Ajker Patrika

লিংকডইনে যুক্ত হচ্ছে এআই টুল

লিংকডইনে যুক্ত হচ্ছে এআই টুল

চাকরি নেটওয়ার্কিং ও নিয়োগের জন্য এআই টুল যুক্ত করবে লিংকডইন। এআই ফিচারগুলো চাকরি খুঁজতে,  মার্কেটিং ও পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে সাহায্য করবে। রিক্রুটার ট্যালেন্ট সোর্সিং প্ল্যাটফর্মে এআইভিত্তিক অ্যাসিস্ট্যান্টের একটি বড় আপডেটে এবং মার্কেটিং প্রচারণার জন্য লিংকডইন এআইভিত্তিক টুল অন্তর্ভুক্ত করবে। এ ছাড়া এআইভিত্তিক কোচও যুক্ত করা হবে। টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

লিংকডইন বলছে, কোম্পানি ধীরে ধীরে এআই ভিত্তিক ফিচার পণ্যের পোর্টফোলিওতে যুক্ত করছে। এর মধ্যে গত মার্চে প্ল্যাটফর্মে লেখালেখির জন্য এআই ভিত্তিক লেখার পরামর্শের ফিচারটি রয়েছে। অর্থাৎ ব্যবহারকারী প্ল্যাটফর্মে কোনো কিছু লিখলে এর পরবর্তী শব্দের পরামর্শ এআই দেবে। এ বছরে নিয়োগকারীরা এইআইয়ের তৈরি অনেক চাকরির বিবরণ দেখতে পাচ্ছেন।

লিংকডইনে এআইয়ের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। অনেক আগে থেকেই এর ব্যবহার হয়েছে, তবে তা আড়ালে ছিল। প্ল্যাটফর্মটি চাকরিপ্রার্থী বা নিয়োগকারীর প্রোফাইল অনুযায়ী নেটওয়ার্কিংয়ের যে পরামর্শ দেয় তা এআইয়ের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।

লিংকডইনের সাবেক এআই ইঞ্জিনিয়ার দীপক আগারওয়াল বলে, ‘লিংকডইনের সবকিছু এআই পরিচালিত করে।’

মাইক্রোসফট কয়েক বছর আগে লিংকডইনকে কিনে নেয়। এদিকে ওপেনএআইয়ের ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে মাইক্রোসফট কোম্পানিটির ৪৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক হয়। তাই লিংকডিন এখন ওপেনএআই ও মাইক্রোসফটের নতুন ফিচারগুলো এই প্ল্যাটফর্মে কাজে লাগাচ্ছে।

মাইক্রোসফটের বিভিন্ন পণ্য ওপেনেওআইয়ের প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করা ছিল একটি কৌশলী সিদ্ধান্ত। টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদকে লিংকডইনের প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইরান বার্গার বলেন, কোম্পানি যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তার মূল্যায়ন চালিয়ে যাবে। প্ল্যাটফর্মটি নিজস্ব ল্যাংগুয়েজ মডেল ও অন্যান্য এআই পণ্য ব্যবহার করবে কিনা,  তা নিয়েও চিন্তা–ভাবনা করছে। আপাতত লিংকডইন মাইক্রোসফটের বিনিয়োগের ওপরের নির্ভর করবে।

লিংকডইনের যেসব ফিচার আসবে

লিংকডইন বলেছে, এআই ভিত্তিক নিয়োগের নতুন ফিচার হল – রিক্রুটার ২০২৪। এটি জেনারেটিভ এআইয়ের মাধ্যমে নিয়োগকর্তাকে প্রার্থী তালিকার জন্য আরও ভালো অনুসন্ধানে সাহায্য করবে।

লিংকডইন ল্যার্নিং এ এআই যুক্ত করে ‘লার্নিং কোচ’ ফিচার নিয়ে আসা হবে যা চ্যাটবট হিসেবে কাজ করবে। চ্যাটবট গুলো ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ দেবে। এই কোচ ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন কোর্সসহ বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শও দেবে। লিংকইডিনের সাধারণ ও টেকনিক্যাল দক্ষতা বিষয়ক শিক্ষণীয় ভিডিও রয়েছে। এআই কোচ  ভিডিওগুলো দেখারও পরামর্শ দিতে পারে।

মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রেও এআইয়ের ব্যবহার দেখা যাবে। লিংকডইনের নতুন পণ্য ‘অ্যাকসেলেরেট’মার্কেটিংয়ের কাজ করবে। এর মাধ্যমে লিংকডইনের মধ্যে মার্কেটিং খুব সহজে করা যাবে। অ্যাকসেলেরেটের একটি ত্রুটি হলো এটি শুধুমাত্র লিংকডইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ব্যবহারকারীরা অন্য সামাজিক মাধ্যমেও মার্কেটিং চালাতে চাইবে।

নতুন এআই ফিচারটি চাকরি ও নিয়োগের ক্ষেত্রে সহজে সম্ভাব্য নেটওয়ার্ক খুঁজে পেতে আরও সাহায্য করবে।

লিংকডইনের প্রায় ১০০ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। গত বছর কোম্পানিটি প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার আয় করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এ বছরের এগিয়ে থাকা গ্যাজেট

পল্লব শাহরিয়ার
এ বছরের এগিয়ে থাকা গ্যাজেট

চলতি বছর প্রযুক্তির জগতে যেন নতুন দিকের সূচনা হয়েছে। একদিকে স্মার্টফোন হয়ে উঠছে আরও বুদ্ধিমান, অন্যদিকে ছোট একটি আংটি বা চশমার মতো গ্যাজেট এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে মানুষের যোগাযোগ, কাজ, বিনোদন আর স্বাস্থ্যসচেতনতার ধরন। প্রযুক্তি এখন আর বিশেষজ্ঞ অথবা গ্যাজেটপাগলদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; সাধারণ ব্যবহারকারীর হাতে হাতে পৌঁছে গেছে এর সুবিধা। এ বছর বাজারে যেসব নতুন গ্যাজেট এসেছে, বেশির ভাগ মানুষের জীবন সহজ ও স্মার্ট করেছে, দিয়েছে আরও গতি।

রোলেবল স্মার্টফোন

এ বছর বাজারে বড় চমক ছিল রোলেবল স্মার্টফোন। এটি মুহূর্তে একটি সাধারণ স্মার্টফোনের সাড়ে ৬ ইঞ্চির ডিসপ্লে প্রসার করতে পারে ৮ থেকে ৯ ইঞ্চি পর্যন্ত। ফলে ভিডিও দেখা, গেম খেলা বা নোট লেখা আগের চেয়ে অনেক সুবিধাজনক। স্মার্টফোন এখন নিজে থেকে বুঝতে পারে, কখন স্ক্রিন বড় করতে হবে আর কখন ছোট। এআইয়ের সাহায্যে অ্যাপগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাজিয়ে নেওয়া যায়। পকেটে ছোট, হাতে বড়—এই নতুন ডিজাইন ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা আমূল বদলে দিয়েছে। এর ব্যাটারি লাইফও করা হয়েছে আগের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া ডিভাইসের স্থায়িত্ব করা হয়েছে অনেক উন্নত।

স্মার্ট রিং
স্মার্ট রিং

স্মার্ট রিং

ওয়্যারেবল প্রযুক্তির আকর্ষণীয় উদ্ভাবন হলো স্মার্ট রিং। ছোট একটি আংটির মধ্যে এত কিছু রাখা হয়েছে যে, ঘড়ি বা ব্যান্ডের প্রয়োজন প্রায় নেই। আঙুলে পরার সঙ্গে সঙ্গে এটি হৃৎপিণ্ডের চাপ, মানসিক চাপের স্তর, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ থেকে ঘুমের প্যাটার্ন— স্বাস্থ্যের সবকিছুর দিকে নজর রাখে। ব্যবহারকারী কোনো অ্যাপ খুলে না দেখলেও রিং এআইয়ের সাহায্যে স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সতর্কতা পাঠায়, কখন বিশ্রাম প্রয়োজন বা স্ট্রেস বেশি হয়েছে, তা জানিয়ে দেয়। ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী, একবার চার্জ দিলে ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

