
মুহাম্মাদ আব্বাসের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে তাঁর জন্মভূমি পাকিস্তানের বিপক্ষে—ওয়ানডে অভিষেকে মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করে গড়েছেন দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। বর্তমানে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে এসেছেন বাংলাদেশ সফরে। সিলেটে অনুশীলনের ফাঁকে কাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিনদেশের হয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার গল্প শোনালেন আব্বাস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ, সিলেট থেকে

প্রশ্ন: এই প্রথম বাংলাদেশে এলেন, কেমন লাগছে?
মুহাম্মাদ আব্বাস: হ্যাঁ, দারুণ লাগছে। অবশ্য আবহাওয়া বেশ গরম, শুরুতে একটু কষ্ট হচ্ছিল। প্রস্তুতিতে প্রচুর পানি পান করতে হচ্ছে। তবে এখন অনেকটা মানিয়ে নিয়েছি। এটা ক্রিকেট খেলতে একেবারে ভিন্ন ধাঁচের জায়গা, আর এমন একটা সুযোগ পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার।
প্রশ্ন: আপনি পাকিস্তানে জন্মেছেন, বড় হয়েছেন নিউজিল্যান্ডে। এই দুই দেশের সংস্কৃতি আপনার ক্রিকেট-যাত্রায় কীভাবে প্রভাব ফেলেছে?
আব্বাস: অবশ্যই দুই সংস্কৃতিই আমাকে অনেকভাবে গড়ে তুলেছে। পাকিস্তানি পটভূমি নিয়ে আমি গর্বিত; আর নিউজিল্যান্ডের সহায়তা ছাড়া আমি কোথায় থাকতাম, জানি না। তাদের সহযোগিতা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
প্রশ্ন: ভিন্ন পটভূমি থেকে এসে একজন অভিবাসী হিসেবে নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়তে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল?
আব্বাস: নিউজিল্যান্ড খুব গ্রহণযোগ্য একটি দেশ। আমি তেমন কোনো বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হইনি। এখানে সবাইকে সমানভাবে দেখা হয়। আমি যেসব সুযোগ পেয়েছি, যেকোনো কিউই ক্রিকেটারও তা-ই পেত। নিজেকে একজন গর্বিত নিউজিল্যান্ডার বলতে পারি।
প্রশ্ন: যখন জানতে পারলেন যে আপনার নাম ব্ল্যাক ক্যাপস স্কোয়াডে আছে, বিশেষ করে সেটা পাকিস্তানের বিপক্ষে, কেমন অনুভব করেছিলেন?
আব্বাস: পুরোপুরি চমকে গিয়েছিলাম। একেবারেই আশা করিনি। হঠাৎ গ্যারি স্টেডের (প্রধান কোচ) ফোন আসে, তখনই জানতে পারি। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলাটা তো আরও বেশি বিশেষ হয়ে উঠেছিল। মাঠে নামার আগপর্যন্ত বিষয়টা পুরোপুরি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। যখন জাতীয় সংগীত বাজানো হলো, আমার রোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। গ্যালারিতে আবার পরিবার ছিল। আমার সৌভাগ্য যে অভিষেকটা নিউজিল্যান্ডেই হয়েছে, পরিবার সেটা সরাসরি দেখতে পেরেছে, এটা ওদের জন্যও দারুণ অভিজ্ঞতা। ব্যাপারটি গর্বের ছিল। এটা খুব অদ্ভুত একটা অনুভব ছিল। ছোটবেলায় টিভিতে পাকিস্তানের সংগীত দেখেছি ও গেয়েছি। তবে এখন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংগীতই আমার পরিচয়, যেটার সঙ্গে আমি বড় হয়েছি। এই অনুভবটাও অসাধারণ।
প্রশ্ন: অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে ২৪ বলে ফিফটি করে রেকর্ড গড়ার মুহূর্তটা কেমন ছিল?
আব্বাস: সম্ভবত ছয়ে নেমেছিলাম। চেষ্টা করছিলাম দলের প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত রান তুলতে। যখন বুঝলাম ২৪ বলে ফিফটি হয়ে গেছে, তখন শুরুতে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে আমি নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফেলেছি। ওই মুহূর্তটা খুব আবেগঘন ছিল। খেলার পর ড্রেসিংরুমে ফিরেই দেখি ফোন একেবারে ঝড়ের মতো বাজছে, হাজার হাজার নোটিফিকেশন! নিউজিল্যান্ড ছাড়াও আমার আত্মীয়স্বজন ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছে। এটা শুধু আমার না, আমার পরিবারের জন্যও অনেক গর্বের একটা দিন ছিল।
ছোটবেলায় টিভিতে পাকিস্তানের সংগীত দেখেছি ও গেয়েছি। তবে এখন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংগীতই আমার পরিচয়, যেটার সঙ্গে আমি বড় হয়েছি।
প্রশ্ন: কোন আন্তর্জাতিক অলরাউন্ডারকে আদর্শ মনে করেন?
আব্বাস: এটা কঠিন প্রশ্ন। অনেক ভালো অলরাউন্ডার আছে। (হেসে) আমি একটু বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলাম গরমের কারণে। তবে বেন স্টোকসের কথা বলতেই হয়। ব্যক্তিগতভাবে ট্রেন্ট বোল্ট, কেন উইলিয়ামসনের মতো কিংবদন্তিদের দেখে বড় হয়েছি।
প্রশ্ন: উপমহাদেশের উইকেট নিয়ে তথ্য দিতে বাবা কীভাবে সহায়তা করেন?
আব্বাস: বাবা পাকিস্তানে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন, কেমন কন্ডিশন হতে পারে, কীভাবে সামলাতে হবে। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা হয় না। বাংলাদেশ দল যেভাবে এখানে খেলেছে, সেটা দেখে শেখার অনেক কিছু পেয়েছি। চেষ্টা করব আরও যেহেতু সময় আছে, এখানে আরও ভালো ক্রিকেট খেলার।
প্রশ্ন: আপনি বাঁহাতি পেসার। ওয়াসিম আকরাম, আমির, শাহিন আফ্রিদির দেখে কি অনুপ্রাণিত হয়েছেন?
আব্বাস: ওদের সবাইকে ভালো লাগে। ওয়াসিম আকরামকে ছোটবেলা থেকেই দেখেছি। তবে ট্রেন্ট বোল্ট আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তিনি নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার, কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি।
প্রশ্ন: বাবার স্বপ্ন তো পূরণ করেছেন। নিজের আর কী স্বপ্ন রয়েছে?
আব্বাস: এটা খুবই ব্যক্তিগত আর আবেগের বিষয়। বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারা খুব স্পেশাল। এখন আমি নিজেকে আরও প্রমাণ করতে চাই। যত সুযোগ পাব, সবটুকু নিবেদিত থেকে খেলব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ বিপিএলে যদি সুযোগ আসে, তবে খেলবেন?
আব্বাস: অবশ্যই। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলাটা সব সময়ই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। এখন পর্যন্ত আমি কোথাও খেলার সুযোগ পাইনি, তবে ভবিষ্যতে যদি এমন কিছু আসে, তাহলে সেটা অবশ্যই গ্রহণ করব। যদিও বিপিএল সম্পর্কে আমার ধারণা বেশি নেই। আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটার জেমি নিশাম এখানে আগে খেলেছেন। যদি কখনো সুযোগ পাই, নিঃসন্দেহে সেটা হবে আমার জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা।
প্রশ্ন: এই প্রথম বাংলাদেশে এলেন, কেমন লাগছে?
মুহাম্মাদ আব্বাস: হ্যাঁ, দারুণ লাগছে। অবশ্য আবহাওয়া বেশ গরম, শুরুতে একটু কষ্ট হচ্ছিল। প্রস্তুতিতে প্রচুর পানি পান করতে হচ্ছে। তবে এখন অনেকটা মানিয়ে নিয়েছি। এটা ক্রিকেট খেলতে একেবারে ভিন্ন ধাঁচের জায়গা, আর এমন একটা সুযোগ পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার।
প্রশ্ন: আপনি পাকিস্তানে জন্মেছেন, বড় হয়েছেন নিউজিল্যান্ডে। এই দুই দেশের সংস্কৃতি আপনার ক্রিকেট-যাত্রায় কীভাবে প্রভাব ফেলেছে?
আব্বাস: অবশ্যই দুই সংস্কৃতিই আমাকে অনেকভাবে গড়ে তুলেছে। পাকিস্তানি পটভূমি নিয়ে আমি গর্বিত; আর নিউজিল্যান্ডের সহায়তা ছাড়া আমি কোথায় থাকতাম, জানি না। তাদের সহযোগিতা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
প্রশ্ন: ভিন্ন পটভূমি থেকে এসে একজন অভিবাসী হিসেবে নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়তে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল?
আব্বাস: নিউজিল্যান্ড খুব গ্রহণযোগ্য একটি দেশ। আমি তেমন কোনো বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হইনি। এখানে সবাইকে সমানভাবে দেখা হয়। আমি যেসব সুযোগ পেয়েছি, যেকোনো কিউই ক্রিকেটারও তা-ই পেত। নিজেকে একজন গর্বিত নিউজিল্যান্ডার বলতে পারি।
প্রশ্ন: যখন জানতে পারলেন যে আপনার নাম ব্ল্যাক ক্যাপস স্কোয়াডে আছে, বিশেষ করে সেটা পাকিস্তানের বিপক্ষে, কেমন অনুভব করেছিলেন?
আব্বাস: পুরোপুরি চমকে গিয়েছিলাম। একেবারেই আশা করিনি। হঠাৎ গ্যারি স্টেডের (প্রধান কোচ) ফোন আসে, তখনই জানতে পারি। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলাটা তো আরও বেশি বিশেষ হয়ে উঠেছিল। মাঠে নামার আগপর্যন্ত বিষয়টা পুরোপুরি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। যখন জাতীয় সংগীত বাজানো হলো, আমার রোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। গ্যালারিতে আবার পরিবার ছিল। আমার সৌভাগ্য যে অভিষেকটা নিউজিল্যান্ডেই হয়েছে, পরিবার সেটা সরাসরি দেখতে পেরেছে, এটা ওদের জন্যও দারুণ অভিজ্ঞতা। ব্যাপারটি গর্বের ছিল। এটা খুব অদ্ভুত একটা অনুভব ছিল। ছোটবেলায় টিভিতে পাকিস্তানের সংগীত দেখেছি ও গেয়েছি। তবে এখন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংগীতই আমার পরিচয়, যেটার সঙ্গে আমি বড় হয়েছি। এই অনুভবটাও অসাধারণ।
প্রশ্ন: অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে ২৪ বলে ফিফটি করে রেকর্ড গড়ার মুহূর্তটা কেমন ছিল?
আব্বাস: সম্ভবত ছয়ে নেমেছিলাম। চেষ্টা করছিলাম দলের প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত রান তুলতে। যখন বুঝলাম ২৪ বলে ফিফটি হয়ে গেছে, তখন শুরুতে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে আমি নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফেলেছি। ওই মুহূর্তটা খুব আবেগঘন ছিল। খেলার পর ড্রেসিংরুমে ফিরেই দেখি ফোন একেবারে ঝড়ের মতো বাজছে, হাজার হাজার নোটিফিকেশন! নিউজিল্যান্ড ছাড়াও আমার আত্মীয়স্বজন ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছে। এটা শুধু আমার না, আমার পরিবারের জন্যও অনেক গর্বের একটা দিন ছিল।
ছোটবেলায় টিভিতে পাকিস্তানের সংগীত দেখেছি ও গেয়েছি। তবে এখন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংগীতই আমার পরিচয়, যেটার সঙ্গে আমি বড় হয়েছি।
প্রশ্ন: কোন আন্তর্জাতিক অলরাউন্ডারকে আদর্শ মনে করেন?
আব্বাস: এটা কঠিন প্রশ্ন। অনেক ভালো অলরাউন্ডার আছে। (হেসে) আমি একটু বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলাম গরমের কারণে। তবে বেন স্টোকসের কথা বলতেই হয়। ব্যক্তিগতভাবে ট্রেন্ট বোল্ট, কেন উইলিয়ামসনের মতো কিংবদন্তিদের দেখে বড় হয়েছি।
প্রশ্ন: উপমহাদেশের উইকেট নিয়ে তথ্য দিতে বাবা কীভাবে সহায়তা করেন?
আব্বাস: বাবা পাকিস্তানে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন, কেমন কন্ডিশন হতে পারে, কীভাবে সামলাতে হবে। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা হয় না। বাংলাদেশ দল যেভাবে এখানে খেলেছে, সেটা দেখে শেখার অনেক কিছু পেয়েছি। চেষ্টা করব আরও যেহেতু সময় আছে, এখানে আরও ভালো ক্রিকেট খেলার।
প্রশ্ন: আপনি বাঁহাতি পেসার। ওয়াসিম আকরাম, আমির, শাহিন আফ্রিদির দেখে কি অনুপ্রাণিত হয়েছেন?
আব্বাস: ওদের সবাইকে ভালো লাগে। ওয়াসিম আকরামকে ছোটবেলা থেকেই দেখেছি। তবে ট্রেন্ট বোল্ট আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তিনি নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার, কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি।
প্রশ্ন: বাবার স্বপ্ন তো পূরণ করেছেন। নিজের আর কী স্বপ্ন রয়েছে?
আব্বাস: এটা খুবই ব্যক্তিগত আর আবেগের বিষয়। বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারা খুব স্পেশাল। এখন আমি নিজেকে আরও প্রমাণ করতে চাই। যত সুযোগ পাব, সবটুকু নিবেদিত থেকে খেলব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ বিপিএলে যদি সুযোগ আসে, তবে খেলবেন?
আব্বাস: অবশ্যই। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলাটা সব সময়ই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। এখন পর্যন্ত আমি কোথাও খেলার সুযোগ পাইনি, তবে ভবিষ্যতে যদি এমন কিছু আসে, তাহলে সেটা অবশ্যই গ্রহণ করব। যদিও বিপিএল সম্পর্কে আমার ধারণা বেশি নেই। আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটার জেমি নিশাম এখানে আগে খেলেছেন। যদি কখনো সুযোগ পাই, নিঃসন্দেহে সেটা হবে আমার জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা।

মুহাম্মাদ আব্বাসের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে তাঁর জন্মভূমি পাকিস্তানের বিপক্ষে—ওয়ানডে অভিষেকে মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করে গড়েছেন দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। বর্তমানে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে এসেছেন বাংলাদেশ সফরে। সিলেটে অনুশীলনের ফাঁকে কাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিনদেশের হয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার গল্প শোনালেন আব্বাস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ, সিলেট থেকে

প্রশ্ন: এই প্রথম বাংলাদেশে এলেন, কেমন লাগছে?
মুহাম্মাদ আব্বাস: হ্যাঁ, দারুণ লাগছে। অবশ্য আবহাওয়া বেশ গরম, শুরুতে একটু কষ্ট হচ্ছিল। প্রস্তুতিতে প্রচুর পানি পান করতে হচ্ছে। তবে এখন অনেকটা মানিয়ে নিয়েছি। এটা ক্রিকেট খেলতে একেবারে ভিন্ন ধাঁচের জায়গা, আর এমন একটা সুযোগ পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার।
প্রশ্ন: আপনি পাকিস্তানে জন্মেছেন, বড় হয়েছেন নিউজিল্যান্ডে। এই দুই দেশের সংস্কৃতি আপনার ক্রিকেট-যাত্রায় কীভাবে প্রভাব ফেলেছে?
আব্বাস: অবশ্যই দুই সংস্কৃতিই আমাকে অনেকভাবে গড়ে তুলেছে। পাকিস্তানি পটভূমি নিয়ে আমি গর্বিত; আর নিউজিল্যান্ডের সহায়তা ছাড়া আমি কোথায় থাকতাম, জানি না। তাদের সহযোগিতা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
প্রশ্ন: ভিন্ন পটভূমি থেকে এসে একজন অভিবাসী হিসেবে নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়তে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল?
আব্বাস: নিউজিল্যান্ড খুব গ্রহণযোগ্য একটি দেশ। আমি তেমন কোনো বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হইনি। এখানে সবাইকে সমানভাবে দেখা হয়। আমি যেসব সুযোগ পেয়েছি, যেকোনো কিউই ক্রিকেটারও তা-ই পেত। নিজেকে একজন গর্বিত নিউজিল্যান্ডার বলতে পারি।
প্রশ্ন: যখন জানতে পারলেন যে আপনার নাম ব্ল্যাক ক্যাপস স্কোয়াডে আছে, বিশেষ করে সেটা পাকিস্তানের বিপক্ষে, কেমন অনুভব করেছিলেন?
আব্বাস: পুরোপুরি চমকে গিয়েছিলাম। একেবারেই আশা করিনি। হঠাৎ গ্যারি স্টেডের (প্রধান কোচ) ফোন আসে, তখনই জানতে পারি। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলাটা তো আরও বেশি বিশেষ হয়ে উঠেছিল। মাঠে নামার আগপর্যন্ত বিষয়টা পুরোপুরি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। যখন জাতীয় সংগীত বাজানো হলো, আমার রোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। গ্যালারিতে আবার পরিবার ছিল। আমার সৌভাগ্য যে অভিষেকটা নিউজিল্যান্ডেই হয়েছে, পরিবার সেটা সরাসরি দেখতে পেরেছে, এটা ওদের জন্যও দারুণ অভিজ্ঞতা। ব্যাপারটি গর্বের ছিল। এটা খুব অদ্ভুত একটা অনুভব ছিল। ছোটবেলায় টিভিতে পাকিস্তানের সংগীত দেখেছি ও গেয়েছি। তবে এখন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংগীতই আমার পরিচয়, যেটার সঙ্গে আমি বড় হয়েছি। এই অনুভবটাও অসাধারণ।
প্রশ্ন: অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে ২৪ বলে ফিফটি করে রেকর্ড গড়ার মুহূর্তটা কেমন ছিল?
আব্বাস: সম্ভবত ছয়ে নেমেছিলাম। চেষ্টা করছিলাম দলের প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত রান তুলতে। যখন বুঝলাম ২৪ বলে ফিফটি হয়ে গেছে, তখন শুরুতে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে আমি নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফেলেছি। ওই মুহূর্তটা খুব আবেগঘন ছিল। খেলার পর ড্রেসিংরুমে ফিরেই দেখি ফোন একেবারে ঝড়ের মতো বাজছে, হাজার হাজার নোটিফিকেশন! নিউজিল্যান্ড ছাড়াও আমার আত্মীয়স্বজন ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছে। এটা শুধু আমার না, আমার পরিবারের জন্যও অনেক গর্বের একটা দিন ছিল।
ছোটবেলায় টিভিতে পাকিস্তানের সংগীত দেখেছি ও গেয়েছি। তবে এখন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংগীতই আমার পরিচয়, যেটার সঙ্গে আমি বড় হয়েছি।
প্রশ্ন: কোন আন্তর্জাতিক অলরাউন্ডারকে আদর্শ মনে করেন?
আব্বাস: এটা কঠিন প্রশ্ন। অনেক ভালো অলরাউন্ডার আছে। (হেসে) আমি একটু বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলাম গরমের কারণে। তবে বেন স্টোকসের কথা বলতেই হয়। ব্যক্তিগতভাবে ট্রেন্ট বোল্ট, কেন উইলিয়ামসনের মতো কিংবদন্তিদের দেখে বড় হয়েছি।
প্রশ্ন: উপমহাদেশের উইকেট নিয়ে তথ্য দিতে বাবা কীভাবে সহায়তা করেন?
আব্বাস: বাবা পাকিস্তানে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন, কেমন কন্ডিশন হতে পারে, কীভাবে সামলাতে হবে। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা হয় না। বাংলাদেশ দল যেভাবে এখানে খেলেছে, সেটা দেখে শেখার অনেক কিছু পেয়েছি। চেষ্টা করব আরও যেহেতু সময় আছে, এখানে আরও ভালো ক্রিকেট খেলার।
প্রশ্ন: আপনি বাঁহাতি পেসার। ওয়াসিম আকরাম, আমির, শাহিন আফ্রিদির দেখে কি অনুপ্রাণিত হয়েছেন?
আব্বাস: ওদের সবাইকে ভালো লাগে। ওয়াসিম আকরামকে ছোটবেলা থেকেই দেখেছি। তবে ট্রেন্ট বোল্ট আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তিনি নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার, কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি।
প্রশ্ন: বাবার স্বপ্ন তো পূরণ করেছেন। নিজের আর কী স্বপ্ন রয়েছে?
আব্বাস: এটা খুবই ব্যক্তিগত আর আবেগের বিষয়। বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারা খুব স্পেশাল। এখন আমি নিজেকে আরও প্রমাণ করতে চাই। যত সুযোগ পাব, সবটুকু নিবেদিত থেকে খেলব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ বিপিএলে যদি সুযোগ আসে, তবে খেলবেন?
আব্বাস: অবশ্যই। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলাটা সব সময়ই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। এখন পর্যন্ত আমি কোথাও খেলার সুযোগ পাইনি, তবে ভবিষ্যতে যদি এমন কিছু আসে, তাহলে সেটা অবশ্যই গ্রহণ করব। যদিও বিপিএল সম্পর্কে আমার ধারণা বেশি নেই। আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটার জেমি নিশাম এখানে আগে খেলেছেন। যদি কখনো সুযোগ পাই, নিঃসন্দেহে সেটা হবে আমার জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা।
প্রশ্ন: এই প্রথম বাংলাদেশে এলেন, কেমন লাগছে?
মুহাম্মাদ আব্বাস: হ্যাঁ, দারুণ লাগছে। অবশ্য আবহাওয়া বেশ গরম, শুরুতে একটু কষ্ট হচ্ছিল। প্রস্তুতিতে প্রচুর পানি পান করতে হচ্ছে। তবে এখন অনেকটা মানিয়ে নিয়েছি। এটা ক্রিকেট খেলতে একেবারে ভিন্ন ধাঁচের জায়গা, আর এমন একটা সুযোগ পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার।
প্রশ্ন: আপনি পাকিস্তানে জন্মেছেন, বড় হয়েছেন নিউজিল্যান্ডে। এই দুই দেশের সংস্কৃতি আপনার ক্রিকেট-যাত্রায় কীভাবে প্রভাব ফেলেছে?
আব্বাস: অবশ্যই দুই সংস্কৃতিই আমাকে অনেকভাবে গড়ে তুলেছে। পাকিস্তানি পটভূমি নিয়ে আমি গর্বিত; আর নিউজিল্যান্ডের সহায়তা ছাড়া আমি কোথায় থাকতাম, জানি না। তাদের সহযোগিতা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
প্রশ্ন: ভিন্ন পটভূমি থেকে এসে একজন অভিবাসী হিসেবে নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়তে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল?
আব্বাস: নিউজিল্যান্ড খুব গ্রহণযোগ্য একটি দেশ। আমি তেমন কোনো বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হইনি। এখানে সবাইকে সমানভাবে দেখা হয়। আমি যেসব সুযোগ পেয়েছি, যেকোনো কিউই ক্রিকেটারও তা-ই পেত। নিজেকে একজন গর্বিত নিউজিল্যান্ডার বলতে পারি।
প্রশ্ন: যখন জানতে পারলেন যে আপনার নাম ব্ল্যাক ক্যাপস স্কোয়াডে আছে, বিশেষ করে সেটা পাকিস্তানের বিপক্ষে, কেমন অনুভব করেছিলেন?
আব্বাস: পুরোপুরি চমকে গিয়েছিলাম। একেবারেই আশা করিনি। হঠাৎ গ্যারি স্টেডের (প্রধান কোচ) ফোন আসে, তখনই জানতে পারি। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলাটা তো আরও বেশি বিশেষ হয়ে উঠেছিল। মাঠে নামার আগপর্যন্ত বিষয়টা পুরোপুরি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। যখন জাতীয় সংগীত বাজানো হলো, আমার রোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। গ্যালারিতে আবার পরিবার ছিল। আমার সৌভাগ্য যে অভিষেকটা নিউজিল্যান্ডেই হয়েছে, পরিবার সেটা সরাসরি দেখতে পেরেছে, এটা ওদের জন্যও দারুণ অভিজ্ঞতা। ব্যাপারটি গর্বের ছিল। এটা খুব অদ্ভুত একটা অনুভব ছিল। ছোটবেলায় টিভিতে পাকিস্তানের সংগীত দেখেছি ও গেয়েছি। তবে এখন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংগীতই আমার পরিচয়, যেটার সঙ্গে আমি বড় হয়েছি। এই অনুভবটাও অসাধারণ।
প্রশ্ন: অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে ২৪ বলে ফিফটি করে রেকর্ড গড়ার মুহূর্তটা কেমন ছিল?
আব্বাস: সম্ভবত ছয়ে নেমেছিলাম। চেষ্টা করছিলাম দলের প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত রান তুলতে। যখন বুঝলাম ২৪ বলে ফিফটি হয়ে গেছে, তখন শুরুতে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে আমি নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফেলেছি। ওই মুহূর্তটা খুব আবেগঘন ছিল। খেলার পর ড্রেসিংরুমে ফিরেই দেখি ফোন একেবারে ঝড়ের মতো বাজছে, হাজার হাজার নোটিফিকেশন! নিউজিল্যান্ড ছাড়াও আমার আত্মীয়স্বজন ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছে। এটা শুধু আমার না, আমার পরিবারের জন্যও অনেক গর্বের একটা দিন ছিল।
ছোটবেলায় টিভিতে পাকিস্তানের সংগীত দেখেছি ও গেয়েছি। তবে এখন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংগীতই আমার পরিচয়, যেটার সঙ্গে আমি বড় হয়েছি।
প্রশ্ন: কোন আন্তর্জাতিক অলরাউন্ডারকে আদর্শ মনে করেন?
আব্বাস: এটা কঠিন প্রশ্ন। অনেক ভালো অলরাউন্ডার আছে। (হেসে) আমি একটু বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলাম গরমের কারণে। তবে বেন স্টোকসের কথা বলতেই হয়। ব্যক্তিগতভাবে ট্রেন্ট বোল্ট, কেন উইলিয়ামসনের মতো কিংবদন্তিদের দেখে বড় হয়েছি।
প্রশ্ন: উপমহাদেশের উইকেট নিয়ে তথ্য দিতে বাবা কীভাবে সহায়তা করেন?
আব্বাস: বাবা পাকিস্তানে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন, কেমন কন্ডিশন হতে পারে, কীভাবে সামলাতে হবে। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা হয় না। বাংলাদেশ দল যেভাবে এখানে খেলেছে, সেটা দেখে শেখার অনেক কিছু পেয়েছি। চেষ্টা করব আরও যেহেতু সময় আছে, এখানে আরও ভালো ক্রিকেট খেলার।
প্রশ্ন: আপনি বাঁহাতি পেসার। ওয়াসিম আকরাম, আমির, শাহিন আফ্রিদির দেখে কি অনুপ্রাণিত হয়েছেন?
আব্বাস: ওদের সবাইকে ভালো লাগে। ওয়াসিম আকরামকে ছোটবেলা থেকেই দেখেছি। তবে ট্রেন্ট বোল্ট আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তিনি নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার, কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি।
প্রশ্ন: বাবার স্বপ্ন তো পূরণ করেছেন। নিজের আর কী স্বপ্ন রয়েছে?
আব্বাস: এটা খুবই ব্যক্তিগত আর আবেগের বিষয়। বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারা খুব স্পেশাল। এখন আমি নিজেকে আরও প্রমাণ করতে চাই। যত সুযোগ পাব, সবটুকু নিবেদিত থেকে খেলব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ বিপিএলে যদি সুযোগ আসে, তবে খেলবেন?
আব্বাস: অবশ্যই। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলাটা সব সময়ই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। এখন পর্যন্ত আমি কোথাও খেলার সুযোগ পাইনি, তবে ভবিষ্যতে যদি এমন কিছু আসে, তাহলে সেটা অবশ্যই গ্রহণ করব। যদিও বিপিএল সম্পর্কে আমার ধারণা বেশি নেই। আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটার জেমি নিশাম এখানে আগে খেলেছেন। যদি কখনো সুযোগ পাই, নিঃসন্দেহে সেটা হবে আমার জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা।

যত দোষ, নন্দ ঘোষ—ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের হয়তো এই প্রবাদ জানা নেই। না জানলেও ভারতের প্রধান কোচের ‘হটসিটে’ বসার উত্তাপটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন গম্ভীর। কোনো সিরিজে ভারতের ভরাডুবি হলে তাঁর ওপর রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। গম্ভীরের মতে, ক্রিকেট যাঁরা বোঝেন না, তাঁদের এ ব্যাপারে ‘নাক গলানো’ মোটে
৮ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকটা মনে রাখার মতো হলো না সাকিব আল হাসানের। ব্যাটিংয়ে নেমে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন। বোলিংয়ে মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার মাঠ ছেড়েছেন খুশি মনেই।
৯ ঘণ্টা আগে
অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল। চাইলে সহজেই সেটাকে কাভার, পয়েন্ট এলাকা দিয়ে উড়িয়ে মারবেন যেকোনো ক্রিকেটার। কিন্তু জাকের আলী অনিক বেশির ভাগ সময় সেটা না করে লেগে মারতে যান। এমনটা করতে গিয়ে নিজের উইকেটটাও বিলিয়ে দিয়ে আসছেন বারবার।
৯ ঘণ্টা আগে
পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে স্মৃতি মান্ধানার বিয়ে হচ্ছে কি হচ্ছে না, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছিল গত কদিন ধরেই। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মান্ধানা। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ভারতীয় নারী ক্রিকেটার জানালেন, তাঁর বিয়ে বাতিল করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

যত দোষ, নন্দ ঘোষ—ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের হয়তো এই প্রবাদ জানা নেই। না জানলেও ভারতের প্রধান কোচের ‘হটসিটে’ বসার উত্তাপটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন গম্ভীর। কোনো সিরিজে ভারতের ভরাডুবি হলে তাঁর ওপর রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। গম্ভীরের মতে, ক্রিকেট যাঁরা বোঝেন না, তাঁদের এ ব্যাপারে ‘নাক গলানো’ মোটেও সমীচীন নয়।
গম্ভীর গত বছরের জুলাইয়ে প্রধান কোচ হওয়ার পর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলছে ভারত। দুবাইয়ে এ বছরের মার্চে জিতেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেই দুবাইয়েই সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। কিন্তু তাঁর অধীনে দলটি আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারছে না। তাতেই লাল বল ও সাদা বলে ভারতের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ দেওয়ার কথা তুলেছিলেন আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের সহস্বত্বাধিকারী পার্থ জিন্দাল।
নাম উল্লেখ না করলেও গম্ভীর তাঁকে (পার্থ) খোঁচা মেরেছেন। বিশাখাপত্তনমে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে শেষে ভারতীয় কোচ বলেছেন, ‘আইপিএলের এক স্বত্বাধিকারী কোচিং প্যানেল ভাগ করার ব্যাপারে লিখেছেন। খুবই অবাক করার মতো বিষয় এটা। প্রত্যেকের উচিত নিজের সীমার মধ্যে থাকা। কারণ, যদি আমরা কারও সিস্টেমে মাথা না ঘামাই, তাদেরও আমাদের ব্যাপারে মাথা ঘামানো উচিত না। ক্রিকেটের বাইরে থাকা কেউ তো বুঝবেন না একটা দল তৈরি করতে কতটা কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। কতটা আত্মনিবেদন দরকার, সেটা অনেকে বোঝেন না। দলের ব্যাপারে কারও পরামর্শের প্রয়োজন নেই।’
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছে ভারত। কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০ রানে হারে ভারত। গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় টেস্টে ৪০৮ রানে হেরে রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জাজনক রেকর্ডে নাম উঠে যায় ভারতের। ভরাডুবির পর জিন্দাল লিখেছিলেন, ‘ধারেকাছেও তো যেতে পারেনি। ঘরের মাঠে বাজেভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। আমাদের দল ঘরের মাঠে এত বাজে অবস্থায় কবে ছিল, মনে করতে পারছি না। এটা তখনই হবে, যখন লাল বলের জন্য বিশেষজ্ঞ কাউকে নেওয়া হবে না। টেস্টের জন্য বিশেষজ্ঞ লাল বলের কোচ নিয়োগ দেওয়া দরকার।’
ভারত গম্ভীরের অধীনে ১৯ টেস্ট খেলে জিতেছে কেবল ৭ ম্যাচ। হেরেছে ১০ ম্যাচ। দুই ম্যাচ ড্র হয়েছে। কিন্তু ২০২৩-২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হাতের নাগালে থাকা সত্ত্বেও ভারত তা খেলতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই, অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩-১ ব্যবধানে হার, প্রোটিয়াদের কাছে ধবলধোলাই—এই তিন সিরিজে ভরাডুবি হয়েছে গম্ভীরের সময়েই। টেস্টে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ভারত।

যত দোষ, নন্দ ঘোষ—ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের হয়তো এই প্রবাদ জানা নেই। না জানলেও ভারতের প্রধান কোচের ‘হটসিটে’ বসার উত্তাপটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন গম্ভীর। কোনো সিরিজে ভারতের ভরাডুবি হলে তাঁর ওপর রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। গম্ভীরের মতে, ক্রিকেট যাঁরা বোঝেন না, তাঁদের এ ব্যাপারে ‘নাক গলানো’ মোটেও সমীচীন নয়।
গম্ভীর গত বছরের জুলাইয়ে প্রধান কোচ হওয়ার পর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলছে ভারত। দুবাইয়ে এ বছরের মার্চে জিতেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেই দুবাইয়েই সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। কিন্তু তাঁর অধীনে দলটি আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারছে না। তাতেই লাল বল ও সাদা বলে ভারতের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ দেওয়ার কথা তুলেছিলেন আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের সহস্বত্বাধিকারী পার্থ জিন্দাল।
নাম উল্লেখ না করলেও গম্ভীর তাঁকে (পার্থ) খোঁচা মেরেছেন। বিশাখাপত্তনমে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে শেষে ভারতীয় কোচ বলেছেন, ‘আইপিএলের এক স্বত্বাধিকারী কোচিং প্যানেল ভাগ করার ব্যাপারে লিখেছেন। খুবই অবাক করার মতো বিষয় এটা। প্রত্যেকের উচিত নিজের সীমার মধ্যে থাকা। কারণ, যদি আমরা কারও সিস্টেমে মাথা না ঘামাই, তাদেরও আমাদের ব্যাপারে মাথা ঘামানো উচিত না। ক্রিকেটের বাইরে থাকা কেউ তো বুঝবেন না একটা দল তৈরি করতে কতটা কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। কতটা আত্মনিবেদন দরকার, সেটা অনেকে বোঝেন না। দলের ব্যাপারে কারও পরামর্শের প্রয়োজন নেই।’
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছে ভারত। কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০ রানে হারে ভারত। গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় টেস্টে ৪০৮ রানে হেরে রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জাজনক রেকর্ডে নাম উঠে যায় ভারতের। ভরাডুবির পর জিন্দাল লিখেছিলেন, ‘ধারেকাছেও তো যেতে পারেনি। ঘরের মাঠে বাজেভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। আমাদের দল ঘরের মাঠে এত বাজে অবস্থায় কবে ছিল, মনে করতে পারছি না। এটা তখনই হবে, যখন লাল বলের জন্য বিশেষজ্ঞ কাউকে নেওয়া হবে না। টেস্টের জন্য বিশেষজ্ঞ লাল বলের কোচ নিয়োগ দেওয়া দরকার।’
ভারত গম্ভীরের অধীনে ১৯ টেস্ট খেলে জিতেছে কেবল ৭ ম্যাচ। হেরেছে ১০ ম্যাচ। দুই ম্যাচ ড্র হয়েছে। কিন্তু ২০২৩-২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হাতের নাগালে থাকা সত্ত্বেও ভারত তা খেলতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই, অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩-১ ব্যবধানে হার, প্রোটিয়াদের কাছে ধবলধোলাই—এই তিন সিরিজে ভরাডুবি হয়েছে গম্ভীরের সময়েই। টেস্টে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ভারত।

মুহাম্মাদ আব্বাসের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে তাঁর জন্মভূমি পাকিস্তানের বিপক্ষে—ওয়ানডে অভিষেকে মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করে গড়েছেন দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। বর্তমানে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে এসেছেন বাংলাদেশ সফরে।
০৭ মে ২০২৫
আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকটা মনে রাখার মতো হলো না সাকিব আল হাসানের। ব্যাটিংয়ে নেমে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন। বোলিংয়ে মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার মাঠ ছেড়েছেন খুশি মনেই।
৯ ঘণ্টা আগে
অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল। চাইলে সহজেই সেটাকে কাভার, পয়েন্ট এলাকা দিয়ে উড়িয়ে মারবেন যেকোনো ক্রিকেটার। কিন্তু জাকের আলী অনিক বেশির ভাগ সময় সেটা না করে লেগে মারতে যান। এমনটা করতে গিয়ে নিজের উইকেটটাও বিলিয়ে দিয়ে আসছেন বারবার।
৯ ঘণ্টা আগে
পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে স্মৃতি মান্ধানার বিয়ে হচ্ছে কি হচ্ছে না, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছিল গত কদিন ধরেই। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মান্ধানা। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ভারতীয় নারী ক্রিকেটার জানালেন, তাঁর বিয়ে বাতিল করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকটা মনে রাখার মতো হলো না সাকিব আল হাসানের। ব্যাটিংয়ে নেমে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন। বোলিংয়ে মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার মাঠ ছেড়েছেন খুশি মনেই।
৪ ডিসেম্বর এমআই এমিরেটসের প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি সাকিব। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে গালফ জায়ান্টস জিতেছিল ৬ উইকেটে। আজ শারজার পড়ন্ত বিকেলে শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন সাকিব। ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ বলে করেছেন ১৬ রান। ২ ওভার বোলিং করে ২৭ রান খরচ করেও পাননি কোনো উইকেট। সাকিবের বাজে অভিষেকের দিনে এমআই এমিরেটস ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে।
১৮৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান হয়ে যায় শারজা ওয়ারিয়র্স। শেষ ২ বলে ৭ রানের সমীকরণ যখন দরকার, তখন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিবের সতীর্থ রোমারিও শেফার্ড। শেষ দুই বলেই সিঙ্গেল দিয়েছেন তিনি। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮১ রানে থেমে যায় শারজার ইনিংস। সিকান্দার রাজার ৩৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংসও যথেষ্ট হয়নি শারজার জয়ের জন্য। এমআই এমিরেটসের মোহাম্মদ গজনফার ও নাভিন উল হক নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ফজলহক ফারুকি, জহুর খান ও শেফার্ড।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৫ রানে থেমে যায় এমআই এমিরেটস। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন মুহাম্মদ ওয়াসিম। সাকিব ১২ বলে ২ চারে ১৬ রান করে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন। তবে সাত নম্বরে নামা শেফার্ডের ১০ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ইনিংসে এমিরেটস ১৮০ রানের বেশি করেছে। এক চার ও চার ছক্কা মেরেছেন। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এর আগে সাকিব আমিরাতে রয়্যাল চ্যাম্পসের হয়ে খেলেছেন আবুধাবি টি-টেনে। ১০ ওভারের এই টুর্নামেন্টে দুই ম্যাচ খেললেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। বোলিংয়ে ২ ওভারে ৩১ রান দিলেও পাননি কোনো উইকেট।

আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকটা মনে রাখার মতো হলো না সাকিব আল হাসানের। ব্যাটিংয়ে নেমে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন। বোলিংয়ে মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার মাঠ ছেড়েছেন খুশি মনেই।
৪ ডিসেম্বর এমআই এমিরেটসের প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি সাকিব। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে গালফ জায়ান্টস জিতেছিল ৬ উইকেটে। আজ শারজার পড়ন্ত বিকেলে শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন সাকিব। ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ বলে করেছেন ১৬ রান। ২ ওভার বোলিং করে ২৭ রান খরচ করেও পাননি কোনো উইকেট। সাকিবের বাজে অভিষেকের দিনে এমআই এমিরেটস ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে।
১৮৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান হয়ে যায় শারজা ওয়ারিয়র্স। শেষ ২ বলে ৭ রানের সমীকরণ যখন দরকার, তখন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিবের সতীর্থ রোমারিও শেফার্ড। শেষ দুই বলেই সিঙ্গেল দিয়েছেন তিনি। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮১ রানে থেমে যায় শারজার ইনিংস। সিকান্দার রাজার ৩৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংসও যথেষ্ট হয়নি শারজার জয়ের জন্য। এমআই এমিরেটসের মোহাম্মদ গজনফার ও নাভিন উল হক নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ফজলহক ফারুকি, জহুর খান ও শেফার্ড।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৫ রানে থেমে যায় এমআই এমিরেটস। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন মুহাম্মদ ওয়াসিম। সাকিব ১২ বলে ২ চারে ১৬ রান করে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন। তবে সাত নম্বরে নামা শেফার্ডের ১০ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ইনিংসে এমিরেটস ১৮০ রানের বেশি করেছে। এক চার ও চার ছক্কা মেরেছেন। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এর আগে সাকিব আমিরাতে রয়্যাল চ্যাম্পসের হয়ে খেলেছেন আবুধাবি টি-টেনে। ১০ ওভারের এই টুর্নামেন্টে দুই ম্যাচ খেললেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। বোলিংয়ে ২ ওভারে ৩১ রান দিলেও পাননি কোনো উইকেট।

মুহাম্মাদ আব্বাসের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে তাঁর জন্মভূমি পাকিস্তানের বিপক্ষে—ওয়ানডে অভিষেকে মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করে গড়েছেন দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। বর্তমানে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে এসেছেন বাংলাদেশ সফরে।
০৭ মে ২০২৫
যত দোষ, নন্দ ঘোষ—ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের হয়তো এই প্রবাদ জানা নেই। না জানলেও ভারতের প্রধান কোচের ‘হটসিটে’ বসার উত্তাপটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন গম্ভীর। কোনো সিরিজে ভারতের ভরাডুবি হলে তাঁর ওপর রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। গম্ভীরের মতে, ক্রিকেট যাঁরা বোঝেন না, তাঁদের এ ব্যাপারে ‘নাক গলানো’ মোটে
৮ ঘণ্টা আগে
অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল। চাইলে সহজেই সেটাকে কাভার, পয়েন্ট এলাকা দিয়ে উড়িয়ে মারবেন যেকোনো ক্রিকেটার। কিন্তু জাকের আলী অনিক বেশির ভাগ সময় সেটা না করে লেগে মারতে যান। এমনটা করতে গিয়ে নিজের উইকেটটাও বিলিয়ে দিয়ে আসছেন বারবার।
৯ ঘণ্টা আগে
পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে স্মৃতি মান্ধানার বিয়ে হচ্ছে কি হচ্ছে না, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছিল গত কদিন ধরেই। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মান্ধানা। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ভারতীয় নারী ক্রিকেটার জানালেন, তাঁর বিয়ে বাতিল করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল। চাইলে সহজেই সেটাকে কাভার, পয়েন্ট এলাকা দিয়ে উড়িয়ে মারবেন যেকোনো ক্রিকেটার। কিন্তু জাকের আলী অনিক বেশির ভাগ সময় সেটা না করে লেগে মারতে যান। এমনটা করতে গিয়ে নিজের উইকেটটাও বিলিয়ে দিয়ে আসছেন বারবার।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি দিয়ে বাংলাদেশের এ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা শেষ হয়েছে কদিন আগে। সেই সিরিজে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে কেবল একটিতে সুযোগ পেয়েছেন জাকের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৬ বলে এক ছক্কায় করেছেন ২০ রান। আইরিশ পেসার ব্যারি ম্যাকার্থির অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল লেগ স্টাম্পে ঘোরাতে গিয়ে জাকের থার্ড ম্যানে জশ লিটলের ক্যাচের শিকার হয়েছেন।
অফস্টাম্পের বাইরের বল জোর করে লেগে মারতে গিয়ে জাকের যে বারবার আউট হচ্ছেন, সেটা দৃষ্টিকটু। এটা নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। আজ বাংলাদেশ দলের বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুলকেও জিজ্ঞেস করা হয়েছে জাকেরের লেগ সাইডে টেনে মারতে গিয়ে আউট হওয়ার বিষয়ে। সংবাদমাধ্যমকে আশরাফুল বলেন, ‘আমি একটু দুর্ভাগা বলব জাকের আলী অনিককে। চমৎকার অনুশীলন করলেও টেস্ট সিরিজে একটা ম্যাচও খেলতে পারেননি। তারপর একটা ম্যাচ খেলল। ওই ম্যাচে দুইটা বল বাদ দিলে অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল লেগে মারতে গেছে, যেটাতে আউট হয়েছে। এই দুইটা বল বাদ দিলে বাকি ১৪ বল খেলেছে মেরিট অনুযায়ী। ভালো ব্যাটিং করছিল। আনলাকি যে সে ম্যাচ পায়নি। যদি টানা দুইটা ম্যাচ পেত, তাহলে আমি নিশ্চিত যে বড় রানই করত। কারণ, সে মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী।’
বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ জাকের ফিফটি পেয়েছেন জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। সেই ম্যাচে ৫৫ রানের পর তিন সংস্করণ মিলে ১৮ ম্যাচের মধ্যে ১৬ ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু পাননি কোনো ফিফটি। এখন তো তাঁর একাদশেও জায়গাটা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আশরাফুলের মতে বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে জাকের গেলেও সুযোগ পেলে তিনি ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবেন। বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সে কিন্তু পারফরমার। যখন সে বাংলাদেশ দলে ঢুকেছে, ঢোকার আগে তিন মৌসুম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, এনসিএল, বিসিএল, বিপিএল বলেন, সব জায়গায় পারফর্ম করেই কিন্তু বাংলাদেশ দলে ঢুকেছে। বাংলাদেশ দলে ঢোকার পরও তিন সংস্করণই ভালো খেলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে একটু বাজে যাচ্ছে।’
২০২৬ বিপিএলের নিলাম থেকে জাকেরকে নিয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। প্রথমবারের মতো বিপিএলে অংশ নিতে যাওয়া দলটির প্রধান কোচ হিসেবে আছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ১২তম বিপিএল অফফর্মে থাকা জাকেরের জন্য ফর্মে ফেরার মঞ্চ মনে করছেন আশরাফুল। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ বলেন,
‘সেই জায়গা থেকে বিপিএলটা তার জন্য ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম। ভালো জায়গায় সে গিয়েছে। সুজন ভাই আছেন প্রধান কোচ হিসেবে। অনেক দিন তিনি কাজ করেছেন। আবাহনীর হয়ে খেলেছেন। তাঁর সবকিছুই সুজন ভাই ভালো করে জানেন। আমি নিশ্চিত যে বিপিএলে সে ভালো ছন্দে চলে আসবে ইনশা আল্লাহ।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত মাসে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ যে এশিয়া কাপ খেলেছিলেন, সেখানে জাকের চার ম্যাচ খেলেছিলেন। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে ৬ ম্যাচে ২৩.৬৭ গড় ও ১০৭.৫৭ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ৭১ রান। টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই স্ট্রাইকরেটে খেলতে তো পারেননি, এমনকি মারতে পারেননি একটি ছক্কাও। শুধু ২০২৫ এশিয়া কাপই নয়, ২০২৩ এশিয়ান গেমস ক্রিকেট, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ—ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে অনুষ্ঠিত এই চার টুর্নামেন্ট ছক্কাশূন্য হিসেবে কাটিয়েছেন তিনি। লিটনের অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাকের। জাকেরের নেতৃত্বে আফগানদের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবেও তিনি বলার মতো কিছু করতে পারেননি।

অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল। চাইলে সহজেই সেটাকে কাভার, পয়েন্ট এলাকা দিয়ে উড়িয়ে মারবেন যেকোনো ক্রিকেটার। কিন্তু জাকের আলী অনিক বেশির ভাগ সময় সেটা না করে লেগে মারতে যান। এমনটা করতে গিয়ে নিজের উইকেটটাও বিলিয়ে দিয়ে আসছেন বারবার।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি দিয়ে বাংলাদেশের এ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা শেষ হয়েছে কদিন আগে। সেই সিরিজে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে কেবল একটিতে সুযোগ পেয়েছেন জাকের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৬ বলে এক ছক্কায় করেছেন ২০ রান। আইরিশ পেসার ব্যারি ম্যাকার্থির অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল লেগ স্টাম্পে ঘোরাতে গিয়ে জাকের থার্ড ম্যানে জশ লিটলের ক্যাচের শিকার হয়েছেন।
অফস্টাম্পের বাইরের বল জোর করে লেগে মারতে গিয়ে জাকের যে বারবার আউট হচ্ছেন, সেটা দৃষ্টিকটু। এটা নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। আজ বাংলাদেশ দলের বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুলকেও জিজ্ঞেস করা হয়েছে জাকেরের লেগ সাইডে টেনে মারতে গিয়ে আউট হওয়ার বিষয়ে। সংবাদমাধ্যমকে আশরাফুল বলেন, ‘আমি একটু দুর্ভাগা বলব জাকের আলী অনিককে। চমৎকার অনুশীলন করলেও টেস্ট সিরিজে একটা ম্যাচও খেলতে পারেননি। তারপর একটা ম্যাচ খেলল। ওই ম্যাচে দুইটা বল বাদ দিলে অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল লেগে মারতে গেছে, যেটাতে আউট হয়েছে। এই দুইটা বল বাদ দিলে বাকি ১৪ বল খেলেছে মেরিট অনুযায়ী। ভালো ব্যাটিং করছিল। আনলাকি যে সে ম্যাচ পায়নি। যদি টানা দুইটা ম্যাচ পেত, তাহলে আমি নিশ্চিত যে বড় রানই করত। কারণ, সে মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী।’
বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ জাকের ফিফটি পেয়েছেন জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। সেই ম্যাচে ৫৫ রানের পর তিন সংস্করণ মিলে ১৮ ম্যাচের মধ্যে ১৬ ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু পাননি কোনো ফিফটি। এখন তো তাঁর একাদশেও জায়গাটা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আশরাফুলের মতে বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে জাকের গেলেও সুযোগ পেলে তিনি ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবেন। বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সে কিন্তু পারফরমার। যখন সে বাংলাদেশ দলে ঢুকেছে, ঢোকার আগে তিন মৌসুম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, এনসিএল, বিসিএল, বিপিএল বলেন, সব জায়গায় পারফর্ম করেই কিন্তু বাংলাদেশ দলে ঢুকেছে। বাংলাদেশ দলে ঢোকার পরও তিন সংস্করণই ভালো খেলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে একটু বাজে যাচ্ছে।’
২০২৬ বিপিএলের নিলাম থেকে জাকেরকে নিয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। প্রথমবারের মতো বিপিএলে অংশ নিতে যাওয়া দলটির প্রধান কোচ হিসেবে আছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ১২তম বিপিএল অফফর্মে থাকা জাকেরের জন্য ফর্মে ফেরার মঞ্চ মনে করছেন আশরাফুল। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ বলেন,
‘সেই জায়গা থেকে বিপিএলটা তার জন্য ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম। ভালো জায়গায় সে গিয়েছে। সুজন ভাই আছেন প্রধান কোচ হিসেবে। অনেক দিন তিনি কাজ করেছেন। আবাহনীর হয়ে খেলেছেন। তাঁর সবকিছুই সুজন ভাই ভালো করে জানেন। আমি নিশ্চিত যে বিপিএলে সে ভালো ছন্দে চলে আসবে ইনশা আল্লাহ।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত মাসে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ যে এশিয়া কাপ খেলেছিলেন, সেখানে জাকের চার ম্যাচ খেলেছিলেন। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে ৬ ম্যাচে ২৩.৬৭ গড় ও ১০৭.৫৭ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ৭১ রান। টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই স্ট্রাইকরেটে খেলতে তো পারেননি, এমনকি মারতে পারেননি একটি ছক্কাও। শুধু ২০২৫ এশিয়া কাপই নয়, ২০২৩ এশিয়ান গেমস ক্রিকেট, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ—ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে অনুষ্ঠিত এই চার টুর্নামেন্ট ছক্কাশূন্য হিসেবে কাটিয়েছেন তিনি। লিটনের অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাকের। জাকেরের নেতৃত্বে আফগানদের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবেও তিনি বলার মতো কিছু করতে পারেননি।

মুহাম্মাদ আব্বাসের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে তাঁর জন্মভূমি পাকিস্তানের বিপক্ষে—ওয়ানডে অভিষেকে মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করে গড়েছেন দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। বর্তমানে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে এসেছেন বাংলাদেশ সফরে।
০৭ মে ২০২৫
যত দোষ, নন্দ ঘোষ—ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের হয়তো এই প্রবাদ জানা নেই। না জানলেও ভারতের প্রধান কোচের ‘হটসিটে’ বসার উত্তাপটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন গম্ভীর। কোনো সিরিজে ভারতের ভরাডুবি হলে তাঁর ওপর রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। গম্ভীরের মতে, ক্রিকেট যাঁরা বোঝেন না, তাঁদের এ ব্যাপারে ‘নাক গলানো’ মোটে
৮ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকটা মনে রাখার মতো হলো না সাকিব আল হাসানের। ব্যাটিংয়ে নেমে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন। বোলিংয়ে মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার মাঠ ছেড়েছেন খুশি মনেই।
৯ ঘণ্টা আগে
পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে স্মৃতি মান্ধানার বিয়ে হচ্ছে কি হচ্ছে না, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছিল গত কদিন ধরেই। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মান্ধানা। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ভারতীয় নারী ক্রিকেটার জানালেন, তাঁর বিয়ে বাতিল করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে স্মৃতি মান্ধানার বিয়ে হচ্ছে কি হচ্ছে না, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছিল গত কদিন ধরেই। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মান্ধানা। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ভারতীয় নারী ক্রিকেটার জানালেন, তাঁর বিয়ে বাতিল করা হয়েছে।
নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে আজ সকালে দেওয়া এক পোস্টে মান্ধানা বিয়ে সংক্রান্ত সবকিছু খোলাসা করেছেন। একই সঙ্গে সবার কাছে প্রাইভেসি রক্ষা করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। ভারতীয় এই বাঁহাতি ওপেনার লিখেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। আমি চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি। তবে একটা ব্যাপার স্পষ্ট করে জানাতে চাই বিয়ে বাতিল করা হয়েছে। আপনারা দুই পরিবারের প্রাইভেসিকে সম্মান করুন।’
এ বছরের ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক এক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন স্মৃতি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে ভারত। শিরোপা জয়ে ভারতের এই নারী ক্রিকেটার অসামান্য অবদান রেখেছেন। ৫৪.২৫ গড় ও ৯৯.০৮ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৪৩৪ রান। এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটি ছিল টুর্নামেন্টে। আপাতত ক্রিকেট নিয়েই ধ্যানধারণা ভারতীয় এই নারী ক্রিকেটারের। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সময়টা এখন এগিয়ে যাওয়ার। দেশের হয়ে আরও শিরোপা জিততে চাই।’
স্মৃতির সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশ মুচ্ছলও। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে পলাশের বিরুদ্ধে যেসব সংবাদ প্রচার হয়েছে, সেগুলো ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। পলাশ বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায়। ভিত্তিহীন গুজবের কারণে মানুষ যা বলছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা মিথ্যা ও মানহানিকর কনটেন্ট প্রচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ২০ নভেম্বর হয়েছিল স্মৃতি-পলাশের বাগদান অনুষ্ঠান। সেই বাগদান অনুষ্ঠানের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। স্মৃতিকে চমকে দিতে তাঁর চোখ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় নারী ক্রিকেটার পরেন লাল স্কার্ট।পলাশের পরনে ছিল স্যুট। পিচের ঠিক মাঝখানে এনে স্মৃতির চোখ খুলে দেন পলাশ। চোখের বান্ধন খুলতেই হাসেন স্মৃতি। এরপর হাঁটু গেড়ে বসে পলাশ বিয়ের প্রস্তাব দেন সদা হাস্যোজ্জ্বল স্মৃতিকে। পলাশের হাতে ছিল লাল গোলাপ। ভারতীয় এই সংগীত পরিচালক ছবিটি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘সে হ্যাঁ বলেছে।’ তাঁরা দুজন (স্মৃতি-পলাশ) একে অপরকে আংটি পরিয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। মুম্বাইয়ের এই স্টেডিয়ামে একে অপরকে জড়িয়েও ধরেছিলেন।
২৩ নভেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল মান্ধানা-পলাশের। কিন্তু বাগদানের পর বাবার অসুস্থতার কারণে মান্ধানার বিয়ে সাময়িক স্থগিত করা হয়েছিল। পলাশও অসুস্থ হয়ে সাময়িক সময়ের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত মান্ধানা-পলাশের বিয়ে ভেঙেই গেল।

পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে স্মৃতি মান্ধানার বিয়ে হচ্ছে কি হচ্ছে না, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছিল গত কদিন ধরেই। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মান্ধানা। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ভারতীয় নারী ক্রিকেটার জানালেন, তাঁর বিয়ে বাতিল করা হয়েছে।
নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে আজ সকালে দেওয়া এক পোস্টে মান্ধানা বিয়ে সংক্রান্ত সবকিছু খোলাসা করেছেন। একই সঙ্গে সবার কাছে প্রাইভেসি রক্ষা করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। ভারতীয় এই বাঁহাতি ওপেনার লিখেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। আমি চুপচাপ থাকতে পছন্দ করি। তবে একটা ব্যাপার স্পষ্ট করে জানাতে চাই বিয়ে বাতিল করা হয়েছে। আপনারা দুই পরিবারের প্রাইভেসিকে সম্মান করুন।’
এ বছরের ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক এক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন স্মৃতি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে ভারত। শিরোপা জয়ে ভারতের এই নারী ক্রিকেটার অসামান্য অবদান রেখেছেন। ৫৪.২৫ গড় ও ৯৯.০৮ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৪৩৪ রান। এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটি ছিল টুর্নামেন্টে। আপাতত ক্রিকেট নিয়েই ধ্যানধারণা ভারতীয় এই নারী ক্রিকেটারের। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সময়টা এখন এগিয়ে যাওয়ার। দেশের হয়ে আরও শিরোপা জিততে চাই।’
স্মৃতির সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশ মুচ্ছলও। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে পলাশের বিরুদ্ধে যেসব সংবাদ প্রচার হয়েছে, সেগুলো ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। পলাশ বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায়। ভিত্তিহীন গুজবের কারণে মানুষ যা বলছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা মিথ্যা ও মানহানিকর কনটেন্ট প্রচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ২০ নভেম্বর হয়েছিল স্মৃতি-পলাশের বাগদান অনুষ্ঠান। সেই বাগদান অনুষ্ঠানের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। স্মৃতিকে চমকে দিতে তাঁর চোখ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় নারী ক্রিকেটার পরেন লাল স্কার্ট।পলাশের পরনে ছিল স্যুট। পিচের ঠিক মাঝখানে এনে স্মৃতির চোখ খুলে দেন পলাশ। চোখের বান্ধন খুলতেই হাসেন স্মৃতি। এরপর হাঁটু গেড়ে বসে পলাশ বিয়ের প্রস্তাব দেন সদা হাস্যোজ্জ্বল স্মৃতিকে। পলাশের হাতে ছিল লাল গোলাপ। ভারতীয় এই সংগীত পরিচালক ছবিটি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘সে হ্যাঁ বলেছে।’ তাঁরা দুজন (স্মৃতি-পলাশ) একে অপরকে আংটি পরিয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। মুম্বাইয়ের এই স্টেডিয়ামে একে অপরকে জড়িয়েও ধরেছিলেন।
২৩ নভেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল মান্ধানা-পলাশের। কিন্তু বাগদানের পর বাবার অসুস্থতার কারণে মান্ধানার বিয়ে সাময়িক স্থগিত করা হয়েছিল। পলাশও অসুস্থ হয়ে সাময়িক সময়ের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত মান্ধানা-পলাশের বিয়ে ভেঙেই গেল।

মুহাম্মাদ আব্বাসের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে তাঁর জন্মভূমি পাকিস্তানের বিপক্ষে—ওয়ানডে অভিষেকে মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করে গড়েছেন দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। বর্তমানে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে এসেছেন বাংলাদেশ সফরে।
০৭ মে ২০২৫
যত দোষ, নন্দ ঘোষ—ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের হয়তো এই প্রবাদ জানা নেই। না জানলেও ভারতের প্রধান কোচের ‘হটসিটে’ বসার উত্তাপটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন গম্ভীর। কোনো সিরিজে ভারতের ভরাডুবি হলে তাঁর ওপর রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। গম্ভীরের মতে, ক্রিকেট যাঁরা বোঝেন না, তাঁদের এ ব্যাপারে ‘নাক গলানো’ মোটে
৮ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকটা মনে রাখার মতো হলো না সাকিব আল হাসানের। ব্যাটিংয়ে নেমে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন। বোলিংয়ে মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার মাঠ ছেড়েছেন খুশি মনেই।
৯ ঘণ্টা আগে
অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল। চাইলে সহজেই সেটাকে কাভার, পয়েন্ট এলাকা দিয়ে উড়িয়ে মারবেন যেকোনো ক্রিকেটার। কিন্তু জাকের আলী অনিক বেশির ভাগ সময় সেটা না করে লেগে মারতে যান। এমনটা করতে গিয়ে নিজের উইকেটটাও বিলিয়ে দিয়ে আসছেন বারবার।
৯ ঘণ্টা আগে