ইশতিয়াক হাসান

গ্রামের একটি রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। দুপাশে ঘর-বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর দিকে তাকাতেই চমকে উঠবেন। কারণ, একটি বাড়িরও দরজা নেই। অবিশ্বাস্য শোনালেও এমন অভিজ্ঞতা আপনার হবে ভারতের মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার শনি শিংনাপুর গ্রামে গেলে। এখানকার বাড়ি-ঘর, দোকানপাট কোনো কিছুরই দরজা নেই। একটি গর্ত বা ফ্রেমের মতো আছে আসা-যাওয়ার জন্য, তবে এর বাইরে দরজার কোনো অস্তিত্ব নেই।
এভাবে দরজা ছাড়া থাকতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত গ্রামটির বাসিন্দারা কোনো ধরনের নিরাপত্তার অভাবও অনুভব করে না। তারা মনে করে, দেবতা শনি এই গ্রামের দেখভালের দায়িত্বে আছেন, তিনিই গ্রামটির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দেবেন। তবে এই দরজা খোলা রাখার পেছনে আছে ৩০০ বছরের পুরোনো এক কিংবদন্তি।
এবার বরং পুরোনো সেই কিংবদন্তিটা কী, সেটা জেনে নেওয়া যাক। প্রবল বৃষ্টি আর বন্যার পরে জলের তোড়ে ভেসে আসা কালো একটি বড় পাথর আবিষ্কার করে গ্রামবাসী পানাসনালা নদীর তীরে। ওই সময় গ্রামটির মাঝখান দিয়ে বয়ে যেত নদীটি। স্থানীয় বাসিন্দারা যখন লাঠি বা লোহার রডের মতো কিছু একটা দিয়ে দেড় মিটার ব্যাসের পাথরটা স্পর্শ করল, সেখান থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে রক্ত বের হতে লাগল। ওই রাতেই গ্রামপ্রধানের স্বপ্নে দেখা দিলেন দেবতা শনি। বললেন, পাথর তাঁর প্রতিনিধিত্ব করছে। শনির পাথরটিকে গ্রামেই রাখার নির্দেশ দিলেন। তবে একে কোনো ছাউনির নিচে রাখা যাবে না। কারণ তাহলে কোনো বাধা ছাড়া গোটা গ্রামটি দেখা সম্ভব হবে তাঁর পক্ষে। তারপর দেবতা শনি গ্রামপ্রধানকে কথা দিলেন গ্রাম ও গ্রামবাসীর যেকোনো বিপদে তিনি তাদের রক্ষা করবেন।
কথিত আছে, দেবতার নির্দেশমতোই গ্রামবাসী গ্রামের কেন্দ্রে ছাদ ছাড়া বা খোলা একটি জায়গায় পাথরটা স্থাপন করে। এ সময় সব দরজা, আরও পরিষ্কারভাবে বললে দরজার কপাট ও তালা খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল তারা। কারণ এগুলোর আর প্রয়োজন নেই, কারণ দেবতাই তাদের দেখভাল করছেন।
আর সেই ঐতিহ্য গ্রামবাসী মেনে চলেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। কখনো কখনো গ্রামবাসী ঘুরে বেড়ানো কুকুরদের দূরে রাখার জন্য দরজার জায়গায় কাঠের খোলা একটা প্যানেলের মতো রাখে, তবে সেই অর্থে দরজা বস্তুটির দেখা পাবেন না। অলংকার, টাকার মতো জিনিসও খোলা জায়গায় রেখে দেন এই বিশ্বাসে যে দেবতা তাদের যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। এমনকি গ্রামের মাঝখানের চত্বরের পাশের পাবলিক টয়লেটেও কেবল একটি পর্দা ঝোলানো থাকে, তবে কোনো কপাট থাকে না।
পুরোনো বাড়ি তো বটেই, নতুন যেসব ইমারত তৈরি হয় সেগুলোও প্রথা মেনে তৈরি করা হয়। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে কেউ কেউ একটু কৌশলী হয়ে স্লাইডিং দরজা ব্যবহার করা শুরু করেছেন। গ্রামের পুলিশ স্টেশন, যেটি খোলা হয়েছে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে, সেখানেও কোনো সদর দরজা নেই। অবশ্য গ্রামে সেই অর্থে অপরাধের ঘটনা না হওয়ায় তাদের কাছে কেউ খুব একটা আসেও না। শুধু তাই নয়, ইউসিও ব্যাংক ২০১১ সালে শনি শিংনাপুরে প্রথম ‘তালা ছাড়া’ শাখা খোলে। কাচের একটি প্রবেশদ্বার রাখার পাশাপাশি গ্রামের মানুষের বিশ্বাসকে সম্মান জানিয়ে সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না এমন একটি রিমোটে নিয়ন্ত্রিত তড়িৎচুম্বকীয় তালা ব্যবহার করে ব্যাংকটি। এদিকে গ্রামের ডাকঘরটিও দরজা ছাড়া কিংবা কপাট ছাড়া শুধু গর্ত নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে।
গ্রামবাসী এতটাই নির্ভার যে যখন গ্রাম ছেড়ে কোথাও বেড়াতে যায়, প্রতিবেশীদের বলে যাওয়ারও প্রয়োজন মনে করে না তাদের ঘর-বাড়ি একটু দেখেশুনে রাখতে। তাদের বিশ্বাস, চোর সঙ্গে সঙ্গে তার শাস্তি পেয়ে যাবে অন্ধ হয়ে গিয়ে, আর কেউ অন্য কোনো ধরনের অসততা দেখালে সাড়ে সাত বছর মন্দভাগ্যের চক্করে পড়ে থাকতে হবে। এমনকি গ্রামবাসীর মধ্যে এমনও প্রচলিত আছে, একজন গ্রামবাসী এভাবে দরজার জায়গায় কাঠের কপাট লাগানোর পরদিন গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েন।
এই আশ্চর্য ইতিহাসের কারণে গোটা ভারতের পুণ্যার্থীদের আকৃষ্ট করে শনি শিংনাপুর গ্রামটি। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ আসে গ্রামটিতে। পাথরটি আগের মতোই খোলা জায়গায়ই আছে, গড়ে উঠেছে দেবতা শনির একটি বড় মন্দির। ভক্তদের থেকে প্রচুর দানও পায় মন্দিরটি।
শনি শিংনাপুর অফিশিয়ালি চুরিমুক্ত শত শত বছর ধরেই। সত্যি বলতে, গ্রামে বড় ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেই না। তবে বিচ্ছিন্ন দু-চারটি ছোটখাটো ঘটনা ঘটে না যে তা নয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ২০১০ সালে এক পর্যটক জানান তাঁর গাড়ি থেকে ৩৫ হাজার রুপি পরিমাণ নগদ অর্থ ও মালামাল চুরি গেছে। ২০১১ সালে আবার ৭০ হাজার রুপির অলংকার চুরির একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে এগুলো নিয়ে বেশি মাতামাতি হয়নি। কারণ গ্রামবাসী জোর গলায় দাবি করে, ঘটনাগুলো গ্রামের বাইরে ঘটেছে।
অবশ্য সবকিছুরই দুটি পক্ষ থাকে। সংশয়বাদীদের কথা, এখানকার অপরাধের মাত্রা কম হওয়ার কারণ আর কিছু নয়, গ্রামটির দুর্গম অবস্থান।
তবে সত্যি যাই হোক, সময় বদলাচ্ছে। কিছু কিছু গ্রামবাসী পুরোনো এই রীতিকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য দরজা ও তালা লাগানোর অনুমতি চাওয়া শুরু করেছেন।
এমনকি গ্রামের কেউ কেউ কাঠের স্লাইডিং দরজা ব্যবহার শুরু করেছেন। আশপাশের গ্রামগুলোতে ডাকাতির কয়েকটি ঘটনা ঘটায় কিছু গ্রামবাসী নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এটা করছে। বাড়ি তৈরির ধরনও বদলাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। তবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই, বেশির ভাগ গ্রামবাসী এখনো চায় পুরোনো ঐতিহ্য অটুট থাকুক। আর তাই ইমারত নির্মাতারাও কিছু সৃষ্টিশীল সমাধানের দিকে এগোচ্ছেন। যেমন স্লাইডিং দরজার ব্যবহার, যেন বাইরে থেকে দেখে দরজা নেই বলে মনে হয়।
দরজা না থাকার মতো এখানকার মানুষের মনও যথেষ্ট খোলামেলা। নিজেদের বাড়িতে অতিথিদের আন্তরিকতার সঙ্গেই স্বাগত জানাচ্ছে। সম্পদের থেকে বিশ্বাসের মূল্য এখনো এখানকার মানুষের মধ্যে বেশি। বর্তমান দুনিয়ায় এটি বেশ অবাক করা বিষয়ই বটে।
ভারত সফরে আশ্চর্য এই গ্রাম একবার দেখে আসতে চান? তাহলে সেখানে যাওয়ার পথটা বাতলে দিচ্ছি। আওরঙ্গবাদ-আহমেদাবাদ সড়ক ধরে গেলে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন গ্রামটিতে। নিকটতম রেলস্টেশন রাহুরি শনি শিংনাপুর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে। আর আহমেদনগর রেলস্টেশনের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর আওরঙ্গবাদ, গ্রামটি থেকে মোটামুটি ৯০ কিলোমিটার দূরে।
সূত্র: বিবিসি, আউটলুক ইন্ডিয়া, টাইমস অব ইন্ডিয়া

গ্রামের একটি রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। দুপাশে ঘর-বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর দিকে তাকাতেই চমকে উঠবেন। কারণ, একটি বাড়িরও দরজা নেই। অবিশ্বাস্য শোনালেও এমন অভিজ্ঞতা আপনার হবে ভারতের মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার শনি শিংনাপুর গ্রামে গেলে। এখানকার বাড়ি-ঘর, দোকানপাট কোনো কিছুরই দরজা নেই। একটি গর্ত বা ফ্রেমের মতো আছে আসা-যাওয়ার জন্য, তবে এর বাইরে দরজার কোনো অস্তিত্ব নেই।
এভাবে দরজা ছাড়া থাকতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত গ্রামটির বাসিন্দারা কোনো ধরনের নিরাপত্তার অভাবও অনুভব করে না। তারা মনে করে, দেবতা শনি এই গ্রামের দেখভালের দায়িত্বে আছেন, তিনিই গ্রামটির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দেবেন। তবে এই দরজা খোলা রাখার পেছনে আছে ৩০০ বছরের পুরোনো এক কিংবদন্তি।
এবার বরং পুরোনো সেই কিংবদন্তিটা কী, সেটা জেনে নেওয়া যাক। প্রবল বৃষ্টি আর বন্যার পরে জলের তোড়ে ভেসে আসা কালো একটি বড় পাথর আবিষ্কার করে গ্রামবাসী পানাসনালা নদীর তীরে। ওই সময় গ্রামটির মাঝখান দিয়ে বয়ে যেত নদীটি। স্থানীয় বাসিন্দারা যখন লাঠি বা লোহার রডের মতো কিছু একটা দিয়ে দেড় মিটার ব্যাসের পাথরটা স্পর্শ করল, সেখান থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে রক্ত বের হতে লাগল। ওই রাতেই গ্রামপ্রধানের স্বপ্নে দেখা দিলেন দেবতা শনি। বললেন, পাথর তাঁর প্রতিনিধিত্ব করছে। শনির পাথরটিকে গ্রামেই রাখার নির্দেশ দিলেন। তবে একে কোনো ছাউনির নিচে রাখা যাবে না। কারণ তাহলে কোনো বাধা ছাড়া গোটা গ্রামটি দেখা সম্ভব হবে তাঁর পক্ষে। তারপর দেবতা শনি গ্রামপ্রধানকে কথা দিলেন গ্রাম ও গ্রামবাসীর যেকোনো বিপদে তিনি তাদের রক্ষা করবেন।
কথিত আছে, দেবতার নির্দেশমতোই গ্রামবাসী গ্রামের কেন্দ্রে ছাদ ছাড়া বা খোলা একটি জায়গায় পাথরটা স্থাপন করে। এ সময় সব দরজা, আরও পরিষ্কারভাবে বললে দরজার কপাট ও তালা খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল তারা। কারণ এগুলোর আর প্রয়োজন নেই, কারণ দেবতাই তাদের দেখভাল করছেন।
আর সেই ঐতিহ্য গ্রামবাসী মেনে চলেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। কখনো কখনো গ্রামবাসী ঘুরে বেড়ানো কুকুরদের দূরে রাখার জন্য দরজার জায়গায় কাঠের খোলা একটা প্যানেলের মতো রাখে, তবে সেই অর্থে দরজা বস্তুটির দেখা পাবেন না। অলংকার, টাকার মতো জিনিসও খোলা জায়গায় রেখে দেন এই বিশ্বাসে যে দেবতা তাদের যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। এমনকি গ্রামের মাঝখানের চত্বরের পাশের পাবলিক টয়লেটেও কেবল একটি পর্দা ঝোলানো থাকে, তবে কোনো কপাট থাকে না।
পুরোনো বাড়ি তো বটেই, নতুন যেসব ইমারত তৈরি হয় সেগুলোও প্রথা মেনে তৈরি করা হয়। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে কেউ কেউ একটু কৌশলী হয়ে স্লাইডিং দরজা ব্যবহার করা শুরু করেছেন। গ্রামের পুলিশ স্টেশন, যেটি খোলা হয়েছে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে, সেখানেও কোনো সদর দরজা নেই। অবশ্য গ্রামে সেই অর্থে অপরাধের ঘটনা না হওয়ায় তাদের কাছে কেউ খুব একটা আসেও না। শুধু তাই নয়, ইউসিও ব্যাংক ২০১১ সালে শনি শিংনাপুরে প্রথম ‘তালা ছাড়া’ শাখা খোলে। কাচের একটি প্রবেশদ্বার রাখার পাশাপাশি গ্রামের মানুষের বিশ্বাসকে সম্মান জানিয়ে সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না এমন একটি রিমোটে নিয়ন্ত্রিত তড়িৎচুম্বকীয় তালা ব্যবহার করে ব্যাংকটি। এদিকে গ্রামের ডাকঘরটিও দরজা ছাড়া কিংবা কপাট ছাড়া শুধু গর্ত নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে।
গ্রামবাসী এতটাই নির্ভার যে যখন গ্রাম ছেড়ে কোথাও বেড়াতে যায়, প্রতিবেশীদের বলে যাওয়ারও প্রয়োজন মনে করে না তাদের ঘর-বাড়ি একটু দেখেশুনে রাখতে। তাদের বিশ্বাস, চোর সঙ্গে সঙ্গে তার শাস্তি পেয়ে যাবে অন্ধ হয়ে গিয়ে, আর কেউ অন্য কোনো ধরনের অসততা দেখালে সাড়ে সাত বছর মন্দভাগ্যের চক্করে পড়ে থাকতে হবে। এমনকি গ্রামবাসীর মধ্যে এমনও প্রচলিত আছে, একজন গ্রামবাসী এভাবে দরজার জায়গায় কাঠের কপাট লাগানোর পরদিন গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েন।
এই আশ্চর্য ইতিহাসের কারণে গোটা ভারতের পুণ্যার্থীদের আকৃষ্ট করে শনি শিংনাপুর গ্রামটি। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ আসে গ্রামটিতে। পাথরটি আগের মতোই খোলা জায়গায়ই আছে, গড়ে উঠেছে দেবতা শনির একটি বড় মন্দির। ভক্তদের থেকে প্রচুর দানও পায় মন্দিরটি।
শনি শিংনাপুর অফিশিয়ালি চুরিমুক্ত শত শত বছর ধরেই। সত্যি বলতে, গ্রামে বড় ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেই না। তবে বিচ্ছিন্ন দু-চারটি ছোটখাটো ঘটনা ঘটে না যে তা নয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ২০১০ সালে এক পর্যটক জানান তাঁর গাড়ি থেকে ৩৫ হাজার রুপি পরিমাণ নগদ অর্থ ও মালামাল চুরি গেছে। ২০১১ সালে আবার ৭০ হাজার রুপির অলংকার চুরির একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে এগুলো নিয়ে বেশি মাতামাতি হয়নি। কারণ গ্রামবাসী জোর গলায় দাবি করে, ঘটনাগুলো গ্রামের বাইরে ঘটেছে।
অবশ্য সবকিছুরই দুটি পক্ষ থাকে। সংশয়বাদীদের কথা, এখানকার অপরাধের মাত্রা কম হওয়ার কারণ আর কিছু নয়, গ্রামটির দুর্গম অবস্থান।
তবে সত্যি যাই হোক, সময় বদলাচ্ছে। কিছু কিছু গ্রামবাসী পুরোনো এই রীতিকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য দরজা ও তালা লাগানোর অনুমতি চাওয়া শুরু করেছেন।
এমনকি গ্রামের কেউ কেউ কাঠের স্লাইডিং দরজা ব্যবহার শুরু করেছেন। আশপাশের গ্রামগুলোতে ডাকাতির কয়েকটি ঘটনা ঘটায় কিছু গ্রামবাসী নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এটা করছে। বাড়ি তৈরির ধরনও বদলাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। তবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই, বেশির ভাগ গ্রামবাসী এখনো চায় পুরোনো ঐতিহ্য অটুট থাকুক। আর তাই ইমারত নির্মাতারাও কিছু সৃষ্টিশীল সমাধানের দিকে এগোচ্ছেন। যেমন স্লাইডিং দরজার ব্যবহার, যেন বাইরে থেকে দেখে দরজা নেই বলে মনে হয়।
দরজা না থাকার মতো এখানকার মানুষের মনও যথেষ্ট খোলামেলা। নিজেদের বাড়িতে অতিথিদের আন্তরিকতার সঙ্গেই স্বাগত জানাচ্ছে। সম্পদের থেকে বিশ্বাসের মূল্য এখনো এখানকার মানুষের মধ্যে বেশি। বর্তমান দুনিয়ায় এটি বেশ অবাক করা বিষয়ই বটে।
ভারত সফরে আশ্চর্য এই গ্রাম একবার দেখে আসতে চান? তাহলে সেখানে যাওয়ার পথটা বাতলে দিচ্ছি। আওরঙ্গবাদ-আহমেদাবাদ সড়ক ধরে গেলে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন গ্রামটিতে। নিকটতম রেলস্টেশন রাহুরি শনি শিংনাপুর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে। আর আহমেদনগর রেলস্টেশনের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর আওরঙ্গবাদ, গ্রামটি থেকে মোটামুটি ৯০ কিলোমিটার দূরে।
সূত্র: বিবিসি, আউটলুক ইন্ডিয়া, টাইমস অব ইন্ডিয়া
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
১ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
১ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

গ্রামের একটি রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। দুপাশে ঘর-বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর দিকে তাকাতেই চমকে উঠবেন। কারণ, একটি বাড়িরও দরজা নেই। অবিশ্বাস্য শোনালেও এমন অভিজ্ঞতা আপনার হবে ভারতের মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার শনি শিংনাপুর গ্রামে গেলে। এখানকার বাড়িঘর, দোকানপাট কোনো কিছুরই দরজা নেই। একটি গর্ত বা ফ্রেমের মতো আছ
০৯ এপ্রিল ২০২৩
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
১ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

গ্রামের একটি রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। দুপাশে ঘর-বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর দিকে তাকাতেই চমকে উঠবেন। কারণ, একটি বাড়িরও দরজা নেই। অবিশ্বাস্য শোনালেও এমন অভিজ্ঞতা আপনার হবে ভারতের মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার শনি শিংনাপুর গ্রামে গেলে। এখানকার বাড়িঘর, দোকানপাট কোনো কিছুরই দরজা নেই। একটি গর্ত বা ফ্রেমের মতো আছ
০৯ এপ্রিল ২০২৩চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
১ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৪ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

গ্রামের একটি রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। দুপাশে ঘর-বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর দিকে তাকাতেই চমকে উঠবেন। কারণ, একটি বাড়িরও দরজা নেই। অবিশ্বাস্য শোনালেও এমন অভিজ্ঞতা আপনার হবে ভারতের মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার শনি শিংনাপুর গ্রামে গেলে। এখানকার বাড়িঘর, দোকানপাট কোনো কিছুরই দরজা নেই। একটি গর্ত বা ফ্রেমের মতো আছ
০৯ এপ্রিল ২০২৩চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
১ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
১ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

গ্রামের একটি রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। দুপাশে ঘর-বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর দিকে তাকাতেই চমকে উঠবেন। কারণ, একটি বাড়িরও দরজা নেই। অবিশ্বাস্য শোনালেও এমন অভিজ্ঞতা আপনার হবে ভারতের মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার শনি শিংনাপুর গ্রামে গেলে। এখানকার বাড়িঘর, দোকানপাট কোনো কিছুরই দরজা নেই। একটি গর্ত বা ফ্রেমের মতো আছ
০৯ এপ্রিল ২০২৩চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
১ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
১ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৩ দিন আগে