মঙ্গলের ‘জেজেরো ক্রাটারে’ (গর্তে) জেব্রার মতো সাদা–কালো ডোরাকাটা পাথর আবিষ্কার নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার (রোবটযান)। এই পাথরের নাম ‘ফ্রেয়া ক্যাসল’ রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পাথরের মতো নকশা এবং আকার মঙ্গলে আগে কখনো দেখা যায়নি। ১৩ সেপ্টেম্বর মাসে রোভারের ওপরে স্থাপন করা ক্যামেরা পাথরটি খুঁজে পায়।
রোভারটি ইতিমধ্যেই ওই এলাকা ত্যাগ করেছে। পারসিভিয়ারেন্স চলে যাওয়ার পর ছবিটি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই পাথরের উৎস এবং গঠন নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে ।
ফ্রেয়া ক্যাসল প্রস্থ প্রায় ২০ সেন্টিমিটার এবং এটি সম্ভবত আগ্নেয়গিরি কার্যকলাপ বা অন্যান্য প্রাকৃতিক রূপান্তরিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।
পাথরের ডোরাকাটা অংশগুলো সম্ভবত দুটি কারণে তৈরি হতে পারে বলে নাসার বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে একটি কারণ হলো—ম্যাগমার ক্রিস্টালাইজেশন। যখন ম্যাগমা (গলিত শিলা) ঠান্ডা হতে শুরু করে, তখন তার মধ্যে থাকা উপাদানগুলো ক্রিস্টাল বা ফটিক আকারে গঠন লাভ করে। এই প্রক্রিয়ার কারণে পাথরে ডোরাকাটা বা স্ট্রাইপড নকশা তৈরি হতে পারে।
আর দ্বিতীয় কারণ হলো—উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপের পরিবর্তন। যখন পাথর উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপের মধ্যে থাকে, তখন এর গঠন পরিবর্তিত হতে পারে। যার ফলে স্ট্রাইপ বা ডোরাকাটা নকশা সৃষ্টি হয়।
যেহেতু পাথরটি মঙ্গলের অন্যান্য পাথর থেকে ভিন্ন, তাই সম্ভবত এটি অন্য একটি স্থান থেকে এসেছে ও ক্রাটারে গড়িয়ে বর্তমান অবস্থানে রয়েছে।
ফ্রেয়া ক্যাসল সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চান নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁরা আশা করছেন, রোভারটি যখন ওপরের দিকে উঠতে থাকবে তখন এই ধরনের আরও পাথরের দেখা পাবে। পারসিভিয়ারেন্স বর্তমানে জেজেরো ক্রাটারের ঢালে চলাফেরা করছে।
২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো রোভারটি এই গর্তে পৌঁছায়। পারসিভিয়ারেন্স রোভারের মঙ্গলে পঞ্চম প্রধান অভিযান হলো ‘ক্রাটার রিম ক্যাম্পেইন’। প্রাচীন জীবনের চিহ্ন আবিষ্কার ও গ্রহটির প্রাথমিক ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য এই অভিযান শুরু হয়।
মঙ্গলে বিভিন্ন অভিযানে পারসিভিয়ারেন্স অনেক চমকপ্রদ আবিষ্কার করেছে। প্রাচীন লেক থাকার প্রমাণ থেকে শুরু করে অন্যান্য অস্বাভাবিক পাথরের গঠনও আবিষ্কার করেছে।
নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির প্রকল্প ব্যবস্থাপক আর্ট থম্পসন বলেন, রোভারটি নতুন এলাকাগুলোকে ভ্রমণ করার পাশাপাশি এটি নতুন কী কিছু খুঁজে পেতে পারে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস ৩৬০
মঙ্গলের ‘জেজেরো ক্রাটারে’ (গর্তে) জেব্রার মতো সাদা–কালো ডোরাকাটা পাথর আবিষ্কার নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার (রোবটযান)। এই পাথরের নাম ‘ফ্রেয়া ক্যাসল’ রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পাথরের মতো নকশা এবং আকার মঙ্গলে আগে কখনো দেখা যায়নি। ১৩ সেপ্টেম্বর মাসে রোভারের ওপরে স্থাপন করা ক্যামেরা পাথরটি খুঁজে পায়।
রোভারটি ইতিমধ্যেই ওই এলাকা ত্যাগ করেছে। পারসিভিয়ারেন্স চলে যাওয়ার পর ছবিটি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই পাথরের উৎস এবং গঠন নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে ।
ফ্রেয়া ক্যাসল প্রস্থ প্রায় ২০ সেন্টিমিটার এবং এটি সম্ভবত আগ্নেয়গিরি কার্যকলাপ বা অন্যান্য প্রাকৃতিক রূপান্তরিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।
পাথরের ডোরাকাটা অংশগুলো সম্ভবত দুটি কারণে তৈরি হতে পারে বলে নাসার বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে একটি কারণ হলো—ম্যাগমার ক্রিস্টালাইজেশন। যখন ম্যাগমা (গলিত শিলা) ঠান্ডা হতে শুরু করে, তখন তার মধ্যে থাকা উপাদানগুলো ক্রিস্টাল বা ফটিক আকারে গঠন লাভ করে। এই প্রক্রিয়ার কারণে পাথরে ডোরাকাটা বা স্ট্রাইপড নকশা তৈরি হতে পারে।
আর দ্বিতীয় কারণ হলো—উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপের পরিবর্তন। যখন পাথর উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপের মধ্যে থাকে, তখন এর গঠন পরিবর্তিত হতে পারে। যার ফলে স্ট্রাইপ বা ডোরাকাটা নকশা সৃষ্টি হয়।
যেহেতু পাথরটি মঙ্গলের অন্যান্য পাথর থেকে ভিন্ন, তাই সম্ভবত এটি অন্য একটি স্থান থেকে এসেছে ও ক্রাটারে গড়িয়ে বর্তমান অবস্থানে রয়েছে।
ফ্রেয়া ক্যাসল সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চান নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁরা আশা করছেন, রোভারটি যখন ওপরের দিকে উঠতে থাকবে তখন এই ধরনের আরও পাথরের দেখা পাবে। পারসিভিয়ারেন্স বর্তমানে জেজেরো ক্রাটারের ঢালে চলাফেরা করছে।
২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো রোভারটি এই গর্তে পৌঁছায়। পারসিভিয়ারেন্স রোভারের মঙ্গলে পঞ্চম প্রধান অভিযান হলো ‘ক্রাটার রিম ক্যাম্পেইন’। প্রাচীন জীবনের চিহ্ন আবিষ্কার ও গ্রহটির প্রাথমিক ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য এই অভিযান শুরু হয়।
মঙ্গলে বিভিন্ন অভিযানে পারসিভিয়ারেন্স অনেক চমকপ্রদ আবিষ্কার করেছে। প্রাচীন লেক থাকার প্রমাণ থেকে শুরু করে অন্যান্য অস্বাভাবিক পাথরের গঠনও আবিষ্কার করেছে।
নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির প্রকল্প ব্যবস্থাপক আর্ট থম্পসন বলেন, রোভারটি নতুন এলাকাগুলোকে ভ্রমণ করার পাশাপাশি এটি নতুন কী কিছু খুঁজে পেতে পারে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস ৩৬০
ডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
১৪ ঘণ্টা আগেপৃথিবী ছাড়া মহাবিশ্বের অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিগত কয়েক দশক ধরে গবেষণা পরিচালনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই উত্তরের খোঁজে আরেক ধাপ এগোল মানবজাতি। নাসার জ্যোতির্বিদরা দাবি করেছেন, পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে ‘কে২–১৮ বি’ নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে...
২০ ঘণ্টা আগেচিংড়ি চাষের জন্য এক অমানবিক পদ্ধতি বেছে নেন খামারিরা। এটি এমন পদ্ধতি, যেখানে স্ত্রী চিংড়ির একটি বা উভয় চোখই কেটে বা উপড়ে ফেলা হয়। শুনতে এটি জলজ প্রাণী চাষে ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত ও কার্যকর পদ্ধতি। ক্রাস্টেসিয়ান (খোলসযুক্ত জলজ প্রাণী) প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই পদ্ধতি। মূলত বাণিজ্যিক
২ দিন আগেজনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেটি পেরি আরও পাঁচ নারীকে গতকাল সোমবার মহাকাশে এক সংক্ষিপ্ত অভিযানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বহন করে নিয়ে গিয়েছিল বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের একটি রকেট। বেজোসের বাগ্দত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার সাবেক রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক...
৩ দিন আগে