
আমাদের শরীরের কোনো অংশ কেটে গেল রক্ত বের হয়। কিন্তু যদি দেখেন একটি গাছ কাটার পর সেখান থেকে লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হচ্ছে, চমকে উঠবেন নিশ্চয়! কিছুটা ভয়ও পেয়ে যেতে পারেন হয়তো। কিন্তু ব্লাডউড নামে পরিচিত গাছটির গুঁড়ি বা ডাল কাটলে সত্যি সেখান দিয়ে ঘন লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হয়ে আসতে থাকে।
তবে রক্তের মতো দেখতে হলেও এটা কিন্তু রক্ত নয়। এটা একধরনের উদ্ভিদ রস। আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলে পাওয়া এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম টেরোকারপাস অ্যাঙ্গোলেনসিস। তবে সাউথ আফ্রিকান ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি ইনস্টিটিউট (সানবি) জানাচ্ছে, এটি আরও কিছু নামেও পরিচিত। যেমন—ব্লাডউড, কিয়াত, পেডল উড, বুনো টিক বা সেগুন ইত্যাদি। এ ছাড়া আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানীয় ভাষায় আরও নানা নামে পরিচিত এটি।
টেরোকার্পাস অ্যাঙ্গোলেনসিস গাছের ছবিগুলো দেখলে যে কেউ এর ব্লাডউড নামের যৌক্তিকতা বুঝতে পারবেন। ঝরে পড়া লাল রস দেখে মনে হয় যে কাটা অংশ থেকে রক্তপাত হচ্ছে। কিন্তু এটি আসলে ট্যানিন-সমৃদ্ধ (একধরনের রাসায়নিক যৌগ) উদ্ভিদ রস। বেশির ভাগ গাছের বিভিন্ন অংশ, বিশেষ করে পাতায় ১২ থেকে ২০ শতাংশ ট্যানিন থাকে। সে তুলনায় ব্লাডউডের রসে ট্যানিনের পরিমাণ ৭৭ শতাংশ।
এই ট্যানিনই বুনো সেগুনের উদ্ভিদ রসকে লাল রং পেতে সাহায্য করে। তবে এর আরেকটি উদ্দেশ্য আছে। এদের স্বাদ এমন কষযুক্ত যে প্রাণীরা এটা তেমন পছন্দ করে না। কিন্তু যদি তারা আবার এই উদ্ভিদ রস খাওয়ার চেষ্টা করে, তখনো ট্যানিন বিশেষ এক ভূমিকা রাখে। ট্যানিন প্রাণীদের সঠিকভাবে খাবার হজম করতে বাধা দেয়। অর্থাৎ, এর ট্যানিন-সমৃদ্ধ এই উদ্ভিদ রসের প্রতি আগ্রহ হারাবে। সুতরাং ব্লাডউডের রক্তের মতো রসকে এদের একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও বলতে পারেন।
সানবি জানায়, ব্লাডউড গাছটি প্রধানত উষ্ণ এলাকায় জন্মায়। দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব অংশ থেকে শুরু করে জিম্বাবুয়ে, উত্তর বতসোয়ানা, মোজাম্বিক, নামিবিয়া প্রভৃতি দেশে জন্মে। এটি ঝোপঝাড় ও বড় গাছের এলাকা—যেকোনো জায়গায়ই জন্মায়, তবে এর জন্য প্রতিবছর ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত জরুরি। পাথুরে ঢাল বা পানি নিষ্কাশন হয় এমন গভীর, বালুকাময় মাটি এই গাছের জন্য উপযোগী।
গাছটির নানা ধরনের ব্যবহার আছে। এর লাল রক্তরস রং হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি কোনো কোনো এলাকায় জীব-জন্তুর চর্বির সঙ্গে মিশিয়ে মুখ ও শরীরে দেওয়ার প্রসাধনী তৈরি করা হয়।
আফ্রিকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এর লাল রঙের কারণে নানা ধারণার জন্ম নিয়েছে। তাঁরা মনে করেন, রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এটি খুব ভালো কাজ করে। দাদ, ছুরিকাঘাতের ব্যথা, চোখের সমস্যা, ম্যালেরিয়া, ব্ল্যাক ওয়াটার জ্বর এবং পেটের সমস্যার মতো বিষয়গুলোতেও গাছের নির্যাস ব্যবহার করে চিকিৎসা করেন স্থানীয়রা। দক্ষিণ আফ্রিকায় গাছটিকে সংরক্ষিত বৃক্ষ প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পাতাঝরা এই গাছটি প্রায় ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছ থেকে পাওয়া কাঠ আসবাবপত্র ও স্মারক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর কাঠের ভালো দিক হলো এটি উইপোকা প্রতিরোধী। স্বাভাবিকভাকবেই গাছটির ঔষধি উপকারিতা এবং আসবাবপত্রে ব্যবহার স্থানীয়দের জন্য একে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
তবে অন্য সব গুণাগুণ বাদ দিয়ে এর আশ্চর্য লাল রস যে ব্লাডউডকে অন্য গাছদের থেকে আলাদা জায়গায় নিয়ে গেছে তাতে সন্দেহ নেই। কাজেই দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে কিংবা মোজাম্বিকে ভ্রমণে গেলে ব্লাডউড দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি!
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, নিউজ এইটিন, আফ্রিকা চেক ডট অরগ

আমাদের শরীরের কোনো অংশ কেটে গেল রক্ত বের হয়। কিন্তু যদি দেখেন একটি গাছ কাটার পর সেখান থেকে লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হচ্ছে, চমকে উঠবেন নিশ্চয়! কিছুটা ভয়ও পেয়ে যেতে পারেন হয়তো। কিন্তু ব্লাডউড নামে পরিচিত গাছটির গুঁড়ি বা ডাল কাটলে সত্যি সেখান দিয়ে ঘন লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হয়ে আসতে থাকে।
তবে রক্তের মতো দেখতে হলেও এটা কিন্তু রক্ত নয়। এটা একধরনের উদ্ভিদ রস। আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলে পাওয়া এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম টেরোকারপাস অ্যাঙ্গোলেনসিস। তবে সাউথ আফ্রিকান ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি ইনস্টিটিউট (সানবি) জানাচ্ছে, এটি আরও কিছু নামেও পরিচিত। যেমন—ব্লাডউড, কিয়াত, পেডল উড, বুনো টিক বা সেগুন ইত্যাদি। এ ছাড়া আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানীয় ভাষায় আরও নানা নামে পরিচিত এটি।
টেরোকার্পাস অ্যাঙ্গোলেনসিস গাছের ছবিগুলো দেখলে যে কেউ এর ব্লাডউড নামের যৌক্তিকতা বুঝতে পারবেন। ঝরে পড়া লাল রস দেখে মনে হয় যে কাটা অংশ থেকে রক্তপাত হচ্ছে। কিন্তু এটি আসলে ট্যানিন-সমৃদ্ধ (একধরনের রাসায়নিক যৌগ) উদ্ভিদ রস। বেশির ভাগ গাছের বিভিন্ন অংশ, বিশেষ করে পাতায় ১২ থেকে ২০ শতাংশ ট্যানিন থাকে। সে তুলনায় ব্লাডউডের রসে ট্যানিনের পরিমাণ ৭৭ শতাংশ।
এই ট্যানিনই বুনো সেগুনের উদ্ভিদ রসকে লাল রং পেতে সাহায্য করে। তবে এর আরেকটি উদ্দেশ্য আছে। এদের স্বাদ এমন কষযুক্ত যে প্রাণীরা এটা তেমন পছন্দ করে না। কিন্তু যদি তারা আবার এই উদ্ভিদ রস খাওয়ার চেষ্টা করে, তখনো ট্যানিন বিশেষ এক ভূমিকা রাখে। ট্যানিন প্রাণীদের সঠিকভাবে খাবার হজম করতে বাধা দেয়। অর্থাৎ, এর ট্যানিন-সমৃদ্ধ এই উদ্ভিদ রসের প্রতি আগ্রহ হারাবে। সুতরাং ব্লাডউডের রক্তের মতো রসকে এদের একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও বলতে পারেন।
সানবি জানায়, ব্লাডউড গাছটি প্রধানত উষ্ণ এলাকায় জন্মায়। দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব অংশ থেকে শুরু করে জিম্বাবুয়ে, উত্তর বতসোয়ানা, মোজাম্বিক, নামিবিয়া প্রভৃতি দেশে জন্মে। এটি ঝোপঝাড় ও বড় গাছের এলাকা—যেকোনো জায়গায়ই জন্মায়, তবে এর জন্য প্রতিবছর ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত জরুরি। পাথুরে ঢাল বা পানি নিষ্কাশন হয় এমন গভীর, বালুকাময় মাটি এই গাছের জন্য উপযোগী।
গাছটির নানা ধরনের ব্যবহার আছে। এর লাল রক্তরস রং হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি কোনো কোনো এলাকায় জীব-জন্তুর চর্বির সঙ্গে মিশিয়ে মুখ ও শরীরে দেওয়ার প্রসাধনী তৈরি করা হয়।
আফ্রিকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এর লাল রঙের কারণে নানা ধারণার জন্ম নিয়েছে। তাঁরা মনে করেন, রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এটি খুব ভালো কাজ করে। দাদ, ছুরিকাঘাতের ব্যথা, চোখের সমস্যা, ম্যালেরিয়া, ব্ল্যাক ওয়াটার জ্বর এবং পেটের সমস্যার মতো বিষয়গুলোতেও গাছের নির্যাস ব্যবহার করে চিকিৎসা করেন স্থানীয়রা। দক্ষিণ আফ্রিকায় গাছটিকে সংরক্ষিত বৃক্ষ প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পাতাঝরা এই গাছটি প্রায় ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছ থেকে পাওয়া কাঠ আসবাবপত্র ও স্মারক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর কাঠের ভালো দিক হলো এটি উইপোকা প্রতিরোধী। স্বাভাবিকভাকবেই গাছটির ঔষধি উপকারিতা এবং আসবাবপত্রে ব্যবহার স্থানীয়দের জন্য একে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
তবে অন্য সব গুণাগুণ বাদ দিয়ে এর আশ্চর্য লাল রস যে ব্লাডউডকে অন্য গাছদের থেকে আলাদা জায়গায় নিয়ে গেছে তাতে সন্দেহ নেই। কাজেই দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে কিংবা মোজাম্বিকে ভ্রমণে গেলে ব্লাডউড দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি!
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, নিউজ এইটিন, আফ্রিকা চেক ডট অরগ

আমাদের শরীরের কোনো অংশ কেটে গেল রক্ত বের হয়। কিন্তু যদি দেখেন একটি গাছ কাটার পর সেখান থেকে লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হচ্ছে, চমকে উঠবেন নিশ্চয়! কিছুটা ভয়ও পেয়ে যেতে পারেন হয়তো। কিন্তু ব্লাডউড নামে পরিচিত গাছটির গুঁড়ি বা ডাল কাটলে সত্যি সেখান দিয়ে ঘন লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হয়ে আসতে থাকে।
তবে রক্তের মতো দেখতে হলেও এটা কিন্তু রক্ত নয়। এটা একধরনের উদ্ভিদ রস। আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলে পাওয়া এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম টেরোকারপাস অ্যাঙ্গোলেনসিস। তবে সাউথ আফ্রিকান ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি ইনস্টিটিউট (সানবি) জানাচ্ছে, এটি আরও কিছু নামেও পরিচিত। যেমন—ব্লাডউড, কিয়াত, পেডল উড, বুনো টিক বা সেগুন ইত্যাদি। এ ছাড়া আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানীয় ভাষায় আরও নানা নামে পরিচিত এটি।
টেরোকার্পাস অ্যাঙ্গোলেনসিস গাছের ছবিগুলো দেখলে যে কেউ এর ব্লাডউড নামের যৌক্তিকতা বুঝতে পারবেন। ঝরে পড়া লাল রস দেখে মনে হয় যে কাটা অংশ থেকে রক্তপাত হচ্ছে। কিন্তু এটি আসলে ট্যানিন-সমৃদ্ধ (একধরনের রাসায়নিক যৌগ) উদ্ভিদ রস। বেশির ভাগ গাছের বিভিন্ন অংশ, বিশেষ করে পাতায় ১২ থেকে ২০ শতাংশ ট্যানিন থাকে। সে তুলনায় ব্লাডউডের রসে ট্যানিনের পরিমাণ ৭৭ শতাংশ।
এই ট্যানিনই বুনো সেগুনের উদ্ভিদ রসকে লাল রং পেতে সাহায্য করে। তবে এর আরেকটি উদ্দেশ্য আছে। এদের স্বাদ এমন কষযুক্ত যে প্রাণীরা এটা তেমন পছন্দ করে না। কিন্তু যদি তারা আবার এই উদ্ভিদ রস খাওয়ার চেষ্টা করে, তখনো ট্যানিন বিশেষ এক ভূমিকা রাখে। ট্যানিন প্রাণীদের সঠিকভাবে খাবার হজম করতে বাধা দেয়। অর্থাৎ, এর ট্যানিন-সমৃদ্ধ এই উদ্ভিদ রসের প্রতি আগ্রহ হারাবে। সুতরাং ব্লাডউডের রক্তের মতো রসকে এদের একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও বলতে পারেন।
সানবি জানায়, ব্লাডউড গাছটি প্রধানত উষ্ণ এলাকায় জন্মায়। দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব অংশ থেকে শুরু করে জিম্বাবুয়ে, উত্তর বতসোয়ানা, মোজাম্বিক, নামিবিয়া প্রভৃতি দেশে জন্মে। এটি ঝোপঝাড় ও বড় গাছের এলাকা—যেকোনো জায়গায়ই জন্মায়, তবে এর জন্য প্রতিবছর ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত জরুরি। পাথুরে ঢাল বা পানি নিষ্কাশন হয় এমন গভীর, বালুকাময় মাটি এই গাছের জন্য উপযোগী।
গাছটির নানা ধরনের ব্যবহার আছে। এর লাল রক্তরস রং হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি কোনো কোনো এলাকায় জীব-জন্তুর চর্বির সঙ্গে মিশিয়ে মুখ ও শরীরে দেওয়ার প্রসাধনী তৈরি করা হয়।
আফ্রিকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এর লাল রঙের কারণে নানা ধারণার জন্ম নিয়েছে। তাঁরা মনে করেন, রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এটি খুব ভালো কাজ করে। দাদ, ছুরিকাঘাতের ব্যথা, চোখের সমস্যা, ম্যালেরিয়া, ব্ল্যাক ওয়াটার জ্বর এবং পেটের সমস্যার মতো বিষয়গুলোতেও গাছের নির্যাস ব্যবহার করে চিকিৎসা করেন স্থানীয়রা। দক্ষিণ আফ্রিকায় গাছটিকে সংরক্ষিত বৃক্ষ প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পাতাঝরা এই গাছটি প্রায় ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছ থেকে পাওয়া কাঠ আসবাবপত্র ও স্মারক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর কাঠের ভালো দিক হলো এটি উইপোকা প্রতিরোধী। স্বাভাবিকভাকবেই গাছটির ঔষধি উপকারিতা এবং আসবাবপত্রে ব্যবহার স্থানীয়দের জন্য একে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
তবে অন্য সব গুণাগুণ বাদ দিয়ে এর আশ্চর্য লাল রস যে ব্লাডউডকে অন্য গাছদের থেকে আলাদা জায়গায় নিয়ে গেছে তাতে সন্দেহ নেই। কাজেই দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে কিংবা মোজাম্বিকে ভ্রমণে গেলে ব্লাডউড দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি!
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, নিউজ এইটিন, আফ্রিকা চেক ডট অরগ

আমাদের শরীরের কোনো অংশ কেটে গেল রক্ত বের হয়। কিন্তু যদি দেখেন একটি গাছ কাটার পর সেখান থেকে লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হচ্ছে, চমকে উঠবেন নিশ্চয়! কিছুটা ভয়ও পেয়ে যেতে পারেন হয়তো। কিন্তু ব্লাডউড নামে পরিচিত গাছটির গুঁড়ি বা ডাল কাটলে সত্যি সেখান দিয়ে ঘন লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হয়ে আসতে থাকে।
তবে রক্তের মতো দেখতে হলেও এটা কিন্তু রক্ত নয়। এটা একধরনের উদ্ভিদ রস। আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলে পাওয়া এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম টেরোকারপাস অ্যাঙ্গোলেনসিস। তবে সাউথ আফ্রিকান ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি ইনস্টিটিউট (সানবি) জানাচ্ছে, এটি আরও কিছু নামেও পরিচিত। যেমন—ব্লাডউড, কিয়াত, পেডল উড, বুনো টিক বা সেগুন ইত্যাদি। এ ছাড়া আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানীয় ভাষায় আরও নানা নামে পরিচিত এটি।
টেরোকার্পাস অ্যাঙ্গোলেনসিস গাছের ছবিগুলো দেখলে যে কেউ এর ব্লাডউড নামের যৌক্তিকতা বুঝতে পারবেন। ঝরে পড়া লাল রস দেখে মনে হয় যে কাটা অংশ থেকে রক্তপাত হচ্ছে। কিন্তু এটি আসলে ট্যানিন-সমৃদ্ধ (একধরনের রাসায়নিক যৌগ) উদ্ভিদ রস। বেশির ভাগ গাছের বিভিন্ন অংশ, বিশেষ করে পাতায় ১২ থেকে ২০ শতাংশ ট্যানিন থাকে। সে তুলনায় ব্লাডউডের রসে ট্যানিনের পরিমাণ ৭৭ শতাংশ।
এই ট্যানিনই বুনো সেগুনের উদ্ভিদ রসকে লাল রং পেতে সাহায্য করে। তবে এর আরেকটি উদ্দেশ্য আছে। এদের স্বাদ এমন কষযুক্ত যে প্রাণীরা এটা তেমন পছন্দ করে না। কিন্তু যদি তারা আবার এই উদ্ভিদ রস খাওয়ার চেষ্টা করে, তখনো ট্যানিন বিশেষ এক ভূমিকা রাখে। ট্যানিন প্রাণীদের সঠিকভাবে খাবার হজম করতে বাধা দেয়। অর্থাৎ, এর ট্যানিন-সমৃদ্ধ এই উদ্ভিদ রসের প্রতি আগ্রহ হারাবে। সুতরাং ব্লাডউডের রক্তের মতো রসকে এদের একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও বলতে পারেন।
সানবি জানায়, ব্লাডউড গাছটি প্রধানত উষ্ণ এলাকায় জন্মায়। দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব অংশ থেকে শুরু করে জিম্বাবুয়ে, উত্তর বতসোয়ানা, মোজাম্বিক, নামিবিয়া প্রভৃতি দেশে জন্মে। এটি ঝোপঝাড় ও বড় গাছের এলাকা—যেকোনো জায়গায়ই জন্মায়, তবে এর জন্য প্রতিবছর ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত জরুরি। পাথুরে ঢাল বা পানি নিষ্কাশন হয় এমন গভীর, বালুকাময় মাটি এই গাছের জন্য উপযোগী।
গাছটির নানা ধরনের ব্যবহার আছে। এর লাল রক্তরস রং হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি কোনো কোনো এলাকায় জীব-জন্তুর চর্বির সঙ্গে মিশিয়ে মুখ ও শরীরে দেওয়ার প্রসাধনী তৈরি করা হয়।
আফ্রিকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এর লাল রঙের কারণে নানা ধারণার জন্ম নিয়েছে। তাঁরা মনে করেন, রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এটি খুব ভালো কাজ করে। দাদ, ছুরিকাঘাতের ব্যথা, চোখের সমস্যা, ম্যালেরিয়া, ব্ল্যাক ওয়াটার জ্বর এবং পেটের সমস্যার মতো বিষয়গুলোতেও গাছের নির্যাস ব্যবহার করে চিকিৎসা করেন স্থানীয়রা। দক্ষিণ আফ্রিকায় গাছটিকে সংরক্ষিত বৃক্ষ প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পাতাঝরা এই গাছটি প্রায় ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছ থেকে পাওয়া কাঠ আসবাবপত্র ও স্মারক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর কাঠের ভালো দিক হলো এটি উইপোকা প্রতিরোধী। স্বাভাবিকভাকবেই গাছটির ঔষধি উপকারিতা এবং আসবাবপত্রে ব্যবহার স্থানীয়দের জন্য একে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
তবে অন্য সব গুণাগুণ বাদ দিয়ে এর আশ্চর্য লাল রস যে ব্লাডউডকে অন্য গাছদের থেকে আলাদা জায়গায় নিয়ে গেছে তাতে সন্দেহ নেই। কাজেই দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে কিংবা মোজাম্বিকে ভ্রমণে গেলে ব্লাডউড দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি!
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, নিউজ এইটিন, আফ্রিকা চেক ডট অরগ

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

আমাদের শরীরের কোনো অংশ কেটে গেল রক্ত বের হয়। কিন্তু যদি দেখেন একটি গাছ কাটার পর সেখান থেকে লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হচ্ছে, চমকে উঠবেন নিশ্চয়! কিছুটা ভয়ও পেয়ে যেতে পারেন হয়তো। কিন্তু ব্লাডউড নামে পরিচিত গাছটির গুঁড়ি বা ডাল কাটলে সত্যি সেখান দিয়ে ঘন লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হয়ে আসতে থাকে।
১৯ অক্টোবর ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আমাদের শরীরের কোনো অংশ কেটে গেল রক্ত বের হয়। কিন্তু যদি দেখেন একটি গাছ কাটার পর সেখান থেকে লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হচ্ছে, চমকে উঠবেন নিশ্চয়! কিছুটা ভয়ও পেয়ে যেতে পারেন হয়তো। কিন্তু ব্লাডউড নামে পরিচিত গাছটির গুঁড়ি বা ডাল কাটলে সত্যি সেখান দিয়ে ঘন লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হয়ে আসতে থাকে।
১৯ অক্টোবর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

আমাদের শরীরের কোনো অংশ কেটে গেল রক্ত বের হয়। কিন্তু যদি দেখেন একটি গাছ কাটার পর সেখান থেকে লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হচ্ছে, চমকে উঠবেন নিশ্চয়! কিছুটা ভয়ও পেয়ে যেতে পারেন হয়তো। কিন্তু ব্লাডউড নামে পরিচিত গাছটির গুঁড়ি বা ডাল কাটলে সত্যি সেখান দিয়ে ঘন লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হয়ে আসতে থাকে।
১৯ অক্টোবর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

আমাদের শরীরের কোনো অংশ কেটে গেল রক্ত বের হয়। কিন্তু যদি দেখেন একটি গাছ কাটার পর সেখান থেকে লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হচ্ছে, চমকে উঠবেন নিশ্চয়! কিছুটা ভয়ও পেয়ে যেতে পারেন হয়তো। কিন্তু ব্লাডউড নামে পরিচিত গাছটির গুঁড়ি বা ডাল কাটলে সত্যি সেখান দিয়ে ঘন লাল রক্তের মতো পদার্থ বের হয়ে আসতে থাকে।
১৯ অক্টোবর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৯ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে