Ajker Patrika

ভারতের পুরোনো ‘অপরাধে’র শাস্তি আজ দিল আইসিসি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৬
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে আইসিসির শাস্তি পেল ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে আইসিসির শাস্তি পেল ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষ হয়েছে পরশু। বিশাখাপত্তনমে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৯ উইকেটের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন ভারত। সেই সিরিজ শেষ হতে না হতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) দুঃসংবাদ শোনাল ভারতকে।

স্লো ওভার রেটের কারণে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইসিসি আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে সেটা নিশ্চিত করেছে। স্লো ওভার রেটের শাস্তিটা ভারত পেয়েছে মূলত ৩ ডিসেম্বর রায়পুরের শহীদ বীর নারায়ণ সিং স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের কারণে। সেই ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২ ওভার কম করেছিল বলে আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আইসিসির খেলোয়াড়দের আচরণবিধির ২.২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক কম ওভার বোলিংয়ের জন্য ম্যাচ ফির পাঁচ শতাংশ করে জরিমানার বিধান রয়েছে। মাঠের দুই আম্পায়ার রড টাকার ও রোহান পন্ডিত এবং তৃতীয় আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি, চতুর্থ আম্পায়ার জয়ারামান মদনগোপাল অভিযোগ করেছেন। ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন শাস্তি দিয়েছেন। রাহুল দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

রায়পুরে ৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫৮ রান করে ভারত। পাহাড়সমান লক্ষ্য তাড়া করে ৪ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে করে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা নিজের নামে লিখিয়ে নিল প্রোটিয়ারা। সেই ম্যাচে শেষ দুই ওভার স্লো ওভার রেটের শাস্তি হিসেবে বৃত্তের ভেতরে ভারতকে একজন ফিল্ডার বেশি রাখতে হয়েছিল।

দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সমতায় ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে পরশু বিশাখাপত্তনমে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় ওয়ানডে হয়ে যায় সিরিজ নির্ধারণী। সেই ম্যাচে টানা ২০ ওয়ানডে পর টস জেতে ভারত। সেই ম্যাচে প্রোটিয়াদের দেওয়া ২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৬১ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জেতে ভারত। এখন দুই দল পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে। কটকে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টি-টোয়েন্টি। এরপর ১১, ১৪, ১৭ ও ১৯ ডিসেম্বর নিউ চন্ডীগড়, ধর্মশালা, লক্ষ্ণৌ ও আহমেদাবাদে হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম টি-টোয়েন্টি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের বিপক্ষে নতুন ভেন্যুতে খেলতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
অস্ট্রেলিয়ার নতুন ভেন্যুতে ১৮ বছর পর খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকইনফো
অস্ট্রেলিয়ার নতুন ভেন্যুতে ১৮ বছর পর খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকইনফো

২০২৬ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া সফরের খবর বহু পুরোনো। ১৮ বছর পর এই দ্বীপরাষ্ট্রে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ দেড় যুগ পর অস্ট্রেলিয়ার নতুন এক ভেন্যুতে বাংলাদেশ খেলবে বলে শোনা যাচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের ম্যাকে শহরের ভেন্যু গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনাতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের একটা টেস্ট হতে পারে বলে ক্রিকেট ডট কম ডট কম এইউ গতকাল এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। অ্যাশেজের পরে প্রথম সিরিজে একটি টেস্ট আয়োজন করতে প্রস্তুত গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনা বলে কুইন্সল্যান্ডের রাজ্য প্রধান ডেবিড ক্রিসাফুলি জানিয়েছেন।

সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় কোনো টেস্ট সিরিজ হলে ব্রিসবেনের গ্যাবায় একটা টেস্ট থাকেই। তবে ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমের পর এবারই প্রথম গ্যাবায় কোনো টেস্ট হবে না। তাই বলে কুইন্সল্যান্ড রাজ্য একেবারে ফাঁকা থাকছে না। ক্রিসাফুলি বলেন, ‘গত ৫০ বছরের হিসেবে এবারই প্রথম ব্রিসবেনে কোনো টেস্ট হচ্ছে না। ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণেই মূলত সেটা হচ্ছে। আমাদের একটা টেস্ট হবে। ম্যাকেতে সেই টেস্টটা হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে।’ ম্যাকের গ্রেট বেরিয়ার রিফ অ্যারেনা হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ১২তম টেস্ট ভেন্যু।

পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া সফরে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার কথা ছিল ২০২৭ সালে। কিন্তু সেই বছরের মার্চে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) টেস্টের দেড় শ বছর পূর্তিতে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড খেলবে বিশেষ টেস্ট। তা ছাড়া বিভিন্ন ম্যাচের কারণে অস্ট্রেলিয়ার স্টেডিয়ামগুলো তখন ব্যস্ত থাকবে। এ কারণে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজটি ২০২৬ সালে আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ২০২৬-২৭ মৌসুমের গ্রীষ্মটা মূলত অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের টেস্টের জন্য সূচিটা একটু ব্যতিক্রমই। পার্থ, অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন, সিডনি—সূচি অনুযায়ী সেই সময় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চারটি টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়া সফর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য একেবারে নতুন কিছু নয়। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তো বটেই। অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য দলের বিপক্ষেও তাদের মাঠে গিয়ে খেলেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন-রাকিবুল হাসানরা। তবে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ সবশেষ খেলেছে ২০০৮ সালে। সেবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে দুই টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। ডারউইনে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩২ রানে হারিয়েছিল অজিরা। পরের টেস্টেও বাংলাদেশ ইনিংসে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। কেয়ার্নসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংস ও ৯৮ রানে জিতেছিল অজিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের কারণে আইসিসির ক্ষতি ৭৩০০ কোটি টাকা

ক্রীড়া ডেস্ক    
শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নামবে ভারত। তবে সেই টুর্নামেন্টের আগে আইসিসি বেকায়দায় পড়েছে। ছবি: ফাইল ছবি
শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নামবে ভারত। তবে সেই টুর্নামেন্টের আগে আইসিসি বেকায়দায় পড়েছে। ছবি: ফাইল ছবি

নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই মাসও বাকি নেই। ভারত-শ্রীলঙ্কায় বৈশ্বিক এই ইভেন্ট আয়োজন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) নানারকম পরিকল্পনা রয়েছে। এই সময়ে বেকায়দায় পড়ল ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা। ভারতীয় এক প্রতিষ্ঠানের কারণে মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে আইসিসিকে।

ভারতের রিলায়ান্সের জিওস্টার নামে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিডিয়া স্বত্বাধিকারীর চুক্তি ছিল চার বছরের। কিন্তু দ্য ইকোনমিক টাইমসের গত রাতের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, জিওস্টার আনুষ্ঠানিক এক চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে দুই বছর বাকি থাকতেই আইসিসির সঙ্গে সম্প্রচার স্বত্বের চুক্তি বাতিল করেছে জিওস্টার। তার ফলে আইসিসি ভারতে সম্প্রচার চুক্তির টাকার অংকটা বদলাতে যাচ্ছে। ২০২৬ থেকে ২০২৯ চক্রের জন্য প্রত্যেক বছর সম্প্রচার স্বত্ব থেকে ২৪০ কোটি ডলার আয় করবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ২৯৩৫০ কোটি টাকা। এর আগে আইসিসির ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত যে চুক্তি ছিল, তাতে অর্থের পরিমাণ ছিল বছর প্রতি ৩০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৩৬৬৮৮ কোটি টাকা। আগের তুলনায় নতুন চুক্তিতে ক্ষতি ৭৩৩৮ কোটি টাকা।

জিওস্টার চুক্তি বাতিল করলেও আইসিসি একেবারে বসে নেই। ‘দ্য ইকোনমিক টাইমসের’ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা সনি পিকচার নেটওয়ার্কস ইন্ডিয়া (এসপিএনআই), নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার কারণে কোনো প্রতিষ্ঠানই আইসিসির সঙ্গে সম্প্রচার স্বত্বের চুক্তিতে রাজি হয়নি। তাতে করে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা এক রকম খাদের কিনারায় পড়ে গেল। যদি আইসিসি নতুন কোনো সম্প্রচারক না পায়, জিওস্টারের বাধ্য হয়ে ২০২৭ পর্যন্ত চুক্তি সম্পন্ন করে যেতে হবে। প্রতিবেদনে জানা গেছে, জিও স্টার খরচ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৪-২৫ মৌসুমের জিওস্টারের ক্রীড়া চুক্তিটা করা হয়েছিল ২৫৭৬০ কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪৯৪৫ কোটি টাকা। আগের বছরে সেই অঙ্কটা ছিল ১২৩১৯ কোটি রুপি (১৬৭১৩ কোটি টাকা)।

ভারতীয় সরকার এরই মধ্যে রিয়েল মানি গেমিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াতেই মূলত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে জিওস্টার। ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ড্রিম ইলেভেন, মাই ইলেভেন সার্কেল বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ৭০০০ কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৯৫০০ কোটি টাকা। নতুন বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপের ফাইনাল ৮ মার্চ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে লঙ্কায় হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। তা না হলে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে ফাইনাল। ভারত এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে নামবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সনের সঙ্গে প্রতারণা করে কারাগারে দক্ষিণ কোরিয়ান নারী

ক্রীড়া ডেস্ক    
সন হিউং মিন। ছবি: এক্স
সন হিউং মিন। ছবি: এক্স

প্রথমবার সম্মানের কথা কথা ভেবে সবকিছু গোপন রেখেছিলেন সন হিউং মিন। কিন্তু দ্বিতীয়বার আর সেটা করেননি এই তারকা ফুটবলার। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ২ প্রতারককে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করেন। শেষ পর্যন্ত বড় শাস্তিই হয়েছে প্রতারকদের।

২ প্রতারকের একজন হলেন ইয়াং নামের ২০ বছর বয়সী এক তরণী। সনকে ভ্রূণের আল্ট্রাসাউন্ড ছবি পাঠিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ হবে এই ভেবে সেই প্রতারককে দাবিকৃত ৩০০ মিলিয়ন কোরিয়ান ওন বা ২ লাখ মার্কিন ডলার দেন সাবেক টটেনহাম হটস্পার ফরোয়ার্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

পরবর্তীতে প্রেমিক ইওংকে সঙ্গে নিয়ে সনের কাছে আরও ৭ কোটি ওন দাবি করেন ইয়াং। এ যাত্রায় আর তাদের ছেড়ে কথা বলেননি সন। গ্রেপ্তারের হওয়ার পর আজ দুজনকে সাজা দিয়েছে সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট। স্থানীয় টিভি জানিয়েছে, প্রতারণার জন্য ইয়াংকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতারণায় সহযোগিতা করার জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ইওংকে।

সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিচারকাজ চলার সময় গত মাসে আদালতে নিজের জবানবন্দী দিয়েছেন সন। বিচারক ইম জিওং বিন বলেছেন, সনের সুনাম নষ্ট করার জন্য বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ইয়াং ও ইওং। তাই এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাদের।

২ প্রতারককে কারাদণ্ড দেওয়া পর জিওং বিন বলেন, ‘এটাকে কেবল হুমকি বা অর্থ দাবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার সুযোগ নেই। প্রতারকরা আরও বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। যেমন সংবাদমাধ্যম এবং বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলোকে অবহিত করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল সনের মতো একজন পরিচিত মুখকে কাজে লাগানো। মামলাটি প্রকাশ্যে আসার ফলে সন যথেষ্ট মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন।’

ইয়াংয়ের যুক্তি সঠিক মনে হয়নি সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের কাছে। এ প্রসঙ্গে জিওই বিন বলেন, ‘গর্ভাবস্থার কথা জানার পর ইয়াং যাচাই করেননি যে এটি কার সন্তান। যদিও ইয়াং বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে ভ্রূণটি সনের। তার সাক্ষ্য অসঙ্গতিপূর্ণ ছিল। তাই এটা মেনে নেওয়া কঠিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভালো করেও আমিরুলদের অনিশ্চয়তা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ জুনিয়র হকি দলের একাংশ। ছবি: হকি ফেডারেশন
বাংলাদেশ জুনিয়র হকি দলের একাংশ। ছবি: হকি ফেডারেশন

চার মাসের প্রস্তুতিতে জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ যে ট্রফি নিয়ে ফিরবে, এমন ভাবাটাও বাড়াবাড়ি। প্রথমবারের মতো হকির যেকোনো পর্যায়ে বিশ্বকাপ খেলাই ছিল বাংলাদেশের কাছে বড় কিছু। সেখানে নিজেদের শুধু অংশগ্রহণেই সীমাবদ্ধ রাখেনি বাংলাদেশ। ছিল লড়াকু মানসিকতা, সেটিই এনে দিয়েছে সাফল্য।

