ইশতিয়াক হাসান

পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ ও শুকনো জায়গাগুলোর একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি। বছরে দুই ইঞ্চিরও কম বৃষ্টিপাত হয় এখানকার ঊষর জমিতে। বুঝতেই পারছেন জায়গাটায় মানুষের পক্ষে বাস করা কঠিন। তার পরও ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে কাজ করেন এ রকম কিছু মানুষ ও পর্যটকদের জন্য যে কয়েকটি হোটেল আছে, সেগুলোর কর্মচারীরা থাকেন এখানে। এ ছাড়া আসেন পর্যটকেরা। আর এখানে দেখা মেলে গরমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে এমন কিছু বন্যপ্রাণীর।
ডেথ ভ্যালির সবচেয়ে বড় আকর্ষণগুলোর একটি জীবিত কোনো প্রাণী নয়, বরং পাথর। এগুলোর দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে রেইসট্র্যাক প্লায়ায়। ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের ফার্নেস ক্রিক ভিজিটর সেন্টার থেকে মোটামুটি ৮০ মাইল পথ পেরোতে হবে গাড়িতে চেপে। তবেই পৌঁছে যাবেন মোটামুটি মাইল তিনেক লম্বা রেইসট্র্যাক প্লায়ায়। আশ্চর্যজনক হলেও এখানকার পাথরগুলো জায়গা বদলায়, মানে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরে যায়।
আবার এগুলো যে একেবারে ছোট পাথর, তা-ও নয়। কখনো কখনো এ ধরনের পাথরের ওজন ২০০ কেজির বেশিও হয়। এগুলো যে খুব আস্তে-ধীরে জায়গা বদলায় তা নয়। এ ধরনের কোনো কোনো পাথর এক মিনিটে ১৫ ফুট পর্যন্ত চলে যায়। এভাবে ১০০০ ফুট পর্যন্ত দূরে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে সমস্যা হলো, কেউ এদের নড়তে বা চলাচল করতে দেখার বিষয়টি একেবারেই বিরল। তাই বিষয়টা নিয়ে রহস্য ডালপালা মেলতে থাকে।
রেইসট্র্যাক প্লায়ায় এমন কয়েক ডজন পাথরের দেখা পেতে পারেন। একেবারে কম্পিউটারের মাউসের আকারের পাথর থেকে মাইক্রোওয়েভ বা তারও বড় আকারের পাথরও পাবেন। প্রতিটিই বালুর ওপর দেখবেন ট্রেইল রেখে গেছে। কোনোটা সোজা, কেবল কয়েক ফুট লম্বা। কোনোটা আবার একটা ফুটবল মাঠের সমান দূরত্ব পেরিয়েছে, সেটা সোজা না গিয়ে হয়তো হালকা বাঁক কিংবা কড়া মোচর নিয়েছে।
এই পাথরগুলোর এভাবে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার কারণে এদের নাম হয়ে গেছে সেইলিং স্টোন। আজ থেকে ১০০ বছরেরও বেশি আগে প্রথম এসব পাথরের ব্যাপারে জানতে পারে মানুষ। সালটা ১৯১৫, জোসেফ ক্রুক নামের একজন খনিজ সন্ধানী জাতীয় উদ্যানের রেইসট্র্যাক পায়া এলাকায় যান খনিজ অনুসন্ধানে। এ সময়ই যা দেখলেন তাতে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যান।
সেইলিং বা ঘোরাফেরা করে এমন পাথরের কথা বলেন ফিরে এসে তিনি। এগুলোর কোনো কোনোটা দুই ফুট চওড়া। এগুলো নিজে থেকেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরে গেছে এমনটাই মনে হয় তাঁর। গল্প ছড়িয়ে পড়লে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভূতাত্ত্বিকেরা ভিড় জমাতে থাকেন এমন ঘুরে বেড়ানো পাথরদের একনজর দেখতে। মরুভূমির মধ্যে এভাবে চলাফেরা করে বেড়ানোয় এসব পাথরের নাম দেন তাঁরা সেইলিং স্টোন।
মজার ঘটনা, রহস্যজনকভাবে এই পাথরগুলো সরার সময় বালুতে চিহ্ন রেখে যায়। ওপর থেকে দেখলে এদের এই চলায় আরও কিছু আশ্চর্য বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। মরুভূমির মধ্যে এলোমেলো ঘুরে বেড়ানোর বদলে এগুলো যেন একটি আরেকটির পদাঙ্ক অনুসরণ করে। কখনো কখনো একই দিকে বাঁক নেয় এমনকি বালুর মধ্যে একটির সমান্তরালে আরেকটি যায়।
এই পাথরগুলোর চলার গতিও চমক জাগানো। দিনে কয়েক ইঞ্চি এগোনোর বদলে মিনিটে ১৫-১৬ ফুট গতিতে এগিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে এদের বেলায়। বলা চলে, যুগের পর যুগ ধরে এখানকার পাথরের অদ্ভুত এই আচরণ ভূতাত্ত্বিকদের বিহ্বল করে রাখে।
কোনো রহস্যের সমাধান না হলে নানা ব্যাখ্যাই মেলে। চুম্বকের প্রভাবকে শুরুতে এর জন্য দায়ী করেন অনেকে। তবে এখানকার পাথরের মধ্যে চৌম্বক পদার্থের অনুপস্থিতি তত্ত্বটাকে বেশি দূর এগোতে দেয়নি। অতি উৎসাহী কেউ কেউ দাবি করলেন, ভিনগ্রহের প্রাণীরাই এসব পাথরের জায়গা বদলের পেছনে আছে। কোনো কোনো গবেষক ঘূর্ণি বাতাস, পুরু বরফের চাঁই, ঝোড়ো বাতাসের মতো বিষয়কে দায়ী করলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তত্ত্বগুলো বিজ্ঞানের আলোকে সত্যি প্রমাণ করা গেল না।
অবশ্য একপর্যায়ে এই পাথরগুলোর আশ্চর্য আচরণের যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা মেলে। একাধিক গবেষকের থেকেই এটা এসেছে। যেমন পেলিওবায়োলজিস্ট রিচার্ড নরিস ও তাঁর চাচাতো ভাই জিম নরিস ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে প্লায়া এলাকা ভ্রমণ করে একটা ছোট পুকুরের সন্ধান পান। এর পরে তাঁরা পাথর নড়তে দেখেন। তাঁরা আবিষ্কার করেন, পাথর নড়ার পেছনে কয়েকটি বিষয় ভূমিকা রাখে। বৃষ্টির কারণে গর্তের মধ্যে পানি জমে ছোট পুকুরের জন্ম হয়। রাতে তাপমাত্রা কমায় এই পানি জমে বরফে পরিণত হয়। সূর্যের তাপে এই বরফ পরে গলতে শুরু করে। তখন পাতলা বরফের চাঙর বাতাসে বালুর ওপর দিয়ে চলতে শুরু করে। এগুলোই সামনে থাকা পাথরকে ধাক্কা দেয়। এতে এগুলো মিনিটে দুই থেকে ছয় মিটার পর্যন্ত জায়গা বদলায়। এ সময় পাথর সরার ফলে নরম মাটিতে চিহ্ন রয়ে যায়।
২০১৪ সালে টাইম–ল্যাপস আলোকচিত্রের মাধ্যমেও বিজ্ঞানীরা মোটামুটি একই ফলাফল পান। এতেও উঠে আসে বরফ, পানি আর বাতাসের কারণে এ ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালের শীতে যেমন বৃষ্টি ছোট্ট এক পুকুরের জন্ম দেয়। রাতে এটি জমে যায়। পরের দিন দুপুরের রোদে বরফটা গলতে শুরু করে পাতলা এক চাঙরে পরিণত হয়। হালকা বাতাসে এটা ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে পাথরদের ঠেলে সামনের দিকে নিতে থাকে।
এ ধরনের ঘটনা সাধারণত শীতে বৃষ্টির পর ঘটে। ডেথ ভ্যালি যেহেতু খুব শুকনো এক জায়গা, তাই এ ধরনের ঘটনা দুষ্প্রাপ্য। দেখা তো আরও কঠিন। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে যেতে পারেন। বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে কি না, তাও জেনে যেতে হবে। তবে একটি পাথরকে নড়তে দেখার সম্ভাবনা খুব কম। তবে শীত মৌসুমে গেলে নড়ার ট্রেইল বা চিহ্ন দেখতে পাবেন তাতে সন্দেহ নেই।
ডেথ ভ্যালির পাথর রহস্যের মোটামুটি একটা সমাধানে পৌঁছা গেলেও পর্যটক ও বিজ্ঞানীদের জন্য এখনো এটা এক বড় বিস্ময়। তা ছাড়া ডেথ ভ্যালি জায়গাটার ভূপ্রকৃতি একেবারেই আলাদা। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রচণ্ড উষ্ণ জায়গাটিতে একটিবার ভ্রমণ করতেই পারেন, সেই সঙ্গে পাথরের নড়ার বিষয়ে নিজের কোনো তত্ত্ব দাঁড় করানোর চেষ্টাও করতে পারেন।
সূত্র: ন্যাশনাল পার্ক. অর্গ, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন, থ্রিলিস্ট ডট কম, এল দেট ইন্টারেস্টিং, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন, হিন্দুস্তান টাইমস

পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ ও শুকনো জায়গাগুলোর একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি। বছরে দুই ইঞ্চিরও কম বৃষ্টিপাত হয় এখানকার ঊষর জমিতে। বুঝতেই পারছেন জায়গাটায় মানুষের পক্ষে বাস করা কঠিন। তার পরও ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে কাজ করেন এ রকম কিছু মানুষ ও পর্যটকদের জন্য যে কয়েকটি হোটেল আছে, সেগুলোর কর্মচারীরা থাকেন এখানে। এ ছাড়া আসেন পর্যটকেরা। আর এখানে দেখা মেলে গরমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে এমন কিছু বন্যপ্রাণীর।
ডেথ ভ্যালির সবচেয়ে বড় আকর্ষণগুলোর একটি জীবিত কোনো প্রাণী নয়, বরং পাথর। এগুলোর দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে রেইসট্র্যাক প্লায়ায়। ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের ফার্নেস ক্রিক ভিজিটর সেন্টার থেকে মোটামুটি ৮০ মাইল পথ পেরোতে হবে গাড়িতে চেপে। তবেই পৌঁছে যাবেন মোটামুটি মাইল তিনেক লম্বা রেইসট্র্যাক প্লায়ায়। আশ্চর্যজনক হলেও এখানকার পাথরগুলো জায়গা বদলায়, মানে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরে যায়।
আবার এগুলো যে একেবারে ছোট পাথর, তা-ও নয়। কখনো কখনো এ ধরনের পাথরের ওজন ২০০ কেজির বেশিও হয়। এগুলো যে খুব আস্তে-ধীরে জায়গা বদলায় তা নয়। এ ধরনের কোনো কোনো পাথর এক মিনিটে ১৫ ফুট পর্যন্ত চলে যায়। এভাবে ১০০০ ফুট পর্যন্ত দূরে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে সমস্যা হলো, কেউ এদের নড়তে বা চলাচল করতে দেখার বিষয়টি একেবারেই বিরল। তাই বিষয়টা নিয়ে রহস্য ডালপালা মেলতে থাকে।
রেইসট্র্যাক প্লায়ায় এমন কয়েক ডজন পাথরের দেখা পেতে পারেন। একেবারে কম্পিউটারের মাউসের আকারের পাথর থেকে মাইক্রোওয়েভ বা তারও বড় আকারের পাথরও পাবেন। প্রতিটিই বালুর ওপর দেখবেন ট্রেইল রেখে গেছে। কোনোটা সোজা, কেবল কয়েক ফুট লম্বা। কোনোটা আবার একটা ফুটবল মাঠের সমান দূরত্ব পেরিয়েছে, সেটা সোজা না গিয়ে হয়তো হালকা বাঁক কিংবা কড়া মোচর নিয়েছে।
এই পাথরগুলোর এভাবে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার কারণে এদের নাম হয়ে গেছে সেইলিং স্টোন। আজ থেকে ১০০ বছরেরও বেশি আগে প্রথম এসব পাথরের ব্যাপারে জানতে পারে মানুষ। সালটা ১৯১৫, জোসেফ ক্রুক নামের একজন খনিজ সন্ধানী জাতীয় উদ্যানের রেইসট্র্যাক পায়া এলাকায় যান খনিজ অনুসন্ধানে। এ সময়ই যা দেখলেন তাতে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যান।
সেইলিং বা ঘোরাফেরা করে এমন পাথরের কথা বলেন ফিরে এসে তিনি। এগুলোর কোনো কোনোটা দুই ফুট চওড়া। এগুলো নিজে থেকেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরে গেছে এমনটাই মনে হয় তাঁর। গল্প ছড়িয়ে পড়লে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভূতাত্ত্বিকেরা ভিড় জমাতে থাকেন এমন ঘুরে বেড়ানো পাথরদের একনজর দেখতে। মরুভূমির মধ্যে এভাবে চলাফেরা করে বেড়ানোয় এসব পাথরের নাম দেন তাঁরা সেইলিং স্টোন।
মজার ঘটনা, রহস্যজনকভাবে এই পাথরগুলো সরার সময় বালুতে চিহ্ন রেখে যায়। ওপর থেকে দেখলে এদের এই চলায় আরও কিছু আশ্চর্য বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। মরুভূমির মধ্যে এলোমেলো ঘুরে বেড়ানোর বদলে এগুলো যেন একটি আরেকটির পদাঙ্ক অনুসরণ করে। কখনো কখনো একই দিকে বাঁক নেয় এমনকি বালুর মধ্যে একটির সমান্তরালে আরেকটি যায়।
এই পাথরগুলোর চলার গতিও চমক জাগানো। দিনে কয়েক ইঞ্চি এগোনোর বদলে মিনিটে ১৫-১৬ ফুট গতিতে এগিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে এদের বেলায়। বলা চলে, যুগের পর যুগ ধরে এখানকার পাথরের অদ্ভুত এই আচরণ ভূতাত্ত্বিকদের বিহ্বল করে রাখে।
কোনো রহস্যের সমাধান না হলে নানা ব্যাখ্যাই মেলে। চুম্বকের প্রভাবকে শুরুতে এর জন্য দায়ী করেন অনেকে। তবে এখানকার পাথরের মধ্যে চৌম্বক পদার্থের অনুপস্থিতি তত্ত্বটাকে বেশি দূর এগোতে দেয়নি। অতি উৎসাহী কেউ কেউ দাবি করলেন, ভিনগ্রহের প্রাণীরাই এসব পাথরের জায়গা বদলের পেছনে আছে। কোনো কোনো গবেষক ঘূর্ণি বাতাস, পুরু বরফের চাঁই, ঝোড়ো বাতাসের মতো বিষয়কে দায়ী করলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তত্ত্বগুলো বিজ্ঞানের আলোকে সত্যি প্রমাণ করা গেল না।
অবশ্য একপর্যায়ে এই পাথরগুলোর আশ্চর্য আচরণের যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা মেলে। একাধিক গবেষকের থেকেই এটা এসেছে। যেমন পেলিওবায়োলজিস্ট রিচার্ড নরিস ও তাঁর চাচাতো ভাই জিম নরিস ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে প্লায়া এলাকা ভ্রমণ করে একটা ছোট পুকুরের সন্ধান পান। এর পরে তাঁরা পাথর নড়তে দেখেন। তাঁরা আবিষ্কার করেন, পাথর নড়ার পেছনে কয়েকটি বিষয় ভূমিকা রাখে। বৃষ্টির কারণে গর্তের মধ্যে পানি জমে ছোট পুকুরের জন্ম হয়। রাতে তাপমাত্রা কমায় এই পানি জমে বরফে পরিণত হয়। সূর্যের তাপে এই বরফ পরে গলতে শুরু করে। তখন পাতলা বরফের চাঙর বাতাসে বালুর ওপর দিয়ে চলতে শুরু করে। এগুলোই সামনে থাকা পাথরকে ধাক্কা দেয়। এতে এগুলো মিনিটে দুই থেকে ছয় মিটার পর্যন্ত জায়গা বদলায়। এ সময় পাথর সরার ফলে নরম মাটিতে চিহ্ন রয়ে যায়।
২০১৪ সালে টাইম–ল্যাপস আলোকচিত্রের মাধ্যমেও বিজ্ঞানীরা মোটামুটি একই ফলাফল পান। এতেও উঠে আসে বরফ, পানি আর বাতাসের কারণে এ ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালের শীতে যেমন বৃষ্টি ছোট্ট এক পুকুরের জন্ম দেয়। রাতে এটি জমে যায়। পরের দিন দুপুরের রোদে বরফটা গলতে শুরু করে পাতলা এক চাঙরে পরিণত হয়। হালকা বাতাসে এটা ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে পাথরদের ঠেলে সামনের দিকে নিতে থাকে।
এ ধরনের ঘটনা সাধারণত শীতে বৃষ্টির পর ঘটে। ডেথ ভ্যালি যেহেতু খুব শুকনো এক জায়গা, তাই এ ধরনের ঘটনা দুষ্প্রাপ্য। দেখা তো আরও কঠিন। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে যেতে পারেন। বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে কি না, তাও জেনে যেতে হবে। তবে একটি পাথরকে নড়তে দেখার সম্ভাবনা খুব কম। তবে শীত মৌসুমে গেলে নড়ার ট্রেইল বা চিহ্ন দেখতে পাবেন তাতে সন্দেহ নেই।
ডেথ ভ্যালির পাথর রহস্যের মোটামুটি একটা সমাধানে পৌঁছা গেলেও পর্যটক ও বিজ্ঞানীদের জন্য এখনো এটা এক বড় বিস্ময়। তা ছাড়া ডেথ ভ্যালি জায়গাটার ভূপ্রকৃতি একেবারেই আলাদা। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রচণ্ড উষ্ণ জায়গাটিতে একটিবার ভ্রমণ করতেই পারেন, সেই সঙ্গে পাথরের নড়ার বিষয়ে নিজের কোনো তত্ত্ব দাঁড় করানোর চেষ্টাও করতে পারেন।
সূত্র: ন্যাশনাল পার্ক. অর্গ, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন, থ্রিলিস্ট ডট কম, এল দেট ইন্টারেস্টিং, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন, হিন্দুস্তান টাইমস

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
৫ ঘণ্টা আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
২ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো! ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় এ সময় চোখে পড়ল, যে কোম্পানি থেকে এই ই-মেইল এসেছে, সেখানে আপনি চাকরিই করেন না, কখনো করেনওনি! ভাবুন তো কেমন লাগার কথা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে এক নারীর সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সাইমন ইনগারি নামের একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।
সাইমন ইনগারি তাঁর টুইটে জানান, তাঁর স্ত্রী এমন একটি কোম্পানি থেকে ছাঁটাইয়ের ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে তিনি কখনো কাজই করেননি। ইমেইল পাওয়ার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ইনগারি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল, সে কি কোনো ডেডলাইন মিস করেছিল, নাকি তাঁর বড় কোনো ভুল হয়েছিল। পরে চেক করে দেখে ই-মেইল প্রেরক কোম্পানিটি তাঁর কর্মস্থলই নয়।’
ইনগারি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্ত্রী একটি টার্মিনেশন ইমেইল পেয়েছে। ইমেইলটি দেখেই তাঁর বুক ধক করে ওঠে। এক সেকেন্ডের জন্য সে থমকে যায়। কোনো ডেডলাইন মিস করেছে? কিছু ভুল বলেছে? শেষে জানা গেল, যে কোম্পানিতে সে কখনো চাকরিই করেনি, সেখান থেকেই তাঁকে “বরখাস্ত” করা হয়েছে।’
এই ঘটনার মাধ্যমে ওই কোম্পানির এইচআর বিভাগের অসতর্কতার বিষয়টি তুলে ধরে ইনগারি অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে ইমেইল পাঠানোর সময় যেন প্রাপকের আইডি আরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় এইচআর, দয়া করে পরেরবার ইমেইল আইডিটা একটু ভালো করে দেখবেন। এমন ভুলে তো কারও সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’
এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এমন ভুলের সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতির কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরসের চোখে দেখলেও, অন্যরা এটিকে আধুনিক করপোরেট দুনিয়ায় বাড়তে থাকা অসতর্কতা ও চাকরির অনিশ্চয়তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাঁর উচিত একটি অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর জবাব দেওয়া। এতে করে অন্তত তাঁরা বুঝতে পারার আগেই যে ভুল ঠিকানায় ইমেইল পাঠানো হয়েছে, তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনো ছোটখাটো ভুল নয়। একটি ভুল ইমেইল কারও পুরো দিন, সপ্তাহ—এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এইচআর সারাদিন সহমর্মিতার কথা বলে, অথচ স্প্যামের মতো করে বরখাস্তের ইমেইল পাঠায়।’
আরেকজন বলেন, ‘মানবিক কোনো মান যাচাই ছাড়াই যখন কোম্পানিগুলো সব অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় করে ফেলে, তখনই এমনটা ঘটে। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিচালনা এবং ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। ভাগ্য ভালো যে এটি কেবল একটি ভুল সতর্কবার্তা ছিল।’

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো! ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় এ সময় চোখে পড়ল, যে কোম্পানি থেকে এই ই-মেইল এসেছে, সেখানে আপনি চাকরিই করেন না, কখনো করেনওনি! ভাবুন তো কেমন লাগার কথা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে এক নারীর সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সাইমন ইনগারি নামের একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।
সাইমন ইনগারি তাঁর টুইটে জানান, তাঁর স্ত্রী এমন একটি কোম্পানি থেকে ছাঁটাইয়ের ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে তিনি কখনো কাজই করেননি। ইমেইল পাওয়ার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ইনগারি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল, সে কি কোনো ডেডলাইন মিস করেছিল, নাকি তাঁর বড় কোনো ভুল হয়েছিল। পরে চেক করে দেখে ই-মেইল প্রেরক কোম্পানিটি তাঁর কর্মস্থলই নয়।’
ইনগারি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্ত্রী একটি টার্মিনেশন ইমেইল পেয়েছে। ইমেইলটি দেখেই তাঁর বুক ধক করে ওঠে। এক সেকেন্ডের জন্য সে থমকে যায়। কোনো ডেডলাইন মিস করেছে? কিছু ভুল বলেছে? শেষে জানা গেল, যে কোম্পানিতে সে কখনো চাকরিই করেনি, সেখান থেকেই তাঁকে “বরখাস্ত” করা হয়েছে।’
এই ঘটনার মাধ্যমে ওই কোম্পানির এইচআর বিভাগের অসতর্কতার বিষয়টি তুলে ধরে ইনগারি অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে ইমেইল পাঠানোর সময় যেন প্রাপকের আইডি আরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় এইচআর, দয়া করে পরেরবার ইমেইল আইডিটা একটু ভালো করে দেখবেন। এমন ভুলে তো কারও সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’
এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এমন ভুলের সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতির কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরসের চোখে দেখলেও, অন্যরা এটিকে আধুনিক করপোরেট দুনিয়ায় বাড়তে থাকা অসতর্কতা ও চাকরির অনিশ্চয়তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাঁর উচিত একটি অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর জবাব দেওয়া। এতে করে অন্তত তাঁরা বুঝতে পারার আগেই যে ভুল ঠিকানায় ইমেইল পাঠানো হয়েছে, তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনো ছোটখাটো ভুল নয়। একটি ভুল ইমেইল কারও পুরো দিন, সপ্তাহ—এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এইচআর সারাদিন সহমর্মিতার কথা বলে, অথচ স্প্যামের মতো করে বরখাস্তের ইমেইল পাঠায়।’
আরেকজন বলেন, ‘মানবিক কোনো মান যাচাই ছাড়াই যখন কোম্পানিগুলো সব অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় করে ফেলে, তখনই এমনটা ঘটে। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিচালনা এবং ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। ভাগ্য ভালো যে এটি কেবল একটি ভুল সতর্কবার্তা ছিল।’

পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ ও শুকনো জায়গাগুলোর একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি। শুনে অবাক হবেন, এখানকার যে বিষয়গুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে তার অন্যতম কিছু পাথর। আশ্চর্যজনক হলেও এ পাথরগুলো জায়গা বদলায়। মানে বেশ দ্রুত গতিতে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে সরে যায়।
০৮ জুন ২০২৩
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
২ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ ও শুকনো জায়গাগুলোর একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি। শুনে অবাক হবেন, এখানকার যে বিষয়গুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে তার অন্যতম কিছু পাথর। আশ্চর্যজনক হলেও এ পাথরগুলো জায়গা বদলায়। মানে বেশ দ্রুত গতিতে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে সরে যায়।
০৮ জুন ২০২৩
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
৫ ঘণ্টা আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
২ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ ও শুকনো জায়গাগুলোর একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি। শুনে অবাক হবেন, এখানকার যে বিষয়গুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে তার অন্যতম কিছু পাথর। আশ্চর্যজনক হলেও এ পাথরগুলো জায়গা বদলায়। মানে বেশ দ্রুত গতিতে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে সরে যায়।
০৮ জুন ২০২৩
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
৫ ঘণ্টা আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ ও শুকনো জায়গাগুলোর একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি। শুনে অবাক হবেন, এখানকার যে বিষয়গুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে তার অন্যতম কিছু পাথর। আশ্চর্যজনক হলেও এ পাথরগুলো জায়গা বদলায়। মানে বেশ দ্রুত গতিতে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে সরে যায়।
০৮ জুন ২০২৩
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
৫ ঘণ্টা আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
২ দিন আগে