Ajker Patrika

সেমিফাইনাল করতে করতে ম্যাচই হারল বাংলাদেশ, আফগানরা গড়ল ইতিহাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৪, ১১: ৪৪
সেমিফাইনাল করতে করতে ম্যাচই হারল বাংলাদেশ, আফগানরা গড়ল ইতিহাস

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে ১২.১ ওভারে ১১৬ করতে হতো বাংলাদেশ দলকে। রশিদ খানের ঘূর্ণি জাদু আর নাভিন উল হকের তোপে সেটি আর করতে পারেনি তারা। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ৮ রানে হেরে সুপার এইট থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়ল আফগানিস্তান। 

সেন্ট ভিনসেন্টে বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে আটকে ফেলে বাংলাদেশ। কয়েক ধাপে বৃষ্টির পর ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য স্থির হয় ১৯ ওভারে ১১৪ রান। ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে তাদের থামিয়ে দেন আফগান বোলাররা। 

দলকে জেতাতে না পারলেও তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৮ ইনিংস পর লিটন দাস পেয়েছেন ফিফটি। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে না জেতাতে পারার আক্ষেপ হয়তো করছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। 

সেমিফাইনালের যেন সমীকরণ অনুযায়ী ১২.১ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে সক্ষম হয় ৮৩ রান। ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারে ১৩ রান তোলে বাংলাদেশ। লিটন মেরেছেন ১টি করে ছক্কা ও চার। দ্বিতীয় ওভার থেকেই খেই হারাতে শুরু করে তাদের ব্যাটিং অর্ডার। ফজলহক ফারুকির দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তানজিদ তামিম। ১৬ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ৩ বলে কোনো রান তুলতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিম তৃতীয়বারের মতো ‘ডাক’ মেরে আউট হয়েছেন। 

তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন নাভিন উল হক। পরপর দুই বলে নাজমুল হোসেন শান্তকে ৫ ও সাকিব আল হাসানকে ফেরান গোল্ডেন ডাকে। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে সৌম্য সরকারকে নিয়ে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করেন লিটন। 

দ্রুত উইকেট হারানোয় স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট চালাতে পারছিলেন না লিটন-সৌম্য। পাওয়ার-প্লেতে ৪৬ রান তোলে বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারে বোলিং আক্রমণে এসে রশিদ খান দিয়েছেন দারুণ ব্রেক-থ্রু। ১০ বলে ১০ রানে রশিদের বলে বোল্ড হন সৌম্য। লিটনের সঙ্গে ভাঙে তাঁর ২২ বলে ২৫ রানের জুটি। তারপর তাওহিদ হৃদয় (১৪), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৬) ও রিশাদ হোসেনকে (০) ফিরিয়ে বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান রশিদ। 

মাঝের ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন রশিদ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টিম সাউদির পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে দেড় শ উইকেটের মাইলফলক ছুঁলেন তিনি। শেষ দিকে তাসকিন, মোস্তাফিজ ও তানজিম সাকিব সঙ্গে দিতে পারেননি লিটনকে। ৪৯ বলে ৫৫ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলেছেন লিটন। ২৬ রান দিয়ে নাভিন নিয়েছেন ৪টি উইকেট। 

আফগানিস্তানের জয়ে বিদায় নিল অস্ট্রেলিয়াও। সমীকরণ ছিল আফগানিস্তান জিতলেই বিদায় নেবে অজিরা। আর্নস ভেল গ্রাউন্ডে সেমিফাইনালের জটিল সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ। এই বিশ্বকাপে আফগানিস্তান এত দূর যাওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের। 

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে অন্তত ১০০ রানের জুটি গড়েছেন গুরবাজ-ইব্রাহিম। বাংলাদেশ ম্যাচের আগ পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ গড় (৭৬.৬০) এই জুটির। এ ম্যাচেও দারুণ শুরু পেয়েছিলেন তাঁরা। তবে তাঁদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ-রিশাদ হোসেনরা। নিজেদের ধরন অনুযায়ী খেলতে দেননি তাঁদের। 

পাওয়ার প্লেতে ২৭ রান তুলতে পারে আফগানিস্তান। ওভারপ্রতি আফগান ওপেনাররা রান তুলতে পেরেছেন ৪.৫০ ইকোনমিতে। সংগ্রাম করছিলেন দুজনে। একটু দেরি হলেও রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণি জাদুতে ৫৯ রানে ভাঙে গুরবাজ-ইব্রাহিমের জুটি। 

 ১১তম ওভারে চতুর্থ বলে জায়গা বানিয়ে তুলে মেরেছিলেন ইব্রাহিম। লং অফ থেকে অনেকটা ছুটে গিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। ২৯ বলে ২৮ রান আসে ইব্রাহিমের ব্যাট থেকে। 

ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়েন রিশাদ। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই লেগ স্পিনারের শিকার এখন ১৪ উইকেট। ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব আল হাসানকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট শিকার করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। এবার তাঁকে পেছনে ফেললেন রিশাদ। 

১৬তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান (১০) মোস্তাফিজুর রহমান। ১৭তম ওভারে আরেক ওপেনার গুরবাজকেও ফেরান রিশাদ। ৫৫ বলে ৪৩ রানের মন্থর এক ইনিংস খেলেছেন এই তরুণ ব্যাটার। একই ওভারে গুলবাদিন নায়েবকেও (৩) ফেরান রিশাদ। শেষ দিকে রশিদ খানের ৩ ছক্কায় ১০ বলে ১৯ রানের ইনিংসের কল্যাণে ৫ উইকেটে ১১৫ রান তোলে আফগানিস্তান। ২৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার রিশাদের। মোস্তাফিজ ও তাসকিন নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলার কঠিন শাস্তি পেল ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫ গোলের থ্রিলারে রহমতগঞ্জের জয়, অঘটনের শিকার আবাহনী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নাটকীয় জয় পেয়েছে রহমতগঞ্জ। ছবি: ফাইল ছবি
নাটকীয় জয় পেয়েছে রহমতগঞ্জ। ছবি: ফাইল ছবি

জয়ের খুব কাছেই ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে তারা। কিন্তু এরপর রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি শুধু ম্যাচই ছিনিয়ে নেয়নি, মাঠ ছেড়েছে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয়। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আবাহনী লিমিটেড রয়েছে সেই হতাশার বৃত্তেই। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ তাদের বিপক্ষে ২-২ গোলের নাটকীয় ড্রয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাব।

মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচের অনেকটা জুড়েই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকে। কিন্তু গোলের খাতায় ব্রাদার্সের এগিয়ে যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট। সানিশ শ্রেষ্ঠার পাস থেকে জাল কাঁপান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস রুদওয়েরে। এরপরই সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে রহমতগঞ্জ। লক্ষ্য অবশ্য খুঁজে পাচ্ছিল না।

বিরতির পর পুরান ঢাকার ক্লাবটি আবারও পিছিয়ে যায়। ৭৫ মিনিটে অঞ্জন বিস্তার কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিদিয়ের ব্রোসু। এমন ধাক্কার পরও মনোবল হারায়নি রহমতগঞ্জ। হারাতে দেননি অধিনায়ক সলোমন কিং। ৭ মিনিটের ব্যবধানে বদলে ফেলেন পুরো ম্যাচের দৃশ্যপট। প্রথমে ৮২ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে সেটি গোলে রূপ দেন এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। ৮৭ মিনিটে লং থ্রো থেকে আসা বল তিন হেডে আশ্রয় নেয় ব্রাদার্সের জালে। শেষ হেডটি ছিল সলোমনের।

সমতায় ফিরে এসে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যেতে সময় নেয় আর দুই মিনিট। এবার ডানপ্রান্ত দিয়ে সলোমনের দেওয়া পাসে গোলটি করেন ক্লেমেন্ত আদু। রহমতগঞ্জের জয় আর ঠেকানোর কোনো সুযোগই পায়নি। অবশ্য হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সলোমন। কিন্তু যোগ করা সময়ে তাঁর পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক শান্ত কুমার রায়।

এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে রহমতগঞ্জ। ৭ পয়েন্ট নিয়ে আটে নেমেছে ব্রাদার্স। অবশ্য আবাহনী জিতলে বরং এক ধাপ ওপরেই থাকত তারা। জেতার পথে থাকা আবাহনীর পথ হারিয়ে ম্যাচের শুরু আর শেষেই।

কুমিল্লায় ১০ মিনিটে পিডব্লিউডি এগিয়ে যায় মিনহাজুল স্বাধীনের গোলে। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে ধুঁকতে থাকা আবাহনীকে সমতায় ফেরান আল আমিন। পেছন থেকে সেই গোলে অবদান রাখেন শেখ মোরসালিন। ৭৪ মিনিটে পিডব্লিউর ডিফেন্ডার আল আমিনের কাছ থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো আরও বিপদ ডেকে আনেন। বল ঠেলে দেন মোরসালিনের পায়ে। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে ডান কোনা দিয়ে জালে পাঠান মোরসালিন।

সেই গোলে ভর করে আবাহনীর জয় ছিল অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু রক্ষণের ভুলে মাশুল দিতে হলো আবারও। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে আবাহনীর ডিফেন্ডারের উড়িয়ে মারা শটে ভলিতে পরিণত করেন আবু সাইদ। পিডব্লিউডিও মাঠ ছাড়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে। ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতে আছে তারা। চারে থাকা আবাহনীর সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার ‘বিশেষ ব্যবস্থা’

ক্রীড়া ডেস্ক    
বৈরি আবহাওয়ায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ছবি: ক্রিকইনফো
বৈরি আবহাওয়ায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ছবি: ক্রিকইনফো

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থা (বিসিসিআই)। সামাজিক মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকেরা তো বটেই, ডেল স্টেইন-রবিন উথাপ্পারাও ধুয়ে দিয়েছেন বিসিসিআইকে। লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে সেদিন ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর বিশেষ ব্যবস্থা নিল উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা (ইউপিসিএ)।

লক্ষ্ণৌতে পরশু রাতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি বাতিল হওয়ার পর ভক্ত-সমর্থকদের অনেকেই টিকিটের টাকা ফেরত চেয়েছেন। এবার তাঁদের সুখবর দিল উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা। কোন উপায়ে দর্শকেরা টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন, সেই ব্যবস্থাও বাতলে দিল ইউপিসিএ। সংস্থাটির সচিব প্রেম মনোহর বলেন, ‘যেসব ভক্ত-সমর্থকেরা অনলাইনে টিকিট বুকিং দিয়েছেন, তাদের অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে পরিমাণ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন, পুরোটাই ফেরত দেওয়া হবে। টিকিটের অর্থ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে নোটিফিকেশন যাবে ইমেইলে। আপডেট পেতে যেন তাঁরা নিয়মিত ইমেইল খেয়াল রাখেন।’

অনলাইনে টিকিট না কেটে যাঁরা স্টেডিয়ামে গিয়ে টিকিট কেটেছেন, তাঁরাও টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন মনোহর। ইউপিসিএ’র সচিব বলেন, ‘যাঁরা অফলাইনে টিকিট কেটেছেন, তাঁদের অবশ্যই সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ক্রয়কৃত টিকিটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র দরকার। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ সময় পরশু সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে বারবার ম্যাচের পর্যবেক্ষণের সময় বদলানো হয়। ছয় দফা অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানসহ উপমহাদেশে এখন শীতকালের কারণে ঘন কুয়াশা অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু গতকাল লক্ষ্ণৌতে হার্দিক পান্ডিয়াসহ অনেক ক্রিকেটারকেই মাস্ক পরে ঘুরতে দেখা গেছে। একটা পর্যায়ে ভারতীয় দল ড্রেসিংরুমের ভেতরেই নিজেদের আবদ্ধ করে রাখে।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। টেস্টে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে প্রোটিয়ারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অধিনায়ক বদলাল শ্রীলঙ্কা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩২
টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পেলেন শানাকা। ছবি: ক্রিকইনফো
টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পেলেন শানাকা। ছবি: ক্রিকইনফো

২০২৫ এশিয়া কাপ ব্যর্থতার পর থেকেই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক পরিবর্তনের কথা ভাবছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। সেটাই এবার বাস্তবায়ন করল সংস্থাটি। চারিথ আসালাঙ্কাকে সরিয়ে দাসুন শানাকাকে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটের নেতৃত্বভার দিয়েছে এসএলসির নতুন নির্বাচক প্যানেল।

গত বছরের জুলাইয়ে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব পান আসালাঙ্কা। তাঁর অধীনে প্রত্যাশিত ফল পায়নি লঙ্কানরা। ২৫ টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছে মাত্র ১১ টিতে। বিপরীতে হেরেছে ১২ ম্যাচ। অধিনায়ক থাকাকালীন ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি আসালাঙ্কা। ২৫ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছেন ৩৬৮ রান। ব্যাটিং গড় ১৯.৩৬। স্ট্রাইকরেট ১৩৫.২৯। ফিফটি করেছেন মাত্র একটি। চলতি বছর ১৫.৬০ গড়ে করেছেন ১৫৬ রান।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ২৫ সদস্যের প্রাথমিক দল দিয়েছে এসএলসি। অধিনায়কত্ব হারালেও সে দলে আছেন আসালাঙ্কা। আগামী মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কা। সে সিরিজ দিয়ে নেতৃত্ব বুঝে নেবেন শানাকা।

গত মাসে পাকিস্তানের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে রানার্সআপ হয় শ্রীলঙ্কা। সে সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক ছিলেন শানাকা। আসালাঙ্কা অসুস্থ হয়ে পড়লে নেতৃত্ব পান এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শ্রীলঙ্কার ২৫ সদস্যের প্রাথমিক দল: দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, নিরোশান ডিকভেলা, জানিথ লিয়ানাগে, চারিথ আসালাঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, পবন রত্নায়েকে, সাহান আরাচিগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, দুনিত ভেল্লালাগে, দুশান হেমন্ত, ট্রাভিন ম্যাথু, বিজয়াকান্ত বিশ্বকান্ত, দুশমন্ত চামিরা, নুয়ান থুসারা, মাথিশা পাতিরানা, এসান মালিঙ্গা, প্রমোদ মাদুশান, দিলশান মাদুশঙ্কা, মিলান রত্নায়েকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত