিছু আদিবাসী গৃহস্থ নারীর সহযোগিতা পাই। তাঁরা বিভিন্ন মৌসুমে আমাকে নানান রকম দেশি ফল সরবরাহ করে সহযোগিতা করেন। বর্তমানে আমার সঙ্গে ৪-৫ জনের একটি দল কাজ করছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরের কয়েকজন গৃহিণী এবং কৃষক রয়েছেন, যারা নিয়মিত আমাকে দেশি ফল পাঠিয়ে সহযোগিতা করেন।’
নিজের তৈরি আচার সম্পর্কে ম্যাগডিলিনা মৃ বলেন, ‘বারো মাসই “মৃ আচারে” নানা পদের আচার থাকে। যেহেতু মৌসুমি ফলের আচার তৈরি করি, সেহেতু নির্দিষ্ট মৌসুমের পর সংশ্লিষ্ট আচার স্টকে থাকে না বললেই চলে। শীত, বর্ষা, গরম—প্রতিটি মৌসুমে পাওয়া যায়—এমন আচারই বেশি তৈরি করা হয়।’

মৃ আচার-এ সারা বছর পাওয়া যায় যেসব আচার—দেশি রসুন, এককোষী রসুন, তেঁতুল, পেঁয়াজ, আদা-মরিচ কুচি আচার, নাগা মরিচের আচার, পাহাড়ি ধানি মরিচের আচার ইত্যাদি। এ ছাড়া আরও থাকে চালতার আচার, আমড়ার আচার, মিক্সড আচার (তেঁতুল, চালতা, বরই), জলপাইয়ের আচার, জলপাইয়ের গোল্লা, তেঁতুল-বরই নাড়ু, কদবেলের আচার, জলপাই, রসুন, মরিচের কুচি আচার, কাঁচা হলুদের আচার, আমের আচার, আমসত্ত্ব, তেঁতুল সত্ত্ব, আনারসের আচার এবং দেশি পেয়ারা ও আপেলের জেলি।
ম্যাগডিলিনা মৃ চাকরিজীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন। এতটাই যে, মাত্র ১ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা। এখন ‘মৃ আচার’ থেকে প্রতি মাসে আয় সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ব্যবসার কাজে নিজের জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন পুরোদমে। বললেন, ‘সবদিক থেকে বেশি সহযোগিতা পেয়েছি আমার স্বামীর কাছ থেকে। এ জীবনে ওর সহযোগিতা না পেলে হয়তো সার্বিক দিক দিয়ে এত দূর পর্যন্ত আসা সম্ভব হতো না।’
ম্যাগডিলিনা মৃ উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে যেমন অনেকের সহযোগিতা পেয়েছেন। আবার অনেকের কাছে থেকে তিরস্কারও শুনেছেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে তিক্ত অভিজ্ঞতা বিষয়ে মৃ বলেন, ‘আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের কাজের প্রতিবন্ধকতা প্রতি পদেই রয়েছে। এই সমাজে একজন নারী নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে শুরু থেকে অনেকের নাক সিটকানো ভাব থাকে। থাকে একটা বাঁকা দৃষ্টিভঙ্গি। অনেকেই সহযোগিতা করার ভান করে। কিন্তু কাজের সময় খুব অল্প কয়েকজন ছাড়া, আর কেউ তেমন সহযোগিতা করেন না। আবার একটু সফল হয়ে গেলে, যারা বাঁকা দৃষ্টিতে দেখেছিল, তাঁরাও প্রশংসা করতে শুরু করেন।’

সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই ম্যাগডিলিনা মৃ চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। চাকরির একঘেয়ে কিন্তু নিয়মিত আয়ের নিশ্চয়তা ছেড়ে শুরু করেছেন নিজের উদ্যোগ। এটা সহজ ছিল না মোটেই। বললেন, ‘ঢাকার মতো একটি ব্যয়বহুল প্রতিযোগিতামূলক শহরে চাকরি না করে ব্যবসা করাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমি সাহসের সঙ্গে এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। তবে আমার মতো ভাবনা এই সমাজের অনেক নারীর মধ্যে নেই। এ দেশের চাকরিজীবী নারীদের অনেকে চাকরি চলে গেলে পুরোপুরি হতাশাগ্রস্ত এবং অনিশ্চিত হয়ে পড়েন। আমি চাকরিজীবী নারী কিংবা চাকরিতে যুক্ত হবেন—এমন নারীদের ক্ষেত্রে বলতে চাই, নিজের কর্মদক্ষতা, মেধা, সৃজনশীলতা দিয়ে এমন একটি ক্ষেত্র তৈরি করুন, যেটা একান্তই আপনার আয়ের মাধ্যম না হয়ে আরও দশজনকে যুক্ত করতে পারবে। এতে আপনার কাজের স্বাধীনতা, প্যাশন—দুটোই বজায় থাকবে।’
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন ম্যাগডিলিনা মৃ। নিজের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মৃ আচার-এর গ্রাহকের সংখ্যা নিয়মিতই বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। ঢাকায় শুধু আচারের একটি আউটলেটের স্বপ্ন তো আছেই। পাশাপাশি সারা দেশে দেশি ফল ও বীজ সংরক্ষণের একটি মাধ্যমও হয়ে উঠবে “মৃ আচার”। আমার বিশ্বাস, আচার মুনাফালোভীদের আগ্রাসন থেকে বের হয়ে নিজস্ব ঐতিহ্য এবং স্বাদ ধরে রাখতে সক্ষম হবে “মৃ আচার”।’

সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগে
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ মনিটরের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। গ্যালাক্সি গ্রুপের পক্ষে লিড স্পনসর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। অন্যদিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার পক্ষে হসপিটালিটি পার্টনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হোটেলটির জেনারেল...
১ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, প্রাথমিকভাবে যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই সাব-মডিউলের পাইলট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে ট্রাক প্রবেশ ও বহির্গমনের তথ্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হতো, যা সময়সাপেক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ঝুঁকি ছিল।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান চলাকালে ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৭০ জনের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যায় এই অর্থ।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া, খাওয়া, হোটেলে অবস্থানসহ অন্য সব খরচ নগদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।
সেরা পারফর্মারদের অভিনন্দন জানিয়ে নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মাঝেও বাজারে নগদ একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের আরও প্রসার ঘটাতে নগদ ভূমিকা রাখবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা রয়েছে। সুতরাং, যত অপপ্রচারই নগদকে নিয়ে হোক না কেন, সেসবে কান না দিয়ে নগদের সাফল্যের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
নগদের সেবার প্রসার ঘটাতে এ সময় মোতাছিম বিল্লাহ ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের কাছ থেকে নগদ বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ জানতে চান। তাঁদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নগদ প্রশাসক বলেন, অল্প সময়ের ভেতরই সেবার কলেবর আরও বাড়বে নগদে। ফলে লেনদেনের অঙ্ক যেমন অনেক গুণ বাড়বে, একই সঙ্গে গ্রাহকেরাও অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ডাক বিভাগনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. আবু তালেব, নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, আগামী বছরে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স, বাংলা কিউআর, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জন্য আন্তসংযোগ গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে নগদ। ফলে ২০২৬ সাল নগদের সেরা সাফল্যের বছর হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।

সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান চলাকালে ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৭০ জনের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যায় এই অর্থ।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া, খাওয়া, হোটেলে অবস্থানসহ অন্য সব খরচ নগদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।
সেরা পারফর্মারদের অভিনন্দন জানিয়ে নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মাঝেও বাজারে নগদ একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের আরও প্রসার ঘটাতে নগদ ভূমিকা রাখবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা রয়েছে। সুতরাং, যত অপপ্রচারই নগদকে নিয়ে হোক না কেন, সেসবে কান না দিয়ে নগদের সাফল্যের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
নগদের সেবার প্রসার ঘটাতে এ সময় মোতাছিম বিল্লাহ ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের কাছ থেকে নগদ বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ জানতে চান। তাঁদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নগদ প্রশাসক বলেন, অল্প সময়ের ভেতরই সেবার কলেবর আরও বাড়বে নগদে। ফলে লেনদেনের অঙ্ক যেমন অনেক গুণ বাড়বে, একই সঙ্গে গ্রাহকেরাও অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ডাক বিভাগনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. আবু তালেব, নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, আগামী বছরে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স, বাংলা কিউআর, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জন্য আন্তসংযোগ গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে নগদ। ফলে ২০২৬ সাল নগদের সেরা সাফল্যের বছর হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।

মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। তবে স্বপ্নের জায়গাটা আবার একেকজনের একেকরকম। কেউ আট ঘণ্টার চাকরি করতে পছন্দ করেন। আবার কেউ হয়তো ১০ টা-৫টা অফিস করতে করতেই বিরক্ত হয়ে পড়েন। তেমনি একজন ম্যাগডিলিনা মৃ। স্বাধীনচেতা এই নারী শুরু থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার লড়াই করে গেছেন। শেষ পর্যন্ত থিতু হয়েছেন জিবে জল আনা আচার নি
২১ মার্চ ২০২২
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ মনিটরের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। গ্যালাক্সি গ্রুপের পক্ষে লিড স্পনসর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। অন্যদিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার পক্ষে হসপিটালিটি পার্টনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হোটেলটির জেনারেল...
১ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, প্রাথমিকভাবে যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই সাব-মডিউলের পাইলট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে ট্রাক প্রবেশ ও বহির্গমনের তথ্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হতো, যা সময়সাপেক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ঝুঁকি ছিল।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ইনফরমেশন হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান আরও সহজ হবে এবং বিনিয়োগকারী ও অন্য অংশীজনদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে ডিএসইর সেবার মান আরও গ্রাহকবান্ধব ও স্বচ্ছ হবে।
ডিএসইর এমডি আশা প্রকাশ করেন, এই হেল্প ডেস্ক ডিএসইর বাজার অংশগ্রহণকারীদের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পুঁজিবাজারসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্যের জন্য +৮৮-০২-৪১০৪০১৮৯, ০৯৬৬৬৭০২০৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ইনফরমেশন হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান আরও সহজ হবে এবং বিনিয়োগকারী ও অন্য অংশীজনদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে ডিএসইর সেবার মান আরও গ্রাহকবান্ধব ও স্বচ্ছ হবে।
ডিএসইর এমডি আশা প্রকাশ করেন, এই হেল্প ডেস্ক ডিএসইর বাজার অংশগ্রহণকারীদের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পুঁজিবাজারসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্যের জন্য +৮৮-০২-৪১০৪০১৮৯, ০৯৬৬৬৭০২০৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। তবে স্বপ্নের জায়গাটা আবার একেকজনের একেকরকম। কেউ আট ঘণ্টার চাকরি করতে পছন্দ করেন। আবার কেউ হয়তো ১০ টা-৫টা অফিস করতে করতেই বিরক্ত হয়ে পড়েন। তেমনি একজন ম্যাগডিলিনা মৃ। স্বাধীনচেতা এই নারী শুরু থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার লড়াই করে গেছেন। শেষ পর্যন্ত থিতু হয়েছেন জিবে জল আনা আচার নি
২১ মার্চ ২০২২
সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ মনিটরের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। গ্যালাক্সি গ্রুপের পক্ষে লিড স্পনসর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। অন্যদিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার পক্ষে হসপিটালিটি পার্টনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হোটেলটির জেনারেল...
১ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, প্রাথমিকভাবে যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই সাব-মডিউলের পাইলট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে ট্রাক প্রবেশ ও বহির্গমনের তথ্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হতো, যা সময়সাপেক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ঝুঁকি ছিল।
১ দিন আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

দেশের অন্যতম ভ্রমণ ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি অ্যাওয়ার্ড (BTTHA) ২০২৫’-এর লিড স্পনসর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দেশের ভ্রমণশিল্পের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান গ্যালাক্সি গ্রুপ।
একই সঙ্গে পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা এই আয়োজনের হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
দেশের ভ্রমণ, পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পে একমাত্র স্বীকৃত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট চুক্তিসমূহ স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ মনিটরের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। গ্যালাক্সি গ্রুপের পক্ষে লিড স্পনসর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। অন্যদিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার পক্ষে হসপিটালিটি পার্টনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হোটেলটির জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড ও’ হ্যানলন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, গ্যালাক্সি ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার সম্পৃক্ততায় অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের মর্যাদা ও পরিসর আরও বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে দেশের ভ্রমণ ও আতিথেয়তা শিল্পে উৎকর্ষতা অর্জন এবং উত্তম চর্চা উৎসাহিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, পর্যটন ও আতিথেয়তা খাতে উদ্ভাবন, সেবার মান এবং টেকসই উন্নয়নকে স্বীকৃতি প্রদানকারী একটি মহতী উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে তারা গর্বিত।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড ও’ হ্যানলন বিশ্বমানের আতিথেয়তা প্রদানের পাশাপাশি অসাধারণ অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে এমন একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
চলতি বছর ২৫টি ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। শুধু আবেদনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিত্বকারী অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিচারক প্যানেল বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন এবং পাবলিক ভোটিংয়ের ভিত্তিতে বিজয়ীদের চূড়ান্ত করবেন।
এবার নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে দুটি বিশেষ ক্যাটাগরি—সর্বাধিক পর্যটনবান্ধব বিদেশি গন্তব্য, বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। এই দুটি ক্যাটাগরির বিজয়ী সরাসরি পাবলিক ভোটিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
বাংলাদেশের পর্যটন ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ মনিটর ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে।
প্রথম আসরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ বছর আরও বৃহৎ পরিসরে এই আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে অংশগ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৃশ্যমানতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দেশের অন্যতম ভ্রমণ ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি অ্যাওয়ার্ড (BTTHA) ২০২৫’-এর লিড স্পনসর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দেশের ভ্রমণশিল্পের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান গ্যালাক্সি গ্রুপ।
একই সঙ্গে পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা এই আয়োজনের হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
দেশের ভ্রমণ, পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পে একমাত্র স্বীকৃত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট চুক্তিসমূহ স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ মনিটরের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। গ্যালাক্সি গ্রুপের পক্ষে লিড স্পনসর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। অন্যদিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার পক্ষে হসপিটালিটি পার্টনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হোটেলটির জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড ও’ হ্যানলন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, গ্যালাক্সি ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার সম্পৃক্ততায় অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের মর্যাদা ও পরিসর আরও বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে দেশের ভ্রমণ ও আতিথেয়তা শিল্পে উৎকর্ষতা অর্জন এবং উত্তম চর্চা উৎসাহিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, পর্যটন ও আতিথেয়তা খাতে উদ্ভাবন, সেবার মান এবং টেকসই উন্নয়নকে স্বীকৃতি প্রদানকারী একটি মহতী উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে তারা গর্বিত।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড ও’ হ্যানলন বিশ্বমানের আতিথেয়তা প্রদানের পাশাপাশি অসাধারণ অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে এমন একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
চলতি বছর ২৫টি ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। শুধু আবেদনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিত্বকারী অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিচারক প্যানেল বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন এবং পাবলিক ভোটিংয়ের ভিত্তিতে বিজয়ীদের চূড়ান্ত করবেন।
এবার নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে দুটি বিশেষ ক্যাটাগরি—সর্বাধিক পর্যটনবান্ধব বিদেশি গন্তব্য, বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। এই দুটি ক্যাটাগরির বিজয়ী সরাসরি পাবলিক ভোটিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
বাংলাদেশের পর্যটন ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ মনিটর ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে।
প্রথম আসরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ বছর আরও বৃহৎ পরিসরে এই আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে অংশগ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৃশ্যমানতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। তবে স্বপ্নের জায়গাটা আবার একেকজনের একেকরকম। কেউ আট ঘণ্টার চাকরি করতে পছন্দ করেন। আবার কেউ হয়তো ১০ টা-৫টা অফিস করতে করতেই বিরক্ত হয়ে পড়েন। তেমনি একজন ম্যাগডিলিনা মৃ। স্বাধীনচেতা এই নারী শুরু থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার লড়াই করে গেছেন। শেষ পর্যন্ত থিতু হয়েছেন জিবে জল আনা আচার নি
২১ মার্চ ২০২২
সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগে
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
১ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, প্রাথমিকভাবে যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই সাব-মডিউলের পাইলট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে ট্রাক প্রবেশ ও বহির্গমনের তথ্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হতো, যা সময়সাপেক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ঝুঁকি ছিল।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল আরও স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ‘ট্রাক মুভমেন্ট’ নামে নতুন একটি সাব-মডিউল চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মাধ্যমে প্রতিটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ, অবস্থানকাল এবং খালি ট্রাকের ফেরত-সংক্রান্ত তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রাথমিকভাবে যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই সাব-মডিউলের পাইলট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে ট্রাক প্রবেশ ও বহির্গমনের তথ্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হতো, যা সময়সাপেক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ঝুঁকি ছিল।
নতুন মডিউল চালুর ফলে ভারতীয় প্রতিটি ট্রাকের আগমন ও বহির্গমনের প্রকৃত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে। এতে ট্রাকের অবস্থানকাল নির্ধারণ, সীমান্ত এলাকায় ট্রাক চলাচল কার্যকরভাবে মনিটরিং এবং রিয়েল-টাইম রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে, রাজস্বহানি রোধে সহায়ক হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবস্থাপনায় এই ডিজিটাল উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ট্রাক চলাচলের নির্ভুল তথ্য থাকায় শুল্ক ও কর ব্যবস্থাপনায় নজরদারি জোরদার হবে, একই সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষাও বাড়বে।
খুব শিগগির দেশের সব স্থলবন্দরে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ‘ট্রাক মুভমেন্ট’ সাব-মডিউলটি লাইভ অপারেশনে আনার পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের। এতে স্থলবন্দরভিত্তিক আমদানি কার্যক্রম আরও গতিশীল ও আধুনিক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল আরও স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ‘ট্রাক মুভমেন্ট’ নামে নতুন একটি সাব-মডিউল চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মাধ্যমে প্রতিটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ, অবস্থানকাল এবং খালি ট্রাকের ফেরত-সংক্রান্ত তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রাথমিকভাবে যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই সাব-মডিউলের পাইলট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে ট্রাক প্রবেশ ও বহির্গমনের তথ্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হতো, যা সময়সাপেক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ঝুঁকি ছিল।
নতুন মডিউল চালুর ফলে ভারতীয় প্রতিটি ট্রাকের আগমন ও বহির্গমনের প্রকৃত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে। এতে ট্রাকের অবস্থানকাল নির্ধারণ, সীমান্ত এলাকায় ট্রাক চলাচল কার্যকরভাবে মনিটরিং এবং রিয়েল-টাইম রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে, রাজস্বহানি রোধে সহায়ক হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবস্থাপনায় এই ডিজিটাল উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ট্রাক চলাচলের নির্ভুল তথ্য থাকায় শুল্ক ও কর ব্যবস্থাপনায় নজরদারি জোরদার হবে, একই সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষাও বাড়বে।
খুব শিগগির দেশের সব স্থলবন্দরে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ‘ট্রাক মুভমেন্ট’ সাব-মডিউলটি লাইভ অপারেশনে আনার পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের। এতে স্থলবন্দরভিত্তিক আমদানি কার্যক্রম আরও গতিশীল ও আধুনিক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। তবে স্বপ্নের জায়গাটা আবার একেকজনের একেকরকম। কেউ আট ঘণ্টার চাকরি করতে পছন্দ করেন। আবার কেউ হয়তো ১০ টা-৫টা অফিস করতে করতেই বিরক্ত হয়ে পড়েন। তেমনি একজন ম্যাগডিলিনা মৃ। স্বাধীনচেতা এই নারী শুরু থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার লড়াই করে গেছেন। শেষ পর্যন্ত থিতু হয়েছেন জিবে জল আনা আচার নি
২১ মার্চ ২০২২
সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগে
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ মনিটরের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। গ্যালাক্সি গ্রুপের পক্ষে লিড স্পনসর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। অন্যদিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার পক্ষে হসপিটালিটি পার্টনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হোটেলটির জেনারেল...
১ দিন আগে