Ajker Patrika

রাজনৈতিক মনোনয়নে উচ্চকক্ষে ৫০ শতাংশ সিভিল সোসাইটির বিরোধিতা নাগরিক ঐক্যের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ভারতকে জবাব দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ভারতকে জবাব দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিকক্ষ সংসদের উচ্চকক্ষে ১০০ জনের মধ্যে ৫০ শতাংশ সিভিল সোসাইটি এবং ৫০ শতাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য থেকে আসবে—এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে নাগরিক ঐক্য। দলটি বলছে, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরাও রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নের ভিত্তিতেই উচ্চকক্ষের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন, এতে সিভিল সোসাইটির নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এতে দেশের সিভিল সোসাইটি ভেঙে পড়তে পারে।

আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।

সাকিব আনোয়ার বলেন, ‘দ্বিকক্ষ সংসদের ক্ষেত্রে তাদের (কমিশন) যে প্রস্তাব ছিল, উচ্চকক্ষের ১০০ জনের মধ্যে ৫০ শতাংশ সিভিল সোসাইটি এবং ৫০ শতাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর থেকে আসবে। আমরা এতে একমত হতে পারিনি। যেহেতু এটা রাজনৈতিক মনোনয়ন থেকেই আসবে। ফলে আলাদা করে ৫০ শতাংশ সিভিল সোসাইটির জন্য বরাদ্দ করলে যেটা হবে, বাংলাদেশ একটা শক্তিশালী সিভিল সোসাইটি হারাবে। তখন সিভিল সোসাইটির সদস্যরাও চিন্তা করবে যে কোনো একটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে পরে নির্বাচনের পর উচ্চকক্ষে যাওয়া যাবে। কারণ, সিভিল সোসাইটির মনোনয়নটাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য থেকে আসবে। আমরা দেশে একটা শক্তিশালী সিভিল সোসাইটি কাজ করবে, এটা চাই। তাই সিভিল সোসাইটির মনোনয়ন রাজনৈতিক দল দেবে, এখানে আমরা একমত হতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চকক্ষে ১০৫ জন থাকবেন বলে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫ জনকে মনোনীত করবেন রাষ্ট্রপতি। সেই সুযোগ রাখার পক্ষে আমরা নই।’

উচ্চকক্ষে প্রতিনিধি নির্বাচনে একটি দলের ন্যূনতম ৩ শতাংশ ভোটের বিরোধিতা করে সাকিব আনোয়ার বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন এ ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটের কথা বলেছে। আমরা এটাকে সমর্থন করি। আমরা বলেছি, কোনো একটা দল যদি এক শতাংশ ভোটও পায়, তাদের একজন প্রতিনিধি উচ্চকক্ষে থাকবেন।’

ছাড় দিয়ে হলেও যত বেশি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়, এটাই নাগরিক ঐক্যের অবস্থান উল্লেখ করে সাকিব আনোয়ার আরও বলেন, ‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে আমরা একমত ছিলাম না, কিন্তু বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করে আমরা এতে একমত হয়েছি। কমিশনের প্রস্তাব ছিল, ৫০ শতাংশ সিভিল সোসাইটি থেকে এবং ৫০ শতাংশ রাজনৈতিকভাবে।’

নাগরিক ঐক্য ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের বিপক্ষে নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের বিপক্ষে নয়। আস্থা ভোট ও অর্থবিল—এ দুটো ছাড়া সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন। এভাবে ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের কথা বলেছি।’

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর কাদির বলেন, ‘নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে আজকে আমরা বেশি সময় আলোচনা করেছি। দেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচনব্যবস্থা কেমন হবে, সেটাতে ফোকাস ছিল। প্রবাসী, অনলাইন ভোটিং নিয়ে মতামত জানিয়েছি। এ ছাড়া বাকি সব বিষয়ে আমরা একমত জানিয়েছি।’

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার বলেন, ‘আমরা আগে ১১৪টি বিষয়ে একমত হয়েছিলাম। আজকে আমরা ১১৮টি বিষয়ে একমত হয়েছি। ৩৮টি বিষয়ে আমাদের দ্বিমত থাকলেও মতপার্থক্য অনেকখানি নিরসন হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৪
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। ছবি: আজকের পত্রিকা
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-১৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, এনসিপিসহ ১০ দলীয় জোটের শরিকের মধ্যে আসন বণ্টন কেমন হবে সেটি আজ রাতের মধ্যেই জানা যাবে। এই জোটে আরও একটি দল যুক্ত হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এই আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে আমরা আমিরের পক্ষ থেকে ওনার মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছি। সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন যাতে উপহার পারি সেই প্রত্যাশা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে যাতে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে পারি তার প্রত্যাশা করছি। এটা নিয়ে আরও কাজ করার আছে। আমরা আশা করছি নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে কাজ করবে।’

নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আরও কাজ করার আছে।

৩০০ আসনে শরিক দলগুলোর কে কতটি আসন পেয়েছে এটা কখন জানা যাবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৩০০ আসনে প্রার্থী আমরা প্রায় নিশ্চিত করতে পেরেছি। আজকে রাতের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের এই আসন সমঝোতা কোনো জোটবদ্ধ নির্বাচন না। কিন্তু এটা অন্য যেকোনো জোটের চেয়েও শক্তিশালী হবে ইনশা আল্লাহ। প্রত্যেকে এখানে নিজস্ব প্রতীক নিয়ে আমরা ইলেকশন করব। শুধুমাত্র একটা আসনে একটি দলই থাকবেন। বাকিরা আমরা সমর্থন জানাব।’

এ সময় আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন ‘আরেকটা রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে, তাদের নাম পরে জানানো হবে।’

এদিকে ঢাকা-১৫ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির মো. শফিকুল ইসলাম খান।

ঢাকা-১৩ ও ১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী জানান, এখন পর্যন্ত এই দু’টি আসনে ৩৩ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন এখন পর্যন্ত জমা দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেষ দিনে ঢাকা-১৭ আসনে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা

বাসস, ঢাকা  
তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আবদুস সালাম। ছবি: বাসস
তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আবদুস সালাম। ছবি: বাসস

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে দলটির প্রতিনিধি দল। গুলশান-বনানী ও বারিধারা নিয়ে এই সংসদীয় আসনটি গঠিত।

আজ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন আসনটিতে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আবদুস সালাম।

সকাল থেকেই সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে শেষ হয়।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমরা সুন্দরভাবে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্রটি জমা দিতে পেরেছি। দীর্ঘ ১৭ বছর আমাদের যে নেতাকে তারা প্রবাস জীবনে বাধ্য করেছিল, আজ আল্লাহর রহমতে জনগণের দোয়ায় তিনি দেশে ফিরে এসেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এই নির্বাচনের জন্য আমরা অপেক্ষা করেছি।’

আব্দুস সালাম বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে ফিরে আসার দিন নগরবাসী যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বরণ করে নিয়েছেন, সে জন্য আমরা নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। ঠিক একইভাবে আগামী ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখের নির্বাচনেও ঢাকা-১৭ আসন এলাকার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের নেতার পক্ষে ভোট দেবে বলে আমরা আশা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে একটি ভোটের জন্য অপেক্ষা করছে। নতুন প্রজন্ম গত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। নতুন প্রজন্মের সব ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক, এটাই আমরা আশা করি।’

তিনি বলেন, ‘এখনো যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা ভেদ করে একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলই এই দেশের সব জনগণের পক্ষে কথা বলবে।’

এ সময় আরও ছিলেন—বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক ও ঢাকা-১৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আমিনুল হক, মহানগর উত্তর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর আলম এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েলসহ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের একাধিক নেতা-কর্মী।

বিএনপি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ঢাকা-১৭ আসনকে ঘিরে দলটির প্রস্তুতি বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। দেশে ফেরার পর গত শনিবার তারেক রহমান ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার হন। এরপর থেকেই বিএনপির সিনিয়র নেতারা তাকে ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচন করার অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন।

এই আসনে বিএনপির জোটসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থের নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছিল।

তবে তারেক রহমান ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এই আসনটি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিজেপি’র চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বগুড়া-৬ আসন থেকে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসন—বগুড়া-৭, ফেনী-১ ও দিনাজপুর-৩ থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৩
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আজ সোমবার এই প্রতিবেদকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলাপকালে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার শরীর অসুস্থ। পিরোজপুর-২ আসনে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচন করব না। সে কারণে মনোনয়নপত্র জমাও দিইনি।’ অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।

গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভান্ডারিয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তারের কার্যালয় থেকে জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। পিরোজপুর-২ আসনের (ভান্ডারিয়া–কাউখালী–নেছারাবাদ) জন্য ওই মনোনয়নপত্র নেওয়া হয়েছিল। এ সময় জেপির উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, যুবসংহতি, ছাত্রসমাজসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের জ্যেষ্ঠ ও প্রবীণ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, গতকাল রোববার বিকেলে পিরোজপুরে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ার অভিযোগ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার অভিযোগ তুলে প্রার্থিতা বাতিল ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ‘ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে পিরোজপুরের সিও অফিস চত্বরে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসন থেকে মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করেছেন।

সম্প্রতি জাতীয় পার্টির সাবেক দুই নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাপা-একাংশ) ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর (জেপি) নেতৃত্বে ১৮টি দল নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট—এনডিএফ। জোট থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীও ঘোষণা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত আমিরের বিপক্ষে লড়তে কোনো চাপ বোধ করছি না: বিএনপির মিল্টন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৪
আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দেন ঢাকা-১৫ আসনে বিএনপি মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দেন ঢাকা-১৫ আসনে বিএনপি মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-১৫ আসনে বিএনপি মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী ঢাকা মহানগর যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন বলেছেন, জামায়াতের আমিরের বিপক্ষে লড়ে তিনি কোনো চাপ অনুভব করছেন না।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এই আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াতের আমিরের বিপক্ষে লড়ে চাপ অনুভব করছেন কিনা জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন বলেন, ‘আমি বিএনপির পক্ষ থেকে লড়ছি। জামায়াতের আমিরের বিপক্ষে লড়ে আমি কোনো চাপ বোধ করছি না। আমি মিরপুরের সন্তান। আমি আশা করছি এলাকাবাসী তাদের এলাকার সন্তানকে ভোট দেবেন।’

যুবদলের এই নেতা আরও বলেন, ‘আমি ঢাকা-১৫ আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছি। আমি আশা করছি এই আসনের বাসিন্দারা নিরাপদে থাকবে। নারীরা নিরাপদে থাকবে। আমরা আশা করি ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।’

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো প্রচারণা শুরু হয়নি। আশা করি নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যবস্থা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত