Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

‘একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, ঠিক হয়ে গেছে’

বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। ছবি: ফাইল ছবি

আয়ারল্যান্ড সিরিজের পরই আর থাকবেন না জাতীয় দলে, এমনটি জানিয়ে গত মাসে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। গতকাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, সব ঠিক হয়ে গেছে। তাঁর ভাবনায় এখন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২১

প্রশ্ন: শুনেছি, আপনার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি... (কথা শেষ না হতেই)।

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন: আছি। আমি আছি (জাতীয় দলে)।

প্রশ্ন: কোন অভিমানে তখন পদত্যাগপত্র দেওয়া?

সালাহ উদ্দীন: ওটা বলতে চাচ্ছি না। একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। ঠিক হয়ে গেছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের বছরের সূচিটা শেষ হয়েছে। ব্যাটিং প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পাঁচ শর ওপরে চার-ছক্কা মেরেছে। টপ অর্ডার ব্যাটাররা ১৩০‍+ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন। সব মিলিয়ে ব্যাটারদের কাছে যা চেয়েছিলেন, সব মিলিয়ে প্রাপ্তি কী?

সালাহ উদ্দীন: উন্নতির তো শেষ নেই। একটা বছর ধরে আমরা নিজেদের প্রক্রিয়া ধরে রাখার চেষ্টা করছি। মাঝে মাঝে ব্যর্থ হয়েছি, মাঝে মাঝে সফল হয়েছি। আমরা বিশ্বকাপ ভাবনায় রেখেই এগোনোর চেষ্টা করেছি। আমরা টুর্নামেন্টে কীভাবে খেলব, কার ভূমিকা কী হবে। আমার কাছে মনে হয়, দলের প্রায় সবাই নিজেদের ভূমিকা ঠিকমতো বুঝতে পেরেছে। কিছু সময়ে হয়তো আমরা ফল পাইনি। তবে বেশির ভাগ সিরিজে রেজাল্ট পেয়েছি। আমাদের যতটুকু স্ট্রেন্থ আছে, সেই শক্তি যেন আমরা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারি, সেটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। আরও দু-তিন মাস হাতে আছে। এর মধ্যে তারা বিপিএল খেলবে। টুর্নামেন্টে যদি ছেলেরা ভালো খেলতে পারে, এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে।

প্রশ্ন: এ বছর ২৭ ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৭৫ রান করেছেন তানজিদ তামিম। ৪১টি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

সালাহ উদ্দীন: আমি তো চাই, এরা যেন ওয়ার্ল্ড ডমিনেট করে সব সময়। এটা দ্রুত হলে আমাদের দেশের জন্য ভালো। যেহেতু ছেলেরা একটু নবীন, একটু পরিণতবোধ যত তাড়াতাড়ি আসবে, তত দ্রুত তারা ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ডমিনেট করতে পারবে। তাদের স্কিলে মনে হয় না, খুব সমস্যা আছে। স্কিল অনেক ভালো।

প্রশ্ন: মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ ছন্দপতন। সেটি কি দূর হয়েছে?

সালাহ উদ্দীন: এই যে একটা বছর আমরা সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। এমন নয়, কাউকে সুযোগ না দিয়ে তাকে টিম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অনেকে হয়তো পারফর্ম করছে, অনেকে করেনি। এই জায়গায় আমরাও নিজেরাও চিন্তিত। যারা ওসব পজিশনে খেলে, তারাও জানে, আসলে তাদের কী করতে হবে। একটা ভালো টুর্নামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ)। সেখানে তারা সেই পজিশনে রানে ফিরে আসতে পারলে মনে হয় খুব ভালো হবে। আশা করি, তারা নিজেরাই রানে ফিরবে। আমরা সব সময় বিশ্বাস করি। বিশ্বাস না করলে তো আসলে কোনো সময় কিছু হবে না। বিশ্বাস আমাদের আছে তাদের ওপরে। এবং আমরা আশাবাদী, তারা খুব ভালো করবে।

প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের চার ম্যাচের তিনটিই পড়েছে কলকাতায়। কলকাতা অনেক চেনা হলেও এখানে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। কলকাতায় গ্রুপপর্বের চ্যালেঞ্জ কীভাবে দেখছেন?

সালাহ উদ্দীন: এক-দেড় বছর আগেও কিন্তু বলতাম, আমাদের টি-টোয়েন্টি ভালো নয়। কিন্তু দেখেন, গত এক বছরে আমাদের টি-টোয়েন্টির রেজাল্টই সবচেয়ে ভালো। মনে করি, যথেষ্ট ভালো অবস্থায় আছি। কোন মাঠে খেলা হচ্ছে, সেই কন্ডিশন অনুযায়ী আমরা মানিয়ে নিতে সক্ষম। গত কয়েকটি সিরিজে মিরপুরে একধরনের উইকেটে খেলছি, চট্টগ্রামে আরেক ধরনের উইকেটে। আবার সিলেটে আরেক রকম। বিভিন্ন কন্ডিশনে তারা যেন মানিয়ে নিতে পারে, সেটাই চেষ্টা করেছি। ওই পরিস্থিতিতে তারা যদি এগুলো কাজে লাগাতে পারে, তখন দল ভালো ফল পাবে।

প্রশ্ন: সামনের বিরতিতে কী পরিকল্পনা করছেন?

সালাহ উদ্দীন: আমি যেহেতু বিপিএলে কাজ করব না, কিছু খেলোয়াড় নিয়ে প্র্যাকটিসের প্ল্যান আছে। তারপরে ওরা বিপিএলে চলে যাবে। তারপরও কোনো ছেলে যদি কখনো মনে করে, তার বাড়তি অনুশীলন দরকার, আমরা তো আছিই। কাজ করব, ওদের খেলাও দেখব। আর বিপিএল ফাইনালের পর অনুশীলন ক্যাম্প দরকার পড়ে, সেটা প্রধান কোচই পরিকল্পনা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

লন্ডনে চিকিৎসা যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ১৪ জন, তালিকায় ছয় চিকিৎসক ও দুই এসএসএফ

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

ঢাকার তিনটিসহ আরও ২৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা বাকি থাকল

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