আজকের পত্রিকা ডেস্ক

এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী গবেষকদের কাজ ঘিরে পদার্থবিদ্যার একটি বড় প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে—কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রভাব দেখা যায়—এমন একটি সিস্টেম আসলে আকারে কত বড় হতে পারে? এ বছর পদার্থে নোবেলজয়ীরা এমন একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে পরীক্ষা চালিয়েছেন, যেখানে তাঁরা হাতে ধরা যায় এমন আকারের সিস্টেমেও কোয়ান্টাম টানেলিং ও এনার্জি কোয়ান্টাইজেশনের প্রমাণ দিয়েছেন।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সে দেখা যায়, একটি কণা কোনো প্রতিবন্ধকতা ভেদ করে সোজাসুজি চলে যেতে পারে, যাকে বলা হয় টানেলিং। কিন্তু সাধারণত বহু কণা একসঙ্গে থাকলে এর কোয়ান্টাম প্রভাব হারিয়ে যায়। নোবেলজয়ীদের পরীক্ষায় দেখা গেছে, সঠিকভাবে তৈরি করলে কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য বড় আকারের সিস্টেমেও প্রকাশ করা সম্ভব।
১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোরে ও জন এম মার্টিনিস একসঙ্গে এমন একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে পরীক্ষা চালান, যেখানে ব্যবহার করা হয় সুপার কন্ডাক্টর। সুপার কন্ডাক্টর এমন এক পদার্থ, যা কোনো বৈদ্যুতিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বিদ্যুৎ পরিবাহন করতে পারে। এই সার্কিটে তাঁরা সুপার কন্ডাক্টরের মাঝে পাতলা এক অপরিবাহী স্তর বসান। এভাবে তৈরি যন্ত্রকে বলা হয় জোসেফসন জাংশন। গবেষকেরা ধাপে ধাপে সার্কিটের বৈশিষ্ট্য মেপে ও নিয়ন্ত্রণ করে দেখেছেন, যখন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তখন এর ভেতর কী কী ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় সুপার কন্ডাক্টরের ভেতরে চলমান চার্জ কণাগুলো এমনভাবে আচরণ করে, যেন তারা মিলে একটি একক কণায় রূপ নিয়েছে এবং পুরো সার্কিট জুড়ে ছড়িয়ে আছে।
এই বৃহৎ কণা-সদৃশ সিস্টেম প্রথমে থাকে এমন এক অবস্থায়, যেখানে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় কিন্তু কোনো ভোল্টেজ তৈরি হয় না। এই অবস্থাকে ধরা হয় একটি ফাঁদে আটকে থাকা বা অতিক্রম অযোগ্য প্রতিবন্ধকতার পেছনে থাকা অবস্থা হিসেবে। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা যায়—সিস্টেম হঠাৎই কোয়ান্টাম চরিত্র প্রকাশ করে। এটি টানেলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শূন্য ভোল্টেজের অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসে। আর তখনই সার্কিটে ভোল্টেজের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
গবেষকেরা আরও দেখিয়েছেন, সিস্টেমের আচরণ একেবারে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলে যায়। অর্থাৎ এর শক্তি ধাপে ধাপে বিন্যস্ত—এটি নির্দিষ্ট মাত্রার শক্তি গ্রহণ বা ত্যাগ করতে পারে।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ওলে এরিকসন বলেন, ‘শত বছরের পুরোনো কোয়ান্টাম মেকানিক্স এখনো যে নতুন চমক উপহার দিচ্ছে, সেটি উদ্যাপন করা সত্যিই দারুণ! একই সঙ্গে এর ব্যবহারিক গুরুত্বও অসাধারণ, কারণ ডিজিটাল প্রযুক্তির পুরো ভিত্তিই হলো কোয়ান্টাম মেকানিক্স।’
কম্পিউটার মাইক্রোচিপে ব্যবহৃত ট্রানজিস্টর হচ্ছে কোয়ান্টাম প্রযুক্তির একটি উদাহরণ। আর এ বছরের নোবেল পুরস্কার দেখিয়ে দিল, কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি, কোয়ান্টাম কম্পিউটার আর কোয়ান্টাম সেন্সরের মতো পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি উন্নয়নে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, জন ক্লার্কের জন্ম ১৯৪২ সালে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজে। ১৯৬৮ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলেতে অধ্যাপনা করছেন। মিশেল এইচ ডেবোরেটের জন্ম ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে। ১৯৮২ সালে ফ্রান্সের প্যারিস-সুদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ হেভেন এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারায় অধ্যাপনা করছেন। জন এম মার্টিনিসের জন্ম ১৯৫৮ সালে। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারায় অধ্যাপনা করছেন।
এর আগে, গত বছর কৃত্রিম ‘নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করে তোলার’ মৌলিক আবিষ্কারের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান জন হপফিল্ড ও জিওফ্রে হিনটন। জন হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং জিওফ্রে হিনটন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর অধ্যাপক।
২০২৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের পিয়েরে অগস্তিনি, জার্মানির ফেরেন্স ক্রাউস এবং সুইডেনের অ্যানে হুইলিয়ে। আলোর স্বল্পতম স্পন্দন তৈরি করে অতি সংক্ষিপ্ত মুহূর্তকে বন্দী করার কৌশল নিয়ে গবেষণা করার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
তার আগে ২০২২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জেতেন তিনজন। তাঁরা হলেন—অ্যালাইন আসপেক্ট, জন এফ ক্লসার ও আন্তন জেলিঙ্গার। ইনট্যাঙ্গলড ফোটনস, ভায়োলেশন অব বেল ইনইকুয়ালিটিস প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম ইনফরমেশন সায়েন্সে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের আবিষ্কার কোয়ান্টাম ইনফরমেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। তিনজনের মধ্যে বিজ্ঞানী অ্যালাইন আসপেক্ট ফরাসি, জন এফ ক্লসার মার্কিন এবং আন্তন জেলিঙ্গার অস্ট্রিয়ার নাগরিক।

এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী গবেষকদের কাজ ঘিরে পদার্থবিদ্যার একটি বড় প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে—কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রভাব দেখা যায়—এমন একটি সিস্টেম আসলে আকারে কত বড় হতে পারে? এ বছর পদার্থে নোবেলজয়ীরা এমন একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে পরীক্ষা চালিয়েছেন, যেখানে তাঁরা হাতে ধরা যায় এমন আকারের সিস্টেমেও কোয়ান্টাম টানেলিং ও এনার্জি কোয়ান্টাইজেশনের প্রমাণ দিয়েছেন।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সে দেখা যায়, একটি কণা কোনো প্রতিবন্ধকতা ভেদ করে সোজাসুজি চলে যেতে পারে, যাকে বলা হয় টানেলিং। কিন্তু সাধারণত বহু কণা একসঙ্গে থাকলে এর কোয়ান্টাম প্রভাব হারিয়ে যায়। নোবেলজয়ীদের পরীক্ষায় দেখা গেছে, সঠিকভাবে তৈরি করলে কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য বড় আকারের সিস্টেমেও প্রকাশ করা সম্ভব।
১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোরে ও জন এম মার্টিনিস একসঙ্গে এমন একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে পরীক্ষা চালান, যেখানে ব্যবহার করা হয় সুপার কন্ডাক্টর। সুপার কন্ডাক্টর এমন এক পদার্থ, যা কোনো বৈদ্যুতিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বিদ্যুৎ পরিবাহন করতে পারে। এই সার্কিটে তাঁরা সুপার কন্ডাক্টরের মাঝে পাতলা এক অপরিবাহী স্তর বসান। এভাবে তৈরি যন্ত্রকে বলা হয় জোসেফসন জাংশন। গবেষকেরা ধাপে ধাপে সার্কিটের বৈশিষ্ট্য মেপে ও নিয়ন্ত্রণ করে দেখেছেন, যখন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তখন এর ভেতর কী কী ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় সুপার কন্ডাক্টরের ভেতরে চলমান চার্জ কণাগুলো এমনভাবে আচরণ করে, যেন তারা মিলে একটি একক কণায় রূপ নিয়েছে এবং পুরো সার্কিট জুড়ে ছড়িয়ে আছে।
এই বৃহৎ কণা-সদৃশ সিস্টেম প্রথমে থাকে এমন এক অবস্থায়, যেখানে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় কিন্তু কোনো ভোল্টেজ তৈরি হয় না। এই অবস্থাকে ধরা হয় একটি ফাঁদে আটকে থাকা বা অতিক্রম অযোগ্য প্রতিবন্ধকতার পেছনে থাকা অবস্থা হিসেবে। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা যায়—সিস্টেম হঠাৎই কোয়ান্টাম চরিত্র প্রকাশ করে। এটি টানেলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শূন্য ভোল্টেজের অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসে। আর তখনই সার্কিটে ভোল্টেজের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
গবেষকেরা আরও দেখিয়েছেন, সিস্টেমের আচরণ একেবারে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলে যায়। অর্থাৎ এর শক্তি ধাপে ধাপে বিন্যস্ত—এটি নির্দিষ্ট মাত্রার শক্তি গ্রহণ বা ত্যাগ করতে পারে।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ওলে এরিকসন বলেন, ‘শত বছরের পুরোনো কোয়ান্টাম মেকানিক্স এখনো যে নতুন চমক উপহার দিচ্ছে, সেটি উদ্যাপন করা সত্যিই দারুণ! একই সঙ্গে এর ব্যবহারিক গুরুত্বও অসাধারণ, কারণ ডিজিটাল প্রযুক্তির পুরো ভিত্তিই হলো কোয়ান্টাম মেকানিক্স।’
কম্পিউটার মাইক্রোচিপে ব্যবহৃত ট্রানজিস্টর হচ্ছে কোয়ান্টাম প্রযুক্তির একটি উদাহরণ। আর এ বছরের নোবেল পুরস্কার দেখিয়ে দিল, কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি, কোয়ান্টাম কম্পিউটার আর কোয়ান্টাম সেন্সরের মতো পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি উন্নয়নে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, জন ক্লার্কের জন্ম ১৯৪২ সালে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজে। ১৯৬৮ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলেতে অধ্যাপনা করছেন। মিশেল এইচ ডেবোরেটের জন্ম ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে। ১৯৮২ সালে ফ্রান্সের প্যারিস-সুদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ হেভেন এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারায় অধ্যাপনা করছেন। জন এম মার্টিনিসের জন্ম ১৯৫৮ সালে। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারায় অধ্যাপনা করছেন।
এর আগে, গত বছর কৃত্রিম ‘নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করে তোলার’ মৌলিক আবিষ্কারের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান জন হপফিল্ড ও জিওফ্রে হিনটন। জন হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং জিওফ্রে হিনটন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর অধ্যাপক।
২০২৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের পিয়েরে অগস্তিনি, জার্মানির ফেরেন্স ক্রাউস এবং সুইডেনের অ্যানে হুইলিয়ে। আলোর স্বল্পতম স্পন্দন তৈরি করে অতি সংক্ষিপ্ত মুহূর্তকে বন্দী করার কৌশল নিয়ে গবেষণা করার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
তার আগে ২০২২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জেতেন তিনজন। তাঁরা হলেন—অ্যালাইন আসপেক্ট, জন এফ ক্লসার ও আন্তন জেলিঙ্গার। ইনট্যাঙ্গলড ফোটনস, ভায়োলেশন অব বেল ইনইকুয়ালিটিস প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম ইনফরমেশন সায়েন্সে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের আবিষ্কার কোয়ান্টাম ইনফরমেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। তিনজনের মধ্যে বিজ্ঞানী অ্যালাইন আসপেক্ট ফরাসি, জন এফ ক্লসার মার্কিন এবং আন্তন জেলিঙ্গার অস্ট্রিয়ার নাগরিক।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী গবেষকদের কাজ ঘিরে পদার্থবিদ্যার একটি বড় প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে—কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রভাব দেখা যায়—এমন একটি সিস্টেম আসলে আকারে কত বড় হতে পারে? এ বছর পদার্থে নোবেলজয়ীরা এমন একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে পরীক্ষা চালিয়েছেন, যেখানে তাঁরা হাতে ধরা যায় এমন আকারের সিস্টেমেও কোয়ান্টাম টানেলিং ও এনার্জি কোয়ান্টাইজেশনের প্রমাণ দিয়েছেন।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সে দেখা যায়, একটি কণা কোনো প্রতিবন্ধকতা ভেদ করে সোজাসুজি চলে যেতে পারে, যাকে বলা হয় টানেলিং। কিন্তু সাধারণত বহু কণা একসঙ্গে থাকলে এর কোয়ান্টাম প্রভাব হারিয়ে যায়। নোবেলজয়ীদের পরীক্ষায় দেখা গেছে, সঠিকভাবে তৈরি করলে কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য বড় আকারের সিস্টেমেও প্রকাশ করা সম্ভব।
১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোরে ও জন এম মার্টিনিস একসঙ্গে এমন একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে পরীক্ষা চালান, যেখানে ব্যবহার করা হয় সুপার কন্ডাক্টর। সুপার কন্ডাক্টর এমন এক পদার্থ, যা কোনো বৈদ্যুতিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বিদ্যুৎ পরিবাহন করতে পারে। এই সার্কিটে তাঁরা সুপার কন্ডাক্টরের মাঝে পাতলা এক অপরিবাহী স্তর বসান। এভাবে তৈরি যন্ত্রকে বলা হয় জোসেফসন জাংশন। গবেষকেরা ধাপে ধাপে সার্কিটের বৈশিষ্ট্য মেপে ও নিয়ন্ত্রণ করে দেখেছেন, যখন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তখন এর ভেতর কী কী ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় সুপার কন্ডাক্টরের ভেতরে চলমান চার্জ কণাগুলো এমনভাবে আচরণ করে, যেন তারা মিলে একটি একক কণায় রূপ নিয়েছে এবং পুরো সার্কিট জুড়ে ছড়িয়ে আছে।
এই বৃহৎ কণা-সদৃশ সিস্টেম প্রথমে থাকে এমন এক অবস্থায়, যেখানে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় কিন্তু কোনো ভোল্টেজ তৈরি হয় না। এই অবস্থাকে ধরা হয় একটি ফাঁদে আটকে থাকা বা অতিক্রম অযোগ্য প্রতিবন্ধকতার পেছনে থাকা অবস্থা হিসেবে। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা যায়—সিস্টেম হঠাৎই কোয়ান্টাম চরিত্র প্রকাশ করে। এটি টানেলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শূন্য ভোল্টেজের অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসে। আর তখনই সার্কিটে ভোল্টেজের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
গবেষকেরা আরও দেখিয়েছেন, সিস্টেমের আচরণ একেবারে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলে যায়। অর্থাৎ এর শক্তি ধাপে ধাপে বিন্যস্ত—এটি নির্দিষ্ট মাত্রার শক্তি গ্রহণ বা ত্যাগ করতে পারে।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ওলে এরিকসন বলেন, ‘শত বছরের পুরোনো কোয়ান্টাম মেকানিক্স এখনো যে নতুন চমক উপহার দিচ্ছে, সেটি উদ্যাপন করা সত্যিই দারুণ! একই সঙ্গে এর ব্যবহারিক গুরুত্বও অসাধারণ, কারণ ডিজিটাল প্রযুক্তির পুরো ভিত্তিই হলো কোয়ান্টাম মেকানিক্স।’
কম্পিউটার মাইক্রোচিপে ব্যবহৃত ট্রানজিস্টর হচ্ছে কোয়ান্টাম প্রযুক্তির একটি উদাহরণ। আর এ বছরের নোবেল পুরস্কার দেখিয়ে দিল, কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি, কোয়ান্টাম কম্পিউটার আর কোয়ান্টাম সেন্সরের মতো পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি উন্নয়নে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, জন ক্লার্কের জন্ম ১৯৪২ সালে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজে। ১৯৬৮ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলেতে অধ্যাপনা করছেন। মিশেল এইচ ডেবোরেটের জন্ম ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে। ১৯৮২ সালে ফ্রান্সের প্যারিস-সুদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ হেভেন এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারায় অধ্যাপনা করছেন। জন এম মার্টিনিসের জন্ম ১৯৫৮ সালে। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারায় অধ্যাপনা করছেন।
এর আগে, গত বছর কৃত্রিম ‘নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করে তোলার’ মৌলিক আবিষ্কারের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান জন হপফিল্ড ও জিওফ্রে হিনটন। জন হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং জিওফ্রে হিনটন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর অধ্যাপক।
২০২৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের পিয়েরে অগস্তিনি, জার্মানির ফেরেন্স ক্রাউস এবং সুইডেনের অ্যানে হুইলিয়ে। আলোর স্বল্পতম স্পন্দন তৈরি করে অতি সংক্ষিপ্ত মুহূর্তকে বন্দী করার কৌশল নিয়ে গবেষণা করার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
তার আগে ২০২২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জেতেন তিনজন। তাঁরা হলেন—অ্যালাইন আসপেক্ট, জন এফ ক্লসার ও আন্তন জেলিঙ্গার। ইনট্যাঙ্গলড ফোটনস, ভায়োলেশন অব বেল ইনইকুয়ালিটিস প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম ইনফরমেশন সায়েন্সে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের আবিষ্কার কোয়ান্টাম ইনফরমেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। তিনজনের মধ্যে বিজ্ঞানী অ্যালাইন আসপেক্ট ফরাসি, জন এফ ক্লসার মার্কিন এবং আন্তন জেলিঙ্গার অস্ট্রিয়ার নাগরিক।

এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী গবেষকদের কাজ ঘিরে পদার্থবিদ্যার একটি বড় প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে—কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রভাব দেখা যায়—এমন একটি সিস্টেম আসলে আকারে কত বড় হতে পারে? এ বছর পদার্থে নোবেলজয়ীরা এমন একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে পরীক্ষা চালিয়েছেন, যেখানে তাঁরা হাতে ধরা যায় এমন আকারের সিস্টেমেও কোয়ান্টাম টানেলিং ও এনার্জি কোয়ান্টাইজেশনের প্রমাণ দিয়েছেন।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সে দেখা যায়, একটি কণা কোনো প্রতিবন্ধকতা ভেদ করে সোজাসুজি চলে যেতে পারে, যাকে বলা হয় টানেলিং। কিন্তু সাধারণত বহু কণা একসঙ্গে থাকলে এর কোয়ান্টাম প্রভাব হারিয়ে যায়। নোবেলজয়ীদের পরীক্ষায় দেখা গেছে, সঠিকভাবে তৈরি করলে কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য বড় আকারের সিস্টেমেও প্রকাশ করা সম্ভব।
১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোরে ও জন এম মার্টিনিস একসঙ্গে এমন একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে পরীক্ষা চালান, যেখানে ব্যবহার করা হয় সুপার কন্ডাক্টর। সুপার কন্ডাক্টর এমন এক পদার্থ, যা কোনো বৈদ্যুতিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বিদ্যুৎ পরিবাহন করতে পারে। এই সার্কিটে তাঁরা সুপার কন্ডাক্টরের মাঝে পাতলা এক অপরিবাহী স্তর বসান। এভাবে তৈরি যন্ত্রকে বলা হয় জোসেফসন জাংশন। গবেষকেরা ধাপে ধাপে সার্কিটের বৈশিষ্ট্য মেপে ও নিয়ন্ত্রণ করে দেখেছেন, যখন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তখন এর ভেতর কী কী ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় সুপার কন্ডাক্টরের ভেতরে চলমান চার্জ কণাগুলো এমনভাবে আচরণ করে, যেন তারা মিলে একটি একক কণায় রূপ নিয়েছে এবং পুরো সার্কিট জুড়ে ছড়িয়ে আছে।
এই বৃহৎ কণা-সদৃশ সিস্টেম প্রথমে থাকে এমন এক অবস্থায়, যেখানে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় কিন্তু কোনো ভোল্টেজ তৈরি হয় না। এই অবস্থাকে ধরা হয় একটি ফাঁদে আটকে থাকা বা অতিক্রম অযোগ্য প্রতিবন্ধকতার পেছনে থাকা অবস্থা হিসেবে। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা যায়—সিস্টেম হঠাৎই কোয়ান্টাম চরিত্র প্রকাশ করে। এটি টানেলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শূন্য ভোল্টেজের অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসে। আর তখনই সার্কিটে ভোল্টেজের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
গবেষকেরা আরও দেখিয়েছেন, সিস্টেমের আচরণ একেবারে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলে যায়। অর্থাৎ এর শক্তি ধাপে ধাপে বিন্যস্ত—এটি নির্দিষ্ট মাত্রার শক্তি গ্রহণ বা ত্যাগ করতে পারে।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ওলে এরিকসন বলেন, ‘শত বছরের পুরোনো কোয়ান্টাম মেকানিক্স এখনো যে নতুন চমক উপহার দিচ্ছে, সেটি উদ্যাপন করা সত্যিই দারুণ! একই সঙ্গে এর ব্যবহারিক গুরুত্বও অসাধারণ, কারণ ডিজিটাল প্রযুক্তির পুরো ভিত্তিই হলো কোয়ান্টাম মেকানিক্স।’
কম্পিউটার মাইক্রোচিপে ব্যবহৃত ট্রানজিস্টর হচ্ছে কোয়ান্টাম প্রযুক্তির একটি উদাহরণ। আর এ বছরের নোবেল পুরস্কার দেখিয়ে দিল, কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি, কোয়ান্টাম কম্পিউটার আর কোয়ান্টাম সেন্সরের মতো পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি উন্নয়নে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, জন ক্লার্কের জন্ম ১৯৪২ সালে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজে। ১৯৬৮ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলেতে অধ্যাপনা করছেন। মিশেল এইচ ডেবোরেটের জন্ম ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে। ১৯৮২ সালে ফ্রান্সের প্যারিস-সুদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ হেভেন এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারায় অধ্যাপনা করছেন। জন এম মার্টিনিসের জন্ম ১৯৫৮ সালে। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারায় অধ্যাপনা করছেন।
এর আগে, গত বছর কৃত্রিম ‘নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করে তোলার’ মৌলিক আবিষ্কারের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান জন হপফিল্ড ও জিওফ্রে হিনটন। জন হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং জিওফ্রে হিনটন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর অধ্যাপক।
২০২৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের পিয়েরে অগস্তিনি, জার্মানির ফেরেন্স ক্রাউস এবং সুইডেনের অ্যানে হুইলিয়ে। আলোর স্বল্পতম স্পন্দন তৈরি করে অতি সংক্ষিপ্ত মুহূর্তকে বন্দী করার কৌশল নিয়ে গবেষণা করার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
তার আগে ২০২২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জেতেন তিনজন। তাঁরা হলেন—অ্যালাইন আসপেক্ট, জন এফ ক্লসার ও আন্তন জেলিঙ্গার। ইনট্যাঙ্গলড ফোটনস, ভায়োলেশন অব বেল ইনইকুয়ালিটিস প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম ইনফরমেশন সায়েন্সে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের আবিষ্কার কোয়ান্টাম ইনফরমেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। তিনজনের মধ্যে বিজ্ঞানী অ্যালাইন আসপেক্ট ফরাসি, জন এফ ক্লসার মার্কিন এবং আন্তন জেলিঙ্গার অস্ট্রিয়ার নাগরিক।

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১৫ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী গবেষকদের কাজ ঘিরে পদার্থবিদ্যার একটি বড় প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে—কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রভাব দেখা যায়—এমন একটি সিস্টেম আসলে আকারে কত বড় হতে পারে?
০৭ অক্টোবর ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১৫ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী গবেষকদের কাজ ঘিরে পদার্থবিদ্যার একটি বড় প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে—কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রভাব দেখা যায়—এমন একটি সিস্টেম আসলে আকারে কত বড় হতে পারে?
০৭ অক্টোবর ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী গবেষকদের কাজ ঘিরে পদার্থবিদ্যার একটি বড় প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে—কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রভাব দেখা যায়—এমন একটি সিস্টেম আসলে আকারে কত বড় হতে পারে?
০৭ অক্টোবর ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১৫ ঘণ্টা আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী গবেষকদের কাজ ঘিরে পদার্থবিদ্যার একটি বড় প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে—কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রভাব দেখা যায়—এমন একটি সিস্টেম আসলে আকারে কত বড় হতে পারে?
০৭ অক্টোবর ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১৫ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে