
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের অন্যতম উদ্যোগ নিউরালিংক গত ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো মানুষে মস্তিষ্কে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) নামে একটি চিপ বসিয়েছে। এই চিপ মানুষের মস্তিষ্কের সংকেত পড়তে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা মাস্কের এই উদ্যোগ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তাঁদের আশা, দীর্ঘ মেয়াদে এই উদ্যোগ মানুষের জন্য আশীর্বাদই বয়ে আনবে। তবে কিছু শঙ্কার কথাও বলেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস চিপগুলো সাধারণত মানুষের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড রেকর্ড করতে পারে, সেগুলোর অর্থ কী, তা-ও বের করতে পারে অর্থাৎ ডিকোড করতে পারে। এটি কাজে লাগিয়ে গুরুতর প্যারালাইজড ব্যক্তিকে তাঁর চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার, রোবোটিক হাত, হুইলচেয়ার বা অন্যান্য ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার উট্রেখটের স্নায়ুবিজ্ঞানী ও ইন্টারন্যাশনাল বিসিআই সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মারিস্কা ভ্যানস্টিনসেল বলেন, ‘আমি আশা করি, তাঁরা (নিউরালিংকের বিজ্ঞানীরা) এটিকে নিরাপদ বলে প্রমাণ করবেন। এটি মস্তিষ্কের সংকেত রেকর্ড ও ডিকোড ক্ষেত্রে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর হবে।’
কিন্তু নিউরালিংক এখনো এই চিপ স্থাপনের বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করায় বিজ্ঞানীরা খানিকটা হতাশ। মাস্কের টুইট ছাড়া এই চিপ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে নিউরালিংক কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। এমনকি এ বিষয়ে মাস্কের প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিক অনুমতিও নেয়নি।
এ বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিউরোইঞ্জিনিয়ার টিম ডেনিসন বলেন, নিউরালিংক এই প্রকল্পে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। তবে এতে বিশদ বিবরণ নেই। যেমন, চিপ বসানোর অপারেশন কোথায় হচ্ছে, এর মূল্যায়নের ফলাফল কী ইত্যাদি বিষয়ে তাঁরা কিছু জানাচ্ছেন না।
অন্যান্য ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের সঙ্গে নিউরালিংকের চিপের পার্থক্য কী
যুক্তরাষ্ট্রের উতাহের সল্ট লেক সিটির প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক নিউরোটেক বলছে, নিউরালিংক মূলত ব্যক্তির প্রতিটি নিউরনের কার্যক্রমকে আলাদাভাবে টার্গেট করে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যক্তির মস্তিষ্কে একটি ইলেকট্রোড স্থাপনের প্রয়োজন হয়। বিপরীতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এমন চিপ আবিষ্কার করছে, যা মস্তিষ্কের ওপর স্থাপন করলেই হয়। এই চিপগুলো মস্তিষ্কের সাধারণ কার্যকলাপ রেকর্ড করে।
নিউরোসায়েন্টিস্টরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, মানুষের পরিশীলিত চিন্তা ডিকোড করার জন্য প্রতিটি নিউরন থেকে আলাদা ডেটা প্রয়োজন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা ইঙ্গিত দেয়, মস্তিষ্কের সাধারণ সংকেত থেকেও মানুষের চিন্তার বিষয়টি ডিকোড করা সম্ভব হতে পারে। নিউইয়র্কভিত্তিক কোম্পানি সিঙ্ক্রোন দেখিয়েছে, একটি কম ব্যান্ডউইডথে বিসিআই মানুষের মস্তিষ্কের উপরিভাগে বসানো হলে তা নিয়ে বেশ ভালোভাবেই একটি স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
নিউরালিংকের চিপটি তারহীন। কিন্তু আগে এ ধরনের চিপ হতো তারযুক্ত এবং তা বসানো হতো মাথার খুলি ছিদ্র করে। ফলে মস্তিষ্কে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু নিউরালিংকের বেলায় এই আশঙ্কা কম বললেই বলা যায়।
নিউরালিংকের ঘোষণা অনুসারে, তাদের চিপে ৬৪টি নমনীয় পলিমার সুতা রয়েছে। যেখানে মানুষের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড রেকর্ড করার জন্য ১০২৪টি একক ইউনিট রয়েছে; যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক বেশি। এ কারণে নিউরালিংকের চিপে ব্যান্ডউইডথ বাড়ানোর একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া নিউরালিংক জানিয়েছে, তারা এমন একটি রোবট তৈরির চেষ্টা করছে, যা কোনো ত্রুটি ছাড়াই মানুষের ব্রেইনে চিপ প্রতিস্থাপন করতে পারবে।
নিউরালিংকের চিপের সম্ভাবনার ব্যাপারে টিম ডেনিসন বলেন, ‘যে পরিসরে নিউরালিংক কাজ করছে, তা সত্যিই দুর্দান্ত। এখন দেখার বিষয় হলো, এটি কতটা ভালো কাজ করে। বিশেষ করে রোগীর নিরাপত্তা, চিপের সিগন্যাল গ্রহণ করার ক্ষমতা, স্থায়িত্ব এবং ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি কতটা হয়, তা-ই দেখার বিষয়।’
নিউরালিংক এই ট্রায়ালের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। এমনকি নেচার এই বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার চাইলে তা-ও ফিরিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিশেষজ্ঞরা আশা করেছেন, প্রথম পর্যায়ে নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। চিপের তাৎক্ষণিক প্রভাব প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এ বিষয়ে ডেনিসন বলেছেন, ‘বিশেষ করে কোনো ধরনের স্ট্রোক, রক্তপাত, রক্তনালির ক্ষতি বা এমন কিছু কিংবা কোনো ধরনের ইনফেকশন হয় কি না, সে বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
নিউরালিংক অবশ্য জানিয়েছে, যাদের মাথায় চিপ বসানো হয়েছে, তাদের নিবিড়ভাবে অন্তত ৫ বছর পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে সতর্ক করেছেন ভ্যানস্টিনসেল। তিনি বলেছেন, নিউরালিংকের আগে যে বিসিআইগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলোর কর্মদক্ষতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় কি না, তা নজরে রাখতে হবে।
নিউরালিংকের বিসিআই নিয়ে যেসব বিষয়ে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের পরীক্ষার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। নিউরালিংকের এই পরীক্ষামূলক প্রতিস্থাপন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুমোদন দিলেও সরকারের অপর একটি সংস্থা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডট গভ এর অনুমতি দেয়নি। এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা কিছুটা অস্বস্তিতে।
বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, নিউরালিংকের বিসিআই প্রতিস্থাপনের পুরো ব্যাপারটি স্বচ্ছতা অবলম্বন জরুরি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর বিসিআই গবেষক ইয়ান বুরখার্ট জানান, নিউরালিংক কী অর্জন করতে পারে, সে বিষয়টি জানার জন্য তিনি উত্তেজিত। তবে তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে তারা কতটা তথ্য প্রকাশ করছে, সে বিষয়ে তাদের ভাবা উচিত। কারণ, কোনো ব্যক্তি যখন এই চিপ নিজের শরীরে প্রতিস্থাপন করতে চাইবেন, তখন সে বিষয়ে তাঁর জানা অনেক বেশি জরুরি।’
উল্লেখ্য, এক গাড়ি দুর্ঘটনায় ইয়ান বুরখার্টের ঘাড় ভেঙে গিয়েছিল এবং তিনি প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি তাঁর মস্তিষ্কে একটি ব্ল্যাকরক চিপ বসিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর ধরের সুবিধা ভোগ করছেন।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের অন্যতম উদ্যোগ নিউরালিংক গত ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো মানুষে মস্তিষ্কে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) নামে একটি চিপ বসিয়েছে। এই চিপ মানুষের মস্তিষ্কের সংকেত পড়তে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা মাস্কের এই উদ্যোগ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তাঁদের আশা, দীর্ঘ মেয়াদে এই উদ্যোগ মানুষের জন্য আশীর্বাদই বয়ে আনবে। তবে কিছু শঙ্কার কথাও বলেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস চিপগুলো সাধারণত মানুষের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড রেকর্ড করতে পারে, সেগুলোর অর্থ কী, তা-ও বের করতে পারে অর্থাৎ ডিকোড করতে পারে। এটি কাজে লাগিয়ে গুরুতর প্যারালাইজড ব্যক্তিকে তাঁর চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার, রোবোটিক হাত, হুইলচেয়ার বা অন্যান্য ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার উট্রেখটের স্নায়ুবিজ্ঞানী ও ইন্টারন্যাশনাল বিসিআই সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মারিস্কা ভ্যানস্টিনসেল বলেন, ‘আমি আশা করি, তাঁরা (নিউরালিংকের বিজ্ঞানীরা) এটিকে নিরাপদ বলে প্রমাণ করবেন। এটি মস্তিষ্কের সংকেত রেকর্ড ও ডিকোড ক্ষেত্রে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর হবে।’
কিন্তু নিউরালিংক এখনো এই চিপ স্থাপনের বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করায় বিজ্ঞানীরা খানিকটা হতাশ। মাস্কের টুইট ছাড়া এই চিপ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে নিউরালিংক কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। এমনকি এ বিষয়ে মাস্কের প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিক অনুমতিও নেয়নি।
এ বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিউরোইঞ্জিনিয়ার টিম ডেনিসন বলেন, নিউরালিংক এই প্রকল্পে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। তবে এতে বিশদ বিবরণ নেই। যেমন, চিপ বসানোর অপারেশন কোথায় হচ্ছে, এর মূল্যায়নের ফলাফল কী ইত্যাদি বিষয়ে তাঁরা কিছু জানাচ্ছেন না।
অন্যান্য ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের সঙ্গে নিউরালিংকের চিপের পার্থক্য কী
যুক্তরাষ্ট্রের উতাহের সল্ট লেক সিটির প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক নিউরোটেক বলছে, নিউরালিংক মূলত ব্যক্তির প্রতিটি নিউরনের কার্যক্রমকে আলাদাভাবে টার্গেট করে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যক্তির মস্তিষ্কে একটি ইলেকট্রোড স্থাপনের প্রয়োজন হয়। বিপরীতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এমন চিপ আবিষ্কার করছে, যা মস্তিষ্কের ওপর স্থাপন করলেই হয়। এই চিপগুলো মস্তিষ্কের সাধারণ কার্যকলাপ রেকর্ড করে।
নিউরোসায়েন্টিস্টরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, মানুষের পরিশীলিত চিন্তা ডিকোড করার জন্য প্রতিটি নিউরন থেকে আলাদা ডেটা প্রয়োজন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা ইঙ্গিত দেয়, মস্তিষ্কের সাধারণ সংকেত থেকেও মানুষের চিন্তার বিষয়টি ডিকোড করা সম্ভব হতে পারে। নিউইয়র্কভিত্তিক কোম্পানি সিঙ্ক্রোন দেখিয়েছে, একটি কম ব্যান্ডউইডথে বিসিআই মানুষের মস্তিষ্কের উপরিভাগে বসানো হলে তা নিয়ে বেশ ভালোভাবেই একটি স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
নিউরালিংকের চিপটি তারহীন। কিন্তু আগে এ ধরনের চিপ হতো তারযুক্ত এবং তা বসানো হতো মাথার খুলি ছিদ্র করে। ফলে মস্তিষ্কে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু নিউরালিংকের বেলায় এই আশঙ্কা কম বললেই বলা যায়।
নিউরালিংকের ঘোষণা অনুসারে, তাদের চিপে ৬৪টি নমনীয় পলিমার সুতা রয়েছে। যেখানে মানুষের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড রেকর্ড করার জন্য ১০২৪টি একক ইউনিট রয়েছে; যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক বেশি। এ কারণে নিউরালিংকের চিপে ব্যান্ডউইডথ বাড়ানোর একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া নিউরালিংক জানিয়েছে, তারা এমন একটি রোবট তৈরির চেষ্টা করছে, যা কোনো ত্রুটি ছাড়াই মানুষের ব্রেইনে চিপ প্রতিস্থাপন করতে পারবে।
নিউরালিংকের চিপের সম্ভাবনার ব্যাপারে টিম ডেনিসন বলেন, ‘যে পরিসরে নিউরালিংক কাজ করছে, তা সত্যিই দুর্দান্ত। এখন দেখার বিষয় হলো, এটি কতটা ভালো কাজ করে। বিশেষ করে রোগীর নিরাপত্তা, চিপের সিগন্যাল গ্রহণ করার ক্ষমতা, স্থায়িত্ব এবং ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি কতটা হয়, তা-ই দেখার বিষয়।’
নিউরালিংক এই ট্রায়ালের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। এমনকি নেচার এই বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার চাইলে তা-ও ফিরিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিশেষজ্ঞরা আশা করেছেন, প্রথম পর্যায়ে নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। চিপের তাৎক্ষণিক প্রভাব প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এ বিষয়ে ডেনিসন বলেছেন, ‘বিশেষ করে কোনো ধরনের স্ট্রোক, রক্তপাত, রক্তনালির ক্ষতি বা এমন কিছু কিংবা কোনো ধরনের ইনফেকশন হয় কি না, সে বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
নিউরালিংক অবশ্য জানিয়েছে, যাদের মাথায় চিপ বসানো হয়েছে, তাদের নিবিড়ভাবে অন্তত ৫ বছর পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে সতর্ক করেছেন ভ্যানস্টিনসেল। তিনি বলেছেন, নিউরালিংকের আগে যে বিসিআইগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলোর কর্মদক্ষতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় কি না, তা নজরে রাখতে হবে।
নিউরালিংকের বিসিআই নিয়ে যেসব বিষয়ে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের পরীক্ষার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। নিউরালিংকের এই পরীক্ষামূলক প্রতিস্থাপন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুমোদন দিলেও সরকারের অপর একটি সংস্থা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডট গভ এর অনুমতি দেয়নি। এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা কিছুটা অস্বস্তিতে।
বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, নিউরালিংকের বিসিআই প্রতিস্থাপনের পুরো ব্যাপারটি স্বচ্ছতা অবলম্বন জরুরি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর বিসিআই গবেষক ইয়ান বুরখার্ট জানান, নিউরালিংক কী অর্জন করতে পারে, সে বিষয়টি জানার জন্য তিনি উত্তেজিত। তবে তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে তারা কতটা তথ্য প্রকাশ করছে, সে বিষয়ে তাদের ভাবা উচিত। কারণ, কোনো ব্যক্তি যখন এই চিপ নিজের শরীরে প্রতিস্থাপন করতে চাইবেন, তখন সে বিষয়ে তাঁর জানা অনেক বেশি জরুরি।’
উল্লেখ্য, এক গাড়ি দুর্ঘটনায় ইয়ান বুরখার্টের ঘাড় ভেঙে গিয়েছিল এবং তিনি প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি তাঁর মস্তিষ্কে একটি ব্ল্যাকরক চিপ বসিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর ধরের সুবিধা ভোগ করছেন।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

নিউরালিংক গত ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো মানুষে মস্তিষ্কে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) নামে একটি চিপ বসিয়েছে। এই চিপ মানুষের মস্তিষ্কের সংকেত পড়তে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা মাস্কের এই উদ্যোগ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তাঁদের আশা, দীর্ঘ মেয়াদে এই উদ্যোগ মানুষের জন্য আশীর্বাদই বয়ে আনবে। তবে কিছু শঙ্কার কথাও
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

নিউরালিংক গত ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো মানুষে মস্তিষ্কে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) নামে একটি চিপ বসিয়েছে। এই চিপ মানুষের মস্তিষ্কের সংকেত পড়তে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা মাস্কের এই উদ্যোগ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তাঁদের আশা, দীর্ঘ মেয়াদে এই উদ্যোগ মানুষের জন্য আশীর্বাদই বয়ে আনবে। তবে কিছু শঙ্কার কথাও
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

নিউরালিংক গত ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো মানুষে মস্তিষ্কে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) নামে একটি চিপ বসিয়েছে। এই চিপ মানুষের মস্তিষ্কের সংকেত পড়তে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা মাস্কের এই উদ্যোগ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তাঁদের আশা, দীর্ঘ মেয়াদে এই উদ্যোগ মানুষের জন্য আশীর্বাদই বয়ে আনবে। তবে কিছু শঙ্কার কথাও
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

নিউরালিংক গত ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো মানুষে মস্তিষ্কে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) নামে একটি চিপ বসিয়েছে। এই চিপ মানুষের মস্তিষ্কের সংকেত পড়তে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা মাস্কের এই উদ্যোগ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তাঁদের আশা, দীর্ঘ মেয়াদে এই উদ্যোগ মানুষের জন্য আশীর্বাদই বয়ে আনবে। তবে কিছু শঙ্কার কথাও
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে