Ajker Patrika

চীনের মালিকানা বিক্রি না করলে টিকটক নিষিদ্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের 

প্রযুক্তি ডেস্ক
চীনের মালিকানা বিক্রি না করলে টিকটক নিষিদ্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের 

নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ডিভাইসগুলোতে টিকটক ব্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কানাডার সরকারি ডিভাইসগুলোতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছ টিকটক। টিকটকের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে টিকটক বিক্রি করে দিতেও চাপ দিচ্ছে বাইডেন সরকার।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিকটকের মালিক ‘বাইটড্যান্স’ মূলত চীনা প্রতিষ্ঠান। কমিটি অন ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটস (সিএফআইইউএস) চাচ্ছে বাইটড্যান্স যেন টিকটকে নিজের মালিকানা বিক্রি করে দেয়। অন্যথায় প্ল্যাটফর্মটিকে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।

টিকটক জানিয়েছে ‘বাইটড্যান্স’ থেকে আলাদা হয়ে গেলেই যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ডেটা নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ কমে যাবে, বিষয়টি এমন নয়। এদিকে, সিএফআইইউএস এর সঙ্গে আলোচনা এগোতে ‘বাইটড্যান্স থেকে আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন টিকটকের নির্বাহীরা। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের বাইটড্যান্সকে চাপে ফেলে বাধ্য করার প্রথম চেষ্টা নয় এটি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও একই প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

সম্প্রতি, সব ধরনের সরকারি ডিভাইসে শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ‘টিকটক’ নিষিদ্ধ করেছে কানাডার সরকার। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। ইউরোপীয় কমিশন টিকটকের ক্ষেত্রে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিল উত্তর আমেরিকার এই দেশ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিকটক গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় ঝুঁকি তৈরি করছে বলে জানিয়েছিলেন কানাডার প্রধান তথ্য কর্মকর্তা। এর ফলেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় কানাডার সরকার। টিকটকের একজন মুখপাত্র বলেন, কানাডার সরকারের এমন সিদ্ধান্তে তাঁদের প্রতিষ্ঠান হতাশ। 

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘টিকটকের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে আমাদের। হতে পারে এটাই আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। অথবা এমনও হতে পারে, এরপর আমাদের আর কোনো পদক্ষেপ নিতে হবে না।’

মূলত, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ এবং চীন সরকারের সঙ্গে টিকটকের যোগাযোগের বিষয়টিই এই প্ল্যাটফর্ম নিয়ে সমালোচনা ও উদ্বেগের কারণ। টিকটকের মালিক চীনা প্রতিষ্ঠান ‘বাইটড্যান্স লিমিটেড’।

বেলজিয়ামেও সরকারি ডিভাইসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে টিকটক। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট গিজচায়নার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু এক ঘোষণায় সাময়িকভাবে সরকারি সব স্মার্টফোনে টিকটক ব্যবহার বন্ধের কথা জানিয়েছেন। আগামী ছয় মাসের জন্য সরকারি সব ডিভাইসে অ্যাপটির ব্যবহার বন্ধ থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ঝগড়া করার খুব ইচ্ছা হবে, ঘরের বসকে মেনে চলুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২৬
আজকের রাশিফল: ঝগড়া করার খুব ইচ্ছা হবে, ঘরের বসকে মেনে চলুন

মেষ

আপনি আজ মানসিক শান্তিতে থাকবেন। কারণ, হয়তো সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ফোনটা চার্জে দিতে ভুলে গিয়েছিলেন! আধ্যাত্মিকতায় মন বসবে, কিন্তু মনে রাখবেন অফিসের বস কিন্তু ভগবান নন, তাই কাজে ফাঁকি দেবেন না। বন্ধুদের কাছে আজ বেশি ‘হিরোগিরি’ দেখাতে যাবেন না, মানসম্মান নিয়ে টানাটানি হতে পারে।

বৃষ

আজ আপনার অর্থভাগ্যে একটু ‘ব্রেকফাস্ট’ লেগেছে, মানে খরচ বেশি। অচেনা লোক দেখলে আজ একটু দূরত্ব বজায় রাখুন, বিশেষ করে যারা বিমা বা ক্রেডিট কার্ড বিক্রি করতে আসে। বাবার কথা আজ শুনে নিন, না হলে পকেট গড়ের মাঠ হতে সময় লাগবে না। পেটের দিকে একটু নজর দিন, রাস্তার চপ-শিঙাড়া আজ বিষবৎ!

মিথুন

গ্রহরা বলছে আপনার আজ ঝগড়া করার খুব ইচ্ছা হবে। কিন্তু দয়া করে তা বাড়ির লোকের ওপর প্রয়োগ করবেন না। ধৈর্য ধরুন, না হলে রাতে কিন্তু না খেয়ে শুতে হতে পারে! কথা বলার আগে দুবার ভাবুন। আপনি ভাবছেন আপনি রসিকতা করছেন, কিন্তু সামনের জন হয়তো ভাবছে আপনাকে ব্লক করবে!

কর্কট

আজ আপনার জন্য ‘শুভ’ দিন। নতুন ব্যবসার আইডিয়া মাথায় আসতে পারে, যেমন ধরুন ‘অনলাইন ধৈর্য বিক্রয় কেন্দ্র’। শেয়ারবাজারে আজ আপনার পোয়াবারো হতে পারে, তবে পকেট সামলে। বিয়ের সিদ্ধান্তে সবাই খুশি হবে, কিন্তু আপনি নিজে কি খুশি? সেটা একবার আয়নায় নিজেকে জিজ্ঞাসা করে নিন।

সিংহ

স্ত্রীর সঙ্গে আজ বিবাদ হতে পারে। মনে রাখবেন, তর্ক করে সিংহের মতো গর্জন করলে শেষে কিন্তু বিড়ালের মতো রান্নাঘরে গিয়েই লুকাতে হবে। সন্তানদের কারণে আনন্দ পাবেন। খরচ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শেষমেশ মুড়ি খেয়ে দিন কাটাতে হবে।

কন্যা

আজ আপনার আয় দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা! হয়তো পুরোনো জিনসের পকেটে ৫০০ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ার চান্স ১০০%।

বসের সামনে কথা বলার সময় জিব একটু নিয়ন্ত্রণে রাখুন। বস মানেই ঠিক—এই নীতিতে চললে আজ দিনটা বেঁচে যাবেন।

তুলা

আজ পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হতে পারে। তারা আপনার কাছে টাকা ধার চাইবে নাকি খাওয়াতে চাইবে—সেটা আপনার গ্রহ ঠিক করবে। সম্পর্কে স্বচ্ছতা আসবে।সন্ধ্যায় প্রিয়জনের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যান, তবে পপকর্নের দাম দেখে আবার হার্ট অ্যাটাক করবেন না!

বৃশ্চিক

আজ আপনার কপালে ‘ঘোর দুর্দিন’ লেখা নেই, তবে একটু সাবধান থাকাই ভালো। আয়ের উৎস ভালো থাকবে। আপনার কথা শুনে সবাই মুগ্ধ হবে (অথবা বিরক্ত হয়ে চলে যাবে)। আজ বাদাম বা শুকনা রুটি দান করুন, এতে অন্তত কারও পেটে খাবার জুটবে!

ধনু

আজ আপনি খুব দয়ালু হয়ে উঠতে পারেন। পাড়ার কুকুর থেকে শুরু করে অফিসের পিওন—সবাইকে সাহায্য করতে চাইবেন। কর্মক্ষেত্রে বসের নেক নজরে থাকবেন।

বেশি আবেগপ্রবণ হবেন না, আবেগ দিয়ে তো আর ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করা যায় না!

মকর

তাড়াহুড়ো করলেই আজ বিপদ! রাস্তা পার হওয়ার সময় হোক বা অফিসের মেইল পাঠানোর সময়—একটু ধীরে চলুন। ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে বেশি লাফালাফি করবেন না। আপনার আজ অলসতা গ্রাস করবে। বিছানা থেকে উঠতে গেলেই মনে হবে বিছানা আপনাকে জড়িয়ে ধরে বলছে, 'যেও না'!

কুম্ভ

আজ অর্থভাগ্যে তেমন কোনো বিপর্যয় নেই, কিন্তু শরীরটা নিয়ে চিন্তা আছে। পিঠের ব্যথা বা ঘাড়ের ব্যথা হতে পারে—হয়তো সারা দিন রিলস দেখার ফল! চুক্তিতে সই করার সময় চশমাটা সঙ্গে রাখবেন। বন্ধুরা ডাকলে আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল, না হলে বিলটা আপনার কাঁধেই পড়বে।

মীন

আপনি আজ নতুন কিছু করার ইচ্ছা অনুভব করবেন, যেমন ধরুন নতুন ডায়েট শুরু করা (যা দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে)। সন্তানের আচরণে একটু চিন্তিত হতে পারেন। যদি কারও কাছে টাকা ধার নিয়ে থাকেন, আজ তার ফোন না ধরাই ভালো। কারণ, সে টাকা ফেরত চাইতে পারে!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৬ সালে যে অভ্যাসগুলো আপনাকে সফল করে তুলতে পারে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে ২০২৬ সাল হলো সূর্যের বছর। সূর্য আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব, নতুন শুরু, শক্তি এবং কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক
সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে ২০২৬ সাল হলো সূর্যের বছর। সূর্য আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব, নতুন শুরু, শক্তি এবং কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক

‘বছরটা খুব একটা ভালো গেল না’! ২০২৫ সাল নিয়ে এমন ভাবনা আছে অনেকের। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এ বছর পৃথিবীর ওপর ছিল মঙ্গলগ্রহের প্রভাব। ফলে বছরটি কম-বেশি সবার জন্যই খারাপ গেছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি, সম্পর্কে ভাঙন, সংসারে অশান্তি, প্রিয়জনের মৃত্যু, ব্যবসায়ে লোকসান—এসব ঘটনা কোনো না কোনোভাবে আমাদের প্রভাবিত করেছে পুরো বছর। এ বছর লাল রঙের পোশাক যতটা এড়িয়ে যাওয়া যায়, সে পরামর্শই দিয়েছিলেন অনেকেই।

আর কিছুদিন পরই ২০২৬ সালে প্রবেশ করতে যাচ্ছি আমরা। নতুন বছর সবার জন্যই রোমাঞ্চকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জানলে হয়তো খুশি হবেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় হয়তো পড়েও ফেলেছেন যে, ২০২৬ সালকে সম্ভাবনার বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে ২০২৬ সাল হলো সূর্যের বছর। সূর্য আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব, নতুন শুরু, শক্তি এবং কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি একটি চমৎকার বছর হতে চলেছে, যা ব্যক্তিগত ও পেশাদার উন্নয়ন, সম্প্রসারণ এবং নতুন শুরু দিকনির্দেশনা দেবে বলে আশাবাদী জ্য়োতিষশাস্ত্র।

সূর্যের রঙের পোশাক পরুন। হলুদ ও সোনালি সাধারণত সূর্যের রং হিসেবে পরিচিত। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস
সূর্যের রঙের পোশাক পরুন। হলুদ ও সোনালি সাধারণত সূর্যের রং হিসেবে পরিচিত। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস

এ শাস্ত্র মতে, সূর্যের বছরে মানুষ জীবনে নতুন কিছু অন্বেষণ করবে এবং তাদের ভাগ্য গঠনের দায়িত্ব নেবে। এ বছর আপনার জীবন তার গন্তব্য দেখিয়ে দেবে, জীবনে এগিয়ে যেতে, নেতৃত্ব নিতে এবং নেতৃত্বদানের স্থান বুঝতে সাহায্য করবে।

সূর্যের রাজত্বের বছরে দৈনন্দিন জীবনযাপনে এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন, যেগুলো জীবনে অপার শক্তি ও প্রাচুর্য হয়ে ধরা দেয়।

সৌর চক্রকে শক্তিশালী করুন

সৌর চক্র সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। সুফল পেতে আপনাকে ২০২৬ সালে এই বিশেষ চক্রের ওপর কাজ করতে হবে। আপনি কীভাবে এ চক্র উন্নত করতে পারেন? সে পরামর্শ রইল এখানে।

প্রতিদিন গায়ে রোদ লাগান। দুপুর ১২টার আগে সূর্যের আলোতে বসুন, এরপর নয়। এতে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি তো পূরণ হবেই, পাশাপাশি কাজকর্মে উদ্যমী হয়ে উঠবেন আপনি। ঠান্ডা বা সাইনাসের মতো অসুখ যাঁদের লেগেই থাকে, তাঁরাও সেরে উঠবেন। সূর্যের আলো মন ফুরফুরে রাখতে সাহায্য় করে। ফলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কটাও জোরালো হবে।

সকালে নরম সূর্যের আলোতে বসে যোগব্যায়াম করুন। ফিট থাকতে তো বটেই, মুড ভালো রাখতেও এটি জরুরি। হাতে সময় কম থাকায় সূর্য নমস্কার আসনটিই বেছে নিন। এতে একের ভেতর অনেকগুলো আসন সেরে ফেলা যায়। এতে আপনার সৌরশক্তিও বৃদ্ধি পাবে।

সূর্যকে বলা হয় গ্রহদের রাজা। তাই পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কটা এ বছর আরেকটু ভালো করার চেষ্টা করুন। তাঁদের যত্ন নিন, সময় দিন।

তামার প্লেট, বাটি, গ্লাস, জগ, হাঁড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করুন। তামা হলো সূর্যগ্রহের ধাতু, যা শক্তি ও সাহসের প্রতিনিধিত্ব করে। ছবি: পেক্সেলস
তামার প্লেট, বাটি, গ্লাস, জগ, হাঁড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করুন। তামা হলো সূর্যগ্রহের ধাতু, যা শক্তি ও সাহসের প্রতিনিধিত্ব করে। ছবি: পেক্সেলস

দৈনন্দিন জীবনে যা মেনে চলতে পারেন

সকালে উঠে জানালা খুলে পর্দা সরিয়ে দিন। প্রতিটি ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে দিন। এতে করে ঘরের স্যাঁতসেঁতে ভাব কেটে যাবে ও পোকামাকড়ের উপদ্রবও কমবে।

২০২৬-এ রান্নাঘর ও ডাইনিং টেবিলে তামার প্লেট, বাটি, গ্লাস, জগ, হাঁড়ি ব্যবহার করুন। তামা হলো সূর্যগ্রহের ধাতু, যা শক্তি ও সাহসের প্রতিনিধিত্ব করে। সারা রাত তামার পাত্রে পানি রেখে প্রতিদিন সকালে তা পান করার চেষ্টা করুন। এতে শরীরে শক্তি সঞ্চার হবে ও বাড়বে জীবনীশক্তিও।

২০২৬-এ সূর্যের রঙের পোশাক পরুন। কী সেই রং? হলুদ ও সোনালি। এই রং দেখতে যেমন উজ্জ্বল, তেমনি মনও ফুরফুরে রাখবে।

রান্নায় জাফরান ব্যবহার করুন এবং ঘরে ওয়ার্ম বাল্ব ব্যবহার করুন। প্রতিটি ঘরে ওয়ার্ম বাল্ব ব্যবহার করা সম্ভব না হলে বাড়ির সেন্টার পয়েন্টে উষ্ণ আলো ব্যবহার করুন।

বাড়ির সেন্টার পয়েন্টে বেশি আসবাব রাখবেন না। অপ্রয়োজনীয় ও অব্যবহৃত জিনিস দান করে দিন বা বিক্রি করে ফেলুন।

প্রতিদিন ঘর মোছার সময় পানিতে লবণ মিশিয়ে তারপর মুছে নিন। ঘরে তরতাজা ভাব বিরাজ করবে। আর ঘর পরিচ্ছন্ন থাকলে কাজকর্মেও মন বসবে। তাহলেই না সবকিছু ঠিকঠাক চলবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডায়াবেটিসের রোগীদের কেন সময় মতো খাবার খাওয়া জরুরি

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
খাবার খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক
খাবার খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক

ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বা খুব কম—দুটোই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। রক্তে শর্করাকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে পারলে জটিলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। বেশির ভাগ মানুষ জানেন, কোন খাবার রক্তে শর্করার ওপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু অনেকে হয়তো জানেন না, খাবার খাওয়ার সময়ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যেখানে শর্করাজাতীয় খাবার বিপাকের জন্য শরীরে যতটুকু ইনসুলিন প্রয়োজন হয়, ততটুকু থাকে না। আপনারা জেনে থাকবেন, ডায়াবেটিস দুই ধরনের হয়—টাইপ-১ ও টাইপ-২। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে ইনসুলিন একেবারেই থাকে না। তাই রোগ ধরা পড়ার সময় থেকে ইনসুলিন নিতে হয়। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিসে শরীরে ইনসুলিন থাকে, কিন্তু ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের জন্য তা কাজ করতে পারে না। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগে শর্করাজাতীয় খাবারের বিপাকে সমস্যা হয়, তাই আমরা চিকিৎসকেরা এ ধরনের খাবার; যেমন চিনি, মিষ্টি, ভাত, মিষ্টি ফল, মধু ইত্যাদি পরিমাণমতো খেতে বলি। ডা. মাজহারুল হক তানিম, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ

কেন খাবারের সময় মেনে চলা জরুরি

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন একই সময়ে নিয়মিত খাবার ও প্রয়োজন অনুযায়ী হালকা নাশতা খেলে রক্তে শর্করা তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকে এবং শরীরের শক্তির মাত্রাও বজায় থাকে। বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এবং সেই সব টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য, যারা ইনসুলিন বা কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণ করেন।

খাবার বাদ দিলে কী সমস্যা হয়

খাবার না খেলে অনেক সময় পরে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এতে রক্তে শর্করা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। আবার নিয়মিত খাবার না খেলে রাতে ঘুমের মধ্যেও রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, যাকে বলা হয় রাতের হাইপোগ্লাইসেমিয়া। এটি বিপজ্জনক হতে পারে; কারণ, ঘুমের মধ্যে অনেক সময় বোঝা যায় না কী হচ্ছে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করা কমে গেলেও কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। একে বলা হয় হাইপোগ্লাইসেমিয়া আন অ্যাওয়ারনেস। এটি গাড়ি চালানো বা ব্যায়ামের সময় ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

সকালের নাশতা গুরুত্বপূর্ণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সকালের নাশতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর নাশতা দিনের শুরুতে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং সারা দিন শক্তি ধরে রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে ভালোভাবে খেয়ে দুপুর ও রাতের খাবার তুলনামূলক হালকা রাখলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ওজন ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ইনসুলিনের প্রয়োজনও কমে। অন্যদিকে, নাশতা বাদ দিলে বিকেল ও রাতে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ পরে সেই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন।

দুপুর ও রাতের খাবার

দুপুর ও রাতের খাবারে প্রতিদিন প্রায় একই পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট রাখা ভালো। এতে রক্তে শর্করার ওঠানামা কম হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খুব দেরিতে রাতের খাবার খাওয়া উচিত নয়। ঘুমানোর খুব কাছাকাছি সময়ে রাতের খাবার খেলে ওজন এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

নাশতার প্রয়োজন

সব ডায়াবেটিস রোগীর নিয়মিত নাশতার প্রয়োজন হয় না। রক্তে শর্করার মাত্রা ও ক্ষুধার ওপর বিষয়টি নির্ভর করে। তবে ইনসুলিন গ্রহণকারী বা যাঁদের রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার ঝুঁকি আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে হালকা নাশতা উপকারী হতে পারে। রাতে রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলে ঘুমের আগে অল্প নাশতা উপকারী হতে পারে।

ব্যায়াম ও খাবারের সময়

খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর হালকা ব্যায়াম করলে রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে; বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে। তবে যারা ইনসুলিন বা কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ নেন, তাঁদের ব্যায়ামের আগে বা পরে সামান্য খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ব্যায়ামের সময় পেশি বেশি গ্লুকোজ ব্যবহার করে, ফলে রক্তে শর্করা কমে যেতে পারে। তাই ব্যায়ামের সময় খাবার ও ইনসুলিনের সমন্বয় চিকিৎসকের পরামর্শে করা উচিত।

নিজের জন্য সঠিক পরিকল্পনা কীভাবে করবেন

ডায়াবেটিসে খাবারের সময় ও ধরন ব্যক্তিভেদে আলাদা হতে পারে। তাই নিজের শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝে পরিকল্পনা করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো—

  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সুষম খাবার খান।
  • কী খাচ্ছেন ও কখন খাচ্ছেন, তার সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা নোট করুন।
  • প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্যকর নাশতা রাখুন।
  • ব্যায়ামের আগে ও পরে রক্তে শর্করা পরীক্ষা করুন।

চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করে খাবারের সময়সূচি ঠিক করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

সূত্র: হেলথ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গ্রামের নাম মহিষখোলা

সুমন্ত গুপ্ত
গ্রামের নাম মহিষখোলা

জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা পেরিয়ে এগিয়ে চলেছি আমরা। স্নিগ্ধ সকাল। মহাসড়কে সূর্যের আভা পড়েছে তির্যকভাবে। আমরা যাচ্ছি সুনামগঞ্জ জেলার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে ভারত সীমান্ত গোয়া ধর্মপাশা উপজেলায় মহিষখোলা গ্রামে। সেখানে ঘুমিয়ে আছেন একাত্তরের বীর শহীদেরা।

প্রকৃতির পালাবদলে শীতকাল এসেছে। তাই প্রকৃতির মাঝে চলেছে ঋতুবরণের পালা। আমরা চলেছি নতুন গন্তব্যে। পাগলা বাজারে এসে নামলাম। ঢুকে পড়লাম দয়াল মিষ্টান্ন ভান্ডারে। গরম-গরম পরোটা আর ভাজি দেওয়া হলো। পেটপূজা শেষ করে আমরা এগিয়ে চললাম গন্তব্যের পানে। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসে পৌঁছালাম সুনামগঞ্জ শহরে। সেখান থেকে যেতে হবে তাহিরপুর। প্রায় আড়াই ঘণ্টা যাত্রা শেষে হাজির হলাম সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের রোজ গার্ডেনে। এখানে দুপুরের খাওয়া শেষে আবারও রওনা দিলাম তাহিরপুরের দিকে।

গ্রামীণ পথে চলার মজাই আলাদা। দুই পাশে ধানখেত। মাঝ দিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি। প্রায়

দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে এসে আমরা পৌঁছালাম তাহিরপুর বাজারে। এবার আমাদের পাড়ি দিতে

হবে টাঙ্গুয়ার হাওর। সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। মনে মনে সবাই খুশিই হলাম টাঙ্গুয়ার হাওর দেখা যাবে বলে। বাহন রয়েছে দুই ধরনের—ইঞ্জিনচালিত নৌকা আর স্পিডবোট। আমরা চেপে বসলাম ইঞ্জিন নৌকায়।

টাঙ্গুয়ার ঢেউয়ের তালে তালে এগিয়ে চলছি। নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবনধারা আমাদের মোহিত করছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পেরিয়ে পৌঁছালাম ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর গ্রামে। সেখানে জন্য অপেক্ষা করছিলেন সোহাগ আর মুনিম নামে দুজন। আমরা চেপে বসলাম দুই চাকার বাহনে। এখান থেকে মহিষখোলা গ্রামের দূরত্ব ১০ মিনিট। এই বাইকে করেই সেখানে যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছানো গেল মহিষখোলা গ্রামে।

শান্ত নীরব পরিবেশ। ঘাসফড়িং মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে। এগিয়ে চললাম মহিষখোলা নদীর পূর্বপাড় ঘেঁষে একখানা প্রায় নিশ্চিহ্ন টিনের ঘরের উদ্দেশে। এর অস্তিত্ব সরেজমিনে দেখেও কল্পনায় তার পূর্ণ রূপ দেখা কল্পনাবিলাসীদের জন্যও হয়তো দুরূহ হবে। তার আশপাশে ৪২ বছর ধরে মানুষের ছোঁয়া পড়েনি, তাই জঙ্গলাকীর্ণ। সেই ঘরে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিতেন। পাকিস্তানি হানাদারদের মাঝেমধ্যে ধরে বন্দী করেও রাখতেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় এই অঞ্চল ছিল ১১ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর সাব-সেক্টর। এর পশ্চিমে গা ঘেঁষে মহিষখোলা নদী, উত্তরে ২০০ গজের মধ্যে ভারত সীমান্তে মেঘালয় পর্বতমালা, পূর্বে সংখ্যাহীন খালবিল এবং বিশাল টাঙ্গুয়ার হাওর। এর সঙ্গে রাগে-অনুরাগে জড়িয়ে আছে আরেকটি স্নিগ্ধ নদী—জাদুকাটা। শ্রীচৈতন্যের জ্যেষ্ঠ পার্ষদ অদ্বৈতাচার্য এই নদীপারের সন্তান ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এক ভয়াল সংঘর্ষ হয়। এতে অনেক যোদ্ধা মারা যান। মহিষখোলা নদীর পাড়ঘেঁষা সেই বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায় তখনই, শহীদ যোদ্ধাদের গণকবর রচিত হয় তারই এদিক-সেদিক। তারপর ৪২ বছর লতা-গুল্ম-বৃক্ষের চাদরে ঢাকা ছিল এই ইতিহাস। বলছিলেন আমাদের সঙ্গী স্থপতি রাজন দাস। তিনি এখানে তৈরি করেছেন মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মারক। এখানে শায়িত আছেন একাত্তরের শহীদ হওয়া বীর প্রাণেরা।

পূর্ব-পশ্চিম অক্ষ বরাবর সমান্তরাল দুটি সুউচ্চ দেয়াল ৯ ফুট বেদির ওপর এসে দাঁড়ায়, তার ওপর ছায়া হয়ে ছাদ এসে বসে। সিঁড়ি ভেঙে পূর্ব দিকের প্রবেশবিন্দুতে চোখ রাখলে পশ্চিমের নদী আর তার গায়ে এসে পড়া আকাশ দেখা যায়। পূর্ব-পশ্চিম উন্মুক্ত হওয়ায় দুই দেয়ালের ঘর রচিত হয়ে যায়। উত্তর-দক্ষিণের ২৭ ফুট উঁচু দেয়ালে ব্যাকরণ ভেঙে অনেক ছোট-বড় জানালা আড়াল খুলে আলোর উৎস হয়ে ওঠে। ঠিক চোখ মেলে তাকানোর মতো। ‘যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ’ তারা তো বদ্ধ ঘরে থাকে না, যে ঘরে দোর-জানালায় অর্গল টানা, যে ঘরে আলোর ঝলক নেই, দোলা নেই, সে ঘরে স্বাধীনতা প্রবেশ করে না! তাই ‘সব কয়টা জানালা’ই খুলে রাখা হয়েছে। জানালা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যাংশ, যার ব্যবহারিক ও মনস্তাত্ত্বিক মূল্য অতুলনীয়। এটি আমাদের দর্শনেন্দ্রিয়ের মতো।

চোখ দিয়ে যেমন আমাদের দেহ-ঘরে আলো প্রবেশ করে, আমাদের প্রথম অভিজ্ঞতা চোখ দিয়ে হয়, তেমনই দেয়ালকে মুক্তি দেয় জানালা। তবেই দেয়ালের চোখ ফুটে আলো-বাতাস প্রবেশ করে গৃহে প্রাণের সঞ্চার হয়। এ জন্যই ‘খোলা জানালা’ আর ‘স্বাধীনতার চেতনা’ সমার্থক হয়ে উঠেছে। বেদির তিন দিক ঘিরে রয়েছে পানির আধার, যা পশ্চিমে নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। প্রতি বর্ষাতেই মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢল নামলে নদী উপচে বেদির তলায় কিছুক্ষণের জন্য হাঁটুপানি জমে। এটা হাওরাঞ্চলের চেনা দৃশ্য। এভাবে হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে ‘সব কটা জানালা’ খুলে আমাদের ডাকছে ওরা, ‘যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ’।

যাবেন কীভাবে

ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ সরাসরি এনা, হানিফ, শ্যামলী, ইউনিকসহ অনেক কোম্পানির বাস এই পথে চলাচল করে। তবে অবশ্যই অগ্রিম টিকিট কেটে রাখুন। তাহলে ঝামেলায় পড়তে হবে না। সুনামগঞ্জ শহরে এসে এম এ খান সেতুর কাছে পাবেন মোটরবাইক অথবা গাড়ি। সেগুলোতে যেতে হবে তাহিরপুর বাজার। সেখান থেকে নৌকায় করে যেতে হবে মধ্যনগর গ্রামে। মধ্যনগর থেকে মহিষখোলা গ্রাম ১০ মিনিটের রাস্তা। দল বেঁধে ঘুরতে গেলেই বেশি আনন্দ করতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত