Ajker Patrika

চিটাগংকে উড়িয়ে ফাইনালে বরিশাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩: ১৬
৫৬ বলে হার না মানা ৮২ রানের ইনিংস খেলার পথে তাওহিদ হৃদয়। ছবি: বিসিবি
৫৬ বলে হার না মানা ৮২ রানের ইনিংস খেলার পথে তাওহিদ হৃদয়। ছবি: বিসিবি

দুই দলের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয়েছিল দুরকমের। ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চিটাগং কিংসের দুঃস্বপ্নের শুরু। আর ফরচুন বরিশালের দুর্দান্ত শুরু—প্রথম উইকেট পড়ার আগেই ওপেনিং জুটি ৫৫ রান। বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে ভালো শুরু করা ফরচুন বরিশালই হেসেছে জয়ের হাসি। ১৬ বল হাতে রেখে চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল উঠে গেছে ২০২৫ বিপিএলের ফাইনালে।

১৫০ রানের মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল ও তওহিদ হৃদয় ফিফটি জুটিতে জয়ের ভিত পায় বরিশাল। ২৬ বলে ২৯ রান করে তামিম আউট হয়ে গেলেও তওহিদ হৃদয় শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ৪৫ বলে ফিফটি করা হৃদয় করেন ৮২ রানে। ৫৬ বলে খেলা তাঁর ইনিংসটিতে আছে ৯ চার ও ২ ছক্কা। মালানকে (২২ বলে ৩৩*) দ্বিতীয় উইকেট ৯৫ রানের জুটি গড়েন বরিশালের জয়ের নায়ক হৃদয়।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তোলে চিটাগং কিংস। টি-টোয়েন্টিতে এটি বড় কোনো ইনিংস নয়; তবে ব্যাটিং ৩৪ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে যে দুঃস্বপ্নের শুরু আর শেষ দিকে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলীর এক ওভারেই ৪ উইকেট নেওয়ার পর এই স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় চিটাগংকে।

৩৪ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর রংপুর রাইডার্সের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পঞ্চম উইকেট জুটিতে পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে ৫০ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন শামীম। ৩৬ বলে ৩৬ রান করে শামীম আউট হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর খালেদ আহমেদকে নিয়ে ২৬ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন শামীম। এই জুটিতে খালেদের অবদান মাত্র ১। এই তথ্য বলে দেয়, কতটা দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেছেন শামীম। শুধু দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ই সামাল দেননি তিনি, দলের রানের চাকাকে গতিশীল করতে প্রতিপক্ষ বোলারদের বেধড়ক পিটিয়েছেনও। উনিশতম ওভারে তিনি যখন ফরচুন বরিশালের সপ্তম শিকার হলেন, তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৭৯ রান। এই রান তিনি করেছেন ৪৭ বলে। ৯টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো ইনিংসটির স্ট্রাইকরেট ১৬৮.০৮!

শামীম হোসেনের প্রতিরোধ ও ব্যাটিং আগ্রাসনের আগে চিটাগং কিংসের ব্যাটিংয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্স ও ও পরে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী। মায়ার্স ২ উইকেট নিলেও আলী নিয়েছেন ২৪ রানে ৫ উইকেট। স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টি এটি পাকিস্তানি পেসারের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। চিটাগং কিংস ইনিংসের ১৯তম ওভারে ৪ উইকেট নেন আলী । বিপিএলে এক ওভারে কোনো বোলার ৪ উইকেট পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। ম্যাচসেরাও হয়েছেন আলী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওয়াশিংটনে মোদির সঙ্গে বৈঠক, বাংলাদেশ প্রশ্নে যা বললেন ট্রাম্প

হাদিসের আলোকে শবে বরাতের ফজিলত ও বরকত

পাকিস্তান ম্যাচের আগমুহূর্তে বড় ধাক্কা খেল নিউজিল্যান্ড

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার লড়াই

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ইউএনও, অফিস করছেন বাসা থেকে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত