Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

খুব ভালো মুডে আছি

খুব ভালো মুডে আছি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসও নেই। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই বিশ্বকাপের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করতে বাংলাদেশ দল চলে যাবে ওমানে। বিশ্বকাপের মঞ্চে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা এখন আছেন ছুটিতে। এ অবসরে মাহমুদউল্লাহ সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বললেন নিজের অধিনায়কত্ব, ব্যাটিং, সর্বশেষ সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।      

রানা আব্বাস
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ১৪

প্রশ্ন: বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলেছেন। একই সঙ্গে এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক আপনি। দুটি অর্জন কীভাবে দেখেন? 
মাহমুদউল্লাহ: আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, বাংলাদেশের হয়ে ১০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। আর অধিনায়ক হিসেবে যে কটা ম্যাচ জিতেছি, পুরোটাই দলের কৃতিত্ব। দল ভালো করেছে, আমরা ম্যাচ জিতেছি। সেটা আমার অধিনায়কত্বে এসেছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, দল হিসেবে এই সংস্করণে আমাদের আরও ভালো কিছু করার বাকি। আশা করি, দল হিসেবে আরও ভালো কিছু অর্জন করব আমরা। আমাদের সব সময় এই সংস্করণে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটি ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবহেলা কিংবা নির্ভার হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এটা আমরা সবাই জানি। দল হিসেবে আমরা খুব ভালো অবস্থায় আছি। এটা ভাবতে আমার ভালো লাগে। 

প্রশ্ন: ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রথম বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর শুধু আপৎকালীন দায়িত্বই পেয়েছেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত সফরের আগে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন এমনই এক পরিস্থিতিতে (সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায়)। গত দুই বছরে অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে সবচেয়ে বেশি কী ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছে? 
মাহমুদউল্লাহ: সব সময়ই এই চ্যালেঞ্জ উপভোগ করি। বিশ্বাস করি, এই চ্যালেঞ্জ বা এই দায়িত্বটা আমার খেলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। দায়িত্ব আমি নিতেও পছন্দ করি। এটা একেকজন একেকভাবে চিন্তা করে। এটা ইতিবাচকভাবে নিই। এবং সেভাবেই দায়িত্ব পালন করতে ভালোবাসি। 

প্রশ্ন: ওয়ানডেতে ওপরে খেলে অনেক সফল হয়েছেন। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফিনিশিং ভূমিকাটাই কি আপনার জন্য যথার্থ হিসেবে ধরে নিয়েছেন? আরেকভাবে বললে, চাপ নিয়ে খেলাই কি বেশি উপভোগ করেন? 
মাহমুদউল্লাহ: ওয়ানডেতে এর আগে চার-পাঁচে ব্যাটিং করেছি। তার আগে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সাত-আটে ব্যাটিং করতাম। সব সময়ই দলের জন্য খেলার চিন্তা করি। দলে অবদান রাখার চেষ্টা করি। প্রায়ই বলি, যেকোনো পরিস্থিতিতে দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলেই খুশি। আর যেকোনো খেলায় চাপ থাকবে। চাপ নিয়েই খেলতে হবে। সেভাবে আপনার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে, যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফরমার হতে চান। বাইরের বিষয়গুলো না ভেবে যদি নিজের খেলা বা প্রক্রিয়ার প্রতি মনোযোগী থাকেন বাকিগুলো এমনি ঠিক হয়ে যাবে। 

প্রশ্ন: তীব্র চাপের মুহূর্তে আপনার সঙ্গে যখন একজন তরুণ খেলোয়াড় যেমন আফিফ-সোহান-শামীমের জুটি হয়, তখন তাদের উদ্বুদ্ধ করেন কোন উপায়ে?
মাহমুদউল্লাহ: আফিফ (হোসেন) ও সোহান (নুরুল হাসান) ম্যাচ শেষ করে আসার সামর্থ্য রাখে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা অনেক ম্যাচে তাদের দেখেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কথা বললে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সোহান বেশ ভালোভাবে একটা ম্যাচ শেষ করেছে, যেখানে আমরা একটু সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলাম। আফিফেরও ফিনিশিং সামর্থ্য ভালো। শামীমেরও ম্যাচ শেষ করার ভালো সামর্থ্য আছে। চাপের মুখে আমরা স্নায়ুচাপ কীভাবে সামলাচ্ছি, সেটার ওপর এটা নির্ভর করছে। আমার মনে হয় ওরা ব্যাপারটা বোঝে। যখন আমরা একসঙ্গে ব্যাটিং করি ওদের সঙ্গে আমার বোঝাপড়াও খুব ভালো হয়। দায়িত্বটা আমরা বুঝি এবং সেটা আমরা ভাগাভাগি করে নিই। আর তখন ফিনিশিংয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায়।

