Ajker Patrika

তরুণদের রাজনৈতিক দল গঠনে রাষ্ট্রীয় সহায়তা হবে হতাশাজনক: তারেক রহমান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শিক্ষকদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শিক্ষকদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অবশ্যই আজকের তরুণেরাই আগামীর বাংলাদেশ। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তারুণ্য নতুন পথ রচনা করবে। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়। পথটি অবশ্যই হওয়া উচিত স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক। তবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন, সেটি জনগণকে হতাশ করবে।’

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শিক্ষকদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট এই সমাবেশের আয়োজন করে।

নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের তরুণেরা রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। এই সব তরুণেরাই গত দেড় দশকে একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারবঞ্চিত এই সব তরুণদের কেউ যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে, অবশ্যই বিএনপি সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। তবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন, সেটি জনগণকে হতাশ করবে। কিংবা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য, মন্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ অথবা প্রতিহিংসামূলক হয়, সেটিও জনগণের কাছে হবে অনাকাঙ্ক্ষিত।’

বিরাজমান পরিস্থিতিতে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘পুঁথিগত বিদ্যার ওপরে গণতন্ত্রের বিকাশ নির্ভর করে না। আমাদের মধ্যে অবশ্যই ভিন্ন মত ও পথ থাকবে। এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে আমাদের উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন। আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটি উদার গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে মাফিয়া প্রধান দেশ ছেড়ে পালানোর পর মাফিয়ামুক্ত বাংলাদেশের সামনে বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এক অপার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পলাতক স্বৈরাচার ও দোসরদের ষড়যন্ত্র কিংবা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে অযাচিত ভুল-বোঝাবুঝির কারণে যাতে মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ এবং সম্ভাবনা হুমকির সম্মুখীন না হয়, এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী শক্তির মধ্যে কূট তর্ক এবং ভুল-বোঝাবুঝি আমি সময়ের অপচয় বলে মনে করি। তবে একই সঙ্গে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, জনগণ যদি বৃহত্তর স্বার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা ধৈর্য ধরে মানতে পারে, মেনে নিতে পারে, তাহলে যাঁরা সরকারে রয়েছেন, তাঁদের ধৈর্য এবং সহনশীলতা আরও অনেক বেশি থাকা জরুরি বলে আমরা মনে করি।’

নির্বাচন ও সংস্কার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি সংস্কার এবং নির্বাচন—দুটিরই পক্ষে। দুটোই অত্যন্ত জরুরি। সংস্কার নাকি নির্বাচন—কেউ কেউ এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন নিয়ে কূট তর্ক করার অপচেষ্টা করেছে।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভ্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি দেখি, তাহলে কিন্তু সেটি ভিন্ন। দেশের কোটি কোটি পরিবারের কাছে এই মুহূর্তে নির্বাচন এবং সংস্কারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সংসার পরিচালনা করা। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অপর দিকে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাটের বোঝা। ফলে দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর স্বল্প আয়ের এমনকি নিম্ন মধ্যবিত্তদেরও সংসার টেকানোই অনেক ক্ষেত্রে দায় হয়ে পড়েছে।’

জনগণের দুঃখ-দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে এই নেতা বলেন, ‘অনেক পরিবারেই চলছে নীরব হাহাকার। কীভাবে জনগণের নিত্যদিনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা যায়, কীভাবে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য জনগণের হাতের নাগালে রাখা যায়, কীভাবে জনগণকে ফ্যাসিস্টের আমলের মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া যায়, কীভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় করা সম্ভব, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় এই বিষয়গুলো থাকা অত্যন্ত জরুরি।’

বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে বলেন, ‘জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে বাজার সিন্ডিকেট থেকে জনগণকে মুক্তি দেওয়া সহজ। তাহলে প্রশ্ন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এত দিনেও কেন বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ? জনগণের ওপর কেন উল্টো ভ্যাটের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এমন পরিস্থিতিতে কিন্তু জনগণের অনেকের মনেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক—তাহলে কি সরকারের কেউ কেউ অন্য কোনো ইস্যুতে বেশি মনোযোগী, নাকি সরকার পারছে না? অন্তর্বর্তী সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা থাকার পরেও আমরা মনে করি, এই সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।’

দলের অবস্থান তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি মনে করে জনগণকে নিয়ে রাজনীতি নয়, জনগণের জন্য রাজনীতি। এ কারণে বিএনপি যেকোনো মূল্যে দেশের জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায়। নির্বাচনই হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার কার্যকরী হাতিয়ার। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার অর্থ নিজেদের অজান্তেই পরাজিত পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা।’

এ সময় দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের কোনো কার্যক্রম নিয়ে কেউ যাতে কোনো রকমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি বা বিতর্কের সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে অবশ্যই আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের পরাভূত করতে পারবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাত ১২টার সময়ই কানায় কানায় পূর্ণ সংবর্ধনাস্থল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাত ১২টার সময় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাত ১২টার সময় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসছেন। এ উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে আগের রাত (বুধবার) ১২টার সময়ই সংবর্ধনাস্থল ও এর আশপাশে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩০০ ফিট সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত সবগুলো রাস্তায় মাঝরাতেও অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।

আরও দেখা গেছে, সমাবেশস্থলের আশপাশে অনেকেই কাঁথা-কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর আয়োজন করছেন। তাঁদেরই একজন মহসিন মিয়া। তিনি এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে। কোনো পদ-পদবি না থাকলেও বিএনপিকে তিনি ভালোবাসেন। মহসিন বলেন, ‘ঘুম আসবে কি না জানি না। না ঘুমালেও চলবে। নেতার জন্য একদিন না ঘুমালে কিছুই হবে না।’

এদিকে সারা রাত না ঘুমিয়েই তারেক রহমানের জন্য অপেক্ষা করবেন বলে জানালেন নওগা জেলা যুবদলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন। সংবর্ধনার মঞ্চ থেকে তিনি প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলেন। ঘুমের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘১৭ বছর ঘুমাইনি। একরাতে কিছু হবে না।’

নওগা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক এখনো পৌঁছায়নি বলেও জানালেন লিটন। এই জেলার কয়েক হাজার নেতা কর্মী তখনো যাত্রাপথে অবস্থান করছিলেন।

শেফালি আক্তার নামে জামালপুর জেলা থেকে আসা এক নারী জানালেন, তিনিও ঘুমাবেন না। এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সারা রাত মিছিল স্লোগানেই কাটিয়ে দেবেন। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় বাসের সিটে বসে ঘুমাব।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টায় (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টা) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট BG-202–এ চড়েছেন। এই ফ্লাইটটি লন্ডন–সিলেট–ঢাকা রুটে পরিচালিত হচ্ছে।

সূত্রমতে, ফ্লাইটটি বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজে পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চপর্যায়ের যাত্রী থাকায় ফ্লাইট পরিচালনায় অতিরিক্ত অপারেশনাল সমন্বয় ও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উড়োজাহাজে তারেক রহমানকে সামনের সারির A1 নম্বর আসনে বসানো হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, বোয়িং উড়োজাহাজে পরিচালিত এই ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখানে এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্ন অ্যারাউন্ড শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং ১১টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সূচি নির্ধারিত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ঢাকায় আনবেন ক্যাপ্টেন ইমামুল

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ০৪
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনজন জ্যেষ্ঠ পাইলটকে। এই গুরুত্বপূর্ণ যাত্রায় পাইলট-ইন-কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন ইমামুল।

ফ্লাইট ডেকে তাঁর সঙ্গে থাকবেন আরও দুই অভিজ্ঞ পাইলট—রাশেদিন ও আসিফ ইকবাল।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন পর তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র পাইলটদের সমন্বয়ে এই ক্রু নির্বাচন করা হয়েছে।

সূত্রগুলো আরও জানায়, উচ্চ গুরুত্বসম্পন্ন ও সংবেদনশীল ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত মানদণ্ড অনুযায়ীই এই দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে, যাতে নিরাপত্তা ও পরিচালন দক্ষতার সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ০৯
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার এক বিবৃতিতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সুখ, শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।

বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, শুভ বড়দিন একটি সর্বজনীন ধর্মীয় উৎসব। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশের সব ধর্মের মানুষ আবহমানকাল থেকে স্বাধীনভাবে ও আনন্দঘন পরিবেশে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। যিশুখ্রিষ্ট মানুষকে ভালোবাসতে এবং সেবা, ক্ষমা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দিয়েছেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘হিংসা-বিদ্বেষ, আক্রোশ পরিহার করে সমাজে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অবিচার-নির্মমতা প্রতিরোধ করতে আমাদের সকলকে শপথ নিতে হবে। বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও মজবুত করতে হবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর মানুষ বিভিন্নভাবে সমস্যাগ্রস্ত, যেটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক থেকে শুরু করে সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগতও হতে পারে। মহামানবদের জীবনদর্শন যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলেই মানবজীবনে ন্যায়নীতি, শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব। আর তাহলেই স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনে আমরা সক্ষম হব। আমি বড়দিনের সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।’

বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, ক্ষমা, করুণা, মানবপ্রেমের দিশারি মহান যিশুখ্রিষ্ট এদিনে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। তাই খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন মানুষে-মানুষে সম্প্রীতির মহা বার্তা নিয়ে। সব ধর্মের মূলকথাই হচ্ছে—মানুষের সেবা ও কল্যাণ। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও দশের কল্যাণে একযোগে কাজ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারার খেসারত দিতে হলো সিয়ামকে: জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

রাজধানীর মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেল বোমা বিস্ফোরণে সিয়াম নামের যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারার খেসারত দিতে হলো নিরীহ সিয়ামকে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির লেখেন, ‘নিহত সিয়ামের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করুন, তার ওপর রহম করুন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে উত্তম ধৈর্যধারণের তৌফিক দান করুন।’

জামায়াত আমির বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারার খেসারত দিতে হলো নিরীহ সিয়ামকে। একটি দুষ্টচক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে।

প্রশাসনকে তার দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে এবং জনগণকেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত