ইশতিয়াক হাসান

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ছোট্ট এক গ্রাম হমফিল্ড। এমনিতে গ্রামটি নিয়ে মাতামাতির তেমন কোনো কারণ ছিল না। তবে বছর কয়েক ধরে অপ্রত্যাশিত একটি কারণে নজর কাড়ছে গ্রামটি। এখানকার মানুষ রহস্যময় এক শব্দ শুনতে পান। এই শব্দের উৎস কী, সেটাও এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
মজার ব্যাপার, গ্রামের সবাই এই শব্দ শুনতে পায় না। আর যাঁরা শোনেন তাঁরা বলেন, এটা তাঁদের জীবনের ওপর বেশ খারাপ একটি প্রভাব ফেলছে। গুনগুন বা মৃদু গুঞ্জনের মতো এই শব্দ এতটাই পরিচিতি পেয়ে গেছে, এখন এর নামই হয়ে গেছে হমফিল্ড হাম। ২০১৯ সালে এর আবির্ভাবের পর থেকে একে নিয়ে ইউরোপের নামী সংবাদপত্রগুলোতেও মাতামাতি কম হয়নি।
তবে এখন পর্যন্ত আশ্চর্য এই শব্দের উৎস খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত চালিয়েও কোনো সুফল পায়নি। এমনকি তদন্তে একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েও লাভ হয়নি।
হমফিল্ডের যেসব বাসিন্দা শব্দটি শুনেছেন, তাঁরা একে তুলনা করেছেন ওয়াশিং মেশিন ঘোরার শব্দ কিংবা খুব ধীরেসুস্থে চলা ডিজেল ইঞ্জিনের মৃদু শব্দের সঙ্গে। তাঁরা বলছেন, একে পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর শব্দগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা না গেলেও এটি একজন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বেশ প্রভাব বিস্তার করে।
শুধু তাই নয়, ক্রমাগত এমন একটা শব্দ, তা সেটা যতই মৃদু হোক না কেন, শুনতে থাকার ঝক্কি কম নয়। এটি গ্রামবাসীর ঘুম এমনকি মেজাজ-মর্জির ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কেউ কেউ দাবি করেন, এটি অনেক সময় সহ্য করার পর্যায়ে থাকে না, এমনকি নার্ভাস ব্রেক ডাউনের পর্যায়ে চলে যায়।
‘আমার বাড়িটাকে ভালোবাসি আমি। তবে কোনো কোনো দিন আবার প্রচণ্ড ঘৃণার জন্ম নেয় এর প্রতি। তখন মনে হয় এখানে সুখী হওয়ার মতো কোনো জায়গাই আর নেই।’ হমফিল্ডের বাসিন্দা ইভন্নে কনার বলেন বিবিসিকে, ‘শব্দটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে কানের পর্দায় এসে বাজে। কেমন একটা অনুরণনের মতো। অদ্ভুত একটা চাপ তৈরি করে।’ নিজের বাড়ির উঁচু সিলিংয়ের কিচেনে বসে কথা বলার সময়ও তিনি বলছিলেন শব্দটা তাঁর চারপাশে পাক খাচ্ছে, যেমন এটির কবল থেকে নিস্তার পান না বেশির ভাগ দিন-রাতে।
‘এর কারণে রাতে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।’ বলেন স্থানীয় বাসিন্দা জোয়ে মিলার, ‘এখান থেকে সরে যাওয়ার কথাও ভেবেছি, কিন্তু আমাদের কোনো দোষ নেই, যেটায় তার জন্য কেন এটা করতে হবে আমাদের।’
ধারণা করা হয়, লো ফ্রিকোয়েন্সি বা কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের এই শব্দ ১০ হার্জ থেকে ২০০ হার্জ পর্যন্ত। ইয়ার কিংবা হেডফোনের সাহায্য নিয়েও এর থেকে নিস্তার মেলে না। রাতে যখন নিশ্চুপ হয়ে যায় চারপাশ, তখন বেড়ে যায় শব্দের তীব্রতা।
কনার, মিলারসহ অন্য যারা রহস্যময় এই শব্দ শোনার কথা বলেন, তাঁরা জানান, ২০১৯ সাল থেকেই নিয়মিত এই উপদ্রবের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় কাউন্সিলের কাছে এর উৎস আবিষ্কারের জন্য বারবার আবেদন করে এলেও এখন পর্যন্ত কেউই বলতে পারেননি কোথা থেকে আসছে এই শব্দ। তদন্তের সময় গ্রাম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, সম্ভাব্য তিনটি উৎস শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, তবে শেষ পর্যন্ত জানানো হয়, কারণটা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
‘আমরা তদন্তে নিজেদের পুরোটা সামর্থ্য ঢেলে দিয়েছিলাম। সম্ভাব্য প্রতিটি বিষয়েরই খোঁজ নিয়েছিলাম। কারণ আমরা এখানকার বাসিন্দাদের কথা ভাবি। জানি কিছু বাসিন্দার ওপর শব্দটা কেমন প্রভাব বিস্তার করছে।’ ইয়র্কশায়ার লাইভকে বলেন কাউন্সিলর জেনি লিন।
ব্যর্থ তদন্ত হমফিল্ডের অনেক বাসিন্দাকে প্রচণ্ড হতাশ করে। এর অর্থ তাঁদের এই অনবরত হওয়া মৃদু শব্দকে সঙ্গী করে এখানে থাকতে হবে, নতুবা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, মৃদু তরঙ্গের এই গুনগুন কিংবা গুঞ্জনের মতো শব্দের উৎস খুঁজে বের করাটা সত্যিই মুশকিল। তারপর আবার গ্রামটির সবাই এই শব্দ শুনতে না পাওয়া পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
হমফিল্ড গ্রামটির অবস্থান উপত্যকার নিচের দিকে। একে চারপাশ থেকে ঘিরে আছে নানা শিল্পকারখানা, একটি সময় পর্যন্ত এগুলোকেই শব্দের জন্য দায়ী করতেন হমফিল্ডের বাসিন্দারা। তবে তদন্তে হমফিল্ডের শোনা সেই আশ্চর্য শব্দের সঙ্গে কারখানাগুলোকে জড়ানোর মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শ্রুতিবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ পিটার রজারস বিবিসিকে বলেন, বিষয়টি খুব জটিল। ‘বিখ্যাত’ এই গুঞ্জন শিল্পকারখানার কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে হতে পারে, যেটা কেবল নির্দিষ্ট কিছু মানুষ শুনতে পান। সাধারণ, মামুলি কোনো বিষয়ও এর জন্য দায়ী হতে পারে, যেমন পাইপের মধ্য দিয়ে পানির প্রবাহ, ট্রান্সফরমার কিংবা টেলিগ্রাফ পোল থেকে তৈরি মৃদু আওয়াজ।
‘সমস্যাটা হলো, এটা কোথা থেকে আসছে সেটি খুঁজে বের করা। এটা অনেকটা সেই খড়ের গাদায় সুচ খুঁজে পাওয়ার মতোই।’ বলেন রজারস।
সূত্র: বিবিসি, অডিটি সেন্ট্রাল

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ছোট্ট এক গ্রাম হমফিল্ড। এমনিতে গ্রামটি নিয়ে মাতামাতির তেমন কোনো কারণ ছিল না। তবে বছর কয়েক ধরে অপ্রত্যাশিত একটি কারণে নজর কাড়ছে গ্রামটি। এখানকার মানুষ রহস্যময় এক শব্দ শুনতে পান। এই শব্দের উৎস কী, সেটাও এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
মজার ব্যাপার, গ্রামের সবাই এই শব্দ শুনতে পায় না। আর যাঁরা শোনেন তাঁরা বলেন, এটা তাঁদের জীবনের ওপর বেশ খারাপ একটি প্রভাব ফেলছে। গুনগুন বা মৃদু গুঞ্জনের মতো এই শব্দ এতটাই পরিচিতি পেয়ে গেছে, এখন এর নামই হয়ে গেছে হমফিল্ড হাম। ২০১৯ সালে এর আবির্ভাবের পর থেকে একে নিয়ে ইউরোপের নামী সংবাদপত্রগুলোতেও মাতামাতি কম হয়নি।
তবে এখন পর্যন্ত আশ্চর্য এই শব্দের উৎস খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত চালিয়েও কোনো সুফল পায়নি। এমনকি তদন্তে একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েও লাভ হয়নি।
হমফিল্ডের যেসব বাসিন্দা শব্দটি শুনেছেন, তাঁরা একে তুলনা করেছেন ওয়াশিং মেশিন ঘোরার শব্দ কিংবা খুব ধীরেসুস্থে চলা ডিজেল ইঞ্জিনের মৃদু শব্দের সঙ্গে। তাঁরা বলছেন, একে পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর শব্দগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা না গেলেও এটি একজন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বেশ প্রভাব বিস্তার করে।
শুধু তাই নয়, ক্রমাগত এমন একটা শব্দ, তা সেটা যতই মৃদু হোক না কেন, শুনতে থাকার ঝক্কি কম নয়। এটি গ্রামবাসীর ঘুম এমনকি মেজাজ-মর্জির ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কেউ কেউ দাবি করেন, এটি অনেক সময় সহ্য করার পর্যায়ে থাকে না, এমনকি নার্ভাস ব্রেক ডাউনের পর্যায়ে চলে যায়।
‘আমার বাড়িটাকে ভালোবাসি আমি। তবে কোনো কোনো দিন আবার প্রচণ্ড ঘৃণার জন্ম নেয় এর প্রতি। তখন মনে হয় এখানে সুখী হওয়ার মতো কোনো জায়গাই আর নেই।’ হমফিল্ডের বাসিন্দা ইভন্নে কনার বলেন বিবিসিকে, ‘শব্দটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে কানের পর্দায় এসে বাজে। কেমন একটা অনুরণনের মতো। অদ্ভুত একটা চাপ তৈরি করে।’ নিজের বাড়ির উঁচু সিলিংয়ের কিচেনে বসে কথা বলার সময়ও তিনি বলছিলেন শব্দটা তাঁর চারপাশে পাক খাচ্ছে, যেমন এটির কবল থেকে নিস্তার পান না বেশির ভাগ দিন-রাতে।
‘এর কারণে রাতে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।’ বলেন স্থানীয় বাসিন্দা জোয়ে মিলার, ‘এখান থেকে সরে যাওয়ার কথাও ভেবেছি, কিন্তু আমাদের কোনো দোষ নেই, যেটায় তার জন্য কেন এটা করতে হবে আমাদের।’
ধারণা করা হয়, লো ফ্রিকোয়েন্সি বা কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের এই শব্দ ১০ হার্জ থেকে ২০০ হার্জ পর্যন্ত। ইয়ার কিংবা হেডফোনের সাহায্য নিয়েও এর থেকে নিস্তার মেলে না। রাতে যখন নিশ্চুপ হয়ে যায় চারপাশ, তখন বেড়ে যায় শব্দের তীব্রতা।
কনার, মিলারসহ অন্য যারা রহস্যময় এই শব্দ শোনার কথা বলেন, তাঁরা জানান, ২০১৯ সাল থেকেই নিয়মিত এই উপদ্রবের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় কাউন্সিলের কাছে এর উৎস আবিষ্কারের জন্য বারবার আবেদন করে এলেও এখন পর্যন্ত কেউই বলতে পারেননি কোথা থেকে আসছে এই শব্দ। তদন্তের সময় গ্রাম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, সম্ভাব্য তিনটি উৎস শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, তবে শেষ পর্যন্ত জানানো হয়, কারণটা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
‘আমরা তদন্তে নিজেদের পুরোটা সামর্থ্য ঢেলে দিয়েছিলাম। সম্ভাব্য প্রতিটি বিষয়েরই খোঁজ নিয়েছিলাম। কারণ আমরা এখানকার বাসিন্দাদের কথা ভাবি। জানি কিছু বাসিন্দার ওপর শব্দটা কেমন প্রভাব বিস্তার করছে।’ ইয়র্কশায়ার লাইভকে বলেন কাউন্সিলর জেনি লিন।
ব্যর্থ তদন্ত হমফিল্ডের অনেক বাসিন্দাকে প্রচণ্ড হতাশ করে। এর অর্থ তাঁদের এই অনবরত হওয়া মৃদু শব্দকে সঙ্গী করে এখানে থাকতে হবে, নতুবা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, মৃদু তরঙ্গের এই গুনগুন কিংবা গুঞ্জনের মতো শব্দের উৎস খুঁজে বের করাটা সত্যিই মুশকিল। তারপর আবার গ্রামটির সবাই এই শব্দ শুনতে না পাওয়া পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
হমফিল্ড গ্রামটির অবস্থান উপত্যকার নিচের দিকে। একে চারপাশ থেকে ঘিরে আছে নানা শিল্পকারখানা, একটি সময় পর্যন্ত এগুলোকেই শব্দের জন্য দায়ী করতেন হমফিল্ডের বাসিন্দারা। তবে তদন্তে হমফিল্ডের শোনা সেই আশ্চর্য শব্দের সঙ্গে কারখানাগুলোকে জড়ানোর মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শ্রুতিবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ পিটার রজারস বিবিসিকে বলেন, বিষয়টি খুব জটিল। ‘বিখ্যাত’ এই গুঞ্জন শিল্পকারখানার কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে হতে পারে, যেটা কেবল নির্দিষ্ট কিছু মানুষ শুনতে পান। সাধারণ, মামুলি কোনো বিষয়ও এর জন্য দায়ী হতে পারে, যেমন পাইপের মধ্য দিয়ে পানির প্রবাহ, ট্রান্সফরমার কিংবা টেলিগ্রাফ পোল থেকে তৈরি মৃদু আওয়াজ।
‘সমস্যাটা হলো, এটা কোথা থেকে আসছে সেটি খুঁজে বের করা। এটা অনেকটা সেই খড়ের গাদায় সুচ খুঁজে পাওয়ার মতোই।’ বলেন রজারস।
সূত্র: বিবিসি, অডিটি সেন্ট্রাল
ইশতিয়াক হাসান

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ছোট্ট এক গ্রাম হমফিল্ড। এমনিতে গ্রামটি নিয়ে মাতামাতির তেমন কোনো কারণ ছিল না। তবে বছর কয়েক ধরে অপ্রত্যাশিত একটি কারণে নজর কাড়ছে গ্রামটি। এখানকার মানুষ রহস্যময় এক শব্দ শুনতে পান। এই শব্দের উৎস কী, সেটাও এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
মজার ব্যাপার, গ্রামের সবাই এই শব্দ শুনতে পায় না। আর যাঁরা শোনেন তাঁরা বলেন, এটা তাঁদের জীবনের ওপর বেশ খারাপ একটি প্রভাব ফেলছে। গুনগুন বা মৃদু গুঞ্জনের মতো এই শব্দ এতটাই পরিচিতি পেয়ে গেছে, এখন এর নামই হয়ে গেছে হমফিল্ড হাম। ২০১৯ সালে এর আবির্ভাবের পর থেকে একে নিয়ে ইউরোপের নামী সংবাদপত্রগুলোতেও মাতামাতি কম হয়নি।
তবে এখন পর্যন্ত আশ্চর্য এই শব্দের উৎস খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত চালিয়েও কোনো সুফল পায়নি। এমনকি তদন্তে একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েও লাভ হয়নি।
হমফিল্ডের যেসব বাসিন্দা শব্দটি শুনেছেন, তাঁরা একে তুলনা করেছেন ওয়াশিং মেশিন ঘোরার শব্দ কিংবা খুব ধীরেসুস্থে চলা ডিজেল ইঞ্জিনের মৃদু শব্দের সঙ্গে। তাঁরা বলছেন, একে পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর শব্দগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা না গেলেও এটি একজন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বেশ প্রভাব বিস্তার করে।
শুধু তাই নয়, ক্রমাগত এমন একটা শব্দ, তা সেটা যতই মৃদু হোক না কেন, শুনতে থাকার ঝক্কি কম নয়। এটি গ্রামবাসীর ঘুম এমনকি মেজাজ-মর্জির ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কেউ কেউ দাবি করেন, এটি অনেক সময় সহ্য করার পর্যায়ে থাকে না, এমনকি নার্ভাস ব্রেক ডাউনের পর্যায়ে চলে যায়।
‘আমার বাড়িটাকে ভালোবাসি আমি। তবে কোনো কোনো দিন আবার প্রচণ্ড ঘৃণার জন্ম নেয় এর প্রতি। তখন মনে হয় এখানে সুখী হওয়ার মতো কোনো জায়গাই আর নেই।’ হমফিল্ডের বাসিন্দা ইভন্নে কনার বলেন বিবিসিকে, ‘শব্দটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে কানের পর্দায় এসে বাজে। কেমন একটা অনুরণনের মতো। অদ্ভুত একটা চাপ তৈরি করে।’ নিজের বাড়ির উঁচু সিলিংয়ের কিচেনে বসে কথা বলার সময়ও তিনি বলছিলেন শব্দটা তাঁর চারপাশে পাক খাচ্ছে, যেমন এটির কবল থেকে নিস্তার পান না বেশির ভাগ দিন-রাতে।
‘এর কারণে রাতে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।’ বলেন স্থানীয় বাসিন্দা জোয়ে মিলার, ‘এখান থেকে সরে যাওয়ার কথাও ভেবেছি, কিন্তু আমাদের কোনো দোষ নেই, যেটায় তার জন্য কেন এটা করতে হবে আমাদের।’
ধারণা করা হয়, লো ফ্রিকোয়েন্সি বা কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের এই শব্দ ১০ হার্জ থেকে ২০০ হার্জ পর্যন্ত। ইয়ার কিংবা হেডফোনের সাহায্য নিয়েও এর থেকে নিস্তার মেলে না। রাতে যখন নিশ্চুপ হয়ে যায় চারপাশ, তখন বেড়ে যায় শব্দের তীব্রতা।
কনার, মিলারসহ অন্য যারা রহস্যময় এই শব্দ শোনার কথা বলেন, তাঁরা জানান, ২০১৯ সাল থেকেই নিয়মিত এই উপদ্রবের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় কাউন্সিলের কাছে এর উৎস আবিষ্কারের জন্য বারবার আবেদন করে এলেও এখন পর্যন্ত কেউই বলতে পারেননি কোথা থেকে আসছে এই শব্দ। তদন্তের সময় গ্রাম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, সম্ভাব্য তিনটি উৎস শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, তবে শেষ পর্যন্ত জানানো হয়, কারণটা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
‘আমরা তদন্তে নিজেদের পুরোটা সামর্থ্য ঢেলে দিয়েছিলাম। সম্ভাব্য প্রতিটি বিষয়েরই খোঁজ নিয়েছিলাম। কারণ আমরা এখানকার বাসিন্দাদের কথা ভাবি। জানি কিছু বাসিন্দার ওপর শব্দটা কেমন প্রভাব বিস্তার করছে।’ ইয়র্কশায়ার লাইভকে বলেন কাউন্সিলর জেনি লিন।
ব্যর্থ তদন্ত হমফিল্ডের অনেক বাসিন্দাকে প্রচণ্ড হতাশ করে। এর অর্থ তাঁদের এই অনবরত হওয়া মৃদু শব্দকে সঙ্গী করে এখানে থাকতে হবে, নতুবা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, মৃদু তরঙ্গের এই গুনগুন কিংবা গুঞ্জনের মতো শব্দের উৎস খুঁজে বের করাটা সত্যিই মুশকিল। তারপর আবার গ্রামটির সবাই এই শব্দ শুনতে না পাওয়া পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
হমফিল্ড গ্রামটির অবস্থান উপত্যকার নিচের দিকে। একে চারপাশ থেকে ঘিরে আছে নানা শিল্পকারখানা, একটি সময় পর্যন্ত এগুলোকেই শব্দের জন্য দায়ী করতেন হমফিল্ডের বাসিন্দারা। তবে তদন্তে হমফিল্ডের শোনা সেই আশ্চর্য শব্দের সঙ্গে কারখানাগুলোকে জড়ানোর মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শ্রুতিবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ পিটার রজারস বিবিসিকে বলেন, বিষয়টি খুব জটিল। ‘বিখ্যাত’ এই গুঞ্জন শিল্পকারখানার কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে হতে পারে, যেটা কেবল নির্দিষ্ট কিছু মানুষ শুনতে পান। সাধারণ, মামুলি কোনো বিষয়ও এর জন্য দায়ী হতে পারে, যেমন পাইপের মধ্য দিয়ে পানির প্রবাহ, ট্রান্সফরমার কিংবা টেলিগ্রাফ পোল থেকে তৈরি মৃদু আওয়াজ।
‘সমস্যাটা হলো, এটা কোথা থেকে আসছে সেটি খুঁজে বের করা। এটা অনেকটা সেই খড়ের গাদায় সুচ খুঁজে পাওয়ার মতোই।’ বলেন রজারস।
সূত্র: বিবিসি, অডিটি সেন্ট্রাল

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ছোট্ট এক গ্রাম হমফিল্ড। এমনিতে গ্রামটি নিয়ে মাতামাতির তেমন কোনো কারণ ছিল না। তবে বছর কয়েক ধরে অপ্রত্যাশিত একটি কারণে নজর কাড়ছে গ্রামটি। এখানকার মানুষ রহস্যময় এক শব্দ শুনতে পান। এই শব্দের উৎস কী, সেটাও এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
মজার ব্যাপার, গ্রামের সবাই এই শব্দ শুনতে পায় না। আর যাঁরা শোনেন তাঁরা বলেন, এটা তাঁদের জীবনের ওপর বেশ খারাপ একটি প্রভাব ফেলছে। গুনগুন বা মৃদু গুঞ্জনের মতো এই শব্দ এতটাই পরিচিতি পেয়ে গেছে, এখন এর নামই হয়ে গেছে হমফিল্ড হাম। ২০১৯ সালে এর আবির্ভাবের পর থেকে একে নিয়ে ইউরোপের নামী সংবাদপত্রগুলোতেও মাতামাতি কম হয়নি।
তবে এখন পর্যন্ত আশ্চর্য এই শব্দের উৎস খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত চালিয়েও কোনো সুফল পায়নি। এমনকি তদন্তে একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েও লাভ হয়নি।
হমফিল্ডের যেসব বাসিন্দা শব্দটি শুনেছেন, তাঁরা একে তুলনা করেছেন ওয়াশিং মেশিন ঘোরার শব্দ কিংবা খুব ধীরেসুস্থে চলা ডিজেল ইঞ্জিনের মৃদু শব্দের সঙ্গে। তাঁরা বলছেন, একে পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর শব্দগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা না গেলেও এটি একজন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বেশ প্রভাব বিস্তার করে।
শুধু তাই নয়, ক্রমাগত এমন একটা শব্দ, তা সেটা যতই মৃদু হোক না কেন, শুনতে থাকার ঝক্কি কম নয়। এটি গ্রামবাসীর ঘুম এমনকি মেজাজ-মর্জির ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কেউ কেউ দাবি করেন, এটি অনেক সময় সহ্য করার পর্যায়ে থাকে না, এমনকি নার্ভাস ব্রেক ডাউনের পর্যায়ে চলে যায়।
‘আমার বাড়িটাকে ভালোবাসি আমি। তবে কোনো কোনো দিন আবার প্রচণ্ড ঘৃণার জন্ম নেয় এর প্রতি। তখন মনে হয় এখানে সুখী হওয়ার মতো কোনো জায়গাই আর নেই।’ হমফিল্ডের বাসিন্দা ইভন্নে কনার বলেন বিবিসিকে, ‘শব্দটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে কানের পর্দায় এসে বাজে। কেমন একটা অনুরণনের মতো। অদ্ভুত একটা চাপ তৈরি করে।’ নিজের বাড়ির উঁচু সিলিংয়ের কিচেনে বসে কথা বলার সময়ও তিনি বলছিলেন শব্দটা তাঁর চারপাশে পাক খাচ্ছে, যেমন এটির কবল থেকে নিস্তার পান না বেশির ভাগ দিন-রাতে।
‘এর কারণে রাতে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।’ বলেন স্থানীয় বাসিন্দা জোয়ে মিলার, ‘এখান থেকে সরে যাওয়ার কথাও ভেবেছি, কিন্তু আমাদের কোনো দোষ নেই, যেটায় তার জন্য কেন এটা করতে হবে আমাদের।’
ধারণা করা হয়, লো ফ্রিকোয়েন্সি বা কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের এই শব্দ ১০ হার্জ থেকে ২০০ হার্জ পর্যন্ত। ইয়ার কিংবা হেডফোনের সাহায্য নিয়েও এর থেকে নিস্তার মেলে না। রাতে যখন নিশ্চুপ হয়ে যায় চারপাশ, তখন বেড়ে যায় শব্দের তীব্রতা।
কনার, মিলারসহ অন্য যারা রহস্যময় এই শব্দ শোনার কথা বলেন, তাঁরা জানান, ২০১৯ সাল থেকেই নিয়মিত এই উপদ্রবের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় কাউন্সিলের কাছে এর উৎস আবিষ্কারের জন্য বারবার আবেদন করে এলেও এখন পর্যন্ত কেউই বলতে পারেননি কোথা থেকে আসছে এই শব্দ। তদন্তের সময় গ্রাম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, সম্ভাব্য তিনটি উৎস শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, তবে শেষ পর্যন্ত জানানো হয়, কারণটা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
‘আমরা তদন্তে নিজেদের পুরোটা সামর্থ্য ঢেলে দিয়েছিলাম। সম্ভাব্য প্রতিটি বিষয়েরই খোঁজ নিয়েছিলাম। কারণ আমরা এখানকার বাসিন্দাদের কথা ভাবি। জানি কিছু বাসিন্দার ওপর শব্দটা কেমন প্রভাব বিস্তার করছে।’ ইয়র্কশায়ার লাইভকে বলেন কাউন্সিলর জেনি লিন।
ব্যর্থ তদন্ত হমফিল্ডের অনেক বাসিন্দাকে প্রচণ্ড হতাশ করে। এর অর্থ তাঁদের এই অনবরত হওয়া মৃদু শব্দকে সঙ্গী করে এখানে থাকতে হবে, নতুবা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, মৃদু তরঙ্গের এই গুনগুন কিংবা গুঞ্জনের মতো শব্দের উৎস খুঁজে বের করাটা সত্যিই মুশকিল। তারপর আবার গ্রামটির সবাই এই শব্দ শুনতে না পাওয়া পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
হমফিল্ড গ্রামটির অবস্থান উপত্যকার নিচের দিকে। একে চারপাশ থেকে ঘিরে আছে নানা শিল্পকারখানা, একটি সময় পর্যন্ত এগুলোকেই শব্দের জন্য দায়ী করতেন হমফিল্ডের বাসিন্দারা। তবে তদন্তে হমফিল্ডের শোনা সেই আশ্চর্য শব্দের সঙ্গে কারখানাগুলোকে জড়ানোর মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শ্রুতিবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ পিটার রজারস বিবিসিকে বলেন, বিষয়টি খুব জটিল। ‘বিখ্যাত’ এই গুঞ্জন শিল্পকারখানার কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে হতে পারে, যেটা কেবল নির্দিষ্ট কিছু মানুষ শুনতে পান। সাধারণ, মামুলি কোনো বিষয়ও এর জন্য দায়ী হতে পারে, যেমন পাইপের মধ্য দিয়ে পানির প্রবাহ, ট্রান্সফরমার কিংবা টেলিগ্রাফ পোল থেকে তৈরি মৃদু আওয়াজ।
‘সমস্যাটা হলো, এটা কোথা থেকে আসছে সেটি খুঁজে বের করা। এটা অনেকটা সেই খড়ের গাদায় সুচ খুঁজে পাওয়ার মতোই।’ বলেন রজারস।
সূত্র: বিবিসি, অডিটি সেন্ট্রাল

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
১ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৫ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ছোট্ট এক গ্রাম হমফিল্ড। বছর কয়েক ধরে অপ্রত্যাশিত একটি কারণে নজর কাড়ছে গ্রামটি। এখানকার মানুষ রহস্যময় এক শব্দ শুনতে পান। এই শব্দের উৎস কী, সেটাও এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
০৩ মে ২০২৩
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৫ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ছোট্ট এক গ্রাম হমফিল্ড। বছর কয়েক ধরে অপ্রত্যাশিত একটি কারণে নজর কাড়ছে গ্রামটি। এখানকার মানুষ রহস্যময় এক শব্দ শুনতে পান। এই শব্দের উৎস কী, সেটাও এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
০৩ মে ২০২৩
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
১ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৫ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ছোট্ট এক গ্রাম হমফিল্ড। বছর কয়েক ধরে অপ্রত্যাশিত একটি কারণে নজর কাড়ছে গ্রামটি। এখানকার মানুষ রহস্যময় এক শব্দ শুনতে পান। এই শব্দের উৎস কী, সেটাও এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
০৩ মে ২০২৩
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
১ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ছোট্ট এক গ্রাম হমফিল্ড। বছর কয়েক ধরে অপ্রত্যাশিত একটি কারণে নজর কাড়ছে গ্রামটি। এখানকার মানুষ রহস্যময় এক শব্দ শুনতে পান। এই শব্দের উৎস কী, সেটাও এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
০৩ মে ২০২৩
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
১ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৫ দিন আগে