মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা

সিলিকন ভ্যালির একসময়কার গর্বিত প্রোগ্রামার জুলিয়ান ফোস্টার এক সকালে হঠাৎ ই-মেইল পেলেন, ‘ইয়োর রোল ইজ নো লংগার রিকয়ার্ড’। তিনি বুঝতে পারলেন না, যে কাজটি পাঁচ বছর ধরে তিনি দক্ষতার সঙ্গে করছিলেন, সেটি রাতারাতি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেল কীভাবে। উত্তর একটাই—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের কারণে কর্মী ছাঁটাই নিয়ে এ বছর থেকে বেশ আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা এর ভয়াবহতা বিভিন্ন ব্যাখ্যায় তুলে ধরছেন। এই আলোচনায় সম্প্রতি ঘি ঢালল মাইক্রোসফট। চলতি বছর চার দফা ছাঁটাইয়ে ১৫ হাজার কর্মীকে বিদায় জানিয়েছে এই বিগ টেক প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি শিগগির আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে।
ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের অনেকে জানিয়েছেন, তাঁদের কাজের দক্ষতা নিয়ে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ ছিল না। সমস্যা একটাই—তাঁদের জায়গায় এখন এআই সিস্টেম কাজ করতে পারছে সস্তায়; দ্রুত আর বিশ্রাম ছাড়াই।
মেটায় কনটেন্ট রিভিউ টিমে থাকা জেসিকা মুর বলেন, ‘একসময় আমরা সিদ্ধান্ত নিতাম কোন পোস্ট থাকবে, কোনটা যাবে। এখন এআই সফটওয়্যারই সেটা করছে। মানুষ দরকার নেই।’
এআই খাতে বিনিয়োগ, কর্মী ছাঁটাই করছে মাইক্রোসফট
প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট এ বছর চতুর্থ দফায় আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এ বছরই মোট ১৫ হাজার কর্মী বাদ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের কারণ এআই প্রযুক্তি উন্নত করা। মাইক্রোসফট এরই মধ্যে ৮০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে বিশাল ডেটা সেন্টার এবং এআই মডেল তৈরিতে।
ইতিহাসের বড় ছাঁটাইয়ের ঘোষণা ইন্টেলের
ইন্টেল তাদের ইতিহাসে বড়সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন সিইও লিপ-বু টানের অধীনে ২১ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করবে প্রতিষ্ঠানটি,
যা তাদের মোট কর্মিসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ। এই বিশাল কাটছাঁটে নতুন পরিচালনা কাঠামো এবং ব্যয় কমার ধারণা করা হচ্ছে।
মেটার বেশি কর্মী ছাঁটাই ফেসবুকে
চলতি বছর মেটা তাদের মোট কর্মীর প্রায় ৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩ হাজার ৬০০ জনকে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে। এই ছাঁটাই বেশি হয়েছে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে। এ ছাড়া মেটার ওয়্যারেবল ডিভাইস বিভাগ থেকেও শতাধিক কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় খরচ কমাতে পছন্দ করে। মেটা কর্মী কমিয়ে দিয়ে এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের ওপর বেশি বিনিয়োগ করছে। ফলে আগামী দিনে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হলে শুধু ভালো দক্ষতা নয়, এআইয়ের সঙ্গে কাজ করার দক্ষতাও জরুরি হয়ে উঠবে।
গুগল ও আমাজনের ধাপে ধাপে ছাঁটাই
প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল তাদের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ধাপে ধাপে কর্মী ছাঁটাই করছে। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে গ্লোবাল বিজনেস ইউনিট থেকে ২০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে; পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড, পিক্সেল ফোন এবং ক্রোম ব্রাউজারের দায়িত্বে থাকা ইউনিটগুলো থেকেও কর্মী কমানো হচ্ছে। ক্লাউড ও পিপল অপারেশনস বিভাগ থেকেও কিছু কাজ কমানোর খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে ই-কমার্স ও ক্লাউড সেবার বড় প্রতিষ্ঠান আমাজন তাদের অ্যালেক্সা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, একো স্মার্ট স্পিকার, রিং ভিডিও ডোরবেল ও জুক্স রোবোট্যাক্স ব্যবসার বিভাগ থেকে ১০০ জনের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর পাশাপাশি আমাজনের যোগাযোগ বিভাগ থেকেও ছাঁটাই করা হয়েছে কর্মীদের। আমাজন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ তাদের গ্রাহককেন্দ্রিক সংস্কৃতি উন্নত করার পাশাপাশি খরচ কমানোর জন্য।
ছাঁটাই করা কর্মীদের ক্ষতিপূরণ
টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের সঙ্গে কর্মীদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা সেভারেন্স প্যাকেজও দিচ্ছে। মাইক্রোসফট প্রায় ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে। প্রতিষ্ঠানটি তার ছাঁটাই করা কর্মীদের প্রত্যেককে ৬ মাসের বেতন, ৬০ দিনের নোটিশ পিরিয়ড এবং স্বাস্থ্যবিমা কভারেজ দিয়েছে।
গুগল কর্মী ছাঁটাইয়ের সময় ১৪ সপ্তাহ বা সাড়ে তিন মাসের মূল বেতন এবং চাকরির প্রতিবছর হিসেবে অতিরিক্ত ১ সপ্তাহ বেতন দেয়। সঙ্গে ছিল ৬ মাসের স্বাস্থ্যসুবিধা।
মেটা তার ছাঁটাই করা কর্মীদের ১৬ সপ্তাহ বা ৪ মাসের বেতন দেয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে। আমাজন ছাঁটাই কর্মীদের ২ মাসের বেতন এবং চাকরির মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে সেভারেন্স দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের অন্যান্য পদে চাকরিতেও সুযোগ দিয়েছে।
ইন্টেল ২০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করার সময় ৯ সপ্তাহের বেতন এবং ৪ সপ্তাহ আগাম নোটিশ সুবিধা দিয়েছে।
এ বছর প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের বড় কারণ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অটোমেশনে দ্রুত বিনিয়োগ। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ; যেমন মুদ্রাস্ফীতি, সুদের উচ্চ হার এবং বাজেট সংকোচনও ছাঁটাইয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে। এই পরিবর্তন শুধু ব্যয় কমানোর জন্য নয়, বরং ব্যবসার মডেলকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ।
সূত্র: রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও টেকক্রাঞ্চ

সিলিকন ভ্যালির একসময়কার গর্বিত প্রোগ্রামার জুলিয়ান ফোস্টার এক সকালে হঠাৎ ই-মেইল পেলেন, ‘ইয়োর রোল ইজ নো লংগার রিকয়ার্ড’। তিনি বুঝতে পারলেন না, যে কাজটি পাঁচ বছর ধরে তিনি দক্ষতার সঙ্গে করছিলেন, সেটি রাতারাতি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেল কীভাবে। উত্তর একটাই—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের কারণে কর্মী ছাঁটাই নিয়ে এ বছর থেকে বেশ আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা এর ভয়াবহতা বিভিন্ন ব্যাখ্যায় তুলে ধরছেন। এই আলোচনায় সম্প্রতি ঘি ঢালল মাইক্রোসফট। চলতি বছর চার দফা ছাঁটাইয়ে ১৫ হাজার কর্মীকে বিদায় জানিয়েছে এই বিগ টেক প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি শিগগির আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে।
ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের অনেকে জানিয়েছেন, তাঁদের কাজের দক্ষতা নিয়ে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ ছিল না। সমস্যা একটাই—তাঁদের জায়গায় এখন এআই সিস্টেম কাজ করতে পারছে সস্তায়; দ্রুত আর বিশ্রাম ছাড়াই।
মেটায় কনটেন্ট রিভিউ টিমে থাকা জেসিকা মুর বলেন, ‘একসময় আমরা সিদ্ধান্ত নিতাম কোন পোস্ট থাকবে, কোনটা যাবে। এখন এআই সফটওয়্যারই সেটা করছে। মানুষ দরকার নেই।’
এআই খাতে বিনিয়োগ, কর্মী ছাঁটাই করছে মাইক্রোসফট
প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট এ বছর চতুর্থ দফায় আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এ বছরই মোট ১৫ হাজার কর্মী বাদ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের কারণ এআই প্রযুক্তি উন্নত করা। মাইক্রোসফট এরই মধ্যে ৮০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে বিশাল ডেটা সেন্টার এবং এআই মডেল তৈরিতে।
ইতিহাসের বড় ছাঁটাইয়ের ঘোষণা ইন্টেলের
ইন্টেল তাদের ইতিহাসে বড়সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন সিইও লিপ-বু টানের অধীনে ২১ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করবে প্রতিষ্ঠানটি,
যা তাদের মোট কর্মিসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ। এই বিশাল কাটছাঁটে নতুন পরিচালনা কাঠামো এবং ব্যয় কমার ধারণা করা হচ্ছে।
মেটার বেশি কর্মী ছাঁটাই ফেসবুকে
চলতি বছর মেটা তাদের মোট কর্মীর প্রায় ৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩ হাজার ৬০০ জনকে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে। এই ছাঁটাই বেশি হয়েছে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে। এ ছাড়া মেটার ওয়্যারেবল ডিভাইস বিভাগ থেকেও শতাধিক কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় খরচ কমাতে পছন্দ করে। মেটা কর্মী কমিয়ে দিয়ে এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের ওপর বেশি বিনিয়োগ করছে। ফলে আগামী দিনে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হলে শুধু ভালো দক্ষতা নয়, এআইয়ের সঙ্গে কাজ করার দক্ষতাও জরুরি হয়ে উঠবে।
গুগল ও আমাজনের ধাপে ধাপে ছাঁটাই
প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল তাদের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ধাপে ধাপে কর্মী ছাঁটাই করছে। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে গ্লোবাল বিজনেস ইউনিট থেকে ২০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে; পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড, পিক্সেল ফোন এবং ক্রোম ব্রাউজারের দায়িত্বে থাকা ইউনিটগুলো থেকেও কর্মী কমানো হচ্ছে। ক্লাউড ও পিপল অপারেশনস বিভাগ থেকেও কিছু কাজ কমানোর খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে ই-কমার্স ও ক্লাউড সেবার বড় প্রতিষ্ঠান আমাজন তাদের অ্যালেক্সা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, একো স্মার্ট স্পিকার, রিং ভিডিও ডোরবেল ও জুক্স রোবোট্যাক্স ব্যবসার বিভাগ থেকে ১০০ জনের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর পাশাপাশি আমাজনের যোগাযোগ বিভাগ থেকেও ছাঁটাই করা হয়েছে কর্মীদের। আমাজন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ তাদের গ্রাহককেন্দ্রিক সংস্কৃতি উন্নত করার পাশাপাশি খরচ কমানোর জন্য।
ছাঁটাই করা কর্মীদের ক্ষতিপূরণ
টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের সঙ্গে কর্মীদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা সেভারেন্স প্যাকেজও দিচ্ছে। মাইক্রোসফট প্রায় ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে। প্রতিষ্ঠানটি তার ছাঁটাই করা কর্মীদের প্রত্যেককে ৬ মাসের বেতন, ৬০ দিনের নোটিশ পিরিয়ড এবং স্বাস্থ্যবিমা কভারেজ দিয়েছে।
গুগল কর্মী ছাঁটাইয়ের সময় ১৪ সপ্তাহ বা সাড়ে তিন মাসের মূল বেতন এবং চাকরির প্রতিবছর হিসেবে অতিরিক্ত ১ সপ্তাহ বেতন দেয়। সঙ্গে ছিল ৬ মাসের স্বাস্থ্যসুবিধা।
মেটা তার ছাঁটাই করা কর্মীদের ১৬ সপ্তাহ বা ৪ মাসের বেতন দেয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে। আমাজন ছাঁটাই কর্মীদের ২ মাসের বেতন এবং চাকরির মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে সেভারেন্স দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের অন্যান্য পদে চাকরিতেও সুযোগ দিয়েছে।
ইন্টেল ২০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করার সময় ৯ সপ্তাহের বেতন এবং ৪ সপ্তাহ আগাম নোটিশ সুবিধা দিয়েছে।
এ বছর প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের বড় কারণ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অটোমেশনে দ্রুত বিনিয়োগ। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ; যেমন মুদ্রাস্ফীতি, সুদের উচ্চ হার এবং বাজেট সংকোচনও ছাঁটাইয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে। এই পরিবর্তন শুধু ব্যয় কমানোর জন্য নয়, বরং ব্যবসার মডেলকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ।
সূত্র: রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও টেকক্রাঞ্চ
মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা

সিলিকন ভ্যালির একসময়কার গর্বিত প্রোগ্রামার জুলিয়ান ফোস্টার এক সকালে হঠাৎ ই-মেইল পেলেন, ‘ইয়োর রোল ইজ নো লংগার রিকয়ার্ড’। তিনি বুঝতে পারলেন না, যে কাজটি পাঁচ বছর ধরে তিনি দক্ষতার সঙ্গে করছিলেন, সেটি রাতারাতি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেল কীভাবে। উত্তর একটাই—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের কারণে কর্মী ছাঁটাই নিয়ে এ বছর থেকে বেশ আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা এর ভয়াবহতা বিভিন্ন ব্যাখ্যায় তুলে ধরছেন। এই আলোচনায় সম্প্রতি ঘি ঢালল মাইক্রোসফট। চলতি বছর চার দফা ছাঁটাইয়ে ১৫ হাজার কর্মীকে বিদায় জানিয়েছে এই বিগ টেক প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি শিগগির আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে।
ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের অনেকে জানিয়েছেন, তাঁদের কাজের দক্ষতা নিয়ে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ ছিল না। সমস্যা একটাই—তাঁদের জায়গায় এখন এআই সিস্টেম কাজ করতে পারছে সস্তায়; দ্রুত আর বিশ্রাম ছাড়াই।
মেটায় কনটেন্ট রিভিউ টিমে থাকা জেসিকা মুর বলেন, ‘একসময় আমরা সিদ্ধান্ত নিতাম কোন পোস্ট থাকবে, কোনটা যাবে। এখন এআই সফটওয়্যারই সেটা করছে। মানুষ দরকার নেই।’
এআই খাতে বিনিয়োগ, কর্মী ছাঁটাই করছে মাইক্রোসফট
প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট এ বছর চতুর্থ দফায় আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এ বছরই মোট ১৫ হাজার কর্মী বাদ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের কারণ এআই প্রযুক্তি উন্নত করা। মাইক্রোসফট এরই মধ্যে ৮০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে বিশাল ডেটা সেন্টার এবং এআই মডেল তৈরিতে।
ইতিহাসের বড় ছাঁটাইয়ের ঘোষণা ইন্টেলের
ইন্টেল তাদের ইতিহাসে বড়সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন সিইও লিপ-বু টানের অধীনে ২১ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করবে প্রতিষ্ঠানটি,
যা তাদের মোট কর্মিসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ। এই বিশাল কাটছাঁটে নতুন পরিচালনা কাঠামো এবং ব্যয় কমার ধারণা করা হচ্ছে।
মেটার বেশি কর্মী ছাঁটাই ফেসবুকে
চলতি বছর মেটা তাদের মোট কর্মীর প্রায় ৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩ হাজার ৬০০ জনকে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে। এই ছাঁটাই বেশি হয়েছে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে। এ ছাড়া মেটার ওয়্যারেবল ডিভাইস বিভাগ থেকেও শতাধিক কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় খরচ কমাতে পছন্দ করে। মেটা কর্মী কমিয়ে দিয়ে এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের ওপর বেশি বিনিয়োগ করছে। ফলে আগামী দিনে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হলে শুধু ভালো দক্ষতা নয়, এআইয়ের সঙ্গে কাজ করার দক্ষতাও জরুরি হয়ে উঠবে।
গুগল ও আমাজনের ধাপে ধাপে ছাঁটাই
প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল তাদের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ধাপে ধাপে কর্মী ছাঁটাই করছে। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে গ্লোবাল বিজনেস ইউনিট থেকে ২০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে; পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড, পিক্সেল ফোন এবং ক্রোম ব্রাউজারের দায়িত্বে থাকা ইউনিটগুলো থেকেও কর্মী কমানো হচ্ছে। ক্লাউড ও পিপল অপারেশনস বিভাগ থেকেও কিছু কাজ কমানোর খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে ই-কমার্স ও ক্লাউড সেবার বড় প্রতিষ্ঠান আমাজন তাদের অ্যালেক্সা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, একো স্মার্ট স্পিকার, রিং ভিডিও ডোরবেল ও জুক্স রোবোট্যাক্স ব্যবসার বিভাগ থেকে ১০০ জনের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর পাশাপাশি আমাজনের যোগাযোগ বিভাগ থেকেও ছাঁটাই করা হয়েছে কর্মীদের। আমাজন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ তাদের গ্রাহককেন্দ্রিক সংস্কৃতি উন্নত করার পাশাপাশি খরচ কমানোর জন্য।
ছাঁটাই করা কর্মীদের ক্ষতিপূরণ
টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের সঙ্গে কর্মীদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা সেভারেন্স প্যাকেজও দিচ্ছে। মাইক্রোসফট প্রায় ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে। প্রতিষ্ঠানটি তার ছাঁটাই করা কর্মীদের প্রত্যেককে ৬ মাসের বেতন, ৬০ দিনের নোটিশ পিরিয়ড এবং স্বাস্থ্যবিমা কভারেজ দিয়েছে।
গুগল কর্মী ছাঁটাইয়ের সময় ১৪ সপ্তাহ বা সাড়ে তিন মাসের মূল বেতন এবং চাকরির প্রতিবছর হিসেবে অতিরিক্ত ১ সপ্তাহ বেতন দেয়। সঙ্গে ছিল ৬ মাসের স্বাস্থ্যসুবিধা।
মেটা তার ছাঁটাই করা কর্মীদের ১৬ সপ্তাহ বা ৪ মাসের বেতন দেয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে। আমাজন ছাঁটাই কর্মীদের ২ মাসের বেতন এবং চাকরির মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে সেভারেন্স দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের অন্যান্য পদে চাকরিতেও সুযোগ দিয়েছে।
ইন্টেল ২০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করার সময় ৯ সপ্তাহের বেতন এবং ৪ সপ্তাহ আগাম নোটিশ সুবিধা দিয়েছে।
এ বছর প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের বড় কারণ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অটোমেশনে দ্রুত বিনিয়োগ। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ; যেমন মুদ্রাস্ফীতি, সুদের উচ্চ হার এবং বাজেট সংকোচনও ছাঁটাইয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে। এই পরিবর্তন শুধু ব্যয় কমানোর জন্য নয়, বরং ব্যবসার মডেলকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ।
সূত্র: রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও টেকক্রাঞ্চ

সিলিকন ভ্যালির একসময়কার গর্বিত প্রোগ্রামার জুলিয়ান ফোস্টার এক সকালে হঠাৎ ই-মেইল পেলেন, ‘ইয়োর রোল ইজ নো লংগার রিকয়ার্ড’। তিনি বুঝতে পারলেন না, যে কাজটি পাঁচ বছর ধরে তিনি দক্ষতার সঙ্গে করছিলেন, সেটি রাতারাতি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেল কীভাবে। উত্তর একটাই—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের কারণে কর্মী ছাঁটাই নিয়ে এ বছর থেকে বেশ আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা এর ভয়াবহতা বিভিন্ন ব্যাখ্যায় তুলে ধরছেন। এই আলোচনায় সম্প্রতি ঘি ঢালল মাইক্রোসফট। চলতি বছর চার দফা ছাঁটাইয়ে ১৫ হাজার কর্মীকে বিদায় জানিয়েছে এই বিগ টেক প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি শিগগির আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে।
ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের অনেকে জানিয়েছেন, তাঁদের কাজের দক্ষতা নিয়ে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ ছিল না। সমস্যা একটাই—তাঁদের জায়গায় এখন এআই সিস্টেম কাজ করতে পারছে সস্তায়; দ্রুত আর বিশ্রাম ছাড়াই।
মেটায় কনটেন্ট রিভিউ টিমে থাকা জেসিকা মুর বলেন, ‘একসময় আমরা সিদ্ধান্ত নিতাম কোন পোস্ট থাকবে, কোনটা যাবে। এখন এআই সফটওয়্যারই সেটা করছে। মানুষ দরকার নেই।’
এআই খাতে বিনিয়োগ, কর্মী ছাঁটাই করছে মাইক্রোসফট
প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট এ বছর চতুর্থ দফায় আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এ বছরই মোট ১৫ হাজার কর্মী বাদ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের কারণ এআই প্রযুক্তি উন্নত করা। মাইক্রোসফট এরই মধ্যে ৮০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে বিশাল ডেটা সেন্টার এবং এআই মডেল তৈরিতে।
ইতিহাসের বড় ছাঁটাইয়ের ঘোষণা ইন্টেলের
ইন্টেল তাদের ইতিহাসে বড়সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন সিইও লিপ-বু টানের অধীনে ২১ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করবে প্রতিষ্ঠানটি,
যা তাদের মোট কর্মিসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ। এই বিশাল কাটছাঁটে নতুন পরিচালনা কাঠামো এবং ব্যয় কমার ধারণা করা হচ্ছে।
মেটার বেশি কর্মী ছাঁটাই ফেসবুকে
চলতি বছর মেটা তাদের মোট কর্মীর প্রায় ৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩ হাজার ৬০০ জনকে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে। এই ছাঁটাই বেশি হয়েছে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে। এ ছাড়া মেটার ওয়্যারেবল ডিভাইস বিভাগ থেকেও শতাধিক কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় খরচ কমাতে পছন্দ করে। মেটা কর্মী কমিয়ে দিয়ে এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের ওপর বেশি বিনিয়োগ করছে। ফলে আগামী দিনে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হলে শুধু ভালো দক্ষতা নয়, এআইয়ের সঙ্গে কাজ করার দক্ষতাও জরুরি হয়ে উঠবে।
গুগল ও আমাজনের ধাপে ধাপে ছাঁটাই
প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল তাদের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ধাপে ধাপে কর্মী ছাঁটাই করছে। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে গ্লোবাল বিজনেস ইউনিট থেকে ২০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে; পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড, পিক্সেল ফোন এবং ক্রোম ব্রাউজারের দায়িত্বে থাকা ইউনিটগুলো থেকেও কর্মী কমানো হচ্ছে। ক্লাউড ও পিপল অপারেশনস বিভাগ থেকেও কিছু কাজ কমানোর খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে ই-কমার্স ও ক্লাউড সেবার বড় প্রতিষ্ঠান আমাজন তাদের অ্যালেক্সা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, একো স্মার্ট স্পিকার, রিং ভিডিও ডোরবেল ও জুক্স রোবোট্যাক্স ব্যবসার বিভাগ থেকে ১০০ জনের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর পাশাপাশি আমাজনের যোগাযোগ বিভাগ থেকেও ছাঁটাই করা হয়েছে কর্মীদের। আমাজন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ তাদের গ্রাহককেন্দ্রিক সংস্কৃতি উন্নত করার পাশাপাশি খরচ কমানোর জন্য।
ছাঁটাই করা কর্মীদের ক্ষতিপূরণ
টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের সঙ্গে কর্মীদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা সেভারেন্স প্যাকেজও দিচ্ছে। মাইক্রোসফট প্রায় ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে। প্রতিষ্ঠানটি তার ছাঁটাই করা কর্মীদের প্রত্যেককে ৬ মাসের বেতন, ৬০ দিনের নোটিশ পিরিয়ড এবং স্বাস্থ্যবিমা কভারেজ দিয়েছে।
গুগল কর্মী ছাঁটাইয়ের সময় ১৪ সপ্তাহ বা সাড়ে তিন মাসের মূল বেতন এবং চাকরির প্রতিবছর হিসেবে অতিরিক্ত ১ সপ্তাহ বেতন দেয়। সঙ্গে ছিল ৬ মাসের স্বাস্থ্যসুবিধা।
মেটা তার ছাঁটাই করা কর্মীদের ১৬ সপ্তাহ বা ৪ মাসের বেতন দেয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে। আমাজন ছাঁটাই কর্মীদের ২ মাসের বেতন এবং চাকরির মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে সেভারেন্স দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের অন্যান্য পদে চাকরিতেও সুযোগ দিয়েছে।
ইন্টেল ২০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করার সময় ৯ সপ্তাহের বেতন এবং ৪ সপ্তাহ আগাম নোটিশ সুবিধা দিয়েছে।
এ বছর প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের বড় কারণ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অটোমেশনে দ্রুত বিনিয়োগ। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ; যেমন মুদ্রাস্ফীতি, সুদের উচ্চ হার এবং বাজেট সংকোচনও ছাঁটাইয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে। এই পরিবর্তন শুধু ব্যয় কমানোর জন্য নয়, বরং ব্যবসার মডেলকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ।
সূত্র: রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও টেকক্রাঞ্চ

আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
২ ঘণ্টা আগে
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের কোটি কোটি মানুষ এই সপ্তাহ থেকে এক বছরের জন্য বিনা মূল্যে পাচ্ছে চ্যাটজিপিটির নতুন স্বল্পমূল্যের ‘গো’ এআই চ্যাটবট ব্যবহারের সুযোগ। এর আগে গুগল ও পারপ্লেক্সিটি এআইয়ের মতো কোম্পানিগুলো একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল। তারা স্থানীয় মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে অংশীদারত্বে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে, অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
নতুন সিরিজে থাকছে উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি, আরও পরিশীলিত ডিসপ্লে ডিজাইন এবং অ্যাপলের নিজস্বভাবে তৈরি প্রথম মডেম চিপ। বাহ্যিক দিক থেকে পরিবর্তন খুব বড় না হলেও, ভেতরে (কিছু সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার) আইফোন ১৮ প্রো ও ১৮ প্রো ম্যাক্স হতে পারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অ্যাপলের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্করণ।
ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা গেছে, আইফোন ১৮ প্রো সিরিজের নকশা আগের আইফোন ১৭ প্রোর মতোই থাকবে। তবে কিছু সূক্ষ্ম পরিবর্তন আসতে পারে। যেমন আংশিক স্বচ্ছ ম্যাগসেফ ব্যাক অংশ, আরও সরু ডায়নামিক আইল্যান্ড এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত আন্ডার-ডিসপ্লে ফেস আইডি প্রযুক্তি। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, পুরোপুরি ‘নচ-ফ্রি’ বা পিনহোল-স্টাইল ডিজাইন সম্ভবত ২০২৬ সালের পরেই বাজারে আনবে অ্যাপল।
এবার ডিভাইসের ভেতরের প্রযুক্তিতেও বেশ বড়সড় পরিবর্তন আনছে অ্যাপল। নতুন আইফোন ১৮ প্রোতে থাকবে অ্যাপলের এ-২০ প্রো চিপ, যা তৈরি হচ্ছে টিএসএমসির উন্নত ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি ও নতুন ‘চিপ-অন-ওয়েফার-অন-সাবস্ট্রেট’ (CoWoS) প্যাকেজিং ব্যবহার করে। এই চিপ মূলত শক্তি সাশ্রয় ও অন-ডিভাইস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পারফরম্যান্স উন্নত করার দিকে জোর দেবে। একই সঙ্গে এতে থাকবে অ্যাপলের নিজস্ব সি-২ মডেম, যা দ্রুততর ডাউনলোড স্পিড, মিনিমাম-ফ্রিকুয়েন্সি ও কোয়ালকমের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে ক্যামেরায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার অ্যাপল সনির পরিবর্তে স্যামসাংয়ের তৈরি নতুন তিন স্তরবিশিষ্ট সেন্সর ব্যবহার করবে, যা দ্রুততর রিডআউট, কম নয়েজ এবং উন্নত ডাইনামিক রেঞ্জ দেবে। পাশাপাশি, অ্যাপল পরীক্ষা করছে ডিএসএলআর-স্টাইলের ভ্যারিয়েবল অ্যাপারচার সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের হাতে থাকবে আলো নিয়ন্ত্রণের সুযোগ। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো ম্যানুয়াল কন্ট্রোল যুক্ত হতে পারে আইফোনের মূল ক্যামেরায়।
এ ছাড়া, নতুন আইফোনে থাকতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট সংযোগ সুবিধা, যা ভবিষ্যতে সেল টাওয়ার ছাড়াই ৫-জি ইন্টারনেট চালু করার পথ খুলে দিতে পারে। ক্যামেরা কন্ট্রোল বাটনেও থাকবে পরিবর্তন। ধারণা করা হচ্ছে, আগের ক্যাপটিভ টাচ (capacitive touch) সিস্টেমের বদলে ব্যবহার করা হতে পারে প্রেসার-সেনসিটিভ বাটন।
এবার অ্যাপল তাদের প্রোডাক্ট লঞ্চ সূচিতেও বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে জানা গেছে। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একসঙ্গে উন্মোচিত হতে পারে আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ ও বহু প্রতীক্ষিত ফোল্ডেবল আইফোন। অন্যদিকে, আইফোন ১৮ ও ১৮-ই মডেল বাজারে আসতে পারে ২০২৭ সালের মার্চ মাসে।

আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে, অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
নতুন সিরিজে থাকছে উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি, আরও পরিশীলিত ডিসপ্লে ডিজাইন এবং অ্যাপলের নিজস্বভাবে তৈরি প্রথম মডেম চিপ। বাহ্যিক দিক থেকে পরিবর্তন খুব বড় না হলেও, ভেতরে (কিছু সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার) আইফোন ১৮ প্রো ও ১৮ প্রো ম্যাক্স হতে পারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অ্যাপলের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্করণ।
ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা গেছে, আইফোন ১৮ প্রো সিরিজের নকশা আগের আইফোন ১৭ প্রোর মতোই থাকবে। তবে কিছু সূক্ষ্ম পরিবর্তন আসতে পারে। যেমন আংশিক স্বচ্ছ ম্যাগসেফ ব্যাক অংশ, আরও সরু ডায়নামিক আইল্যান্ড এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত আন্ডার-ডিসপ্লে ফেস আইডি প্রযুক্তি। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, পুরোপুরি ‘নচ-ফ্রি’ বা পিনহোল-স্টাইল ডিজাইন সম্ভবত ২০২৬ সালের পরেই বাজারে আনবে অ্যাপল।
এবার ডিভাইসের ভেতরের প্রযুক্তিতেও বেশ বড়সড় পরিবর্তন আনছে অ্যাপল। নতুন আইফোন ১৮ প্রোতে থাকবে অ্যাপলের এ-২০ প্রো চিপ, যা তৈরি হচ্ছে টিএসএমসির উন্নত ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি ও নতুন ‘চিপ-অন-ওয়েফার-অন-সাবস্ট্রেট’ (CoWoS) প্যাকেজিং ব্যবহার করে। এই চিপ মূলত শক্তি সাশ্রয় ও অন-ডিভাইস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পারফরম্যান্স উন্নত করার দিকে জোর দেবে। একই সঙ্গে এতে থাকবে অ্যাপলের নিজস্ব সি-২ মডেম, যা দ্রুততর ডাউনলোড স্পিড, মিনিমাম-ফ্রিকুয়েন্সি ও কোয়ালকমের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে ক্যামেরায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার অ্যাপল সনির পরিবর্তে স্যামসাংয়ের তৈরি নতুন তিন স্তরবিশিষ্ট সেন্সর ব্যবহার করবে, যা দ্রুততর রিডআউট, কম নয়েজ এবং উন্নত ডাইনামিক রেঞ্জ দেবে। পাশাপাশি, অ্যাপল পরীক্ষা করছে ডিএসএলআর-স্টাইলের ভ্যারিয়েবল অ্যাপারচার সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের হাতে থাকবে আলো নিয়ন্ত্রণের সুযোগ। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো ম্যানুয়াল কন্ট্রোল যুক্ত হতে পারে আইফোনের মূল ক্যামেরায়।
এ ছাড়া, নতুন আইফোনে থাকতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট সংযোগ সুবিধা, যা ভবিষ্যতে সেল টাওয়ার ছাড়াই ৫-জি ইন্টারনেট চালু করার পথ খুলে দিতে পারে। ক্যামেরা কন্ট্রোল বাটনেও থাকবে পরিবর্তন। ধারণা করা হচ্ছে, আগের ক্যাপটিভ টাচ (capacitive touch) সিস্টেমের বদলে ব্যবহার করা হতে পারে প্রেসার-সেনসিটিভ বাটন।
এবার অ্যাপল তাদের প্রোডাক্ট লঞ্চ সূচিতেও বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে জানা গেছে। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একসঙ্গে উন্মোচিত হতে পারে আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ ও বহু প্রতীক্ষিত ফোল্ডেবল আইফোন। অন্যদিকে, আইফোন ১৮ ও ১৮-ই মডেল বাজারে আসতে পারে ২০২৭ সালের মার্চ মাসে।

সিলিকন ভ্যালির একসময়কার গর্বিত প্রোগ্রামার জুলিয়ান ফোস্টার এক সকালে হঠাৎ ই-মেইল পেলেন, ‘ইয়োর রোল ইজ নো লংগার রিকয়ার্ড’। তিনি বুঝতে পারলেন না, যে কাজটি পাঁচ বছর ধরে তিনি দক্ষতার সঙ্গে করছিলেন, সেটি রাতারাতি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেল কীভাবে। উত্তর একটাই—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
০৮ জুলাই ২০২৫
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের কোটি কোটি মানুষ এই সপ্তাহ থেকে এক বছরের জন্য বিনা মূল্যে পাচ্ছে চ্যাটজিপিটির নতুন স্বল্পমূল্যের ‘গো’ এআই চ্যাটবট ব্যবহারের সুযোগ। এর আগে গুগল ও পারপ্লেক্সিটি এআইয়ের মতো কোম্পানিগুলো একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল। তারা স্থানীয় মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে অংশীদারত্বে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। এ বছরের ০৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হওয়া এই ডিভাইসটি প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জিং ব্যবহারে সর্বাধিক ডিউরেবল ফোন চান এমন বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৭৫ এর রেকর্ড-ব্রেকিং সাফল্যের ধারা বজায় রেখে নতুন সি৮৫ প্রো ফোনটি ডিউরেবিলিটি, ব্যাটারি সক্ষমতা, ডিসপ্লে ও প্রসেসিং পারফরম্যান্সে ব্যাপক আপগ্রেড এনেছে। ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ রেটিং, সুবিশাল ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, উজ্জ্বল ৪০০০ নিটসের অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও কার্যকরী স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরের সমন্বয় সাশ্রয়ী ফোনের ধারণাকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং ও পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ ও ডাস্ট রেজিসট্যান্ট সক্ষমতা কেবল বিলাসিতা নয়, বরং অপরিহার্য প্রয়োজন। এর ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং আইপি ৬৯ প্রো রেজিসট্যান্স স্মার্টফোন সুরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড নিশ্চিত করে, যা আইপি ৬৮ বা আইপি ৬৭ এর প্রথাগত মানদণ্ডকে বহুগুণ ছাড়িয়ে যায়।
অন্যান্য ডিভাইসগুলো যেখানে কেবল হালকা পানির ছিটা সামলাতে পারে, সেখানে আইপি ৬৯ প্রো প্রতিকূল পরিবেশ ও ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। আকস্মিক বর্ষার বৃষ্টি, পানির প্রবল ধারা, দুর্ঘটনাক্রমে পড়ে যাওয়া বা পানিতে ডুবে যাওয়ার পরও ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডিভাইসটি মেরামতের খরচ কমিয়ে আনবে; যা এটিকে বাইরে কাজ করেন এমন মানুষ, ডেলিভারি কর্মী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ সঙ্গী করে তোলে। এই অনন্য সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিসট্যান্স, যা ফোনটিকে হঠাৎ পড়ে যাওয়া বা আঘাতের বিপক্ষে সুরক্ষা প্রদান করে এর দীর্ঘস্থায়ী নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।
বাজেট সেগমেন্টে মানসম্মত ফিচার হিসেবে এতে যুক্ত হয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ১২০ হার্জ এফএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এবারই প্রথম রিয়েলমি সি-সিরিজের ফোনে অ্যামোলেড ডিসপ্লে নিয়ে আসা হয়েছে। একই দামের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ডিভাইস হিসেবে এতে ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস ব্যবহার করা হয়েছে। এর ডিসপ্লেতে রংগুলো দারুণভাবে বোঝা যায়, এমনকি প্রখর সূর্যালোকেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল প্রদান করে ফোনটিকে নেভিগেশন বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্য একদম যথার্থ করে তোলে। যাত্রাপথের ব্যস্ততায় সমৃদ্ধ অডিও অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে এতে ৪০০% আলট্রা বুম স্পিকার ও ৯২.৩% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও নিয়ে আসা হয়েছে, যা দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। সব মিলিয়ে ডিসপ্লের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে সি৮৫ প্রো, যা আর্থিক সাশ্রয়েরও নিশ্চয়তা দিচ্ছে।

এ সমস্ত সহনশীলতাকে আরও সক্ষম করে তুলতে এতে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে বড় ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার টাইটান ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। সারা দিন ফোন চার্জ করার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে এই আলট্রা ব্যাটারি, যা এমনকি ব্যস্ততম দিনেও ব্যবহারকারীদের আত্মবিশ্বাসী রাখে। একবার সম্পূর্ণ চার্জে এটি ১১৮ ঘণ্টা মিউজিক প্লেব্যাক, ৫৯ ঘণ্টা কলিং ও ১৯ ঘণ্টা ভিডিও স্ট্রিমিং করার সক্ষম রাখে। রিচার্জের সময় ফোনটির ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং মাত্র ৩০ মিনিটেই ৫০% চার্জ করতে সক্ষম। এর ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং এই অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে; ব্যবহারকারীদের চলার পথে অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ বা ফোন চার্জ করতে সহায়তা করে এটিকে একটি পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংকে পরিণত করে। ডিভাইসের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিতে ব্যাটারির হেলথ ৬ বছর পর্যন্ত একইরকম কার্যকর থাকবে।
একই প্রাইস-রেঞ্জের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো-তে নির্ভরযোগ্য স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এটি স্মুথ মাল্টিটাস্কিং, স্থিতিশীল কানেকটিভিটি ও কার্যকর শক্তি ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেয়। ফোনটিতে মেমোরির শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে ৮ জিবি র্যাম (২৪ জিবি পর্যন্ত এক্সপান্ডেবল) ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ রয়েছে। এর ৫০ মেগাপিক্সেল এআই রেয়ার ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা আপনাকে যেকোনো পরিবেশে স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত ছবি তোলার নিশ্চয়তা দেবে; এর ইন্টেলিজেন্ট এআই ইমেজিং টুল ফটোগ্রাফিকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে।
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এতে একাধিক এআই-চালিত অপটিমাইজেশনের সমন্বয় করা হয়েছে। এর এআই নেটওয়ার্ক বুস্ট (ডেটার গতি ২২% পর্যন্ত বাড়ায়) ও এআই কল ভলিউম বুস্ট কোলাহলপূর্ণ পরিবেশেও স্পষ্ট যোগাযোগ নিশ্চিত করে। এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো এআই এডিট জিনি, যা ব্যবহারকারীর ভয়েস-সক্ষম ফটো এডিটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে দ্রুত ছবি এডিটের সুযোগ করে দেয়। ফলে, সোশ্যাল মিডিয়া ক্রিয়েটর ও প্রতিদিনের ব্যবহারকারীদের জন্য ছবি এডিটিং আরও সহজ হয়ে ওঠে।
প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত অনন্য লাইট ফেদার ডিজাইনে নিয়ে আসা হয়েছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। স্টাইল ও তারুণ্যের অনন্য সমন্বয় হিসেবে প্যারট পার্পল ও পিকক গ্রিন এই দুইটি নজরকাড়া রঙে ডিভাইসটি নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে সহজলভ্য এই ফোনটির কারণে এখন সবাই উন্নত ফিচারগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এখন তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে এই ফোনটি। এর ৬ জিবি + ১২৮ জিবির দাম মাত্র ২০,৯৯৯ টাকা, ৮ জিবি + ১২৮ জিবির দাম মাত্র ২২,৯৯৯ টাকা ও ৮ জিবি + ২৫৬ জিবির দাম মাত্র ২৪,৯৯৯ টাকা।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো কেবল একটি সাশ্রয়ী স্মার্টফোন নয়। এ থেকে বোঝা যায়, অ্যামোলেড ডিসপ্লে, সুবিশাল ব্যাটারি ও বিশ্বমানের আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটার প্রুফিংয়ের মতো অনবদ্য উদ্ভাবনগুলো এখন আর প্রিমিয়াম দামের মধ্যে থাকছে না।

রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। এ বছরের ০৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হওয়া এই ডিভাইসটি প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জিং ব্যবহারে সর্বাধিক ডিউরেবল ফোন চান এমন বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৭৫ এর রেকর্ড-ব্রেকিং সাফল্যের ধারা বজায় রেখে নতুন সি৮৫ প্রো ফোনটি ডিউরেবিলিটি, ব্যাটারি সক্ষমতা, ডিসপ্লে ও প্রসেসিং পারফরম্যান্সে ব্যাপক আপগ্রেড এনেছে। ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ রেটিং, সুবিশাল ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, উজ্জ্বল ৪০০০ নিটসের অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও কার্যকরী স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরের সমন্বয় সাশ্রয়ী ফোনের ধারণাকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং ও পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ ও ডাস্ট রেজিসট্যান্ট সক্ষমতা কেবল বিলাসিতা নয়, বরং অপরিহার্য প্রয়োজন। এর ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং আইপি ৬৯ প্রো রেজিসট্যান্স স্মার্টফোন সুরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড নিশ্চিত করে, যা আইপি ৬৮ বা আইপি ৬৭ এর প্রথাগত মানদণ্ডকে বহুগুণ ছাড়িয়ে যায়।
অন্যান্য ডিভাইসগুলো যেখানে কেবল হালকা পানির ছিটা সামলাতে পারে, সেখানে আইপি ৬৯ প্রো প্রতিকূল পরিবেশ ও ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। আকস্মিক বর্ষার বৃষ্টি, পানির প্রবল ধারা, দুর্ঘটনাক্রমে পড়ে যাওয়া বা পানিতে ডুবে যাওয়ার পরও ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডিভাইসটি মেরামতের খরচ কমিয়ে আনবে; যা এটিকে বাইরে কাজ করেন এমন মানুষ, ডেলিভারি কর্মী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ সঙ্গী করে তোলে। এই অনন্য সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিসট্যান্স, যা ফোনটিকে হঠাৎ পড়ে যাওয়া বা আঘাতের বিপক্ষে সুরক্ষা প্রদান করে এর দীর্ঘস্থায়ী নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।
বাজেট সেগমেন্টে মানসম্মত ফিচার হিসেবে এতে যুক্ত হয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ১২০ হার্জ এফএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এবারই প্রথম রিয়েলমি সি-সিরিজের ফোনে অ্যামোলেড ডিসপ্লে নিয়ে আসা হয়েছে। একই দামের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ডিভাইস হিসেবে এতে ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস ব্যবহার করা হয়েছে। এর ডিসপ্লেতে রংগুলো দারুণভাবে বোঝা যায়, এমনকি প্রখর সূর্যালোকেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল প্রদান করে ফোনটিকে নেভিগেশন বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্য একদম যথার্থ করে তোলে। যাত্রাপথের ব্যস্ততায় সমৃদ্ধ অডিও অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে এতে ৪০০% আলট্রা বুম স্পিকার ও ৯২.৩% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও নিয়ে আসা হয়েছে, যা দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। সব মিলিয়ে ডিসপ্লের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে সি৮৫ প্রো, যা আর্থিক সাশ্রয়েরও নিশ্চয়তা দিচ্ছে।

এ সমস্ত সহনশীলতাকে আরও সক্ষম করে তুলতে এতে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে বড় ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার টাইটান ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। সারা দিন ফোন চার্জ করার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে এই আলট্রা ব্যাটারি, যা এমনকি ব্যস্ততম দিনেও ব্যবহারকারীদের আত্মবিশ্বাসী রাখে। একবার সম্পূর্ণ চার্জে এটি ১১৮ ঘণ্টা মিউজিক প্লেব্যাক, ৫৯ ঘণ্টা কলিং ও ১৯ ঘণ্টা ভিডিও স্ট্রিমিং করার সক্ষম রাখে। রিচার্জের সময় ফোনটির ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং মাত্র ৩০ মিনিটেই ৫০% চার্জ করতে সক্ষম। এর ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং এই অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে; ব্যবহারকারীদের চলার পথে অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ বা ফোন চার্জ করতে সহায়তা করে এটিকে একটি পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংকে পরিণত করে। ডিভাইসের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিতে ব্যাটারির হেলথ ৬ বছর পর্যন্ত একইরকম কার্যকর থাকবে।
একই প্রাইস-রেঞ্জের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো-তে নির্ভরযোগ্য স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এটি স্মুথ মাল্টিটাস্কিং, স্থিতিশীল কানেকটিভিটি ও কার্যকর শক্তি ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেয়। ফোনটিতে মেমোরির শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে ৮ জিবি র্যাম (২৪ জিবি পর্যন্ত এক্সপান্ডেবল) ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ রয়েছে। এর ৫০ মেগাপিক্সেল এআই রেয়ার ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা আপনাকে যেকোনো পরিবেশে স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত ছবি তোলার নিশ্চয়তা দেবে; এর ইন্টেলিজেন্ট এআই ইমেজিং টুল ফটোগ্রাফিকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে।
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এতে একাধিক এআই-চালিত অপটিমাইজেশনের সমন্বয় করা হয়েছে। এর এআই নেটওয়ার্ক বুস্ট (ডেটার গতি ২২% পর্যন্ত বাড়ায়) ও এআই কল ভলিউম বুস্ট কোলাহলপূর্ণ পরিবেশেও স্পষ্ট যোগাযোগ নিশ্চিত করে। এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো এআই এডিট জিনি, যা ব্যবহারকারীর ভয়েস-সক্ষম ফটো এডিটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে দ্রুত ছবি এডিটের সুযোগ করে দেয়। ফলে, সোশ্যাল মিডিয়া ক্রিয়েটর ও প্রতিদিনের ব্যবহারকারীদের জন্য ছবি এডিটিং আরও সহজ হয়ে ওঠে।
প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত অনন্য লাইট ফেদার ডিজাইনে নিয়ে আসা হয়েছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। স্টাইল ও তারুণ্যের অনন্য সমন্বয় হিসেবে প্যারট পার্পল ও পিকক গ্রিন এই দুইটি নজরকাড়া রঙে ডিভাইসটি নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে সহজলভ্য এই ফোনটির কারণে এখন সবাই উন্নত ফিচারগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এখন তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে এই ফোনটি। এর ৬ জিবি + ১২৮ জিবির দাম মাত্র ২০,৯৯৯ টাকা, ৮ জিবি + ১২৮ জিবির দাম মাত্র ২২,৯৯৯ টাকা ও ৮ জিবি + ২৫৬ জিবির দাম মাত্র ২৪,৯৯৯ টাকা।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো কেবল একটি সাশ্রয়ী স্মার্টফোন নয়। এ থেকে বোঝা যায়, অ্যামোলেড ডিসপ্লে, সুবিশাল ব্যাটারি ও বিশ্বমানের আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটার প্রুফিংয়ের মতো অনবদ্য উদ্ভাবনগুলো এখন আর প্রিমিয়াম দামের মধ্যে থাকছে না।

সিলিকন ভ্যালির একসময়কার গর্বিত প্রোগ্রামার জুলিয়ান ফোস্টার এক সকালে হঠাৎ ই-মেইল পেলেন, ‘ইয়োর রোল ইজ নো লংগার রিকয়ার্ড’। তিনি বুঝতে পারলেন না, যে কাজটি পাঁচ বছর ধরে তিনি দক্ষতার সঙ্গে করছিলেন, সেটি রাতারাতি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেল কীভাবে। উত্তর একটাই—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
০৮ জুলাই ২০২৫
আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
২ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের কোটি কোটি মানুষ এই সপ্তাহ থেকে এক বছরের জন্য বিনা মূল্যে পাচ্ছে চ্যাটজিপিটির নতুন স্বল্পমূল্যের ‘গো’ এআই চ্যাটবট ব্যবহারের সুযোগ। এর আগে গুগল ও পারপ্লেক্সিটি এআইয়ের মতো কোম্পানিগুলো একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল। তারা স্থানীয় মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে অংশীদারত্বে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
যদি আগামী এক দশকে মাস্ক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেন, তবে তিনি টেসলার ১ ট্রিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৫ লাখ কোটি টাকার সমতুল্য) সমমূল্যের শেয়ারের অধিকারী হবেন। তবে কর ও অন্যান্য কর্তনের পর প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার। আগামী দশকে মাস্কের লক্ষ্য হলো— ২ কোটি গাড়ি উৎপাদন, ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু, ১০ লাখ রোবট বিক্রি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল মুনাফা অর্জন। তবে এ জন্য টেসলার বাজারমূল্যও বাড়াতে হবে—বর্তমান ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে প্রথমে ২ ট্রিলিয়ন, এরপর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
এই বিপুল অঙ্কের ব্যক্তিগত সম্পদ বিশ্বের বহু উন্নত অর্থনীতির বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) থেকেও বেশি। এই সংখ্যাটি বাস্তবে ঠিক কী বোঝায়, তা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
১ ট্রিলিয়ন ডলারে কী কী কেনা যায়?
ইলন মাস্কের বেতনের এই সম্ভাব্য অর্থ এতই বিশাল যে, বিষয়টির বিশালতা বোঝাতে বিশ্লেষকদের বৃহৎ করপোরেট এমনকি দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তুলনা করতে হচ্ছে। কারণ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো অঙ্ক প্রচলিত যেকোনো তুলনামূলক হিসাবে অর্থ বোঝানোর সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেছে।
একটি সাধারণ সময়সীমার হিসেবে, যদি কোনো ব্যক্তি প্রতি সেকেন্ডে ৪০ ডলার খরচ করতে থাকেন, তবে এই অর্থ নিঃশেষ করতে তাঁর প্রায় ৮০০ বছর লাগবে!
সম্পদ ক্রয়ের ভিত্তিতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে যা কেনা সম্ভব:
যুক্তরাষ্ট্রের বিলাসবহুল হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের সমস্ত বাড়ি: প্রায় ৫ লাখ ৭২ হাজার বাড়ির গড় মূল্য ৮ লাখ ২৬ হাজার ডলার ধরলে, পুরো রাজ্যের আবাসন খাত এই অর্থের মধ্যে স্বচ্ছন্দেই কেনা সম্ভব।
একাধিক বৈশ্বিক করপোরেশন: পুরো আইভি লিগ-এর তহবিল পাঁচবারের বেশি কেনা যেতে পারে। কোকাকোলা অধিগ্রহণ করার পরও এই অর্থ থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত থাকবে যা দিয়ে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জন্য এক বারো-প্যাক কোক কেনা সম্ভব।
বিশ্বের বৃহৎ সব অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা: টয়োটা, ফক্সওয়াগন, স্টেলান্টিস, হুন্দাই, ফোর্ড এবং জেনারেল মোটরস এক সঙ্গে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একক কোম্পানির অধীনে আনা যেতে পারে।
শিল্প-স্তরের অবকাঠামো: এক ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে ৩০০টিরও বেশি অতি-উচ্চ আকাশচুম্বী অট্টালিকা নির্মাণ করা যেতে পারে, যার প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। অথবা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজ ‘আইকন অব দ্য সিস’ আকারের ৪৬০টিরও বেশি জাহাজ কেনা যেতে পারে।
একটি ব্যক্তিগত নৌবাহিনী-আকারের বহর: বেশ কয়েকশ গভীর সমুদ্রের জাহাজ মোতায়েন করা যেতে পারে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় নৌবহরের আকারের সমান।
অতি-বিলাসবহুল সম্পদ: জেফ বেজোসের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মেগা-ইয়টটি ২ হাজার বার তৈরি করা যেতে পারে, এমনকি প্রতিটি জাহাজের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যা কোটি কোটি ডলারে পৌঁছে, তা সহই।
জ্বালানি শিল্পে বৃহৎ সংস্থা: এক্সনমোবিল, শেভরন এবং কনোকোফিলিপস, অর্থাৎ তিনটি বৃহত্তম পাবলিকলি ট্রেডেড মার্কিন তেল কোম্পানি, সবকটিই সরাসরি কেনা যাবে।
দেশব্যাপী নগদ অর্থ বিতরণ: এক ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে প্রায় ৩ হাজার ডলার নগদ অর্থ দেওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের জিডিপির সঙ্গে তুলনা
ইলন মাস্কের বর্তমান মোট সম্পদ ইতিমধ্যে ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মতো বেশ কয়েকটি দেশের বার্ষিক জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেছে।
যদি মাস্ক সম্পূর্ণ বেতন প্যাকেজটি অর্জন করেন, তবে তাঁর ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থান এমন এক ক্যাটাগরিতে প্রবেশ করবে, যেখানে কেবল বৃহৎ অর্থনীতিকেই রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সে ক্ষেত্রে তাঁর সম্ভাব্য সম্পদ সুইজারল্যান্ডের বার্ষিক জিডিপির থেকেও বড় হবে এবং তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের জিডিপির চেয়ে সামান্য কম হবে।
টেসলার শেয়ারহোল্ডারদের এই ভোটের ফলে ইলন মাস্ক আর কেবল একজন করপোরেট নেতা নন। তিনি ইকুইটি এবং বাজার মূল্যের ভিত্তিতে তাঁর আর্থিক অবস্থান এখন এমন এক ‘রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের’ মতো ক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়, যিনি কেবল তাঁর আর্থিক সক্ষমতা ও বিশালতার জোরেই বিশ্ববাজারকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। টেসলা যদি এই লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করতে পারে, তবে তাঁর সেই প্রভাব আরও বাড়বে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
যদি আগামী এক দশকে মাস্ক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেন, তবে তিনি টেসলার ১ ট্রিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৫ লাখ কোটি টাকার সমতুল্য) সমমূল্যের শেয়ারের অধিকারী হবেন। তবে কর ও অন্যান্য কর্তনের পর প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার। আগামী দশকে মাস্কের লক্ষ্য হলো— ২ কোটি গাড়ি উৎপাদন, ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু, ১০ লাখ রোবট বিক্রি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল মুনাফা অর্জন। তবে এ জন্য টেসলার বাজারমূল্যও বাড়াতে হবে—বর্তমান ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে প্রথমে ২ ট্রিলিয়ন, এরপর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
এই বিপুল অঙ্কের ব্যক্তিগত সম্পদ বিশ্বের বহু উন্নত অর্থনীতির বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) থেকেও বেশি। এই সংখ্যাটি বাস্তবে ঠিক কী বোঝায়, তা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
১ ট্রিলিয়ন ডলারে কী কী কেনা যায়?
ইলন মাস্কের বেতনের এই সম্ভাব্য অর্থ এতই বিশাল যে, বিষয়টির বিশালতা বোঝাতে বিশ্লেষকদের বৃহৎ করপোরেট এমনকি দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তুলনা করতে হচ্ছে। কারণ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো অঙ্ক প্রচলিত যেকোনো তুলনামূলক হিসাবে অর্থ বোঝানোর সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেছে।
একটি সাধারণ সময়সীমার হিসেবে, যদি কোনো ব্যক্তি প্রতি সেকেন্ডে ৪০ ডলার খরচ করতে থাকেন, তবে এই অর্থ নিঃশেষ করতে তাঁর প্রায় ৮০০ বছর লাগবে!
সম্পদ ক্রয়ের ভিত্তিতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে যা কেনা সম্ভব:
যুক্তরাষ্ট্রের বিলাসবহুল হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের সমস্ত বাড়ি: প্রায় ৫ লাখ ৭২ হাজার বাড়ির গড় মূল্য ৮ লাখ ২৬ হাজার ডলার ধরলে, পুরো রাজ্যের আবাসন খাত এই অর্থের মধ্যে স্বচ্ছন্দেই কেনা সম্ভব।
একাধিক বৈশ্বিক করপোরেশন: পুরো আইভি লিগ-এর তহবিল পাঁচবারের বেশি কেনা যেতে পারে। কোকাকোলা অধিগ্রহণ করার পরও এই অর্থ থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত থাকবে যা দিয়ে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জন্য এক বারো-প্যাক কোক কেনা সম্ভব।
বিশ্বের বৃহৎ সব অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা: টয়োটা, ফক্সওয়াগন, স্টেলান্টিস, হুন্দাই, ফোর্ড এবং জেনারেল মোটরস এক সঙ্গে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একক কোম্পানির অধীনে আনা যেতে পারে।
শিল্প-স্তরের অবকাঠামো: এক ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে ৩০০টিরও বেশি অতি-উচ্চ আকাশচুম্বী অট্টালিকা নির্মাণ করা যেতে পারে, যার প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। অথবা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজ ‘আইকন অব দ্য সিস’ আকারের ৪৬০টিরও বেশি জাহাজ কেনা যেতে পারে।
একটি ব্যক্তিগত নৌবাহিনী-আকারের বহর: বেশ কয়েকশ গভীর সমুদ্রের জাহাজ মোতায়েন করা যেতে পারে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় নৌবহরের আকারের সমান।
অতি-বিলাসবহুল সম্পদ: জেফ বেজোসের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মেগা-ইয়টটি ২ হাজার বার তৈরি করা যেতে পারে, এমনকি প্রতিটি জাহাজের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যা কোটি কোটি ডলারে পৌঁছে, তা সহই।
জ্বালানি শিল্পে বৃহৎ সংস্থা: এক্সনমোবিল, শেভরন এবং কনোকোফিলিপস, অর্থাৎ তিনটি বৃহত্তম পাবলিকলি ট্রেডেড মার্কিন তেল কোম্পানি, সবকটিই সরাসরি কেনা যাবে।
দেশব্যাপী নগদ অর্থ বিতরণ: এক ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে প্রায় ৩ হাজার ডলার নগদ অর্থ দেওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের জিডিপির সঙ্গে তুলনা
ইলন মাস্কের বর্তমান মোট সম্পদ ইতিমধ্যে ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মতো বেশ কয়েকটি দেশের বার্ষিক জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেছে।
যদি মাস্ক সম্পূর্ণ বেতন প্যাকেজটি অর্জন করেন, তবে তাঁর ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থান এমন এক ক্যাটাগরিতে প্রবেশ করবে, যেখানে কেবল বৃহৎ অর্থনীতিকেই রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সে ক্ষেত্রে তাঁর সম্ভাব্য সম্পদ সুইজারল্যান্ডের বার্ষিক জিডিপির থেকেও বড় হবে এবং তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের জিডিপির চেয়ে সামান্য কম হবে।
টেসলার শেয়ারহোল্ডারদের এই ভোটের ফলে ইলন মাস্ক আর কেবল একজন করপোরেট নেতা নন। তিনি ইকুইটি এবং বাজার মূল্যের ভিত্তিতে তাঁর আর্থিক অবস্থান এখন এমন এক ‘রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের’ মতো ক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়, যিনি কেবল তাঁর আর্থিক সক্ষমতা ও বিশালতার জোরেই বিশ্ববাজারকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। টেসলা যদি এই লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করতে পারে, তবে তাঁর সেই প্রভাব আরও বাড়বে।

সিলিকন ভ্যালির একসময়কার গর্বিত প্রোগ্রামার জুলিয়ান ফোস্টার এক সকালে হঠাৎ ই-মেইল পেলেন, ‘ইয়োর রোল ইজ নো লংগার রিকয়ার্ড’। তিনি বুঝতে পারলেন না, যে কাজটি পাঁচ বছর ধরে তিনি দক্ষতার সঙ্গে করছিলেন, সেটি রাতারাতি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেল কীভাবে। উত্তর একটাই—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
০৮ জুলাই ২০২৫
আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
২ ঘণ্টা আগে
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের কোটি কোটি মানুষ এই সপ্তাহ থেকে এক বছরের জন্য বিনা মূল্যে পাচ্ছে চ্যাটজিপিটির নতুন স্বল্পমূল্যের ‘গো’ এআই চ্যাটবট ব্যবহারের সুযোগ। এর আগে গুগল ও পারপ্লেক্সিটি এআইয়ের মতো কোম্পানিগুলো একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল। তারা স্থানীয় মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে অংশীদারত্বে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের কোটি কোটি মানুষ এই সপ্তাহ থেকে এক বছরের জন্য বিনা মূল্যে পাচ্ছে চ্যাটজিপিটির নতুন স্বল্পমূল্যের ‘গো’ এআই চ্যাটবট ব্যবহারের সুযোগ।
এর আগে গুগল ও পারপ্লেক্সিটি এআইয়ের মতো কোম্পানিগুলো একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল। তারা স্থানীয় মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে অংশীদারত্বে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের এক বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য তাদের এআই টুল বিনা খরচে ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে।
পারপ্লেক্সিটি এআই যুক্ত হয়েছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রদানকারী এয়ারটেলের সঙ্গে। আর গুগল হাত মিলিয়েছে দেশটির সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানি রিলায়েন্স জিওর সঙ্গে। এসব অংশীদারত্বের মাধ্যমে মাসিক ডেটা প্যাকের সঙ্গে বিনা খরচে বা ছাড়ে এআই সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব অফারকে উদারতা মনে করা ভুল হবে। এগুলো আসলে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ ও ভারতের ডিজিটাল ভবিষ্যতের ওপর কৌশলগত বাজি।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক তরুণ পাঠক বিবিসিকে বলেন, পরিকল্পনাটা খুব পরিষ্কার। ভারতীয়দের আগে জেনারেটিভ এআই ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তোলা হবে। তারপর সেটির জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
তরুণ পাঠক বলেন, ভারতের বিশেষত্ব হলো, বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী এবং তরুণ জনগোষ্ঠী। চীনের মতো বাজারে ব্যবহারকারী বেশি হলেও সেখানে কড়াকড়ি নিয়মের কারণে বিদেশি কোম্পানির প্রবেশ সীমিত। তবে ভারতে বাজার উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক। তাই বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন সেখানকার কোটি কোটি নতুন ব্যবহারকারীকে নিজেদের এআই মডেল প্রশিক্ষণে কাজে লাগানোর সুযোগ নিচ্ছে।
ওপেনএআই, পারপ্লেক্সিটি এআই ও গুগল—এই তিন কোম্পানি এ বিষয়ে বিবিসির প্রশ্নের জবাব দেয়নি।
ভারতে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯০ কোটির বেশি এবং সেখানে ডেটার দাম বিশ্বে সবচেয়ে কম। দেশটির অনলাইন জনসংখ্যার বেশির ভাগ তরুণ। ২৪ বছরের নিচের এই প্রজন্ম কাজকর্ম, যোগাযোগ, বিনোদন—সবই করে অনলাইনে।
তাই ডেটা প্যাকের সঙ্গে এসব এআই টুল যুক্ত করে দেওয়া প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য বিরাট সুযোগ তৈরি করেছে। কারণ, ভারতের ডেটা ব্যবহারের হার বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বেশি।
যত বেশি ভারতীয় এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবেন, কোম্পানিগুলো তত বেশি তথ্য পাবে।
তরুণ পাঠক বলেন, ভারত অবিশ্বাস্যভাবে বৈচিত্র্যময় একটি দেশ। এখানকার এআইয়ের ব্যবহারিক দৃষ্টান্তগুলো ভবিষ্যতে সারা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে উঠবে। যত বেশি মৌলিক তথ্য তারা সংগ্রহ করতে পারবে, তাদের জেনারেটিভ এআই মডেল তত বেশি নিখুঁত ও কার্যকর হয়ে উঠবে।
তবে কোম্পানিগুলোর জন্য এটি লাভজনক হলেও ভোক্তার দিক থেকে কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে, বিশেষ করে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে।
দিল্লির প্রযুক্তি লেখক ও বিশ্লেষক প্রশান্ত কে রায় বলেন, বেশির ভাগ ব্যবহারকারী এখনো বিনা মূল্যের কিছু পেতে নিজের তথ্য দিচ্ছেন। এই প্রবণতা ভবিষ্যতেও চলবে। তবে এখানেই সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। মানুষ এত সহজে নিজের তথ্য দিয়ে দিচ্ছে—এ বিষয়টি সামাল দিতে হলে নিয়মকানুন আরও কঠোর করতে হবে।

ভারতের কোটি কোটি মানুষ এই সপ্তাহ থেকে এক বছরের জন্য বিনা মূল্যে পাচ্ছে চ্যাটজিপিটির নতুন স্বল্পমূল্যের ‘গো’ এআই চ্যাটবট ব্যবহারের সুযোগ।
এর আগে গুগল ও পারপ্লেক্সিটি এআইয়ের মতো কোম্পানিগুলো একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল। তারা স্থানীয় মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে অংশীদারত্বে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের এক বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য তাদের এআই টুল বিনা খরচে ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে।
পারপ্লেক্সিটি এআই যুক্ত হয়েছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রদানকারী এয়ারটেলের সঙ্গে। আর গুগল হাত মিলিয়েছে দেশটির সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানি রিলায়েন্স জিওর সঙ্গে। এসব অংশীদারত্বের মাধ্যমে মাসিক ডেটা প্যাকের সঙ্গে বিনা খরচে বা ছাড়ে এআই সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব অফারকে উদারতা মনে করা ভুল হবে। এগুলো আসলে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ ও ভারতের ডিজিটাল ভবিষ্যতের ওপর কৌশলগত বাজি।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক তরুণ পাঠক বিবিসিকে বলেন, পরিকল্পনাটা খুব পরিষ্কার। ভারতীয়দের আগে জেনারেটিভ এআই ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তোলা হবে। তারপর সেটির জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
তরুণ পাঠক বলেন, ভারতের বিশেষত্ব হলো, বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী এবং তরুণ জনগোষ্ঠী। চীনের মতো বাজারে ব্যবহারকারী বেশি হলেও সেখানে কড়াকড়ি নিয়মের কারণে বিদেশি কোম্পানির প্রবেশ সীমিত। তবে ভারতে বাজার উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক। তাই বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন সেখানকার কোটি কোটি নতুন ব্যবহারকারীকে নিজেদের এআই মডেল প্রশিক্ষণে কাজে লাগানোর সুযোগ নিচ্ছে।
ওপেনএআই, পারপ্লেক্সিটি এআই ও গুগল—এই তিন কোম্পানি এ বিষয়ে বিবিসির প্রশ্নের জবাব দেয়নি।
ভারতে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯০ কোটির বেশি এবং সেখানে ডেটার দাম বিশ্বে সবচেয়ে কম। দেশটির অনলাইন জনসংখ্যার বেশির ভাগ তরুণ। ২৪ বছরের নিচের এই প্রজন্ম কাজকর্ম, যোগাযোগ, বিনোদন—সবই করে অনলাইনে।
তাই ডেটা প্যাকের সঙ্গে এসব এআই টুল যুক্ত করে দেওয়া প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য বিরাট সুযোগ তৈরি করেছে। কারণ, ভারতের ডেটা ব্যবহারের হার বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বেশি।
যত বেশি ভারতীয় এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবেন, কোম্পানিগুলো তত বেশি তথ্য পাবে।
তরুণ পাঠক বলেন, ভারত অবিশ্বাস্যভাবে বৈচিত্র্যময় একটি দেশ। এখানকার এআইয়ের ব্যবহারিক দৃষ্টান্তগুলো ভবিষ্যতে সারা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে উঠবে। যত বেশি মৌলিক তথ্য তারা সংগ্রহ করতে পারবে, তাদের জেনারেটিভ এআই মডেল তত বেশি নিখুঁত ও কার্যকর হয়ে উঠবে।
তবে কোম্পানিগুলোর জন্য এটি লাভজনক হলেও ভোক্তার দিক থেকে কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে, বিশেষ করে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে।
দিল্লির প্রযুক্তি লেখক ও বিশ্লেষক প্রশান্ত কে রায় বলেন, বেশির ভাগ ব্যবহারকারী এখনো বিনা মূল্যের কিছু পেতে নিজের তথ্য দিচ্ছেন। এই প্রবণতা ভবিষ্যতেও চলবে। তবে এখানেই সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। মানুষ এত সহজে নিজের তথ্য দিয়ে দিচ্ছে—এ বিষয়টি সামাল দিতে হলে নিয়মকানুন আরও কঠোর করতে হবে।

সিলিকন ভ্যালির একসময়কার গর্বিত প্রোগ্রামার জুলিয়ান ফোস্টার এক সকালে হঠাৎ ই-মেইল পেলেন, ‘ইয়োর রোল ইজ নো লংগার রিকয়ার্ড’। তিনি বুঝতে পারলেন না, যে কাজটি পাঁচ বছর ধরে তিনি দক্ষতার সঙ্গে করছিলেন, সেটি রাতারাতি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেল কীভাবে। উত্তর একটাই—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
০৮ জুলাই ২০২৫
আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
২ ঘণ্টা আগে
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
৮ ঘণ্টা আগে