ইশতিয়াক হাসান

প্রচণ্ড গরমে কিছুদিন পার করার পর এখন নিয়ম করে হানা দিচ্ছে কালবৈশাখী। সঙ্গে আছে বৃষ্টি আর মুহুর্মুহু বজ্রপাত। গতকাল শনিবারই দেশে অন্তত ১০ জন বজ্রপাতে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্বাভাবিকভাবেই কারও শরীরে বাজ পড়ার পর বেঁচে যাওয়াটা বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। আবার একজন একাধিকবার বজ্রপাতের শিকার হবেন, এটা ভাবাও একটু বাড়াবাড়ি।
তবে মার্কিন নাগরিক রয় সি. সালিভানের বেলায় এসব সম্ভাবনা, আশঙ্কা কোনো কিছুই খাটে না। কারণ জীবনে সাতবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছেন এই ভদ্রলোক। আর কী আশ্চর্য! লাখ লাখ ভোল্ট বিদ্যুৎসহ তাঁর ওপর চড়াও হওয়া বাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে যেন প্রতিবারই বেঁচে যান তিনি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবে, ভার্জিনিয়ার একটি পার্কের প্রাক্তন রেঞ্জার রয় সি. সুলিভানের ঝুলিতেই সবচেয়ে বেশিবার বাজ পড়ার এবং বেঁচে যাওয়ার রেকর্ড। এই রেকর্ড শিগগিরই কেউ ভাঙবেন বলে মনে হয় না। অবশ্য এ ধরনের রেকর্ডের মুখোমুখি হতেও কারও আগ্রহ আছে বলেও মনে হয় না।
১৯১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভার্জিনিয়ার গ্রিন কান্ট্রিতে জন্ম রয় সুলিভানের। ব্লু রিজ মাউন্টেন এলাকায় বেড়ে ওঠা সালিভানরা ছিলেন এগারো ভাইবোন। ১৯৩৬ সালে শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কে রেঞ্জার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।
প্রথম আঘাত
১৯৪২ সালের এপ্রিল। নতুন তৈরি হওয়া একটি টাওয়ারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখনো এটায় বজ্রপাত প্রতিরোধী রড বা দণ্ড স্থাপন করা হয়নি। দালানটির ওপর আটবার বাজ পড়ে এ সময়। ভেতরে চারপাশে আগুন যেন ছোটাছুটি করছিল। বাঁচার জন্য টাওয়ার থেকে বের হয়ে দৌড় দিলেন সালিভান। তবে দরজা পেরিয়ে কয়েক ফুট যেতে না যেতেই বজ্রপাতের শিকার হন। এতে সাকল্যে তাঁর যে ক্ষতি হয় তা হলো, পায়ের আধা ইঞ্চি জায়গার চামড়া পুড়ে যাওয়া এবং জুতো পুড়ে তৈরি হওয়া একটি গর্ত।
দ্বিতীয় আঘাত
জুলাই, ১৯৬৯। পাহাড়ি একটা রাস্তা ধরে নিজের ট্রাকটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সালিভান। এ সময় কাছের একটি গাছে বাজ পড়ে এবং সেখানে বারি খেয়ে ট্রাকের খোলা জানালা দিয়ে এসে আঘাত করে সালিভানকে। এতে তাঁর চোখের পাতা ও ভ্রু পুড়ে যায়। সেই সঙ্গে আগুন ধরে যায় চুলে। এ সময় অজ্ঞান হয়ে পড়লেও বেঁচে যান তিনি। সৌভাগ্যক্রমে ট্রাকটি একটা পাহাড়ি খাদের কিনারে এসে থেমে যায়।
তৃতীয় আঘাত
পরের বছরের একই মাস, অর্থাৎ ১৯৭০ সালের জুলাইয়ের ঘটনা, সালিভান বাড়ির সামনের উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময়ই কাছের একটি ট্রান্সফরমারে বাজ পড়ে এবং সেখান থেকে লাফিয়ে এসে আঘাত হানে সালিভানের বাঁ কাঁধে। এতে লোহার শলাকার একটা ছ্যাঁকা খেলে মোটামুটি যে অনুভূতি কিংবা ক্ষতি হয়, এর বেশি কিছু হয়নি তাঁর।
চতুর্থ আঘাত
