রানা আব্বাস, ঢাকা
২০২৩ বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল তখন পুনেতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন দুপুরে একটি শপিং মলে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা মাহমুদউল্লাহর। দেখা হতেই স্বভাবসুলভ মুচকি হাসলেন।
একটা প্রশ্ন ছিল আপনার কাছে, কাল কি ঘোষণা-টোষণা কিছু দেবেন? শুনে মাহমুদউল্লাহ রহস্যের হাসি হাসলেন। কিন্তু ক্রিকেটীয় যুক্তি আর দলীয় সূত্র মিলে যা বোঝা গেল, পুনেতে কোনো অবসর ঘোষণা আসবে না তাঁর কাছ থেকে। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওটাই তাঁর শেষ ম্যাচ, তিনি নিজেই আইসিসির এক ভিডিও চিত্রে জানিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে মার্চের পর টানা ৬ মাস ছিলেন বাংলাদেশ দলের বাইরে। ১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তাঁকে এ রকম উত্থান-পতনের মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে। পছন্দের ব্যাটিং পজিশনও সব সময় মেলেনি। তবু কখনো হাল ছাড়েননি, বাতাস গরম করা কথাবার্তা বলেননি, কোনো ভিডিও বার্তা দেন, কারও কাছে অভিযোগও করেননি। নিজের যে কাজ, সেটাই শুধু চুপচাপ করে গেছেন। হাবিবুল বাশার সুমন আজকের পত্রিকায় লেখা তাঁর কলামে যথার্থ বলেছেন, ‘মাহমুদউল্লাহর অন্যতম বড় গুণ ছিল, তার নীরবতা, সবকিছু থেকে নীরব থাকা।’ ঠিক যেন আবুল হাসানের কবিতার মতো, ‘ঝিনুক নীরবে সহো/ ঝিনুক নীরবে সহো/ ঝিনুক নীরবে সহে যাও/ভিতরে বিষের বালি, মুখ বুঁজে মুক্তা ফলাও!’
কঠোর পরিশ্রম করেছেন, ভালো পারফর্ম করে বীরদর্পে আবার ফিরে এসেছেন। ২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো করতে পারেনি, তবু তাঁর পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এমনিতে কেউ দলের বাইরে থাকলে তাঁর একটা ‘হিরো-ইমেজ’ তৈরি হয়। মাহমুদউল্লাহ ২০২৩ বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলার কারণে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে আরও বড় ‘হিরো’ হয়ে গেলেন। তবে মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘অনেক কিছুই হয়তো বলার আছে।’ সেই অনেক কিছু আর মুখে প্রকাশ করেননি মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা খুব বেশি দিন কাউকে মাথায় তুলে রাখতে পছন্দ করেন না। কদিন আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এক ম্যাচে ভালো না খেলতেই ধুম করে তাঁকে মাটিতে আছড়ে ফেলা হলো। শুধু তা-ই নয়, ৪০ ছুঁই ছুঁই মাহমুদউল্লাহ কেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন, কেন তরুণদের জায়গা দিচ্ছেন না, অবসর নেবেন কবে—এ রকম আলোচনা, সমালোচনার ঝড় উঠল চারদিকে। অথচ মাহমুদউল্লাহ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগের চার ওয়ানডেতেই ফিফটি করেছেন। এর মধ্যে দুটি ইনিংস ছিল ৮০ পেরোনো।
সমালোচনার ঝড়ে বিপর্যস্ত ভায়রা মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে থেকে বিদায় ঘোষণার পর মাহমুদউল্লাহ বিসিবিকে অনুরোধ করেছিলেন, তাঁকেও যেন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না রাখা হয়। তাতেই বোঝা যাচ্ছিল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে যেকোনো সময় অবসর ঘোষণা দিতে পারেন মাহমুদউল্লাহও। সেটিই কাল রাতে দিলেন।
যে কজন ক্রিকেটার বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অন্যভাবে ব্র্যান্ডিং করেছেন, মাহমুদউল্লাহ তাঁদের একজন। বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠার একাধিক কীর্তি আছে তাঁর। ওয়ানডেতে যে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন, চারটিই আইসিসির টুর্নামেন্টে। মাহমুদউল্লাহকে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে ২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই অসাধারণ সেঞ্চুরি, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কার্ডিফে চরম বিপর্যয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরিটাও জ্বলজ্বল করে দেশের ক্রিকেট আর্কাইভে। কলম্বোয় ২০১৮ নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছিল মাহমুদউল্লাহর ১৮ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে ভর করে।
দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেওয়া মাহমুদউল্লাহর বিদায়বেলায় কি একটু অতৃপ্তি থেকে গেল? কাল অবসর ঘোষণায় তিনি লিখেছেন, ‘সবকিছুর শেষ মনমতো হয় না। তবে ‘হ্যাঁ’ বলে এগিয়ে যাওয়াটা উচিত। শান্তি...আলহামদুলিল্লাহ।’
যত বড় খেলোয়াড়ই হোন না কেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ কমই মেলে। হাবিবুল বাশার সুমন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম কিংবা মাহমুদউল্লাহ—কারও সুযোগ হয়নি মাঠ থেকে রাজসিক বিদায় নেওয়ার। সবারই বিদায়বেলায় কমবেশি বেজেছে আফসোসের সুর।
২০২৩ বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল তখন পুনেতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন দুপুরে একটি শপিং মলে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা মাহমুদউল্লাহর। দেখা হতেই স্বভাবসুলভ মুচকি হাসলেন।
একটা প্রশ্ন ছিল আপনার কাছে, কাল কি ঘোষণা-টোষণা কিছু দেবেন? শুনে মাহমুদউল্লাহ রহস্যের হাসি হাসলেন। কিন্তু ক্রিকেটীয় যুক্তি আর দলীয় সূত্র মিলে যা বোঝা গেল, পুনেতে কোনো অবসর ঘোষণা আসবে না তাঁর কাছ থেকে। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওটাই তাঁর শেষ ম্যাচ, তিনি নিজেই আইসিসির এক ভিডিও চিত্রে জানিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে মার্চের পর টানা ৬ মাস ছিলেন বাংলাদেশ দলের বাইরে। ১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তাঁকে এ রকম উত্থান-পতনের মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে। পছন্দের ব্যাটিং পজিশনও সব সময় মেলেনি। তবু কখনো হাল ছাড়েননি, বাতাস গরম করা কথাবার্তা বলেননি, কোনো ভিডিও বার্তা দেন, কারও কাছে অভিযোগও করেননি। নিজের যে কাজ, সেটাই শুধু চুপচাপ করে গেছেন। হাবিবুল বাশার সুমন আজকের পত্রিকায় লেখা তাঁর কলামে যথার্থ বলেছেন, ‘মাহমুদউল্লাহর অন্যতম বড় গুণ ছিল, তার নীরবতা, সবকিছু থেকে নীরব থাকা।’ ঠিক যেন আবুল হাসানের কবিতার মতো, ‘ঝিনুক নীরবে সহো/ ঝিনুক নীরবে সহো/ ঝিনুক নীরবে সহে যাও/ভিতরে বিষের বালি, মুখ বুঁজে মুক্তা ফলাও!’
কঠোর পরিশ্রম করেছেন, ভালো পারফর্ম করে বীরদর্পে আবার ফিরে এসেছেন। ২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো করতে পারেনি, তবু তাঁর পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এমনিতে কেউ দলের বাইরে থাকলে তাঁর একটা ‘হিরো-ইমেজ’ তৈরি হয়। মাহমুদউল্লাহ ২০২৩ বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলার কারণে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে আরও বড় ‘হিরো’ হয়ে গেলেন। তবে মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘অনেক কিছুই হয়তো বলার আছে।’ সেই অনেক কিছু আর মুখে প্রকাশ করেননি মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা খুব বেশি দিন কাউকে মাথায় তুলে রাখতে পছন্দ করেন না। কদিন আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এক ম্যাচে ভালো না খেলতেই ধুম করে তাঁকে মাটিতে আছড়ে ফেলা হলো। শুধু তা-ই নয়, ৪০ ছুঁই ছুঁই মাহমুদউল্লাহ কেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন, কেন তরুণদের জায়গা দিচ্ছেন না, অবসর নেবেন কবে—এ রকম আলোচনা, সমালোচনার ঝড় উঠল চারদিকে। অথচ মাহমুদউল্লাহ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগের চার ওয়ানডেতেই ফিফটি করেছেন। এর মধ্যে দুটি ইনিংস ছিল ৮০ পেরোনো।
সমালোচনার ঝড়ে বিপর্যস্ত ভায়রা মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে থেকে বিদায় ঘোষণার পর মাহমুদউল্লাহ বিসিবিকে অনুরোধ করেছিলেন, তাঁকেও যেন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না রাখা হয়। তাতেই বোঝা যাচ্ছিল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে যেকোনো সময় অবসর ঘোষণা দিতে পারেন মাহমুদউল্লাহও। সেটিই কাল রাতে দিলেন।
যে কজন ক্রিকেটার বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অন্যভাবে ব্র্যান্ডিং করেছেন, মাহমুদউল্লাহ তাঁদের একজন। বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠার একাধিক কীর্তি আছে তাঁর। ওয়ানডেতে যে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন, চারটিই আইসিসির টুর্নামেন্টে। মাহমুদউল্লাহকে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে ২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই অসাধারণ সেঞ্চুরি, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কার্ডিফে চরম বিপর্যয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরিটাও জ্বলজ্বল করে দেশের ক্রিকেট আর্কাইভে। কলম্বোয় ২০১৮ নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছিল মাহমুদউল্লাহর ১৮ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে ভর করে।
দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেওয়া মাহমুদউল্লাহর বিদায়বেলায় কি একটু অতৃপ্তি থেকে গেল? কাল অবসর ঘোষণায় তিনি লিখেছেন, ‘সবকিছুর শেষ মনমতো হয় না। তবে ‘হ্যাঁ’ বলে এগিয়ে যাওয়াটা উচিত। শান্তি...আলহামদুলিল্লাহ।’
যত বড় খেলোয়াড়ই হোন না কেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ কমই মেলে। হাবিবুল বাশার সুমন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম কিংবা মাহমুদউল্লাহ—কারও সুযোগ হয়নি মাঠ থেকে রাজসিক বিদায় নেওয়ার। সবারই বিদায়বেলায় কমবেশি বেজেছে আফসোসের সুর।
দুই বছর আগে দেশের একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এক দরিদ্র বাবার হার্টে রিং পরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস—দুই বছর পর তিনি নিজেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত। ৩৬ বছর বয়সে জীবন-মৃত্যুর সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিম। তবে সময়মতো সঠিক চিকিৎসায় কাল বড় বিপদ কেটে
১৬ মিনিট আগেবিকেএসপিতে গতকাল ম্যাচ শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তামিম ইকবালকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। হৃদরোগে আক্রান্ত তামিমকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজরা। কিছুক্ষণ আগে তামিমের সুস্থতা কামনা করে দোয়া চাইলেন সাকিব আল হাসান।
১ ঘণ্টা আগে২০২৫ আইপিএল সামনে রেখে গত বছর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত মেগা নিলামে দল পাননি ডেভিড ওয়ার্নার। আইপিএলে দল না পাওয়া এই ওয়ার্নারকেই ড্রাফট থেকে নিয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি করাচি কিংস। এ বছরের জানুয়ারিতে হওয়া ড্রাফটে তিনিই ছিলেন করাচির প্রথম পছন্দ। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এবার তাঁকে করেছে অধিনায়কও
৩ ঘণ্টা আগেবিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আজ খেলা চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থায় ছিলেন না বলে বিকেএসপির কাছাকাছি কেপিজে হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার নিবিড়...
৩ ঘণ্টা আগে