
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নাটকীয় উন্নয়ন হয়েছে। এখনকার ৬ দিনের পূর্বাভাস ১০ বছর আগের ৫ দিনের পূর্বাভাসের মতোই সঠিক। ৪০ বছর আগে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে ঘূর্ণিঝড়ের যে পূর্বাভাস পাওয়া যেত, এখন তিন দিন আগেই আরও নির্ভুল তথ্য জানা যায়। গত কয়েক দশকে আবহাওয়া ও সামুদ্রিক ডেটা প্রসেসিংয়ে কম্পিউটারের দক্ষতা বৃদ্ধির ফলেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই অসাধারণ অগ্রগতি। এরই ধারাবাহিকতায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে প্রায় নবজাগরণ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসা ও প্রযুক্তি কোম্পানি আইবিএম।
কম্পিউটার সিমুলেশনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মডেলগুলো আধুনিক হলেও এসবের কার্যকর প্রয়োগে বেশ সময় ও শক্তির প্রয়োজন হয়। কারণ, পদার্থবিদ্যাভিত্তিক সমীকরণ এবং বাতাস, বায়ুচাপ, তাপমাত্রার মতো আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে এই মডেলগুলোকে কাজ করতে হয়।
এর চেয়ে কম সময় ও শক্তি ব্যয় করে কীভাবে আরও দ্রুত আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায়, তার জন্য আইবিএমের তৈরি এআইভিত্তিক ভূ-স্থানিক ‘ফাউন্ডেশনাল মডেল’ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। নাসার আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত ডেটার ভান্ডার ব্যবহার করে এই মডেলকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য ব্যবহার করা হবে। এক বছর আগে নাসা ও আইবিএম যৌথভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য মডেলটি তৈরির কাজ শুরু করে। ওপেনসোর্স এআই প্ল্যাটফর্ম ‘হাগিং ফেসে’ পাওয়া যাচ্ছে।
এর মধ্যেই এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে। এটি বিজ্ঞানীদের বন্যা ও দাবানলের পরিমাণ অনুমানে সাহায্য করে। কেনিয়ার কৃত্রিম জলাধার ঘিরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পর্যবেক্ষণে মডেলটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো পানি ঘাটতির সমস্যা সমাধান করা এবং কেনিয়ায় বনায়ন বাড়ানো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্তপ্ত দ্বীপগুলোর আবহাওয়া বিশ্লেষণেও এই মডেল ব্যবহার হচ্ছে।
এসব প্রকল্পের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আইবিএম ও নাসা মডেলটিকে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত অ্যাপগুলোতে এই ফাউন্ডেশনাল মডেল ব্যবহার করে আরও দ্রুত ও নির্ভুল তথ্য কীভাবে পাওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে। মডেলটি উন্নত হলে যেসব সক্ষমতা তৈরি হবে, সেগুলোর মধ্যে আছে আবহাওয়াসংক্রান্ত ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের স্বল্প রেজল্যুশনের ডেটা থেকে উচ্চ রেজল্যুশনের ডেটা অনুমান, দাবানলপ্রবণ এলাকা বা পরিস্থিতি শনাক্ত করা এবং ঘূর্ণিঝড়, খরা ও অন্যান্য ঘটনাগুলোর পূর্বাভাস দিতে সহায়তা করা।
ফাউন্ডেশন মডেলগুলো যত জটিলই হোক না কেন, কোড লেখা, অনুবাদ ও যেকোনো টেক্সটের সারাংশ তৈরির জন্য অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠছে। তাই আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাসের জন্যও এই মডেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
পর্যাপ্ত ডেটা পেলে মডেলগুলো জটিল সিস্টেমের অন্তর্নিহিত কাঠামোকে একত্র করতে পারে। এই ডেটা কোড, ভাষা বা পদার্থের অণুসহ বিভিন্ন বিষয়ের হতে পারে। এসব ডেটা নিয়ে ফাউন্ডেশনাল মডেল অনেক কাজ সম্পাদন করতে পারে। মানুষের কাছ থেকে সীমিত নির্দেশনা পেলেও বিভিন্ন বিষয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতার আছে এই মডেলের।
এর মধ্যেই পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নতুন আরেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। গত বছর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নতুন এক পদ্ধতি চালু হয়েছে। সেটা হলো এআই এমুলেটর নামে বেশ কিছু ‘ডিপ লার্নিং মডেল’ ব্যবহার করা শুরু করেছে ইউরোপীয় সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টিং (ইসিএমডাব্লুএফ)। এগুলো আবহাওয়ার ঐতিহাসিক ধরনের ওপর ভিত্তি করে পূর্বাভাস তৈরি করে। পদার্থবিজ্ঞানের জ্ঞান স্পষ্টভাবে এনকোড করা না হলেও এআই এমুলেটর ডেটা থেকে আবহাওয়া অনুমান করতে পারে। এই পদ্ধতিতে কয়েক ঘণ্টার জায়গায় কয়েক মিনিটের মধ্যে ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বের করা যায়।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে গুগল ডিপ মাইন্ড দাবি করেছে, তাদের তৈরি গ্রাফকাস্ট এমুলেটর প্রথাগত মডেলের চেয়ে দ্রুততার সঙ্গে সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে। এটি ১০ দিনের পূর্বাভাস দিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় লি ৯ দিনের মধ্যে নোভা স্কশিয়ায় আঘাত হানবে বলে গত সেপ্টেম্বরে নির্ভুলভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল গ্রাফকাস্ট। এটা আগের মডেলের চেয়ে তিন দিন কম ছিল।
কারিগরি দিক থেকে, এআই ইমুলেটর ফাউন্ডেশনাল মডেলের মতো নয়। ফাউন্ডেশনাল মডেল হলো প্রযুক্তির ভিত্তি, যা জেনারেটিভ এআই অ্যাপকে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে এআই ইমুলেটর কিছু ডেটার ওপর ভিত্তি করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। তবে এগুলোর নিজস্ব কোনো অ্যাপ নেই এবং এগুলো আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের ভাষা বুঝতে পারে না।
এআই এমুলেটরকে একটি ডেটা সেটে একটিমাত্র কাজ সম্পাদন করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং এগুলোতে নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এমুলেটরগুলো ফাউন্ডেশনাল মডেল তৈরির অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে এবং নতুন মডেলের মাধ্যমে যেসব সুবিধা মিলবে, তার ইঙ্গিত দেয়।
ফাউন্ডেশনাল মডেল অন্যান্য জলবায়ু অ্যাপের জন্যও নির্ভুল পূর্বাভাস দিতে পারে। পৃথিবীর জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার ধরনকে প্রভাবিত করছে। যত তাড়াতাড়ি একটি বিপর্যয় শনাক্ত করা যায় জীবন ও অর্থ বাঁচানোর সম্ভাবনা তত বেশি হয়।
এখনকার এআই মডেলগুলো তীব্র বা চরম ঘটনাগুলো ধরতে পারে না। এই সমস্যা এআইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ। কারণ, এআই মডেলকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে এগুলো ব্যতিক্রমী বিষয় উপেক্ষা করে। ফলে মডেলগুলো চরম ঘটনাগুলো বুঝতে পারে না। এ জন্য ছোট মডেলগুলোতে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। নাসা ও আইবিএমের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো বড় ফাউন্ডেশনাল মডেলেও এই পদ্ধতি যুক্ত করা।
এআই মডেলের মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের আরেকটি সমস্যা হলো পরিবর্তনশীল জলবায়ুর অতীত দিয়ে ভবিষ্যৎকে অনুমান করা যায় না। বিশেষ করে যখন পৃথিবীর পরিবেশ দিন দিন গরম হচ্ছে। যেমন ২০২৪ সালের একটি ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি ১৯৩৩ সালের চেয়ে বেশি হতে পারে। তাই ঐতিহাসিক ডেটার ওপর ভিত্তি করে এআই মডেলের পূর্বাভাসের মাধ্যমে আবহাওয়াবিদেরা এই ধরনের ঘটনা অনুমান করতে পারবেন না। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন ও নতুন ডেটার সঙ্গে এআই মডেলগুলোও প্রতিনিয়ত আপডেট হতে পারে।
আইবিএম ও নাসার লক্ষ্য হলো, আবহাওয়া ও জলবায়ুর জন্য মাল্টিমোডাল ফাউন্ডেশন মডেল তৈরি করা, যা কমসংখ্যক জিপিইউ ব্যবহার করে কাজ করতে পারবে। আবহাওয়াবিদ ও নাসার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আইবিএমের এআই বিশেষজ্ঞ সাতটি অ্যাপে এআই মডেলটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই করবে। সেই সঙ্গে ১০ থেকে ১৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং ধূলিঝড় ও বিমান চলাচলের উপযুক্ত পরিবেশ নিয়ে কাজ করবে।
মডেলটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে এটি ওপেনসোর্স এআই প্ল্যাটফর্ম ‘হাগিং ফেসে’ পাওয়া যাবে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকেরা আবহাওয়া ও জলবায়ুর মডেলটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইবিএম ও নাসার ফাউন্ডেশন মডেলের উন্নয়নে এটি একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। এর মাধ্যমে পৃথিবীর পরিবর্তনশীল জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পর্কে জরুরি কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নাটকীয় উন্নয়ন হয়েছে। এখনকার ৬ দিনের পূর্বাভাস ১০ বছর আগের ৫ দিনের পূর্বাভাসের মতোই সঠিক। ৪০ বছর আগে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে ঘূর্ণিঝড়ের যে পূর্বাভাস পাওয়া যেত, এখন তিন দিন আগেই আরও নির্ভুল তথ্য জানা যায়। গত কয়েক দশকে আবহাওয়া ও সামুদ্রিক ডেটা প্রসেসিংয়ে কম্পিউটারের দক্ষতা বৃদ্ধির ফলেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই অসাধারণ অগ্রগতি। এরই ধারাবাহিকতায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে প্রায় নবজাগরণ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসা ও প্রযুক্তি কোম্পানি আইবিএম।
কম্পিউটার সিমুলেশনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মডেলগুলো আধুনিক হলেও এসবের কার্যকর প্রয়োগে বেশ সময় ও শক্তির প্রয়োজন হয়। কারণ, পদার্থবিদ্যাভিত্তিক সমীকরণ এবং বাতাস, বায়ুচাপ, তাপমাত্রার মতো আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে এই মডেলগুলোকে কাজ করতে হয়।
এর চেয়ে কম সময় ও শক্তি ব্যয় করে কীভাবে আরও দ্রুত আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায়, তার জন্য আইবিএমের তৈরি এআইভিত্তিক ভূ-স্থানিক ‘ফাউন্ডেশনাল মডেল’ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। নাসার আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত ডেটার ভান্ডার ব্যবহার করে এই মডেলকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য ব্যবহার করা হবে। এক বছর আগে নাসা ও আইবিএম যৌথভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য মডেলটি তৈরির কাজ শুরু করে। ওপেনসোর্স এআই প্ল্যাটফর্ম ‘হাগিং ফেসে’ পাওয়া যাচ্ছে।
এর মধ্যেই এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে। এটি বিজ্ঞানীদের বন্যা ও দাবানলের পরিমাণ অনুমানে সাহায্য করে। কেনিয়ার কৃত্রিম জলাধার ঘিরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পর্যবেক্ষণে মডেলটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো পানি ঘাটতির সমস্যা সমাধান করা এবং কেনিয়ায় বনায়ন বাড়ানো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্তপ্ত দ্বীপগুলোর আবহাওয়া বিশ্লেষণেও এই মডেল ব্যবহার হচ্ছে।
এসব প্রকল্পের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আইবিএম ও নাসা মডেলটিকে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত অ্যাপগুলোতে এই ফাউন্ডেশনাল মডেল ব্যবহার করে আরও দ্রুত ও নির্ভুল তথ্য কীভাবে পাওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে। মডেলটি উন্নত হলে যেসব সক্ষমতা তৈরি হবে, সেগুলোর মধ্যে আছে আবহাওয়াসংক্রান্ত ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের স্বল্প রেজল্যুশনের ডেটা থেকে উচ্চ রেজল্যুশনের ডেটা অনুমান, দাবানলপ্রবণ এলাকা বা পরিস্থিতি শনাক্ত করা এবং ঘূর্ণিঝড়, খরা ও অন্যান্য ঘটনাগুলোর পূর্বাভাস দিতে সহায়তা করা।
ফাউন্ডেশন মডেলগুলো যত জটিলই হোক না কেন, কোড লেখা, অনুবাদ ও যেকোনো টেক্সটের সারাংশ তৈরির জন্য অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠছে। তাই আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাসের জন্যও এই মডেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
পর্যাপ্ত ডেটা পেলে মডেলগুলো জটিল সিস্টেমের অন্তর্নিহিত কাঠামোকে একত্র করতে পারে। এই ডেটা কোড, ভাষা বা পদার্থের অণুসহ বিভিন্ন বিষয়ের হতে পারে। এসব ডেটা নিয়ে ফাউন্ডেশনাল মডেল অনেক কাজ সম্পাদন করতে পারে। মানুষের কাছ থেকে সীমিত নির্দেশনা পেলেও বিভিন্ন বিষয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতার আছে এই মডেলের।
এর মধ্যেই পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নতুন আরেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। গত বছর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নতুন এক পদ্ধতি চালু হয়েছে। সেটা হলো এআই এমুলেটর নামে বেশ কিছু ‘ডিপ লার্নিং মডেল’ ব্যবহার করা শুরু করেছে ইউরোপীয় সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টিং (ইসিএমডাব্লুএফ)। এগুলো আবহাওয়ার ঐতিহাসিক ধরনের ওপর ভিত্তি করে পূর্বাভাস তৈরি করে। পদার্থবিজ্ঞানের জ্ঞান স্পষ্টভাবে এনকোড করা না হলেও এআই এমুলেটর ডেটা থেকে আবহাওয়া অনুমান করতে পারে। এই পদ্ধতিতে কয়েক ঘণ্টার জায়গায় কয়েক মিনিটের মধ্যে ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বের করা যায়।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে গুগল ডিপ মাইন্ড দাবি করেছে, তাদের তৈরি গ্রাফকাস্ট এমুলেটর প্রথাগত মডেলের চেয়ে দ্রুততার সঙ্গে সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে। এটি ১০ দিনের পূর্বাভাস দিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় লি ৯ দিনের মধ্যে নোভা স্কশিয়ায় আঘাত হানবে বলে গত সেপ্টেম্বরে নির্ভুলভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল গ্রাফকাস্ট। এটা আগের মডেলের চেয়ে তিন দিন কম ছিল।
কারিগরি দিক থেকে, এআই ইমুলেটর ফাউন্ডেশনাল মডেলের মতো নয়। ফাউন্ডেশনাল মডেল হলো প্রযুক্তির ভিত্তি, যা জেনারেটিভ এআই অ্যাপকে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে এআই ইমুলেটর কিছু ডেটার ওপর ভিত্তি করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। তবে এগুলোর নিজস্ব কোনো অ্যাপ নেই এবং এগুলো আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের ভাষা বুঝতে পারে না।
এআই এমুলেটরকে একটি ডেটা সেটে একটিমাত্র কাজ সম্পাদন করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং এগুলোতে নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এমুলেটরগুলো ফাউন্ডেশনাল মডেল তৈরির অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে এবং নতুন মডেলের মাধ্যমে যেসব সুবিধা মিলবে, তার ইঙ্গিত দেয়।
ফাউন্ডেশনাল মডেল অন্যান্য জলবায়ু অ্যাপের জন্যও নির্ভুল পূর্বাভাস দিতে পারে। পৃথিবীর জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার ধরনকে প্রভাবিত করছে। যত তাড়াতাড়ি একটি বিপর্যয় শনাক্ত করা যায় জীবন ও অর্থ বাঁচানোর সম্ভাবনা তত বেশি হয়।
এখনকার এআই মডেলগুলো তীব্র বা চরম ঘটনাগুলো ধরতে পারে না। এই সমস্যা এআইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ। কারণ, এআই মডেলকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে এগুলো ব্যতিক্রমী বিষয় উপেক্ষা করে। ফলে মডেলগুলো চরম ঘটনাগুলো বুঝতে পারে না। এ জন্য ছোট মডেলগুলোতে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। নাসা ও আইবিএমের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো বড় ফাউন্ডেশনাল মডেলেও এই পদ্ধতি যুক্ত করা।
এআই মডেলের মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের আরেকটি সমস্যা হলো পরিবর্তনশীল জলবায়ুর অতীত দিয়ে ভবিষ্যৎকে অনুমান করা যায় না। বিশেষ করে যখন পৃথিবীর পরিবেশ দিন দিন গরম হচ্ছে। যেমন ২০২৪ সালের একটি ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি ১৯৩৩ সালের চেয়ে বেশি হতে পারে। তাই ঐতিহাসিক ডেটার ওপর ভিত্তি করে এআই মডেলের পূর্বাভাসের মাধ্যমে আবহাওয়াবিদেরা এই ধরনের ঘটনা অনুমান করতে পারবেন না। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন ও নতুন ডেটার সঙ্গে এআই মডেলগুলোও প্রতিনিয়ত আপডেট হতে পারে।
আইবিএম ও নাসার লক্ষ্য হলো, আবহাওয়া ও জলবায়ুর জন্য মাল্টিমোডাল ফাউন্ডেশন মডেল তৈরি করা, যা কমসংখ্যক জিপিইউ ব্যবহার করে কাজ করতে পারবে। আবহাওয়াবিদ ও নাসার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আইবিএমের এআই বিশেষজ্ঞ সাতটি অ্যাপে এআই মডেলটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই করবে। সেই সঙ্গে ১০ থেকে ১৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং ধূলিঝড় ও বিমান চলাচলের উপযুক্ত পরিবেশ নিয়ে কাজ করবে।
মডেলটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে এটি ওপেনসোর্স এআই প্ল্যাটফর্ম ‘হাগিং ফেসে’ পাওয়া যাবে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকেরা আবহাওয়া ও জলবায়ুর মডেলটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইবিএম ও নাসার ফাউন্ডেশন মডেলের উন্নয়নে এটি একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। এর মাধ্যমে পৃথিবীর পরিবর্তনশীল জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পর্কে জরুরি কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নাটকীয় উন্নয়ন হয়েছে। এখনকার ৬ দিনের পূর্বাভাস ১০ বছর আগের ৫ দিনের পূর্বাভাসের মতোই সঠিক। ৪০ বছর আগে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে ঘূর্ণিঝড়ের যে পূর্বাভাস পাওয়া যেত, এখন তিন দিন আগেই আরও নির্ভুল তথ্য জানা যায়। গত কয়েক দশকে আবহাওয়া ও সামুদ্রিক ডেটা প্রসেসিংয়ে কম্পিউটারের দক্ষতা বৃদ্ধির ফলেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই অসাধারণ অগ্রগতি। এরই ধারাবাহিকতায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে প্রায় নবজাগরণ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসা ও প্রযুক্তি কোম্পানি আইবিএম।
কম্পিউটার সিমুলেশনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মডেলগুলো আধুনিক হলেও এসবের কার্যকর প্রয়োগে বেশ সময় ও শক্তির প্রয়োজন হয়। কারণ, পদার্থবিদ্যাভিত্তিক সমীকরণ এবং বাতাস, বায়ুচাপ, তাপমাত্রার মতো আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে এই মডেলগুলোকে কাজ করতে হয়।
এর চেয়ে কম সময় ও শক্তি ব্যয় করে কীভাবে আরও দ্রুত আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায়, তার জন্য আইবিএমের তৈরি এআইভিত্তিক ভূ-স্থানিক ‘ফাউন্ডেশনাল মডেল’ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। নাসার আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত ডেটার ভান্ডার ব্যবহার করে এই মডেলকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য ব্যবহার করা হবে। এক বছর আগে নাসা ও আইবিএম যৌথভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য মডেলটি তৈরির কাজ শুরু করে। ওপেনসোর্স এআই প্ল্যাটফর্ম ‘হাগিং ফেসে’ পাওয়া যাচ্ছে।
এর মধ্যেই এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে। এটি বিজ্ঞানীদের বন্যা ও দাবানলের পরিমাণ অনুমানে সাহায্য করে। কেনিয়ার কৃত্রিম জলাধার ঘিরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পর্যবেক্ষণে মডেলটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো পানি ঘাটতির সমস্যা সমাধান করা এবং কেনিয়ায় বনায়ন বাড়ানো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্তপ্ত দ্বীপগুলোর আবহাওয়া বিশ্লেষণেও এই মডেল ব্যবহার হচ্ছে।
এসব প্রকল্পের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আইবিএম ও নাসা মডেলটিকে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত অ্যাপগুলোতে এই ফাউন্ডেশনাল মডেল ব্যবহার করে আরও দ্রুত ও নির্ভুল তথ্য কীভাবে পাওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে। মডেলটি উন্নত হলে যেসব সক্ষমতা তৈরি হবে, সেগুলোর মধ্যে আছে আবহাওয়াসংক্রান্ত ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের স্বল্প রেজল্যুশনের ডেটা থেকে উচ্চ রেজল্যুশনের ডেটা অনুমান, দাবানলপ্রবণ এলাকা বা পরিস্থিতি শনাক্ত করা এবং ঘূর্ণিঝড়, খরা ও অন্যান্য ঘটনাগুলোর পূর্বাভাস দিতে সহায়তা করা।
ফাউন্ডেশন মডেলগুলো যত জটিলই হোক না কেন, কোড লেখা, অনুবাদ ও যেকোনো টেক্সটের সারাংশ তৈরির জন্য অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠছে। তাই আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাসের জন্যও এই মডেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
পর্যাপ্ত ডেটা পেলে মডেলগুলো জটিল সিস্টেমের অন্তর্নিহিত কাঠামোকে একত্র করতে পারে। এই ডেটা কোড, ভাষা বা পদার্থের অণুসহ বিভিন্ন বিষয়ের হতে পারে। এসব ডেটা নিয়ে ফাউন্ডেশনাল মডেল অনেক কাজ সম্পাদন করতে পারে। মানুষের কাছ থেকে সীমিত নির্দেশনা পেলেও বিভিন্ন বিষয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতার আছে এই মডেলের।
এর মধ্যেই পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নতুন আরেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। গত বছর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নতুন এক পদ্ধতি চালু হয়েছে। সেটা হলো এআই এমুলেটর নামে বেশ কিছু ‘ডিপ লার্নিং মডেল’ ব্যবহার করা শুরু করেছে ইউরোপীয় সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টিং (ইসিএমডাব্লুএফ)। এগুলো আবহাওয়ার ঐতিহাসিক ধরনের ওপর ভিত্তি করে পূর্বাভাস তৈরি করে। পদার্থবিজ্ঞানের জ্ঞান স্পষ্টভাবে এনকোড করা না হলেও এআই এমুলেটর ডেটা থেকে আবহাওয়া অনুমান করতে পারে। এই পদ্ধতিতে কয়েক ঘণ্টার জায়গায় কয়েক মিনিটের মধ্যে ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বের করা যায়।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে গুগল ডিপ মাইন্ড দাবি করেছে, তাদের তৈরি গ্রাফকাস্ট এমুলেটর প্রথাগত মডেলের চেয়ে দ্রুততার সঙ্গে সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে। এটি ১০ দিনের পূর্বাভাস দিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় লি ৯ দিনের মধ্যে নোভা স্কশিয়ায় আঘাত হানবে বলে গত সেপ্টেম্বরে নির্ভুলভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল গ্রাফকাস্ট। এটা আগের মডেলের চেয়ে তিন দিন কম ছিল।
কারিগরি দিক থেকে, এআই ইমুলেটর ফাউন্ডেশনাল মডেলের মতো নয়। ফাউন্ডেশনাল মডেল হলো প্রযুক্তির ভিত্তি, যা জেনারেটিভ এআই অ্যাপকে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে এআই ইমুলেটর কিছু ডেটার ওপর ভিত্তি করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। তবে এগুলোর নিজস্ব কোনো অ্যাপ নেই এবং এগুলো আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের ভাষা বুঝতে পারে না।
এআই এমুলেটরকে একটি ডেটা সেটে একটিমাত্র কাজ সম্পাদন করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং এগুলোতে নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এমুলেটরগুলো ফাউন্ডেশনাল মডেল তৈরির অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে এবং নতুন মডেলের মাধ্যমে যেসব সুবিধা মিলবে, তার ইঙ্গিত দেয়।
ফাউন্ডেশনাল মডেল অন্যান্য জলবায়ু অ্যাপের জন্যও নির্ভুল পূর্বাভাস দিতে পারে। পৃথিবীর জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার ধরনকে প্রভাবিত করছে। যত তাড়াতাড়ি একটি বিপর্যয় শনাক্ত করা যায় জীবন ও অর্থ বাঁচানোর সম্ভাবনা তত বেশি হয়।
এখনকার এআই মডেলগুলো তীব্র বা চরম ঘটনাগুলো ধরতে পারে না। এই সমস্যা এআইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ। কারণ, এআই মডেলকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে এগুলো ব্যতিক্রমী বিষয় উপেক্ষা করে। ফলে মডেলগুলো চরম ঘটনাগুলো বুঝতে পারে না। এ জন্য ছোট মডেলগুলোতে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। নাসা ও আইবিএমের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো বড় ফাউন্ডেশনাল মডেলেও এই পদ্ধতি যুক্ত করা।
এআই মডেলের মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের আরেকটি সমস্যা হলো পরিবর্তনশীল জলবায়ুর অতীত দিয়ে ভবিষ্যৎকে অনুমান করা যায় না। বিশেষ করে যখন পৃথিবীর পরিবেশ দিন দিন গরম হচ্ছে। যেমন ২০২৪ সালের একটি ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি ১৯৩৩ সালের চেয়ে বেশি হতে পারে। তাই ঐতিহাসিক ডেটার ওপর ভিত্তি করে এআই মডেলের পূর্বাভাসের মাধ্যমে আবহাওয়াবিদেরা এই ধরনের ঘটনা অনুমান করতে পারবেন না। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন ও নতুন ডেটার সঙ্গে এআই মডেলগুলোও প্রতিনিয়ত আপডেট হতে পারে।
আইবিএম ও নাসার লক্ষ্য হলো, আবহাওয়া ও জলবায়ুর জন্য মাল্টিমোডাল ফাউন্ডেশন মডেল তৈরি করা, যা কমসংখ্যক জিপিইউ ব্যবহার করে কাজ করতে পারবে। আবহাওয়াবিদ ও নাসার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আইবিএমের এআই বিশেষজ্ঞ সাতটি অ্যাপে এআই মডেলটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই করবে। সেই সঙ্গে ১০ থেকে ১৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং ধূলিঝড় ও বিমান চলাচলের উপযুক্ত পরিবেশ নিয়ে কাজ করবে।
মডেলটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে এটি ওপেনসোর্স এআই প্ল্যাটফর্ম ‘হাগিং ফেসে’ পাওয়া যাবে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকেরা আবহাওয়া ও জলবায়ুর মডেলটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইবিএম ও নাসার ফাউন্ডেশন মডেলের উন্নয়নে এটি একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। এর মাধ্যমে পৃথিবীর পরিবর্তনশীল জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পর্কে জরুরি কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নাটকীয় উন্নয়ন হয়েছে। এখনকার ৬ দিনের পূর্বাভাস ১০ বছর আগের ৫ দিনের পূর্বাভাসের মতোই সঠিক। ৪০ বছর আগে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে ঘূর্ণিঝড়ের যে পূর্বাভাস পাওয়া যেত, এখন তিন দিন আগেই আরও নির্ভুল তথ্য জানা যায়। গত কয়েক দশকে আবহাওয়া ও সামুদ্রিক ডেটা প্রসেসিংয়ে কম্পিউটারের দক্ষতা বৃদ্ধির ফলেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই অসাধারণ অগ্রগতি। এরই ধারাবাহিকতায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে প্রায় নবজাগরণ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসা ও প্রযুক্তি কোম্পানি আইবিএম।
কম্পিউটার সিমুলেশনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মডেলগুলো আধুনিক হলেও এসবের কার্যকর প্রয়োগে বেশ সময় ও শক্তির প্রয়োজন হয়। কারণ, পদার্থবিদ্যাভিত্তিক সমীকরণ এবং বাতাস, বায়ুচাপ, তাপমাত্রার মতো আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে এই মডেলগুলোকে কাজ করতে হয়।
এর চেয়ে কম সময় ও শক্তি ব্যয় করে কীভাবে আরও দ্রুত আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায়, তার জন্য আইবিএমের তৈরি এআইভিত্তিক ভূ-স্থানিক ‘ফাউন্ডেশনাল মডেল’ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। নাসার আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত ডেটার ভান্ডার ব্যবহার করে এই মডেলকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য ব্যবহার করা হবে। এক বছর আগে নাসা ও আইবিএম যৌথভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য মডেলটি তৈরির কাজ শুরু করে। ওপেনসোর্স এআই প্ল্যাটফর্ম ‘হাগিং ফেসে’ পাওয়া যাচ্ছে।
এর মধ্যেই এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে। এটি বিজ্ঞানীদের বন্যা ও দাবানলের পরিমাণ অনুমানে সাহায্য করে। কেনিয়ার কৃত্রিম জলাধার ঘিরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পর্যবেক্ষণে মডেলটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো পানি ঘাটতির সমস্যা সমাধান করা এবং কেনিয়ায় বনায়ন বাড়ানো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্তপ্ত দ্বীপগুলোর আবহাওয়া বিশ্লেষণেও এই মডেল ব্যবহার হচ্ছে।
এসব প্রকল্পের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আইবিএম ও নাসা মডেলটিকে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত অ্যাপগুলোতে এই ফাউন্ডেশনাল মডেল ব্যবহার করে আরও দ্রুত ও নির্ভুল তথ্য কীভাবে পাওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে। মডেলটি উন্নত হলে যেসব সক্ষমতা তৈরি হবে, সেগুলোর মধ্যে আছে আবহাওয়াসংক্রান্ত ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের স্বল্প রেজল্যুশনের ডেটা থেকে উচ্চ রেজল্যুশনের ডেটা অনুমান, দাবানলপ্রবণ এলাকা বা পরিস্থিতি শনাক্ত করা এবং ঘূর্ণিঝড়, খরা ও অন্যান্য ঘটনাগুলোর পূর্বাভাস দিতে সহায়তা করা।
ফাউন্ডেশন মডেলগুলো যত জটিলই হোক না কেন, কোড লেখা, অনুবাদ ও যেকোনো টেক্সটের সারাংশ তৈরির জন্য অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠছে। তাই আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাসের জন্যও এই মডেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
পর্যাপ্ত ডেটা পেলে মডেলগুলো জটিল সিস্টেমের অন্তর্নিহিত কাঠামোকে একত্র করতে পারে। এই ডেটা কোড, ভাষা বা পদার্থের অণুসহ বিভিন্ন বিষয়ের হতে পারে। এসব ডেটা নিয়ে ফাউন্ডেশনাল মডেল অনেক কাজ সম্পাদন করতে পারে। মানুষের কাছ থেকে সীমিত নির্দেশনা পেলেও বিভিন্ন বিষয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতার আছে এই মডেলের।
এর মধ্যেই পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নতুন আরেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। গত বছর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নতুন এক পদ্ধতি চালু হয়েছে। সেটা হলো এআই এমুলেটর নামে বেশ কিছু ‘ডিপ লার্নিং মডেল’ ব্যবহার করা শুরু করেছে ইউরোপীয় সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টিং (ইসিএমডাব্লুএফ)। এগুলো আবহাওয়ার ঐতিহাসিক ধরনের ওপর ভিত্তি করে পূর্বাভাস তৈরি করে। পদার্থবিজ্ঞানের জ্ঞান স্পষ্টভাবে এনকোড করা না হলেও এআই এমুলেটর ডেটা থেকে আবহাওয়া অনুমান করতে পারে। এই পদ্ধতিতে কয়েক ঘণ্টার জায়গায় কয়েক মিনিটের মধ্যে ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বের করা যায়।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে গুগল ডিপ মাইন্ড দাবি করেছে, তাদের তৈরি গ্রাফকাস্ট এমুলেটর প্রথাগত মডেলের চেয়ে দ্রুততার সঙ্গে সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে। এটি ১০ দিনের পূর্বাভাস দিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় লি ৯ দিনের মধ্যে নোভা স্কশিয়ায় আঘাত হানবে বলে গত সেপ্টেম্বরে নির্ভুলভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল গ্রাফকাস্ট। এটা আগের মডেলের চেয়ে তিন দিন কম ছিল।
কারিগরি দিক থেকে, এআই ইমুলেটর ফাউন্ডেশনাল মডেলের মতো নয়। ফাউন্ডেশনাল মডেল হলো প্রযুক্তির ভিত্তি, যা জেনারেটিভ এআই অ্যাপকে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে এআই ইমুলেটর কিছু ডেটার ওপর ভিত্তি করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। তবে এগুলোর নিজস্ব কোনো অ্যাপ নেই এবং এগুলো আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের ভাষা বুঝতে পারে না।
এআই এমুলেটরকে একটি ডেটা সেটে একটিমাত্র কাজ সম্পাদন করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং এগুলোতে নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এমুলেটরগুলো ফাউন্ডেশনাল মডেল তৈরির অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে এবং নতুন মডেলের মাধ্যমে যেসব সুবিধা মিলবে, তার ইঙ্গিত দেয়।
ফাউন্ডেশনাল মডেল অন্যান্য জলবায়ু অ্যাপের জন্যও নির্ভুল পূর্বাভাস দিতে পারে। পৃথিবীর জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার ধরনকে প্রভাবিত করছে। যত তাড়াতাড়ি একটি বিপর্যয় শনাক্ত করা যায় জীবন ও অর্থ বাঁচানোর সম্ভাবনা তত বেশি হয়।
এখনকার এআই মডেলগুলো তীব্র বা চরম ঘটনাগুলো ধরতে পারে না। এই সমস্যা এআইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ। কারণ, এআই মডেলকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে এগুলো ব্যতিক্রমী বিষয় উপেক্ষা করে। ফলে মডেলগুলো চরম ঘটনাগুলো বুঝতে পারে না। এ জন্য ছোট মডেলগুলোতে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। নাসা ও আইবিএমের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো বড় ফাউন্ডেশনাল মডেলেও এই পদ্ধতি যুক্ত করা।
এআই মডেলের মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের আরেকটি সমস্যা হলো পরিবর্তনশীল জলবায়ুর অতীত দিয়ে ভবিষ্যৎকে অনুমান করা যায় না। বিশেষ করে যখন পৃথিবীর পরিবেশ দিন দিন গরম হচ্ছে। যেমন ২০২৪ সালের একটি ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি ১৯৩৩ সালের চেয়ে বেশি হতে পারে। তাই ঐতিহাসিক ডেটার ওপর ভিত্তি করে এআই মডেলের পূর্বাভাসের মাধ্যমে আবহাওয়াবিদেরা এই ধরনের ঘটনা অনুমান করতে পারবেন না। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন ও নতুন ডেটার সঙ্গে এআই মডেলগুলোও প্রতিনিয়ত আপডেট হতে পারে।
আইবিএম ও নাসার লক্ষ্য হলো, আবহাওয়া ও জলবায়ুর জন্য মাল্টিমোডাল ফাউন্ডেশন মডেল তৈরি করা, যা কমসংখ্যক জিপিইউ ব্যবহার করে কাজ করতে পারবে। আবহাওয়াবিদ ও নাসার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আইবিএমের এআই বিশেষজ্ঞ সাতটি অ্যাপে এআই মডেলটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই করবে। সেই সঙ্গে ১০ থেকে ১৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং ধূলিঝড় ও বিমান চলাচলের উপযুক্ত পরিবেশ নিয়ে কাজ করবে।
মডেলটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে এটি ওপেনসোর্স এআই প্ল্যাটফর্ম ‘হাগিং ফেসে’ পাওয়া যাবে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকেরা আবহাওয়া ও জলবায়ুর মডেলটি ব্যবহার করতে পারবেন। আইবিএম ও নাসার ফাউন্ডেশন মডেলের উন্নয়নে এটি একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। এর মাধ্যমে পৃথিবীর পরিবর্তনশীল জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পর্কে জরুরি কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
১ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নাটকীয় উন্নয়ন হয়েছে। এখনকার ৬ দিনের পূর্বাভাস ১০ বছর আগের ৫ দিনের পূর্বাভাসের মতোই সঠিক। ৪০ বছর আগে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে ঘূর্ণিঝড়ের যে পূর্বাভাস পাওয়া যেত, এখন তিন দিন আগেই আরও নির্ভুল তথ্য জানা যায়। গত কয়েক দশকে আবহাওয়া ও সামুদ্রিক ডেটা প্রসেসিংয়ে কম্পি
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
১ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নাটকীয় উন্নয়ন হয়েছে। এখনকার ৬ দিনের পূর্বাভাস ১০ বছর আগের ৫ দিনের পূর্বাভাসের মতোই সঠিক। ৪০ বছর আগে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে ঘূর্ণিঝড়ের যে পূর্বাভাস পাওয়া যেত, এখন তিন দিন আগেই আরও নির্ভুল তথ্য জানা যায়। গত কয়েক দশকে আবহাওয়া ও সামুদ্রিক ডেটা প্রসেসিংয়ে কম্পি
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নাটকীয় উন্নয়ন হয়েছে। এখনকার ৬ দিনের পূর্বাভাস ১০ বছর আগের ৫ দিনের পূর্বাভাসের মতোই সঠিক। ৪০ বছর আগে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে ঘূর্ণিঝড়ের যে পূর্বাভাস পাওয়া যেত, এখন তিন দিন আগেই আরও নির্ভুল তথ্য জানা যায়। গত কয়েক দশকে আবহাওয়া ও সামুদ্রিক ডেটা প্রসেসিংয়ে কম্পি
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে নাটকীয় উন্নয়ন হয়েছে। এখনকার ৬ দিনের পূর্বাভাস ১০ বছর আগের ৫ দিনের পূর্বাভাসের মতোই সঠিক। ৪০ বছর আগে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে ঘূর্ণিঝড়ের যে পূর্বাভাস পাওয়া যেত, এখন তিন দিন আগেই আরও নির্ভুল তথ্য জানা যায়। গত কয়েক দশকে আবহাওয়া ও সামুদ্রিক ডেটা প্রসেসিংয়ে কম্পি
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
১ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে