আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্টারবেস থেকে বুধবার সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলো বিশ্বের বৃহত্তম রকেট, স্পেসএক্সের স্টারশিপ। তবে প্রাথমিকভাবে সফল এই যাত্রা মাঝপথে গিয়েই কিছু বড় বাধার সম্মুখীন হয়, যা ইলন মাস্কের বহুল প্রচারিত মঙ্গলে অভিযান প্রকল্পের জন্য নতুন করে কিছু প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। উৎক্ষেপণে মহাকাশে পৌঁছাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত এটি ফেরার পথে আকাশেই বিস্ফোরিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৩৭ মিনিট) দক্ষিণ টেক্সাসের একটি গ্রামসংলগ্ন স্পেসএক্সের স্টারবেস উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই গ্রাম চলতি মাসের শুরুতে ‘স্টারবেস’ নামক একটি শহরে রূপান্তরিত হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়।
৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য (১২২ মিটার) স্টারশিপ রকেটটি স্পেসএক্সের মানুষের মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর প্রধান বাহন হিসেবে বিবেচিত। এটি এর আগের দুটি ব্যর্থ উৎক্ষেপণের তুলনায় অনেক দূর এগিয়ে যায়। আগের দুই উৎক্ষেপণে রকেট আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ওপর ধ্বংসাবশেষ ফেলেছিল এবং ওই অঞ্চলে বহু যাত্রীবাহী বিমানের রুট পরিবর্তন করতে হয়েছিল।
এই নবম পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত একটি পুরোনো বুস্টারের মাধ্যমে স্টারশিপকে মহাকাশে পাঠানো হয়, যা ছিল রকেটের পুনর্ব্যবহার যোগ্যতার এক উল্লেখযোগ্য পরীক্ষা। তবে বুস্টারটি পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিতভাবে সাগরে নামতে পারেনি; বরং এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে যায় এবং এর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্টারশিপ নিজে মহাকাশে পৌঁছালেও প্রায় ৩০ মিনিট পর এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। মহাকাশে পরীক্ষামূলকভাবে আটটি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে, রকেটের পেলোড ডোর খোলেনি, ফলে এই পরীক্ষাগুলো আর করা সম্ভব হয়নি।
এসবের পরও বেশ কিছু সাফল্যও যোগ হয়েছে বুধবারের প্রচেষ্টায়। সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে, আগের দুবারের মতো এবার রকেট যাওয়ার পথে বিস্ফোরিত হয়নি। আরেকটি বড় সাফল্য হচ্ছে, এবারের বুস্টার আগেও ব্যবহৃত হয়েছিল।
স্পেসএক্সের সম্প্রচারক ড্যান হুয়েট বলেন, ‘আজকের উৎক্ষেপণে আমাদের অনেক কক্ষপথীয় লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে।’
মাস্ক একটি পোস্টে জানান, প্রাথমিক জ্বালানি ট্যাংকে একটি লিকের কারণেই স্টারশিপ নিয়ন্ত্রণ হারায়। তিনি বলেন, ‘বিশ্লেষণের জন্য অনেক ভালো তথ্য পাওয়া গেছে।’
ইলন মাস্ক আরও বলেন, ‘পরবর্তী তিনটি উৎক্ষেপণের সময়ের ব্যবধান কমানো হবে। প্রায় প্রতি তিন থেকে চার সপ্তাহে একটি করে উৎক্ষেপণ করা হবে।’ তবে স্পেসএক্সের মঙ্গল গ্রহ নিয়ে পূর্বঘোষিত লাইভ স্ট্রিমটি তিনি এখনো করবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
স্পেসএক্স জানিয়েছে, চলতি বছর উৎক্ষেপিত স্টারশিপগুলোর নকশায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন আনা হয়েছে, যা একসঙ্গে প্রচুর স্যাটেলাইট পাঠানো, চন্দ্রাভিযানে সাহায্য করা এবং শেষ পর্যন্ত মঙ্গল অভিযানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
স্টারশিপের এই উৎক্ষেপণ ছিল প্রায় পুরো পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রিত পতনের একটি পরীক্ষা, যার মাধ্যমে নতুন হিট শিল্ড এবং নিয়ন্ত্রণ ফ্ল্যাপ পরীক্ষার কথা ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার আকাশে আগুনের গোলা হয়ে ভেঙে পড়া এই রকেট প্রকল্পটিতে নতুন করে বিলম্বের ইঙ্গিত দেয়।
নাসা ২০২৭ সালে এই স্টারশিপ রকেট দিয়েই মানুষকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যদিও মাস্কের মঙ্গলকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক প্রভাব এই কর্মসূচিকে জটিল করে তুলছে।
স্পেসএক্স আদতে ঝুঁকি নিতে ভয় পায় না। তারা বারবার রকেট পরীক্ষা চালায়, ত্রুটি খুঁজে বের করে, তারপর সেগুলোর সমাধান করে উন্নতি আনে। এই পদ্ধতি অনেক পুরোনো বা প্রচলিত মহাকাশ প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আলাদা।
ইলন মাস্ক সম্প্রতি তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে মনোযোগ সরিয়ে আবার ব্যবসায় মনোনিবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি স্টারশিপকে ভবিষ্যতের ‘ফ্যালকন ৯’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় এগিয়ে চলেছেন। ফ্যালকন ৯ রকেট বাণিজ্যিকভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) চার দিন আগেই স্টারশিপের এই উৎক্ষেপণের অনুমতি দেয়। এর আগে জানুয়ারি ও মার্চ মাসে স্টারশিপের দুটি পরীক্ষা চালানো হয়, যা উৎক্ষেপণের কিছু সময় পরই বিস্ফোরিত হয় এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে।
এ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জিত না হলেও, মহাকাশ অভিযানের অগ্রযাত্রায় এটি নিঃসন্দেহে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
উৎক্ষেপণের সময় টেক্সাসের দক্ষিণ উপকূলীয় সাউথ পাদ্রে আইল্যান্ডের কাছাকাছি ইসলাম ব্লাংকা পার্কে অনেক মহাকাশপ্রেমী জড়ো হন ইতিহাসের সাক্ষী হতে। ছোট ছোট পর্যটক নৌকাও ছিল পার্শ্ববর্তী জলাশয়ে। স্টারবেস গ্রাউন্ড কন্ট্রোলে ইলন মাস্ককে ‘অকুপায় মারস’ লেখা টি-শার্ট পরে বসে থাকতে দেখা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার ৫০ বছর বয়সী পিয়ার্স ডসন এএফপিকে বলেন, ‘আমি এই রকেট নিয়ে পুরোপুরি মুগ্ধ। আমি আমার পরিবারের ছুটি পরিকল্পনা করেছি এই উৎক্ষেপণকে কেন্দ্র করে।’ তিনিই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও স্কুলফেরত কিশোর ছেলে।
অন্য এক দর্শক, ৩৩ বছর বয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জোশুয়া উইংগেট বলেন, ‘বিজ্ঞানজগতে কোনো ব্যর্থতা নেই। প্রতিটি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শেখা হয়, তাই এটি দেখা ছিল অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।’

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্টারবেস থেকে বুধবার সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলো বিশ্বের বৃহত্তম রকেট, স্পেসএক্সের স্টারশিপ। তবে প্রাথমিকভাবে সফল এই যাত্রা মাঝপথে গিয়েই কিছু বড় বাধার সম্মুখীন হয়, যা ইলন মাস্কের বহুল প্রচারিত মঙ্গলে অভিযান প্রকল্পের জন্য নতুন করে কিছু প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। উৎক্ষেপণে মহাকাশে পৌঁছাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত এটি ফেরার পথে আকাশেই বিস্ফোরিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৩৭ মিনিট) দক্ষিণ টেক্সাসের একটি গ্রামসংলগ্ন স্পেসএক্সের স্টারবেস উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই গ্রাম চলতি মাসের শুরুতে ‘স্টারবেস’ নামক একটি শহরে রূপান্তরিত হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়।
৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য (১২২ মিটার) স্টারশিপ রকেটটি স্পেসএক্সের মানুষের মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর প্রধান বাহন হিসেবে বিবেচিত। এটি এর আগের দুটি ব্যর্থ উৎক্ষেপণের তুলনায় অনেক দূর এগিয়ে যায়। আগের দুই উৎক্ষেপণে রকেট আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ওপর ধ্বংসাবশেষ ফেলেছিল এবং ওই অঞ্চলে বহু যাত্রীবাহী বিমানের রুট পরিবর্তন করতে হয়েছিল।
এই নবম পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত একটি পুরোনো বুস্টারের মাধ্যমে স্টারশিপকে মহাকাশে পাঠানো হয়, যা ছিল রকেটের পুনর্ব্যবহার যোগ্যতার এক উল্লেখযোগ্য পরীক্ষা। তবে বুস্টারটি পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিতভাবে সাগরে নামতে পারেনি; বরং এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে যায় এবং এর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্টারশিপ নিজে মহাকাশে পৌঁছালেও প্রায় ৩০ মিনিট পর এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। মহাকাশে পরীক্ষামূলকভাবে আটটি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে, রকেটের পেলোড ডোর খোলেনি, ফলে এই পরীক্ষাগুলো আর করা সম্ভব হয়নি।
এসবের পরও বেশ কিছু সাফল্যও যোগ হয়েছে বুধবারের প্রচেষ্টায়। সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে, আগের দুবারের মতো এবার রকেট যাওয়ার পথে বিস্ফোরিত হয়নি। আরেকটি বড় সাফল্য হচ্ছে, এবারের বুস্টার আগেও ব্যবহৃত হয়েছিল।
স্পেসএক্সের সম্প্রচারক ড্যান হুয়েট বলেন, ‘আজকের উৎক্ষেপণে আমাদের অনেক কক্ষপথীয় লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে।’
মাস্ক একটি পোস্টে জানান, প্রাথমিক জ্বালানি ট্যাংকে একটি লিকের কারণেই স্টারশিপ নিয়ন্ত্রণ হারায়। তিনি বলেন, ‘বিশ্লেষণের জন্য অনেক ভালো তথ্য পাওয়া গেছে।’
ইলন মাস্ক আরও বলেন, ‘পরবর্তী তিনটি উৎক্ষেপণের সময়ের ব্যবধান কমানো হবে। প্রায় প্রতি তিন থেকে চার সপ্তাহে একটি করে উৎক্ষেপণ করা হবে।’ তবে স্পেসএক্সের মঙ্গল গ্রহ নিয়ে পূর্বঘোষিত লাইভ স্ট্রিমটি তিনি এখনো করবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
স্পেসএক্স জানিয়েছে, চলতি বছর উৎক্ষেপিত স্টারশিপগুলোর নকশায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন আনা হয়েছে, যা একসঙ্গে প্রচুর স্যাটেলাইট পাঠানো, চন্দ্রাভিযানে সাহায্য করা এবং শেষ পর্যন্ত মঙ্গল অভিযানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
স্টারশিপের এই উৎক্ষেপণ ছিল প্রায় পুরো পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রিত পতনের একটি পরীক্ষা, যার মাধ্যমে নতুন হিট শিল্ড এবং নিয়ন্ত্রণ ফ্ল্যাপ পরীক্ষার কথা ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার আকাশে আগুনের গোলা হয়ে ভেঙে পড়া এই রকেট প্রকল্পটিতে নতুন করে বিলম্বের ইঙ্গিত দেয়।
নাসা ২০২৭ সালে এই স্টারশিপ রকেট দিয়েই মানুষকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যদিও মাস্কের মঙ্গলকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক প্রভাব এই কর্মসূচিকে জটিল করে তুলছে।
স্পেসএক্স আদতে ঝুঁকি নিতে ভয় পায় না। তারা বারবার রকেট পরীক্ষা চালায়, ত্রুটি খুঁজে বের করে, তারপর সেগুলোর সমাধান করে উন্নতি আনে। এই পদ্ধতি অনেক পুরোনো বা প্রচলিত মহাকাশ প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আলাদা।
ইলন মাস্ক সম্প্রতি তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে মনোযোগ সরিয়ে আবার ব্যবসায় মনোনিবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি স্টারশিপকে ভবিষ্যতের ‘ফ্যালকন ৯’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় এগিয়ে চলেছেন। ফ্যালকন ৯ রকেট বাণিজ্যিকভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) চার দিন আগেই স্টারশিপের এই উৎক্ষেপণের অনুমতি দেয়। এর আগে জানুয়ারি ও মার্চ মাসে স্টারশিপের দুটি পরীক্ষা চালানো হয়, যা উৎক্ষেপণের কিছু সময় পরই বিস্ফোরিত হয় এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে।
এ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জিত না হলেও, মহাকাশ অভিযানের অগ্রযাত্রায় এটি নিঃসন্দেহে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
উৎক্ষেপণের সময় টেক্সাসের দক্ষিণ উপকূলীয় সাউথ পাদ্রে আইল্যান্ডের কাছাকাছি ইসলাম ব্লাংকা পার্কে অনেক মহাকাশপ্রেমী জড়ো হন ইতিহাসের সাক্ষী হতে। ছোট ছোট পর্যটক নৌকাও ছিল পার্শ্ববর্তী জলাশয়ে। স্টারবেস গ্রাউন্ড কন্ট্রোলে ইলন মাস্ককে ‘অকুপায় মারস’ লেখা টি-শার্ট পরে বসে থাকতে দেখা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার ৫০ বছর বয়সী পিয়ার্স ডসন এএফপিকে বলেন, ‘আমি এই রকেট নিয়ে পুরোপুরি মুগ্ধ। আমি আমার পরিবারের ছুটি পরিকল্পনা করেছি এই উৎক্ষেপণকে কেন্দ্র করে।’ তিনিই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও স্কুলফেরত কিশোর ছেলে।
অন্য এক দর্শক, ৩৩ বছর বয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জোশুয়া উইংগেট বলেন, ‘বিজ্ঞানজগতে কোনো ব্যর্থতা নেই। প্রতিটি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শেখা হয়, তাই এটি দেখা ছিল অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্টারবেস থেকে বুধবার সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলো বিশ্বের বৃহত্তম রকেট, স্পেসএক্সের স্টারশিপ। তবে প্রাথমিকভাবে সফল এই যাত্রা মাঝপথে গিয়েই কিছু বড় বাধার সম্মুখীন হয়, যা ইলন মাস্কের বহুল প্রচারিত মঙ্গলে অভিযান প্রকল্পের জন্য নতুন করে কিছু প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। উৎক্ষেপণে মহাকাশে পৌঁছাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত এটি ফেরার পথে আকাশেই বিস্ফোরিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৩৭ মিনিট) দক্ষিণ টেক্সাসের একটি গ্রামসংলগ্ন স্পেসএক্সের স্টারবেস উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই গ্রাম চলতি মাসের শুরুতে ‘স্টারবেস’ নামক একটি শহরে রূপান্তরিত হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়।
৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য (১২২ মিটার) স্টারশিপ রকেটটি স্পেসএক্সের মানুষের মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর প্রধান বাহন হিসেবে বিবেচিত। এটি এর আগের দুটি ব্যর্থ উৎক্ষেপণের তুলনায় অনেক দূর এগিয়ে যায়। আগের দুই উৎক্ষেপণে রকেট আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ওপর ধ্বংসাবশেষ ফেলেছিল এবং ওই অঞ্চলে বহু যাত্রীবাহী বিমানের রুট পরিবর্তন করতে হয়েছিল।
এই নবম পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত একটি পুরোনো বুস্টারের মাধ্যমে স্টারশিপকে মহাকাশে পাঠানো হয়, যা ছিল রকেটের পুনর্ব্যবহার যোগ্যতার এক উল্লেখযোগ্য পরীক্ষা। তবে বুস্টারটি পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিতভাবে সাগরে নামতে পারেনি; বরং এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে যায় এবং এর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্টারশিপ নিজে মহাকাশে পৌঁছালেও প্রায় ৩০ মিনিট পর এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। মহাকাশে পরীক্ষামূলকভাবে আটটি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে, রকেটের পেলোড ডোর খোলেনি, ফলে এই পরীক্ষাগুলো আর করা সম্ভব হয়নি।
এসবের পরও বেশ কিছু সাফল্যও যোগ হয়েছে বুধবারের প্রচেষ্টায়। সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে, আগের দুবারের মতো এবার রকেট যাওয়ার পথে বিস্ফোরিত হয়নি। আরেকটি বড় সাফল্য হচ্ছে, এবারের বুস্টার আগেও ব্যবহৃত হয়েছিল।
স্পেসএক্সের সম্প্রচারক ড্যান হুয়েট বলেন, ‘আজকের উৎক্ষেপণে আমাদের অনেক কক্ষপথীয় লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে।’
মাস্ক একটি পোস্টে জানান, প্রাথমিক জ্বালানি ট্যাংকে একটি লিকের কারণেই স্টারশিপ নিয়ন্ত্রণ হারায়। তিনি বলেন, ‘বিশ্লেষণের জন্য অনেক ভালো তথ্য পাওয়া গেছে।’
ইলন মাস্ক আরও বলেন, ‘পরবর্তী তিনটি উৎক্ষেপণের সময়ের ব্যবধান কমানো হবে। প্রায় প্রতি তিন থেকে চার সপ্তাহে একটি করে উৎক্ষেপণ করা হবে।’ তবে স্পেসএক্সের মঙ্গল গ্রহ নিয়ে পূর্বঘোষিত লাইভ স্ট্রিমটি তিনি এখনো করবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
স্পেসএক্স জানিয়েছে, চলতি বছর উৎক্ষেপিত স্টারশিপগুলোর নকশায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন আনা হয়েছে, যা একসঙ্গে প্রচুর স্যাটেলাইট পাঠানো, চন্দ্রাভিযানে সাহায্য করা এবং শেষ পর্যন্ত মঙ্গল অভিযানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
স্টারশিপের এই উৎক্ষেপণ ছিল প্রায় পুরো পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রিত পতনের একটি পরীক্ষা, যার মাধ্যমে নতুন হিট শিল্ড এবং নিয়ন্ত্রণ ফ্ল্যাপ পরীক্ষার কথা ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার আকাশে আগুনের গোলা হয়ে ভেঙে পড়া এই রকেট প্রকল্পটিতে নতুন করে বিলম্বের ইঙ্গিত দেয়।
নাসা ২০২৭ সালে এই স্টারশিপ রকেট দিয়েই মানুষকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যদিও মাস্কের মঙ্গলকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক প্রভাব এই কর্মসূচিকে জটিল করে তুলছে।
স্পেসএক্স আদতে ঝুঁকি নিতে ভয় পায় না। তারা বারবার রকেট পরীক্ষা চালায়, ত্রুটি খুঁজে বের করে, তারপর সেগুলোর সমাধান করে উন্নতি আনে। এই পদ্ধতি অনেক পুরোনো বা প্রচলিত মহাকাশ প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আলাদা।
ইলন মাস্ক সম্প্রতি তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে মনোযোগ সরিয়ে আবার ব্যবসায় মনোনিবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি স্টারশিপকে ভবিষ্যতের ‘ফ্যালকন ৯’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় এগিয়ে চলেছেন। ফ্যালকন ৯ রকেট বাণিজ্যিকভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) চার দিন আগেই স্টারশিপের এই উৎক্ষেপণের অনুমতি দেয়। এর আগে জানুয়ারি ও মার্চ মাসে স্টারশিপের দুটি পরীক্ষা চালানো হয়, যা উৎক্ষেপণের কিছু সময় পরই বিস্ফোরিত হয় এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে।
এ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জিত না হলেও, মহাকাশ অভিযানের অগ্রযাত্রায় এটি নিঃসন্দেহে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
উৎক্ষেপণের সময় টেক্সাসের দক্ষিণ উপকূলীয় সাউথ পাদ্রে আইল্যান্ডের কাছাকাছি ইসলাম ব্লাংকা পার্কে অনেক মহাকাশপ্রেমী জড়ো হন ইতিহাসের সাক্ষী হতে। ছোট ছোট পর্যটক নৌকাও ছিল পার্শ্ববর্তী জলাশয়ে। স্টারবেস গ্রাউন্ড কন্ট্রোলে ইলন মাস্ককে ‘অকুপায় মারস’ লেখা টি-শার্ট পরে বসে থাকতে দেখা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার ৫০ বছর বয়সী পিয়ার্স ডসন এএফপিকে বলেন, ‘আমি এই রকেট নিয়ে পুরোপুরি মুগ্ধ। আমি আমার পরিবারের ছুটি পরিকল্পনা করেছি এই উৎক্ষেপণকে কেন্দ্র করে।’ তিনিই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও স্কুলফেরত কিশোর ছেলে।
অন্য এক দর্শক, ৩৩ বছর বয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জোশুয়া উইংগেট বলেন, ‘বিজ্ঞানজগতে কোনো ব্যর্থতা নেই। প্রতিটি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শেখা হয়, তাই এটি দেখা ছিল অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।’

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্টারবেস থেকে বুধবার সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলো বিশ্বের বৃহত্তম রকেট, স্পেসএক্সের স্টারশিপ। তবে প্রাথমিকভাবে সফল এই যাত্রা মাঝপথে গিয়েই কিছু বড় বাধার সম্মুখীন হয়, যা ইলন মাস্কের বহুল প্রচারিত মঙ্গলে অভিযান প্রকল্পের জন্য নতুন করে কিছু প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। উৎক্ষেপণে মহাকাশে পৌঁছাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত এটি ফেরার পথে আকাশেই বিস্ফোরিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৩৭ মিনিট) দক্ষিণ টেক্সাসের একটি গ্রামসংলগ্ন স্পেসএক্সের স্টারবেস উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই গ্রাম চলতি মাসের শুরুতে ‘স্টারবেস’ নামক একটি শহরে রূপান্তরিত হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়।
৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য (১২২ মিটার) স্টারশিপ রকেটটি স্পেসএক্সের মানুষের মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর প্রধান বাহন হিসেবে বিবেচিত। এটি এর আগের দুটি ব্যর্থ উৎক্ষেপণের তুলনায় অনেক দূর এগিয়ে যায়। আগের দুই উৎক্ষেপণে রকেট আকাশে বিস্ফোরিত হয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ওপর ধ্বংসাবশেষ ফেলেছিল এবং ওই অঞ্চলে বহু যাত্রীবাহী বিমানের রুট পরিবর্তন করতে হয়েছিল।
এই নবম পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত একটি পুরোনো বুস্টারের মাধ্যমে স্টারশিপকে মহাকাশে পাঠানো হয়, যা ছিল রকেটের পুনর্ব্যবহার যোগ্যতার এক উল্লেখযোগ্য পরীক্ষা। তবে বুস্টারটি পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিতভাবে সাগরে নামতে পারেনি; বরং এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে যায় এবং এর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্টারশিপ নিজে মহাকাশে পৌঁছালেও প্রায় ৩০ মিনিট পর এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। মহাকাশে পরীক্ষামূলকভাবে আটটি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে, রকেটের পেলোড ডোর খোলেনি, ফলে এই পরীক্ষাগুলো আর করা সম্ভব হয়নি।
এসবের পরও বেশ কিছু সাফল্যও যোগ হয়েছে বুধবারের প্রচেষ্টায়। সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে, আগের দুবারের মতো এবার রকেট যাওয়ার পথে বিস্ফোরিত হয়নি। আরেকটি বড় সাফল্য হচ্ছে, এবারের বুস্টার আগেও ব্যবহৃত হয়েছিল।
স্পেসএক্সের সম্প্রচারক ড্যান হুয়েট বলেন, ‘আজকের উৎক্ষেপণে আমাদের অনেক কক্ষপথীয় লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে।’
মাস্ক একটি পোস্টে জানান, প্রাথমিক জ্বালানি ট্যাংকে একটি লিকের কারণেই স্টারশিপ নিয়ন্ত্রণ হারায়। তিনি বলেন, ‘বিশ্লেষণের জন্য অনেক ভালো তথ্য পাওয়া গেছে।’
ইলন মাস্ক আরও বলেন, ‘পরবর্তী তিনটি উৎক্ষেপণের সময়ের ব্যবধান কমানো হবে। প্রায় প্রতি তিন থেকে চার সপ্তাহে একটি করে উৎক্ষেপণ করা হবে।’ তবে স্পেসএক্সের মঙ্গল গ্রহ নিয়ে পূর্বঘোষিত লাইভ স্ট্রিমটি তিনি এখনো করবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
স্পেসএক্স জানিয়েছে, চলতি বছর উৎক্ষেপিত স্টারশিপগুলোর নকশায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন আনা হয়েছে, যা একসঙ্গে প্রচুর স্যাটেলাইট পাঠানো, চন্দ্রাভিযানে সাহায্য করা এবং শেষ পর্যন্ত মঙ্গল অভিযানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
স্টারশিপের এই উৎক্ষেপণ ছিল প্রায় পুরো পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রিত পতনের একটি পরীক্ষা, যার মাধ্যমে নতুন হিট শিল্ড এবং নিয়ন্ত্রণ ফ্ল্যাপ পরীক্ষার কথা ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার আকাশে আগুনের গোলা হয়ে ভেঙে পড়া এই রকেট প্রকল্পটিতে নতুন করে বিলম্বের ইঙ্গিত দেয়।
নাসা ২০২৭ সালে এই স্টারশিপ রকেট দিয়েই মানুষকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যদিও মাস্কের মঙ্গলকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক প্রভাব এই কর্মসূচিকে জটিল করে তুলছে।
স্পেসএক্স আদতে ঝুঁকি নিতে ভয় পায় না। তারা বারবার রকেট পরীক্ষা চালায়, ত্রুটি খুঁজে বের করে, তারপর সেগুলোর সমাধান করে উন্নতি আনে। এই পদ্ধতি অনেক পুরোনো বা প্রচলিত মহাকাশ প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আলাদা।
ইলন মাস্ক সম্প্রতি তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে মনোযোগ সরিয়ে আবার ব্যবসায় মনোনিবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি স্টারশিপকে ভবিষ্যতের ‘ফ্যালকন ৯’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় এগিয়ে চলেছেন। ফ্যালকন ৯ রকেট বাণিজ্যিকভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) চার দিন আগেই স্টারশিপের এই উৎক্ষেপণের অনুমতি দেয়। এর আগে জানুয়ারি ও মার্চ মাসে স্টারশিপের দুটি পরীক্ষা চালানো হয়, যা উৎক্ষেপণের কিছু সময় পরই বিস্ফোরিত হয় এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে।
এ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জিত না হলেও, মহাকাশ অভিযানের অগ্রযাত্রায় এটি নিঃসন্দেহে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
উৎক্ষেপণের সময় টেক্সাসের দক্ষিণ উপকূলীয় সাউথ পাদ্রে আইল্যান্ডের কাছাকাছি ইসলাম ব্লাংকা পার্কে অনেক মহাকাশপ্রেমী জড়ো হন ইতিহাসের সাক্ষী হতে। ছোট ছোট পর্যটক নৌকাও ছিল পার্শ্ববর্তী জলাশয়ে। স্টারবেস গ্রাউন্ড কন্ট্রোলে ইলন মাস্ককে ‘অকুপায় মারস’ লেখা টি-শার্ট পরে বসে থাকতে দেখা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার ৫০ বছর বয়সী পিয়ার্স ডসন এএফপিকে বলেন, ‘আমি এই রকেট নিয়ে পুরোপুরি মুগ্ধ। আমি আমার পরিবারের ছুটি পরিকল্পনা করেছি এই উৎক্ষেপণকে কেন্দ্র করে।’ তিনিই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও স্কুলফেরত কিশোর ছেলে।
অন্য এক দর্শক, ৩৩ বছর বয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জোশুয়া উইংগেট বলেন, ‘বিজ্ঞানজগতে কোনো ব্যর্থতা নেই। প্রতিটি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শেখা হয়, তাই এটি দেখা ছিল অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।’

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১৩ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্টারবেস থেকে বুধবার সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলো বিশ্বের বৃহত্তম রকেট, স্পেসএক্সের স্টারশিপ। তবে প্রাথমিকভাবে সফল এই যাত্রা মাঝপথে গিয়েই কিছু বড় বাঁধার সম্মুখীন হয়, যা ইলন মাস্কের বহুল প্রচারিত মঙ্গলে অভিযানের প্রকল্পের জন্য নতুন করে কিছু প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
২৮ মে ২০২৫
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্টারবেস থেকে বুধবার সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলো বিশ্বের বৃহত্তম রকেট, স্পেসএক্সের স্টারশিপ। তবে প্রাথমিকভাবে সফল এই যাত্রা মাঝপথে গিয়েই কিছু বড় বাঁধার সম্মুখীন হয়, যা ইলন মাস্কের বহুল প্রচারিত মঙ্গলে অভিযানের প্রকল্পের জন্য নতুন করে কিছু প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
২৮ মে ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১৩ ঘণ্টা আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্টারবেস থেকে বুধবার সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলো বিশ্বের বৃহত্তম রকেট, স্পেসএক্সের স্টারশিপ। তবে প্রাথমিকভাবে সফল এই যাত্রা মাঝপথে গিয়েই কিছু বড় বাঁধার সম্মুখীন হয়, যা ইলন মাস্কের বহুল প্রচারিত মঙ্গলে অভিযানের প্রকল্পের জন্য নতুন করে কিছু প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
২৮ মে ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১৩ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্টারবেস থেকে বুধবার সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলো বিশ্বের বৃহত্তম রকেট, স্পেসএক্সের স্টারশিপ। তবে প্রাথমিকভাবে সফল এই যাত্রা মাঝপথে গিয়েই কিছু বড় বাঁধার সম্মুখীন হয়, যা ইলন মাস্কের বহুল প্রচারিত মঙ্গলে অভিযানের প্রকল্পের জন্য নতুন করে কিছু প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
২৮ মে ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১৩ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে