রেজা করিম, ঢাকা

দুই-আড়াই দশক ধরে একে অপরের মিত্র ছিল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। রাজপথের লড়াই আর ভোটের হিসাব মিলিয়েছে তারা একসঙ্গে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থান ও তার পরের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে সব হিসাব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দল দুটিই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ভোটের মাঠে এত দিন যারা একসুরে কথা বলেছে, এখন তারাই আক্রমণের তির ছুড়ছে একে-অপরকে লক্ষ্য করে। এ সবকিছু মাথায় রেখেই ভোটের প্রচারে কৌশল ঠিক করছে বিএনপি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে ভোটযুদ্ধে পারবে না জেনে জামায়াত বিএনপিকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আবার দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে নাকি জান্নাতে যাওয়া যাবে—এমন কথা বলেও ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা।’
এই প্রচার ঠেকাতে বিএনপি কী কৌশল আঁটছে জানতে চাইলে এমরান সালেহ বলেন, ‘আমাদের সবকিছুই উন্মুক্ত, কোনো গুপ্ত মিশন নেই। আমাদের কৌশল একটাই—আমরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছি, তাদের কাছে পরিকল্পনার কথা বলছি। আশা করছি জনগণ বিএনপিকেই বেছে নেবে।’
বিএনপি ও জামায়াতের আনুষ্ঠানিক গাঁটছড়ার শুরু মূলত ২০০১ সালের নির্বাচন সামনে রেখে চারদলীয় জোট গঠনের পর থেকে। সেই নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যায় এই জোট। বিএনপির সঙ্গে মন্ত্রিসভায় স্থানও পায় জামায়াত। এরপর থেকে দল দুটি জোট ও সমঝোতার ভিত্তিতে যৌথভাবে পার করেছে নির্বাচনী বৈতরণী। যদিও ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে নানা কারণে দল দুটির সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। আর চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজনীতির মাঠে দল দুটির অবস্থান এখন সরাসরি মুখোমুখি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারছে না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকতে পারবে কি না বা কীভাবে থাকবে, তা এখনো পর্যন্ত অস্পষ্ট। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত তাই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
কয়েক মাস ধরে দল দুটির নেতারা তাই পরস্পরকে সমানে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। রাজনীতির ময়দানে কে কার কোন দুর্বলতা নিয়ে খোঁচা দেবেন, সেটারই মহড়া চলছে এখন। নির্বাচনের প্রচার যখন শুরু হবে, ভোট টানতে এই আক্রমণ আরও জোরালো হবে।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকে নজর দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ভোটও ঘরে আনতে চায় দলটি। এই চাওয়া পূরণ করতে ভোটের মাঠে জামায়াতের পক্ষ থেকে যেকোনোভাবে বিএনপিকে কাবু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর বিপরীতে একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকাকে সামনে টেনে আনছে বিএনপি।
ভোটের মাঠে পরাজিত করতে জামায়াতের দিক থেকে বিএনপিকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন দলটির নেতারা। ভোটার আকর্ষণ করতে জামায়াতের বিরুদ্ধে ধর্মকে ব্যবহারেরও অভিযোগ এনেছেন তাঁরা।
তবে অপপ্রচারের এসব কৌশলে বিএনপির জয়রথ ঠেকানো যাবে না বলে আত্মবিশ্বাসী দলের নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জনগণের ফোকাস এবার বিএনপির দিকেই। এর আগেও জনগণ যখন সুযোগ পেয়েছে, বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়েছে। এবার জনগণ সে সুযোগ পেয়েছে, কাজেই এবারও ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করি।’
নির্বাচনী কৌশলে বিএনপি এবার তরুণদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তরুণদের আকৃষ্ট করতে সভা-সেমিনার আয়োজনের পাশাপাশি তাদের জন্য বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ বড় নেতারা বিভিন্ন সভা ও কর্মসূচিতে তরুণদের উদ্দেশে নানা বক্তব্য দিয়ে তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন। নতুন ভোটারদের কথা উল্লেখ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্লোগান ঠিক করেছেন, ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক।’ তরুণদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ এবং তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনার কথা বলছে বিএনপি। একই সঙ্গে নারীদের কর্মপরিবেশ ও নানা সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতিও দিয়ে আসছে দলটি।
নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ অনেক আগেই শুরু করেছে বিএনপি। রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের দেওয়া ৩১ দফাতেই রয়েছে নির্বাচনী ইশতেহারের ইঙ্গিত। ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর এখন ওই ৩১ দফাকে সামনে রেখেই জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার তৈরির কাজ করছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। নির্বাচনী প্রচারে সারা দেশে এবার লিফলেট বিতরণ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ওই বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
লিফলেট বিতরণের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে দলীয় সূত্র বলছে, আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দেশ পুনর্গঠনে প্রতিটি সেক্টরে কর্মপরিকল্পনা দেশবাসীর সামনে লিফলেটের মাধ্যমে তুলে ধরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এসব লিফলেটে মোটা দাগে দেশের উন্নয়নে বিএনপির কর্মপরিকল্পনা, নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেবে, রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফাসহ নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য খাত, কৃষি ও খাদ্য, শিল্প খাত, ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রীড়া, প্রশাসন, দুর্নীতি প্রতিরোধসহ প্রতিটি সেক্টরকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরে আলাদা লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করবে বিএনপি। প্রতিটি এলাকায় সুবিধা-অসুবিধা আর জনগণের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হবে লিফলেটে। এ ছাড়া তরুণ প্রজন্ম ও নারী ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে লিফলেটে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এসব লিফলেট দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও নেতা-কর্মীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশ থাকবে।
সূত্র আরও বলছে, লিফলেটে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হবে। সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করার কথা থাকবে।
এ ছাড়াও বিশিষ্ট নাগরিক ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে ‘উচ্চকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা; স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বাতিল করা; আগামী দিনে ইভিএম নয়, সব কেন্দ্রে পেপার-ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নিশ্চিত করা; বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন এবং বিচারপতিদের অভিশংসন প্রশ্নে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ ব্যবস্থা পুনঃ প্রবর্তন করা; দেশের সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ নির্যাতনের অবসান ঘটানো; ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’—এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রতিটি ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে—লিফলেটে সাধারণ ভোটারদের কাছে এমন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে পারে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দল এখন থেকেই পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু করেছে। বিএনপি প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথম দিন থেকে আমাদের পারফর্ম করতে হবে। দেশকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

দুই-আড়াই দশক ধরে একে অপরের মিত্র ছিল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। রাজপথের লড়াই আর ভোটের হিসাব মিলিয়েছে তারা একসঙ্গে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থান ও তার পরের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে সব হিসাব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দল দুটিই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ভোটের মাঠে এত দিন যারা একসুরে কথা বলেছে, এখন তারাই আক্রমণের তির ছুড়ছে একে-অপরকে লক্ষ্য করে। এ সবকিছু মাথায় রেখেই ভোটের প্রচারে কৌশল ঠিক করছে বিএনপি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে ভোটযুদ্ধে পারবে না জেনে জামায়াত বিএনপিকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আবার দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে নাকি জান্নাতে যাওয়া যাবে—এমন কথা বলেও ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা।’
এই প্রচার ঠেকাতে বিএনপি কী কৌশল আঁটছে জানতে চাইলে এমরান সালেহ বলেন, ‘আমাদের সবকিছুই উন্মুক্ত, কোনো গুপ্ত মিশন নেই। আমাদের কৌশল একটাই—আমরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছি, তাদের কাছে পরিকল্পনার কথা বলছি। আশা করছি জনগণ বিএনপিকেই বেছে নেবে।’
বিএনপি ও জামায়াতের আনুষ্ঠানিক গাঁটছড়ার শুরু মূলত ২০০১ সালের নির্বাচন সামনে রেখে চারদলীয় জোট গঠনের পর থেকে। সেই নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যায় এই জোট। বিএনপির সঙ্গে মন্ত্রিসভায় স্থানও পায় জামায়াত। এরপর থেকে দল দুটি জোট ও সমঝোতার ভিত্তিতে যৌথভাবে পার করেছে নির্বাচনী বৈতরণী। যদিও ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে নানা কারণে দল দুটির সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। আর চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজনীতির মাঠে দল দুটির অবস্থান এখন সরাসরি মুখোমুখি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারছে না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকতে পারবে কি না বা কীভাবে থাকবে, তা এখনো পর্যন্ত অস্পষ্ট। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত তাই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
কয়েক মাস ধরে দল দুটির নেতারা তাই পরস্পরকে সমানে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। রাজনীতির ময়দানে কে কার কোন দুর্বলতা নিয়ে খোঁচা দেবেন, সেটারই মহড়া চলছে এখন। নির্বাচনের প্রচার যখন শুরু হবে, ভোট টানতে এই আক্রমণ আরও জোরালো হবে।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকে নজর দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ভোটও ঘরে আনতে চায় দলটি। এই চাওয়া পূরণ করতে ভোটের মাঠে জামায়াতের পক্ষ থেকে যেকোনোভাবে বিএনপিকে কাবু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর বিপরীতে একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকাকে সামনে টেনে আনছে বিএনপি।
ভোটের মাঠে পরাজিত করতে জামায়াতের দিক থেকে বিএনপিকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন দলটির নেতারা। ভোটার আকর্ষণ করতে জামায়াতের বিরুদ্ধে ধর্মকে ব্যবহারেরও অভিযোগ এনেছেন তাঁরা।
তবে অপপ্রচারের এসব কৌশলে বিএনপির জয়রথ ঠেকানো যাবে না বলে আত্মবিশ্বাসী দলের নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জনগণের ফোকাস এবার বিএনপির দিকেই। এর আগেও জনগণ যখন সুযোগ পেয়েছে, বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়েছে। এবার জনগণ সে সুযোগ পেয়েছে, কাজেই এবারও ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করি।’
নির্বাচনী কৌশলে বিএনপি এবার তরুণদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তরুণদের আকৃষ্ট করতে সভা-সেমিনার আয়োজনের পাশাপাশি তাদের জন্য বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ বড় নেতারা বিভিন্ন সভা ও কর্মসূচিতে তরুণদের উদ্দেশে নানা বক্তব্য দিয়ে তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন। নতুন ভোটারদের কথা উল্লেখ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্লোগান ঠিক করেছেন, ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক।’ তরুণদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ এবং তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনার কথা বলছে বিএনপি। একই সঙ্গে নারীদের কর্মপরিবেশ ও নানা সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতিও দিয়ে আসছে দলটি।
নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ অনেক আগেই শুরু করেছে বিএনপি। রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের দেওয়া ৩১ দফাতেই রয়েছে নির্বাচনী ইশতেহারের ইঙ্গিত। ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর এখন ওই ৩১ দফাকে সামনে রেখেই জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার তৈরির কাজ করছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। নির্বাচনী প্রচারে সারা দেশে এবার লিফলেট বিতরণ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ওই বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
লিফলেট বিতরণের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে দলীয় সূত্র বলছে, আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দেশ পুনর্গঠনে প্রতিটি সেক্টরে কর্মপরিকল্পনা দেশবাসীর সামনে লিফলেটের মাধ্যমে তুলে ধরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এসব লিফলেটে মোটা দাগে দেশের উন্নয়নে বিএনপির কর্মপরিকল্পনা, নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেবে, রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফাসহ নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য খাত, কৃষি ও খাদ্য, শিল্প খাত, ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রীড়া, প্রশাসন, দুর্নীতি প্রতিরোধসহ প্রতিটি সেক্টরকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরে আলাদা লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করবে বিএনপি। প্রতিটি এলাকায় সুবিধা-অসুবিধা আর জনগণের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হবে লিফলেটে। এ ছাড়া তরুণ প্রজন্ম ও নারী ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে লিফলেটে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এসব লিফলেট দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও নেতা-কর্মীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশ থাকবে।
সূত্র আরও বলছে, লিফলেটে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হবে। সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করার কথা থাকবে।
এ ছাড়াও বিশিষ্ট নাগরিক ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে ‘উচ্চকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা; স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বাতিল করা; আগামী দিনে ইভিএম নয়, সব কেন্দ্রে পেপার-ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নিশ্চিত করা; বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন এবং বিচারপতিদের অভিশংসন প্রশ্নে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ ব্যবস্থা পুনঃ প্রবর্তন করা; দেশের সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ নির্যাতনের অবসান ঘটানো; ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’—এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রতিটি ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে—লিফলেটে সাধারণ ভোটারদের কাছে এমন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে পারে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দল এখন থেকেই পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু করেছে। বিএনপি প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথম দিন থেকে আমাদের পারফর্ম করতে হবে। দেশকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
রেজা করিম, ঢাকা

দুই-আড়াই দশক ধরে একে অপরের মিত্র ছিল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। রাজপথের লড়াই আর ভোটের হিসাব মিলিয়েছে তারা একসঙ্গে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থান ও তার পরের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে সব হিসাব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দল দুটিই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ভোটের মাঠে এত দিন যারা একসুরে কথা বলেছে, এখন তারাই আক্রমণের তির ছুড়ছে একে-অপরকে লক্ষ্য করে। এ সবকিছু মাথায় রেখেই ভোটের প্রচারে কৌশল ঠিক করছে বিএনপি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে ভোটযুদ্ধে পারবে না জেনে জামায়াত বিএনপিকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আবার দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে নাকি জান্নাতে যাওয়া যাবে—এমন কথা বলেও ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা।’
এই প্রচার ঠেকাতে বিএনপি কী কৌশল আঁটছে জানতে চাইলে এমরান সালেহ বলেন, ‘আমাদের সবকিছুই উন্মুক্ত, কোনো গুপ্ত মিশন নেই। আমাদের কৌশল একটাই—আমরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছি, তাদের কাছে পরিকল্পনার কথা বলছি। আশা করছি জনগণ বিএনপিকেই বেছে নেবে।’
বিএনপি ও জামায়াতের আনুষ্ঠানিক গাঁটছড়ার শুরু মূলত ২০০১ সালের নির্বাচন সামনে রেখে চারদলীয় জোট গঠনের পর থেকে। সেই নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যায় এই জোট। বিএনপির সঙ্গে মন্ত্রিসভায় স্থানও পায় জামায়াত। এরপর থেকে দল দুটি জোট ও সমঝোতার ভিত্তিতে যৌথভাবে পার করেছে নির্বাচনী বৈতরণী। যদিও ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে নানা কারণে দল দুটির সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। আর চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজনীতির মাঠে দল দুটির অবস্থান এখন সরাসরি মুখোমুখি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারছে না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকতে পারবে কি না বা কীভাবে থাকবে, তা এখনো পর্যন্ত অস্পষ্ট। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত তাই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
কয়েক মাস ধরে দল দুটির নেতারা তাই পরস্পরকে সমানে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। রাজনীতির ময়দানে কে কার কোন দুর্বলতা নিয়ে খোঁচা দেবেন, সেটারই মহড়া চলছে এখন। নির্বাচনের প্রচার যখন শুরু হবে, ভোট টানতে এই আক্রমণ আরও জোরালো হবে।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকে নজর দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ভোটও ঘরে আনতে চায় দলটি। এই চাওয়া পূরণ করতে ভোটের মাঠে জামায়াতের পক্ষ থেকে যেকোনোভাবে বিএনপিকে কাবু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর বিপরীতে একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকাকে সামনে টেনে আনছে বিএনপি।
ভোটের মাঠে পরাজিত করতে জামায়াতের দিক থেকে বিএনপিকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন দলটির নেতারা। ভোটার আকর্ষণ করতে জামায়াতের বিরুদ্ধে ধর্মকে ব্যবহারেরও অভিযোগ এনেছেন তাঁরা।
তবে অপপ্রচারের এসব কৌশলে বিএনপির জয়রথ ঠেকানো যাবে না বলে আত্মবিশ্বাসী দলের নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জনগণের ফোকাস এবার বিএনপির দিকেই। এর আগেও জনগণ যখন সুযোগ পেয়েছে, বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়েছে। এবার জনগণ সে সুযোগ পেয়েছে, কাজেই এবারও ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করি।’
নির্বাচনী কৌশলে বিএনপি এবার তরুণদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তরুণদের আকৃষ্ট করতে সভা-সেমিনার আয়োজনের পাশাপাশি তাদের জন্য বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ বড় নেতারা বিভিন্ন সভা ও কর্মসূচিতে তরুণদের উদ্দেশে নানা বক্তব্য দিয়ে তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন। নতুন ভোটারদের কথা উল্লেখ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্লোগান ঠিক করেছেন, ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক।’ তরুণদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ এবং তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনার কথা বলছে বিএনপি। একই সঙ্গে নারীদের কর্মপরিবেশ ও নানা সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতিও দিয়ে আসছে দলটি।
নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ অনেক আগেই শুরু করেছে বিএনপি। রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের দেওয়া ৩১ দফাতেই রয়েছে নির্বাচনী ইশতেহারের ইঙ্গিত। ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর এখন ওই ৩১ দফাকে সামনে রেখেই জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার তৈরির কাজ করছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। নির্বাচনী প্রচারে সারা দেশে এবার লিফলেট বিতরণ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ওই বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
লিফলেট বিতরণের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে দলীয় সূত্র বলছে, আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দেশ পুনর্গঠনে প্রতিটি সেক্টরে কর্মপরিকল্পনা দেশবাসীর সামনে লিফলেটের মাধ্যমে তুলে ধরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এসব লিফলেটে মোটা দাগে দেশের উন্নয়নে বিএনপির কর্মপরিকল্পনা, নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেবে, রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফাসহ নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য খাত, কৃষি ও খাদ্য, শিল্প খাত, ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রীড়া, প্রশাসন, দুর্নীতি প্রতিরোধসহ প্রতিটি সেক্টরকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরে আলাদা লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করবে বিএনপি। প্রতিটি এলাকায় সুবিধা-অসুবিধা আর জনগণের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হবে লিফলেটে। এ ছাড়া তরুণ প্রজন্ম ও নারী ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে লিফলেটে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এসব লিফলেট দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও নেতা-কর্মীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশ থাকবে।
সূত্র আরও বলছে, লিফলেটে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হবে। সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করার কথা থাকবে।
এ ছাড়াও বিশিষ্ট নাগরিক ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে ‘উচ্চকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা; স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বাতিল করা; আগামী দিনে ইভিএম নয়, সব কেন্দ্রে পেপার-ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নিশ্চিত করা; বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন এবং বিচারপতিদের অভিশংসন প্রশ্নে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ ব্যবস্থা পুনঃ প্রবর্তন করা; দেশের সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ নির্যাতনের অবসান ঘটানো; ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’—এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রতিটি ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে—লিফলেটে সাধারণ ভোটারদের কাছে এমন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে পারে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দল এখন থেকেই পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু করেছে। বিএনপি প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথম দিন থেকে আমাদের পারফর্ম করতে হবে। দেশকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

দুই-আড়াই দশক ধরে একে অপরের মিত্র ছিল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। রাজপথের লড়াই আর ভোটের হিসাব মিলিয়েছে তারা একসঙ্গে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থান ও তার পরের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে সব হিসাব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দল দুটিই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ভোটের মাঠে এত দিন যারা একসুরে কথা বলেছে, এখন তারাই আক্রমণের তির ছুড়ছে একে-অপরকে লক্ষ্য করে। এ সবকিছু মাথায় রেখেই ভোটের প্রচারে কৌশল ঠিক করছে বিএনপি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে ভোটযুদ্ধে পারবে না জেনে জামায়াত বিএনপিকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আবার দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে নাকি জান্নাতে যাওয়া যাবে—এমন কথা বলেও ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা।’
এই প্রচার ঠেকাতে বিএনপি কী কৌশল আঁটছে জানতে চাইলে এমরান সালেহ বলেন, ‘আমাদের সবকিছুই উন্মুক্ত, কোনো গুপ্ত মিশন নেই। আমাদের কৌশল একটাই—আমরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছি, তাদের কাছে পরিকল্পনার কথা বলছি। আশা করছি জনগণ বিএনপিকেই বেছে নেবে।’
বিএনপি ও জামায়াতের আনুষ্ঠানিক গাঁটছড়ার শুরু মূলত ২০০১ সালের নির্বাচন সামনে রেখে চারদলীয় জোট গঠনের পর থেকে। সেই নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যায় এই জোট। বিএনপির সঙ্গে মন্ত্রিসভায় স্থানও পায় জামায়াত। এরপর থেকে দল দুটি জোট ও সমঝোতার ভিত্তিতে যৌথভাবে পার করেছে নির্বাচনী বৈতরণী। যদিও ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে নানা কারণে দল দুটির সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। আর চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজনীতির মাঠে দল দুটির অবস্থান এখন সরাসরি মুখোমুখি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারছে না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকতে পারবে কি না বা কীভাবে থাকবে, তা এখনো পর্যন্ত অস্পষ্ট। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত তাই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
কয়েক মাস ধরে দল দুটির নেতারা তাই পরস্পরকে সমানে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। রাজনীতির ময়দানে কে কার কোন দুর্বলতা নিয়ে খোঁচা দেবেন, সেটারই মহড়া চলছে এখন। নির্বাচনের প্রচার যখন শুরু হবে, ভোট টানতে এই আক্রমণ আরও জোরালো হবে।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকে নজর দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ভোটও ঘরে আনতে চায় দলটি। এই চাওয়া পূরণ করতে ভোটের মাঠে জামায়াতের পক্ষ থেকে যেকোনোভাবে বিএনপিকে কাবু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর বিপরীতে একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকাকে সামনে টেনে আনছে বিএনপি।
ভোটের মাঠে পরাজিত করতে জামায়াতের দিক থেকে বিএনপিকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন দলটির নেতারা। ভোটার আকর্ষণ করতে জামায়াতের বিরুদ্ধে ধর্মকে ব্যবহারেরও অভিযোগ এনেছেন তাঁরা।
তবে অপপ্রচারের এসব কৌশলে বিএনপির জয়রথ ঠেকানো যাবে না বলে আত্মবিশ্বাসী দলের নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জনগণের ফোকাস এবার বিএনপির দিকেই। এর আগেও জনগণ যখন সুযোগ পেয়েছে, বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়েছে। এবার জনগণ সে সুযোগ পেয়েছে, কাজেই এবারও ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করি।’
নির্বাচনী কৌশলে বিএনপি এবার তরুণদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তরুণদের আকৃষ্ট করতে সভা-সেমিনার আয়োজনের পাশাপাশি তাদের জন্য বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ বড় নেতারা বিভিন্ন সভা ও কর্মসূচিতে তরুণদের উদ্দেশে নানা বক্তব্য দিয়ে তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন। নতুন ভোটারদের কথা উল্লেখ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্লোগান ঠিক করেছেন, ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক।’ তরুণদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ এবং তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনার কথা বলছে বিএনপি। একই সঙ্গে নারীদের কর্মপরিবেশ ও নানা সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতিও দিয়ে আসছে দলটি।
নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ অনেক আগেই শুরু করেছে বিএনপি। রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের দেওয়া ৩১ দফাতেই রয়েছে নির্বাচনী ইশতেহারের ইঙ্গিত। ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর এখন ওই ৩১ দফাকে সামনে রেখেই জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার তৈরির কাজ করছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। নির্বাচনী প্রচারে সারা দেশে এবার লিফলেট বিতরণ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ওই বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
লিফলেট বিতরণের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে দলীয় সূত্র বলছে, আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দেশ পুনর্গঠনে প্রতিটি সেক্টরে কর্মপরিকল্পনা দেশবাসীর সামনে লিফলেটের মাধ্যমে তুলে ধরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এসব লিফলেটে মোটা দাগে দেশের উন্নয়নে বিএনপির কর্মপরিকল্পনা, নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেবে, রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফাসহ নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য খাত, কৃষি ও খাদ্য, শিল্প খাত, ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রীড়া, প্রশাসন, দুর্নীতি প্রতিরোধসহ প্রতিটি সেক্টরকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরে আলাদা লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করবে বিএনপি। প্রতিটি এলাকায় সুবিধা-অসুবিধা আর জনগণের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হবে লিফলেটে। এ ছাড়া তরুণ প্রজন্ম ও নারী ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে লিফলেটে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এসব লিফলেট দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও নেতা-কর্মীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশ থাকবে।
সূত্র আরও বলছে, লিফলেটে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হবে। সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করার কথা থাকবে।
এ ছাড়াও বিশিষ্ট নাগরিক ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে ‘উচ্চকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা; স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বাতিল করা; আগামী দিনে ইভিএম নয়, সব কেন্দ্রে পেপার-ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নিশ্চিত করা; বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন এবং বিচারপতিদের অভিশংসন প্রশ্নে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ ব্যবস্থা পুনঃ প্রবর্তন করা; দেশের সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ নির্যাতনের অবসান ঘটানো; ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’—এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রতিটি ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে—লিফলেটে সাধারণ ভোটারদের কাছে এমন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে পারে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দল এখন থেকেই পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু করেছে। বিএনপি প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথম দিন থেকে আমাদের পারফর্ম করতে হবে। দেশকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে। তবে সেটি নিশ্চিত নয়।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সেকারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যা বেলায় বিএনপি মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধু ডা. জুবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার সস্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জুবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে। তবে সেটি নিশ্চিত নয়।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সেকারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যা বেলায় বিএনপি মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধু ডা. জুবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার সস্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জুবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

দুই-আড়াই দশক ধরে একে অপরের মিত্র ছিল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। রাজপথের লড়াই আর ভোটের হিসাব মিলিয়েছে তারা একসঙ্গে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থান ও তার পরের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে সব হিসাব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দল দুটিই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ভোটের মাঠে এত দিন যারা...
৯ দিন আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।

দুই-আড়াই দশক ধরে একে অপরের মিত্র ছিল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। রাজপথের লড়াই আর ভোটের হিসাব মিলিয়েছে তারা একসঙ্গে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থান ও তার পরের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে সব হিসাব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দল দুটিই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ভোটের মাঠে এত দিন যারা...
৯ দিন আগে
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় নিরাপত্তার স্বার্থে দলটিকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ দেওয়া রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত রিপোর্টের নথি এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে।
রেজিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আইডি ২-৬২৮৪৬১৯ এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৬-৬৫২৮। গাড়িটি কোনো ব্যক্তির নামে নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত। মালিকের ঠিকানা হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘২৮/১ নয়াপল্টন’ উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়িটি আমদানি করেছে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেড।
রেজিস্ট্রেশনের দিনই (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাবিকুন নাহার গাড়িটির ফিটনেস সনদ অনুমোদন করেন। ফিটনেসের মেয়াদ ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে এক বছরের জন্য, যা আগামী বছরের ১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
গাড়িটির সাধারণ ওজন ২ হাজার ৭৯০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ওজন ৩ হাজার ৮৫ কেজি। গাড়িটি জাপানের টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি।

সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় নিরাপত্তার স্বার্থে দলটিকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ দেওয়া রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত রিপোর্টের নথি এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে।
রেজিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আইডি ২-৬২৮৪৬১৯ এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৬-৬৫২৮। গাড়িটি কোনো ব্যক্তির নামে নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত। মালিকের ঠিকানা হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘২৮/১ নয়াপল্টন’ উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়িটি আমদানি করেছে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেড।
রেজিস্ট্রেশনের দিনই (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাবিকুন নাহার গাড়িটির ফিটনেস সনদ অনুমোদন করেন। ফিটনেসের মেয়াদ ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে এক বছরের জন্য, যা আগামী বছরের ১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
গাড়িটির সাধারণ ওজন ২ হাজার ৭৯০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ওজন ৩ হাজার ৮৫ কেজি। গাড়িটি জাপানের টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি।

দুই-আড়াই দশক ধরে একে অপরের মিত্র ছিল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। রাজপথের লড়াই আর ভোটের হিসাব মিলিয়েছে তারা একসঙ্গে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থান ও তার পরের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে সব হিসাব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দল দুটিই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ভোটের মাঠে এত দিন যারা...
৯ দিন আগে
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা আসার কথা। তবে এই সময়ের কিছু হেরফের হতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার পর ‘ফ্লাইট ইন্সপেকশনে’ ঘণ্টাখানেক সময় লাগতে পারে। ভোরের দিকে খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টারে এনে বিমানবন্দরে আনা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দেওয়া তা ঢাকায় পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর সঙ্গে কারা লন্ডন যাবেন, তা ঠিক করে তাদের ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেছে বিএনপি। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমান বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর ফ্লাইটটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। সেক্ষেত্রে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হলে হয়তো তাঁর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে একটি চিকিৎসক দল যাচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অত্যন্ত আধুনিক। এর মধ্যে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই রয়েছে।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এয়ারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী লন্ডনের একটি হাসপাতালের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন। চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদের রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ২ ডিসেম্বর থেকেই এসএসএফ ও পিজিআর সদস্যরা এভারকেয়ার এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এসএসএফ নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের দুটি মাঠে গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টার মহড়া দেয়।
দলীয় সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হতে পারে। তবে হেলিকপ্টারে করেই নাকি সড়কপথে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কাছে নেওয়া হবে, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় কাতারের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেয় বিএনপি। পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্র দেয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কাতার দূতাবাস জানায়, কূটনৈতিক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশের সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
গত মাসে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দলের উদ্বিগ্ন নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। গতকালও হাসপাতালের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিন ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎসকও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে সশরীর বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন। আগের দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এভারকেয়ারে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসেন। এনসিপিসহ আরও কিছু দলের নেতাও এভারকেয়ারে গিয়েছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা আসার কথা। তবে এই সময়ের কিছু হেরফের হতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার পর ‘ফ্লাইট ইন্সপেকশনে’ ঘণ্টাখানেক সময় লাগতে পারে। ভোরের দিকে খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টারে এনে বিমানবন্দরে আনা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দেওয়া তা ঢাকায় পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর সঙ্গে কারা লন্ডন যাবেন, তা ঠিক করে তাদের ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেছে বিএনপি। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমান বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর ফ্লাইটটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। সেক্ষেত্রে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হলে হয়তো তাঁর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে একটি চিকিৎসক দল যাচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অত্যন্ত আধুনিক। এর মধ্যে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই রয়েছে।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এয়ারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী লন্ডনের একটি হাসপাতালের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন। চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদের রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ২ ডিসেম্বর থেকেই এসএসএফ ও পিজিআর সদস্যরা এভারকেয়ার এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এসএসএফ নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের দুটি মাঠে গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টার মহড়া দেয়।
দলীয় সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হতে পারে। তবে হেলিকপ্টারে করেই নাকি সড়কপথে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কাছে নেওয়া হবে, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় কাতারের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেয় বিএনপি। পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্র দেয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কাতার দূতাবাস জানায়, কূটনৈতিক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশের সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
গত মাসে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দলের উদ্বিগ্ন নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। গতকালও হাসপাতালের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিন ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎসকও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে সশরীর বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন। আগের দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এভারকেয়ারে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসেন। এনসিপিসহ আরও কিছু দলের নেতাও এভারকেয়ারে গিয়েছেন।

দুই-আড়াই দশক ধরে একে অপরের মিত্র ছিল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। রাজপথের লড়াই আর ভোটের হিসাব মিলিয়েছে তারা একসঙ্গে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থান ও তার পরের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে সব হিসাব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দল দুটিই এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ভোটের মাঠে এত দিন যারা...
৯ দিন আগে
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে