নওগাঁ প্রতিনিধি

মৃত্যু ছাড়া পৃথিবীতে কোনো সেইফ এক্সিট নেই বলে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘কিছু উপদেষ্টার’ উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এই উপদেষ্টারা অভ্যুত্থানের মানুষের আত্মত্যাগ ভুলে গিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেনদরবার করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, ‘কিছু উপদেষ্টার মধ্যে আমরা এই আচরণ দেখতে পাচ্ছি যে, তাঁরা এখন কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্বটা পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট পেতে পারলেই হলো। এই দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থানপরবর্তী একটা সরকার কাজ করতে পারে না। তাঁরা এত শহীদের ওপরে... এত রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে ওইখানে আছেন, তাঁরা যদি এখন জীবনের একটু থ্রেটের ভয় করেন, তাহলে তো ওই দায়িত্ব তাঁদের নেওয়া উচিত ছিল না।’
সারজিস আরও বলেন, ‘স্পষ্ট কথা, তাঁরা যদি এত কিছু, এত ত্যাগ—এগুলোকে ভুলে গিয়ে শুধু ওইটুকু চিন্তা করেন—সবাই না, গুটিকয়েক—তাঁরা ওইটুকু চিন্তা করেন এবং নেগোসিয়েশনের ভিত্তিতে আগামীতে তাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, ওইটুকু চিন্তা করে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতে দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আমরা মনে করি, দেশের মানুষের সামনে তাঁরা মুখ দেখাতে পারবেন না। কোথায় সেইফ এক্সিট নেবেন? পৃথিবীতে সেইফ এক্সিট নেওয়ার একটাই রাস্তা, সেটা হচ্ছে, মৃত্যু। এর চাইতে সেইফ এক্সিট... এ ছাড়া কোনো সেইফ এক্সিট নাই। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানেই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ধরবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হোক, সামনাসামনি হোক।’
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন সারজিস। তিনি বলেন, ‘ভার্সন কাকে নিয়ে বানাবেন? আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, জেলা ও উপজেলায় যারা সভাপতি-সেক্রেটারি ছিল, বড় বড় যারা চেয়ারম্যান ছিল, তাদের নিয়ে? আপনি তো আর ইউনিয়নের মেম্বারকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানায়ে দেবেন না। এরা প্রত্যেকে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, এরা প্রত্যেকে ফ্যাসিস্টকাঠামোর সঙ্গে জড়িত, এরা কী করেছে, তা আপনারা প্রত্যেকে ভালো করে জানেন। সুতরাং তাদের মধ্যে মন্দের ভালো খোঁজা, যারা একেকজন হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বানাল, সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভালো মানুষেরা একত্র হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘যেহেতু প্রতীক নিয়ে আইনগত কোনো বাধা নেই, সুতরাং এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীকের ব্যাপারে পজিটিভ সাড়া পাচ্ছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রাখার কাজ করবে।’
সারজিস আরও বলেন, এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে নাকি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একই পথে হাঁটবে—দাবি, চিন্তাভাবনা, দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করার বিষয়গুলো যখন মিলে যায়, তখন হতেই পারে জনগণের হয়ে একসঙ্গে কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া। এনসিপি এ বিষয়গুলোকে পজিটিভভাবেই দেখছে। কিন্তু এনসিপি থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘সাক্ষাৎকারে উনি বলেছেন উনি উনার যে ভাইকে দেশে রেখে এসেছিলেন, সে ভাইকে দেশে গিয়ে দেখতে পারবেন না। উনার যে ঘরে সারা জীবনের স্মৃতি, সেই ঘরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। উনি যে সুস্থ মাকে দেখে গিয়েছিলেন, ওই সুস্থ মাকে অসুস্থ করে ফেলা হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এই প্রতিটা বিষয়ের সঙ্গে আমাদের সহমর্মিতা থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে আমরা আর এ ধরনের ঘটনা প্রত্যাশা করি না।
‘আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে, এই যে ব্যথা-বেদনা, তাঁরটা আমরা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেছি, তাঁর এ রকম হাজার হাজার নেতা-কর্মীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাদের ব্যথা-বেদনাগুলো যেন স্থানীয় পর্যায়ে প্রকাশ হয় এবং যারা করেছে, তাদের যেন বিচার হয়। এগুলো কে করেছে? আওয়ামী লীগ করেছে। সুতরাং স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের অর্থের বিনিময়ে অথবা কোনো সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে যেন আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া না হয়। বিএনপির সেন্ট্রাল কমান্ড থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত তারা যেন এ বিষয়টিতে কঠোর থাকে। আবার যদি আওয়ামী লীগ কোনো দিন ফিরে আসে, তারা কেউ মাফ পাবে না। সুতরাং আমরা এই আহ্বানটুকু জানাই। তাঁর ব্যথার সঙ্গে আমরাও সমব্যথী। আমরা চাই ওই খুনিরা আর যেন কোনোভাবেই দেশে আশ্রিত না হয়।’
সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যু ছাড়া পৃথিবীতে কোনো সেইফ এক্সিট নেই বলে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘কিছু উপদেষ্টার’ উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এই উপদেষ্টারা অভ্যুত্থানের মানুষের আত্মত্যাগ ভুলে গিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেনদরবার করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, ‘কিছু উপদেষ্টার মধ্যে আমরা এই আচরণ দেখতে পাচ্ছি যে, তাঁরা এখন কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্বটা পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট পেতে পারলেই হলো। এই দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থানপরবর্তী একটা সরকার কাজ করতে পারে না। তাঁরা এত শহীদের ওপরে... এত রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে ওইখানে আছেন, তাঁরা যদি এখন জীবনের একটু থ্রেটের ভয় করেন, তাহলে তো ওই দায়িত্ব তাঁদের নেওয়া উচিত ছিল না।’
সারজিস আরও বলেন, ‘স্পষ্ট কথা, তাঁরা যদি এত কিছু, এত ত্যাগ—এগুলোকে ভুলে গিয়ে শুধু ওইটুকু চিন্তা করেন—সবাই না, গুটিকয়েক—তাঁরা ওইটুকু চিন্তা করেন এবং নেগোসিয়েশনের ভিত্তিতে আগামীতে তাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, ওইটুকু চিন্তা করে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতে দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আমরা মনে করি, দেশের মানুষের সামনে তাঁরা মুখ দেখাতে পারবেন না। কোথায় সেইফ এক্সিট নেবেন? পৃথিবীতে সেইফ এক্সিট নেওয়ার একটাই রাস্তা, সেটা হচ্ছে, মৃত্যু। এর চাইতে সেইফ এক্সিট... এ ছাড়া কোনো সেইফ এক্সিট নাই। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানেই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ধরবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হোক, সামনাসামনি হোক।’
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন সারজিস। তিনি বলেন, ‘ভার্সন কাকে নিয়ে বানাবেন? আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, জেলা ও উপজেলায় যারা সভাপতি-সেক্রেটারি ছিল, বড় বড় যারা চেয়ারম্যান ছিল, তাদের নিয়ে? আপনি তো আর ইউনিয়নের মেম্বারকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানায়ে দেবেন না। এরা প্রত্যেকে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, এরা প্রত্যেকে ফ্যাসিস্টকাঠামোর সঙ্গে জড়িত, এরা কী করেছে, তা আপনারা প্রত্যেকে ভালো করে জানেন। সুতরাং তাদের মধ্যে মন্দের ভালো খোঁজা, যারা একেকজন হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বানাল, সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভালো মানুষেরা একত্র হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘যেহেতু প্রতীক নিয়ে আইনগত কোনো বাধা নেই, সুতরাং এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীকের ব্যাপারে পজিটিভ সাড়া পাচ্ছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রাখার কাজ করবে।’
সারজিস আরও বলেন, এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে নাকি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একই পথে হাঁটবে—দাবি, চিন্তাভাবনা, দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করার বিষয়গুলো যখন মিলে যায়, তখন হতেই পারে জনগণের হয়ে একসঙ্গে কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া। এনসিপি এ বিষয়গুলোকে পজিটিভভাবেই দেখছে। কিন্তু এনসিপি থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘সাক্ষাৎকারে উনি বলেছেন উনি উনার যে ভাইকে দেশে রেখে এসেছিলেন, সে ভাইকে দেশে গিয়ে দেখতে পারবেন না। উনার যে ঘরে সারা জীবনের স্মৃতি, সেই ঘরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। উনি যে সুস্থ মাকে দেখে গিয়েছিলেন, ওই সুস্থ মাকে অসুস্থ করে ফেলা হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এই প্রতিটা বিষয়ের সঙ্গে আমাদের সহমর্মিতা থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে আমরা আর এ ধরনের ঘটনা প্রত্যাশা করি না।