১৯৭২ সালের বসন্ত, শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কের ভেতরের স্টেশনে কাজ করছিলেন সালিভান। এ সময় আবার বাজ পড়ল তাঁর ওপর। এতে চুলে আগুন ধরে যায় তাঁর। দৌড়ে টেপের কাছে গেলেন আগুন নেভানোর জন্য। তবে মাথা কায়দামতো ঢোকাতে না পারায় ভেজা তোয়ালে দিয়ে নেভান চুলের আগুন।
পঞ্চম আঘাত
১৯৭৩ সালের ৭ আগস্ট। ট্রাক নিয়ে পার্কে টহল দিচ্ছিলেন সালিভান। এ সময়ই ঘন কালো মেঘ দেখলেন একটু দূরে। কথায় আছে, ‘ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়’। সালিভানের সেই অবস্থা তখন বজ্রপাতের শিকার হতে হতে। উল্টো দিকে গাড়ি ছোটালেন তিনি। যখন নিশ্চিত হলেন নিরাপদ দূরত্বে চলে এসেছেন, লাফিয়ে ট্রাক থেকে নামলেন। আর তখনই বাজ পড়ল তাঁর ওপর। আশ্চর্যজনক ব্যাপার, এবারও তাঁর চুলে আগুন ধরল। সেই সঙ্গে দুই পায়ে হালকা ক্ষত তৈরি করল আগুন। হামাগুড়ি দিয়ে কোনোমতে ট্রাকে উঠে পানির ক্যান নিয়ে নেভালেন চুলের আগুন।
ষষ্ঠ আঘাত
১৯৭৬ সালের ৫ জুন। বাইরে হাঁটাহাঁটি করছিলেন সালিভান। এ সময় হোঁচট খেয়ে গোড়ালিতে ব্যথা পেলেন। তখনই ঘন কালো মেঘ নজর কাড়ল তাঁর। কোনোভাবে উঠে দাঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু আবার বাজ পড়ল তাঁর ওপর, ফলাফল আবারও আগুন জ্বলল চুলে।
সপ্তম আঘাত
১৯৭৭ সালের ২৫ জুনের সকাল। স্থানীয় একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন সালিভান। এ সময় সপ্তম ও শেষবারের মতো বজ্রপাতের শিকার হলেন। এবারও মাথার ওপরের দিকে আঘাত হেনে এটা চুলে আগুন ধরিয়ে দিল তাঁর। পড়ে নেমে এসে বুকে আর পেটেও কিছু ক্ষত সৃষ্টি করে।
সৌভাগ্যক্রমে বজ্রপাতের সঙ্গে রয় সালিভানের সম্পর্কের ইতি ঘটে এর মাধ্যমে। ১৯৮৩ সালে ৭১ বছর বয়সে মারা যাওয়া পর্যন্ত আর কখনো বজ্রপাতের শিকার হননি তিনি।
তাঁর বজ্রপাতের শিকার হওয়ার সাতটি ঘটনাই লিপিবদ্ধ করেন শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কের সুপারিনটেনডেন্ট আর. টেইলর হসকিনস। সালিভানের দাবি, বালক বয়সে বাবাকে খেত থেকে গম কাটায় সাহায্য করার সময় আরও একবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছিলেন। বাজটা কাস্তেতে আঘাত হানলেও কোনো ক্ষতি হয়নি তাঁর। তবে সালিভানের এই বজ্রপাতের শিকার হওয়ার ঘটনাটি প্রমাণ করা সম্ভব না হওয়ায় রেকর্ড বুকে স্থান পায়নি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় নাম ওঠা এবং কিছুটা খ্যাতি পেলেও বারবার বজ্রপাতের শিকার হওয়ার কারণে সামাজিকভাবে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় রয়কে। তাঁর কাছাকাছি থাকতে লোকেরা ভয় পেত, পাছে আবার তাঁর সঙ্গে বজ্রপাতের শিকার হয়! এ প্রসঙ্গে সালিভানের জীবনে ঘটা আরেকটি আশ্চর্য ঘটনার উল্লেখ করা যেতে পারে। বাড়ির পেছনে কাপড় শুকাচ্ছিলেন সালিভানের স্ত্রী। তাঁকে সাহায্য করছিলেন সালিভান। এ সময় তাঁর স্ত্রী বজ্রপাতের শিকার হন, যদিও সেবার রেহাই পান সালিভান।
এমনিতে একজন মানুষের আনুমানিক ৮০ বছরের জীবনে বজ্রপাতের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ১০ হাজার থেকে বারো হাজার ভাগের এক ভাগ। আর একাধিকবার কারও ওপর বাজ পড়ার সুযোগ স্বাভাবিকভাবেই আরও কম। তবে এসব হিসেব-নিকাশ রয় সালিভানের সঙ্গে যে কোনোভাবেই যায় না, সে বিষয়ে এ লেখা পড়ার পর আপনার মনে নিশ্চয় আর কোনো সন্দেহ নেই!
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, আইরিশ সেস্ট্রাল ডট কম

প্রচণ্ড গরমে কিছুদিন পার করার পর এখন নিয়ম করে হানা দিচ্ছে কালবৈশাখী। সঙ্গে আছে বৃষ্টি আর মুহুর্মুহু বজ্রপাত। গতকাল শনিবারই দেশে অন্তত ১০ জন বজ্রপাতে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্বাভাবিকভাবেই কারও শরীরে বাজ পড়ার পর বেঁচে যাওয়াটা বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। আবার একজন একাধিকবার বজ্রপাতের শিকার হবেন, এটা ভাবাও একটু বাড়াবাড়ি।
তবে মার্কিন নাগরিক রয় সি. সালিভানের বেলায় এসব সম্ভাবনা, আশঙ্কা কোনো কিছুই খাটে না। কারণ জীবনে সাতবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছেন এই ভদ্রলোক। আর কী আশ্চর্য! লাখ লাখ ভোল্ট বিদ্যুৎসহ তাঁর ওপর চড়াও হওয়া বাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে যেন প্রতিবারই বেঁচে যান তিনি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবে, ভার্জিনিয়ার একটি পার্কের প্রাক্তন রেঞ্জার রয় সি. সুলিভানের ঝুলিতেই সবচেয়ে বেশিবার বাজ পড়ার এবং বেঁচে যাওয়ার রেকর্ড। এই রেকর্ড শিগগিরই কেউ ভাঙবেন বলে মনে হয় না। অবশ্য এ ধরনের রেকর্ডের মুখোমুখি হতেও কারও আগ্রহ আছে বলেও মনে হয় না।
১৯১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভার্জিনিয়ার গ্রিন কান্ট্রিতে জন্ম রয় সুলিভানের। ব্লু রিজ মাউন্টেন এলাকায় বেড়ে ওঠা সালিভানরা ছিলেন এগারো ভাইবোন। ১৯৩৬ সালে শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কে রেঞ্জার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।
প্রথম আঘাত
১৯৪২ সালের এপ্রিল। নতুন তৈরি হওয়া একটি টাওয়ারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখনো এটায় বজ্রপাত প্রতিরোধী রড বা দণ্ড স্থাপন করা হয়নি। দালানটির ওপর আটবার বাজ পড়ে এ সময়। ভেতরে চারপাশে আগুন যেন ছোটাছুটি করছিল। বাঁচার জন্য টাওয়ার থেকে বের হয়ে দৌড় দিলেন সালিভান। তবে দরজা পেরিয়ে কয়েক ফুট যেতে না যেতেই বজ্রপাতের শিকার হন। এতে সাকল্যে তাঁর যে ক্ষতি হয় তা হলো, পায়ের আধা ইঞ্চি জায়গার চামড়া পুড়ে যাওয়া এবং জুতো পুড়ে তৈরি হওয়া একটি গর্ত।
দ্বিতীয় আঘাত
জুলাই, ১৯৬৯। পাহাড়ি একটা রাস্তা ধরে নিজের ট্রাকটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সালিভান। এ সময় কাছের একটি গাছে বাজ পড়ে এবং সেখানে বারি খেয়ে ট্রাকের খোলা জানালা দিয়ে এসে আঘাত করে সালিভানকে। এতে তাঁর চোখের পাতা ও ভ্রু পুড়ে যায়। সেই সঙ্গে আগুন ধরে যায় চুলে। এ সময় অজ্ঞান হয়ে পড়লেও বেঁচে যান তিনি। সৌভাগ্যক্রমে ট্রাকটি একটা পাহাড়ি খাদের কিনারে এসে থেমে যায়।
তৃতীয় আঘাত
পরের বছরের একই মাস, অর্থাৎ ১৯৭০ সালের জুলাইয়ের ঘটনা, সালিভান বাড়ির সামনের উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময়ই কাছের একটি ট্রান্সফরমারে বাজ পড়ে এবং সেখান থেকে লাফিয়ে এসে আঘাত হানে সালিভানের বাঁ কাঁধে। এতে লোহার শলাকার একটা ছ্যাঁকা খেলে মোটামুটি যে অনুভূতি কিংবা ক্ষতি হয়, এর বেশি কিছু হয়নি তাঁর।
চতুর্থ আঘাত
১৯৭২ সালের বসন্ত, শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কের ভেতরের স্টেশনে কাজ করছিলেন সালিভান। এ সময় আবার বাজ পড়ল তাঁর ওপর। এতে চুলে আগুন ধরে যায় তাঁর। দৌড়ে টেপের কাছে গেলেন আগুন নেভানোর জন্য। তবে মাথা কায়দামতো ঢোকাতে না পারায় ভেজা তোয়ালে দিয়ে নেভান চুলের আগুন।
পঞ্চম আঘাত
১৯৭৩ সালের ৭ আগস্ট। ট্রাক নিয়ে পার্কে টহল দিচ্ছিলেন সালিভান। এ সময়ই ঘন কালো মেঘ দেখলেন একটু দূরে। কথায় আছে, ‘ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়’। সালিভানের সেই অবস্থা তখন বজ্রপাতের শিকার হতে হতে। উল্টো দিকে গাড়ি ছোটালেন তিনি। যখন নিশ্চিত হলেন নিরাপদ দূরত্বে চলে এসেছেন, লাফিয়ে ট্রাক থেকে নামলেন। আর তখনই বাজ পড়ল তাঁর ওপর। আশ্চর্যজনক ব্যাপার, এবারও তাঁর চুলে আগুন ধরল। সেই সঙ্গে দুই পায়ে হালকা ক্ষত তৈরি করল আগুন। হামাগুড়ি দিয়ে কোনোমতে ট্রাকে উঠে পানির ক্যান নিয়ে নেভালেন চুলের আগুন।
ষষ্ঠ আঘাত
১৯৭৬ সালের ৫ জুন। বাইরে হাঁটাহাঁটি করছিলেন সালিভান। এ সময় হোঁচট খেয়ে গোড়ালিতে ব্যথা পেলেন। তখনই ঘন কালো মেঘ নজর কাড়ল তাঁর। কোনোভাবে উঠে দাঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু আবার বাজ পড়ল তাঁর ওপর, ফলাফল আবারও আগুন জ্বলল চুলে।
সপ্তম আঘাত
১৯৭৭ সালের ২৫ জুনের সকাল। স্থানীয় একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন সালিভান। এ সময় সপ্তম ও শেষবারের মতো বজ্রপাতের শিকার হলেন। এবারও মাথার ওপরের দিকে আঘাত হেনে এটা চুলে আগুন ধরিয়ে দিল তাঁর। পড়ে নেমে এসে বুকে আর পেটেও কিছু ক্ষত সৃষ্টি করে।
সৌভাগ্যক্রমে বজ্রপাতের সঙ্গে রয় সালিভানের সম্পর্কের ইতি ঘটে এর মাধ্যমে। ১৯৮৩ সালে ৭১ বছর বয়সে মারা যাওয়া পর্যন্ত আর কখনো বজ্রপাতের শিকার হননি তিনি।
তাঁর বজ্রপাতের শিকার হওয়ার সাতটি ঘটনাই লিপিবদ্ধ করেন শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কের সুপারিনটেনডেন্ট আর. টেইলর হসকিনস। সালিভানের দাবি, বালক বয়সে বাবাকে খেত থেকে গম কাটায় সাহায্য করার সময় আরও একবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছিলেন। বাজটা কাস্তেতে আঘাত হানলেও কোনো ক্ষতি হয়নি তাঁর। তবে সালিভানের এই বজ্রপাতের শিকার হওয়ার ঘটনাটি প্রমাণ করা সম্ভব না হওয়ায় রেকর্ড বুকে স্থান পায়নি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় নাম ওঠা এবং কিছুটা খ্যাতি পেলেও বারবার বজ্রপাতের শিকার হওয়ার কারণে সামাজিকভাবে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় রয়কে। তাঁর কাছাকাছি থাকতে লোকেরা ভয় পেত, পাছে আবার তাঁর সঙ্গে বজ্রপাতের শিকার হয়! এ প্রসঙ্গে সালিভানের জীবনে ঘটা আরেকটি আশ্চর্য ঘটনার উল্লেখ করা যেতে পারে। বাড়ির পেছনে কাপড় শুকাচ্ছিলেন সালিভানের স্ত্রী। তাঁকে সাহায্য করছিলেন সালিভান। এ সময় তাঁর স্ত্রী বজ্রপাতের শিকার হন, যদিও সেবার রেহাই পান সালিভান।
এমনিতে একজন মানুষের আনুমানিক ৮০ বছরের জীবনে বজ্রপাতের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ১০ হাজার থেকে বারো হাজার ভাগের এক ভাগ। আর একাধিকবার কারও ওপর বাজ পড়ার সুযোগ স্বাভাবিকভাবেই আরও কম। তবে এসব হিসেব-নিকাশ রয় সালিভানের সঙ্গে যে কোনোভাবেই যায় না, সে বিষয়ে এ লেখা পড়ার পর আপনার মনে নিশ্চয় আর কোনো সন্দেহ নেই!
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, আইরিশ সেস্ট্রাল ডট কম

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
২ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৩ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৬ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

একজন মানুষ একাধিকবার বজ্রপাতের শিকার হবেন এটা ভাবা একটু বাড়াবাড়িই। কিন্তু মার্কিন নাগরিক রয় সি. সালিভান সাধারণ হিসেব–নিকাশের বাইরে। জীবনে সাতবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছেন এই ভদ্রলোক। আর কী আশ্চর্য! লাখ লাখ ভোল্ট বিদ্যুৎসহ তাঁর ওপর চড়াও হওয়া বাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে যেন প্রতিবারই বেঁচে যান তিনি।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৩ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৬ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

একজন মানুষ একাধিকবার বজ্রপাতের শিকার হবেন এটা ভাবা একটু বাড়াবাড়িই। কিন্তু মার্কিন নাগরিক রয় সি. সালিভান সাধারণ হিসেব–নিকাশের বাইরে। জীবনে সাতবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছেন এই ভদ্রলোক। আর কী আশ্চর্য! লাখ লাখ ভোল্ট বিদ্যুৎসহ তাঁর ওপর চড়াও হওয়া বাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে যেন প্রতিবারই বেঁচে যান তিনি।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
২ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৬ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

একজন মানুষ একাধিকবার বজ্রপাতের শিকার হবেন এটা ভাবা একটু বাড়াবাড়িই। কিন্তু মার্কিন নাগরিক রয় সি. সালিভান সাধারণ হিসেব–নিকাশের বাইরে। জীবনে সাতবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছেন এই ভদ্রলোক। আর কী আশ্চর্য! লাখ লাখ ভোল্ট বিদ্যুৎসহ তাঁর ওপর চড়াও হওয়া বাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে যেন প্রতিবারই বেঁচে যান তিনি।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
২ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৩ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

একজন মানুষ একাধিকবার বজ্রপাতের শিকার হবেন এটা ভাবা একটু বাড়াবাড়িই। কিন্তু মার্কিন নাগরিক রয় সি. সালিভান সাধারণ হিসেব–নিকাশের বাইরে। জীবনে সাতবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছেন এই ভদ্রলোক। আর কী আশ্চর্য! লাখ লাখ ভোল্ট বিদ্যুৎসহ তাঁর ওপর চড়াও হওয়া বাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে যেন প্রতিবারই বেঁচে যান তিনি।
৩০ এপ্রিল ২০২৩
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
২ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৩ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৬ দিন আগে