জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। তবে এই তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে ইউজিসিকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাবি শিক্ষক সমিতি।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে প্রাপ্ত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ২০১৯-২০ সালে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রিতে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
কমিটিতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক আবু তাহেরকে আহ্বায়ক, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক গোলাম দস্তগীরকে সদস্যসচিব এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক মোস্তাফিজার রহমানকে সদস্য করা হয়েছে।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ‘অর্থ আত্মসাৎ’ শব্দযুগলের ব্যবহারকে ‘অযৌক্তিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অত্যন্ত অসম্মানজনক’ বলে উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি এই তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে ইউজিসিকে বিরত থাকারও অনুরোধ করেছে সংগঠনটি।
গতকাল বুধবার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ আপত্তি জানানো হয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, অফিস আদেশের বক্তব্য ও শব্দচয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যথিত করেছে এবং এ ধরনের তদন্তের আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব, একাডেমিক দক্ষতা, ব্যক্তিগত প্রজ্ঞা ও মেধার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির আপত্তির বিষয়ে ইউজিসির সদস্য ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবু তাহের মজুমদার বলেন, ‘একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। এটা থেকে এখন বিরত থাকার সুযোগ নেই। তদন্তের পর বাকি ব্যাপারে মন্তব্য করা যাবে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে