নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘পেগাসাস’ শব্দটি বললে এখন আর গ্রিক পুরাণের ডানাওয়ালা সেই ঘোড়ার ছবি মাথায় আসে না। আসে এক গোপন চোখ ও কানের ছবি। আজকাল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে পেগাসাস নামের এই স্পাইওয়্যার। ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের তৈরি এই গুপ্তচর সফটওয়্যার শুধু আড়ি পাতাতেই নয়, নির্দিষ্ট নম্বরের আওতাধীন স্মার্ট ডিভাইসের যাবতীয় তথ্য চলে যাচ্ছে রাষ্ট্রের উচ্চ মহলের হাতে। অনেকটা ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জর্জ অরওয়েলের ‘নাইন্টিন এইটটি ফোরের’ মতো। গোপন বলে আপনার আর কিছুই নেই। নিমেষে সবই জেনে যাচ্ছেন ‘বিগব্রাদার’।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, কোন কোন রাষ্ট্র এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে? এই চেয়ে বরং বেশি প্রাসঙ্গিক, কে কে করছে না–সে প্রশ্নটি। আজকাল রাষ্ট্র, নিরাপত্তা আর নজরদারি যেন একসূত্রে গাঁথা। সেই নজরদারিকেই নতুন করে আলোচনায় এনেছে ‘পেগাসাস’।
পেগাসাসের এই গোপন কর্মটি এত দিন গোপনেই চলছিল। হঠাৎ করে সেটি সামনে এনে দিল প্যারিসভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের যৌথ অনুসন্ধান চালিয়ে পেগাসাস প্রকল্পের আওতায় থাকা ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বরে আড়ি পাতার খবর ফাঁস করেছিল। একযোগে সেই খবর প্রকাশ করে দিল ১৭টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এই অনুসন্ধানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’।
অনুসন্ধানে বের হয়ে আসা ফোন নম্বরগুলোর মালিকের পরিচয় রীতিমতো গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। এ তালিকায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যেমন রয়েছেন, তেমনি আছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে নির্বাচন কৌশুলী প্রশান্ত কিশোরসহ বহু সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী আছেন তালিকায়।
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে তথ্যের নিরাপত্তা এখন এক বিরাট বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হবে নাই-বা কেন? স্মার্ট ডিভাইস তো এখন হাতে হাতে। স্মার্টফোন না হলেও যোগাযোগের প্রয়োজনে মানুষ কোনো না কোনো ডিভাইস সঙ্গে রাখছেন। সেখানে থাকছে তার পরিচিতদের নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর থেকে শুরু করে নানা তথ্য। ব্যক্তিগত মেসেজ বা অডিও-ভিডিও বা ছবির কথা না হয় বাদই গেল। মানুষের জীবনের এখন দুটি দিক—একটি চিরচেনা বাস্তব, অন্যটি ভার্চুয়াল। ফলে ভার্চুয়াল এই জগতের তথ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পরাশক্তিগুলো একটি আরেকটির এই ভার্চুয়াল তথ্য হাতিয়ে নিতে কী না করছে? এ নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কিংবা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ তো এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি ডিভাইস, সফটওয়্যার, ই–মেইল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মের রয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষিত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি। যেকোনো সচেতন গ্রাহক এই নীতিটি খুব সতর্কতার সঙ্গে পাঠ করেন। কিন্তু পেগাসাস-কাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেখা যাচ্ছে, এই সতর্কতা কেবল নামেই, কোনো কাজে আসছে না।
কী এই পেগাসাস?
আগেই বলা হয়েছে, এটি একটি স্পাইওয়্যার। সোজা বাংলায় ভার্চুয়াল গুপ্তচর। বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ফোন, কম্পিউটার বা ট্যাবে ঢুকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়াই এর কাজ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নিভ কারমি, শালেভ হুলিও ও ওমরি লাভিয়ে নামের তিন ইসরায়েলি ২০১০ সালে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যাদের অন্তত দুজন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক সদস্য। তিনজনই নিজেদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করেন এনএসও। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, লাভিয়ে এবং হুলিও এখনো এনএসওর পরিচালনা পরিষদে আছেন। এই এনএসওই তৈরি করেছে স্পাইওয়্যার পেগাসাস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ থেকে এই স্পাইওয়্যার কিনে নিজের দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চালিয়ে আসছে ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকারগুলো। এনএসও অন্তত ৫০টি দেশের সামরিক বাহিনী কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ‘পেগাসাস’ বিক্রি করেছে। এই তালিকায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো টেলিফোন নম্বর আছে কি না, তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। দেশটিতে এটি এতটাই আলোড়ন তুলেছে যে, করোনা মোকাবিলার কর্মকৌশল নিয়ে অনুষ্ঠেয় বৈঠকও বর্জন করেছে বিরোধী দলগুলো।
২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট ফোর্বসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাভিয়ে ও হুলিও দুজনই ইসরায়েলের ‘ইউনিট ৮২০০ সিগনালস ইন্টেলিজেন্স আর্ম’-এর সাবেক সদস্য। ইউনিট ৮২০০ হচ্ছে ইসরায়েলের ‘ইন্টেলিজেন্স কোর’-এর একটি অংশ। সরাসরি ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইডিএফ ডাইরেক্টরেট অব মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সে’র অধীনে বিভাগটি কাজ করে।
নিভ কারমি, শালেভ হুলিও ও ওমরি লাভিয়ে বেশ ভালো প্রকল্পই হাতে নিয়েছেন বলা যায়। গোটা বিশ্বে এর বাজার যে বেশ ভালো—তা তো এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন, ভারত, মেক্সিকোসহ বহু দেশ এর ক্রেতা। দেশগুলোর সরকার তার নাগরিকদের দেওয়া করের অর্থ বিপুল পরিমাণে ঢালছে ওপর নজরদারির জন্য। ২০১৬ সালে দ্য গার্ডিয়ানে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। সে সময় এনএসও গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যেকোনো দেশের বৈধ সরকারের কাছে সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে সহযোগিতার অংশ হিসেবে তারা এই প্রযুক্তি বিক্রি করে আসছে। কিন্তু ২০২১ সালে যে তালিকা সামনে এল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও ফরবিডেন স্টোরিজের মাধ্যমে, সেখানে মাদক ব্যবসায়ী, বৈধ সরকারের কর্তাব্যক্তি, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, বিরোধীপক্ষের নেতা, গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করা নেতা, আইনজীবী—সবাইকে এক কাতারে দেখা গেল। ভারতে সেই সাংবাদিকদের নামই পাওয়া গেল তালিকায়, যারা নরেন্দ্র মোদি সরকারের কোনো প্রভাবশালী নেতার বা তাঁর আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যদের করা দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছেন। এখনো ফাঁস হওয়া নম্বরগুলোর সব মালিকের খোঁজ জানা যায়নি। পুরোটা প্রকাশ হলে আর কার কার দিকে আঙুল উঠবে বলা কঠিন।
পেগাসাস সফটওয়্যারের দাম কত?
পেগাসাস সফটওয়্যারের দাম এই সময়ে কত, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা না গেলেও ২০১৬ সালে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে ধারণা পাওয়া যায়। এনএসও গ্রুপকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এই নজরদারি সফটওয়্যার অন্য যেকোনো সফটওয়্যারের চেয়ে ব্যয়বহুল। সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে প্রথমে ৫ লাখ ডলার প্রয়োজন পড়ে। তবে মোবাইল ডিভাইসভেদে খরচের তারতম্য রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, একবার এই পেগাসাস সফটওয়্যার ইনস্টল করতেই খরচ হবে ৫ লাখ মার্কিন ডলার। আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য এ খরচ ৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার, ব্ল্যাকবেরি ব্যবহারকারীর জন্য ৫ লাখ ডলার, আর সিমবিয়ান মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর জন্য এই খরচ দাঁড়ায় ৩ লাখ ডলার।
এই খরচের বাইরেও প্রতি ১০০ জন অতিরিক্ত ব্যবহারকারীর ফোনে আড়ি পাতার জন্য খরচ পড়ে ৮ লাখ ডলার, ৫০ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৫ লাখ আর ২০ জন ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেড় লাখ ডলার। এ ছাড়া এই সফটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা বাবদ প্রতিবছর মোট ব্যয়ের ১৭ শতাংশ দিতে হয়। সফটওয়্যার ইনস্টল হওয়ার আগেই এক বছরের এই খরচ অগ্রিম নিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
পেগাসাসই একমাত্র নয়
পেগাসাসই একমাত্র আড়ি পাতার সফটওয়্যার নয়। বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পেগাসাসের বাইরেও ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাতার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। এর একটি হলো ‘ক্যানডিরু’।
ইসরায়েলের তেল আবিবভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্যানডিরু তৈরি করেছে সবচেয়ে ব্যয়বহুল আড়ি পাতার সফটওয়্যার। এর নামও দেওয়া হয়েছে কোম্পানির নামে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এই সফটওয়্যার পেগাসাসের চেয়েও দামি, যার ইনস্টলেশন ব্যয় ২৮ মিলিয়ন (২ কোটি ৮০ লাখ) ডলার।
পেগাসাস ৬০ বার ইনস্টল করলে যে খরচ পড়ে, ক্যানডিরু একবার ইনস্টল করলে সেই খরচ পড়ে। পেগাসাসের মতোই টার্গেট বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বেড়ে যায়। এই একটি সফটওয়্যার দিয়ে আইফোন, অ্যান্ড্রয়েড, ম্যাক, ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও ক্লাউড অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ড্রপআউট জিপ
যুক্তরাষ্ট্রের এনএসএর তৈরি এই সফটওয়্যার দিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে নজরদারি করে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা। ড্রপআউট জিপ ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, বিশেষ করে আইফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনস্টল হয়ে যায়। যার মাধ্যমে সহজেই ব্যবহারকারীদের ফোনের সব মেসেজ, ছবি, ই-মেইল, জিপিও লোকেশন, কল রেকর্ড বের করা সম্ভব।
আরসিএসএ অ্যান্ড্রয়েড
পেগাসাস, ড্রপআউট জিপ, ক্যানডিরুর মতো এটিও একটি আড়ি পাতার সফটওয়্যার। ইতালিভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘হ্যাকিং টিম’ সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে। তবে এটি দিয়ে শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আড়ি পাতা যায়। গুগল প্লে স্টোরের অ্যাপসের মাধ্যমে এই সফটওয়্যার ছাড়া হয়। এটা ফোনে ইনস্টল হওয়ার পর ব্যবহারকারীর পুরো ফোনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়।
এক্সোডাস
এই সফটওয়্যার তৈরি করেছে ইতালিভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইসুরভ। এই ম্যালওয়্যারটি টার্গেট ডিভাইসে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ওই ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় এবং এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফোনের সব তথ্য পাচার হতে থাকে।
পি–৬–জিইও
এটি জিএসএম মোবাইলে ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান পিকসিক্সের বানানো এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থা জিএসএম, ইউএমটিএ ও এলটিই ব্যবহারকারীদের অবস্থান, ইনকামিং ও আউটগোয়িং কলের সবকিছু শনাক্ত করা যায়।
এবার বলুন, গোপন বলে আপনার আর কিছু থাকল?
আরও পড়ুন

‘পেগাসাস’ শব্দটি বললে এখন আর গ্রিক পুরাণের ডানাওয়ালা সেই ঘোড়ার ছবি মাথায় আসে না। আসে এক গোপন চোখ ও কানের ছবি। আজকাল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে পেগাসাস নামের এই স্পাইওয়্যার। ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের তৈরি এই গুপ্তচর সফটওয়্যার শুধু আড়ি পাতাতেই নয়, নির্দিষ্ট নম্বরের আওতাধীন স্মার্ট ডিভাইসের যাবতীয় তথ্য চলে যাচ্ছে রাষ্ট্রের উচ্চ মহলের হাতে। অনেকটা ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জর্জ অরওয়েলের ‘নাইন্টিন এইটটি ফোরের’ মতো। গোপন বলে আপনার আর কিছুই নেই। নিমেষে সবই জেনে যাচ্ছেন ‘বিগব্রাদার’।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, কোন কোন রাষ্ট্র এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে? এই চেয়ে বরং বেশি প্রাসঙ্গিক, কে কে করছে না–সে প্রশ্নটি। আজকাল রাষ্ট্র, নিরাপত্তা আর নজরদারি যেন একসূত্রে গাঁথা। সেই নজরদারিকেই নতুন করে আলোচনায় এনেছে ‘পেগাসাস’।
পেগাসাসের এই গোপন কর্মটি এত দিন গোপনেই চলছিল। হঠাৎ করে সেটি সামনে এনে দিল প্যারিসভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের যৌথ অনুসন্ধান চালিয়ে পেগাসাস প্রকল্পের আওতায় থাকা ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বরে আড়ি পাতার খবর ফাঁস করেছিল। একযোগে সেই খবর প্রকাশ করে দিল ১৭টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এই অনুসন্ধানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’।
অনুসন্ধানে বের হয়ে আসা ফোন নম্বরগুলোর মালিকের পরিচয় রীতিমতো গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। এ তালিকায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যেমন রয়েছেন, তেমনি আছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে নির্বাচন কৌশুলী প্রশান্ত কিশোরসহ বহু সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী আছেন তালিকায়।
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে তথ্যের নিরাপত্তা এখন এক বিরাট বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হবে নাই-বা কেন? স্মার্ট ডিভাইস তো এখন হাতে হাতে। স্মার্টফোন না হলেও যোগাযোগের প্রয়োজনে মানুষ কোনো না কোনো ডিভাইস সঙ্গে রাখছেন। সেখানে থাকছে তার পরিচিতদের নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর থেকে শুরু করে নানা তথ্য। ব্যক্তিগত মেসেজ বা অডিও-ভিডিও বা ছবির কথা না হয় বাদই গেল। মানুষের জীবনের এখন দুটি দিক—একটি চিরচেনা বাস্তব, অন্যটি ভার্চুয়াল। ফলে ভার্চুয়াল এই জগতের তথ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পরাশক্তিগুলো একটি আরেকটির এই ভার্চুয়াল তথ্য হাতিয়ে নিতে কী না করছে? এ নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কিংবা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ তো এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি ডিভাইস, সফটওয়্যার, ই–মেইল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মের রয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষিত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি। যেকোনো সচেতন গ্রাহক এই নীতিটি খুব সতর্কতার সঙ্গে পাঠ করেন। কিন্তু পেগাসাস-কাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেখা যাচ্ছে, এই সতর্কতা কেবল নামেই, কোনো কাজে আসছে না।
কী এই পেগাসাস?
আগেই বলা হয়েছে, এটি একটি স্পাইওয়্যার। সোজা বাংলায় ভার্চুয়াল গুপ্তচর। বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ফোন, কম্পিউটার বা ট্যাবে ঢুকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়াই এর কাজ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নিভ কারমি, শালেভ হুলিও ও ওমরি লাভিয়ে নামের তিন ইসরায়েলি ২০১০ সালে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যাদের অন্তত দুজন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক সদস্য। তিনজনই নিজেদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করেন এনএসও। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, লাভিয়ে এবং হুলিও এখনো এনএসওর পরিচালনা পরিষদে আছেন। এই এনএসওই তৈরি করেছে স্পাইওয়্যার পেগাসাস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ থেকে এই স্পাইওয়্যার কিনে নিজের দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চালিয়ে আসছে ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকারগুলো। এনএসও অন্তত ৫০টি দেশের সামরিক বাহিনী কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ‘পেগাসাস’ বিক্রি করেছে। এই তালিকায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো টেলিফোন নম্বর আছে কি না, তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। দেশটিতে এটি এতটাই আলোড়ন তুলেছে যে, করোনা মোকাবিলার কর্মকৌশল নিয়ে অনুষ্ঠেয় বৈঠকও বর্জন করেছে বিরোধী দলগুলো।
২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট ফোর্বসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাভিয়ে ও হুলিও দুজনই ইসরায়েলের ‘ইউনিট ৮২০০ সিগনালস ইন্টেলিজেন্স আর্ম’-এর সাবেক সদস্য। ইউনিট ৮২০০ হচ্ছে ইসরায়েলের ‘ইন্টেলিজেন্স কোর’-এর একটি অংশ। সরাসরি ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইডিএফ ডাইরেক্টরেট অব মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সে’র অধীনে বিভাগটি কাজ করে।
নিভ কারমি, শালেভ হুলিও ও ওমরি লাভিয়ে বেশ ভালো প্রকল্পই হাতে নিয়েছেন বলা যায়। গোটা বিশ্বে এর বাজার যে বেশ ভালো—তা তো এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন, ভারত, মেক্সিকোসহ বহু দেশ এর ক্রেতা। দেশগুলোর সরকার তার নাগরিকদের দেওয়া করের অর্থ বিপুল পরিমাণে ঢালছে ওপর নজরদারির জন্য। ২০১৬ সালে দ্য গার্ডিয়ানে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। সে সময় এনএসও গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যেকোনো দেশের বৈধ সরকারের কাছে সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে সহযোগিতার অংশ হিসেবে তারা এই প্রযুক্তি বিক্রি করে আসছে। কিন্তু ২০২১ সালে যে তালিকা সামনে এল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও ফরবিডেন স্টোরিজের মাধ্যমে, সেখানে মাদক ব্যবসায়ী, বৈধ সরকারের কর্তাব্যক্তি, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, বিরোধীপক্ষের নেতা, গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করা নেতা, আইনজীবী—সবাইকে এক কাতারে দেখা গেল। ভারতে সেই সাংবাদিকদের নামই পাওয়া গেল তালিকায়, যারা নরেন্দ্র মোদি সরকারের কোনো প্রভাবশালী নেতার বা তাঁর আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যদের করা দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছেন। এখনো ফাঁস হওয়া নম্বরগুলোর সব মালিকের খোঁজ জানা যায়নি। পুরোটা প্রকাশ হলে আর কার কার দিকে আঙুল উঠবে বলা কঠিন।
পেগাসাস সফটওয়্যারের দাম কত?
পেগাসাস সফটওয়্যারের দাম এই সময়ে কত, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা না গেলেও ২০১৬ সালে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে ধারণা পাওয়া যায়। এনএসও গ্রুপকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এই নজরদারি সফটওয়্যার অন্য যেকোনো সফটওয়্যারের চেয়ে ব্যয়বহুল। সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে প্রথমে ৫ লাখ ডলার প্রয়োজন পড়ে। তবে মোবাইল ডিভাইসভেদে খরচের তারতম্য রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, একবার এই পেগাসাস সফটওয়্যার ইনস্টল করতেই খরচ হবে ৫ লাখ মার্কিন ডলার। আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য এ খরচ ৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার, ব্ল্যাকবেরি ব্যবহারকারীর জন্য ৫ লাখ ডলার, আর সিমবিয়ান মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর জন্য এই খরচ দাঁড়ায় ৩ লাখ ডলার।
এই খরচের বাইরেও প্রতি ১০০ জন অতিরিক্ত ব্যবহারকারীর ফোনে আড়ি পাতার জন্য খরচ পড়ে ৮ লাখ ডলার, ৫০ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৫ লাখ আর ২০ জন ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেড় লাখ ডলার। এ ছাড়া এই সফটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা বাবদ প্রতিবছর মোট ব্যয়ের ১৭ শতাংশ দিতে হয়। সফটওয়্যার ইনস্টল হওয়ার আগেই এক বছরের এই খরচ অগ্রিম নিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
পেগাসাসই একমাত্র নয়
পেগাসাসই একমাত্র আড়ি পাতার সফটওয়্যার নয়। বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পেগাসাসের বাইরেও ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাতার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। এর একটি হলো ‘ক্যানডিরু’।
ইসরায়েলের তেল আবিবভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্যানডিরু তৈরি করেছে সবচেয়ে ব্যয়বহুল আড়ি পাতার সফটওয়্যার। এর নামও দেওয়া হয়েছে কোম্পানির নামে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এই সফটওয়্যার পেগাসাসের চেয়েও দামি, যার ইনস্টলেশন ব্যয় ২৮ মিলিয়ন (২ কোটি ৮০ লাখ) ডলার।
পেগাসাস ৬০ বার ইনস্টল করলে যে খরচ পড়ে, ক্যানডিরু একবার ইনস্টল করলে সেই খরচ পড়ে। পেগাসাসের মতোই টার্গেট বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বেড়ে যায়। এই একটি সফটওয়্যার দিয়ে আইফোন, অ্যান্ড্রয়েড, ম্যাক, ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও ক্লাউড অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করা যায়।
ড্রপআউট জিপ
যুক্তরাষ্ট্রের এনএসএর তৈরি এই সফটওয়্যার দিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে নজরদারি করে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা। ড্রপআউট জিপ ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, বিশেষ করে আইফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনস্টল হয়ে যায়। যার মাধ্যমে সহজেই ব্যবহারকারীদের ফোনের সব মেসেজ, ছবি, ই-মেইল, জিপিও লোকেশন, কল রেকর্ড বের করা সম্ভব।
আরসিএসএ অ্যান্ড্রয়েড
পেগাসাস, ড্রপআউট জিপ, ক্যানডিরুর মতো এটিও একটি আড়ি পাতার সফটওয়্যার। ইতালিভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘হ্যাকিং টিম’ সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে। তবে এটি দিয়ে শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আড়ি পাতা যায়। গুগল প্লে স্টোরের অ্যাপসের মাধ্যমে এই সফটওয়্যার ছাড়া হয়। এটা ফোনে ইনস্টল হওয়ার পর ব্যবহারকারীর পুরো ফোনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়।
এক্সোডাস
এই সফটওয়্যার তৈরি করেছে ইতালিভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইসুরভ। এই ম্যালওয়্যারটি টার্গেট ডিভাইসে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ওই ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় এবং এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফোনের সব তথ্য পাচার হতে থাকে।
পি–৬–জিইও
এটি জিএসএম মোবাইলে ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান পিকসিক্সের বানানো এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থা জিএসএম, ইউএমটিএ ও এলটিই ব্যবহারকারীদের অবস্থান, ইনকামিং ও আউটগোয়িং কলের সবকিছু শনাক্ত করা যায়।
এবার বলুন, গোপন বলে আপনার আর কিছু থাকল?
আরও পড়ুন

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

‘পেগাসাস’ শব্দটি বললে এখন আর গ্রিক পুরাণের ডানাওয়ালা সেই ঘোড়ার ছবি মাথায় আসে না। আসে এক গোপন চোখ ও কানের ছবি। আজকাল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে পেগাসাস নামের এই স্পাইওয়্যার। ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের তৈরি এই গুপ্তচর সফটওয়্যার শুধু আড়ি পাতাতেই নয়, নির্দিষ্ট নম
২৪ জুলাই ২০২১
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

‘পেগাসাস’ শব্দটি বললে এখন আর গ্রিক পুরাণের ডানাওয়ালা সেই ঘোড়ার ছবি মাথায় আসে না। আসে এক গোপন চোখ ও কানের ছবি। আজকাল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে পেগাসাস নামের এই স্পাইওয়্যার। ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের তৈরি এই গুপ্তচর সফটওয়্যার শুধু আড়ি পাতাতেই নয়, নির্দিষ্ট নম
২৪ জুলাই ২০২১
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

‘পেগাসাস’ শব্দটি বললে এখন আর গ্রিক পুরাণের ডানাওয়ালা সেই ঘোড়ার ছবি মাথায় আসে না। আসে এক গোপন চোখ ও কানের ছবি। আজকাল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে পেগাসাস নামের এই স্পাইওয়্যার। ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের তৈরি এই গুপ্তচর সফটওয়্যার শুধু আড়ি পাতাতেই নয়, নির্দিষ্ট নম
২৪ জুলাই ২০২১
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

‘পেগাসাস’ শব্দটি বললে এখন আর গ্রিক পুরাণের ডানাওয়ালা সেই ঘোড়ার ছবি মাথায় আসে না। আসে এক গোপন চোখ ও কানের ছবি। আজকাল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে পেগাসাস নামের এই স্পাইওয়্যার। ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের তৈরি এই গুপ্তচর সফটওয়্যার শুধু আড়ি পাতাতেই নয়, নির্দিষ্ট নম
২৪ জুলাই ২০২১
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে