জাহাঙ্গীর আলম

প্রথমবারের মতো ব্যবহারকারী হারিয়েছে ফেসবুক। সংখ্যাটিও বেশ বড়। মেটাভার্স নিয়ে অনেক হইচই হলেও কোম্পানির দাম পড়েছে রেকর্ড পরিমাণ। অনেকে বলছেন, এটাই কি তাহলে ফেসবুকের শেষের শুরু?
গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে ফেসবুকের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা প্ল্যাটফর্মস ২৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বাজারমূল্য হারিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানি ওয়াল স্ট্রিটের ইতিহাসে একদিনে এতো দরপতন কখনো দেখেনি। গত বছরের শেষ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই বিনিয়োগকারীরা এতোটাই হতাশ হয়ে পড়েন যে শেয়ারের দাম এক ধাক্কায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ পড়ে যায়।
মেটার আর্থিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফেসবুকের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী কমেছে। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সাইটটির দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ১৯৩ কোটি। আর চতুর্থ প্রান্তিকে সেই সংখ্যাটি ১৯২ কোটি ৯০ লাখে নেমেছে।
করোনা মহামারীর মধ্যে যেখানে ইন্টারনেটে মানুষের বিচরণ বেড়েছে, অন্য অনেক প্ল্যাটফর্মের ট্রাফিক বেড়েছে, সেখানে ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারী উল্টো কমে গেল! মানুষ কেন এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করা ছেড়ে দিচ্ছে সেটি সত্যিই অনুসন্ধানের দাবি রাখে।
ফেসবুক এতোটাই জনপ্রিয় যে কেউ জীবনে কখনো ব্যবহার না করলেও ফেসবুক সম্পর্কে ঠিকই জানেন। বিশ্বের বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে প্রধান এটি। প্রায় প্রতিটি দেশেই এর ব্যবহারকারী রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে যেভাবে দাপটের সঙ্গে এর বাড়বাড়ন্ত চলছে, তাতে মানুষের মধ্যে একটি ধারণা প্রায় বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, এ সাইটের পতন অসম্ভব। বরং দিন দিন শক্তিবৃদ্ধিই ঘটবে।
ফেসবুকের এই অধোগতিতে প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিঃসন্দেহে খুশি। বলতে গেলে কিছু প্রতিদ্বন্দ্বীই ফেসবুকের ব্যবহারকারী ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। তারা ওই প্ল্যাটফর্মেই পরিপূর্ণভাবে লেগে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফেসবুকের ব্যবহারকারী কমে যাওয়ার পেছনে এমন চারটি কারণ চিহ্নিত করা যেতে পারে।
টিকটকের রাজত্ব
শর্ট ভিডিও শেয়ারিংয়ের প্ল্যাটফর্ম টিকটক এখন অন্যতম প্রভাবশালী সোশ্যাল মিডিয়া। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে টিকটক দাবি করেছিল, এই প্ল্যাটফর্মে ১০০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে।
২০২২ সালের গোড়ার দিকে ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছিলেন, তাঁর কোম্পানির অন্যতম প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে টিকটক। শুধু তাই নয়, তাঁর উদ্বেগ ও বিগত বেশ কিছু পদক্ষেপে স্পষ্ট টিকটককে ফেসবুক কতো বড় হুমকি বলে মনে করছে। ফেসবুক স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিওর বাজার ধরতে নানা চেষ্টা করছে। বড় লেখা ভিত্তিক ও ব্যবহারকারীর স্ট্যাটাস নির্ভর কনটেন্ট আকর্ষণের কৌশলে বৈচিত্র্য আনতে ‘রিলস’ নামে ফিচার এনেছে।
জাকারবার্গ বলেছিলেন, ‘টিকটক এরই মধ্যে বড় প্রতিযোগী হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। তারা বেশ বড় ইউজার বেস নিয়ে দ্রুত হারে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। যদিও আমরা খুব দ্রুত এবং চক্রবৃদ্ধি হারেই বড় হচ্ছি। কিন্তু আমাদের একটি প্রতিযোগীও আমাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে।’
কিশোর-তরুণরা আগ্রহ হারাচ্ছে
কিশোর-কিশোরী আর তরুণ-তরুণীরা এখন টিকটকে ভিড় করছে। টিকটকে ঘণ্টাখানেক ঢুঁ মারলেই সেটি বোঝা যায়। অবশ্য তাদের পছন্দের তালিকায় ফেসবুকের ওপরে রাখা একমাত্র প্ল্যাটফর্ম এটি নয়। শিশু-কিশোররা এখন ফেসবুকের চেয়ে ফোর্টনাইট এবং রবলক্সের মতো গেম বা ডিসকর্ডের মতো প্ল্যাটফর্মেই বেশি সময় দিচ্ছে।
ফেসবুককে এখন পুরোনো প্রজন্মের জন্য পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখা যেতে পারে। শিশুরা বরং ভিডিও গেমে মজে থাকছে। সেখানে দেখে দেখে কল্পিত থ্রিডি বিশ্বে বুঁদ হয়ে থাকতেই পছন্দ করছে। ওই সব প্ল্যাটফর্মেই তারা এখন বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করতে পারে। তাদের মজার মজার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে, এক সঙ্গে মজার কোনো উপলক্ষ্য উপভোগ করতে পারে।
বিষয়টি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভেতরে ভেতরে স্বীকার করে এবং এ নিয়ে তাদের উদ্বেগও বাড়ছে। প্রযুক্তি পত্রিকা দ্য ভার্জের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুকের গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২২ সালে কিশোর ফেসবুক ব্যবহারকারী ৪৫ শতাংশ কমবে।
সম্প্রতি একটি নামি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ প্রেজেন্টেশনেও বলা হয়, আঠারো ঊর্ধ্ব তরুণেরা ফেসবুকে প্রকাশিত বিষয়বস্তুকে বিরক্তিকর, বিভ্রান্তিকর এবং নেতিবাচক হিসেবে দেখছে। এ ছাড়া ফেসবুকের সঙ্গে বহু নেতিবাচক বিষয়ের সংশ্লিষ্টতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ দেখাচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি প্রাসঙ্গিত পরিষেবাগুলোর বিষয়ে ফেসবুকের সচেতনতার অভাবও তাঁদের মধ্যে বিরক্তি তৈরি করছে।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ছে
ভারত ফেসবুকের বৃহত্তম বাজার। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। যদিও এর পেছনে প্রচুর কারণ রয়েছে। এর মধ্যে একটা বলা যায়, ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি সম্ভবত একেবারে কাকতালীয় নয়!

মেটার সিএফও ডেভিড ওয়েহনারের মতে, ডেটার দাম বৃদ্ধির কারণে ভারতে ফেসবুক ব্যবহারকারী বৃদ্ধির হার কমে গেছে।
২০২১ সালের নভেম্বরে ভারতের সব প্রধান টেলিকম কোম্পানি তাদের প্রিপেইড ট্যারিফ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকতে পারে। এর অর্থ হলো, ভারতে ফেসবুক ব্যবহারের খরচ এর আগে কখনও বেশি ছিল না।
বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ সঙ্কুচিত
ফেসবুকের যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালে। একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই শুধু এ প্ল্যাটফর্মে সাইন আপ করতে পারতেন। সেই ফেসবুক এখন প্রায় প্রতিটি দেশে সক্রিয়। অবশ্য চীন, উত্তর কোরিয়া এবং ইরানের মতো কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ।
যেহেতু এই নিষেধাজ্ঞাগুলো কখনো প্রত্যাহার করার সম্ভাবনা কম, তাই ভৌগলিকভাবে বাজার সম্প্রসারণের জন্য ফেসবুকের আর কোনো সুযোগ অবশিষ্ট নেই।
এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের হাতে অনেক অপশন। যে কেউ যে কোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সাইন আপ করতে পারেন। এই বিষয়টি নতুন সোশিওডেমোগ্রাফিক গ্রুপকে টার্গেট করা বা পুরোনো ব্যবহারকারীদের ফিরিয়ে আনার কৌশলে ফেসবুককে বেশ চাপেই ফেলছে।
বাজারে বহু প্রতিদ্বন্দ্বী। আইডিয়াও নতুন। মানুষ তো চায় নতুন অভিজ্ঞতা। ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ার চরম মুক্তবাজারে নতুন নতুন আইডিয়ার কাছে বারবার হোঁচট খাচ্ছে ফেসবুক। তাল মেলাতে হাঁসফাঁস অবস্থা! মাঝে মধ্যে অন্যের নতুন আইডিয়া নকল করার চেষ্টাও করে।
এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের মতো পরিষেবাগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইন্টারনেটজুড়ে মেটার আঁচড় রাখার কৌশল নিয়েছেন জাকারবার্গ। এ উদ্যোগ তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে ঝুঁকিতে বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করবে বলে আশা। ফলে মাত্র একটি প্রান্তিকের নেতিবাচক চিত্র দিয়েই বলা ঠিক হবে না যে, ফেসবুক ধসে যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা নিবিড়ভাবে সবকিছু মূল্যায়ন করছেন। ফেসবুক যাতে কোনোভাবেই অথৈ সাগরে ডুবন্ত জাহাজে পরিণত না হয়, সে চেষ্টায় তাঁরা নিশ্চয়ই খামতি রাখবে না।

প্রথমবারের মতো ব্যবহারকারী হারিয়েছে ফেসবুক। সংখ্যাটিও বেশ বড়। মেটাভার্স নিয়ে অনেক হইচই হলেও কোম্পানির দাম পড়েছে রেকর্ড পরিমাণ। অনেকে বলছেন, এটাই কি তাহলে ফেসবুকের শেষের শুরু?
গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে ফেসবুকের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা প্ল্যাটফর্মস ২৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বাজারমূল্য হারিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানি ওয়াল স্ট্রিটের ইতিহাসে একদিনে এতো দরপতন কখনো দেখেনি। গত বছরের শেষ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই বিনিয়োগকারীরা এতোটাই হতাশ হয়ে পড়েন যে শেয়ারের দাম এক ধাক্কায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ পড়ে যায়।
মেটার আর্থিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফেসবুকের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী কমেছে। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সাইটটির দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ১৯৩ কোটি। আর চতুর্থ প্রান্তিকে সেই সংখ্যাটি ১৯২ কোটি ৯০ লাখে নেমেছে।
করোনা মহামারীর মধ্যে যেখানে ইন্টারনেটে মানুষের বিচরণ বেড়েছে, অন্য অনেক প্ল্যাটফর্মের ট্রাফিক বেড়েছে, সেখানে ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারী উল্টো কমে গেল! মানুষ কেন এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করা ছেড়ে দিচ্ছে সেটি সত্যিই অনুসন্ধানের দাবি রাখে।
ফেসবুক এতোটাই জনপ্রিয় যে কেউ জীবনে কখনো ব্যবহার না করলেও ফেসবুক সম্পর্কে ঠিকই জানেন। বিশ্বের বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে প্রধান এটি। প্রায় প্রতিটি দেশেই এর ব্যবহারকারী রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে যেভাবে দাপটের সঙ্গে এর বাড়বাড়ন্ত চলছে, তাতে মানুষের মধ্যে একটি ধারণা প্রায় বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, এ সাইটের পতন অসম্ভব। বরং দিন দিন শক্তিবৃদ্ধিই ঘটবে।
ফেসবুকের এই অধোগতিতে প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিঃসন্দেহে খুশি। বলতে গেলে কিছু প্রতিদ্বন্দ্বীই ফেসবুকের ব্যবহারকারী ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। তারা ওই প্ল্যাটফর্মেই পরিপূর্ণভাবে লেগে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফেসবুকের ব্যবহারকারী কমে যাওয়ার পেছনে এমন চারটি কারণ চিহ্নিত করা যেতে পারে।
টিকটকের রাজত্ব
শর্ট ভিডিও শেয়ারিংয়ের প্ল্যাটফর্ম টিকটক এখন অন্যতম প্রভাবশালী সোশ্যাল মিডিয়া। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে টিকটক দাবি করেছিল, এই প্ল্যাটফর্মে ১০০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে।
২০২২ সালের গোড়ার দিকে ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছিলেন, তাঁর কোম্পানির অন্যতম প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে টিকটক। শুধু তাই নয়, তাঁর উদ্বেগ ও বিগত বেশ কিছু পদক্ষেপে স্পষ্ট টিকটককে ফেসবুক কতো বড় হুমকি বলে মনে করছে। ফেসবুক স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিওর বাজার ধরতে নানা চেষ্টা করছে। বড় লেখা ভিত্তিক ও ব্যবহারকারীর স্ট্যাটাস নির্ভর কনটেন্ট আকর্ষণের কৌশলে বৈচিত্র্য আনতে ‘রিলস’ নামে ফিচার এনেছে।
জাকারবার্গ বলেছিলেন, ‘টিকটক এরই মধ্যে বড় প্রতিযোগী হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। তারা বেশ বড় ইউজার বেস নিয়ে দ্রুত হারে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। যদিও আমরা খুব দ্রুত এবং চক্রবৃদ্ধি হারেই বড় হচ্ছি। কিন্তু আমাদের একটি প্রতিযোগীও আমাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে।’
কিশোর-তরুণরা আগ্রহ হারাচ্ছে
কিশোর-কিশোরী আর তরুণ-তরুণীরা এখন টিকটকে ভিড় করছে। টিকটকে ঘণ্টাখানেক ঢুঁ মারলেই সেটি বোঝা যায়। অবশ্য তাদের পছন্দের তালিকায় ফেসবুকের ওপরে রাখা একমাত্র প্ল্যাটফর্ম এটি নয়। শিশু-কিশোররা এখন ফেসবুকের চেয়ে ফোর্টনাইট এবং রবলক্সের মতো গেম বা ডিসকর্ডের মতো প্ল্যাটফর্মেই বেশি সময় দিচ্ছে।
ফেসবুককে এখন পুরোনো প্রজন্মের জন্য পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখা যেতে পারে। শিশুরা বরং ভিডিও গেমে মজে থাকছে। সেখানে দেখে দেখে কল্পিত থ্রিডি বিশ্বে বুঁদ হয়ে থাকতেই পছন্দ করছে। ওই সব প্ল্যাটফর্মেই তারা এখন বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করতে পারে। তাদের মজার মজার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে, এক সঙ্গে মজার কোনো উপলক্ষ্য উপভোগ করতে পারে।
বিষয়টি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভেতরে ভেতরে স্বীকার করে এবং এ নিয়ে তাদের উদ্বেগও বাড়ছে। প্রযুক্তি পত্রিকা দ্য ভার্জের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুকের গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২২ সালে কিশোর ফেসবুক ব্যবহারকারী ৪৫ শতাংশ কমবে।
সম্প্রতি একটি নামি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ প্রেজেন্টেশনেও বলা হয়, আঠারো ঊর্ধ্ব তরুণেরা ফেসবুকে প্রকাশিত বিষয়বস্তুকে বিরক্তিকর, বিভ্রান্তিকর এবং নেতিবাচক হিসেবে দেখছে। এ ছাড়া ফেসবুকের সঙ্গে বহু নেতিবাচক বিষয়ের সংশ্লিষ্টতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ দেখাচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি প্রাসঙ্গিত পরিষেবাগুলোর বিষয়ে ফেসবুকের সচেতনতার অভাবও তাঁদের মধ্যে বিরক্তি তৈরি করছে।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ছে
ভারত ফেসবুকের বৃহত্তম বাজার। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। যদিও এর পেছনে প্রচুর কারণ রয়েছে। এর মধ্যে একটা বলা যায়, ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি সম্ভবত একেবারে কাকতালীয় নয়!

মেটার সিএফও ডেভিড ওয়েহনারের মতে, ডেটার দাম বৃদ্ধির কারণে ভারতে ফেসবুক ব্যবহারকারী বৃদ্ধির হার কমে গেছে।
২০২১ সালের নভেম্বরে ভারতের সব প্রধান টেলিকম কোম্পানি তাদের প্রিপেইড ট্যারিফ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকতে পারে। এর অর্থ হলো, ভারতে ফেসবুক ব্যবহারের খরচ এর আগে কখনও বেশি ছিল না।
বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ সঙ্কুচিত
ফেসবুকের যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালে। একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই শুধু এ প্ল্যাটফর্মে সাইন আপ করতে পারতেন। সেই ফেসবুক এখন প্রায় প্রতিটি দেশে সক্রিয়। অবশ্য চীন, উত্তর কোরিয়া এবং ইরানের মতো কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ।
যেহেতু এই নিষেধাজ্ঞাগুলো কখনো প্রত্যাহার করার সম্ভাবনা কম, তাই ভৌগলিকভাবে বাজার সম্প্রসারণের জন্য ফেসবুকের আর কোনো সুযোগ অবশিষ্ট নেই।
এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের হাতে অনেক অপশন। যে কেউ যে কোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সাইন আপ করতে পারেন। এই বিষয়টি নতুন সোশিওডেমোগ্রাফিক গ্রুপকে টার্গেট করা বা পুরোনো ব্যবহারকারীদের ফিরিয়ে আনার কৌশলে ফেসবুককে বেশ চাপেই ফেলছে।
বাজারে বহু প্রতিদ্বন্দ্বী। আইডিয়াও নতুন। মানুষ তো চায় নতুন অভিজ্ঞতা। ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ার চরম মুক্তবাজারে নতুন নতুন আইডিয়ার কাছে বারবার হোঁচট খাচ্ছে ফেসবুক। তাল মেলাতে হাঁসফাঁস অবস্থা! মাঝে মধ্যে অন্যের নতুন আইডিয়া নকল করার চেষ্টাও করে।
এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের মতো পরিষেবাগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইন্টারনেটজুড়ে মেটার আঁচড় রাখার কৌশল নিয়েছেন জাকারবার্গ। এ উদ্যোগ তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে ঝুঁকিতে বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করবে বলে আশা। ফলে মাত্র একটি প্রান্তিকের নেতিবাচক চিত্র দিয়েই বলা ঠিক হবে না যে, ফেসবুক ধসে যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা নিবিড়ভাবে সবকিছু মূল্যায়ন করছেন। ফেসবুক যাতে কোনোভাবেই অথৈ সাগরে ডুবন্ত জাহাজে পরিণত না হয়, সে চেষ্টায় তাঁরা নিশ্চয়ই খামতি রাখবে না।

যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
১০ ঘণ্টা আগে
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১২ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৬ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে। সেখানেই স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখন ব্যারিস্টার তিনি।
তবে, জাইমা রহমানের শৈশবের পুরোটা সময় বাংলাদেশেই কেটেছে। প্রাথমিকে পড়াশোনা করেছেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকায় (আইএসডি)। এই স্কুলেরই ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, গোলকিপার হিসেবে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামাল দিয়েছেন। এমনকি জয় করেছেন মেডেলও।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে আসাকে সামনে রেখে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শৈশবের সেই অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা করেন জাইমা। তিনি জানান, ফুটবল খেলে তিনি যে মেডেলটি পেয়েছিলেন, সেটি দাদিকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদির অফিসেই।
সেই সময়টিতে জাইমা রহমানের দাদি বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নাতনির মুখে মেডেল জয়ের গল্পটি তিনি বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন এবং এই গল্পটি তিনি অন্যদের সঙ্গেও খুব গর্ব করে বলতেন।
এ বিষয়ে জাইমা লিখেছেন—‘আমার বয়স তখন এগারো। আমাদের স্কুলের ফুটবল টিম একটা টুর্নামেন্ট জিতেছিল, আর আমি মেডেল পেয়েছিলাম। আম্মু আমাকে সরাসরি দাদুর অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন, আমি যেন নিজেই দাদুকে আমার বিজয়ের গল্পটা বলতে পারি; তাঁকে আমার বিজয়ের মেডেলটা দেখাতে পারি। আমি খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে গোলকিপার হিসেবে কী-কী করেছি, সেটা বলছিলাম; আর স্পষ্ট টের পাচ্ছিলাম, দাদু প্রচণ্ড মনোযোগ নিয়ে আমাকে শুনছেন। তিনি এতটাই গর্বিত হয়েছিলেন যে, পরে সেই গল্পটা তিনি অন্যদের কাছেও বলতেন।’
১৭ বছর পর বাবা-মায়ের সঙ্গে আবারও দেশে ফিরে আসা জাইমা রহমান এখন ৩০ বছরের পরিপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব। লন্ডনে গিয়ে তাঁর জীবন নতুনভাবে গড়ে ওঠে। শেকড় হারানোর বেদনার সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন সমাজ, নতুন ভাষা, নতুন লড়াই। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। লন্ডনের ম্যারিমাউন্ট গার্লস স্কুল থেকে তিনি ও-লেভেল পাস করেন। পরে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে। পরে তিনি লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী আইন প্রতিষ্ঠান ‘ইনার টেম্পল’ থেকে ‘বার-এট-ল’ কোর্স সম্পন্ন করে ব্যারিস্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে। সেখানেই স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখন ব্যারিস্টার তিনি।
তবে, জাইমা রহমানের শৈশবের পুরোটা সময় বাংলাদেশেই কেটেছে। প্রাথমিকে পড়াশোনা করেছেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকায় (আইএসডি)। এই স্কুলেরই ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, গোলকিপার হিসেবে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামাল দিয়েছেন। এমনকি জয় করেছেন মেডেলও।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে আসাকে সামনে রেখে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শৈশবের সেই অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা করেন জাইমা। তিনি জানান, ফুটবল খেলে তিনি যে মেডেলটি পেয়েছিলেন, সেটি দাদিকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদির অফিসেই।
সেই সময়টিতে জাইমা রহমানের দাদি বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নাতনির মুখে মেডেল জয়ের গল্পটি তিনি বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন এবং এই গল্পটি তিনি অন্যদের সঙ্গেও খুব গর্ব করে বলতেন।
এ বিষয়ে জাইমা লিখেছেন—‘আমার বয়স তখন এগারো। আমাদের স্কুলের ফুটবল টিম একটা টুর্নামেন্ট জিতেছিল, আর আমি মেডেল পেয়েছিলাম। আম্মু আমাকে সরাসরি দাদুর অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন, আমি যেন নিজেই দাদুকে আমার বিজয়ের গল্পটা বলতে পারি; তাঁকে আমার বিজয়ের মেডেলটা দেখাতে পারি। আমি খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে গোলকিপার হিসেবে কী-কী করেছি, সেটা বলছিলাম; আর স্পষ্ট টের পাচ্ছিলাম, দাদু প্রচণ্ড মনোযোগ নিয়ে আমাকে শুনছেন। তিনি এতটাই গর্বিত হয়েছিলেন যে, পরে সেই গল্পটা তিনি অন্যদের কাছেও বলতেন।’
১৭ বছর পর বাবা-মায়ের সঙ্গে আবারও দেশে ফিরে আসা জাইমা রহমান এখন ৩০ বছরের পরিপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব। লন্ডনে গিয়ে তাঁর জীবন নতুনভাবে গড়ে ওঠে। শেকড় হারানোর বেদনার সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন সমাজ, নতুন ভাষা, নতুন লড়াই। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। লন্ডনের ম্যারিমাউন্ট গার্লস স্কুল থেকে তিনি ও-লেভেল পাস করেন। পরে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে। পরে তিনি লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী আইন প্রতিষ্ঠান ‘ইনার টেম্পল’ থেকে ‘বার-এট-ল’ কোর্স সম্পন্ন করে ব্যারিস্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফেসবুকের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী কমেছে। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সাইটটির দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ১৯৩ কোটি। আর চতুর্থ প্রান্তিকে সেই সংখ্যাটি ১৯২ কোটি ৯০ লাখে নেমেছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১২ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৬ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল ময়ূর বা রাজহাঁসের মাংস।
ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে বড়দিনের ভোজে টার্কি খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তবে টার্কিকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব ভিক্টোরিয়ান যুগের। রানি ভিক্টোরিয়া যখন তাঁর রাজকীয় ক্রিসমাস ভোজে টার্কি খাওয়া শুরু করেন, তখন থেকেই এটি আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

রাজকীয় পছন্দের বাইরে সাধারণ মানুষের ঘরে টার্কিকে জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল লেখক চার্লস ডিকেন্সের। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’-এ দেখা যায়, একসময়ের কৃপণ ইবেনেজার স্ক্রুজ বড়দিনে ক্র্যাচিট পরিবারকে একটি বিশাল টার্কি উপহার পাঠাচ্ছেন। এই গল্প সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দেয় যে—বড়দিনের আদর্শ খাবার মানেই টার্কি।
কেন টার্কিই সেরা পছন্দ
টার্কি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কিছু ব্যবহারিক কারণও রয়েছে। আকার ও উপযোগিতা—গরু দুধ দেয় আর মুরগি দেয় ডিম; কিন্তু টার্কির অন্য কোনো ব্যবহার নেই। এ ছাড়া একটি বড় টার্কি দিয়ে অনায়াসেই পুরো পরিবারের ভোজ সম্পন্ন করা যায়। অনেকগুলো ছোট পাখি রান্না করার চেয়ে একটি বড় পাখি রান্না করা অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
হিমায়িত বা ফ্রোজেন টার্কি—রেফ্রিজারেশন বা ফ্রিজ আবিষ্কারের আগে টাটকা টার্কি কেনা ছিল বেশ ঝক্কির কাজ। কিন্তু ফ্রোজেন টার্কি বাজারে আসার পর মানুষ আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এটি কিনতে শুরু করে, যা এর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

পরদিনের চমৎকার নাশতা—বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ ‘বক্সিং ডে’তে টার্কির বেঁচে যাওয়া মাংস (Leftovers) দিয়ে স্যান্ডউইচ, স্টু, কারি বা পাই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে, টার্কি কারি এখন অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়।
যুক্তরাজ্যে টার্কির একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও ক্রিসমাসে টার্কি খাওয়ার রীতি বজায় আছে।
যাঁরা বড় টার্কি রান্না করতে চান না বা ঝামেলা ছাড়াই উৎসবের খাবার উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্যও আজ নানা ধরনের প্রস্তুত টার্কি খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে—যা ক্রিসমাস উদ্যাপনকে আরও সহজ করে তুলেছে। বড়দিনের এই দীর্ঘ ঐতিহ্যের কারণে আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টার্কি ছাড়া উৎসবের কথা কল্পনাও করতে পারেন না। আপনিও কি এবার বড়দিনের আয়োজনে টার্কি রাখছেন?

বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল ময়ূর বা রাজহাঁসের মাংস।
ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে বড়দিনের ভোজে টার্কি খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তবে টার্কিকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব ভিক্টোরিয়ান যুগের। রানি ভিক্টোরিয়া যখন তাঁর রাজকীয় ক্রিসমাস ভোজে টার্কি খাওয়া শুরু করেন, তখন থেকেই এটি আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

রাজকীয় পছন্দের বাইরে সাধারণ মানুষের ঘরে টার্কিকে জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল লেখক চার্লস ডিকেন্সের। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’-এ দেখা যায়, একসময়ের কৃপণ ইবেনেজার স্ক্রুজ বড়দিনে ক্র্যাচিট পরিবারকে একটি বিশাল টার্কি উপহার পাঠাচ্ছেন। এই গল্প সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দেয় যে—বড়দিনের আদর্শ খাবার মানেই টার্কি।
কেন টার্কিই সেরা পছন্দ
টার্কি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কিছু ব্যবহারিক কারণও রয়েছে। আকার ও উপযোগিতা—গরু দুধ দেয় আর মুরগি দেয় ডিম; কিন্তু টার্কির অন্য কোনো ব্যবহার নেই। এ ছাড়া একটি বড় টার্কি দিয়ে অনায়াসেই পুরো পরিবারের ভোজ সম্পন্ন করা যায়। অনেকগুলো ছোট পাখি রান্না করার চেয়ে একটি বড় পাখি রান্না করা অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
হিমায়িত বা ফ্রোজেন টার্কি—রেফ্রিজারেশন বা ফ্রিজ আবিষ্কারের আগে টাটকা টার্কি কেনা ছিল বেশ ঝক্কির কাজ। কিন্তু ফ্রোজেন টার্কি বাজারে আসার পর মানুষ আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এটি কিনতে শুরু করে, যা এর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

পরদিনের চমৎকার নাশতা—বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ ‘বক্সিং ডে’তে টার্কির বেঁচে যাওয়া মাংস (Leftovers) দিয়ে স্যান্ডউইচ, স্টু, কারি বা পাই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে, টার্কি কারি এখন অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়।
যুক্তরাজ্যে টার্কির একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও ক্রিসমাসে টার্কি খাওয়ার রীতি বজায় আছে।
যাঁরা বড় টার্কি রান্না করতে চান না বা ঝামেলা ছাড়াই উৎসবের খাবার উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্যও আজ নানা ধরনের প্রস্তুত টার্কি খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে—যা ক্রিসমাস উদ্যাপনকে আরও সহজ করে তুলেছে। বড়দিনের এই দীর্ঘ ঐতিহ্যের কারণে আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টার্কি ছাড়া উৎসবের কথা কল্পনাও করতে পারেন না। আপনিও কি এবার বড়দিনের আয়োজনে টার্কি রাখছেন?

১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফেসবুকের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী কমেছে। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সাইটটির দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ১৯৩ কোটি। আর চতুর্থ প্রান্তিকে সেই সংখ্যাটি ১৯২ কোটি ৯০ লাখে নেমেছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
১০ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৬ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার স্বাস্থ্যগুণের জন্য সমাদৃত। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ—কাজুবাদামের আছে বহুমুখী উপকারিতা। এটি নিয়মিত খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত কারণ আছে। আবার খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু সতর্কতাও। তাই নিজের খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে ভালো ও খারাপ দিক জেনে রাখুন।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা
কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
কাজুবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর কারণ হলো, কাজুবাদামের সবটুকু ক্যালরি শরীর শোষণ করতে পারে না। এর ভেতরের আঁশ বা ফাইবার চর্বিকে আটকে ফেলে, যা হজমের সময় শরীরে পুরোপুরি শোষিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী। এতে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া এর ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশ কাজুবাদাম থেকে গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
কাজুবাদাম কপার ও জিঙ্কের চমৎকার উৎস। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে অপরিহার্য। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড) শরীরের ভেতরের ব্যথা কমাতে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে কাজ করে।
হাড় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
কাজুবাদামে আছে ভরপুর ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন কে। এগুলো হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এর কপার উপাদান মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি সাহায্য করে।
কাঁচা কাজু নিরাপদ কি না
আমরা বাজারে যে কাজুবাদাম কাঁচা হিসেবে কিনি, তা আসলে পুরোপুরি কাঁচা নয়। গাছের তাজা কাজুবাদামের খোসায় ইউরুশিয়াল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বকে অ্যালার্জি বা ফোসকা তৈরি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপ দিয়ে এই বিষাক্ত অংশ দূর করা হয়। তাই গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে কাজু খাওয়া নিরাপদ নয়।
খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করার সহজ উপায়
কাজুবাদাম খুব সহজে প্রতিদিনের খাবারে যোগ করা যায়। বিকেলের নাশতায় এক মুঠো ভাজা কাজু খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপ বা স্ট্যুতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি—দুই-ই বেড়ে যায়। কাজুবাদাম ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ মুক্ত ক্রিম বা পনির তৈরি করা সম্ভব। টোস্ট বা ওটমিলের সঙ্গে কাজু বাটার ব্যবহার করা যায়।
মনে রাখবেন
পরিমাণ: কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এতে ক্যালরি বেশি। তাই দিনে ২৮ গ্রাম বা প্রায় ১৮টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
লবণ ও তেল: অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা কাজুর চেয়ে শুকনো ভাজা বা আনসলটেড কাজু বেছে নেওয়া ভালো।
অ্যালার্জি: যাদের কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের কাজু খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট বা চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথ লাইন, ইভিএন এক্সপ্রেস, ওয়েব মেড

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার স্বাস্থ্যগুণের জন্য সমাদৃত। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ—কাজুবাদামের আছে বহুমুখী উপকারিতা। এটি নিয়মিত খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত কারণ আছে। আবার খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু সতর্কতাও। তাই নিজের খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে ভালো ও খারাপ দিক জেনে রাখুন।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা
কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
কাজুবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর কারণ হলো, কাজুবাদামের সবটুকু ক্যালরি শরীর শোষণ করতে পারে না। এর ভেতরের আঁশ বা ফাইবার চর্বিকে আটকে ফেলে, যা হজমের সময় শরীরে পুরোপুরি শোষিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী। এতে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া এর ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশ কাজুবাদাম থেকে গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
কাজুবাদাম কপার ও জিঙ্কের চমৎকার উৎস। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে অপরিহার্য। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড) শরীরের ভেতরের ব্যথা কমাতে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে কাজ করে।
হাড় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
কাজুবাদামে আছে ভরপুর ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন কে। এগুলো হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এর কপার উপাদান মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি সাহায্য করে।
কাঁচা কাজু নিরাপদ কি না
আমরা বাজারে যে কাজুবাদাম কাঁচা হিসেবে কিনি, তা আসলে পুরোপুরি কাঁচা নয়। গাছের তাজা কাজুবাদামের খোসায় ইউরুশিয়াল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বকে অ্যালার্জি বা ফোসকা তৈরি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপ দিয়ে এই বিষাক্ত অংশ দূর করা হয়। তাই গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে কাজু খাওয়া নিরাপদ নয়।
খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করার সহজ উপায়
কাজুবাদাম খুব সহজে প্রতিদিনের খাবারে যোগ করা যায়। বিকেলের নাশতায় এক মুঠো ভাজা কাজু খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপ বা স্ট্যুতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি—দুই-ই বেড়ে যায়। কাজুবাদাম ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ মুক্ত ক্রিম বা পনির তৈরি করা সম্ভব। টোস্ট বা ওটমিলের সঙ্গে কাজু বাটার ব্যবহার করা যায়।
মনে রাখবেন
পরিমাণ: কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এতে ক্যালরি বেশি। তাই দিনে ২৮ গ্রাম বা প্রায় ১৮টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
লবণ ও তেল: অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা কাজুর চেয়ে শুকনো ভাজা বা আনসলটেড কাজু বেছে নেওয়া ভালো।
অ্যালার্জি: যাদের কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের কাজু খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট বা চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথ লাইন, ইভিএন এক্সপ্রেস, ওয়েব মেড

১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফেসবুকের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী কমেছে। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সাইটটির দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ১৯৩ কোটি। আর চতুর্থ প্রান্তিকে সেই সংখ্যাটি ১৯২ কোটি ৯০ লাখে নেমেছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
১০ ঘণ্টা আগে
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১২ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে।
চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা। আপনার কড়াইটি তখন থার্মাল শকের শিকার হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে রান্নার পাত্রের আয়ু কমিয়ে দেয়। অনেক গৃহিণী ও রান্নাপ্রেমী মনে করেন, গরম কাড়াই সরাসরি সিঙ্কে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢাললে পোড়া খাবারের অংশ সহজে উঠে যায়। কিন্তু অল-ক্ল্যাড ও ক্যালফালনের মতো নামকরা কুকওয়্যার ব্রান্ড সতর্ক করে বলছে, এটি কড়াই নষ্ট হওয়ার বড় কারণগুলোর একটি।
থার্মাল শক কীভাবে ক্ষতি করে
ধাতু গরম হলে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডা হলে সংকুচিত হয়। এটি পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম। যখন প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি কড়াই হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসে, তখন ধাতব অণুগুলো দ্রুত সংকুচিত হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তনই সৃষ্টি করে থার্মাল শক, যা কড়াইয়ের গঠনকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া
থার্মাল শকের সবচেয়ে সাধারণ ফল হলো কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডায় কড়াইয়ের নিচের অংশ সংকুচিত হয়ে ভাঁজ হয়ে যায়। ফলে কড়াই চুলার ওপর ঠিকভাবে বসে না এবং তাপ সমানভাবে ছড়ায় না। এর ফল হিসেবে রান্নার সময় এক পাশে খাবার পুড়ে যায়, অন্য পাশে ঠিকমতো রান্না হয় না।
নন-স্টিক কড়াই বাড়তি ঝুঁকি
নন-স্টিক কড়াইয়ের ক্ষেত্রে থার্মাল শক আরও বেশি ক্ষতিকর। কারণ, প্যানের ধাতু ও নন-স্টিক কোটিংয়ের প্রসারণ ও সংকোচনের হার এক নয়। হঠাৎ ঠান্ডা হলে কোটিং ফেটে যেতে বা উঠে যেতে পারে। এতে প্যানের নন-স্টিক ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কোটিংয়ের ক্ষুদ্র কণা খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ক্ষতিগ্রস্ত নন-স্টিক কোটিং থেকে পিএফএএস জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হতে পারে। যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ফাটল ধরার ঝুঁকি
কাস্ট আয়রন, স্টোনওয়্যার বা সিরামিক প্যানের ক্ষেত্রে থার্মাল শক কখনো কখনো তাৎক্ষণিক ফাটল ধরাতে পারে। এসব উপাদান স্টেইনলেস স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় বেশি ভঙ্গুর হওয়ায় হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না।

কড়াই রক্ষা করার নিয়ম
বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়াই ভালো রাখার সহজ নিয়ম হলো ধৈর্য। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে—
রান্না শেষ হলে কড়াইটি চুলার ওপর বা পাশে রেখে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন।
পুরোপুরি ঠান্ডা হলে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
তাড়াহুড়া থাকলে ঠান্ডা পানির বদলে গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকে।
আরও কিছু সাধারণ ভুল
বিশেষজ্ঞরা আরও কয়েকটি ভুলের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো—
ঠান্ডা পানিতে লবণ দিলে লবণের কণা তলায় জমে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে ক্ষুদ্র গর্ত তৈরি করতে পারে। তাই পানি ফুটে ওঠার পর লবণ যোগ করা ভালো।
নন-স্টিক প্যান একটির ওপর আরেকটি রাখলে ওপরের প্যানের তলা নিচের প্যানের কোটিংয়ে আঁচড় ফেলতে পারে।
নন-স্টিক প্যানে ধাতব স্ক্রাবার বা শক্ত ঘষামাজা একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
কাস্ট আয়রন প্যান পরিষ্কারে সাবান কম ব্যবহার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত শুকিয়ে হালকা তেল মেখে রাখা ভালো, এতে মরিচা ধরবে না।
রান্নার পাত্রের যত্ন নেওয়া মানে শুধু খরচ বাঁচানো নয়; এটি খাবারের মান, স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। একটি ভালো পাত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকলে সমানভাবে রান্না হয়। খাবার পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষতিকর পদার্থ খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। গরম প্যানে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসটি ত্যাগ করলে কড়াইয়ের গঠন ও কোটিং অক্ষত এবং সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী থাকবে।
সূত্র: হাফ পোস্ট

কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে।
চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা। আপনার কড়াইটি তখন থার্মাল শকের শিকার হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে রান্নার পাত্রের আয়ু কমিয়ে দেয়। অনেক গৃহিণী ও রান্নাপ্রেমী মনে করেন, গরম কাড়াই সরাসরি সিঙ্কে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢাললে পোড়া খাবারের অংশ সহজে উঠে যায়। কিন্তু অল-ক্ল্যাড ও ক্যালফালনের মতো নামকরা কুকওয়্যার ব্রান্ড সতর্ক করে বলছে, এটি কড়াই নষ্ট হওয়ার বড় কারণগুলোর একটি।
থার্মাল শক কীভাবে ক্ষতি করে
ধাতু গরম হলে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডা হলে সংকুচিত হয়। এটি পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম। যখন প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি কড়াই হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসে, তখন ধাতব অণুগুলো দ্রুত সংকুচিত হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তনই সৃষ্টি করে থার্মাল শক, যা কড়াইয়ের গঠনকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া
থার্মাল শকের সবচেয়ে সাধারণ ফল হলো কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডায় কড়াইয়ের নিচের অংশ সংকুচিত হয়ে ভাঁজ হয়ে যায়। ফলে কড়াই চুলার ওপর ঠিকভাবে বসে না এবং তাপ সমানভাবে ছড়ায় না। এর ফল হিসেবে রান্নার সময় এক পাশে খাবার পুড়ে যায়, অন্য পাশে ঠিকমতো রান্না হয় না।
নন-স্টিক কড়াই বাড়তি ঝুঁকি
নন-স্টিক কড়াইয়ের ক্ষেত্রে থার্মাল শক আরও বেশি ক্ষতিকর। কারণ, প্যানের ধাতু ও নন-স্টিক কোটিংয়ের প্রসারণ ও সংকোচনের হার এক নয়। হঠাৎ ঠান্ডা হলে কোটিং ফেটে যেতে বা উঠে যেতে পারে। এতে প্যানের নন-স্টিক ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কোটিংয়ের ক্ষুদ্র কণা খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ক্ষতিগ্রস্ত নন-স্টিক কোটিং থেকে পিএফএএস জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হতে পারে। যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ফাটল ধরার ঝুঁকি
কাস্ট আয়রন, স্টোনওয়্যার বা সিরামিক প্যানের ক্ষেত্রে থার্মাল শক কখনো কখনো তাৎক্ষণিক ফাটল ধরাতে পারে। এসব উপাদান স্টেইনলেস স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় বেশি ভঙ্গুর হওয়ায় হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না।

কড়াই রক্ষা করার নিয়ম
বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়াই ভালো রাখার সহজ নিয়ম হলো ধৈর্য। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে—
রান্না শেষ হলে কড়াইটি চুলার ওপর বা পাশে রেখে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন।
পুরোপুরি ঠান্ডা হলে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
তাড়াহুড়া থাকলে ঠান্ডা পানির বদলে গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকে।
আরও কিছু সাধারণ ভুল
বিশেষজ্ঞরা আরও কয়েকটি ভুলের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো—
ঠান্ডা পানিতে লবণ দিলে লবণের কণা তলায় জমে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে ক্ষুদ্র গর্ত তৈরি করতে পারে। তাই পানি ফুটে ওঠার পর লবণ যোগ করা ভালো।
নন-স্টিক প্যান একটির ওপর আরেকটি রাখলে ওপরের প্যানের তলা নিচের প্যানের কোটিংয়ে আঁচড় ফেলতে পারে।
নন-স্টিক প্যানে ধাতব স্ক্রাবার বা শক্ত ঘষামাজা একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
কাস্ট আয়রন প্যান পরিষ্কারে সাবান কম ব্যবহার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত শুকিয়ে হালকা তেল মেখে রাখা ভালো, এতে মরিচা ধরবে না।
রান্নার পাত্রের যত্ন নেওয়া মানে শুধু খরচ বাঁচানো নয়; এটি খাবারের মান, স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। একটি ভালো পাত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকলে সমানভাবে রান্না হয়। খাবার পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষতিকর পদার্থ খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। গরম প্যানে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসটি ত্যাগ করলে কড়াইয়ের গঠন ও কোটিং অক্ষত এবং সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী থাকবে।
সূত্র: হাফ পোস্ট

১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফেসবুকের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী কমেছে। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সাইটটির দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ১৯৩ কোটি। আর চতুর্থ প্রান্তিকে সেই সংখ্যাটি ১৯২ কোটি ৯০ লাখে নেমেছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে।
১০ ঘণ্টা আগে
বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল রাজহাঁস, ময়ূর
১২ ঘণ্টা আগে
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
১৬ ঘণ্টা আগে