প্রশ্ন: গত দুটি সিরিজ প্রসঙ্গে আসি। ঘরের মাঠে দুটি জেতার পরও উইকেট-কন্ডিশন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, হচ্ছে। এসব কীভাবে দেখছেন?  
মাহমুদউল্লাহ: আমরা এটা নিয়ে একবারেই বিচলিত নই। দলের পরিবেশ এখন খুব ভালো আছে। আমরা খুব ভালো মুডে আছি। আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলে জিতেছি। যারা বিষয়গুলো নেতিবাচকভাবে দেখছেন, তাঁদের ইতিবাচক বিষয়গুলোও দেখা উচিত। যে কন্ডিশনে আমরা খেলেছি, সেটা প্রতিপক্ষের জন্যও কঠিন ছিল। ওদের জন্য কঠিন, আমাদের জন্য ব্যাটিংস্বর্গ ছিল, বিষয়টা তা নয়। এখানে আমাদের বোলিং বিভাগকে কৃতিত্ব দিতে হবে। এই কঠিন কন্ডিশনে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতেছি, সেটিরও কৃতিত্ব দিতে হবে। 

প্রশ্ন: আপনাদের কি এ ধরনের পরিকল্পনা ছিল যে কোন কন্ডিশন-উইকেট খেলছি, সেটির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বড় দলকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে আগে উন্নতি করতে হবে। আপনাকেই কিন্তু এই দুইটা সিরিজের আগে অনেকবার বলতে হয়েছে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ কতটা ভালো দল, সেটা র‍্যাঙ্কিং প্রমাণ করে না!
মাহমুদউল্লাহ: আসলে র‍্যাঙ্কিং নিয়ে আমরা খুব একটা মাথা ঘামাই না। আমরা আমাদের খেলা নিয়ে মনোযোগী। দল জিতলে আমরা খুশি। যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে থাকি, দল যদি জিততে থাকে, আমাদের উন্নতির গ্রাফ যদি ইতিবাচকভাবে ওপরের দিকে যেতে থাকে, র‍্যাঙ্কিংয়ের বাকি বিষয় এমনি ঠিক হয়ে যাবে। 

প্রশ্ন: বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে সাধারণত হাই স্কোরিং উইকেটে খেলা হয়। এ ধরনের উইকেটে লিটন-সৌম্যর মতো টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত খেলবে, আপনি কতটা আশাবাদী? আর তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ ওপেনার টুর্নামেন্টে কতটা মিস করবেন? 
মাহমুদউল্লাহ: আমাদের ওপেনিংয়ে যারা আছে, তাদের নিয়ে খুবই আশাবাদী। তারা ভালো করতে যথেষ্ট সক্ষম। আশা করি, তারা বড় মঞ্চ দুর্দান্ত খেলবে। 

প্রশ্ন: ওমানে বাংলাদেশ আগে কখনো খেলেনি। যদিও সেখানে আপনারা টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবেন। তবু প্রথমবারের মতো ওমানের কন্ডিশনে বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে? 
মাহমুদউল্লাহ: আমার মনে হয় ওমান ও আরব আমিরাতের কন্ডিশন প্রায় একই হবে। যদিও ওমানে আমরা খেলিনি। তবে আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির বড় অংশ যেহেতু সেখানে হবে, আমরা জানতে পারব কোন ধরনের উইকেটে সেখানে খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের সঙ্গে সেভাবে কথা বলবে। আশা করি, ভালো ধারণা পাব, এটা বড় কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের প্রস্তুতি যেন ভালোভাবে সারতে পারি, সেটার দিকে খেয়াল করতে হবে। প্রস্তুতি ম্যাচে যদি আমরা ভালো খেলে জয় দিয়ে শুরু করতে পারি, সেটা ভালো কাজে দেবে। আমরা ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে টুর্নামেন্টে যেতে পারব। 

প্রশ্ন: গত পরশু তামিম এক ফেসবুক লাইভ আড্ডায় বলছিলেন, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি যদি অধিনায়ক থাকেন, তবে বিশ্বকাপে খেলতে যাবেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোষণা দিয়ে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ কি ঘোষণা দিয়ে যেতে চান এই বিশ্বকাপে? 
মাহমুদউল্লাহ: টি-টোয়েন্টিতে ওভাবে ঘোষণা দিয়ে কোনো কিছু অর্জন করা কঠিন। এই সংস্করণে নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে। একজন ব্যাটসম্যান যদি ৭০-৮০ রানের বড় স্কোর করে। একজন বোলার যদি কম রান দিয়ে ৪-৫ উইকেটের দুর্দান্ত একটা স্পেল করে, সঙ্গে দুই-একজন যদি ছোট অবদান রাখতে পারে, জয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট। আমাদের একটা দল হয়ে খেলতে হবে। যার যেদিন সুযোগ আসে, সেটা বোলিং কিংবা ব্যাটিং হোক, নিশ্চিত করতে হবে সে যেন ওই দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারে। এই দায়িত্ববোধ সবার মধ্যেই থাকতে হবে। 

প্রশ্ন: এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ফেবারিট মনে হয় কোন দলকে?
মাহমুদউল্লাহ: আমার কাছে সবাইকেই ফেবারিট মনে হয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবাই ভালো খেলার চেষ্টা করবে। এটা সময়ই বলে দেবে। 
 
প্রশ্ন: কখনো কখনো নানা ঘটনার ঘনঘটায় চারদিকে দলের অনেক বিষয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয় বাইরে। তখন ড্রেসিংরুমের পরিবেশ কোন উপায়ে স্বাভাবিক রাখেন? 
মাহমুদউল্লাহ: আমরা বাইরের বিষয় নিয়ে খুব একটা আলোচনা করি না। নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকি। নিজেদের কাজ নিয়ে চিন্তা করি। নিজেদের খেলা নিয়ে চিন্তা করি। বাইরের ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। বরং নিজেদের প্রক্রিয়াটা আমরা কীভাবে ধরে রাখতে পারি আর দল কী চাচ্ছে, সে ব্যাপারগুলো নিয়ে বেশি মনোযোগী। যাতে আমরা ম্যাচ জিততে পারি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিদায়ী ম্যাচের আগে আবেগী হয়ে পড়লেন মেসির সতীর্থ

ক্রীড়া ডেস্ক    
বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার সময় ইন্টার মায়ামিতেও সতীর্থ জর্দি আলবা ও লিওনেল মেসি। আলবা আগামীকাল তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন। ছবি: এএফপি
বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার সময় ইন্টার মায়ামিতেও সতীর্থ জর্দি আলবা ও লিওনেল মেসি। আলবা আগামীকাল তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন। ছবি: এএফপি

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।

এ বছরের অক্টোবরে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আলবা। ২০২৫ এমএলএস দিয়ে শেষ করবেন তাঁর দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগী হয়ে পড়লেন আলবা। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় মুহূর্তটা কেমন হবে, সেটা অনুভব করতে পারছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার বলেন,‘এটা একেবারে আলাদা। কারণ, আমি জানি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অবশ্যই এটা ফাইনাল ম্যাচ। এর গুরুত্ব আছে। কিন্তু এটা ক্লাব ছাপিয়ে বড় কিছু। যা-ই হোক না কেন, আমি ছেড়ে যাচ্ছি। অবশ্যই শিরোপা দিয়ে শেষ করতে চাই।’

২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১ বছর বার্সেলোনায় খেলেছেন জর্দি আলবা। যে ২০২৩ সালে মেসি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে গিয়েছেন, সে বছরই আলবা পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামিতে। বার্সা থেকে যখন বিদায় নিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তের কথা এমএলএস কাপ ফাইনালের আগের দিন স্মরণ করেছেন। আলবা বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এটা সামলাব। সেই আবেগী মুহূর্তটা অনুভব করা যায় না। বার্সেলোনার হয়ে আমার শেষ ম্যাচের দিনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এটা (এমএলএস কাপ ফাইনাল) তো শুধু দলবদল নয়। আমার তো এরপর আর মাঠেই নামা হবে না।’

ইন্টার মায়ামি যেন বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। মেসি, সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস, আলবারা ফের মিলেছেন মায়ামিতে এসে। মেসি আসার পর ২০২৩ সালে লিগস কাপ, ২০২৪ সালে সাপোর্টার্স শিল্ড—এই দুটি শিরোপা জিতেছে মায়ামি। যে স্টেডিয়ামেই ইন্টার মায়ামির ম্যাচ হোক না কেন, মেসির খেলা দেখতে গ্যালারি ভরপুর হয়ে ওঠে। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ভক্ত-সমর্থকেরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। গত বছর কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের যে স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলা হয়েছে, সেখানে তাঁর জার্সি পরিহিত ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে দেখা গেছে।

মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে আবার যে পুনরায় একত্রিত হতে পেরেছেন, সেটা আলবার কাছে রোমাঞ্চকর। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেন, ‘নতুন এক ধরনের অভিজ্ঞতা হবে। তবে রোমাঞ্চকর। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে আবার পুনর্মিলন হয়েছে। ক্লাবটা (ইন্টার মায়ামি) কতটা গড়ে উঠেছে, সেটা স্পষ্ট। ফাইনালে ওঠা ইন্টার মায়ামির জন্য ঐতিহাসিক। তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলতে পেরে সৌভাগ্য।’ বার্সার জার্সিতে আলবা ছয়বার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল জিতলে মায়ামির হয়ে শিরোপার হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। মেসির মতো আলবাও মায়ামির হয়ে লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা জিতেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতের দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন হরভজন

ক্রীড়া ডেস্ক    
৩৫৮ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
৩৫৮ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং বোলার নেই।

সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের বোলিং লাইনের দুর্বলতা কেমন চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজই সেটার বড় প্রমাণ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৪৯ রান করেও স্বস্তিতে ছিল না স্বাগতিকেরা। বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও অলআউট হওয়ার আগে ৩২২ রান করে অতিথিরা।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের পুঁজি ছিল আরও বেশি; ৩৫৮ রানের। এবার আর রক্ষা হয়নি লোকেশ রাহুলদের। ৪ বল এবং সমান উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮.২ ওভারে ৮৫ রান দেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ১০ ওভার বল করা হার্শিত রানার খরচ ৭০ রান। এর আগে প্রথম ম্যাচেও খরুচে বোলিং করেছিলেন আর্শদীপ সিং, রানা, কুলদীপ, রবীন্দ্র জাদেজারা।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বুমরাহ ছাড়াও সিরাজ অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। ভারত এমন সব টেস্ট জিতেছে যেখানে বুমরাহ খেলেনি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে এমন সব বোলার খুঁজে বের করতে হবে যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে। সেটা হোক পেসার কিংবা স্পিনার। এমন স্পিনার খুঁজে বের করতে হবে যারা মাঠে নেমে উইকেট নিতে পারে। দলে কুলদীপ আছে। কিন্তু বাকিদের কী হবে?’

দারুণ ফর্মে থাকার পরও অজানা কারণে দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ শামি। যেটা নিয়ে ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিয়েছেন হরভজন, ‘শামি কোথায়? আমি জানি না কেন তাকে খেলাতে হচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি, দলে প্রসিধ আছে। সে একজন ভালো বোলার। কিন্তু তার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। দলে কয়েকজন ভালো বোলার ছিল। ধীরে ধীরে তাদের দলের বাইরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুমরা দলে থাকলে ভারতের বোলিং আক্রমণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সে না থাকলে তেমন ধার থাকে না। তাই ভারতীয় দলকে বুমরা ছাড়া আমাদের খেলা জেতার কৌশল শিখতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাকিবের রেকর্ড ভেঙে আইসিসির সেরাদের তালিকায় তাইজুল

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৬
আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: বিসিবি
আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: বিসিবি

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে গেছে তাইজুলের।

আইসিসি আজ নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পুরুষ, নারী দুই বিভাগেই নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ছেলেদের ক্রিকেটে গত মাসের সেরাদের তালিকায় তাইজুলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকার সায়মন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাইজুল গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই খেলেছেন। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন সিরিজসেরার পুরস্কার।

নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সায়মন হারমার। এই ১৭ উইকেট তিনি পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। ভারতকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছেন। নভেম্বর মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের নাওয়াজেরও গত মাসটা দুর্দান্ত কেটেছে। বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। যার মধ্যে ১০টিই নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর ফাইনালসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে করেছেন ১৫৬ রান। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর একটি ফিফটি রয়েছে। নাওয়াজের সমান ১৫ উইকেট নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি।

আইসিসির নভেম্বরে মেয়েদের মাসসেরাদের তালিকাতেও তিন ক্রিকেটার তিন দেশের। ভারতের শেফালি ভার্মার সঙ্গে এই তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন থাইল্যান্ডের থিপাচা পুত্তাওয়াং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইশা ওঝা। শেফালি গত ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের নারী ক্রিকেটের

ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি পেয়েছেন ফাইনালসেরার পুরস্কার। ৭৮ বলে ৮৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ সাকিব খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি। যদি নিয়মিত হতে পারতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তাইজুলের বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর লড়াইটা হতো সমানে সমানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন সাকিব। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেট (এমআইএলসি) এই দুই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘রোনালদোর ক্ষুধা কখনোই শেষ হওয়ার নয়’

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে ৯৫০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।  ছবি: এএফপি
প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে ৯৫০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি

বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো মার্তিনেজ।

আল নাসরের হয়ে এ বছর রোনালদো সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১২ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ২ গোলে। সৌদি প্রো লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে করেছেন চার গোল। যার মধ্যে ২৩ নভেম্বর আল খালিজের বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে গোল করে চমকে দিয়েছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে শরীরটাকে শূন্যে ভাসিয়ে উল্টো দিকে গোল করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসিয়ে এক পডকাস্টে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন মার্তিনেজ। পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘আমার কাছে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে সে সফল হওয়ার পর থেমে যায় না। আরও কিছু করতে চায়। যখন আপনি কোনো কিছু জেতেন, পরের দিন আপনার ক্ষুধা কমে যায়। ক্রিস্টিয়ানো এমনই এক ব্যক্তি, গতকাল তার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা আজ প্রভাব ফেলে না।’

আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত রোনালদো করেছেন ৯৫৪ গোল। সংখ্যাটাকে ১০০০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের। মাঝেমধ্যে সহজ গোল মিসের পর তৎক্ষণাৎ হতাশা প্রকাশ করেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে তাঁর বেশি সময় লাগে না। এ বছর পর্তুগালের হয়ে তিনি ৮ গোল করে ফেলেছেন। জুনে স্পেনকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন নেশনস লিগের শিরোপা।

মাঠে যখন রোনালদো নামেন, তখন ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে থাকেন। ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে এমন সব গোল করেন, তখন গোলরক্ষকও শত চেষ্টা করে গোল ঠেকাতে পারেন না। চোটের কারণে ম্যাচ মিস করার ঘটনাও তাঁর খুব কম। রোনালদোর হার না মানা মানসিকতা দেখে মুগ্ধ মার্তিনেজ এক পডকাস্টে বলেন,

‘আমি জানি না এটা জিনগত কি না। এটাই বাস্তবতা। সে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যেতে চায়। সেটা অনুশীলন, চোট থেকে সেরে ওঠা, মাঠের পারফরম্যান্স—যেটা নিয়ে মনে হয় তার কাজ করা দরকার, তা নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী থাকে। সে হ্যাটট্রিক করল বা তিনটা সুযোগ মিস করল কি না, তাতে কিছু যায় আসে না। শেষ বাঁশি বাজার পর পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এটাই তাকে অনেক চঞ্চল করে রেখেছে।’

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাচ্ছে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৪১ বছর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে এরপর আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র মঞ্চে দেখা যাবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারকে কবে বিদায় বলবেন, সেটা তিনি জানাননি। ৩৫-৩৬ বছর হলেই যেখানে অনেকে বুটজোড়া তুলে রাখেন, রোনালদোর এমন মানসিকতায় মুগ্ধ মার্তিনেজ। ফুটবলারদের অবসর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই রোনালদোর উদাহরণ দিয়েছেন তিনি (মার্তিনেজ)। পডকাস্টে পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘‘ফুটবলাররা অবসরের সময় শরীর মস্তিষ্ককে বলে, ‘আমি আর পেরে উঠছি না।’ ক্রিস্টিয়ানোকে দেখে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তার ব্যাপারে তার মস্তিষ্ক শরীরকে বলে এখনই থেমে যেতে হবে। তার প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।’

লিওনেল মেসি, রোনালদো—দুজনেরই বিশ্বকাপে পথচলা ২০০৬ সালে। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁরা দুজনই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। আজ এই দুজনের নিশ্চয়ই চোখ থাকবে ফিফার ওয়েবসাইটের দিকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে ৪৮ দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত