
মাঠে শুধু খেলোয়াড়েরাই খেলাটা জমিয়ে তোলেন না। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকের উন্মাদনা, উচ্ছ্বাস, চিৎকার, হুল্লোড় আর করতালি—সব মিলিয়েই হয় একটি জমজমাট খেলা। যেকোনো দল নিজেদের মাঠে খেললে নিঃস্বার্থ সমর্থন দিয়ে অনুপ্রাণিত করতে থাকে স্বাগতিক দর্শকেরা। এ কারণেই তো দর্শকদের বলা হয় ‘দ্বাদশ খেলোয়াড়’।

অনেক দিন আগের কথা, নির্দিষ্ট করে বললে পাঁচটা জুন আগের কথা, যখন আমার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণের সৌভাগ্য হয়েছিল। একদল ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ভারতীয় দলের এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সফর কাভার করতে গিয়েছিলাম। ব্যস্ত সেই তিন সপ্তাহের সফরে অনিন্দ্যসুন্দর দেশটিকে দারুণভাবে জানতে পেরেছিলাম

‘আক্রমণ জেতায় ম্যাচ, রক্ষণ জেতাবে শিরোপা’—সারাক্ষণ মুখে চুইংগাম চিবোতে চিবোতে ফুটবল নিয়ে নিজের দর্শনটাকে এভাবে তুলে ধরেছিলেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। কোচদের নির্দেশিকায় বড় হরফেই লেখা হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি স্কটিশ কোচের এই বচন।

‘বিষণ্ণতা হচ্ছে আমার সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা’—কথাটা হ্যারি পটারের স্রষ্টা জে কে রাওলিংয়ের। বিখ্যাত মার্কিন কবি সিলভিয়া প্লাথ নিজের ছবি তুলতেও ভয় পেতেন! একবার তিনি লিখেছিলেন, ‘কেউ গভীরভাবে আমার দিকে তাকালে কান্না পায়।’ এই বিষণ্ণতা প্লাথকে ঠেলে দিয়েছিল আত্মহত্যার মতো চরম পরিণতির দিকে।