Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

‘আপনি কেন ভালো আছেন, আমি তাই অসুখী’

বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন জাতীয় দলে গত ডিসেম্বরে যুক্ত হওয়ার পর গত আট মাসে মুদ্রার দুটি পিঠই দেখে ফেলেছেন। জাতীয় দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় সালাহ উদ্দীন সমালোচিত হয়েছেন। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটের সাফল্যে তিনি এত দিন শুধু প্রশংসা পেয়ে অভ্যস্ত ছিলেন। এসব নিয়েই গতকাল মাস্কো ক্রিকেট একাডেমিতে সালাহ উদ্দীন কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১২: ০১

প্রশ্ন: গত ৮ মাসে জাতীয় দলের অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন: খুব বেশি পরিবর্তন হইনি। আমি আগের মতোই; যা ছিলাম, তা-ই আছি। এখন চ্যালেঞ্জ একটু বেশি। আগে মানুষের প্রত্যাশা কম ছিল, এখন বেশি। এটা স্বাভাবিক এবং তা হবেই। যেহেতু অনেক দিন হয়ে গেছে, আমরা বড় কোনো টুর্নামেন্টে ভালো করিনি। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রশ্ন: বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আপনাকে ডেকেছিলেন। তিনি কী বললেন?

সালাহ উদ্দীন: এসব আসলে প্রকাশ্যে বলা যাবে না। আমার মনে হয় একটা ভালো দিক, যেকোনো পরিস্থিতিতে বোর্ড আমাকে ভালো সহায়তা করছে, যেন কাজের দিকে বেশি মনোযোগ রাখি। খেলায় তিনটা পার্ট থাকে। ক্রিকেটাররা খেলে, ম্যানেজমেন্ট আছে আর কর্মকর্তা আছে। সবকিছুর ওপর নির্ভর করে, আমাদের সামগ্রিক ক্রিকেটটা কীভাবে এগোবে। সমন্বয়টা যদি ঠিকমতো হয়, তাহলে হয়তো আমাদের ক্রিকেট এগোবে। এসব নিয়েই কথা হয়েছে। বোর্ড সভাপতি বুলবুল ভাই নিজেও ক্রিকেট প্লেয়ার ছিলেন। তিনি জানেন আসলে কী কী লাগবে। খুবই জ্ঞানী মানুষ। তাঁর ইচ্ছা আছে।

প্রশ্ন: বলা হচ্ছে, জাতীয় দলে আপনার মধুচন্দ্রিমা শেষ। এখন তাহলে আপনি কি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি?

সালাহ উদ্দীন: ওভাবে চিন্তা করাটা ভুল হবে। এই আট মাসে আমরা হয়তো কিছু সাফল্য পেয়েছি। কিছু জায়গায় বেশি খারাপ করে ফেলছি। নির্দিষ্টভাবে বললে অনেক টেস্ট ম্যাচ আছে, আমরা কয়েক ঘণ্টা খারাপ খেলছি। তাতেই টেস্ট হেরে গেছি। আরব আমিরাতের সঙ্গে যে সিরিজটা হেরেছি, ওটা বড় ধাক্কা ছিল। এ ছাড়া আমরা প্রতিটি জায়গায় ভালো খেলেছি। কিছু ফল এসেছে। আরও কিছু ফল এলে দলের জন্য আরও ভালো হতো। তাতে দলের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ত। এর মধ্যে আমরা যেসব সিরিজ জিতেছি, সেগুলো দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আমার মনে হয়, ছেলেদের জেতার মানসিকতা তৈরি হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, বড় টুর্নামেন্টে ভালো খেলি। সবাই সেভাবেই এগোচ্ছি।

প্রশ্ন: আরব আমিরাতে হারের পর একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। আপনি যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন, গ্যালারি থেকে ছুটে আসা দর্শকদের তির্যক মন্তব্যে শামীম পাটোয়ারী তেড়ে গেলেন। এটা আপনার জন্য কতটা ধাক্কার? এই দর্শকই তো একসময় আপনাকে মাথায় তুলে রেখেছিল।

সালাহ উদ্দীন: এটা স্বাভাবিক। মানুষের প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি। আমাকে এটা মেনে নিতেই হবে। যখন এই দায়িত্বে এসেছি, তখন নিজেও জানতাম, এখানে সাফল্য পেলে আমাকে মাথায় তুলে নাচবে। আবার সাফল্য না পেলে মাথা থেকে নামিয়েও দেবে। সাফল্য-ব্যর্থতা মিলিয়ে দলকে কীভাবে এগিয়ে নিতে পারছি, এটাই মূলকথা। ছেলেদের ভেতরে পরিবর্তন আসছে কি না, ছেলেরা শিখছে কি না ভালোভাবে—সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এক দিনেই তো সব পরিবর্তন করা যাবে না। প্রতিটি বিষয়ের ধাপ আছে। মনে হয়, দিন শেষে আমার কাছে মানুষ ফলটা চাইবে। যেহেতু খুব বেশি পিছিয়ে নেই। যদি তাড়াতাড়ি ওভারকাম করতে পারি, বড় টুর্নামেন্টেও আমরা ভালো করব।

প্রশ্ন: অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার চলে গেছেন। দল কতটা গুছিয়ে নিতে পেরেছেন?

সালাহ উদ্দীন: টি-টোয়েন্টিতে কমবেশি ফল আসছে। আমাদের ছেলেরা নিজ নিজ দায়িত্ব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে। কে কোন ভূমিকায় খেলবে। কোন পথে আমরা টি-টোয়েন্টিতে এগোব। আমরা এখানে কিছুটা পরিষ্কার হয়ে গেছি। পরিষ্কার থাকাটাই বেশি জরুরি। ব্যাটার হোক বা বোলার—কার কী ভূমিকা। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে একটা ভালো সেটআপের মধ্যে চলে আসছি। ওয়ানডেতে একটু সময় লাগবে। এখানে ভালো করতে অনেক অভিজ্ঞতা লাগে। আমরা বিশেষভাবে মিডল ওভারে কিছুটা সংগ্রাম করছি। এই জায়গাটা পূরণ হতে কিছুটা সময় লাগবে। এখানে এটাও খেয়াল রাখতে হবে, ছেলেদের কতটা সুযোগ আমরা দিচ্ছি। তারা কীভাবে গুছিয়ে উঠছে। সবচেয়ে বড় উন্নতিটা হয়েছে, আমাদের বোলাররা নিচে দারুণ ব্যাটিং করছে। আগে এটা ছিল না। আগে পাঁচ উইকেট পড়ে গেলে আমরা শেষ! কিন্তু এখন ওই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসছি। সাদা বলে ওপেনিংয়ে ভালো একটা জুটি দেখতে পাচ্ছি। এটা থিতু হওয়ার চান্স আছে।

প্রশ্ন: ফিনিশিং রোলে জাকের আলী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ভূমিকা আপনাকে কতটা আশাবাদী করছে?

সালাহ উদ্দীন: ওরা এসব জায়গায় নিয়মিতই খেলে। এখানে তারা অভ্যস্ত। কঠিন পরিস্থিতিতে বহুবার খেলেছে। নার্ভটা তারা ধরে রাখে। মনে হয়, তারা দিনে দিনে আরও পরিণত হবে। আমার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে তারা হারা ম্যাচও এক হাতে জেতাবে।

প্রশ্ন: পাকিস্তান সিরিজ জিতলেও যে উইকেটে খেলেছেন, সেটা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আপনার কি মনে হয়, এটা আদর্শ ছিল?

সালাহ উদ্দীন: ভুল আসলে দুই দলই করেছে। উইকেট এত খারাপ ছিল না, যতটা খারাপ বলা হচ্ছে। খেলা আসলে প্রথম ৬ ওভারেই শেষ! প্রথম ৬ ওভারেই তো অনেক সময় যেভাবে ব্যাটিং করা দরকার ছিল, কোনো দলই সেভাবে করেনি। এটা আমরা ভুল করেছি। ওরাও ভুল করেছে। এখানেই খেলাটা শেষ হয়ে গেছে। এই উইকেটে দেখবেন, ৬ ওভার পর ব্যাটাররা স্ট্রোক খেলতে পেরেছে। প্রতিটি ম্যাচেই দেখবেন, প্রথম দু-তিন ওভারে ৩-৪টা উইকেট পড়ে গেছে। ওই পরিস্থিতিতে যেভাবে খেলা উচিত ছিল, আমরা খেলিনি, ওরাও খেলেনি সেভাবে। আমরা একটা ম্যাচে খেলিনি। ওরা দুটি ম্যাচে খেলেনি। প্রথম দিকের ব্যাটাররাই ভুল করছে।

অনুশীলনে শেখ মেহেদী ও সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
অনুশীলনে শেখ মেহেদী ও সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রশ্ন: এশিয়া কাপের আগেও কি এমন উইকেটে প্রস্তুতি সারতে চান?

সালাহ উদ্দীন: আমরা যে দুবাইয়ে খেলেছি, প্রায় একই ধরনের উইকেট মনে হয়েছে। উইকেটে স্পিন ধরে। হাই স্কোরিং ম্যাচ তেমন একটা হয় না কিন্তু। খুব বেশি যে কঠিন হবে বলে মনে হয় না। কারণ, মোটামুটি একই ধরনের।

প্রশ্ন: যদি বাংলাদেশের ম্যাচ আবুধাবিতে পড়ে?

সালাহ উদ্দীন: সেটা হয়তো ভিন্ন হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে আপনাকে সব ধরনের পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে হবে। উইকেটে হেল্প থাকলে দলের জন্য কিছুটা উপকার আছে। সেটা যেখানেই খেলি। শুধু ফ্ল্যাট ট্র্যাকে খেলবেন, তা তো নয়। আপনাকে বিভিন্ন উইকেটে বিভিন্নভাবে মানিয়ে নিতে হবে।

প্রশ্ন: বিসিবি নেপাল-নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে খেলে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি সারতে চাইছে। এটা আদর্শ হবে কি না।

সালাহ উদ্দীন: এখন তো আন্তর্জাতিক কোনো দল নেই। ছেলেরা যাওয়ার আগে কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে যেতে পারলে দলের জন্য ভালো হবে। দিন শেষে আপনাকে খেলতে হবে। শুধু অনুশীলনই করবেন, তা তো নয়। ম্যাচ খেলার জন্য যা যা করা দরকার, সেগুলো হয়তো ম্যানেজমেন্ট চিন্তা করছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে তিন অধিনায়ক তত্ত্ব কি সঠিক মনে করেন?

সালাহ উদ্দীন: আগে ছিলাম দলের বাইরে। তখন হয়তো চাইলে অনেক কথা বলতে পারতাম। এখন চাইলেও অনেক কথা বলতে পারব না। ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বলতে পারি। বোর্ডের সঙ্গে বলতে পারি। তবে সেটা জনসমক্ষে বলতে পারব না। প্রতিষ্ঠান যা মনে করবে, সেই পলিসির সঙ্গে দ্বিমত করা যায় না। দ্বিমত করতে হলে অভ্যন্তরীণভাবে করব।

প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কা সফরের মাঝে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়া আপনাকে কতটা অবাক করেছে?

সালাহ উদ্দীন: ও (শান্ত) তো দায়িত্ব ছেড়ে দেয়নি। (টেস্ট) সিরিজটা সম্পূর্ণ করে তারপর করেছে। এমন নয় যে সে সিরিজের আগে বলেছে, আমি করব না (অধিনায়কত্ব)। তা তো নয়। সিরিজটা শেষ করে ভালোভাবেই করেছে (অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া)। আমার মতে, সবারই ব্যক্তিগত মতামত আছে। এটা তো আসলে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার মতো নয়। সবারই ব্যক্তিগত মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সে (শান্ত) যদি মানসিকভাবে বিরক্ত থাকে, সে কিন্তু খেলতে পারবে না। দিন শেষে তাকে খেলোয়াড় হিসেবে পারফর্ম করতে হবে। তার যদি মনে হয়, এটা মানসিকভাবে খুবই ভোগাচ্ছে, তার সেই সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের সম্মান জানানো উচিত।

প্রশ্ন: দলে আপনার অনেক প্রভাবের কথা শোনা যায়। কথাগুলো আপনাকে কতটা বিব্রত করে?

সালাহ উদ্দীন: বিব্রত হওয়ার মতো কিছু না। জানি, আগে থেকেই এখানে কিছু ঘটলে জবাবদিহি করতে হবে। কারণ, আমি দেশি মানুষ। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বিদেশিদের সঙ্গে পার্থক্য করাও ঠিক নয়। তাহলে তাদের প্রতি অসম্মান করা হয়। এটা আমাদের সংস্কৃতি। এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। আমাদের নিয়মই হচ্ছে, আপনি কেন ভালো আছেন, আমি তাই খুব অসুখী! আমাদের সংস্কৃতির একটা দিক, ও কেন ভালো আছে। নিজে কেমন আছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। এটা মেনে নিয়েছি। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নাই। তবে আমার মনে হয়, গঠনমূলক সমালোচনা করলে সবার জন্যই ভালো। আমি ব্যাটিং কোচ। দল ভালো করছে না। সেটা নিয়ে আপনি বলেন। কোনো সমস্যা নেই। সবকিছুই গঠনমূলক হলে সবার প্রতি সম্মান থাকে। কারও মোটিভ যদি প্রয়োগ করতে চান, ঠিক নয়। শুধু অন্যায়ভাবে না জেনে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। এখানে হেড কোচ, অধিনায়ক আছে। কোচিং স্টাফে অনেক কিংবদন্তি খেলোয়াড় আছেন। আমি চাইলেও মুশতাক ভাইয়ের ওপর মাতব্বরি করতে পারব না। তাঁরাও অনেক হাই প্রোফাইল কোচ। বুঝেশুনে কথা বললে ভালো হয়।

প্রশ্ন: হুট করে শেখ মেহেদীকে সহ-অধিনায়ক করা, বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা হয়েও মেহেদী হাসান মিরাজের টি-টোয়েন্টি দলে উপেক্ষিত থাকা ইত্যাদি বিষয় আপনার প্রভাবের উদাহরণ হিসেবে এসেছে।

সালাহ উদ্দীন: সব তো প্রকাশ্যে বলা যায় না। এতটুকু বলব, নির্বাচক, অধিনায়ক, প্রধান কোচ আছেন। এগুলো বুঝতে হবে। আমার মতামতেই যদি সব হতো, তাহলে আমারই দল চালালে ভালো হতো। এটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। প্রতিটি বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে। দলে সাফল্য আসে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে।

প্রশ্ন: দলে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ যোগ হচ্ছেন। আপনার কাজের পরিধি কমে যেতে পারে। কীভাবে দেখছেন?

সালাহ উদ্দীন: আমার দল যদি সামান্য লাভবান হয়, যেকোনো বিভাগে, আমি কেন ঈর্ষান্বিত হতে যাব। দল হিসেবে ভালো করলে সবারই ভালো লাগবে। আমি তো বলতে যাইনি, গত এক বছরে আমরা সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছি, আমাদের পাওয়ার হিটিং কোচ আনার দরকার নেই! আমার যদি মনে হয় দলের সামান্য উপকারেও যদি কেউ আসে, সেটা দলেরই হবে। দলটা পুরো বাংলাদেশের। এখানে ভিন্নভাবে দেখার কিছু নেই।

প্রশ্ন: সংক্ষিপ্ত সময়ে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ কতটা বদলে দিতে পারবেন?

সালাহ উদ্দীন: যদি কেউ একটা ধাপ এগিয়ে দিতে পারে, সেটা দলেরই লাভ। কী শিখবে, কী শেখাবে, জানি না। তবে কেউ যদি সামান্য নিতে পারে, তাতে দলই লাভবান। এখানে আমরা ব্যক্তিগতভাবে কেউ গুরুত্বপূর্ণ নই, দল গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: অধিনায়ক লিটন দাস এই রানে আছেন তো এই নেই! তাঁকে নিয়ে কী বলবেন?

সালাহ উদ্দীন: শুধু লিটন দাস নয়, ব্যাটিং কোচ হিসেবে আমার আরও কয়েকটা চ্যালেঞ্জ আছে। বোলাররা যেন ভালো ব্যাটিং করতে পারে। তাতে ওপরের নাম্বার ছয়-সাতে যারা ব্যাটিং করে, তারা অনেক চাপে খেলে। ওরা ভাবে, আমার পরে আর কেউ নেই! আমরা অধারাবাহিক। এক ম্যাচে সবাই ভালো করল, পরের ম্যাচের সবাই একসঙ্গে খারাপ করল। শুধু লিটন নয়, এখানে সবাইকে উন্নতি করতে হবে। শ্রীলঙ্কার টেস্ট ব্যাটারদের গড় দেখুন, সবারই ৪০-এর ওপরে। আমাদের কারও নেই, ৩৬-৩৭ তারা যদি ৪০-৪২ গড়ে নিয়ে যায়, যারা ২৭-২৮ তারা যদি ৪০-এর কাছাকাছি চলে যায়, তাহলে দল থিতু হয়ে যাবে। এই চ্যালেঞ্জ আছে সামনে। এখানে বেশি উন্নতি করা জরুরি।

প্রশ্ন: সাকিব-তামিমদের সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মৌলিক পার্থক্য কী?

সালাহ উদ্দীন: পার্থক্য খুব বেশি নয়। তাদের সময়ে দলের চাহিদা কম ছিল। টেস্টে আমরা কখনো চিন্তা করতাম, যেন আড়াই দিনে যায়। আড়াই দিনে গেলে বেঁচে যাই! ওয়ানডেতে ২০০৮ সালের দিকে ২০০-২২০ করলে আমরা খুশি হয়ে যেতাম। জেমি (সিডন্স) মাঝে মাঝে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলত—সালাহ উদ্দীন, আজ আমরা ২২০ করেছি। তখন চাওয়া-পাওয়া অন্য রকম ছিল। এখন দলটা একটা ভালো পর্যায়ে গেছে। এখন জয়ের প্রত্যাশা বেশি। ছেলেদের এই মানসিকতা আছে, জয়ের ক্ষুধা আছে। এই পরিবর্তন যুগের সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে।

প্রশ্ন: সাকিবের সঙ্গে শেষ কথা কবে?

সালাহ উদ্দীন: সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে।

প্রশ্ন: কী কথা হয়েছে ক্রিকেট নিয়ে?

সালাহ উদ্দীন: সাকিব আমাকে নিয়ে একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। জিজ্ঞেস করল, আপনি টেনশনে পড়ে গেছেন কি না। সে আমাকে ভালোভাবে চেনে। একটা ডায়ালগ দিয়েছিলাম ওকে, দেখ, জীবনে মাইনাস ৫০০ টাকা নিয়ে সংসার শুরু করেছিলাম। তুই আমাকে টেনশন দিয়ে কাবু করবি, আমি ওই মানুষ না। তখন বলে, রাখি! রাখি!

প্রশ্ন: ওর ক্রিকেট ক্যারিয়ার কোন দিকে যাচ্ছে, নিভৃতে শেষ?

সালাহ উদ্দীন: এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বোর্ডও কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। এটা সরকারি নীতি, তাদের ওপর নির্ভর করে। বোর্ডেরও কিছু করার নেই। যখন সরকার মনে করবে, তখনই সে আসতে পারবে। না হলে আসলে...তাকে ক্রিকেট খেলতে দেশে আসতে হবে। এটা নিয়ে আমাদের খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। হয়তো সেভাবে সে মেনে নেবে। বা কখনো যদি সে ফিরে আসতে পারে, সবাই চাই আসুক। এটা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির ভিডিও ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন ইশরাক

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৫

পররাষ্ট্রের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কমিটি

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে মদ্যপানের অভিযোগ, কী বলছে ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
নতুন করে তোপের মুখে পড়েছে ইংলিশরা। ছবি: সংগৃহীত
নতুন করে তোপের মুখে পড়েছে ইংলিশরা। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাশেজ হেরে এমনিতেই বেশ তোপের মুখে ইংল্যান্ড। তার ওপর নতুন বিতর্কের মুখে পড়েছেন বেন স্টোকসরা। তাদের বিরুদ্ধে মদ্যপানের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কি।

পার্থে দুই দিনের পর ব্রিসবেনে চার দিনেই হেরে যায় ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেড ওভালে তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগে ১০ দিন সময় পায় সফরকারীরা। সেই সুযোগে কুইন্সল্যান্ডের নুসা সমুদ্র সৈকতে ৪ রাত কাটান ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। সেখানেই তাদের মদ্যপান করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় ইংলিশ সংবাদমাধ্যম বিসিবি। একই খবর দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বেশকিছু সংবাদমাধ্যম।

বিষয়টি নিয়ে হেলাফেলা না করে সঠিক তথ্যের জন্য তদন্ত শুরু করবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। বিসিবি স্পোর্টে রব কি বলেন, ‘মদ্যপান বা এই ধরনের বিষয় থাকলে অনেক সময় খবরের শিরোনাম বিব্রবতকর হতে পারে। খেলোয়াড়দের মদপান করার খবর ছড়িয়েছে। এমন কিছু যদি হয়ে থাকে তাহলে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যেসব কিছু বাড়িয়ে বলা হয়েছে কিংবা অতিরঞ্জিত করা হয়েছে, তার বিপরীতে আসল সত্যটা কী সেটা আমরা খতিয়ে দেখব।’

এই ঘটনায় আসল তথ্য সামনে আনতে চান রব কি, ‘এমন ছবি যখন দেখা যায় যে, পাঁচ-ছয়জন বসে খাবার খাচ্ছে, তাদের মধ্যে দুয়েকজন মদপান করছে, এখানে আসলে কী ঘটেছে সেটা খুঁজে বের করা দরকার।’

অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে ইসিবি। রব কি আরও বলেন, ‘এটা যদি সত্যিই কোনো ব্যাচেলর পার্টির মতো কিছু হয়ে থাকে এবং ছেলেরা পুরোটা সময় অতিরিক্ত মদ্যপান করে থাকে, তাহলে এমন কিছু গ্রহণযোগ্য নয়। আমি মদ্যপানের সংস্কৃতি সমর্থন করি না। আমি এটা পছন্দ করি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির ভিডিও ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন ইশরাক

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৫

পররাষ্ট্রের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কমিটি

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিপিএলে দেখা যাবে বাবা-ছেলে জুটি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২৪
এক ফ্রেমে নবী ও ইসাখিল। ছবি: নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ফেসবুক পেজ
এক ফ্রেমে নবী ও ইসাখিল। ছবি: নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ফেসবুক পেজ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন পর্ব শুরু হতে বাকি আর মাত্র দুই দিন। টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্তে বড় ধরনের চমক উপহার দিল নোয়াখালী এক্সপ্রেস। মোহাম্মদ নবির পর তাঁর ছেলে হাসান ইসাখিলকেও দলে টেনেছে নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এক বিবৃতিতে নোয়াখালী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে নবি ও ইসাখিলের ছবি পোস্ট করেছে নোয়াখালী। ক্যাপশনে আঞ্চলিক ভাষায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি লিখেছে, ‘বাপে-হোলায় নোয়াখালী চলি আইছেরে। হাসান ইসাখিলকে নোয়াখালী এক্সপ্রেসে স্বাগতম।’

এর আগেও জুটি বেঁধে খেলতে দেখা গেছে নবি ও ইসাখিলকে। আফগানিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে একই দলের জার্সিতে খেলেছেন তাঁরা দুজন। এবার এই জুটিকে বিপিএলে দেখার অপেক্ষায় ভক্তরা। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রতিনিধিত্ব করলেও কখনো আফগানদের জাতীয় দলে জায়গা পাননি ইসাখিল। বয়স কম হওয়ায় বাবার দেখানো পথে হেঁটে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর যথেষ্ট সময় আছে তাঁর হাতে।

টি–টোয়েন্টিতে ইসাখিলের পারফরম্যান্স আশা জাগানিয়া। এখন পর্যন্ত ৩০ ম্যাচে ১২৪.১৯ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৭৩৪ রান। ব্যাটিং গড় ২৭.১৮। ফিফটি করেছেন ছয়টি। ২০২৬ বিপিএল শুরু হবে ২৬ ডিসেম্বর। প্রথম দিন চট্টগ্রামের বিপক্ষে মাঠে নামবে নোয়াখালী।

একনজরে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের স্কোয়াড: সৌম্য সরকার, জাকের আলী অনিক,  হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ নবি, হাসান ইসাখিল, কুশল মেন্ডিস,  জনসন চার্লস,  সেদিকউল্লাহ আতাল, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, হাবিবুর রহমান সোহান,  মুশফিক হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, রেজাউর রহমান রাজা, নাজমুল ইসলাম অপু, আবু হাসিম, মেহেদী হাসান রানা, সৈকত আলী, সাব্বির হোসেন, রহমতউল্লাহ আলী, ইহসানউল্লাহ খান, হায়দার আলী, মাজ সাদাকাত, জহির খান, ইবরার আহমেদ ও বিলাল সামি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির ভিডিও ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন ইশরাক

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৫

পররাষ্ট্রের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কমিটি

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন বুলবুল

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ০১
দিপনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন বিসিবি সভাপতি। ছবি: বিসিবি
দিপনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন বিসিবি সভাপতি। ছবি: বিসিবি

আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান রহমান দিপন। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান।

নাজমুল হাসান পাপনের অধীনে ১৫ বছর বিসিবিতে দুর্নীতির ফিরিস্তি বেশ লম্বা। মাঠ এবং মাঠের বাইরে অনেক অসংগতি প্রমাণ মিলেছে এরই মধ্যে। যেসব নিয়ে বেশ বিতর্কের মুখে পড়েছে তৎকালীন পাপনের ক্রিকেট বোর্ড। ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ ছাড়েন পাপন। এরপর বিসিবির সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। ৯ মাস পর তাঁকে সরিয়ে দিয়ে এই দায়িত্বে বসানো হয় বুলবুলকে। দিপনের দাবি, গত ছয় মাসেই পাপনের ১৫ বছরের সমান দুর্নীতি হয়েছে বিসিবিতে।

সংবাদমাধ্যমকে দিপন বলেন, ‘একজন বোর্ড পরিচালক হিসেবে শতভাগ নিশ্চিত করে বলছি, পাপনের ১৫ বছরের সমান দুর্নীতি হয়েছে সবশেষ ছয় মাসে। অনেকের ধারণার বাইরে ছিল। বোর্ডে না ঢুকলে বিশ্বাস হতো না এরা এত দুর্নীতি করে।’

দিপনের সে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সাংবাদিকদের বুলবুল বলেন, ‘এটা তাঁর (দিপন) সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মত। আমি বলতে পারি যে এটা তার ব্যক্তিগত মতামত এবং এই ধরনের কোনো অডিট বা কোনো কাজ আমরা করছি না। আমরা যেটা করছি সেটা হচ্ছে যে পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেটে গত ১৫ বছরে যা হয়নি, এখন সেগুলো আমাদের করা উচিত। আপনারা জানেন যে আমরা একটা ট্রানজিশনের মধ্যে আছি। একটা সময় দেশের ক্রিকেট এমনও হয়েছে যে ১ ওভারে ৯০ রানও দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু পিচের মাটি কেনার পরেও মাটির কোনো হদিস নেই। এখন সেসব নিয়ে অডিট চলছে। কিন্তু আমি দুর্নীতির বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির ভিডিও ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন ইশরাক

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৫

পররাষ্ট্রের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কমিটি

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিপিএলে আমিরের কাছে ইবাদতের চাওয়া অনেক বেশি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১২
অনুশীলনে মোহাম্মদ আমির। ছবি: সিলেট টাইটান্সের ফেসবুক পেজ
অনুশীলনে মোহাম্মদ আমির। ছবি: সিলেট টাইটান্সের ফেসবুক পেজ

২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট টাইটান্স যে কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার ভিড়িয়েছে মোহাম্মদ আমির তাদের মধ্যে অন্যতম। এই সংস্করণে বাঁ হাতি পেসারের অভিজ্ঞতা দারুণ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক বেশি সিলেটের আরেক পেসার ইবাদত হোসেনের।

নিলামের আগেই আমিরের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করেছিল সিলেট। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৩৪৮ ম্যাচ খেলেছেন এই পেসার। ৩৪১ ইনিংসে বল হাতে নিয়েছেন ৪০৯ উইকেট। ইকোনমি ৭.৩৩। এছাড়া পাকিস্তানের হয়ে ৬২ টি-টোয়েন্টির ৬১ ইনিংসে ৭১ উইকেট নিয়েছেন আমির। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি তাঁর অভিজ্ঞতাও দলের জন্য কাজে আসবে বলে মনে করেন ইবাদত।

বিপিএল খেলতে গতকাল রাতে সিলেট শিবিরে যোগ দিয়েছেন আমির। আজ তাঁকে দলীয় অনুশীলনে দেখা গেছে। আমিরকে নিয়ে ইবাদত বলেন, ‘আমরা আমিরের কাছ থেকে নেয়ার চেয়ে তাঁর আমাদের দলকে দেয়ার অনেক কিছু আছে। তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক। টি-টোয়েন্টিতে ৪০০ ’র বেশি উইকেট পেয়েছেন। তিনি যেন সেই অভিজ্ঞতাটা যাতে এই টিমের হয়ে কাজে লাগাতে পারেন। আশা করি বিপিএলে আমির নিজের সেরাটা দেবেন।’

নিজেদের দল নিয়ে সন্তুষ্ট ইবাদত, ‘দেশি এবং বিদেশি মিলিয়ে আমাদের দলটা ভালো হয়েছে। সিনিয়র এবং জুনিয়র মিলিয়ে খুব ভালো একটা কম্বিনেশন আছে আমাদের দলে। আমার কাছে মনে হয় বোলিং এবং ব্যাটিং প্রায় সমান। এমন না যে ৬০-৪০, আমার কাছে মনে হয় ৫০-৫০।’

আমির থাকায় বোলিং বিভাগকে কিছুটা এগিয়ে রাখছেন ইবাদত, ‘আমার মনে হয় বোলিংটা একটু বেশি ভালো। যেহেতু আমির ভাই আছেন। এছাড়া আমি, খালেদ, শহিদুল, রেজাউর, সবাই পারফর্মার এখানে। আমাদের দলটা আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো আছে। সবাই যদি মাঠে ভালো পারফর্ম করতে পারে তাহলে ইনশাআল্লাহ চ্যাম্পিয়ন হব।’

বিপিএল শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর সিলেট। ইবাদত বলেন, ‘আমাদের এবারের থিমই হচ্ছে-‘এবার কিন্তু অইজিবো’ (এবার কিন্তু হয়ে যাবে)। এর মানে, আমাদের টিমের একটা পজিটিভ ভাইব। এটা শোনার পর মনে হয় এই বছর আমরা চ্যাম্পিয়ন হব ইনশাআল্লাহ। এই থিমটা নিয়েই আমরা এগোচ্ছি। আল্লাহ যদি সাহায্য করেন, আমরা এবার চ্যাম্পিয়ন হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলির ভিডিও ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন ইশরাক

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৫

পররাষ্ট্রের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কমিটি

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত