Ajker Patrika

কিউবা বাংলাদেশ দলে খেলার মতো অবস্থায় নেই, বলছেন কোচ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাভিয়ের কাবরেরার কাছে ব্রাত্য কিউবা। ছবি: সংগৃহীত
হাভিয়ের কাবরেরার কাছে ব্রাত্য কিউবা। ছবি: সংগৃহীত

হামজা চৌধুরী আসার পর দলে যোগ হয়েছেন শমিত শোম, ফাহামিদুল ইসলাম, জায়ান আহমেদের মতো প্রবাসী ফুটবলাররা। যদিও এখনো সুযোগ মেলেনি কিউবা মিচেলের। অথচ গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগেই জাতীয় দলে খেলার সব শর্ত পূরণ হয়েছে কিউবার। তারপরও কোচ হাভিয়ের কাবরেরার কাছে ব্রাত্য এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।

সেপ্টেম্বরে অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দলে ছিলেন কিউবা। এর আগেই ইংলিশ ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর যোগ দেন বসুন্ধরা কিংসে। যদিও ক্লাবে খুব একটা গেমটাইম তিনি পাচ্ছেন না। সম্প্রতি গত মাসে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলতে পেরেছেন কেবল ১ ম্যাচ। তাও বদলি হিসেবে। কাবরেরার চোখে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার মতো অবস্থায় নেই কিউবা। তাই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ১৮ নভেম্বর ভারত ও ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাঁকে।

ছুটি কাটিয়ে স্পেন থেকে আজই ঢাকায় ফিরেছেন বাংলাদেশ কোচ। নিজের প্রথম অনুশীলনেও পাননি পুরো স্কোয়াড। কিউবাকে নিয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এখানে (জাতীয় দলে) আসার মতো সম্ভাবনা অনেক খেলোয়াড়েরই আছে। কিউবা একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়। আমি নিশ্চিত জাতীয় দলে তার সুযোগ আসবে, তবে সে এখন সেই অবস্থায় নেই। অন্য খেলোয়াড়েরা তার চেয়ে ভালো পারফর্ম করছে, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে কিউবা কোনো এক সময়ে সুযোগ পাবে। আশা করি, কিংসের সঙ্গে আরও খেলার সময় পাওয়ার পর এবং শতভাগ নিশ্চিত ভবিষ্যতে তাকে দেখা যাবে (জাতীয় দলে)।’

গত ৩০ অক্টোবর থেকে ১৫ খেলোয়াড়কে নিয়ে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। অথচ প্রাথমিক দলে কারা আছেন, সেই তালিকা এখনো দেয়নি বাফুফে। কাবরেরাও এখানে নিজের কোনো দায় দেখেন না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি দল না দেওয়ার ব্যাপারে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি ক্যাম্পের আগে যথারীতি স্কোয়াড পাঠাই। এটা কোচের সিদ্ধান্ত নয়।’

আজ যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়েরা ক্যাম্পে যোগ দেবেন ৭ নভেম্বর। এরপর আসবেন হামজা-শমিত। কাবরেরা বলেন, ‘হামজা সম্ভবত ১০ তারিখের মধ্যে চলে আসবে, যদি আমি ভুল না করি। সে খেলবে। শমিত সম্ভবত একটু পরে আসছে, তবে আবারও, নেপাল ম্যাচে তার অন্তত কিছু মিনিট যেন খেলার সুযোগ হয়, সে জন্য আমাদের সেরা চেষ্টা করব। কিংসের খেলোয়াড়দের জন্য অপেক্ষা করব এবং প্রস্তুতি চালিয়ে যাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রশিদের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ খেলবে আফগানিস্তান, আরও যাঁরা আছেন

ক্রীড়া ডেস্ক    
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে পড়েছে আফগানরা। ছবি: সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে পড়েছে আফগানরা। ছবি: সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত নভেম্বরে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের অধিনায়কত্ব করেন রশিদ খান। বাকি দুটি ম্যাচে তারকা লেগস্পিনারের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইবরাহিম জাদরান। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানরা কার নেতৃত্বে অংশ নেবে সেটা নিয়ে জল্পনা কল্পনা ছিল।

অবশেষে সব জল্পনা দূর হলো। রশিদের নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে আফগানিস্তান। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে সংক্ষিপ্ত ওভারের বিশ্বকাপ হবে। তার আগে রশিদকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। সহ অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাদরানকে।

দলে ফেরানো হয়েছে পেসার ফাজলহক ফারুকি ও অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে। গত অক্টোবরে বাংলাদেশ সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েন এই দুজন। গত বছরের ডিসেম্বরের পর দলে ফিরেছেন নাভিন উল হক। মোহাম্মদ গজনফারকে পেছনে ফেলে দলে জায়গা করে নিয়েছেন স্পিনার মুজিব উর রহমান। রিজার্ভ দলে রাখা হয়েছে গজনফারকে। আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের ঘোষিত দল নিয়েই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে খেলবে ২০২৪ সালের সেমিফাইনালিস্টরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। আফগানিস্তানের ম্যাচ পরদিন। ৮ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। ‘ডি’ গ্রুপে তাদের বাকি ৩ প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কানাডা।

আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল: রশিদ খান (অধিনায়ক), নূর আহমদ, আবদুল্লাহ আহমদজাই, সেদিক উল্লাহ অতল, ফজলহক ফারুকি, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, নাভিন উল হক, মোহাম্মদ ইশাক, শাহিদুল্লাহ কামাল, মোহাম্মদ নবি, গুলবাদিন নাইব, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মুজিব উর রহমান, দারউইশ রাসুলি, ইব্রাহিম জাদরান।

ট্রাভেলিং রিজার্ভ: মোহাম্মদ গজনফার, ইজাজ আহমদজাই, জিয়াউর রহমান শরীফি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিপিএলের চট্টগ্রাম-পর্ব বাদ দিল বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৮
দুই ভেন্যুতেই হচ্ছে ২০২৬ বিপিএল। ছবি: বিসিবি
দুই ভেন্যুতেই হচ্ছে ২০২৬ বিপিএল। ছবি: বিসিবি

সিলেট, চট্টগ্রাম, মিরপুর—বরাবরের মতো এই তিন ভেন্যুতেই এবারের বিপিএলও আয়োজনের ব্যবস্থা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এবার শোনা যাচ্ছে, বিসিবি দুই ভেন্যুতে বিপিএল শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে এবারের বিপিএল হচ্ছেই না।

চট্টগ্রামে বিপিএল না হওয়ার ব্যাপারটি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু। তিনি বলেছেন, ‘দুই ভেন্যুতে ম্যাচ নিয়ে আসতে হচ্ছে। চট্টগ্রামের দর্শক আর ম্যানেজমেন্টের কাছে আমরা দুঃখিত।’ ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সিলেটে হবে বিপিএলের ম্যাচ। আগের মতো ১৫ জানুয়ারি থেকেই ঢাকা পর্ব শুরু, ফাইনাল ২৩ জানুয়ারি।

গতকাল বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। আজ সাধারণ ছুটি। গতকাল সিলেট স্টেডিয়ামে বিপিএলে যে দুটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল, সেই দুইটা ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। বিসিবি দুই দফা সূচি পরিবর্তনের পর নতুন সূচি অনুযায়ী ৪ জানুয়ারি সিলেট স্টেডিয়ামে হবে সিলেট টাইটানস-চট্টগ্রাম রয়্যালস, ঢাকা ক্যাপিটালস-রংপুর রাইডার্স এই দুই ম্যাচ।

আগামীকাল নতুন বছরের প্রথম দিন ও পরশু সিলেট স্টেডিয়ামে সূচি অনুযায়ী যে চার ম্যাচ হওয়ার কথা, সেগুলো হবে। আর ৫ জানুয়ারি থেকে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর কথা। পুরো চট্টগ্রাম পর্বের ম্যাচ এখন হবে সিলেটে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের এ মুহূর্তে শীর্ষে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট স্টেডিয়ামে খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ দোয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৪
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গায়েবানা জানাজার একটি মুহূর্ত। ছবি: বিসিবি
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গায়েবানা জানাজার একটি মুহূর্ত। ছবি: বিসিবি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চলছে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক। আজ দুপুর দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিএনপি চেয়ারপারসন এবং তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেয় লাখো মানুষ।

একই সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উদ্যোগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। স্টেডিয়ামের গ্রিন গ্যালারির সামনের অংশে অনুষ্ঠিত এই দোয়ায় অংশ নেন বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেওয়া (বিপিএল) বেশকিছু ক্রিকেটার, বিসিবি ও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা। ক্রিকেটারদের মধ্যে মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, আবু হায়দরা রনি, নাসির হোসেনরা গায়েবানা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল ভোর ছয়টায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান খালেদা জিয়া। দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। খালেদা জিয়ার শোকের প্রতি সম্মান জানাতে গতকাল বিপিএলের দুটি ম্যাচ স্থগিত করেছে বিসিবি। স্থগিত ম্যাচ দুটি আগামী ৪ জানুয়ারি আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

এর আগে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানাতে বিবৃতি দেয় বিসিবি। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গভীরভাবে শোকাহত। বিসিবি কৃতজ্ঞতার সাথে এই দেশের ক্রিকেটের অগ্রগতিতে তার অবদান স্বীকার করছে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে অসামান্য সহযোগিতা করেছেন, ক্রিকেটের অবকাঠামোগত উন্নতি ও দেশব্যাপী খেলাধুলার প্রসারে রেখেছেন উল্লেখযোগ্য। ক্রিকেট আজ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তার পথ প্রশস্ত করতে সাহায্য করেছে বেগম খালেদা জিয়ার দূরদৃষ্টি ও উৎসাহ। বিসিবি এই বিরাট ক্ষতিতে সমগ্র দেশের সাথে গভীর শোক ও দুঃখে শামিল হচ্ছে এবং আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। তার আত্মার চির শান্তির জন্য আমাদের দোয়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অ্যাশেজে ক্রিকেটারদের মদ্যপান নিয়ে তদন্তে কী পেল ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
অ্যাশেজে মদ্যপান নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করল ইসিবি। ছবি: সংগৃহীত
অ্যাশেজে মদ্যপান নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করল ইসিবি। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাশেজে হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে ইংল্যান্ড দলকে নিয়ে সমালোচনা তো হচ্ছেই। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়ানো, হেলমেট ছাড়া ই-স্কুটার চালানো, মদ্যপানসহ অন্যান্য ঘটনার কারণেও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ড। এবার সেই আলোচিত মদ্যপান নিয়ে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

ব্রিসবেনের গ্যাবায় অ্যাশেজেরে দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হয়েছিল ৪ ডিসেম্বর। চার দিনে গ্যাবা টেস্ট শেষ হওয়ায় তৃতীয় টেস্টের আগে ৯ দিনের বিরতি পান ক্রিকেটাররা। সেই সময় কুইন্সল্যান্ডের নুসা সমুদ্র সৈকতে ৪ রাত কাটিয়েছিলেন বেন ডাকেটসহ ইংল্যান্ডের কয়েকজন ক্রিকেটার। সামাজিক মাধ্যমে ক্রিকেটারদের মদ্যপানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তোপের মুখে পড়ে ইংল্যান্ড। ঘটনা নিয়ে ইসিবির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি মেইল’।

তদন্তের পর ইসিবি ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না বলে দ্য ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। ইসিবির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,‘ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। অ্যাশেজ সফরের মাঝপথে কিছুটা ঢিলেঢালা পরিস্থিতি দেখা গেছে। ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন সদস্য তা স্বীকার করছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের মাঝখানে ৯ দিনের বিরতি ছিল। দলের সবাইকে একসঙ্গে নুসা রিসোর্টে পাঠানো ঝামেলা ছিল। তাই আলাদাভাবে গেছেন ক্রিকেটাররা। তদন্তে মদ্যপানের চেয়ে গুরুতর আর কিছু পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে যে গুরুতর কিছু হওয়ার আশঙ্কা ছিল, আদতে তা নয়।’

দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের মাঝে কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের নুসা দ্বীপে ইংলিশ ক্রিকেটারদের মদ্যপানের খবর বিবিসির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বেশকিছু সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছিল। বিবিসি স্পোর্টে ইসিবির ব্যবস্থা পরিচালক রব কি বলেছিলেন, ‘মদ্যপান বা এই ধরনের বিষয় থাকলে অনেক সময় খবরের শিরোনাম বিব্রবতকর হতে পারে। খেলোয়াড়দের মদপান করার খবর ছড়িয়েছে। এমন কিছু যদি হয়ে থাকে তাহলে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যেসব কিছু বাড়িয়ে বলা হয়েছে কিংবা অতিরঞ্জিত করা হয়েছে, তার বিপরীতে আসল সত্যটা কী সেটা আমরা খতিয়ে দেখব। এমন ছবি যখন দেখা যায় যে, পাঁচ-ছয়জন বসে খাবার খাচ্ছে, তাদের মধ্যে দুয়েকজন মদ্যপান করছে, এখানে আসলে কী ঘটেছে সেটা খুঁজে বের করা দরকার।’ এবার তদন্তের পর রব কি মনে করছেন, ক্রিকেটাররা ছুটি কাটাতে নুসা দ্বীপে তখন পার্টির আদলে মজা করছিলেন।

পার্থ, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেডে তিন টেস্ট হেরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে আগেভাগেই অ্যাশেজ খুইয়ে বসে ইংল্যান্ড। এ কারণে নুসা দ্বীপে ইংলিশ ক্রিকেটারদের মদ্যপানের খবর তখন বেশ হই চই ফেলে দিয়েছিল। ইংল্যান্ডের ভরাডুবির পেছনে এটাকে তখন অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছিল। পরবর্তীতে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ৪ উইকেটে জেতে ইংল্যান্ড। সিরিজের চতুর্থ টেস্ট মেলবোর্নে মাত্র দুই দিনে শেষ হয়ে যায়। এর আগে পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টও দুই দিনে শেষ হয়েছিল। ব্রিসবেন টেস্টের স্থায়িত্ব ছিল চার দিন। একমাত্র অ্যাডিলেড টেস্ট পাঁচ দিন গড়িয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত