নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘একটিমাত্র রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়, এ বক্তব্যের বিষয়ে উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
মান্না বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগে একটিমাত্র দল নির্বাচন চায়। এমন একটা ভুল করা কি প্রফেসর ইউনূসের জন্য সংগত? এটা কি মানায় তাঁর কাছে? উনি জানতেনই না যে প্রায় ২৯টা দল ইতিমধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চেয়েছে। এই ভুল তো তাঁর হওয়ার কথা নয়। উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি।’ তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চার-পাঁচবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বললে তিনি আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
সভায় সংস্কার, নির্বাচন এবং জুলাই গণহত্যার বিচার প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়, বিচার স্বাধীনভাবে চলবে। এই সরকারের পরে যারা সরকারে আসবে, তাদের সেটা টেনে নিয়ে যেতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সেগুলোর বিচার করতে গেলে অনেক সময় লাগবে এবং সেই সময়ে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিচারের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে। বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক সরাসরি আছে, সেটা বলা ঠিক হবে না। আর বিচারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া অবিচারের শামিল। কারণ, বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়া আমরা সবাই জানি এবং সুবিচার করতে হলে সময় দিতে হয়।’
এ দেশে কেউ অপরাধ করে পার পাবেন না মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশে এবং বিদেশে বসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা সৃষ্টির অনেক চেষ্টা হয়েছে। অস্থির পরিস্থিতি বন্ধের উপায় হলো, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠিত করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটি যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে, ততই জাতির জন্য মঙ্গল।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, নির্বাচন দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু নির্বাচনই জনগণকে ক্ষমতায়িত করার একমাত্র পথ। নির্বাচনই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। আর বাকি সব সংস্কার, সেটা সময়ের ব্যাপার। নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা আমরা বলি নাই, আপনি বলেছেন। আমরা বলেছি, আপনার সেই ওয়াদা আপনি রাখেন। আমাদের মুখ থেকে ডিসেম্বরের কথা আসে নাই।’
পার্থ বলেন, ‘সরকারের ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেহেতু সংসদ নাই, আপনার ক্ষমতার উৎস আমরা রাজনীতিবিদেরা, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীরা। আজকে আপনি যে সংস্কারের কথা বলছেন, সাধারণ মানুষের কি সংস্কারের একটা প্রস্তাব নিয়ে আসছে? আজকে বাংলাদেশে দুই লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে, তার সংস্কার নিয়ে তো কোনো কথা বলে নাই। আজকে ব্যবসায়ীরা হাহাকার, এনবিআর দিয়ে এবং বিভিন্ন সংস্কার দিয়ে তাদের শেষ করে ফেলাচ্ছে, গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাদের কথা বলার কোনো জায়গা নাই।’
পার্থ আরও বলেন, ‘আজকে কেন আর্মির এভাবে কথা বলতে হয়। আর্মির সঙ্গে দূরত্ব কে সৃষ্টি করেছে? রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দূরত্ব কে সৃষ্টি করেছে? আজকে করিডরের কথা শুনে কনফিউশন কেন, আমরা তো কনফিউশন করি নাই। কনফিউশন আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) নিয়ে আসছেন। ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেয় নাই। আপনি মানুষের ক্ষমতাটা মানুষের হাতে দিয়ে দেন, মানুষ আপনাকে সব সময় স্মরণ রাখবে। আমরাও আপনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখব। আমি আগেও বলেছি, পলিটিকস আর ইকোনমিকস এক না। পলিটিকসে দুই আর দুই ২২ হয়, ইকোনমিকসে দুই আর দুই ৪ হয়।’
সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি করে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কিছু দল নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছে শুধু তাদের দলকে সুসংগঠিত করতে এবং দলীয় লোকজনকে সরকারের বিভিন্ন জায়গায় বসাতে। কোনো ব্যক্তি কিংবা দলের স্বার্থের জন্য আমরা দেশকে একটা সংকটের দিকে যেতে দিতে পারি না।’
গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফওজুল হাকিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, খেলাফত মজলিসের অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, জাগপার ইকবাল হাসান, এনডিএমের মহাসচিব মমিনুল আমিন প্রমুখ।

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘একটিমাত্র রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়, এ বক্তব্যের বিষয়ে উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
মান্না বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগে একটিমাত্র দল নির্বাচন চায়। এমন একটা ভুল করা কি প্রফেসর ইউনূসের জন্য সংগত? এটা কি মানায় তাঁর কাছে? উনি জানতেনই না যে প্রায় ২৯টা দল ইতিমধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চেয়েছে। এই ভুল তো তাঁর হওয়ার কথা নয়। উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি।’ তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চার-পাঁচবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বললে তিনি আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
সভায় সংস্কার, নির্বাচন এবং জুলাই গণহত্যার বিচার প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়, বিচার স্বাধীনভাবে চলবে। এই সরকারের পরে যারা সরকারে আসবে, তাদের সেটা টেনে নিয়ে যেতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সেগুলোর বিচার করতে গেলে অনেক সময় লাগবে এবং সেই সময়ে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিচারের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে। বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক সরাসরি আছে, সেটা বলা ঠিক হবে না। আর বিচারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া অবিচারের শামিল। কারণ, বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়া আমরা সবাই জানি এবং সুবিচার করতে হলে সময় দিতে হয়।’
এ দেশে কেউ অপরাধ করে পার পাবেন না মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশে এবং বিদেশে বসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা সৃষ্টির অনেক চেষ্টা হয়েছে। অস্থির পরিস্থিতি বন্ধের উপায় হলো, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠিত করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটি যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে, ততই জাতির জন্য মঙ্গল।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, নির্বাচন দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু নির্বাচনই জনগণকে ক্ষমতায়িত করার একমাত্র পথ। নির্বাচনই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। আর বাকি সব সংস্কার, সেটা সময়ের ব্যাপার। নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা আমরা বলি নাই, আপনি বলেছেন। আমরা বলেছি, আপনার সেই ওয়াদা আপনি রাখেন। আমাদের মুখ থেকে ডিসেম্বরের কথা আসে নাই।’
পার্থ বলেন, ‘সরকারের ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেহেতু সংসদ নাই, আপনার ক্ষমতার উৎস আমরা রাজনীতিবিদেরা, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীরা। আজকে আপনি যে সংস্কারের কথা বলছেন, সাধারণ মানুষের কি সংস্কারের একটা প্রস্তাব নিয়ে আসছে? আজকে বাংলাদেশে দুই লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে, তার সংস্কার নিয়ে তো কোনো কথা বলে নাই। আজকে ব্যবসায়ীরা হাহাকার, এনবিআর দিয়ে এবং বিভিন্ন সংস্কার দিয়ে তাদের শেষ করে ফেলাচ্ছে, গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাদের কথা বলার কোনো জায়গা নাই।’
পার্থ আরও বলেন, ‘আজকে কেন আর্মির এভাবে কথা বলতে হয়। আর্মির সঙ্গে দূরত্ব কে সৃষ্টি করেছে? রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দূরত্ব কে সৃষ্টি করেছে? আজকে করিডরের কথা শুনে কনফিউশন কেন, আমরা তো কনফিউশন করি নাই। কনফিউশন আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) নিয়ে আসছেন। ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেয় নাই। আপনি মানুষের ক্ষমতাটা মানুষের হাতে দিয়ে দেন, মানুষ আপনাকে সব সময় স্মরণ রাখবে। আমরাও আপনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখব। আমি আগেও বলেছি, পলিটিকস আর ইকোনমিকস এক না। পলিটিকসে দুই আর দুই ২২ হয়, ইকোনমিকসে দুই আর দুই ৪ হয়।’
সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি করে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কিছু দল নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছে শুধু তাদের দলকে সুসংগঠিত করতে এবং দলীয় লোকজনকে সরকারের বিভিন্ন জায়গায় বসাতে। কোনো ব্যক্তি কিংবা দলের স্বার্থের জন্য আমরা দেশকে একটা সংকটের দিকে যেতে দিতে পারি না।’
গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফওজুল হাকিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, খেলাফত মজলিসের অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, জাগপার ইকবাল হাসান, এনডিএমের মহাসচিব মমিনুল আমিন প্রমুখ।

নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
৪ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান
৭ ঘণ্টা আগে
হত্যাচেষ্টা, বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার পৃথক দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ও জশিতা ইসলাম তাঁকে জামিন দেন।
৯ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যকার নতুন রাজনৈতিক জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী...
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
জোটের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, দলগুলোর মধ্যে আসন সমঝোতার আলোচনাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কোন দল কত আসনে লড়বে, সে ঘোষণা আসতে পারে আজ-কালের মধ্যেই।
তবে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে দল যোগ দেওয়ায় এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কয়েকজন নেতা। দলের শীর্ষ নেতারা অবশ্য জোটের পক্ষে তাঁদের অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা ৮ দল অনেক দিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন করে আসছি। এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত, কিছু আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো আশা করি শিগগির শেষ হবে। এরপর আমরা ঘোষণা করব।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে আগে থেকেই ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। দলগুলো একসঙ্গে মাঠে কর্মসূচিও পালন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমিরের বাঁ পাশে বসেছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ডান পাশে বসেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। উপস্থিত ছিলেন শরিক অন্য দলগুলোর নেতারা। তবে এনসিপির কোনো নেতা সেখানে ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির জানান, দুপুরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আট দলের শীর্ষ নেতারা। সেই বৈঠকে আট দলের জোটে এনসিপির অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা আজকে সমাপ্ত হয়েছে। তারা আমাদের এই জোটে থাকছে।’
আসন সমঝোতার বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত। সামান্য যা বাকি আছে, তা আলোচনার ভিত্তিতে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারব আশা করি।’
১০ দলের মধ্যে আসন বণ্টন কীভাবে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবার হাতে আসন তুলে দিব। যার যে যোগ্যতা, তার ভিত্তিতেই আসনগুলো তুলে দেব। শিগগির আসন ঘোষণাও হবে।’
এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে এবং খেলাফত মজলিস ২৭৬ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টিও ইতিমধ্যে ১২৫ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জোটের অন্য দলগুলো সর্বোচ্চ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলগুলোর নেতারা।
দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, এখন দলগুলো নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হবে। তবে দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের আসনে একধরনের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে বড় অংশ থাকবে জামায়াতের হাতে। বাকি আসনগুলো ৯ দলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। জোটে আসনের দিক থেকে বড় ভাগ পাবে এসসিপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, নতুন এই জোটের আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে একটি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেই অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী ১৯০টি, এনসিপি ৩০টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩০-৩৫টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ৪-৫টি, খেলাফত মজলিস ৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ১৫টি আসনে প্রার্থী ছাড়ের আলোচনা চলছে। তবে জামায়াত বাদে অন্য দলগুলো আরও বেশি আসনে ছাড় পেতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নেতারা।
এনসিপিতে গৃহদাহ
জামায়াত ও সমমনা ৮ দলের সঙ্গে জোটে অন্তর্ভুক্তির আলোচনা শুরুর পর থেকেই গৃহদাহ শুরু হয়েছে এনসিপিতে। জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা ও তাজনূভা জাবীন। এ ছাড়া ‘একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত’ পরিবর্তন হওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।
এদিকে গতকাল রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ‘প্রাথমিকভাবে’ এনসিপির নির্বাচনকালীন সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম।
ফেসবুক পোস্টে নুসরাত দল থেকে অতি সম্প্রতি সরে দাঁড়ানো অন্যদের মতোই ঘোষিত আদর্শবিচ্যুত হওয়ার অভিযোগ করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘...জামায়াতে ইসলামীসহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যুত হয়েছেন।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন না করার দাবি জানিয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, দলের নির্বাহী কমিটি ও তৃণমূল পর্যায়ে যথেষ্ট আলোচনা ছাড়াই সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দলীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
তবে এর বিপরীতে নাহিদের প্রতি পূর্ণ আস্থা জানিয়ে আহ্বায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ১১৪ নেতা। তাঁরা চিঠিতে জানান, দলীয় ও জাতীয় স্বার্থের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বৃহত্তর লক্ষ্যকে সামনে রেখে এনসিপি যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছায় কিংবা নতুন কোনো জোট গঠন করে, তবে তাতে তাঁদের পূর্ণ সমর্থন ও সম্মতি থাকবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে নিশ্চিত করেছে এনসিপিও। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এনসিপি নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলেছিলাম, এককভাবে নির্বাচন করব। পরে মনোনয়নপত্র বিতরণ করেছি। এরপর আমরা তিন দলীয় জোট করি।’
নাহিদ বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আমরা বুঝতে পারি, নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা এবং জুলাই প্রজন্মকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা চলছে।’
এই পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপি জামায়াতের জোটে যাচ্ছে জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য আমরা জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছেছি। আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব।’
আজ সোমবার প্রার্থীদের বিষয়ে এনসিপি চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেবে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে, সেখানে জোটের অন্য দলগুলো তাদের সহায়তা করবে। আর যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে না, সেখানে জোটের অন্য দলগুলোর প্রার্থীদের সহযোগিতা করা হবে।
জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে এনসিপিতে বিভাজন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেকোনো বিষয়ে মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের ভেটো (আপত্তি) থাকতে পারে, বিরোধিতা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করবেন কি না, দলে থাকবেন কি না, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’

নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
জোটের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, দলগুলোর মধ্যে আসন সমঝোতার আলোচনাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কোন দল কত আসনে লড়বে, সে ঘোষণা আসতে পারে আজ-কালের মধ্যেই।
তবে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে দল যোগ দেওয়ায় এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কয়েকজন নেতা। দলের শীর্ষ নেতারা অবশ্য জোটের পক্ষে তাঁদের অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা ৮ দল অনেক দিন ধরে একসঙ্গে আন্দোলন করে আসছি। এখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত, কিছু আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো আশা করি শিগগির শেষ হবে। এরপর আমরা ঘোষণা করব।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে আগে থেকেই ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। দলগুলো একসঙ্গে মাঠে কর্মসূচিও পালন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমিরের বাঁ পাশে বসেছিলেন এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ডান পাশে বসেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। উপস্থিত ছিলেন শরিক অন্য দলগুলোর নেতারা। তবে এনসিপির কোনো নেতা সেখানে ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির জানান, দুপুরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আট দলের শীর্ষ নেতারা। সেই বৈঠকে আট দলের জোটে এনসিপির অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা আজকে সমাপ্ত হয়েছে। তারা আমাদের এই জোটে থাকছে।’
আসন সমঝোতার বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত। সামান্য যা বাকি আছে, তা আলোচনার ভিত্তিতে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারব আশা করি।’
১০ দলের মধ্যে আসন বণ্টন কীভাবে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবার হাতে আসন তুলে দিব। যার যে যোগ্যতা, তার ভিত্তিতেই আসনগুলো তুলে দেব। শিগগির আসন ঘোষণাও হবে।’
এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন প্রায় ৩০০ আসনে এবং খেলাফত মজলিস ২৭৬ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টিও ইতিমধ্যে ১২৫ আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জোটের অন্য দলগুলো সর্বোচ্চ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলগুলোর নেতারা।
দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, এখন দলগুলো নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হবে। তবে দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের আসনে একধরনের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে বড় অংশ থাকবে জামায়াতের হাতে। বাকি আসনগুলো ৯ দলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। জোটে আসনের দিক থেকে বড় ভাগ পাবে এসসিপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, নতুন এই জোটের আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে একটি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেই অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী ১৯০টি, এনসিপি ৩০টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩০-৩৫টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ৪-৫টি, খেলাফত মজলিস ৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ১৫টি আসনে প্রার্থী ছাড়ের আলোচনা চলছে। তবে জামায়াত বাদে অন্য দলগুলো আরও বেশি আসনে ছাড় পেতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নেতারা।
এনসিপিতে গৃহদাহ
জামায়াত ও সমমনা ৮ দলের সঙ্গে জোটে অন্তর্ভুক্তির আলোচনা শুরুর পর থেকেই গৃহদাহ শুরু হয়েছে এনসিপিতে। জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক তানসিম জারা ও তাজনূভা জাবীন। এ ছাড়া ‘একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত’ পরিবর্তন হওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।
এদিকে গতকাল রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ‘প্রাথমিকভাবে’ এনসিপির নির্বাচনকালীন সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম।
ফেসবুক পোস্টে নুসরাত দল থেকে অতি সম্প্রতি সরে দাঁড়ানো অন্যদের মতোই ঘোষিত আদর্শবিচ্যুত হওয়ার অভিযোগ করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘...জামায়াতে ইসলামীসহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যুত হয়েছেন।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন না করার দাবি জানিয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, দলের নির্বাহী কমিটি ও তৃণমূল পর্যায়ে যথেষ্ট আলোচনা ছাড়াই সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দলীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
তবে এর বিপরীতে নাহিদের প্রতি পূর্ণ আস্থা জানিয়ে আহ্বায়ক বরাবর চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ১১৪ নেতা। তাঁরা চিঠিতে জানান, দলীয় ও জাতীয় স্বার্থের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বৃহত্তর লক্ষ্যকে সামনে রেখে এনসিপি যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছায় কিংবা নতুন কোনো জোট গঠন করে, তবে তাতে তাঁদের পূর্ণ সমর্থন ও সম্মতি থাকবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে নিশ্চিত করেছে এনসিপিও। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এনসিপি নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলেছিলাম, এককভাবে নির্বাচন করব। পরে মনোনয়নপত্র বিতরণ করেছি। এরপর আমরা তিন দলীয় জোট করি।’
নাহিদ বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আমরা বুঝতে পারি, নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা এবং জুলাই প্রজন্মকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা চলছে।’
এই পরিপ্রেক্ষিতে এনসিপি জামায়াতের জোটে যাচ্ছে জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য আমরা জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছেছি। আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব।’
আজ সোমবার প্রার্থীদের বিষয়ে এনসিপি চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেবে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে, সেখানে জোটের অন্য দলগুলো তাদের সহায়তা করবে। আর যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে না, সেখানে জোটের অন্য দলগুলোর প্রার্থীদের সহযোগিতা করা হবে।
জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে এনসিপিতে বিভাজন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেকোনো বিষয়ে মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের ভেটো (আপত্তি) থাকতে পারে, বিরোধিতা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করবেন কি না, দলে থাকবেন কি না, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
০৩ জুন ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান
৭ ঘণ্টা আগে
হত্যাচেষ্টা, বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার পৃথক দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ও জশিতা ইসলাম তাঁকে জামিন দেন।
৯ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যকার নতুন রাজনৈতিক জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী...
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
নুসরাত তাবাসসুম অভিযোগ করেছেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন জোটবদ্ধ হওয়া তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একধরনের ‘প্রবঞ্চনা’।
নুসরাত তাবাসসুম তাঁর পোস্টে এনসিপির মূল লক্ষ্য ও বর্তমান পরিস্থিতির পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, ‘এনসিপি তার জন্মলগ্নে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে গণতন্ত্রের সুষম চর্চা, নয়া বন্দোবস্ত, মধ্যপন্থা অন্তর্ভুক্তীমূলক সমাজব্যবস্থা, সভ্যতাকেন্দ্রিক সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশপন্থা নিয়ে। এই প্রতিটা শব্দ আমি আমার মননে, মগজে এবং যাপনে ধারণ করি, এই শব্দগুলো আমার রাজনৈতিক স্বপ্ন। এনসিপির ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে এর সবগুলো লিটারেচার এই বক্তব্যে ধারণ করে৷ এনসিপি গঠনের সময় এটি ঠিক তাই ছিল যা আমি চেয়েছিলাম। আজ ২৮/১২/২০২৫, ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামী সহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যূত হয়েছেন।’
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এনসিপির প্রবঞ্চনা প্রসঙ্গে তাবাসসুম বলেন, ‘বিশেষ করে, বিভিন্ন সময়ে জনাব আহ্বায়ক মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি। এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত বিশেষ করে মনোনয়ন নেয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি।’
সবশেষে তাবাসসুম বলেন, ‘এ সমস্ত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালীন সময়ে পার্টির সকল কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি। এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনাক্রমে যে কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘোষণা করছি।’
নুসরাত তাবাসসুমের এই ঘোষণার মাধ্যমে এনসিপির ভেতরে চলমান সংকট আরও ঘনীভূত হলো। এর আগে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিনও জোটের বিরোধিতা করেছেন, তবে তিনি দল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেপথ্যের কারিগর মাহফুজ আলমও আজ রাতে জানিয়েছেন যে, তিনি জামায়াত-এনসিপি জোটের হয়ে নির্বাচনে লড়বেন না।

জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
নুসরাত তাবাসসুম অভিযোগ করেছেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন জোটবদ্ধ হওয়া তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একধরনের ‘প্রবঞ্চনা’।
নুসরাত তাবাসসুম তাঁর পোস্টে এনসিপির মূল লক্ষ্য ও বর্তমান পরিস্থিতির পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, ‘এনসিপি তার জন্মলগ্নে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে গণতন্ত্রের সুষম চর্চা, নয়া বন্দোবস্ত, মধ্যপন্থা অন্তর্ভুক্তীমূলক সমাজব্যবস্থা, সভ্যতাকেন্দ্রিক সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশপন্থা নিয়ে। এই প্রতিটা শব্দ আমি আমার মননে, মগজে এবং যাপনে ধারণ করি, এই শব্দগুলো আমার রাজনৈতিক স্বপ্ন। এনসিপির ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে এর সবগুলো লিটারেচার এই বক্তব্যে ধারণ করে৷ এনসিপি গঠনের সময় এটি ঠিক তাই ছিল যা আমি চেয়েছিলাম। আজ ২৮/১২/২০২৫, ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামী সহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যূত হয়েছেন।’
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এনসিপির প্রবঞ্চনা প্রসঙ্গে তাবাসসুম বলেন, ‘বিশেষ করে, বিভিন্ন সময়ে জনাব আহ্বায়ক মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি। এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত বিশেষ করে মনোনয়ন নেয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি।’
সবশেষে তাবাসসুম বলেন, ‘এ সমস্ত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালীন সময়ে পার্টির সকল কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি। এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনাক্রমে যে কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘোষণা করছি।’
নুসরাত তাবাসসুমের এই ঘোষণার মাধ্যমে এনসিপির ভেতরে চলমান সংকট আরও ঘনীভূত হলো। এর আগে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিনও জোটের বিরোধিতা করেছেন, তবে তিনি দল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেপথ্যের কারিগর মাহফুজ আলমও আজ রাতে জানিয়েছেন যে, তিনি জামায়াত-এনসিপি জোটের হয়ে নির্বাচনে লড়বেন না।

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
০৩ জুন ২০২৫
নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
৪ ঘণ্টা আগে
হত্যাচেষ্টা, বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার পৃথক দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ও জশিতা ইসলাম তাঁকে জামিন দেন।
৯ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যকার নতুন রাজনৈতিক জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী...
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হত্যাচেষ্টা, বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার পৃথক দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ও জশিতা ইসলাম তাঁকে জামিন দেন।
আখতার হোসেনের আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেছেন, ‘২০২১ সালে পৃথক দুই থানার মামলায় এনসিপির নেতা আখতার হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে পৃথক দুই আদালত দুই মামলায় তাঁকে জামিন দেন।’
এ বিষয়ে আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আমার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চারটিতে অব্যাহতি পেয়েছি। অন্য দুটিতে আজকে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছি।’
মামলা দুটির অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়। অন্যান্য থানায় আরও তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে চারটি মামলায় তিনি আগেই অব্যাহতি পেয়েছিলেন।

হত্যাচেষ্টা, বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার পৃথক দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ও জশিতা ইসলাম তাঁকে জামিন দেন।
আখতার হোসেনের আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেছেন, ‘২০২১ সালে পৃথক দুই থানার মামলায় এনসিপির নেতা আখতার হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে পৃথক দুই আদালত দুই মামলায় তাঁকে জামিন দেন।’
এ বিষয়ে আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আমার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চারটিতে অব্যাহতি পেয়েছি। অন্য দুটিতে আজকে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছি।’
মামলা দুটির অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়। অন্যান্য থানায় আরও তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে চারটি মামলায় তিনি আগেই অব্যাহতি পেয়েছিলেন।

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
০৩ জুন ২০২৫
নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
৪ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান
৭ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যকার নতুন রাজনৈতিক জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যকার নতুন রাজনৈতিক জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব থাকলেও তিনি তা গ্রহণ করছেন না।
তাঁর মতে, কোনো নির্দিষ্ট আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নীতি ও আদর্শ (লং স্ট্যান্ডিং পজিশন) ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, নাগরিক কমিটি ও এনসিপি মূলত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতাদের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছিল। এই সহযোদ্ধাদের তিনি বিভিন্ন সময় পলিসিগত সহযোগিতা দিলেও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি এনসিপির অংশ হচ্ছেন না।
‘আমার রাজনৈতিক অবস্থান’ শীর্ষক মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেওয়া হলো—
আমার রাজনৈতিক অবস্থান
১. নাগরিক কমিটি ও এনসিপি জুলাইয়ের সম্মুখসারির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। এ দুটি সংগঠনে আমার জুলাই সহযোদ্ধারা থাকায় গত দেড় বছর আমি চাহিবামাত্র তাদেরকে পরামর্শ, নির্দেশনা এবং পলিসিগত জায়গায় সহযোগিতা করেছি।
২. আমার অবস্থান স্পষ্ট। নূতন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াই, সামাজিক ফ্যাসিবাদ মোকাবেলা, রিকন্সিলিয়েশন, দায়-দরদের সমাজ সহ- অনেক কথাই আমি বলেছি। যেগুলো আমার জুলাই সহযোদ্ধারা উক্ত দুটি সংগঠন থেকে বারবার বলেছেন। কিন্তু, তারা এগুলো ধারণ করতেন? এনসিপিকে একটা বিগ জুলাই আম্ব্রেলা আকারে স্বতন্ত্র উপায়ে দাঁড় করানোর জন্য আমি সকল চেষ্টাই করেছি। কিন্তু, অনেক কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।
৩. বিদ্যমান বাস্তবতায় আমার জুলাই সহযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান, স্নেহ এবং বন্ধুত্ব মুছে যাবে না। কিন্তু, আমি এ এনসিপির অংশ হচ্ছি না। আমাকে জামায়াত-এনসিপি জোট থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়নি, এটা সত্য নয়। কিন্তু ঢাকার কোন একটা আসনে জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চাইতে আমার লং স্টান্ডিং পজিশন ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
৪. ইতিহাসের এ চলতি পর্বে বাংলাদেশ একটা শীতল যুদ্ধে আছে। এ পর্বে কোন পক্ষ না নিয়ে নিজেদের বক্তব্য ও নীতিতে অটল থাকাই শ্রেয়। বিকল্প তরুণ/ জুলাই শক্তির সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বরং, আমি গত দেড় বছরে যা বলেছি, যে নীতিতে বিশ্বাস রেখেছি, তা অব্যাহত রাখব। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সকল উপায়ে। If you care to join me, you are most welcome.
নূতন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব ও বাস্তব। বিকল্প ও মধ্যপন্থী তরুণ/ জুলাই শক্তির উত্থান অত্যাসন্ন।

জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যকার নতুন রাজনৈতিক জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব থাকলেও তিনি তা গ্রহণ করছেন না।
তাঁর মতে, কোনো নির্দিষ্ট আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নীতি ও আদর্শ (লং স্ট্যান্ডিং পজিশন) ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, নাগরিক কমিটি ও এনসিপি মূলত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতাদের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছিল। এই সহযোদ্ধাদের তিনি বিভিন্ন সময় পলিসিগত সহযোগিতা দিলেও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি এনসিপির অংশ হচ্ছেন না।
‘আমার রাজনৈতিক অবস্থান’ শীর্ষক মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেওয়া হলো—
আমার রাজনৈতিক অবস্থান
১. নাগরিক কমিটি ও এনসিপি জুলাইয়ের সম্মুখসারির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। এ দুটি সংগঠনে আমার জুলাই সহযোদ্ধারা থাকায় গত দেড় বছর আমি চাহিবামাত্র তাদেরকে পরামর্শ, নির্দেশনা এবং পলিসিগত জায়গায় সহযোগিতা করেছি।
২. আমার অবস্থান স্পষ্ট। নূতন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াই, সামাজিক ফ্যাসিবাদ মোকাবেলা, রিকন্সিলিয়েশন, দায়-দরদের সমাজ সহ- অনেক কথাই আমি বলেছি। যেগুলো আমার জুলাই সহযোদ্ধারা উক্ত দুটি সংগঠন থেকে বারবার বলেছেন। কিন্তু, তারা এগুলো ধারণ করতেন? এনসিপিকে একটা বিগ জুলাই আম্ব্রেলা আকারে স্বতন্ত্র উপায়ে দাঁড় করানোর জন্য আমি সকল চেষ্টাই করেছি। কিন্তু, অনেক কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।
৩. বিদ্যমান বাস্তবতায় আমার জুলাই সহযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান, স্নেহ এবং বন্ধুত্ব মুছে যাবে না। কিন্তু, আমি এ এনসিপির অংশ হচ্ছি না। আমাকে জামায়াত-এনসিপি জোট থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়নি, এটা সত্য নয়। কিন্তু ঢাকার কোন একটা আসনে জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চাইতে আমার লং স্টান্ডিং পজিশন ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
৪. ইতিহাসের এ চলতি পর্বে বাংলাদেশ একটা শীতল যুদ্ধে আছে। এ পর্বে কোন পক্ষ না নিয়ে নিজেদের বক্তব্য ও নীতিতে অটল থাকাই শ্রেয়। বিকল্প তরুণ/ জুলাই শক্তির সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বরং, আমি গত দেড় বছরে যা বলেছি, যে নীতিতে বিশ্বাস রেখেছি, তা অব্যাহত রাখব। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সকল উপায়ে। If you care to join me, you are most welcome.
নূতন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব ও বাস্তব। বিকল্প ও মধ্যপন্থী তরুণ/ জুলাই শক্তির উত্থান অত্যাসন্ন।

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
০৩ জুন ২০২৫
নানা জল্পনাকল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী জোট। এনসিপির পাশাপাশি এই জোটে নতুন করে আরও যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
৪ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীসহ ১০-দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দলের সব নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি তাঁর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান
৭ ঘণ্টা আগে
হত্যাচেষ্টা, বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার পৃথক দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ও জশিতা ইসলাম তাঁকে জামিন দেন।
৯ ঘণ্টা আগে