‘আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে, এই যে ব্যথা-বেদনা, তাঁরটা আমরা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেছি, তাঁর এ রকম হাজার হাজার নেতা-কর্মীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাদের ব্যথা-বেদনাগুলো যেন স্থানীয় পর্যায়ে প্রকাশ হয় এবং যারা করেছে, তাদের যেন বিচার হয়। এগুলো কে করেছে? আওয়ামী লীগ করেছে। সুতরাং স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের অর্থের বিনিময়ে অথবা কোনো সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে যেন আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া না হয়। বিএনপির সেন্ট্রাল কমান্ড থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত তারা যেন এ বিষয়টিতে কঠোর থাকে। আবার যদি আওয়ামী লীগ কোনো দিন ফিরে আসে, তারা কেউ মাফ পাবে না। সুতরাং আমরা এই আহ্বানটুকু জানাই। তাঁর ব্যথার সঙ্গে আমরাও সমব্যথী। আমরা চাই ওই খুনিরা আর যেন কোনোভাবেই দেশে আশ্রিত না হয়।’
সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁ প্রতিনিধি

মৃত্যু ছাড়া পৃথিবীতে কোনো সেইফ এক্সিট নেই বলে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘কিছু উপদেষ্টার’ উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এই উপদেষ্টারা অভ্যুত্থানের মানুষের আত্মত্যাগ ভুলে গিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেনদরবার করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, ‘কিছু উপদেষ্টার মধ্যে আমরা এই আচরণ দেখতে পাচ্ছি যে, তাঁরা এখন কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্বটা পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট পেতে পারলেই হলো। এই দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থানপরবর্তী একটা সরকার কাজ করতে পারে না। তাঁরা এত শহীদের ওপরে... এত রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে ওইখানে আছেন, তাঁরা যদি এখন জীবনের একটু থ্রেটের ভয় করেন, তাহলে তো ওই দায়িত্ব তাঁদের নেওয়া উচিত ছিল না।’
সারজিস আরও বলেন, ‘স্পষ্ট কথা, তাঁরা যদি এত কিছু, এত ত্যাগ—এগুলোকে ভুলে গিয়ে শুধু ওইটুকু চিন্তা করেন—সবাই না, গুটিকয়েক—তাঁরা ওইটুকু চিন্তা করেন এবং নেগোসিয়েশনের ভিত্তিতে আগামীতে তাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, ওইটুকু চিন্তা করে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতে দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আমরা মনে করি, দেশের মানুষের সামনে তাঁরা মুখ দেখাতে পারবেন না। কোথায় সেইফ এক্সিট নেবেন? পৃথিবীতে সেইফ এক্সিট নেওয়ার একটাই রাস্তা, সেটা হচ্ছে, মৃত্যু। এর চাইতে সেইফ এক্সিট... এ ছাড়া কোনো সেইফ এক্সিট নাই। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানেই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ধরবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হোক, সামনাসামনি হোক।’
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন সারজিস। তিনি বলেন, ‘ভার্সন কাকে নিয়ে বানাবেন? আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, জেলা ও উপজেলায় যারা সভাপতি-সেক্রেটারি ছিল, বড় বড় যারা চেয়ারম্যান ছিল, তাদের নিয়ে? আপনি তো আর ইউনিয়নের মেম্বারকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানায়ে দেবেন না। এরা প্রত্যেকে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, এরা প্রত্যেকে ফ্যাসিস্টকাঠামোর সঙ্গে জড়িত, এরা কী করেছে, তা আপনারা প্রত্যেকে ভালো করে জানেন। সুতরাং তাদের মধ্যে মন্দের ভালো খোঁজা, যারা একেকজন হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বানাল, সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভালো মানুষেরা একত্র হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘যেহেতু প্রতীক নিয়ে আইনগত কোনো বাধা নেই, সুতরাং এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীকের ব্যাপারে পজিটিভ সাড়া পাচ্ছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রাখার কাজ করবে।’
সারজিস আরও বলেন, এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে নাকি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একই পথে হাঁটবে—দাবি, চিন্তাভাবনা, দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করার বিষয়গুলো যখন মিলে যায়, তখন হতেই পারে জনগণের হয়ে একসঙ্গে কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া। এনসিপি এ বিষয়গুলোকে পজিটিভভাবেই দেখছে। কিন্তু এনসিপি থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘সাক্ষাৎকারে উনি বলেছেন উনি উনার যে ভাইকে দেশে রেখে এসেছিলেন, সে ভাইকে দেশে গিয়ে দেখতে পারবেন না। উনার যে ঘরে সারা জীবনের স্মৃতি, সেই ঘরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। উনি যে সুস্থ মাকে দেখে গিয়েছিলেন, ওই সুস্থ মাকে অসুস্থ করে ফেলা হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এই প্রতিটা বিষয়ের সঙ্গে আমাদের সহমর্মিতা থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে আমরা আর এ ধরনের ঘটনা প্রত্যাশা করি না।
‘আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে, এই যে ব্যথা-বেদনা, তাঁরটা আমরা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেছি, তাঁর এ রকম হাজার হাজার নেতা-কর্মীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাদের ব্যথা-বেদনাগুলো যেন স্থানীয় পর্যায়ে প্রকাশ হয় এবং যারা করেছে, তাদের যেন বিচার হয়। এগুলো কে করেছে? আওয়ামী লীগ করেছে। সুতরাং স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের অর্থের বিনিময়ে অথবা কোনো সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে যেন আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া না হয়। বিএনপির সেন্ট্রাল কমান্ড থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত তারা যেন এ বিষয়টিতে কঠোর থাকে। আবার যদি আওয়ামী লীগ কোনো দিন ফিরে আসে, তারা কেউ মাফ পাবে না। সুতরাং আমরা এই আহ্বানটুকু জানাই। তাঁর ব্যথার সঙ্গে আমরাও সমব্যথী। আমরা চাই ওই খুনিরা আর যেন কোনোভাবেই দেশে আশ্রিত না হয়।’
সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যু ছাড়া পৃথিবীতে কোনো সেইফ এক্সিট নেই বলে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘কিছু উপদেষ্টার’ উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এই উপদেষ্টারা অভ্যুত্থানের মানুষের আত্মত্যাগ ভুলে গিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেনদরবার করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, ‘কিছু উপদেষ্টার মধ্যে আমরা এই আচরণ দেখতে পাচ্ছি যে, তাঁরা এখন কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্বটা পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট পেতে পারলেই হলো। এই দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থানপরবর্তী একটা সরকার কাজ করতে পারে না। তাঁরা এত শহীদের ওপরে... এত রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে ওইখানে আছেন, তাঁরা যদি এখন জীবনের একটু থ্রেটের ভয় করেন, তাহলে তো ওই দায়িত্ব তাঁদের নেওয়া উচিত ছিল না।’
সারজিস আরও বলেন, ‘স্পষ্ট কথা, তাঁরা যদি এত কিছু, এত ত্যাগ—এগুলোকে ভুলে গিয়ে শুধু ওইটুকু চিন্তা করেন—সবাই না, গুটিকয়েক—তাঁরা ওইটুকু চিন্তা করেন এবং নেগোসিয়েশনের ভিত্তিতে আগামীতে তাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, ওইটুকু চিন্তা করে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতে দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আমরা মনে করি, দেশের মানুষের সামনে তাঁরা মুখ দেখাতে পারবেন না। কোথায় সেইফ এক্সিট নেবেন? পৃথিবীতে সেইফ এক্সিট নেওয়ার একটাই রাস্তা, সেটা হচ্ছে, মৃত্যু। এর চাইতে সেইফ এক্সিট... এ ছাড়া কোনো সেইফ এক্সিট নাই। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানেই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ধরবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হোক, সামনাসামনি হোক।’
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন সারজিস। তিনি বলেন, ‘ভার্সন কাকে নিয়ে বানাবেন? আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, জেলা ও উপজেলায় যারা সভাপতি-সেক্রেটারি ছিল, বড় বড় যারা চেয়ারম্যান ছিল, তাদের নিয়ে? আপনি তো আর ইউনিয়নের মেম্বারকে আওয়ামী লীগের সভাপতি বানায়ে দেবেন না। এরা প্রত্যেকে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, এরা প্রত্যেকে ফ্যাসিস্টকাঠামোর সঙ্গে জড়িত, এরা কী করেছে, তা আপনারা প্রত্যেকে ভালো করে জানেন। সুতরাং তাদের মধ্যে মন্দের ভালো খোঁজা, যারা একেকজন হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বানাল, সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভালো মানুষেরা একত্র হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘যেহেতু প্রতীক নিয়ে আইনগত কোনো বাধা নেই, সুতরাং এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীকের ব্যাপারে পজিটিভ সাড়া পাচ্ছি। আশা করি, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রাখার কাজ করবে।’
সারজিস আরও বলেন, এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে নাকি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একই পথে হাঁটবে—দাবি, চিন্তাভাবনা, দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করার বিষয়গুলো যখন মিলে যায়, তখন হতেই পারে জনগণের হয়ে একসঙ্গে কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া। এনসিপি এ বিষয়গুলোকে পজিটিভভাবেই দেখছে। কিন্তু এনসিপি থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘সাক্ষাৎকারে উনি বলেছেন উনি উনার যে ভাইকে দেশে রেখে এসেছিলেন, সে ভাইকে দেশে গিয়ে দেখতে পারবেন না। উনার যে ঘরে সারা জীবনের স্মৃতি, সেই ঘরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। উনি যে সুস্থ মাকে দেখে গিয়েছিলেন, ওই সুস্থ মাকে অসুস্থ করে ফেলা হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এই প্রতিটা বিষয়ের সঙ্গে আমাদের সহমর্মিতা থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে আমরা আর এ ধরনের ঘটনা প্রত্যাশা করি না।
‘আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে, এই যে ব্যথা-বেদনা, তাঁরটা আমরা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেছি, তাঁর এ রকম হাজার হাজার নেতা-কর্মীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাদের ব্যথা-বেদনাগুলো যেন স্থানীয় পর্যায়ে প্রকাশ হয় এবং যারা করেছে, তাদের যেন বিচার হয়। এগুলো কে করেছে? আওয়ামী লীগ করেছে। সুতরাং স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের অর্থের বিনিময়ে অথবা কোনো সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে যেন আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া না হয়। বিএনপির সেন্ট্রাল কমান্ড থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত তারা যেন এ বিষয়টিতে কঠোর থাকে। আবার যদি আওয়ামী লীগ কোনো দিন ফিরে আসে, তারা কেউ মাফ পাবে না। সুতরাং আমরা এই আহ্বানটুকু জানাই। তাঁর ব্যথার সঙ্গে আমরাও সমব্যথী। আমরা চাই ওই খুনিরা আর যেন কোনোভাবেই দেশে আশ্রিত না হয়।’
সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ এনসিপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি যাতে সরকারি দল ও সরকারের পছন্দের দলগুলোর জয়লাভে কোনো ঝুঁকি তৈরি করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। সে উদ্দেশ্যে নানা বাধাবিপত্তি সৃষ্টি করে জাতীয় পার্টি যাতে নির্বাচনে স্বাভাবিক পরিবেশ না পায়, সে বিষয়ে সচেষ্ট তারা।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে পল্টনে এসে শেষ করে।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জুলাই যোদ্ধা খোকন চন্দ্র বর্মণ। দলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু খোকন চন্দ্র বর্মণের পক্ষে মনোনয়ন ফরম নেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
আট দিনে ১ হাজার ১১টি মনোনয়ন আবেদন ফরম বিক্রি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার পাতানো একতরফা নীলনকশার নির্বাচনের দিকে দেশকে পরিচালিত করছে। সে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা কিছুটা হলেও বাড়াতে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে একদম বাইরে রাখা সমীচীন হবে না।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি যাতে সরকারি দল ও সরকারের পছন্দের দলগুলোর জয়লাভে কোনো ঝুঁকি তৈরি করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। সে উদ্দেশ্যে নানা বাধাবিপত্তি সৃষ্টি করে জাতীয় পার্টি যাতে নির্বাচনে স্বাভাবিক পরিবেশ না পায়, সে বিষয়ে সচেষ্ট তারা।
জাতীয় পার্টিকে ‘অন্তর্বর্তী সরকার হাত-পা বেঁধে সাঁতার প্রতিযোগিতায় নামাতে চাইছে’ বলে দাবি করেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার জাপার মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সিনিয়র নেতাদের একটি দল নিয়ে দিনাজপুরে স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে যান। কিন্তু সেখানে এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের বাধা দেওয়ার অজুহাতে স্থানীয় প্রশাসন পুলিশের সহায়তায় নিরাপত্তা না দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে বৈঠক করতে বাধা দেয়।
একইভাবে ৭ নভেম্বর কেরানীগঞ্জের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টির ঢাকা জেলার এক কর্মী সমাবেশ এবং ১২ নভেম্বর ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রথমে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ বাধা দেয়, পরে পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবর্তে সমাবেশই বন্ধ করে দেয়।
জি এম কাদের বলেন, অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের অধিকার হরণ এবং প্রচলিত আইনের অপপ্রয়োগ করে জাতীয় পার্টির প্রতি দমন-পীড়নের ফল দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার পাতানো একতরফা নীলনকশার নির্বাচনের দিকে দেশকে পরিচালিত করছে। সে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা কিছুটা হলেও বাড়াতে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে একদম বাইরে রাখা সমীচীন হবে না।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি যাতে সরকারি দল ও সরকারের পছন্দের দলগুলোর জয়লাভে কোনো ঝুঁকি তৈরি করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। সে উদ্দেশ্যে নানা বাধাবিপত্তি সৃষ্টি করে জাতীয় পার্টি যাতে নির্বাচনে স্বাভাবিক পরিবেশ না পায়, সে বিষয়ে সচেষ্ট তারা।
জাতীয় পার্টিকে ‘অন্তর্বর্তী সরকার হাত-পা বেঁধে সাঁতার প্রতিযোগিতায় নামাতে চাইছে’ বলে দাবি করেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার জাপার মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সিনিয়র নেতাদের একটি দল নিয়ে দিনাজপুরে স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে যান। কিন্তু সেখানে এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের বাধা দেওয়ার অজুহাতে স্থানীয় প্রশাসন পুলিশের সহায়তায় নিরাপত্তা না দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে বৈঠক করতে বাধা দেয়।
একইভাবে ৭ নভেম্বর কেরানীগঞ্জের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টির ঢাকা জেলার এক কর্মী সমাবেশ এবং ১২ নভেম্বর ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রথমে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ বাধা দেয়, পরে পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবর্তে সমাবেশই বন্ধ করে দেয়।
জি এম কাদের বলেন, অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের অধিকার হরণ এবং প্রচলিত আইনের অপপ্রয়োগ করে জাতীয় পার্টির প্রতি দমন-পীড়নের ফল দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

‘কোথায় সেইফ এক্সিট নেবেন? পৃথিবীতে সেইফ এক্সিট নেওয়ার একটাই রাস্তা, সেটা হচ্ছে, মৃত্যু। এর চাইতে সেইফ এক্সিট... এ ছাড়া কোনো সেইফ এক্সিট নাই। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানেই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ধরবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হোক, সামনাসামনি হোক।’
০৭ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে পল্টনে এসে শেষ করে।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জুলাই যোদ্ধা খোকন চন্দ্র বর্মণ। দলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু খোকন চন্দ্র বর্মণের পক্ষে মনোনয়ন ফরম নেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
আট দিনে ১ হাজার ১১টি মনোনয়ন আবেদন ফরম বিক্রি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে পল্টনে এসে শেষ করে।
প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ জাসদ, ঢাকা মহানগর। এ সময় জাসদের সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় শ্রমিক জোটের ব্যানারে শ্রমজীবীদের সর্বনিম্ন মজুরি মাসিক ৩০ হাজার টাকা ও শ্রম কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করারও দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ নাজমুল হক প্রধান বলেন, লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়া চলবে না। এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষায় শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষক বাতিল করা যাবে না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের জন্য ভালো নয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থায়ী কমিশন গঠন করারও কথা জানান তিনি।
বিক্ষোভ মিছিলে ‘আমার মাটি, আমার বন্দর, বিদেশিদের দেব না’; ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, দালালদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন’; ‘মার্কিনদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ এবং ‘প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, বাংলাদেশ জাসদ’সহ নানান স্লোগান দেন তাঁরা।
বাংলাদেশ জাসদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম খোকনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটি ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে পল্টনে এসে শেষ করে।
প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ জাসদ, ঢাকা মহানগর। এ সময় জাসদের সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় শ্রমিক জোটের ব্যানারে শ্রমজীবীদের সর্বনিম্ন মজুরি মাসিক ৩০ হাজার টাকা ও শ্রম কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করারও দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ নাজমুল হক প্রধান বলেন, লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়া চলবে না। এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষায় শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষক বাতিল করা যাবে না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের জন্য ভালো নয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থায়ী কমিশন গঠন করারও কথা জানান তিনি।
বিক্ষোভ মিছিলে ‘আমার মাটি, আমার বন্দর, বিদেশিদের দেব না’; ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, দালালদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন’; ‘মার্কিনদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ এবং ‘প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, বাংলাদেশ জাসদ’সহ নানান স্লোগান দেন তাঁরা।
বাংলাদেশ জাসদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম খোকনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটি ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

‘কোথায় সেইফ এক্সিট নেবেন? পৃথিবীতে সেইফ এক্সিট নেওয়ার একটাই রাস্তা, সেটা হচ্ছে, মৃত্যু। এর চাইতে সেইফ এক্সিট... এ ছাড়া কোনো সেইফ এক্সিট নাই। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানেই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ধরবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হোক, সামনাসামনি হোক।’
০৭ অক্টোবর ২০২৫
জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি যাতে সরকারি দল ও সরকারের পছন্দের দলগুলোর জয়লাভে কোনো ঝুঁকি তৈরি করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। সে উদ্দেশ্যে নানা বাধাবিপত্তি সৃষ্টি করে জাতীয় পার্টি যাতে নির্বাচনে স্বাভাবিক পরিবেশ না পায়, সে বিষয়ে সচেষ্ট তারা।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জুলাই যোদ্ধা খোকন চন্দ্র বর্মণ। দলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু খোকন চন্দ্র বর্মণের পক্ষে মনোনয়ন ফরম নেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
আট দিনে ১ হাজার ১১টি মনোনয়ন আবেদন ফরম বিক্রি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জুলাই যোদ্ধা খোকন চন্দ্র বর্মণ। দলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু খোকন চন্দ্র বর্মণের পক্ষে মনোনয়ন ফরম নেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির নির্বাহী সদস্য খোকন বর্তমানে মুখের চিকিৎসার জন্য রাশিয়ায় রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে মাহমুদা মিতু বলেন, ‘খোকন চন্দ্র বর্মণ ভাই মস্কোতে সেকেন্ড বারের মতো চিকিৎসায় আছেন। তার ফেস রিকন্সট্রাকশনের চিকিৎসায় আছেন। তিনি শেরপুর-২ আসনে এনসিপি থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমার পক্ষ থেকে আমি খোকন ভাইকে মনোনয়ন নিয়ে দিলাম।
তিনি দ্রুতই দেশে ফিরবেন এবং ইনশা আল্লাহ খোকন সুস্থ হয়ে শেরপুর-২ আসনের হাল ধরবেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার গুলিতে ফেস হারানো ভাইটিকে একদিন আমরা সংসদে দেখব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের দিন গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন খোকন। ওই দিনের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গুলিতে খোকনের ঠোঁট, মাড়ি, নাক-মুখের অংশের মাংস প্রায় খুলে পড়ছে। তাঁর মুখ ও পুরো শরীর রক্তাক্ত। এই অবস্থায় তিনি একজনের হাত ধরে উঠে দাঁড়ান। খোকন নিজেই আঙুলের ছাপ দিয়ে মোবাইলের লক খোলেন। সেই মোবাইল থেকে একজন খোকনের বড় ভাই খোকা চন্দ্র বর্মণকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর জানান।
খোকনকে প্রথমে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল থেকে পাঠানো হয় মিরপুরে ডেন্টাল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর পাঠানো হয় বার্ন ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাশিয়ায় পাঠানো হয় খোকনকে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জুলাই যোদ্ধা খোকন চন্দ্র বর্মণ। দলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু খোকন চন্দ্র বর্মণের পক্ষে মনোনয়ন ফরম নেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির নির্বাহী সদস্য খোকন বর্তমানে মুখের চিকিৎসার জন্য রাশিয়ায় রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে মাহমুদা মিতু বলেন, ‘খোকন চন্দ্র বর্মণ ভাই মস্কোতে সেকেন্ড বারের মতো চিকিৎসায় আছেন। তার ফেস রিকন্সট্রাকশনের চিকিৎসায় আছেন। তিনি শেরপুর-২ আসনে এনসিপি থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমার পক্ষ থেকে আমি খোকন ভাইকে মনোনয়ন নিয়ে দিলাম।
তিনি দ্রুতই দেশে ফিরবেন এবং ইনশা আল্লাহ খোকন সুস্থ হয়ে শেরপুর-২ আসনের হাল ধরবেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার গুলিতে ফেস হারানো ভাইটিকে একদিন আমরা সংসদে দেখব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের দিন গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন খোকন। ওই দিনের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গুলিতে খোকনের ঠোঁট, মাড়ি, নাক-মুখের অংশের মাংস প্রায় খুলে পড়ছে। তাঁর মুখ ও পুরো শরীর রক্তাক্ত। এই অবস্থায় তিনি একজনের হাত ধরে উঠে দাঁড়ান। খোকন নিজেই আঙুলের ছাপ দিয়ে মোবাইলের লক খোলেন। সেই মোবাইল থেকে একজন খোকনের বড় ভাই খোকা চন্দ্র বর্মণকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর জানান।
খোকনকে প্রথমে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল থেকে পাঠানো হয় মিরপুরে ডেন্টাল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর পাঠানো হয় বার্ন ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাশিয়ায় পাঠানো হয় খোকনকে।

‘কোথায় সেইফ এক্সিট নেবেন? পৃথিবীতে সেইফ এক্সিট নেওয়ার একটাই রাস্তা, সেটা হচ্ছে, মৃত্যু। এর চাইতে সেইফ এক্সিট... এ ছাড়া কোনো সেইফ এক্সিট নাই। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানেই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ধরবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হোক, সামনাসামনি হোক।’
০৭ অক্টোবর ২০২৫
জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি যাতে সরকারি দল ও সরকারের পছন্দের দলগুলোর জয়লাভে কোনো ঝুঁকি তৈরি করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। সে উদ্দেশ্যে নানা বাধাবিপত্তি সৃষ্টি করে জাতীয় পার্টি যাতে নির্বাচনে স্বাভাবিক পরিবেশ না পায়, সে বিষয়ে সচেষ্ট তারা।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে পল্টনে এসে শেষ করে।
১ ঘণ্টা আগে
আট দিনে ১ হাজার ১১টি মনোনয়ন আবেদন ফরম বিক্রি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনে ১ হাজার ১১টি মনোনয়ন আবেদন ফরম বিক্রি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১১টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। আমাদের ফরম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার। চিকিৎসক, শিক্ষক, আলেমসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ফরম নিচ্ছে। মানুষের আগ্রহ দেখে মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় বাড়ানো হয়েছে। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম সংগ্রহ করা যাবে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৬ নভেম্বর বিকেল থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে এনসিপি। শুরুতে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু পরে সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়।

আট দিনে ১ হাজার ১১টি মনোনয়ন আবেদন ফরম বিক্রি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১১টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। আমাদের ফরম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার। চিকিৎসক, শিক্ষক, আলেমসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ফরম নিচ্ছে। মানুষের আগ্রহ দেখে মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় বাড়ানো হয়েছে। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম সংগ্রহ করা যাবে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৬ নভেম্বর বিকেল থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে এনসিপি। শুরুতে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু পরে সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়।

‘কোথায় সেইফ এক্সিট নেবেন? পৃথিবীতে সেইফ এক্সিট নেওয়ার একটাই রাস্তা, সেটা হচ্ছে, মৃত্যু। এর চাইতে সেইফ এক্সিট... এ ছাড়া কোনো সেইফ এক্সিট নাই। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানেই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ধরবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হোক, সামনাসামনি হোক।’
০৭ অক্টোবর ২০২৫
জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি যাতে সরকারি দল ও সরকারের পছন্দের দলগুলোর জয়লাভে কোনো ঝুঁকি তৈরি করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। সে উদ্দেশ্যে নানা বাধাবিপত্তি সৃষ্টি করে জাতীয় পার্টি যাতে নির্বাচনে স্বাভাবিক পরিবেশ না পায়, সে বিষয়ে সচেষ্ট তারা।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে পল্টনে এসে শেষ করে।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জুলাই যোদ্ধা খোকন চন্দ্র বর্মণ। দলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু খোকন চন্দ্র বর্মণের পক্ষে মনোনয়ন ফরম নেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১১ ঘণ্টা আগে