
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহকে সহায়তা দিতে ব্যাংকগুলো থেকে উদ্বৃত্ত ডলার কেনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জুলাই মাসে রপ্তানি আয়ে চাঙাভাব ফিরলেও আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভাটা পড়েছে দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে; বিশেষত সেপ্টেম্বর মাসে আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি আয় কমেছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। আগস্টে রপ্তানি আয় কমেছে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তবে জুলাইয়ের ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশের বড় উত্থানে তিন মাস মিলিয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক

রপ্তানি খাতে নগদ প্রবাহ বাড়ানো ও ব্যবসা সহজ করতে বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিমপ্রাপ্ত রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে কাঁচামাল সংগ্রহ, উৎপাদন কার্যক্রম ও পণ্য সরবরাহ আরও সহজ হবে।

ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক এখন আরও শক্ত অবস্থানে। গত এক দশকে রপ্তানি বেড়েছে ৫৮ শতাংশের বেশি। ২০১৫ সালে যেখানে রপ্তানি আয় ছিল ১১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ইউরো, ২০২৪ সালের শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ইউরোতে।