ইশতিয়াক হাসান

বিপুল সংখ্যায় চেরি ফুল যখন ফুটে বর্ণিল হয়ে ওঠে জাপানের রাজধানী টোকিও, তেমনি নেদারল্যান্ডসের নাম আছে সেখানকার আশ্চর্য সুন্দর টিউলিপ বাগানের জন্য, তবে কানাডার মানিটোবা প্রদেশের একটি শহর যে জন্য আলোচনায় সেটা একেবারেই আলাদা। বছরের নির্দিষ্ট একটি সময় প্রচণ্ড ব্যস্ততা তৈরি হয় সেখানে। তবে সেটা ওই এলাকার বাসিন্দাদের নয়, সাপের।
প্রতি বসন্তে নিয়ম করে মানিটোবায় নিজেদের পাতালের আশ্রয় থেকে বের হয়ে আসে ৭০ হাজারের বেশি সাপ। আপনার যদি সর্পভীতি থাকে আর ওই সময় সেখানে উপস্থিত হন, তাহলে নিঃসন্দেহে আঁতকে উঠবেন। কারণ এভাবে কোনো জায়গা সাপে গিজগিজ করার এমন দৃশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখতে পাবেন না। অপর দিকে সাপপ্রেমী হাজারো মানুষ বসন্তে সেখানে হাজির হন এই সরীসৃপদের দেখতে।
মানিটোবার নারসিসের থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তরে আর্মস্ট্রং এলাকায় দেখা মিলবে নারসিসে স্নেক ডেনসের। প্রতি বসন্তে কয়েক দিন ধরে এখানকার পাতালের বিভিন্ন ফাটল, গর্ত থেকে পিলপিল করে বের হয়ে আসতে দেখা যায় রেড সাইডেড গারটার স্নেক নামে পরিচিত এই সাপগুলোকে। উদ্দেশ্য, মিলিত হয়ে সন্তান উৎপাদন।
মজার ঘটনা নারসিসের আশপাশের এলাকা সাপগুলোর যে কারণে পছন্দ, ঠিক একই কারণে অনেক কৃষক একে পরিত্যক্ত রেখে চলে গেছেন কয়েক দশক আগে। চুনাপাথরের ওপরে এখানে পাতলা মাটির আস্তর। পানির প্রবাহে ধীরে ধীরে ওই পাতলা স্তরের নিচে অসংখ্য গুহার সৃষ্টি করেছে। আর জায়গাটি কানাডার মতো দেশের বিবেচনায়ও অত্যধিক শীতল। এতে এটি হয়েছে সাপের শীতের আদর্শ আশ্রয়স্থল।
প্রতি বসন্তে এই সাপ বেরিয়ে আসার ঘটনা স্থায়ী হয় দশ দিনের মতো। তবে একেবারে নির্দিষ্ট সময়টা আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। মেঘ, শীতল তাপমাত্রা ও বৃষ্টি সাপগুলোকে তাদের পাতাল নিবাসেই রাখে।
এই সাপের বিষয়টি বাদ দিলে নারসিসকে এক রকম ভূতুড়ে শহরই বলতে পারেন। শহরটিকে টিকে থাকা সবচেয়ে নজরে পড়ার মতো স্থাপনা হলো, একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহু বছর আগে পরিত্যক্ত হওয়া একটি গ্যাস স্টেশন।
অনেক বিজ্ঞানী গবেষণার প্রয়োজনে যান জায়গাটিতে। তবে তাঁরা সাধারণত কাজ করেন বিভিন্ন ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে থাকা সাপের গর্তগুলোয়। তবে মানিটোবা ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস এমন একটি জায়গায় পার্ক তৈরি করেছেন যেখানটায় আনুমানিক ৭০ হাজার এ প্রজাতির সাপের শীতকালীন আবাস। তাঁরা অবশ্য একে সাপের গর্ত না বলে ‘স্নেক ডেন’ বা ‘সাপের গুহা’ বলতে পছন্দ করেন।
তবে এত সাপ একসঙ্গে দেখাটা যতই ভয়ংকর মনে হোক, এরা মোটেই ক্ষতিকর নয়। অর্থাৎ এই সাপ বিষধর নয়। এগুলো আপনাকে কামড়াতেও পারে, তবে তাতে আপনার সে অর্থে কোনো সমস্যা হবে না।
পার্কটিকেও অন্য সাধারণ পার্কগুলোর মতোই মনে হবে প্রথম দেখায়। বসার জায়গা, বনের ভেতর নুড়ি বিছানো পথ, তৃণভূমি নজর কাড়বে আপনার। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ চারটি বড় গর্ত। আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে ঝোপ-জঙ্গলে ঢাকা মনে হলেও কাছে যেতেই বুঝতে পারবেন এগুলোর মেঝেতে গিজগিজ করছে একটার গায়ের ওপর আরেকটা পিছলে যেতে থাকা অসংখ্য সাপ। নিজেদের পাতালের আশ্রয় ছেড়ে যারা এখানে এসেছে মিলিত হওয়ার জন্য। চওড়ায় সাপগুলোর বেশির ভাগ একটা মার্কার কলমের সমান, দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ১৮ ইঞ্চি।
স্নেক ডেনের বিভিন্ন জায়গায় বড় সাপেরা (পার্কে শোভা পাওয়া বিভিন্ন প্যানেলের লেখাগুলো যাঁরা পড়েছেন জানেন এগুলো স্ত্রী সাপ) পুরুষ সাপেদের সঙ্গে মিলে কুণ্ডলীর মতো তৈরি করেছে। এপ্রিলের শেষ ও মের গোড়ার দিকে বরফ গলে যাওয়ার ঠিক পরপর চুনাপাথরের এই গুহাগুলো থেকে সাপ বেরিয়ে আসে। লম্বা শীতনিদ্রার পর সাধারণত আগে পুরুষ সাপ জেগে ওঠে। তারপর তাদের ফাটল কিংবা গর্তের বাসা থেকে বের হয়ে মাটির ওপরে জড়ো হয় নারী সাপের অপেক্ষায়।
‘প্রথমে আমার খানিকটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়েছিল। কারণ, এগুলো একটার সঙ্গে একটি জড়িয়ে ছিল। কিন্তু যখন আপনি একটিকে হাতে তুলে নেবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে সাপগুলো মোটেই বদমেজাজি নয়।’ উইনিপেগ থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা এক নারী বলেন।
তাঁর চিকিৎসক স্বামী আবার এর তুলনা করেছেন ইন্ডিয়ানা জোন্স সিনেমার সঙ্গে। ‘মাটি কোথায় তা আপনি বলতে পারবেন না, কারণ এর ওপরে যা কিছু আছে তা কেবল নড়াচড়া করছে।’
এখানে ঠিক কত সংখ্যায় সাপ আছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে অনেকেরই ধারণা, পার্ক এলাকাতেই আছে মোটামুটি ৭০হাজার সাপ। এর বাইরে থাকা সাপের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। মোটের ওপর সংখ্যাটি লাখখানেক হতে পারে।
নারসিসের সাপগুলো একটা সময় পর্যন্ত ছিল অবহেলিত। প্রথম ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীদের অনেকেই তাদের নির্মূল করার চেষ্টা করেছিল। এগুলো পোষা প্রাণীর দোকান ও স্কুলের ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যবচ্ছেদের জন্য সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চাষ করা হতো তখন। ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে এসে এর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। কিন্তু এই সাপ এখন এই এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বছরে অন্তত একবার এদের জন্য পর্যটকের সমাগম হয় এলাকাটিতে।
মানিটোবার রাজধানী উইনিপেগ থেকে জায়গাটির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। পর্যটকদের পাশাপাশি বাসভর্তি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আসেন আশ্চর্য এই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে। কাজেই সর্পভীতি না থাকলে কানাডার পরবর্তী বসন্তে হাজির হয়ে যেতে পারেন নারসিসের সর্পরাজ্যে। ইনউডের নামে একটি গ্রামের কাছাকাছি গ্রামে অবস্থিত পার্কটিতে একে-অপরকে জড়িয়ে থাকা সারা এবং স্যাম নামে দুটি বিশাল আকারের সাপের মূর্তিও দেখা পাবেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, সিবিসি নিউজ

বিপুল সংখ্যায় চেরি ফুল যখন ফুটে বর্ণিল হয়ে ওঠে জাপানের রাজধানী টোকিও, তেমনি নেদারল্যান্ডসের নাম আছে সেখানকার আশ্চর্য সুন্দর টিউলিপ বাগানের জন্য, তবে কানাডার মানিটোবা প্রদেশের একটি শহর যে জন্য আলোচনায় সেটা একেবারেই আলাদা। বছরের নির্দিষ্ট একটি সময় প্রচণ্ড ব্যস্ততা তৈরি হয় সেখানে। তবে সেটা ওই এলাকার বাসিন্দাদের নয়, সাপের।
প্রতি বসন্তে নিয়ম করে মানিটোবায় নিজেদের পাতালের আশ্রয় থেকে বের হয়ে আসে ৭০ হাজারের বেশি সাপ। আপনার যদি সর্পভীতি থাকে আর ওই সময় সেখানে উপস্থিত হন, তাহলে নিঃসন্দেহে আঁতকে উঠবেন। কারণ এভাবে কোনো জায়গা সাপে গিজগিজ করার এমন দৃশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখতে পাবেন না। অপর দিকে সাপপ্রেমী হাজারো মানুষ বসন্তে সেখানে হাজির হন এই সরীসৃপদের দেখতে।
মানিটোবার নারসিসের থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তরে আর্মস্ট্রং এলাকায় দেখা মিলবে নারসিসে স্নেক ডেনসের। প্রতি বসন্তে কয়েক দিন ধরে এখানকার পাতালের বিভিন্ন ফাটল, গর্ত থেকে পিলপিল করে বের হয়ে আসতে দেখা যায় রেড সাইডেড গারটার স্নেক নামে পরিচিত এই সাপগুলোকে। উদ্দেশ্য, মিলিত হয়ে সন্তান উৎপাদন।
মজার ঘটনা নারসিসের আশপাশের এলাকা সাপগুলোর যে কারণে পছন্দ, ঠিক একই কারণে অনেক কৃষক একে পরিত্যক্ত রেখে চলে গেছেন কয়েক দশক আগে। চুনাপাথরের ওপরে এখানে পাতলা মাটির আস্তর। পানির প্রবাহে ধীরে ধীরে ওই পাতলা স্তরের নিচে অসংখ্য গুহার সৃষ্টি করেছে। আর জায়গাটি কানাডার মতো দেশের বিবেচনায়ও অত্যধিক শীতল। এতে এটি হয়েছে সাপের শীতের আদর্শ আশ্রয়স্থল।
প্রতি বসন্তে এই সাপ বেরিয়ে আসার ঘটনা স্থায়ী হয় দশ দিনের মতো। তবে একেবারে নির্দিষ্ট সময়টা আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। মেঘ, শীতল তাপমাত্রা ও বৃষ্টি সাপগুলোকে তাদের পাতাল নিবাসেই রাখে।
এই সাপের বিষয়টি বাদ দিলে নারসিসকে এক রকম ভূতুড়ে শহরই বলতে পারেন। শহরটিকে টিকে থাকা সবচেয়ে নজরে পড়ার মতো স্থাপনা হলো, একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহু বছর আগে পরিত্যক্ত হওয়া একটি গ্যাস স্টেশন।
অনেক বিজ্ঞানী গবেষণার প্রয়োজনে যান জায়গাটিতে। তবে তাঁরা সাধারণত কাজ করেন বিভিন্ন ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে থাকা সাপের গর্তগুলোয়। তবে মানিটোবা ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস এমন একটি জায়গায় পার্ক তৈরি করেছেন যেখানটায় আনুমানিক ৭০ হাজার এ প্রজাতির সাপের শীতকালীন আবাস। তাঁরা অবশ্য একে সাপের গর্ত না বলে ‘স্নেক ডেন’ বা ‘সাপের গুহা’ বলতে পছন্দ করেন।
তবে এত সাপ একসঙ্গে দেখাটা যতই ভয়ংকর মনে হোক, এরা মোটেই ক্ষতিকর নয়। অর্থাৎ এই সাপ বিষধর নয়। এগুলো আপনাকে কামড়াতেও পারে, তবে তাতে আপনার সে অর্থে কোনো সমস্যা হবে না।
পার্কটিকেও অন্য সাধারণ পার্কগুলোর মতোই মনে হবে প্রথম দেখায়। বসার জায়গা, বনের ভেতর নুড়ি বিছানো পথ, তৃণভূমি নজর কাড়বে আপনার। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ চারটি বড় গর্ত। আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে ঝোপ-জঙ্গলে ঢাকা মনে হলেও কাছে যেতেই বুঝতে পারবেন এগুলোর মেঝেতে গিজগিজ করছে একটার গায়ের ওপর আরেকটা পিছলে যেতে থাকা অসংখ্য সাপ। নিজেদের পাতালের আশ্রয় ছেড়ে যারা এখানে এসেছে মিলিত হওয়ার জন্য। চওড়ায় সাপগুলোর বেশির ভাগ একটা মার্কার কলমের সমান, দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ১৮ ইঞ্চি।
স্নেক ডেনের বিভিন্ন জায়গায় বড় সাপেরা (পার্কে শোভা পাওয়া বিভিন্ন প্যানেলের লেখাগুলো যাঁরা পড়েছেন জানেন এগুলো স্ত্রী সাপ) পুরুষ সাপেদের সঙ্গে মিলে কুণ্ডলীর মতো তৈরি করেছে। এপ্রিলের শেষ ও মের গোড়ার দিকে বরফ গলে যাওয়ার ঠিক পরপর চুনাপাথরের এই গুহাগুলো থেকে সাপ বেরিয়ে আসে। লম্বা শীতনিদ্রার পর সাধারণত আগে পুরুষ সাপ জেগে ওঠে। তারপর তাদের ফাটল কিংবা গর্তের বাসা থেকে বের হয়ে মাটির ওপরে জড়ো হয় নারী সাপের অপেক্ষায়।
‘প্রথমে আমার খানিকটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়েছিল। কারণ, এগুলো একটার সঙ্গে একটি জড়িয়ে ছিল। কিন্তু যখন আপনি একটিকে হাতে তুলে নেবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে সাপগুলো মোটেই বদমেজাজি নয়।’ উইনিপেগ থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা এক নারী বলেন।
তাঁর চিকিৎসক স্বামী আবার এর তুলনা করেছেন ইন্ডিয়ানা জোন্স সিনেমার সঙ্গে। ‘মাটি কোথায় তা আপনি বলতে পারবেন না, কারণ এর ওপরে যা কিছু আছে তা কেবল নড়াচড়া করছে।’
এখানে ঠিক কত সংখ্যায় সাপ আছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে অনেকেরই ধারণা, পার্ক এলাকাতেই আছে মোটামুটি ৭০হাজার সাপ। এর বাইরে থাকা সাপের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। মোটের ওপর সংখ্যাটি লাখখানেক হতে পারে।
নারসিসের সাপগুলো একটা সময় পর্যন্ত ছিল অবহেলিত। প্রথম ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীদের অনেকেই তাদের নির্মূল করার চেষ্টা করেছিল। এগুলো পোষা প্রাণীর দোকান ও স্কুলের ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যবচ্ছেদের জন্য সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চাষ করা হতো তখন। ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে এসে এর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। কিন্তু এই সাপ এখন এই এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বছরে অন্তত একবার এদের জন্য পর্যটকের সমাগম হয় এলাকাটিতে।
মানিটোবার রাজধানী উইনিপেগ থেকে জায়গাটির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। পর্যটকদের পাশাপাশি বাসভর্তি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আসেন আশ্চর্য এই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে। কাজেই সর্পভীতি না থাকলে কানাডার পরবর্তী বসন্তে হাজির হয়ে যেতে পারেন নারসিসের সর্পরাজ্যে। ইনউডের নামে একটি গ্রামের কাছাকাছি গ্রামে অবস্থিত পার্কটিতে একে-অপরকে জড়িয়ে থাকা সারা এবং স্যাম নামে দুটি বিশাল আকারের সাপের মূর্তিও দেখা পাবেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, সিবিসি নিউজ

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
২ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৫ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

কানাডার প্রদেশ মানিটোবার এক পার্কে প্রতি বছরের বসন্তে জন্ম হয় আশ্চর্য এক দৃশ্যের। তবে আপনার যদি সর্পভীতি থাকে তবে ওই সময় সেখানে না যাওয়াটাই ভালো। তখন নিজেদের শীতের আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে হাজারে হাজারে সাপ। এক জায়গায় এত সাপ দেখার এমন সুযোগ পৃথিবীর আর কোথাও পাবেন বলে মনে হয় না।
১৫ আগস্ট ২০২৩
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৫ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

কানাডার প্রদেশ মানিটোবার এক পার্কে প্রতি বছরের বসন্তে জন্ম হয় আশ্চর্য এক দৃশ্যের। তবে আপনার যদি সর্পভীতি থাকে তবে ওই সময় সেখানে না যাওয়াটাই ভালো। তখন নিজেদের শীতের আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে হাজারে হাজারে সাপ। এক জায়গায় এত সাপ দেখার এমন সুযোগ পৃথিবীর আর কোথাও পাবেন বলে মনে হয় না।
১৫ আগস্ট ২০২৩
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
২ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

কানাডার প্রদেশ মানিটোবার এক পার্কে প্রতি বছরের বসন্তে জন্ম হয় আশ্চর্য এক দৃশ্যের। তবে আপনার যদি সর্পভীতি থাকে তবে ওই সময় সেখানে না যাওয়াটাই ভালো। তখন নিজেদের শীতের আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে হাজারে হাজারে সাপ। এক জায়গায় এত সাপ দেখার এমন সুযোগ পৃথিবীর আর কোথাও পাবেন বলে মনে হয় না।
১৫ আগস্ট ২০২৩
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
২ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৫ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

কানাডার প্রদেশ মানিটোবার এক পার্কে প্রতি বছরের বসন্তে জন্ম হয় আশ্চর্য এক দৃশ্যের। তবে আপনার যদি সর্পভীতি থাকে তবে ওই সময় সেখানে না যাওয়াটাই ভালো। তখন নিজেদের শীতের আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে হাজারে হাজারে সাপ। এক জায়গায় এত সাপ দেখার এমন সুযোগ পৃথিবীর আর কোথাও পাবেন বলে মনে হয় না।
১৫ আগস্ট ২০২৩
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
২ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৫ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৫ দিন আগে