
কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতি লিঙ্গবৈষম্য বিশ্বজুড়েই বেড়েছে, যতটা ভাবা হয় তাঁর চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে সহিংসতা ও শিশু পরিচর্যার ক্ষেত্রে আইনি অধিকারে বড় তারতম্য বিদ্যমান। সামগ্রিকভাবে পুরুষদের দুই-তৃতীয়াংশেরও কম অধিকার ভোগ করেন নারীরা। কোনো দেশই নারীর জন্য সমান সুবিধা দেয় না, এমনকি সবচেয়ে ধনি দেশগুলোও না। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বৈষম্যের এই চিত্র উঠে এসেছে।
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগে উইমেন, বিজনেস অ্যান্ড দ্য ল অর্থাৎ ‘নারী, ব্যবসা ও আইন’ শিরোনামে ২০২৪ সালের এই প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। কয়েক বছর ধরে বার্ষিক এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে আসছে। বৈশ্বিক শ্রমবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে এবং নিজের, পরিবারের ও সমাজের বৃহত্তর অগ্রগতিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে নারীরা কী ধরণের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন, তা বেশ কিছু সূচক পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
নারীর বিকল্প বাছাইয়ের সুযোগ তৈরি করে বা তাতে বাধার সৃষ্টি করে এমন দুটি সূচক এবার নতুন করে পর্যালোচনার জন্য প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়। এতে দেখা গেছে, পুরুষ যত আইনি অধিকার ভোগ করেন, নারীরা তার মাত্র ৬৪ শতাংশ ভোগ করেন। এই হার আগের অনুমিত হার ৭৭ শতাংশ থেকে অনেক কম। অর্থাৎ বাস্তবে লিঙ্গ বৈষম্য অনেক বিস্তৃত।
‘নারী, ব্যবসা ও আইন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো ১৯০টি দেশে নারীর জন্য আইনি সংস্কারে বৈষম্য ও তার বাস্তব পরিণতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। ছাপা আইন অনুসারে পুরুষদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অধিকার নারীদের ভোগ করার কথা। কিন্তু এটুকু অধিকারের পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য যত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া-পদ্ধতির প্রয়োজন দেশগুলোতে গড়ে তাঁর ৪০ শতাংশেরও কম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উদারহরণস্বরূপ, পুরুষের সমমূল্যের শ্রমের জন্য নারীর সমান মজুরির বিধান নিশ্চিত করে সংসদে আইন প্রণয়ন করেছে ৯৮টি বা অর্ধেকের বেশি দেশ। কিন্তু মজুরিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত বা মজুরি বৈষম্য নিরসনে কার্যকর প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করেছে মাত্র ৩৫টি দেশ প্রতি ৫ টির একটিরও কম দেশ।
তবে সমান সুযোগের আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন পর্যাপ্ত সহায়ক রূপরেখার উপর নির্ভর করে। এর মধ্যে আছে-আইন কার্যকরের শক্তিশালী প্রক্রিয়া, লিঙ্গ সংক্রান্ত মজুরি বৈষম্য চিহ্নিত করার ব্যবস্থা ও সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়া নারীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুবিধা।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত গিল বলেন, ‘খুঁড়িয়ে চলা বিশ্ব অর্থনীতিতে বিপুল গতিসঞ্চার করার ক্ষমতা আছে নারীদের। তবু পুরুষের কাতারে দাঁড়িয়ে কাজ করা বা ব্যবসা করা থেকে নারীকে দমিয়ে রাখতে সারা বিশ্বেই বৈষম্যমূলক আইন ও চর্চা অব্যাহত আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বৈষম্য নিরসন করলে বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ২০ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। এর ফলে আগামী দশকে বৈশ্বিক জিডিপি দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কিন্তু আইনি সংস্কারের গতি গতি শ্লথ হতে হতে এখন একেবারে হামাগুড়ি দিয়ে চলছে। ব্যবসা ও আইনি অধিকারে সমতা আনার গতি ত্বরান্বিত করতে সরকার কি করতে পারে তা এই প্রতিবেদনে তুলে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
সমান সুযোগের আইন প্রতিষ্ঠা করা দেশগুলোর জন্যও কত কঠিন কঠিন কাজ পড়ে আছে তা অধিকার বাস্তবায়নের এই বিশাল ফারাকের মধ্যে উঠে এসেছে। যেমন, নারীদের পুরুষদের অধিকারের প্রায় ৭৭ শতাংশের আইনি স্বীকৃতি দিয়ে সাব-সাহারান অর্থনীতির মধ্যে অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। কিন্তু দেশটি এখনও এসবের পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতির মাত্র ২৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠা করেছে। এই হার মহাদেশীয় গড়হার।
২০২৩ সালে সরকারগুলি সমান সুযোগের আইনি সংস্কারের তিন শ্রেণিতে—বেতন, মাতৃত্বকালীন অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা—অগ্রগতির জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। তারপরও শিশু যত্নের অধিকার ও নারীর নিরাপত্তা-দুটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দুর্বলতা দেখা গেছে। এক্ষেত্রে বিশ্বের গড় স্কোর মাত্র ৩৬ অর্থাৎ নারীরা ঘরোয়া সহিংসতা, যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ ও নারী হত্যার শিকার হওয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষার মাত্র এক তৃতীয়াংশ ভোগ করে। ১৫১টি দেশের কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আইন আছে। তবে জনপরিসের যৌন হয়রানি নিষিদ্ধ করার আইন করেছে মাত্র ৩৯টি দেশ। এই কারণে প্রায় নারীরা কর্মস্থলে যেতে গণপরিবহন করতে পারেন না।
শিশু যত্ন বিষয়ক আইনেও বেশিরভাগ দেশের অবস্থা ভালো না। বেশিরভাগই শিশু যত্নের কাজে নারীরা পুরুষদের চেয়ে দিনে গড়ে ২ দশমিক ৪ ঘণ্টা বেশি ব্যয় করে। শিশু যত্নের সুযোগ বাড়ায় প্রাথমিকভাবে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ প্রায় ১ শতাংশ বেড়েছে। পাঁচ বছরের মধ্যে এটি দ্বিগুণেরও বেশি হবে। এখন অর্ধেকেরও কম অর্থাৎ মাত্র ৭৮টি দেশে অল্পবয়সী শিশুর জন্য পিতামাতাদের সামান্য অর্থ সহায়তা দেয়। এক তৃতীয়াংশেরও অর্থাৎ মাত্র ৬২টি দেশে মানসম্পন্ন শিশু পরিচর্যা সেবা আছে। অথচ এই সেবা ছাড়া অল্পবয়সী শিশুর মায়েরা কাজে যেতে দুবার ভাববে।
নারীরা অন্য ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হন। যেমন ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতি পাঁচটি দেশের মধ্যে মাত্র একটি সরকারি ক্রয়ে লিঙ্গ-সংবেদনশীল প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করেছে। এর অর্থ হল নারীরা বছরে ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বেতনের ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের প্রতি ১ ডলারের বিপরীতে মাত্র ৭৭ সেন্ট পায়। অধিকারের এই বৈষম্য অবসর পর্যন্ত প্রসারিত। ৬২টি দেশে পুরুষ ও নারীর অবসরের বয়স এক ভিন্ন। নারীরা সাধারণত পুরুষদের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে। কিন্তু যেহেতু তারা কম বেতন পান, সন্তানধারণের সময় ছুটি নেন, আগে অবসর গ্রহণ করেন, সেই কারণে তাঁরা স্বল্প পেনশন সুবিধা পান এবং বড় আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে তাদের জীবন শেষ হয়।
এই প্রতিবেদনের প্রধান লেখক টি ট্রম্বিক বলেন, এখন মাত্র অর্ধেক নারী বৈশ্বিক কর্মশক্তিতে অংশ নেয় অর্থাৎ প্রতি চারজন পুরুষের বিপরীতে তিনজনেরও কম। এটা শুধু অন্যায্য নয়, এটা অপচয়। অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানো ছাড়া নারী কণ্ঠস্বর জোরালো হবে না। নিজেরা সরাসরি প্রভাবিত হন-এমন সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা অর্জনের মূল চাবিকাঠি এটাই। দেশগুলি কোনোভাবেই তাদের জনসংখ্যার অর্ধেককে কেবল বসিয়ে রাখতে পারে না।
নারীদের কাজে এবং ব্যবসা শুরু ও আকার বাড়াতে সক্ষম করে তোলার জন্য আইন সংস্কারের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করা ও নীতি প্রণয়ন করা আগের চেয়ে বেশি জরুরি।

কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতি লিঙ্গবৈষম্য বিশ্বজুড়েই বেড়েছে, যতটা ভাবা হয় তাঁর চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে সহিংসতা ও শিশু পরিচর্যার ক্ষেত্রে আইনি অধিকারে বড় তারতম্য বিদ্যমান। সামগ্রিকভাবে পুরুষদের দুই-তৃতীয়াংশেরও কম অধিকার ভোগ করেন নারীরা। কোনো দেশই নারীর জন্য সমান সুবিধা দেয় না, এমনকি সবচেয়ে ধনি দেশগুলোও না। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বৈষম্যের এই চিত্র উঠে এসেছে।
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগে উইমেন, বিজনেস অ্যান্ড দ্য ল অর্থাৎ ‘নারী, ব্যবসা ও আইন’ শিরোনামে ২০২৪ সালের এই প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। কয়েক বছর ধরে বার্ষিক এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে আসছে। বৈশ্বিক শ্রমবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে এবং নিজের, পরিবারের ও সমাজের বৃহত্তর অগ্রগতিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে নারীরা কী ধরণের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন, তা বেশ কিছু সূচক পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
নারীর বিকল্প বাছাইয়ের সুযোগ তৈরি করে বা তাতে বাধার সৃষ্টি করে এমন দুটি সূচক এবার নতুন করে পর্যালোচনার জন্য প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়। এতে দেখা গেছে, পুরুষ যত আইনি অধিকার ভোগ করেন, নারীরা তার মাত্র ৬৪ শতাংশ ভোগ করেন। এই হার আগের অনুমিত হার ৭৭ শতাংশ থেকে অনেক কম। অর্থাৎ বাস্তবে লিঙ্গ বৈষম্য অনেক বিস্তৃত।
‘নারী, ব্যবসা ও আইন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো ১৯০টি দেশে নারীর জন্য আইনি সংস্কারে বৈষম্য ও তার বাস্তব পরিণতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। ছাপা আইন অনুসারে পুরুষদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অধিকার নারীদের ভোগ করার কথা। কিন্তু এটুকু অধিকারের পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য যত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া-পদ্ধতির প্রয়োজন দেশগুলোতে গড়ে তাঁর ৪০ শতাংশেরও কম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উদারহরণস্বরূপ, পুরুষের সমমূল্যের শ্রমের জন্য নারীর সমান মজুরির বিধান নিশ্চিত করে সংসদে আইন প্রণয়ন করেছে ৯৮টি বা অর্ধেকের বেশি দেশ। কিন্তু মজুরিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত বা মজুরি বৈষম্য নিরসনে কার্যকর প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করেছে মাত্র ৩৫টি দেশ প্রতি ৫ টির একটিরও কম দেশ।
তবে সমান সুযোগের আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন পর্যাপ্ত সহায়ক রূপরেখার উপর নির্ভর করে। এর মধ্যে আছে-আইন কার্যকরের শক্তিশালী প্রক্রিয়া, লিঙ্গ সংক্রান্ত মজুরি বৈষম্য চিহ্নিত করার ব্যবস্থা ও সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়া নারীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুবিধা।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত গিল বলেন, ‘খুঁড়িয়ে চলা বিশ্ব অর্থনীতিতে বিপুল গতিসঞ্চার করার ক্ষমতা আছে নারীদের। তবু পুরুষের কাতারে দাঁড়িয়ে কাজ করা বা ব্যবসা করা থেকে নারীকে দমিয়ে রাখতে সারা বিশ্বেই বৈষম্যমূলক আইন ও চর্চা অব্যাহত আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বৈষম্য নিরসন করলে বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ২০ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। এর ফলে আগামী দশকে বৈশ্বিক জিডিপি দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কিন্তু আইনি সংস্কারের গতি গতি শ্লথ হতে হতে এখন একেবারে হামাগুড়ি দিয়ে চলছে। ব্যবসা ও আইনি অধিকারে সমতা আনার গতি ত্বরান্বিত করতে সরকার কি করতে পারে তা এই প্রতিবেদনে তুলে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
সমান সুযোগের আইন প্রতিষ্ঠা করা দেশগুলোর জন্যও কত কঠিন কঠিন কাজ পড়ে আছে তা অধিকার বাস্তবায়নের এই বিশাল ফারাকের মধ্যে উঠে এসেছে। যেমন, নারীদের পুরুষদের অধিকারের প্রায় ৭৭ শতাংশের আইনি স্বীকৃতি দিয়ে সাব-সাহারান অর্থনীতির মধ্যে অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। কিন্তু দেশটি এখনও এসবের পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতির মাত্র ২৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠা করেছে। এই হার মহাদেশীয় গড়হার।
২০২৩ সালে সরকারগুলি সমান সুযোগের আইনি সংস্কারের তিন শ্রেণিতে—বেতন, মাতৃত্বকালীন অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা—অগ্রগতির জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। তারপরও শিশু যত্নের অধিকার ও নারীর নিরাপত্তা-দুটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দুর্বলতা দেখা গেছে। এক্ষেত্রে বিশ্বের গড় স্কোর মাত্র ৩৬ অর্থাৎ নারীরা ঘরোয়া সহিংসতা, যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ ও নারী হত্যার শিকার হওয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষার মাত্র এক তৃতীয়াংশ ভোগ করে। ১৫১টি দেশের কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আইন আছে। তবে জনপরিসের যৌন হয়রানি নিষিদ্ধ করার আইন করেছে মাত্র ৩৯টি দেশ। এই কারণে প্রায় নারীরা কর্মস্থলে যেতে গণপরিবহন করতে পারেন না।
শিশু যত্ন বিষয়ক আইনেও বেশিরভাগ দেশের অবস্থা ভালো না। বেশিরভাগই শিশু যত্নের কাজে নারীরা পুরুষদের চেয়ে দিনে গড়ে ২ দশমিক ৪ ঘণ্টা বেশি ব্যয় করে। শিশু যত্নের সুযোগ বাড়ায় প্রাথমিকভাবে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ প্রায় ১ শতাংশ বেড়েছে। পাঁচ বছরের মধ্যে এটি দ্বিগুণেরও বেশি হবে। এখন অর্ধেকেরও কম অর্থাৎ মাত্র ৭৮টি দেশে অল্পবয়সী শিশুর জন্য পিতামাতাদের সামান্য অর্থ সহায়তা দেয়। এক তৃতীয়াংশেরও অর্থাৎ মাত্র ৬২টি দেশে মানসম্পন্ন শিশু পরিচর্যা সেবা আছে। অথচ এই সেবা ছাড়া অল্পবয়সী শিশুর মায়েরা কাজে যেতে দুবার ভাববে।
নারীরা অন্য ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হন। যেমন ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতি পাঁচটি দেশের মধ্যে মাত্র একটি সরকারি ক্রয়ে লিঙ্গ-সংবেদনশীল প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করেছে। এর অর্থ হল নারীরা বছরে ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বেতনের ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের প্রতি ১ ডলারের বিপরীতে মাত্র ৭৭ সেন্ট পায়। অধিকারের এই বৈষম্য অবসর পর্যন্ত প্রসারিত। ৬২টি দেশে পুরুষ ও নারীর অবসরের বয়স এক ভিন্ন। নারীরা সাধারণত পুরুষদের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে। কিন্তু যেহেতু তারা কম বেতন পান, সন্তানধারণের সময় ছুটি নেন, আগে অবসর গ্রহণ করেন, সেই কারণে তাঁরা স্বল্প পেনশন সুবিধা পান এবং বড় আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে তাদের জীবন শেষ হয়।
এই প্রতিবেদনের প্রধান লেখক টি ট্রম্বিক বলেন, এখন মাত্র অর্ধেক নারী বৈশ্বিক কর্মশক্তিতে অংশ নেয় অর্থাৎ প্রতি চারজন পুরুষের বিপরীতে তিনজনেরও কম। এটা শুধু অন্যায্য নয়, এটা অপচয়। অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানো ছাড়া নারী কণ্ঠস্বর জোরালো হবে না। নিজেরা সরাসরি প্রভাবিত হন-এমন সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা অর্জনের মূল চাবিকাঠি এটাই। দেশগুলি কোনোভাবেই তাদের জনসংখ্যার অর্ধেককে কেবল বসিয়ে রাখতে পারে না।
নারীদের কাজে এবং ব্যবসা শুরু ও আকার বাড়াতে সক্ষম করে তোলার জন্য আইন সংস্কারের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করা ও নীতি প্রণয়ন করা আগের চেয়ে বেশি জরুরি।

ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের...
১৮ ঘণ্টা আগে
পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র...
১৯ ঘণ্টা আগে
একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেকাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়; বরং নেটওয়ার্কিং, নতুন আইডিয়া বিনিময় এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের বিশাল খোলা বই। তবে চলতি বছর সেই মেলাগুলোর চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন; বিশেষ করে উদ্যোক্তা মেলার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং এর প্রভাব নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
মেলার গুরুত্ব ও বর্তমান সংকট
এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশ নারী। ফাউন্ডেশনটি এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আর্টেমিস লাইফস্টাইলের স্বত্বাধিকারী ফায়জা আহমেদ রাফা বলেন, ‘আমরা যারা অনলাইন বিজনেসের সঙ্গে জড়িত, তারা বছরে বেশ কিছু মেলায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি, যাতে সরাসরি ভোক্তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
এ ছাড়া উদ্যোক্তা মেলাগুলোতে পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ থাকে। অনলাইন উদ্যোগ নিয়ে ভোক্তাদের অনেক সময় বিশ্বাস তৈরি করতে অসুবিধা হয়। মেলা করলে তাঁরা সরাসরি এসে পণ্য যাচাই করতে পারেন। এর ফলে অনেকে নিশ্চিন্তে অনলাইনে অর্ডার করেন।’ রাফা আরও জানান, সাধারণত ঈদ, ফাল্গুন, বৈশাখ বা দুর্গাপূজার মতো উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করা হয়। তবে তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ‘লাস্ট দু-এক বছরে তুলনামূলক মেলার আয়োজন কিছুটা কম।’
কেন কমছে মেলার সংখ্যা
নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি রাফিয়া আক্তার, যিনি ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ করছেন, তিনি এ বছর বড় কোনো মেলার আয়োজন করতে পারেননি। এর কারণ হিসেবে তিনি দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন। রাফিয়া আক্তার বলেন, ‘আসলে দেশের পরিস্থিতির কারণে এ বছর মেলা আয়োজন করা হয়নি। যে কারণে অর্থনৈতিক দিকেও প্রভাব পড়েছে। এ মুহূর্তে ইনভেস্ট করে মেলায় কেউ অংশ নেবেন কি না, সেসব দিক বিবেচনা করে বড় কোনো মেলার আয়োজন করা হয়নি এবার।’
রাফিয়া আক্তার আরও যোগ করেন, ‘গত বছরের আগেও দেখা গেছে, সব সময় ফোন আসত, এখানে মেলা সেখানে মেলা। সেটা কমে গেছে। এটা আমার কাছে কম এসেছে কি না জানি না। মনে হয়, মেলার আয়োজন তুলনামূলক কমে গেছে।’
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন
মাইসারার স্বত্বাধিকারী এলমা খন্দকার এষা। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর আমি মেলা করিনি। তবে চলতি বছর বেশ কিছু মেলা করেছি। সেটা যদি হিসাব করি, তাহলে আমার চোখে মেলা কম মনে হয়নি।’
অর্থনীতিতে নারীর অবদান ও আগামীর প্রত্যাশা অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশের ১ কোটি ১৮ লাখ এসএমইর মধ্যে মাত্র ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ নারী মালিকানাধীন হলেও উদ্যোক্তা হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে দেশের ৩ কোটি ৭ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ নারী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি চমকপ্রদ তথ্য হলো, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে দারিদ্র্যসীমায় নতুন করে কোনো নারী যুক্ত হননি, যেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার পুরুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন।
সৌন্দর্যশিল্প, হস্তশিল্প, বুটিক ও ব্লক প্রিন্টের মতো খাতে নারীদের জয়জয়কার। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে মেলার মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অপরিহার্য। এতে ঢাকাসহ বড় শহরের ভোক্তাদের সঙ্গে সারা দেশের নারী উদ্যোক্তাদের সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হয়। এতে পণ্য ও ক্রয়বৈচিত্র্য বাড়ে, ভোক্তা এবং সরবরাহকারীদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরি
হয়। সর্বোপরি অর্থনৈতিক গতিশীলতা ঠিক থাকে। কিন্তু এ বছর দৃশ্যমানভাবে মেলার সংখ্যা কিছুটা কমে গেছে। তবু উদ্যোক্তারা অনেক আশাবাদী। এই আশাবাদ দেশের অর্থনীতির জন্যই।

ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়; বরং নেটওয়ার্কিং, নতুন আইডিয়া বিনিময় এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের বিশাল খোলা বই। তবে চলতি বছর সেই মেলাগুলোর চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন; বিশেষ করে উদ্যোক্তা মেলার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং এর প্রভাব নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
মেলার গুরুত্ব ও বর্তমান সংকট
এসএমই ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশ নারী। ফাউন্ডেশনটি এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আর্টেমিস লাইফস্টাইলের স্বত্বাধিকারী ফায়জা আহমেদ রাফা বলেন, ‘আমরা যারা অনলাইন বিজনেসের সঙ্গে জড়িত, তারা বছরে বেশ কিছু মেলায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি, যাতে সরাসরি ভোক্তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
এ ছাড়া উদ্যোক্তা মেলাগুলোতে পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ থাকে। অনলাইন উদ্যোগ নিয়ে ভোক্তাদের অনেক সময় বিশ্বাস তৈরি করতে অসুবিধা হয়। মেলা করলে তাঁরা সরাসরি এসে পণ্য যাচাই করতে পারেন। এর ফলে অনেকে নিশ্চিন্তে অনলাইনে অর্ডার করেন।’ রাফা আরও জানান, সাধারণত ঈদ, ফাল্গুন, বৈশাখ বা দুর্গাপূজার মতো উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করা হয়। তবে তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ‘লাস্ট দু-এক বছরে তুলনামূলক মেলার আয়োজন কিছুটা কম।’
কেন কমছে মেলার সংখ্যা
নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি রাফিয়া আক্তার, যিনি ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ করছেন, তিনি এ বছর বড় কোনো মেলার আয়োজন করতে পারেননি। এর কারণ হিসেবে তিনি দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন। রাফিয়া আক্তার বলেন, ‘আসলে দেশের পরিস্থিতির কারণে এ বছর মেলা আয়োজন করা হয়নি। যে কারণে অর্থনৈতিক দিকেও প্রভাব পড়েছে। এ মুহূর্তে ইনভেস্ট করে মেলায় কেউ অংশ নেবেন কি না, সেসব দিক বিবেচনা করে বড় কোনো মেলার আয়োজন করা হয়নি এবার।’
রাফিয়া আক্তার আরও যোগ করেন, ‘গত বছরের আগেও দেখা গেছে, সব সময় ফোন আসত, এখানে মেলা সেখানে মেলা। সেটা কমে গেছে। এটা আমার কাছে কম এসেছে কি না জানি না। মনে হয়, মেলার আয়োজন তুলনামূলক কমে গেছে।’
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন
মাইসারার স্বত্বাধিকারী এলমা খন্দকার এষা। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর আমি মেলা করিনি। তবে চলতি বছর বেশ কিছু মেলা করেছি। সেটা যদি হিসাব করি, তাহলে আমার চোখে মেলা কম মনে হয়নি।’
অর্থনীতিতে নারীর অবদান ও আগামীর প্রত্যাশা অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশের ১ কোটি ১৮ লাখ এসএমইর মধ্যে মাত্র ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ নারী মালিকানাধীন হলেও উদ্যোক্তা হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে দেশের ৩ কোটি ৭ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ নারী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি চমকপ্রদ তথ্য হলো, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে দারিদ্র্যসীমায় নতুন করে কোনো নারী যুক্ত হননি, যেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার পুরুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন।
সৌন্দর্যশিল্প, হস্তশিল্প, বুটিক ও ব্লক প্রিন্টের মতো খাতে নারীদের জয়জয়কার। এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে মেলার মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অপরিহার্য। এতে ঢাকাসহ বড় শহরের ভোক্তাদের সঙ্গে সারা দেশের নারী উদ্যোক্তাদের সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হয়। এতে পণ্য ও ক্রয়বৈচিত্র্য বাড়ে, ভোক্তা এবং সরবরাহকারীদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরি
হয়। সর্বোপরি অর্থনৈতিক গতিশীলতা ঠিক থাকে। কিন্তু এ বছর দৃশ্যমানভাবে মেলার সংখ্যা কিছুটা কমে গেছে। তবু উদ্যোক্তারা অনেক আশাবাদী। এই আশাবাদ দেশের অর্থনীতির জন্যই।

কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতি লিঙ্গবৈষম্য বিশ্বজুড়েই বেড়েছে, যতটা ভাবা হয় তাঁর চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে সহিংসতা ও শিশু পরিচর্যার ক্ষেত্রে আইনি অধিকারে বড় তারতম্য বিদ্যমান। সামগ্রিকভাবে পুরুষদের দুই-তৃতীয়াংশেরও কম অধিকার ভোগ করেন নারীরা। কোনো দেশই নারীর জন্য সমান সুবিধা দেয় না, এমনকি সবচেয়ে ধনি দেশগুলো
০৭ মার্চ ২০২৪
ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের...
১৮ ঘণ্টা আগে
পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র...
১৯ ঘণ্টা আগে
একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেআল আমিন

ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে। কিন্তু নিজের চেষ্টায় তিনি আজ অন্য নারীদের কাছে হয়ে উঠেছেন আদর্শ।
২০১৯ সালে একটি সেলাই মেশিন দিয়ে শুরু করেন নিজের ভুবনে যাত্রা। কিছু গজ কাপড় কিনে পোশাক তৈরির কাজ শুরু করেন প্রথমে। সেলাই মেশিনের আওয়াজের চেয়ে তখন বেশি শোনা যেত মানুষের কটূক্তির আওয়াজ। তাই ছোটবেলার রান্না করার শখ থেকে ছোট্ট পরিসরে শুরু করলেন ক্যাটারিং সার্ভিস। সেখানেও ডেলিভারি, প্রমোশনসহ নানা সমস্যার মুখে পড়লেন তিনি। তবে দমে গেলেন না। কয়েকজন নারীকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করলেন উদ্যোক্তা উন্নয়ন আবাসন নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ। তাঁর নিজের তৈরি পণ্যের পাশাপাশি শহরের নারীদের উৎপাদিত পণ্য সেই ফেসবুক গ্রুপে বিক্রি করতে শুরু করেন তিনি। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহের কাজ শুরু করেন রোজ।
খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে অল্প দিনেই তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন পঞ্চগড় শহরের চাউলহাটির নিউমার্কেট এলাকায় তাঁর ‘প্রত্যাশা’ ব্র্যান্ডের নিজস্ব একটি আউটলেট আছে। সেখানে বুটিকস ও হ্যান্ডপেইন্টের বিভিন্ন পণ্য তিনি পাইকারি বিক্রি করেন। এখন তাঁর অধীনে নিয়মিত কাজ করছেন ১০ জন নারী।
উদ্যোক্তা জীবনের শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে তিনি জেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জনকারী নারী হিসেবে পেয়েছেন এ বছরের শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী পুরস্কার। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তাঁকে অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিত করেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান।
রোজাইয়া রাব্বি রোজের স্বপ্ন, তাঁর পণ্য যেন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তাঁদের জীবনমানের উন্নয়নে তিনি কাজ করে যেতে চান অন্য নারীদের সঙ্গে নিয়ে।

ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে। কিন্তু নিজের চেষ্টায় তিনি আজ অন্য নারীদের কাছে হয়ে উঠেছেন আদর্শ।
২০১৯ সালে একটি সেলাই মেশিন দিয়ে শুরু করেন নিজের ভুবনে যাত্রা। কিছু গজ কাপড় কিনে পোশাক তৈরির কাজ শুরু করেন প্রথমে। সেলাই মেশিনের আওয়াজের চেয়ে তখন বেশি শোনা যেত মানুষের কটূক্তির আওয়াজ। তাই ছোটবেলার রান্না করার শখ থেকে ছোট্ট পরিসরে শুরু করলেন ক্যাটারিং সার্ভিস। সেখানেও ডেলিভারি, প্রমোশনসহ নানা সমস্যার মুখে পড়লেন তিনি। তবে দমে গেলেন না। কয়েকজন নারীকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করলেন উদ্যোক্তা উন্নয়ন আবাসন নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ। তাঁর নিজের তৈরি পণ্যের পাশাপাশি শহরের নারীদের উৎপাদিত পণ্য সেই ফেসবুক গ্রুপে বিক্রি করতে শুরু করেন তিনি। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহের কাজ শুরু করেন রোজ।
খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে অল্প দিনেই তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন পঞ্চগড় শহরের চাউলহাটির নিউমার্কেট এলাকায় তাঁর ‘প্রত্যাশা’ ব্র্যান্ডের নিজস্ব একটি আউটলেট আছে। সেখানে বুটিকস ও হ্যান্ডপেইন্টের বিভিন্ন পণ্য তিনি পাইকারি বিক্রি করেন। এখন তাঁর অধীনে নিয়মিত কাজ করছেন ১০ জন নারী।
উদ্যোক্তা জীবনের শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে তিনি জেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জনকারী নারী হিসেবে পেয়েছেন এ বছরের শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী পুরস্কার। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তাঁকে অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিত করেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান।
রোজাইয়া রাব্বি রোজের স্বপ্ন, তাঁর পণ্য যেন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তাঁদের জীবনমানের উন্নয়নে তিনি কাজ করে যেতে চান অন্য নারীদের সঙ্গে নিয়ে।

কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতি লিঙ্গবৈষম্য বিশ্বজুড়েই বেড়েছে, যতটা ভাবা হয় তাঁর চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে সহিংসতা ও শিশু পরিচর্যার ক্ষেত্রে আইনি অধিকারে বড় তারতম্য বিদ্যমান। সামগ্রিকভাবে পুরুষদের দুই-তৃতীয়াংশেরও কম অধিকার ভোগ করেন নারীরা। কোনো দেশই নারীর জন্য সমান সুবিধা দেয় না, এমনকি সবচেয়ে ধনি দেশগুলো
০৭ মার্চ ২০২৪
ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র...
১৯ ঘণ্টা আগে
একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র নয়—একটি স্যাটেলাইট। সেই কৌতূহলী কিশোরীটি আজকের মনীষা শ্রেষ্ঠা—নেপালের সফল জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতিঃপদার্থবিদ এবং দেশটির প্রথম নারী অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার। তিনি এখন হাই-এনার্জি অ্যাস্ট্রোফিজিকস বিষয়ে পিএইচডি করছেন।
চ্যালেঞ্জের সঙ্গে শুরু যে লড়াই
মনীষার বিজ্ঞানের পথে আসাটা ছিল অনেকটা জেদের বশে। তিনি যে কলেজে পড়তেন, সেখানে পদার্থবিজ্ঞান ক্লাসে ছিল ১২০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মাত্র পাঁচ-ছয়জন মেয়ে। অথচ জীববিজ্ঞানের চিত্রটা ছিল ঠিক উল্টো। বন্ধুকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে উত্তর পান, মেয়েদের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের চেয়ে জীববিজ্ঞান অনেক সহজ। মনীষা বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলেন। তিনি ভাবলেন, তাঁকে পদার্থবিজ্ঞানই পড়তে হবে।
ক্লাসে ঢোকার পর শুরু হলো অন্য এক লড়াই। পুরুষশাসিত সেই পরিবেশে অনেক সময় মেয়েদের বসার জন্য কোনো আসনই দেওয়া হতো না; তাদের দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হতো। এমনকি ল্যাবরেটরিতে কাজ করার সময়ও তরুণেরা কাজ করত, আর মেয়েদের দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখার অনুমতি ছিল। মাস্টার্স পর্যায়ে এসে এই সংকট আরও বাড়ে। পড়াশোনার পদ্ধতি ছিল শুধু নোট নেওয়া আর মুখস্থ করা। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে মনীষা ডিগ্রি শেষ না করেই পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
নেপাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির যাত্রা
২০১৩ সালে মনীষা নেপাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটিতে (এনএএসও) প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে যোগ দেন। তখন সংগঠনটির কোনো অফিস ছিল না, ছিল খুব সীমিত সুবিধা। মনীষা ও তাঁর দল মিলে বছরের পর বছর পরিশ্রম করে সেটিকে আন্তর্জাতিক উচ্চতায় নিয়ে যান।
সম্প্রতি এই সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের সদস্যপদ পেয়েছে, যা নেপালের ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম।
আজ এনএএসও শিক্ষা, গবেষণা ও প্রচার—তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল চিন্তার উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। মনীষার দল সারা দেশে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী এবং শিক্ষার্থীদের হাতে টেলিস্কোপ ও বই তুলে দিচ্ছে। যাতে তারাও বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে পারে।
অলিম্পিয়াড ও বৈশ্বিক সাফল্য
মনীষা শ্রেষ্ঠা নেপালের ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি নেপালি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করেন। তাঁর হাত ধরে অনেক শিক্ষার্থী ফ্রান্স, আমেরিকা ও সুইজারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক মঞ্চে লড়াই করেছেন। এমনকি এই অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া তিন শিক্ষার্থী বর্তমানে বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। ২০২০ সালে তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে স্টারস শাইন ফর এভরিওয়ান সংস্থা তাঁকে বিশেষ সম্মাননা দেয়।
ডার্ক স্কাই বা অন্ধকার আকাশ রক্ষা
মনীষা শুধু বিজ্ঞানী নন, তিনি একজন দক্ষ আলোকচিত্রীও। নেপালের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় তাঁর তোলা মহাকাশের ছবি নিয়মিত প্রকাশিত হয়। তিনি বর্তমান সময়ের বড় একটি সমস্যা আলোকদূষণ নিয়ে কাজ করছেন।
২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ মানুষ শহর ও অবকাঠামোর কৃত্রিম আলোর কারণে রাতের আকাশের আসল সৌন্দর্য দেখতে পায় না। মনীষা তাদের সতর্ক করে জানান, আগামী ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবী থেকে নক্ষত্ররাজি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। তাই নেপালে ‘অ্যাস্ট্রো-ট্যুরিজম’ কিংবা জ্যোতি-পর্যটন বিকাশের মাধ্যমে আকাশ রক্ষার স্বপ্ন দেখেন মনীষা শ্রেষ্ঠা।
ভবিষ্যতের স্বপ্ন
মনীষার স্বপ্ন নেপালে একটি নিজস্ব মানমন্দির তৈরি করা, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তিনি মনে করেন, নেপালের কাছে দামি যন্ত্রপাতি না থাকলেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যাবরেটরি আছে। সেটা হলো, মাথার ওপরের অন্ধকার আকাশ। তিনি বিশ্বাস করেন, আকাশ আমাদের সবাইকে এক সুতোয় বাঁধে। তিনি চান তাঁর জীবনের গল্প শুনে অন্য মেয়েরাও যেন বিজ্ঞানের কঠিন পথে পা বাড়াতে পিছপা না হয়।
সূত্র: এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক, দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট

পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র নয়—একটি স্যাটেলাইট। সেই কৌতূহলী কিশোরীটি আজকের মনীষা শ্রেষ্ঠা—নেপালের সফল জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতিঃপদার্থবিদ এবং দেশটির প্রথম নারী অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার। তিনি এখন হাই-এনার্জি অ্যাস্ট্রোফিজিকস বিষয়ে পিএইচডি করছেন।
চ্যালেঞ্জের সঙ্গে শুরু যে লড়াই
মনীষার বিজ্ঞানের পথে আসাটা ছিল অনেকটা জেদের বশে। তিনি যে কলেজে পড়তেন, সেখানে পদার্থবিজ্ঞান ক্লাসে ছিল ১২০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মাত্র পাঁচ-ছয়জন মেয়ে। অথচ জীববিজ্ঞানের চিত্রটা ছিল ঠিক উল্টো। বন্ধুকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে উত্তর পান, মেয়েদের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের চেয়ে জীববিজ্ঞান অনেক সহজ। মনীষা বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলেন। তিনি ভাবলেন, তাঁকে পদার্থবিজ্ঞানই পড়তে হবে।
ক্লাসে ঢোকার পর শুরু হলো অন্য এক লড়াই। পুরুষশাসিত সেই পরিবেশে অনেক সময় মেয়েদের বসার জন্য কোনো আসনই দেওয়া হতো না; তাদের দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হতো। এমনকি ল্যাবরেটরিতে কাজ করার সময়ও তরুণেরা কাজ করত, আর মেয়েদের দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখার অনুমতি ছিল। মাস্টার্স পর্যায়ে এসে এই সংকট আরও বাড়ে। পড়াশোনার পদ্ধতি ছিল শুধু নোট নেওয়া আর মুখস্থ করা। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে মনীষা ডিগ্রি শেষ না করেই পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
নেপাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির যাত্রা
২০১৩ সালে মনীষা নেপাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটিতে (এনএএসও) প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে যোগ দেন। তখন সংগঠনটির কোনো অফিস ছিল না, ছিল খুব সীমিত সুবিধা। মনীষা ও তাঁর দল মিলে বছরের পর বছর পরিশ্রম করে সেটিকে আন্তর্জাতিক উচ্চতায় নিয়ে যান।
সম্প্রতি এই সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের সদস্যপদ পেয়েছে, যা নেপালের ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম।
আজ এনএএসও শিক্ষা, গবেষণা ও প্রচার—তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল চিন্তার উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। মনীষার দল সারা দেশে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী এবং শিক্ষার্থীদের হাতে টেলিস্কোপ ও বই তুলে দিচ্ছে। যাতে তারাও বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে পারে।
অলিম্পিয়াড ও বৈশ্বিক সাফল্য
মনীষা শ্রেষ্ঠা নেপালের ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি নেপালি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করেন। তাঁর হাত ধরে অনেক শিক্ষার্থী ফ্রান্স, আমেরিকা ও সুইজারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক মঞ্চে লড়াই করেছেন। এমনকি এই অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া তিন শিক্ষার্থী বর্তমানে বিশ্ববিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। ২০২০ সালে তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে স্টারস শাইন ফর এভরিওয়ান সংস্থা তাঁকে বিশেষ সম্মাননা দেয়।
ডার্ক স্কাই বা অন্ধকার আকাশ রক্ষা
মনীষা শুধু বিজ্ঞানী নন, তিনি একজন দক্ষ আলোকচিত্রীও। নেপালের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় তাঁর তোলা মহাকাশের ছবি নিয়মিত প্রকাশিত হয়। তিনি বর্তমান সময়ের বড় একটি সমস্যা আলোকদূষণ নিয়ে কাজ করছেন।
২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ মানুষ শহর ও অবকাঠামোর কৃত্রিম আলোর কারণে রাতের আকাশের আসল সৌন্দর্য দেখতে পায় না। মনীষা তাদের সতর্ক করে জানান, আগামী ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবী থেকে নক্ষত্ররাজি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। তাই নেপালে ‘অ্যাস্ট্রো-ট্যুরিজম’ কিংবা জ্যোতি-পর্যটন বিকাশের মাধ্যমে আকাশ রক্ষার স্বপ্ন দেখেন মনীষা শ্রেষ্ঠা।
ভবিষ্যতের স্বপ্ন
মনীষার স্বপ্ন নেপালে একটি নিজস্ব মানমন্দির তৈরি করা, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তিনি মনে করেন, নেপালের কাছে দামি যন্ত্রপাতি না থাকলেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যাবরেটরি আছে। সেটা হলো, মাথার ওপরের অন্ধকার আকাশ। তিনি বিশ্বাস করেন, আকাশ আমাদের সবাইকে এক সুতোয় বাঁধে। তিনি চান তাঁর জীবনের গল্প শুনে অন্য মেয়েরাও যেন বিজ্ঞানের কঠিন পথে পা বাড়াতে পিছপা না হয়।
সূত্র: এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক, দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট

কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতি লিঙ্গবৈষম্য বিশ্বজুড়েই বেড়েছে, যতটা ভাবা হয় তাঁর চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে সহিংসতা ও শিশু পরিচর্যার ক্ষেত্রে আইনি অধিকারে বড় তারতম্য বিদ্যমান। সামগ্রিকভাবে পুরুষদের দুই-তৃতীয়াংশেরও কম অধিকার ভোগ করেন নারীরা। কোনো দেশই নারীর জন্য সমান সুবিধা দেয় না, এমনকি সবচেয়ে ধনি দেশগুলো
০৭ মার্চ ২০২৪
ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের...
১৮ ঘণ্টা আগে
একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৮৪৮ সালের ১৯ ও ২০ জুলাই নিউইয়র্কের সেনেকা ফলসে অনুষ্ঠিত সে সম্মেলনটি ছিল আধুনিক নারী অধিকার আন্দোলনের বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ। সেটিই ছিল আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রকাশ্য সম্মেলন, যা আয়োজিত হয়েছিল শুধু নারীদের সামাজিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিয়ে আলোচনার জন্য। শুধু এর আয়োজক হিসেবে নয়, উনিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে একাধিক জাতীয় নারী অধিকার সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মার্থা। ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান ইকুয়াল রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। সাম্যবাদে বিশ্বাসী একটি পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন মার্থা। তিনি কাজ করেছেন দাসপ্রথার বিরুদ্ধে। নিউইয়র্কের অবার্নে তাঁর বাড়িটি ছিল আন্ডারগ্রাউন্ড রেল রোডের একটি অন্যতম প্রধান স্টেশনের পাশেই। তিনি পালিয়ে আসা দাসদের আশ্রয় দিতেন এবং তাদের স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতেন।
সাত সন্তানের জননী মার্থা পারিবারিক দায়িত্বের পাশাপাশি রাজনৈতিক লড়াইয়ে কখনো পিছপা হননি। তাঁর জন্ম ১৮০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর। ১৮৭৫ সালের ৪ জানুয়ারি মৃত্যুর পর তাঁকে অবার্নের ফোর্ট হিল সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়।

একজন নারীর জীবনী ও চিঠিপত্র ঐতিহাসিকদের কাছে উনিশ শতকের নারী আন্দোলনের অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নাম মার্থা কফিন রাইট। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নারী অধিকারকর্মী, দাসপ্রথাবিরোধী ও সমাজসংস্কারক। ১৮৪৮ সালের ঐতিহাসিক সেনেকা ফলস কনভেনশনের পাঁচজন আয়োজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
১৮৪৮ সালের ১৯ ও ২০ জুলাই নিউইয়র্কের সেনেকা ফলসে অনুষ্ঠিত সে সম্মেলনটি ছিল আধুনিক নারী অধিকার আন্দোলনের বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ। সেটিই ছিল আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রকাশ্য সম্মেলন, যা আয়োজিত হয়েছিল শুধু নারীদের সামাজিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিয়ে আলোচনার জন্য। শুধু এর আয়োজক হিসেবে নয়, উনিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে একাধিক জাতীয় নারী অধিকার সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মার্থা। ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান ইকুয়াল রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। সাম্যবাদে বিশ্বাসী একটি পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন মার্থা। তিনি কাজ করেছেন দাসপ্রথার বিরুদ্ধে। নিউইয়র্কের অবার্নে তাঁর বাড়িটি ছিল আন্ডারগ্রাউন্ড রেল রোডের একটি অন্যতম প্রধান স্টেশনের পাশেই। তিনি পালিয়ে আসা দাসদের আশ্রয় দিতেন এবং তাদের স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতেন।
সাত সন্তানের জননী মার্থা পারিবারিক দায়িত্বের পাশাপাশি রাজনৈতিক লড়াইয়ে কখনো পিছপা হননি। তাঁর জন্ম ১৮০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর। ১৮৭৫ সালের ৪ জানুয়ারি মৃত্যুর পর তাঁকে অবার্নের ফোর্ট হিল সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়।

কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতি লিঙ্গবৈষম্য বিশ্বজুড়েই বেড়েছে, যতটা ভাবা হয় তাঁর চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে সহিংসতা ও শিশু পরিচর্যার ক্ষেত্রে আইনি অধিকারে বড় তারতম্য বিদ্যমান। সামগ্রিকভাবে পুরুষদের দুই-তৃতীয়াংশেরও কম অধিকার ভোগ করেন নারীরা। কোনো দেশই নারীর জন্য সমান সুবিধা দেয় না, এমনকি সবচেয়ে ধনি দেশগুলো
০৭ মার্চ ২০২৪
ঢাকা শহরে শুধু নয়, পুরো দেশে নারীরা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সব নারীকে ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে দেখছি। এই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বছরজুড়ে অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের মেলা, সেটাও শুধু ঢাকায় নয়; বরং পুরো দেশে। সেই মেলাগুলো শুধু পণ্য বিক্রির জায়গা নয়...
১৭ ঘণ্টা আগে
ব্যর্থতা কখনো কখনো সাফল্যের মোড়কে ফিরে আসে। রোজাইয়া রাব্বি রোজের গল্পটা তেমনই। কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৭ সালে ভর্তি হন গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তবে বাবার অসুস্থতার কারণে বেশি দিন পড়াশোনা করতে পারেননি। লেখাপড়া ছেড়ে তাঁকে বসতে হয় বিয়ের...
১৮ ঘণ্টা আগে
পোখারা শহরের এক বাড়ির ছাদ। রাতের নিস্তব্ধতায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে এক কিশোরী। সঙ্গে আছেন তার মা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিশোরী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, ওই দুটো নক্ষত্র কি এখনই ধাক্কা খাবে?’ মা হেসে বুঝিয়ে দেন, ওরা একে অপরের থেকে কত দূরে কিংবা ওই যে ছুটন্ত বিন্দুটি দেখছ, ওটা আসলে নক্ষত্র...
১৯ ঘণ্টা আগে