স্মার্ট হোম রোবট
স্মার্ট হোম রোবট

স্মার্ট হোম রোবট

এ বছর ঘরের প্রযুক্তিতে আকর্ষণীয় উদ্ভাবন স্মার্ট হোম রোবট। এটি শুধু ভ্যাকুয়াম নয়, ঘরের প্রতিটি কাজ সহজ করে দেয়। রোবটটি নিজে ঘরের নকশা অনুযায়ী আসবাব ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে চলতে পারে এবং যখন প্রয়োজন, তখন মেঝে পরিষ্কার করে দেয়। শুধু তা-ই নয়, এটি পরিবারের সদস্যদের দৈনন্দিন রুটিন অনুযায়ী কাজ মনে করিয়ে দিতে পারে। যেমন পোষা প্রাণীকে খাওয়ানো বা ঘরের লাইট, দরজা ও জানালা নিয়ন্ত্রণ। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি অচেনা কেউ ঘরে ঢুকলে সতর্কতা পাঠায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং ভয়েস কমান্ড অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেয়। স্মার্ট হোম রোবট ঘরের প্রতিদিনের জীবন সহজ, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল করতে সাহায্য করে।

পরিবেশবান্ধব গ্যাজেট
পরিবেশবান্ধব গ্যাজেট

পরিবেশবান্ধব গ্যাজেট

গ্যাজেটের বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন হলো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি। আজকের দিনে অনেক গ্যাজেট তৈরির প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব পণ্যের দিকে মনোযোগী। সৌরবিদ্যুচ্চালিত চার্জার, পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী উপাদান দিয়ে তৈরি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং গ্যাজেট এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সোলার চার্জার দিয়ে বিদ্যুৎ বাঁচে এবং পুনর্ব্যবহৃত উপাদান ব্যবহার করে তৈরি ডিভাইসে কমে পরিবেশদূষণ। অনেক ডিভাইসে এখন গ্রাফিন ব্যাটারি বা এনার্জি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা দীর্ঘস্থায়ী ও দ্রুত চার্জ হয়।

স্মার্ট চশমা
স্মার্ট চশমা

স্মার্ট চশমা

প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণীয় উদ্ভাবন স্মার্ট চশমা। এটি বাস্তব ও ভার্চুয়াল জগৎ একসঙ্গে দেখাতে পারে। সাধারণ চশমার মতো হালকা হলেও এর ভেতরে রয়েছে এমন প্রযুক্তি, যা চোখের সামনে তথ্য, ছবি এবং ভিডিও প্রদর্শন করতে পারে। এটি ব্যবহারে ঘরে বসে বাইরে ঘুরে আসার মতো অনুভূতি পাওয়া যায়। মিটিং বা শিক্ষার কাজে এটি দারুণ সুবিধা দেয়। কারণ, ডেস্কে বসে না থেকেও সবকিছু দেখা যায়। ব্যবহারকারীর কিছু ধরে রাখার প্রয়োজন নেই। চোখের দৃষ্টি ও অঙ্গভঙ্গিতে এ চশমা কাজ করে। ছোট, হালকা ও ব্যবহারবান্ধব এই চশমা এখন প্রযুক্তির এক নতুন দিক খুলে দিয়েছে, যা চোখের সামনে বাস্তব আর কল্পনার জগৎ মিলিয়ে দেয়।

স্মার্ট সিকিউরিটি গ্যাজেট
স্মার্ট সিকিউরিটি গ্যাজেট

স্মার্ট সিকিউরিটি গ্যাজেট

এ বছর ঘরের নিরাপত্তা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে স্মার্ট সিকিউরিটি গ্যাজেট। এটি এখন আর শুধু দরজা বা জানালা বন্ধ করার যন্ত্র নয়, অচেনা মানুষ শনাক্ত করারও যন্ত্র। বাড়িতে অপরিচিত কেউ ঢুকলে এ গ্যাজেট সেই তথ্য সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর কাছে সতর্কবার্তা হিসেবে পাঠাতে পারে। চোখ বা কণ্ঠ শনাক্ত প্রযুক্তির ফলে এটি পরিবার বা অচেনা ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারে।

পোষা প্রাণী থাকলেও তারা বুঝতে পারে। গ্যাজেটটি নিজে থেকে ঘরের লাইট, দরজা, জানালা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই ব্যবহারকারীর বারবার কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এইচপির ৬ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে পারেন

ফিচার ডেস্ক
এইচপির ৬ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে পারেন

এআইয়ের কারণে চলতি বছর অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। কয়েকটি টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, এআইয়ের দক্ষতা উন্নয়নের দিকে নজর দিচ্ছে তারা। ফলে অদূর ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার হার বাড়বে।

এআই ব্যবহার নিয়ে বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন আনছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এইচপি ইনকরপোরেটেড। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে।

প্রধান নির্বাহী এনরিক লোরেস বলেন, ‘এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য তৈরি, গ্রাহকসেবা এবং অভ্যন্তরীণ কাজ আরও দ্রুত ও দক্ষভাবে পরিচালনার পরিকল্পনা চলছে। সে বাস্তবায়নেই এই পুনর্গঠন।’ তাঁর মতে, নতুন পরিকল্পনা ঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে পরবর্তী তিন বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার খরচ সাশ্রয় হবে।

এর আগেও ছাঁটাই হয়েছে

এটি এইচপির প্রথম ছাঁটাই নয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দুই হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল। প্রযুক্তি শিল্পে দীর্ঘদিন ধরে চলা মন্দা এবং নতুন এআই প্রতিযোগিতা এ ধরনের সিদ্ধান্তের পেছনে বড় কারণ।

এআই কম্পিউটারের চাহিদা বাড়ছে

এইচপি জানায়, বাজারে এআই কম্পিউটারের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। অক্টোবর পর্যন্ত শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে তাদের মোট কম্পিউটার সরবরাহের ৩০ শতাংশই ছিল এআই পিসি। ফলে প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতের বাজারে টিকে থাকতে আরও বেশি এআইভিত্তিক পণ্য তৈরি ও সরবরাহে গুরুত্ব দিচ্ছে।

চিপের দাম বাড়ায় নতুন উদ্বেগ

বিশ্বব্যাপী সার্ভার ও ডেটা সেন্টারের বাড়তি চাহিদার কারণে মেমোরি চিপের দাম বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই দামের চাপ ভোক্তা প্রযুক্তি প্রস্তুতকারীদের খরচ বাড়াবে। এইচপি জানিয়েছে, চিপের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব তারা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে। প্রথম ছয় মাসের জন্য পর্যাপ্ত চিপ মজুত রয়েছে। প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, খরচ নিয়ন্ত্রণে তাঁরা কম দামের সরবরাহকারী খুঁজছেন। মেমোরির ব্যবহার কমানো এবং প্রয়োজন হলে পণ্যের দাম সামান্য বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের।

লাভের পূর্বাভাস প্রত্যাশার চেয়ে কম

এইচপি জানায়, ২০২৬ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত মুনাফা হবে ২ দশমিক ৯০ থেকে ৩ দশমিক ২০ ডলারের মধ্যে, যা গড় ধারণা ৩ দশমিক ৩৩ ডলারের চেয়ে কম। এ ছাড়া আগামী বছরের প্রথম দিকে তাদের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৭৩ থেকে ৮১ সেন্ট হতে পারে।

এ বছর এআই ও অটোমেশনের প্রভাবে প্রযুক্তি খাত লক্ষাধিক চাকরি হারিয়েছে। তবে এ প্রভাবে শুধু চাকরি কমছে না, এর সঙ্গে নতুন ধরনের দক্ষতার চাহিদা তৈরি হয়েছে। ক্ষতির পাশাপাশি অনেক নতুন সুযোগও এসেছে। এআই ভবিষ্যতে আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে কাজের প্রকৃতি বদলাতে থাকবে। কর্মীদের চাকরি হারানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে এআই। এটি একদিকে যেমন ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে নতুন সম্ভাবনাও তৈরি করছে।

সূত্র: সিএনএন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুগলের চিপ ব্যবহার করবে মেটা

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩২
গুগলের চিপ ব্যবহার করবে মেটা

গুগলের কাস্টম এআই চিপ বা টেনসর প্রসেসিং ইউনিট ব্যবহার করতে চায় মেটা। খবর অনুযায়ী, মেটা ২০২৬ সালে গুগল ক্লাউড থেকে এই চিপগুলো ভাড়া নেবে এবং ২০২৭ সালে সরাসরি কিনে নেবে।

এটি দুই প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন এক উদ্যোগ। গুগল আগে এই চিপগুলো মূলত নিজের কাজে ব্যবহার করত। আর মেটা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিপিইউ ও জিপিইউ ব্যবহার করত। নতুন এই চুক্তি এআই হার্ডওয়্যার ব্যবহারে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

মেটা শুধু গুগলের চিপের ওপর নির্ভর করছে না, তারা অন্য ধরনের প্রসেসরেও আগ্রহী। এর মাধ্যমে বোঝা যায় মেটা তার কম্পিউটিং শক্তি একাধিক উৎস থেকে সংগ্রহের দিকে নজর দিচ্ছে।

চুক্তির খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটে পরিবর্তন দেখা গেছে। গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের মূল্য বেড়েছে এবং মেটার শেয়ারও বেড়েছে। অন্যদিকে কিছু চিপ নির্মাতার শেয়ার কমেছে। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা ভাবছেন, বড় প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন চিপ ব্যবহার করলে পুরোনো চিপের চাহিদা কমতে পারে। গুগল ক্লাউডের হিসাব অনুযায়ী, এই চুক্তি সফল হলে তারা বড় ধরনের বাজার দখল করতে পারবে। চলতি বছরে এ ধরনের ডেটা সেন্টারের চিপের বাজার ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

তবে বাজারে সরবরাহ সীমিত। জিপিইউ, মেমোরি মডিউল এবং অন্যান্য কম্পিউটিং উপাদানের ঘাটতি রয়েছে। ফলে দাম আগামী বছরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এআই ব্যবহারের দ্রুত সম্প্রসারণ সরবরাহ চেইনকে চাপে ফেলেছে। এ ছাড়া বড় অর্ডার দেওয়া হলেও উৎপাদন সীমাবদ্ধতার কারণে সময়মতো সরবরাহ সব সময় নিশ্চিত হবে না। এ ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে চুক্তির কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে।

মেটা এবং গুগলের সম্ভাব্য চুক্তি প্রযুক্তি ও এআই চিপের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সরবরাহ সীমাবদ্ধতা, প্রতিযোগিতা এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই পরিবেশের কারণে এর চূড়ান্ত প্রভাব পড়া এখনো অনিশ্চিত।

এই চুক্তি সফল হলে মেটা এআই ও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারে আরও শক্তিশালী অবস্থানে আসতে পারে। অন্যদিকে, চিপ নির্মাতাদের বাজারে নতুন প্রতিযোগিতা তৈরি হবে, যা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি বিনিয়োগ ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।

সূত্র: রয়টার্স

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ

একদিকে প্রশংসা, অন্যদিকে সমালোচনার মুখে অস্ট্রেলিয়া

ফিচার ডেস্ক
একদিকে প্রশংসা, অন্যদিকে সমালোচনার মুখে অস্ট্রেলিয়া

১৬ বছরের নিচে সবার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধের ঘোষণা বেশ কয়েক মাসে আগে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার সেই ঘোষণা আইন হিসেবে চালু করতে চলেছে দেশটি। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০ ডিসেম্বর থেকে এমন আইন প্রয়োগ করতে যাচ্ছে দেশটি।

আইন কার্যকর হলে অস্ট্রেলিয়ার কোনো কিশোর-কিশোরী আর নিজের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবহার করতে পারবে না। ইনস্টাগ্রাম এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের প্ল্যাটফর্মে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে ৩ লাখ অস্ট্রেলিয়ান আছে, যারা শিগগির অ্যাকাউন্ট হারাতে যাচ্ছে।

আইন করা হলেও এখন পর্যন্ত অনেক কিছুই সরকার নির্দিষ্টভাবে ঠিক করে দেয়নি। এ নিয়েও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং দেশ-বিদেশের অনেকে এই নীতির সমালোচনা করছেন। এখানে বয়স যাচাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নির্ধারণ করে দেয়নি। তবে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মকে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই কার্যক্রম চালাতে বলা হয়েছে। তবে ব্যবহারকারী ভিডিও সেলফি বা সরকারি পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বয়স প্রমাণ করতে পারবে।

কোন প্ল্যাটফর্ম এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে, সেটিও পুরোপুরি নির্ধারিত নয়। তবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, টুইচ ও কিক নিশ্চিতভাবে এই আইনের আওতায় আছে। প্রচুর শিক্ষামূলক কনটেন্ট থাকা সত্ত্বেও ইউটিউবকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে রোবলক্স, পিন্টারেস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ এখনো তালিকার বাইরে রয়েছে। তালিকা পর্যালোচনা চলছে এবং প্রয়োজনে আরও প্ল্যাটফর্ম যুক্ত করা হতে পারে নিষিদ্ধের তালিকায়।

সর্বোচ্চ ৩২ মিলিয়ন ডলার জরিমানা

কিশোরেরা যে এই নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের দিকে ঝুঁকবে, সে বিষয়ে সরকার অবগত। নকল আইডি ব্যবহার, ছবি এডিট করে বয়স বাড়িয়ে দেখানো, এমনকি এআই দিয়ে মুখের বয়স বদলে দেওয়া, এমন সব সম্ভাবনার কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তাই প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিজেদের মতো ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

তবে আইন যদি না মানে, তাহলে প্ল্যাটফর্মগুলোকে সর্বোচ্চ ৩২ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। আসলে সমস্যাটা হলো, ঠিক কী করলে আইন মানা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে, সেটিও এখনো পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়নি।

সুপ্রিম কোর্টে দুই কিশোরের চ্যালেঞ্জ

এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বেশ সোচ্চার অস্ট্রেলিয়ার কিশোর-কিশোরীরা। তারা বলছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বদলে অনলাইন প্রতারণা এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

এমনকি মানবাধিকারকর্মীদের সমর্থনে ১৫ বছর বয়সী দুজন কিশোর এই নীতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে। তাদের যুক্তি, এই আইন তাদের স্বাধীনভাবে যোগাযোগের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তাদের একজন নোয়া জোন্স বিবিসিকে বলে, অনলাইনের ক্ষতিকর দিক আছে ঠিকই; তাই বলে ১৬ বছরের নিচের সবাইকে নিষিদ্ধ করাই সমাধান নয়; বরং অনলাইন থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরানোর নিয়ম চালু করা এবং শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সরকারের।

সব মিলিয়ে আইনটি বাস্তবায়নের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া একধরনের পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছে। এই আইনের একদিকে আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতি থেকে শিশুদের সুরক্ষা, অন্যদিকে রয়েছে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও প্রযুক্তিগত বাস্তবতা। সবকিছু মিলিয়ে আগামী কয়েক মাসে এ বিষয়ে বিশ্বের নজর থাকবে অস্ট্রেলিয়ার ওপর।

সূত্র: বিবিসি ও ব্লুমবার্গ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত