Ajker Patrika

সাদ উদ্দিনের গোলে মালদ্বীপে ড্র বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাদ উদ্দিনের গোলে মালদ্বীপে ড্র বাংলাদেশের

একের পর এক সুযোগ নষ্টের পর ডিফেন্ডারদের ভুল। ৮৭ মিনিটে এগিয়ে গেল মালদ্বীপ। সেই গোলে যখন চোখ রাঙাচ্ছে হার তখনই ত্রাতা হয়ে এলেন সাদ উদ্দিন। বদলি নামা এই ডিফেন্ডারের গোলে বাংলাদেশ শিবিরে বয়ে গেল স্বস্তির হাওয়া। 

বিশ্বকাপ প্রাক বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে মালে জাতীয় স্টেডিয়ামে পিছিয়ে পড়েও মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। ৮৭ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর স্বস্তির এই ড্র এসেছে সাদ উদ্দিনের পা থেকে। ২০১৯ সালের পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে দ্বিতীয় গোল পেলেন ২৫ বছর বয়সী রাইটব্যাক। মালেতে ড্র হওয়ায় বাছাইপর্বে যাওয়ার রাস্তাটা এখন উন্মুক্ত দুই দলের জন্যই। ১৭ অক্টোবর কিংস অ্যারেনায় প্রাক বাছাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচে যে দলই জিতবে, তারাই খেলবে আগামী বছর থেকে শুরু হওয়া ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। 

ড্রয়ে স্বস্তি এলেও জয় না পাওয়ার আক্ষেপ পোড়াবে বাংলাদেশ দলকে। মালদ্বীপকে কখনোই তাদের মাটিতে হারানো হয়নি বাংলাদেশ ফুটবল দলের। আজ সেই সুযোগ এসেছিল। কিন্তু রাকিব হোসেন-ফয়সাল আহমেদ ফাহিমরা অন্তত দুই হালি সুযোগ করলেন। কখনো রাকিব, কখনো বা ফাহিম; দুজনে মিলে যেন প্রতিযোগিতাই করলেন কত রকমভাবে সুযোগ নষ্ট করা যায়। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত গোলের জন্য এগিয়ে আসতে হলো সাদ উদ্দিনকেই। 

 ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে গোল করে নায়ক হয়েছিলেন সাদ উদ্দিন। সেই গোলের পর তার ভুলে সাফ, চার জাতি টুর্নামেন্টে হেরেছিল বাংলাদেশ। চার বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল পেয়ে সব পাপের প্রায়শ্চিত্তই যেন করলেন বসুন্ধরা কিংসের এই ডিফেন্ডার। 

 ‘মদ’ কাণ্ডে নিষিদ্ধ হওয়ায় গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিনকে রাখা হয়নি মালদ্বীপের বিপক্ষে দলে। আজ মালে জাতীয় স্টেডিয়ামে জিকো ও তপুর পরিবর্তে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে এশিয়াডে আলো ছড়ানো গোলরক্ষক মিতুল মারমা এবং ডিফেন্ডার শাকিল হোসেনের। মোরসালিনের জায়গা নেন উইঙ্গার ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। 

মালে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দুই দলই খেলল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের খেলায় প্রথম বড় সুযোগ এসেছিল মালদ্বীপের, ম্যাচের ১৮ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বলে বক্সে ফাঁকায় বল পান মালদ্বীপ অধিনায়ক আলী ফাসির। তাঁর গতিময় শট গোলরক্ষক মিতুল মারমার হাত ছুঁয়ে পোস্টে আটকে যাওয়ায় রক্ষা বাংলাদেশের। 

বাংলাদেশের প্রথম আক্রমণ ২৬ মিনিটে। সোহেল রানার বাড়ানো বলে মালদ্বীপের তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে মাটি কামড়ানো শট রাকিব হোসেনের। তবে সেই শট অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি জাল। ৩৫ মিনিটে রাকিবের আরেকটি চেষ্টা সফলতার মুখ দেখেনি। সোহেল রানার কর্নার থেকে রাকিবের হেডে বল এবারও পোস্টের বাইরে। 

প্রথমার্ধে বাংলাদেশের সেরা সুযোগটা নষ্ট হয়েছে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ভুলে। পোস্টের মুখে মালদ্বীপ ডিফেন্ডার আনাফ রশীদের ভুলে গোলে শট নেওয়ার পরিবর্তে ফাহিম শট নেন বাইরে। 

 ৫৩ মিনিটে রাকিব আবারও হতাশ করেন দলকে। সোহেল রানার দূরপাল্লার ক্রস থেকে বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডের আড়াআড়ি শট এবারও জড়ায়নি জালে। তিন মিনিট পর ফাহিমও শট নেন পোস্টের বাইরে। 

দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত মালদ্বীপ ৬৫ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই বসেছিল। বাঁ প্রান্ত ধরে বিপজ্জনক এক ক্রস করেছিলেন হামজা মোহাম্মদ। লক্ষ্য ছিল আলী ফাসির। বল ফাসিরের পায়ে অবধি পৌঁছানোর আগেই বল বিপদমুক্ত করে দলকে বাঁচান অভিষিক্ত ডিফেন্ডার শাকিল হোসেন। 

পুরো ম্যাচে হালি খানেক সুযোগ নষ্ট করা ফাহিম ৭০ মিনিটে আবারও হতাশ করলেন বাংলাদেশকে। ডান প্রান্ত ধরে রাকিব হোসেনের ক্রস ধরে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলেই গোল পেতেন ফাহিম, কিন্তু চলতি বলে শট নিতে গিয়ে বল বাইরে পাঠালেন ক্রসবারের ওপর দিয়ে। সুযোগ নষ্টের খেসারত হিসেবে ফাহিমকে পরের মিনিটেই তুলে নিয়ে মুজিবর রহমান জনিকে নামান বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তুলে নেওয়া জামাল ভূঁইয়াকেও। তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রবিউল হাসান। 

রবিউল মাঠে নেমেই তৈরি করেন সুযোগ। ৭৪ মিনিটে নেন দারুণ এক শট। তবে সেই শট ফিস্ট করে এবারও লাল-সবুজদের হতাশায় ডোবান মালদ্বীপ গোলরক্ষক হুসেইন শরীফ। 

 ৭৭ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে মালদ্বীপ। এবারও বিপদ ঘটাতে পারতেন আলী ফাসির। বাংলাদেশের গোল মুখে ফাঁকায় বল পান মালদ্বীপ অধিনায়ক। তার শট মিতুল মারমার মাথায় লেগে দিক পাল্টে চলে যায় বাইরে। 

নিজেরা সুযোগ নষ্ট করে ৮৭ মিনিটে মালদ্বীপকে উল্টো গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। বদলি ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম হুসেনের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে নিজ সতীর্থ শাকিলের গায়ে হেড নেন ডিফেন্ডার তারিক কাজী। বল শাকিলের গায়ে প্রতিহত হয়ে পড়ে আরেক বদলি ফরোয়ার্ড হাসান নাজিমের পায়ে। এমন উপহার পাওয়া সুযোগ একদমই নষ্ট করেননি নাজিম। মিতুলকে পরাস্ত করে এগিয়ে দেন মালদ্বীপকে। 

পিছিয়ে পড়ার পরই মরিয়া হয়ে উঠল বাংলাদেশ। তাতে এড়ানো হলো হার। অতিরিক্ত সময়ে বাঁ প্রান্ত থেকে রাকিবের ক্রস থেকে মালদ্বীপ গোলরক্ষকের পায়ের মাঝখান দিয়ে বল জালে জড়িয়ে বাংলাদেশের হার এড়ান বদলি ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কলম্বিয়ায় ফুটবল ম্যাচে সহিংসতায় আহত ৫৯

ক্রীড়া ডেস্ক    
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে পরশু রাতে কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল। ১-০ গোলে আতলেতিকো ন্যাশনাল জয়ের পরই ভক্ত-সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন। আতশবাজি-আগুন নিয়ে এমনভাবে হামলা চালিয়েছিলেন ভক্তরা, যেটা সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা ‘এল কলোম্বিয়ানো’র এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরানো হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে অনেক আসন। গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হয় ১৪ মিনিট।

মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালে সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গুতিয়েরেস বলেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। সবাই মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য পরিবেশ নষ্ট হবে, এমনটা তো হতে দেওয়া যাবে না। বছরের পর বছর ধরে আমরা পুরো লাতিন আমেরিকায় শান্তিপূর্ণ ফুটবলের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।’ পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো বলেন, ‘স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র, আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে। ১২০ কেজিরও বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরির মতো রাসায়নিক বস্তু) ছিল সেখানে।’

দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল কলম্বিয়া কাপ ফাইনালের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরশু রাতে দ্বিতীয় লেগটা হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে জিতে শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো ন্যাশনাল। কিন্তু মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আতলেতিকো ন্যাশনালের ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, শিরোপা নিয়ে উদযাপন-কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে সোনার লড়াইয়ে বাংলাদেশের জুমার-ঊর্মি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।

রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।

ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’

জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’

এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৫৮ রান তাড়া করে জিতে ব্রিসবেনের ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক    
ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইলডারমুথের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছে ব্রিসবেন হিট। ছবি: ক্রিকইনফো
ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইলডারমুথের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছে ব্রিসবেন হিট। ছবি: ক্রিকইনফো

গায়ের জোরে জেতা যাকে বলে, ঠিক তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল আজ বিগ ব্যাশে। গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল হাতে রেখে তাড়া করে নতুন ইতিহাস গড়েছে ব্রিসবেন হিট। বিগ ব্যাশে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড নেই আর কারও।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রান তাড়ায় দুজন ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইল্ডারমুথ ২১২ রানের জুটি গড়ে হিটকে আট উইকেটের জয় এনে দেন। বিগব্যাশে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। টস হেরে আগে ব্যাটিং করা পার্থ স্করচার্স ৬ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে। ফিন অ্যালেন (৩৮ বলে ৭৯) ও কুপার কনোলি (৩৭ বলে ৭৭) দুজনে মিলে ১৪টি ছক্কায় সাজানো ঝোড়ো ১৪২ রানের জুটি গড়েন।

শেষদিকে নিক হবসন অপরাজিত ৪৮ রান করে ইনিংসের ফলে হিটের সামনে দাঁড়ায় প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য। রান তাড়ার প্রথম বলেই অধিনায়ক জাই রিচার্ডসনের বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফিরলেও কলিন মনরোর দলটি বিচলিত হয়নি। রেনশ ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি বিশাল ছক্কা; ১০১ রানে তিনি রানআউট হন। উইল্ডারমুথ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মাত্র ৫৪ বলে অপরাজিত ১১০ রানের এই ইনিংসে তিনি ছিলেন বিধ্বংসী। সব মিলিয়ে ৩৬ ছক্কার দেখা মিলেছে এই ম্যাচে; বিগ ব্যাশে আগে কখনো ঘটেনি তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সেই দুবাইয়ে ফের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৪
২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে পরশু মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ছবি: এসিসি
২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে পরশু মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ছবি: এসিসি

খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেই দুবাইয়ের আরেক স্টেডিয়ামে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।

ভারত-পাকিস্তান এবারও মুখোমুখি হচ্ছে এশিয়া কাপ ফাইনালে। তবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টটা মূলত বয়সভিত্তিক। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পরশু হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আজ দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে এক সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। একই শহরের আরেক মাঠ আইসিসি একাডেমিতে আরেক সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেসেখেলে জিতেছে ভারত।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু দুবাইয়ে সাতসকালে বৃষ্টির কারণে কোনোটাই সময়মতো শুরু হয়নি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছে ২৭ ওভারে। অন্যদিকে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালটা হয়েছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে আজ ২০ ওভারে ১৩৮ রানের লক্ষ্যে নেমে একটু চাপে পড়ে ভারত। ৩.৩ ওভারে ২ উইকেটে ২৫ রানে পরিণত হয় আয়ুশ মাত্রের নেতৃত্বাধীন ভারত। অধিনায়ক মাত্রে (৭) ও বৈভব সূর্যবংশী (৯) দুই ওপেনারই এক অঙ্কের ঘরে রান করে আউট হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বোলারদের সামনে এরপর ঢাল হয়ে দাঁড়ান অ্যারন জর্জ ও বিহান মালহোত্রা। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ বলে ১১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (জর্জ-মালহোত্রা)। ২ ওভার হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ভারত।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়ে দুই ভারতীয় জর্জ ও মালহোত্রা ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন। ৪৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মালহোত্রা। জর্জ ৪৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার দুটি উইকেটই নিয়েছেন রাসিত নিমসারা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন চামিকা হিনাতিগালা। ভারতের হেনিল প্যাটেল ও কনিষ্ক চৌহান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কিশান সিংহ, দিপেশ দেবেন্দ্রন ও খিলান প্যাটেল।

ভারত এর আগে আটবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। পাকিস্তান জিতেছে একবার। সেটাও ভারতের বিপক্ষে। ২০১২ সালে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল টাই হলে যৌথভাবে তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সময় পরশু বেলা ১১টায় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত