আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহামারি, দুর্ভিক্ষ কিংবা দাসত্বের মতো কঠিন সময়েও পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে নারীরা। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত একটি বৈজ্ঞানিক সত্য। নারীদেহ গঠিত হয়েছে সহনশীলতা, স্থায়িত্ব ও দীর্ঘায়ুর জন্য। জটিল প্রজননব্যবস্থা, মাসিক চক্র, গর্ভধারণ, প্রসব ও স্তন্যদানের মতো শারীরিক চাপ সত্ত্বেও নারীরা শুধু তা সামালই দেন না, বরং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনধারণে পুরুষদেরও ছাপিয়ে যান। এই আশ্চর্য জীব বৈজ্ঞানিক শক্তির পেছনে রয়েছে জেনেটিক গঠন, হরমোন, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও জীবনধারার মতো বেশ কিছু কারণ।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, খাদ্য ও চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হওয়া সত্ত্বেও নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। বিষয়টি উঠে এসেছে ‘দ্য স্ট্রংগার সেক্স’ বইয়ের গবেষণায়।
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব পাডুয়ার ডেমোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ভার্জিনিয়া জারুল্লি সাতটি ঐতিহাসিক দুর্যোগপীড়িত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেঁচে থাকার হার বিশ্লেষণ করেন। তাঁর ২০১৮ সালের গবেষণাটি প্রকাশিত হয় ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে’ (পিএনএএস)।
গবেষণায় দেখা যায়, ইউক্রেন, আয়ারল্যান্ড ও সুইডেনের দুর্ভিক্ষ, ত্রিনিদাদে দাসত্ব এবং আইসল্যান্ডের হাম মহামারির মতো ‘উচ্চ মৃত্যুহার’ পরিবেশেও সব বয়সের নারী বেশি দিন বেঁচেছে। এমনকি এই চরম সময়ে জন্ম নেওয়া কন্যাশিশুরাও পুত্রশিশুর চেয়ে বেশি টিকে ছিল—এটি নারীর জৈবিক সহনশীলতার শক্ত ইঙ্গিত।
এক্স ক্রোমোজোম
নারীদের শরীরে থাকে দুটি এক্স ক্রোমোজোম, যেখানে পুরুষের একটিই থাকে। এক্স ক্রোমোজোমে থাকে প্রায় ১০ গুণ বেশি জিন, যেসবের মধ্যে অনেকগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। নিউরোজেনেটিসিস্ট ও বিবর্তনবিদ ড. শ্যারন মোলেম তাঁর বই ‘দ্য বেটা হাফ: অন দ্য জেনিটিক সুপিয়রিটি অব ওমেন’-এ বলেন, ‘যেহেতু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নিরন্তর বিবর্তিত হয়, সেভাবে নারীদের প্রতিরোধব্যবস্থা পুরুষদের তুলনায় দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
পুরুষের তুলনায় নারীদের শরীরে বেশি পরিমাণে থাকে ইস্ট্রোজেন, যা রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সুবিধা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদেহে থাকে উচ্চসংখ্যক নিউট্রোফিল, যেটি সবচেয়ে প্রচলিত এবং গুরুত্বপূর্ণ শ্বেত রক্তকণিকা। এ ছাড়া তাদের ‘বি’ সেল কার্যক্রমও পুরুষদের চেয়ে বেশি সক্রিয়, ফলে তারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
নারীরা সংক্রমণের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় ধরে রোগের স্মৃতি ধরে রাখতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার বিবর্তন জীববিজ্ঞানী প্রফেসর মারলিন জুক বলেন, ‘পুরুষেরা অনেক রোগে নারীর তুলনায় বেশি দুর্বল হয়; যদিও তা সব রোগে বা সব ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’
টেস্টোস্টেরনের প্রভাব
নারীদের তুলনায় পুরুষদের শরীরে বেশি থাকে টেস্টোস্টেরন, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিতে পারে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ প্রাণী থেকে টেস্টোস্টেরন বের করে নিলে তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেড়ে যায়। আবার স্ত্রী প্রাণীর শরীরে অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন প্রবেশ করালেও সেই ক্ষমতা কমে যায়।
জুক বলেন, ‘সম্ভবত টেস্টোস্টেরন পুরুষ প্রাণীকে বেশি বংশবিস্তার করতে সহায়তা করে। তবে এর বিনিময়ে তাদের শরীরের স্থায়িত্ব কমে যায়।’
জীবনধারা ও সংস্কৃতির প্রভাব
অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, পুরুষদের কম দীর্ঘায়ুর পেছনে সামাজিক-সাংস্কৃতিক আচরণও ভূমিকা রাখে। পুরুষেরা তুলনামূলকভাবে বেশি ধূমপান করেন, বেশি অ্যালকোহল পান করেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন। অনেক সময় তাঁরা নারীদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে রাখেন।
তবে জারুল্লির গবেষণায় দেখা যায়, এমনকি যখন নারী-পুরুষের জীবনধারা প্রায় এক হয়, তখনো নারীরাই বেশি দিন বাঁচে।
অন্ত্রের দৈর্ঘ্যেও নারীর সুবিধা
২০২৩ সালে ‘পিয়ারজে’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের ক্ষুদ্রান্ত্র পুরুষদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বড়। ১৮৮৫ সালের পর এই প্রথম মৃতদেহের অন্ত্রের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করেন নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজিস্ট এরিন ম্যাককেনি ও ফরেনসিক অ্যানথ্রোপলজিস্ট আমান্ডা হেল।
নারীদের শরীরে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, বিশেষ করে প্রোটিন ও চর্বি—শোষণের ক্ষমতা বেশি। গর্ভধারণ ও স্তন্যদানের সময় এই পুষ্টির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। গবেষক হেল বলেন, ‘নারীর ছোট অন্ত্রই তার শরীরকে আরও দক্ষভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।’
এই বৈজ্ঞানিক তথ্য ‘ফিমেল বাফারিং হাইপোথিসিস’-এর পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, যা বলছে নারীর শরীর পরিবেশগত ও শারীরিক চাপ মোকাবিলায় বেশি সক্ষম।
অনেক বছর ধরে চিকিৎসাবিজ্ঞান নারী শরীরের জটিলতা ও বৈচিত্র্যকে উপেক্ষা করেছে। এখন জিন, হরমোন ও শারীরিক কাঠামো নিয়ে গবেষণায় নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে শুধু নারীর জন্য নয়, বরং সব শরীরের জন্য আরও লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি তৈরি সম্ভব হবে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

মহামারি, দুর্ভিক্ষ কিংবা দাসত্বের মতো কঠিন সময়েও পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে নারীরা। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত একটি বৈজ্ঞানিক সত্য। নারীদেহ গঠিত হয়েছে সহনশীলতা, স্থায়িত্ব ও দীর্ঘায়ুর জন্য। জটিল প্রজননব্যবস্থা, মাসিক চক্র, গর্ভধারণ, প্রসব ও স্তন্যদানের মতো শারীরিক চাপ সত্ত্বেও নারীরা শুধু তা সামালই দেন না, বরং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনধারণে পুরুষদেরও ছাপিয়ে যান। এই আশ্চর্য জীব বৈজ্ঞানিক শক্তির পেছনে রয়েছে জেনেটিক গঠন, হরমোন, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও জীবনধারার মতো বেশ কিছু কারণ।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, খাদ্য ও চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হওয়া সত্ত্বেও নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। বিষয়টি উঠে এসেছে ‘দ্য স্ট্রংগার সেক্স’ বইয়ের গবেষণায়।
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব পাডুয়ার ডেমোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ভার্জিনিয়া জারুল্লি সাতটি ঐতিহাসিক দুর্যোগপীড়িত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেঁচে থাকার হার বিশ্লেষণ করেন। তাঁর ২০১৮ সালের গবেষণাটি প্রকাশিত হয় ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে’ (পিএনএএস)।
গবেষণায় দেখা যায়, ইউক্রেন, আয়ারল্যান্ড ও সুইডেনের দুর্ভিক্ষ, ত্রিনিদাদে দাসত্ব এবং আইসল্যান্ডের হাম মহামারির মতো ‘উচ্চ মৃত্যুহার’ পরিবেশেও সব বয়সের নারী বেশি দিন বেঁচেছে। এমনকি এই চরম সময়ে জন্ম নেওয়া কন্যাশিশুরাও পুত্রশিশুর চেয়ে বেশি টিকে ছিল—এটি নারীর জৈবিক সহনশীলতার শক্ত ইঙ্গিত।
এক্স ক্রোমোজোম
নারীদের শরীরে থাকে দুটি এক্স ক্রোমোজোম, যেখানে পুরুষের একটিই থাকে। এক্স ক্রোমোজোমে থাকে প্রায় ১০ গুণ বেশি জিন, যেসবের মধ্যে অনেকগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। নিউরোজেনেটিসিস্ট ও বিবর্তনবিদ ড. শ্যারন মোলেম তাঁর বই ‘দ্য বেটা হাফ: অন দ্য জেনিটিক সুপিয়রিটি অব ওমেন’-এ বলেন, ‘যেহেতু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নিরন্তর বিবর্তিত হয়, সেভাবে নারীদের প্রতিরোধব্যবস্থা পুরুষদের তুলনায় দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
পুরুষের তুলনায় নারীদের শরীরে বেশি পরিমাণে থাকে ইস্ট্রোজেন, যা রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সুবিধা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদেহে থাকে উচ্চসংখ্যক নিউট্রোফিল, যেটি সবচেয়ে প্রচলিত এবং গুরুত্বপূর্ণ শ্বেত রক্তকণিকা। এ ছাড়া তাদের ‘বি’ সেল কার্যক্রমও পুরুষদের চেয়ে বেশি সক্রিয়, ফলে তারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
নারীরা সংক্রমণের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় ধরে রোগের স্মৃতি ধরে রাখতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার বিবর্তন জীববিজ্ঞানী প্রফেসর মারলিন জুক বলেন, ‘পুরুষেরা অনেক রোগে নারীর তুলনায় বেশি দুর্বল হয়; যদিও তা সব রোগে বা সব ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’
টেস্টোস্টেরনের প্রভাব
নারীদের তুলনায় পুরুষদের শরীরে বেশি থাকে টেস্টোস্টেরন, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিতে পারে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ প্রাণী থেকে টেস্টোস্টেরন বের করে নিলে তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেড়ে যায়। আবার স্ত্রী প্রাণীর শরীরে অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন প্রবেশ করালেও সেই ক্ষমতা কমে যায়।
জুক বলেন, ‘সম্ভবত টেস্টোস্টেরন পুরুষ প্রাণীকে বেশি বংশবিস্তার করতে সহায়তা করে। তবে এর বিনিময়ে তাদের শরীরের স্থায়িত্ব কমে যায়।’
জীবনধারা ও সংস্কৃতির প্রভাব
অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, পুরুষদের কম দীর্ঘায়ুর পেছনে সামাজিক-সাংস্কৃতিক আচরণও ভূমিকা রাখে। পুরুষেরা তুলনামূলকভাবে বেশি ধূমপান করেন, বেশি অ্যালকোহল পান করেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন। অনেক সময় তাঁরা নারীদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে রাখেন।
তবে জারুল্লির গবেষণায় দেখা যায়, এমনকি যখন নারী-পুরুষের জীবনধারা প্রায় এক হয়, তখনো নারীরাই বেশি দিন বাঁচে।
অন্ত্রের দৈর্ঘ্যেও নারীর সুবিধা
২০২৩ সালে ‘পিয়ারজে’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের ক্ষুদ্রান্ত্র পুরুষদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বড়। ১৮৮৫ সালের পর এই প্রথম মৃতদেহের অন্ত্রের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করেন নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজিস্ট এরিন ম্যাককেনি ও ফরেনসিক অ্যানথ্রোপলজিস্ট আমান্ডা হেল।
নারীদের শরীরে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, বিশেষ করে প্রোটিন ও চর্বি—শোষণের ক্ষমতা বেশি। গর্ভধারণ ও স্তন্যদানের সময় এই পুষ্টির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। গবেষক হেল বলেন, ‘নারীর ছোট অন্ত্রই তার শরীরকে আরও দক্ষভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।’
এই বৈজ্ঞানিক তথ্য ‘ফিমেল বাফারিং হাইপোথিসিস’-এর পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, যা বলছে নারীর শরীর পরিবেশগত ও শারীরিক চাপ মোকাবিলায় বেশি সক্ষম।
অনেক বছর ধরে চিকিৎসাবিজ্ঞান নারী শরীরের জটিলতা ও বৈচিত্র্যকে উপেক্ষা করেছে। এখন জিন, হরমোন ও শারীরিক কাঠামো নিয়ে গবেষণায় নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে শুধু নারীর জন্য নয়, বরং সব শরীরের জন্য আরও লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি তৈরি সম্ভব হবে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহামারি, দুর্ভিক্ষ কিংবা দাসত্বের মতো কঠিন সময়েও পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে নারীরা। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত একটি বৈজ্ঞানিক সত্য। নারীদেহ গঠিত হয়েছে সহনশীলতা, স্থায়িত্ব ও দীর্ঘায়ুর জন্য। জটিল প্রজননব্যবস্থা, মাসিক চক্র, গর্ভধারণ, প্রসব ও স্তন্যদানের মতো শারীরিক চাপ সত্ত্বেও নারীরা শুধু তা সামালই দেন না, বরং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনধারণে পুরুষদেরও ছাপিয়ে যান। এই আশ্চর্য জীব বৈজ্ঞানিক শক্তির পেছনে রয়েছে জেনেটিক গঠন, হরমোন, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও জীবনধারার মতো বেশ কিছু কারণ।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, খাদ্য ও চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হওয়া সত্ত্বেও নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। বিষয়টি উঠে এসেছে ‘দ্য স্ট্রংগার সেক্স’ বইয়ের গবেষণায়।
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব পাডুয়ার ডেমোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ভার্জিনিয়া জারুল্লি সাতটি ঐতিহাসিক দুর্যোগপীড়িত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেঁচে থাকার হার বিশ্লেষণ করেন। তাঁর ২০১৮ সালের গবেষণাটি প্রকাশিত হয় ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে’ (পিএনএএস)।
গবেষণায় দেখা যায়, ইউক্রেন, আয়ারল্যান্ড ও সুইডেনের দুর্ভিক্ষ, ত্রিনিদাদে দাসত্ব এবং আইসল্যান্ডের হাম মহামারির মতো ‘উচ্চ মৃত্যুহার’ পরিবেশেও সব বয়সের নারী বেশি দিন বেঁচেছে। এমনকি এই চরম সময়ে জন্ম নেওয়া কন্যাশিশুরাও পুত্রশিশুর চেয়ে বেশি টিকে ছিল—এটি নারীর জৈবিক সহনশীলতার শক্ত ইঙ্গিত।
এক্স ক্রোমোজোম
নারীদের শরীরে থাকে দুটি এক্স ক্রোমোজোম, যেখানে পুরুষের একটিই থাকে। এক্স ক্রোমোজোমে থাকে প্রায় ১০ গুণ বেশি জিন, যেসবের মধ্যে অনেকগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। নিউরোজেনেটিসিস্ট ও বিবর্তনবিদ ড. শ্যারন মোলেম তাঁর বই ‘দ্য বেটা হাফ: অন দ্য জেনিটিক সুপিয়রিটি অব ওমেন’-এ বলেন, ‘যেহেতু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নিরন্তর বিবর্তিত হয়, সেভাবে নারীদের প্রতিরোধব্যবস্থা পুরুষদের তুলনায় দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
পুরুষের তুলনায় নারীদের শরীরে বেশি পরিমাণে থাকে ইস্ট্রোজেন, যা রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সুবিধা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদেহে থাকে উচ্চসংখ্যক নিউট্রোফিল, যেটি সবচেয়ে প্রচলিত এবং গুরুত্বপূর্ণ শ্বেত রক্তকণিকা। এ ছাড়া তাদের ‘বি’ সেল কার্যক্রমও পুরুষদের চেয়ে বেশি সক্রিয়, ফলে তারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
নারীরা সংক্রমণের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় ধরে রোগের স্মৃতি ধরে রাখতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার বিবর্তন জীববিজ্ঞানী প্রফেসর মারলিন জুক বলেন, ‘পুরুষেরা অনেক রোগে নারীর তুলনায় বেশি দুর্বল হয়; যদিও তা সব রোগে বা সব ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’
টেস্টোস্টেরনের প্রভাব
নারীদের তুলনায় পুরুষদের শরীরে বেশি থাকে টেস্টোস্টেরন, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিতে পারে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ প্রাণী থেকে টেস্টোস্টেরন বের করে নিলে তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেড়ে যায়। আবার স্ত্রী প্রাণীর শরীরে অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন প্রবেশ করালেও সেই ক্ষমতা কমে যায়।
জুক বলেন, ‘সম্ভবত টেস্টোস্টেরন পুরুষ প্রাণীকে বেশি বংশবিস্তার করতে সহায়তা করে। তবে এর বিনিময়ে তাদের শরীরের স্থায়িত্ব কমে যায়।’
জীবনধারা ও সংস্কৃতির প্রভাব
অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, পুরুষদের কম দীর্ঘায়ুর পেছনে সামাজিক-সাংস্কৃতিক আচরণও ভূমিকা রাখে। পুরুষেরা তুলনামূলকভাবে বেশি ধূমপান করেন, বেশি অ্যালকোহল পান করেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন। অনেক সময় তাঁরা নারীদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে রাখেন।
তবে জারুল্লির গবেষণায় দেখা যায়, এমনকি যখন নারী-পুরুষের জীবনধারা প্রায় এক হয়, তখনো নারীরাই বেশি দিন বাঁচে।
অন্ত্রের দৈর্ঘ্যেও নারীর সুবিধা
২০২৩ সালে ‘পিয়ারজে’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের ক্ষুদ্রান্ত্র পুরুষদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বড়। ১৮৮৫ সালের পর এই প্রথম মৃতদেহের অন্ত্রের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করেন নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজিস্ট এরিন ম্যাককেনি ও ফরেনসিক অ্যানথ্রোপলজিস্ট আমান্ডা হেল।
নারীদের শরীরে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, বিশেষ করে প্রোটিন ও চর্বি—শোষণের ক্ষমতা বেশি। গর্ভধারণ ও স্তন্যদানের সময় এই পুষ্টির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। গবেষক হেল বলেন, ‘নারীর ছোট অন্ত্রই তার শরীরকে আরও দক্ষভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।’
এই বৈজ্ঞানিক তথ্য ‘ফিমেল বাফারিং হাইপোথিসিস’-এর পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, যা বলছে নারীর শরীর পরিবেশগত ও শারীরিক চাপ মোকাবিলায় বেশি সক্ষম।
অনেক বছর ধরে চিকিৎসাবিজ্ঞান নারী শরীরের জটিলতা ও বৈচিত্র্যকে উপেক্ষা করেছে। এখন জিন, হরমোন ও শারীরিক কাঠামো নিয়ে গবেষণায় নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে শুধু নারীর জন্য নয়, বরং সব শরীরের জন্য আরও লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি তৈরি সম্ভব হবে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

মহামারি, দুর্ভিক্ষ কিংবা দাসত্বের মতো কঠিন সময়েও পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে নারীরা। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত একটি বৈজ্ঞানিক সত্য। নারীদেহ গঠিত হয়েছে সহনশীলতা, স্থায়িত্ব ও দীর্ঘায়ুর জন্য। জটিল প্রজননব্যবস্থা, মাসিক চক্র, গর্ভধারণ, প্রসব ও স্তন্যদানের মতো শারীরিক চাপ সত্ত্বেও নারীরা শুধু তা সামালই দেন না, বরং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনধারণে পুরুষদেরও ছাপিয়ে যান। এই আশ্চর্য জীব বৈজ্ঞানিক শক্তির পেছনে রয়েছে জেনেটিক গঠন, হরমোন, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও জীবনধারার মতো বেশ কিছু কারণ।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, খাদ্য ও চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হওয়া সত্ত্বেও নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। বিষয়টি উঠে এসেছে ‘দ্য স্ট্রংগার সেক্স’ বইয়ের গবেষণায়।
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব পাডুয়ার ডেমোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ভার্জিনিয়া জারুল্লি সাতটি ঐতিহাসিক দুর্যোগপীড়িত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেঁচে থাকার হার বিশ্লেষণ করেন। তাঁর ২০১৮ সালের গবেষণাটি প্রকাশিত হয় ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে’ (পিএনএএস)।
গবেষণায় দেখা যায়, ইউক্রেন, আয়ারল্যান্ড ও সুইডেনের দুর্ভিক্ষ, ত্রিনিদাদে দাসত্ব এবং আইসল্যান্ডের হাম মহামারির মতো ‘উচ্চ মৃত্যুহার’ পরিবেশেও সব বয়সের নারী বেশি দিন বেঁচেছে। এমনকি এই চরম সময়ে জন্ম নেওয়া কন্যাশিশুরাও পুত্রশিশুর চেয়ে বেশি টিকে ছিল—এটি নারীর জৈবিক সহনশীলতার শক্ত ইঙ্গিত।
এক্স ক্রোমোজোম
নারীদের শরীরে থাকে দুটি এক্স ক্রোমোজোম, যেখানে পুরুষের একটিই থাকে। এক্স ক্রোমোজোমে থাকে প্রায় ১০ গুণ বেশি জিন, যেসবের মধ্যে অনেকগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। নিউরোজেনেটিসিস্ট ও বিবর্তনবিদ ড. শ্যারন মোলেম তাঁর বই ‘দ্য বেটা হাফ: অন দ্য জেনিটিক সুপিয়রিটি অব ওমেন’-এ বলেন, ‘যেহেতু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নিরন্তর বিবর্তিত হয়, সেভাবে নারীদের প্রতিরোধব্যবস্থা পুরুষদের তুলনায় দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
পুরুষের তুলনায় নারীদের শরীরে বেশি পরিমাণে থাকে ইস্ট্রোজেন, যা রোগ প্রতিরোধে বাড়তি সুবিধা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদেহে থাকে উচ্চসংখ্যক নিউট্রোফিল, যেটি সবচেয়ে প্রচলিত এবং গুরুত্বপূর্ণ শ্বেত রক্তকণিকা। এ ছাড়া তাদের ‘বি’ সেল কার্যক্রমও পুরুষদের চেয়ে বেশি সক্রিয়, ফলে তারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
নারীরা সংক্রমণের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় ধরে রোগের স্মৃতি ধরে রাখতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার বিবর্তন জীববিজ্ঞানী প্রফেসর মারলিন জুক বলেন, ‘পুরুষেরা অনেক রোগে নারীর তুলনায় বেশি দুর্বল হয়; যদিও তা সব রোগে বা সব ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’
টেস্টোস্টেরনের প্রভাব
নারীদের তুলনায় পুরুষদের শরীরে বেশি থাকে টেস্টোস্টেরন, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিতে পারে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ প্রাণী থেকে টেস্টোস্টেরন বের করে নিলে তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেড়ে যায়। আবার স্ত্রী প্রাণীর শরীরে অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন প্রবেশ করালেও সেই ক্ষমতা কমে যায়।
জুক বলেন, ‘সম্ভবত টেস্টোস্টেরন পুরুষ প্রাণীকে বেশি বংশবিস্তার করতে সহায়তা করে। তবে এর বিনিময়ে তাদের শরীরের স্থায়িত্ব কমে যায়।’
জীবনধারা ও সংস্কৃতির প্রভাব
অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, পুরুষদের কম দীর্ঘায়ুর পেছনে সামাজিক-সাংস্কৃতিক আচরণও ভূমিকা রাখে। পুরুষেরা তুলনামূলকভাবে বেশি ধূমপান করেন, বেশি অ্যালকোহল পান করেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন। অনেক সময় তাঁরা নারীদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে রাখেন।
তবে জারুল্লির গবেষণায় দেখা যায়, এমনকি যখন নারী-পুরুষের জীবনধারা প্রায় এক হয়, তখনো নারীরাই বেশি দিন বাঁচে।
অন্ত্রের দৈর্ঘ্যেও নারীর সুবিধা
২০২৩ সালে ‘পিয়ারজে’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের ক্ষুদ্রান্ত্র পুরুষদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বড়। ১৮৮৫ সালের পর এই প্রথম মৃতদেহের অন্ত্রের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করেন নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজিস্ট এরিন ম্যাককেনি ও ফরেনসিক অ্যানথ্রোপলজিস্ট আমান্ডা হেল।
নারীদের শরীরে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, বিশেষ করে প্রোটিন ও চর্বি—শোষণের ক্ষমতা বেশি। গর্ভধারণ ও স্তন্যদানের সময় এই পুষ্টির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। গবেষক হেল বলেন, ‘নারীর ছোট অন্ত্রই তার শরীরকে আরও দক্ষভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।’
এই বৈজ্ঞানিক তথ্য ‘ফিমেল বাফারিং হাইপোথিসিস’-এর পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, যা বলছে নারীর শরীর পরিবেশগত ও শারীরিক চাপ মোকাবিলায় বেশি সক্ষম।
অনেক বছর ধরে চিকিৎসাবিজ্ঞান নারী শরীরের জটিলতা ও বৈচিত্র্যকে উপেক্ষা করেছে। এখন জিন, হরমোন ও শারীরিক কাঠামো নিয়ে গবেষণায় নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে শুধু নারীর জন্য নয়, বরং সব শরীরের জন্য আরও লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি তৈরি সম্ভব হবে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১৯ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

মহামারি, দুর্ভিক্ষ কিংবা দাসত্বের মতো কঠিন সময়েও পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে নারীরা। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত একটি বৈজ্ঞানিক সত্য। নারীদেহ গঠিত হয়েছে সহনশীলতা, স্থায়িত্ব ও দীর্ঘায়ুর জন্য। জটিল প্রজননব্যবস্থা, মাসিক চক্র, গর্ভধারণ, প্রসব ও স্তন্যদানের মতো শারীরিক চাপ সত্ত্বেও নারীরা শুধু তা সামালই
০৮ জুলাই ২০২৫
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

মহামারি, দুর্ভিক্ষ কিংবা দাসত্বের মতো কঠিন সময়েও পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে নারীরা। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত একটি বৈজ্ঞানিক সত্য। নারীদেহ গঠিত হয়েছে সহনশীলতা, স্থায়িত্ব ও দীর্ঘায়ুর জন্য। জটিল প্রজননব্যবস্থা, মাসিক চক্র, গর্ভধারণ, প্রসব ও স্তন্যদানের মতো শারীরিক চাপ সত্ত্বেও নারীরা শুধু তা সামালই
০৮ জুলাই ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১৯ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

মহামারি, দুর্ভিক্ষ কিংবা দাসত্বের মতো কঠিন সময়েও পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে নারীরা। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত একটি বৈজ্ঞানিক সত্য। নারীদেহ গঠিত হয়েছে সহনশীলতা, স্থায়িত্ব ও দীর্ঘায়ুর জন্য। জটিল প্রজননব্যবস্থা, মাসিক চক্র, গর্ভধারণ, প্রসব ও স্তন্যদানের মতো শারীরিক চাপ সত্ত্বেও নারীরা শুধু তা সামালই
০৮ জুলাই ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১৯ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

মহামারি, দুর্ভিক্ষ কিংবা দাসত্বের মতো কঠিন সময়েও পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে নারীরা। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত একটি বৈজ্ঞানিক সত্য। নারীদেহ গঠিত হয়েছে সহনশীলতা, স্থায়িত্ব ও দীর্ঘায়ুর জন্য। জটিল প্রজননব্যবস্থা, মাসিক চক্র, গর্ভধারণ, প্রসব ও স্তন্যদানের মতো শারীরিক চাপ সত্ত্বেও নারীরা শুধু তা সামালই
০৮ জুলাই ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১৯ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে