
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আবু মনুহর দিনমজুরের কাজ করে সন্তানদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকে পরিবারটির দুর্দশা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা নিজের ঘরে শিশুদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালাচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় মনিরুল ইসলাম (৫০) নামের এক দিনমজুরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে তাঁর লাশ মিলেছে। জীবননগর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দরিদ্র পরিবারের সন্তান নুর আলী (৪৭)। করতেন রাজমিস্ত্রির কাজ। জমিজমা তেমন ছিল না, বাবাও ছিলেন দিনমজুর। বাড়ি বলতে ছিল আধা পাকা টিনের ঘর। অথচ ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ব্যক্তি কোটিপতি বনে গেছেন। শুধু তা-ই নয়। আধা পাকা টিনের ঘরের জায়গায় এখন বিশাল তিনতলা আলিশান বাড়ি। যার মূল্য কোটি টাকা।

তাঁদের অনেকে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা। বেশির ভাগই বহু বছর ধরে শ্রীমঙ্গলে বসবাস করছেন এবং ছোটবেলা থেকেই এই পেশায় জড়িত। দিনমজুর সাজিদ মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই কাজ করছি। প্রতিদিন ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে চলে দিন। যেদিন কাজ মেলে, সেদিন সংসার চলে; না হলে ঋণ করে চালাতে হয়।