Ajker Patrika

তারেক রহমান দেশে ফিরবেন শিগগিরই: মির্জা আব্বাস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২: ৫২
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ফাইল ছবি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে বিজয়ের মাসে ‘ন্যায়বিচারপ্রাপ্তির একটি সুসংবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘আমি বলব যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের মাঝে সহিসালামতে ফিরে আসবেন খুব তাড়াতাড়ি।’

মামলার রায় ঘোষণার পরে গতকাল রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আজকে বিজয়ের প্রথম দিনে একটি বিজয়ের খবর আপনাদের দিতে চাই। সেটা হলো, আপনাদের মনে আছে, ২১ আগস্ট একটা গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। সেই মামলায় যে তারেক রহমান সাহেব জড়িত ছিলেন না বিধায় তাঁকেসহ সকলকে খালাস দেওয়া হয়েছে।’

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আমরা বিগত দিনগুলোতে ন্যায়বিচার পাই নাই। আমি আজকে ডিসেম্বরের প্রথম দিনে প্রথম একটা সুসংবাদ পেলাম। সামনে আরও সুসংবাদ আমরা আশা করছি।’

২১ আগস্টের মামলায় বিদেশি শক্তি যুক্ত ছিল দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাটা ছিল পরিকল্পিতভাবে কোনো বিদেশি শক্তি দ্বারা। সেই গ্রেনেড হামলায় কখনোই বিএনপি জড়িত ছিল না। একটা বিদেশি শক্তি এই অপকর্মটা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফাঁসাতে চেয়েছিল।’

দেশে ফেরার পথ সুগম হয়েছে

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ আরও সুগম হয়েছে বলে মনে করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) নামে যেসমস্ত মামলা আদালতে যাচ্ছে, সেগুলো থেকে তিনি খালাস পাচ্ছেন, খারিজ হয়ে যাচ্ছে। এখনো বেশ কয়েকটা বাকি আছে। কাজেই আমরা আশাবাদী, যেকোনো সময় তিনি বাংলাদেশে ফেরত আসবেন।’

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে গতকাল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাহিদ হাসান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে খালাসের পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ সুগম হলো কি না, এমন প্রশ্নে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই (দেশে ফিরবেন)। আমরা সব সময় বলতাম, আমাদের দলের সবাই বলত বেগম খালেদা জিয়ার নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আজ প্রমাণিত, ওনার (তারেক রহমান) নামে যে সমস্ত মামলা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক ছিল দেখে সেগুলো থেকে খালাস পেয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় ১১টি বিশেষ ট্রেন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নেতাকর্মীদের নিয়ে মোট ১১টি বিশেষ ট্রেন ঢাকায় পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
নেতাকর্মীদের নিয়ে মোট ১১টি বিশেষ ট্রেন ঢাকায় পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দলটির নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ১১টি বিশেষ ট্রেন ঢাকায় পৌঁছেছে। নেতাকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যমে বিশেষ ট্রেন সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। দলটির পক্ষ থেকে ভাড়া নেওয়া এসব ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন।

রেলওয়ের ঢাকা কন্ট্রোল অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ ট্রেনগুলো ঢাকায় আসতে শুরু করে। এদিন সকাল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে মোট ১১টি বিশেষ ট্রেন ঢাকায় এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ১১টি বিশেষ ট্রেন ইতিমধ্যে ঢাকায় এসেছে। এসব ট্রেনের যাত্রীরা মূলত বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে নেমেছেন। কারণ এসব স্টেশন থেকে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত ভেন্যুগুলো কাছাকাছি। রেলওয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে আমরা মাঠে আছি। এখন পর্যন্ত রেলওয়ের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি ট্রেন চলাচল করছে। পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের চলাচলেও তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই এবং ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড়ের খবর পাওয়া গেছে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের ট্রেনে আগমন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, যেসব রুটে বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে সেগুলো হলো—

কক্সবাজার–ঢাকা–কক্সবাজার,জামালপুর–ময়মনসিংহ–ঢাকা–জামালপুর, টাঙ্গাইল–ঢাকা–টাঙ্গাইল,

ভৈরববাজার–নরসিংদী–ঢাকা,জয়দেবপুর–ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট–জয়দেবপুর (গাজীপুর),

পঞ্চগড়–ঢাকা–পঞ্চগড়,খুলনা–ঢাকা–খুলনা,

চাটমোহর–ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট–চাটমোহর,

রাজশাহী–ঢাকা–রাজশাহী এবং

যশোর–ঢাকা–যশোর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমরা মুক্তির আবহে দাঁড়িয়ে আছি—তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা, বাংলাদেশের আগামী দিনের গণতান্ত্রিক যাত্রার দিকনির্দেশক আজকে নিজের মাতৃভূমিতে অবতরণ করবেন দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর কষ্টকর নির্বাসিত জীবন শেষে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশের বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ঘটনা আজ সারা দেশবাসী দেখবেন, আমরা দেখব, সারা বিশ্ববাসী দেখবেন। ইনশা আল্লাহ আমরা আশা করি—এই মুহূর্তটাকে আমরা ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে পালন করতে পারব।’

১৭ বছরের নির্বাসন জীবন কাটিয়ে দেশের পথে তারেক রহমান। আজ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে তারেক রহমানের ফ্লাইট সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইটটির ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ঢাকা পৌঁছে এয়ারপোর্ট থেকে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।

দেশের কোটি কোটি মানুষ তারেক রহমানকে এক নজর দেখার জন্য এবং তার মুখ থেকে কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানান বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলনের পর এখন মানুষের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। আমরা ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করেছি। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন তার পরিণতি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, গণতন্ত্র মুক্ত হয়েছে, আর আজ আমরা এক মুক্তির আবহে দাঁড়িয়ে আছি।’

গণতান্ত্রিক উত্তরণ ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সম্প্রতি মগবাজার ফ্লাইওভারে বোমা বিস্ফোরণের মতো ঘটনাগুলো এরই ইঙ্গিত দেয়। ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দেশি বিদেশি দোসররা এখনো সক্রিয়। তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং নির্বাচনকে বানচাল করতে চেষ্টা করবে। কিন্তু এটা তাদের জন্যই দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে। সহিংসতা ও অগণতান্ত্রিক উপায়ে যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা রুদ্ধ করতে চায়, তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার পথে বিমানের ফ্লাইট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১১
ফেসবুকে তারেক রহমানের শেয়ার করা ছবি। ছবি: ফেসবুক
ফেসবুকে তারেক রহমানের শেয়ার করা ছবি। ছবি: ফেসবুক
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৪ হাজার সদস্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০১
তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে মিছিল নিয়ে ৩০০ ফুটে আসছেন নেতাকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে মিছিল নিয়ে ৩০০ ফুটে আসছেন নেতাকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎দীর্ঘ ১৭ বছর তিন মাসের বেশি সময় পর আজ দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)। বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানের গুলশান বাসভবন পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিজিবি, র‍্যাব, সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারি রয়েছে।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

‎ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, নয়টি সেক্টর ভাগ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এস্কর্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনাস্থলে যাতায়াত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, সমাবেশস্থল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, এভারকেয়ার হাসপাতাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, এভারকেয়ার থেকে গুলশান-২ বাসভবন যাতায়াত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, বাসভবন ও গুলশান পার্টি অফিস, রুফটপ নিরাপত্তা এবং কন্ট্রোলরুম। এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ৪ হাজার ৬৪৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করলেও নিরাপত্তার ঝুঁকি বিবেচনায় বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনাস্থলে যাতায়াতের সময় সবচেয়ে বেশি ৭৮৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সাতজন যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এপিবিএন-এর এক হাজার ৫৬ জন, ১০০ জন ডিবি পুলিশ, ৬৬ জন এটিইউ ও ৬৬ জন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া থাকবেন ১১০ জন নারী পুলিশ সদস্য।

তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার হাজার ৬৪৯ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।

‎ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমানের প্রটেকশনের জন্য এস্কর্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। বিমানবন্দরে এস্কর্ট নিরাপত্তায় একজন উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে ১৫৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এস্কর্ট নিরাপত্তায় থাকবেন দেড় শতাধিক সেনাবাহিনীর সদস্য। বিমানবন্দর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়িসহ অনুমোদিত গাড়ি ছাড়া আর কোনো গাড়ি যেতে দেওয়া হবে না। সমাবেশস্থলে বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালন করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬৮২ জন সদস্য। এছাড়া শতাধিক বিএনপি চেয়ারপার্সন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। রয়েছে বিজিবি মোতায়েন।

‎ডিএমপি ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েনের পাশাপাশি তাঁর বাসা ও অফিসে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সারাদেশ থেকে বিপুল নেতাকর্মীর সমাগমের সম্ভাবনা মাথায় রেখেই এই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

গতকাল ‎বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সরকার তাঁর (তারেক রহমান) দেশে ফেরাকে স্বাগত জানায়। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিষয়ে তাঁর দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তাঁরা যতটুকু সহযোগিতা চাচ্ছেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, তাঁর দলের পক্ষ থেকেই মূলত নিরাপত্তা বিষয়টি দেখা হচ্ছে, তবে সরকার প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করছে।

গত শনিবার তারেক রহমানের বাসভবন এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন ইউনিট সমন্বিতভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে। আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

‎এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

একই সঙ্গে বসুন্ধরা আবাসিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত