ইউনিসেফ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও ইউএন উইমেনের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে কিশোরী মেয়েদের অগ্রগতির গতি ধীর বলে মত দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ইউনিসেফ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও ইউএন উইমেনের এক প্রতিবেদনে। ‘গার্লস গোলস: হোয়াট হ্যাজ চেঞ্জড ফর গার্লস? অ্যাডোলেসেন্ট গার্লস রাইটস ওভার ৩০ ইয়ার্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ ও নীতি পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আজ শনিবার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা তুলে ধরা হয়।
তিনটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রতিবেদনটিতে বিশেষ করে কিশোরী মেয়েদের বিকাশে বিনিয়োগ করে নানাভাবে উপকৃত হয়েছে এমন এলাকার কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন বিশ্বের কন্যাশিশুরা আগের মতো তত বেশি বাল্যবিবাহের শিকার হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের মতো কিছু দেশ এখনো এই ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে। বাংলাদেশে ৫০ শতাংশের বেশি কন্যাশিশু এই ক্ষতিকর চর্চার শিকার হচ্ছে। বাল্যবিবাহের এই হার এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে বাল্যবিবাহ ও অল্প বয়সে সন্তানধারণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর নারীদের মধ্যে ২৪ শতাংশ নারী ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সন্তান জন্ম দেয়। তা ছাড়া ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরী-তরুণী মেয়েদের ২৮ শতাংশ আগের ১২ মাসের মধ্যে তাদের সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। ১৫-১৯ বছর বয়সী বিবাহিত মেয়েদের মধ্যে মাত্র ৪৭ শতাংশ জেনেবুঝে প্রজনন স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই কন্যাশিশু তথা মেয়েদের বক্তব্য তুলে ধরতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে পরিবর্তনের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। তরুণ নারী ও পুরুষ আরও ভালো একটি ভবিষ্যৎ গড়ার ডাক দিয়েছে। তাদের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা সরকারের প্রতি কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও পুষ্টিতে বিনিয়োগ করা, সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত জনবল আরও শক্তিশালী করা এবং সব মেয়ের জন্য জীবন দক্ষতা অর্জন ও ডিজিটাল শিক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহের দেশের তালিকায় অষ্টম অবস্থানে বাংলাদেশ। আর এশিয়ায় প্রথম। বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর হওয়ার আগে। এর ফলে কন্যাশিশু তথা মেয়েদের স্থায়ী দারিদ্র্যের চক্রে আটকে যেতে দেখা যায়। এ ছাড়া তারা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সম্ভাবনার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শিকার হয়। এভাবে মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক ঝুঁকিতে থাকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বের যে সাতটি দেশে কিশোরী মেয়ে ও তরুণ নারীদের ডিজিটাল দক্ষতার হার ২ শতাংশ বা তারও কম তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে কিশোরী মেয়েদের অগ্রগতির গতি ধীর বলে মত দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ইউনিসেফ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও ইউএন উইমেনের এক প্রতিবেদনে। ‘গার্লস গোলস: হোয়াট হ্যাজ চেঞ্জড ফর গার্লস? অ্যাডোলেসেন্ট গার্লস রাইটস ওভার ৩০ ইয়ার্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ ও নীতি পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আজ শনিবার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা তুলে ধরা হয়।
তিনটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রতিবেদনটিতে বিশেষ করে কিশোরী মেয়েদের বিকাশে বিনিয়োগ করে নানাভাবে উপকৃত হয়েছে এমন এলাকার কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন বিশ্বের কন্যাশিশুরা আগের মতো তত বেশি বাল্যবিবাহের শিকার হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের মতো কিছু দেশ এখনো এই ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে। বাংলাদেশে ৫০ শতাংশের বেশি কন্যাশিশু এই ক্ষতিকর চর্চার শিকার হচ্ছে। বাল্যবিবাহের এই হার এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে বাল্যবিবাহ ও অল্প বয়সে সন্তানধারণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর নারীদের মধ্যে ২৪ শতাংশ নারী ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সন্তান জন্ম দেয়। তা ছাড়া ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরী-তরুণী মেয়েদের ২৮ শতাংশ আগের ১২ মাসের মধ্যে তাদের সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। ১৫-১৯ বছর বয়সী বিবাহিত মেয়েদের মধ্যে মাত্র ৪৭ শতাংশ জেনেবুঝে প্রজনন স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই কন্যাশিশু তথা মেয়েদের বক্তব্য তুলে ধরতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে পরিবর্তনের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। তরুণ নারী ও পুরুষ আরও ভালো একটি ভবিষ্যৎ গড়ার ডাক দিয়েছে। তাদের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা সরকারের প্রতি কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও পুষ্টিতে বিনিয়োগ করা, সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত জনবল আরও শক্তিশালী করা এবং সব মেয়ের জন্য জীবন দক্ষতা অর্জন ও ডিজিটাল শিক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহের দেশের তালিকায় অষ্টম অবস্থানে বাংলাদেশ। আর এশিয়ায় প্রথম। বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর হওয়ার আগে। এর ফলে কন্যাশিশু তথা মেয়েদের স্থায়ী দারিদ্র্যের চক্রে আটকে যেতে দেখা যায়। এ ছাড়া তারা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সম্ভাবনার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শিকার হয়। এভাবে মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক ঝুঁকিতে থাকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বের যে সাতটি দেশে কিশোরী মেয়ে ও তরুণ নারীদের ডিজিটাল দক্ষতার হার ২ শতাংশ বা তারও কম তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।
নারীবাদ একটি সামাজিক, রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন, যা লিঙ্গ সমতার পক্ষে কাজ করে। নারীবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও সুযোগ পাওয়া উচিত এবং তারা নারী নির্যাতন, লিঙ্গবৈষম্য, ও পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। নারী অধিকারকর্মী ও নারীবাদীরা শুধুমাত্র নারীদের অধিকারের জন্য নয়...
১ দিন আগেসারা দেশে শিশু ও নারীদের প্রতি যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকারের জন্য নিবেদিত ২৬টি এনজিওর (বেসরকারি সংস্থা) সমন্বয়ে গঠিত ‘শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক’।
৩ দিন আগেদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির মাধ্যমে নারীর নিরাপত্তা ও নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহনের দাবি জানিয়েছে ‘নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি’। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কমিটির চেয়ারপারসন ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম ও আহ্বায়ক ডা. ফওজ
৪ দিন আগেনারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামক প্ল্যাটফর্মের পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ বাঁধা দেয় এবং একপর্যায়ে লাঠিপেটা করে...
৪ দিন আগে