১৭ তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আজ মাদুরাই আন্তর্জাতিক হকি স্টেডিয়ামে অস্ট্রিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। জিতলেই মিলবে চ্যালেঞ্জার্স কাপের নামক এক শিরোপা। কোচ সিগফ্রাইড আইকম্যান দলের প্রস্তুতি নিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত আমরা এখন পর্যন্ত যেভাবে খেলেছি, সেভাবেই খেলতে চাই, তবে পারফরম্যান্স আরও উন্নত করা এবং ভুল কমানোই লক্ষ্য। আগের ম্যাচগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে যেন আরও ভালো খেলতে পারি, সেটাই চেষ্টা।’

গ্রুপপর্বে বাংলাদেশ পেয়েছিল একবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও গতবারের রানার্সআপ ফ্রান্স। দুই দলে কাছে হারলেও ব্যবধান বড় রাখেনি। এমন ম্যাচে ফেরার জন্য লড়াই করেছে প্রাণপণ। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৩ গোলে পিছিয়ে থাকার পরও ম্যাচ শেষ করে ৩-৩ গোলের ড্রয়ে। সেই কোরিয়াকে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-৩ গোলে। এর আগে ওমানকে তো পাত্তাই দেয়নি। আদায় করে নেয় ১৩-০ গোলের জয়।

অনূর্ধ্ব-২১ দলের এমন পারফরম্যান্স দেশের হকির পালে নতুন হাওয়া এনে দিয়েছে। সাবেকরাও দেখতে পাচ্ছেন সম্ভাবনার জোয়ার। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের এমন পারফর‍ম্যান্স মনে হয় না কেউ প্রত্যাশা করেছে। গ্রুপে যে ধরনের শক্তিশালী দল পড়েছে, একটু সহজ গ্রুপে পড়লে হয়তো কোয়ার্টার ফাইনালে আমরা চলে যেতে পারতাম।’

৫ ম্যাচে ৪ হ্যাটট্রিকসহ ১৫ গোল করে আলো ছড়িয়েছেন পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ আমিরুল ইসলাম। তাঁকে নিয়ে সাবেক অধিনায়ক মাহমুদুর রহমান চয়ন বলেন, ‘পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রথাটা আমি শুরু করেছিলাম। এখন আশরাফুল-সবুজ আছে। আমিরুল আসায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে যাবে।’

আমিরুলদের এমন পারফরম্যান্সের পরও ভবিষ্যৎ নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। অবশ্য দেশের হকির চিত্রটা এমনই, মাঝেমধ্যে আলোড়ন তুলে লম্বা সময়ের জন্য ঝিমিয়ে পড়া। আন্তর্জাতিক ম্যাচ তো দূরের কথা, ঘরোয়া লিগও হচ্ছে না নিয়মিত।

আমিরুল-রকিদের উন্নতির রাস্তায় বাধা তাই প্রতিনিয়ত। চয়ন বলেন, ‘আমরা যখন খেলেছি, সে সময় এ রকম বেশ কয়েকটা রেজাল্ট করেছি, যেটা আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু হকি ওই আগের জায়গায় থেকে গেছে। এই দলকে সুযোগ-সুবিধা দিলে মনে হয়, ভালো একটা সম্ভাবনা আছে। কিন্তু ওই যে টুর্নামেন্ট খেলে আসার পরে যেন আবার সবাই হারিয়ে না যায়।’

কামালও অনেকটা একই সুরে বলেন, ‘আমাদের কাঠামো দুর্বল। তো বিশেষ করে ঘরোয়া লিগ তো হয়ই না; আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে আমরা সেভাবে খেলি না। এই দলটা বছরে ৩০ থেকে ৪০ ম্যাচ যেন খেলতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

হকির উন্নতিতে পৃষ্ঠপোষকদের এগিয়ে আসা দরকার—মনে করেন কোচ। তিনি বলেন, ‘তাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক খেলা চালিয়ে যেতে হবে এবং আরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। হকির জন্য এমন স্পনসর দরকার, যারা এই প্রতিভাগুলোকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারলে অল্প সময়ে তাদের অগ্রগতি নষ্ট হয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত